🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

১৩. ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কালিয় দমন লীলা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_2.html

✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
  *꧁ ১৩. ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কালিয় দমন লীলা ꧂*
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
           ꧁ 👇শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র👇 ꧂
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧    
*🌻কালিয় দমন লীলা গৌরচন্দ্রিকা🌻* 
*গৌরাঙ্গ সুন্দর,প্রেমে গর গর,ভ্রময়ে যমুনা তিরে।*
*কৃষ্ণদাস সহ,পূরব রভস,ধাম দেখিয়া ফিরে।।*
*দেখিতে দেখিতে,উনমত চিতে,ভ্রমিতে মোহন বন।*
*কৃষ্ণদাস কহ,হের কালিদহ,আগে কর দরশন।।*
*এই কদম্ব,তরুর উপরে,চড়িয়া দিলেন ঝাঁপ।*
*এথা শিশুকুল,কান্দিয়া আকুল,সুরগণ দেখি কাঁপ।।*
*গোপগোপীগণ,করয়ে রোদন,লোটায় ধরণী মাঝে।*
*ব্রজবাসী কুল,হেরিয়া আকুল,উঠিলা নাগর রাজে।।*
*কাঁহা মোর মাতা,শ্রীদামাদি সখা,কাঁহা মোর গোপীগণ।*
*ইহা বলি কান্দে,থির নাহি বান্ধে,মাধব আকুল মন।।*

*🌻কালীয়দমন লীলার গৌরচন্দ্রিকা ও গৌর চন্দ্রিকা অনুরূপ ব‍্যাখ‍্যা🌻*
গৌরাঙ্গ সুন্দর, প্রেমে গরগর, ভ্রময়ে যমুনা তীরে।
কৃষ্ণদাস সহ,পূরব রভস,ধাম দেখিয়া ফিরে।।
দেখিতে দেখিতে,উনমত চিতে, ভ্রমিতে মোহন বন।
কৃষ্ণদাস কহ,হের কালিদহ,আগে কর দরশন।।
এই কদম্ব,তরুর উপরে,চড়িয়া দিলেন ঝাঁপ।
এরা শিশুকুল, কান্দিয়া আকুল, সুরগণ দেখি কাঁপ।।
গোপগোপীগণ,করয়ে রোদন,লোটায় অবনী মাঝে।
ব্রজ বাসীকুল,হেরিয়া আকুল,উঠিলা নাগর রাজে।।
কাঁহা মোর মাতা, শ্রীদামাদি সখা, কাঁহা মোর গোপীগণ,।
ইহা বলি কান্দে, থির নাহি বান্ধে, মাধব আকুল মন।।
    ভাবার্থ
অদ‍্য ভাবনিধি গৌরাঙ্গ সুন্দর না জানি কোন প্রেমের
ভাবে গরগর(ভাবাবেশে আকুল বা আত্মহারা)হইয়া সঙ্গে বলভদ্র ভট্টাচার্য্যকে লইয়া মথুরায় এলেন।মথুরাবাসি রাজপুত ব্রাহ্মণ,পরম বৈষ্ণব অথচ তিনি গৃহস্থ। একদিন কেশীঘাটে স্নান করিয়া কালিয়দহের পথে যাচ্ছেন কৃষ্ণদাস, দেখলেন আমলি তলায় কে এক নবীন সন্ন‍্যাসী বসিয়া আছেন।সন্ন‍্যাসীর এত রূপ পূর্বে কোনদিন দর্শন করেন নি, বিস্ময়ে আচ্ছন্ন হইলেন কৃষ্ণদাস। নিজেকে কোনো রকমে সামলে নিয়ে নিজে নিজে বলতে লাগিলেন,বাইরে যাহার এতরূপ অন্তরে না জানি তাঁহার কত প্রেম হবে।ধীরে ধীরে মহাপ্রভুর নিকটে গিয়া প্রণাম করিলেন,মহাপ্রভু জিজ্ঞাসা করিলেন কে তুমি? কৃষ্ণদাস বলিলেন আমি এক নরাধম গৃহস্থ, মহাপ্রভু পুনঃ বললেন, তুমি কি চাও? কৃষ্ণদাস বলিলেন আমি আপনার কিঙ্কর হতে চাই,যদি কৃপা করেন। আমি গতকাল রাতে এক সন্ন‍্যাসীকে স্বপ্নে দেখেছিলাম, কিন্তু এখনদিনের আলোয় দেখছি রাতে যাহাকে দেখেছিলাম, তিনি স্বয়ং আপনি। মহাপ্রভু বলিলেন কৃষ্ণদাস, শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে এখানে আনিয়াছেন। এই বলিয়া প্রেমের ঠাকুর পতিতপাবন গৌর সুন্দর কৃষ্ণদাসকে আলিঙ্গন করিলেন। আলিঙ্গন পাইয়া প্রেমাবেশে নৃত‍্য কীর্তন করিতে লাগলেন। তারপর মহাপ্রভু কৃষ্ণদাস কে অকূরুর তীর্থে নিয়ে এলেন। সেখানে মহাপ্রভু মধ‍্যাহ্ন ভোজন করিলেন, কৃষ্ণদাস কে অবশেষ পাত্র দিলেন। প্রেমে আত্মহারা হইয়া কৃষ্ণদাস মহাপ্রভুর সঙ্গে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। যমুনা পেরিয়ে মহাবনের দিকে চলে ছেন মহাপ্রভু।পথ শ্রান্ত হইয়া এক বৃক্ষের নিচে বসেছেন। দেখলেন সম্মুখে গরু চরিতেছে,শোনা যাচ্ছে রাখালের বাঁশি রব,তখনই মহাপ্রভুর শ্রীকৃষ্ণের গোচারণ লীলার কথা মনে পড়ে গেল।(তিনি ত অনাদির আদি গোবিন্দ, গৌর হয়ে এসে বৃন্দাবনের অপ্রকট লীলা প্রকট করিবার জন্য এসেছেন)এমনি মহাপ্রভু প্রেমাবেশে মূর্ছিত হয়ে পড়লেন। সঙ্গের ভক্তগণ মহাপ্রভুর চেতনা ফেরালেন।হটাৎ গুজব রটে গেল বৃন্দাবনের শ্রীকৃষ্ণপ্রকট হয়েছেন, একদিন অকরুর তীর্থ থেকে লোক এল বৃন্দাবনে, মহাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন কোথা হইতে তোমরা এসেছ?তাহারা বললে কালিয়াদহ থেকে, কালিয়দহে শ্রীকৃষ্ণ পুনঃ প্রকট হইয়া কালিনাগের শিরে নৃত‍্য করছেন। তিন রাত্রি ধরিয়া সকলে দর্শন করছে। এই কথা শুনিয়া মহাপ্রভু হাসিতে লাগলেন। এই ভ্রান্ত বাক‍্যে সরলমতি বলভদ্রের মতিভ্রম হইল। বলভদ্র সন্ধ্যাকালে মহাপ্রভুর কাছে বললেন- আমি শ্রীকৃষ্ণ দর্শন
করিতে যাইব, মহাপ্রভু বললেন, কোথায় শ্রীকৃষ্ণ দর্শন করিতে যাবে? বলভদ্র বলিল,কালিয়দহে। মহাপ্রভু বলিলেন- মুর্খের বাক‍্যে মুর্খ হইলে? তুমি পন্ডিত ব‍্যক্তি, তুমি কোন বিবেচনা করতে পারলে না? বলভদ্র! কলির জীব পরম চঞ্চল,বিষয়বাসনা ও কামকামনায় রত, হৃদয় স্থির নহে, জানো কি? শ্রীকৃষ্ণ দর্শন মহাভাগ‍্যের, কি আর বলিব। মুর্খ লোক নিজের ভ্রমে মিথ‍্যা কোলাহল করছে। তুমি বসিয়া থাক,পরে সব কিছু জানতে পারবে। সকালে মহাপ্রভুর নিকট কালিয়াদহ হতে কোন এক লোক এল, মহাপ্রভু তাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, শ্রীকৃষ্ণ দেখলে? লোকটি বললো, কোথায় শ্রীকৃষ্ণ? কৈবর্তগণ (মৎসজীবী)নৌকা
নিয়ে দেউটি জ্বালিয়ে কালিদহের জলে মাছ ধরে,দূর হতে লোকের ভ্রম হয় নৌকাকে কালিয়নাগ,জেলেটিকে শ্রীকৃষ্ণ ও দীপটি কে সর্পের মণি মনে করে,(তবে বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ উদয় ঠিক, শ্রীকৃষ্ণ কে লোকে দেখছে,তাও ঠিক, কিন্তু ভ্রম বশতঃ শ্রীকৃষ্ণ কে কৃষ্ণ না বলিয়া মানুষকে কৃষ্ণ কল্পনা করছে। কারণ স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তো কাছেই বসে আছেন, কিন্তু কামকামনা বিষয়বাসনায় রত জীব চিনতে পারছে না) এবার বলভদ্রের ভ্রম দূর হইল। মহাপ্রভুর শ্রী চরণে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগলেন। মহাপ্রভু পুনঃ একদিন অকরুর ঘাটে এলেন এবং স্নান করিলেন। স্নান কালে মহাপ্রভু বৈকুণ্ঠ দর্শন করিলেন। আর ব্রজ বাসীগণ গোলোক দর্শন করিয়াছিলেন। মহাপ্রভু যমুনার জলে বৈকুণ্ঠ ও গোলোক দর্শন করিয়া, পুনঃ যমুনায় ঝাঁপ দিলেন। কৃষ্ণদাস আশেপাশের ভক্তগণকে ডাকিয়া মহাপ্রভু কে যমুনার জল হইতে তুললেন,সেবা যত্ন করিলেন, মহাপ্রভুর বাহ্য জ্ঞান ফিরে পেলেন। কিন্তু সেখানে দিবারাত্রি
ভক্তের খুব ভিড় হতে লাগল, এবং আমন্ত্রণ আসিতে
লাগল। এই সব দেখিয়া সনোড়িয়া ব্রাহ্মণ, বলভদ্র, কৃষ্ণদাস ঠিক করলেন, মহাপ্রভু কে অন‍্যত্র নিয়ে যাবেন। মহাপ্রভুর বৃন্দাবনে অবস্থানের অনেক অসুবিধাও দেখা দিল। তিনি যমুনার জল দেখলে চরম প্রেম উন্মুক্ত হইয়া তাহাতে ঝাঁপ দিয়া পড়েন। প্রেমে মূর্ছিত হয়ে পড়েন, এই মহা প্রভুর পূরব ভাব।
(কালিয়দমন বিরাম)
বানান, ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয়।

গর্গ সংহিতায় বর্ণিত আছে যে,এক সময়ে বিদেহরাজ, দেবর্ষি নারদের নিকট কালিয়দমনলীলা শ্রবণ করেছিলেন এবং তিনি কালিয় মস্তকে কৃষ্ণের নৃত‍্য ও কালিয়ের কৃষ্ণচরণে শরণাগতির কথা শুনিয়া কালিয়ের পূর্বজন্ম বৃত্তান্ত জানবার জন্য প্রশ্ন করেছিলেন। বিদেহরাজ দেবর্ষি নারদকে জিজ্ঞাসা করলেন- হে দেবর্ষিসত্তম্! যোগীগণ বহুজন্মের যোগারাধনাতেও যাঁহার চরণধূলি কণিকা লাভ করতে সক্ষম হন না, মহাদুষ্ট কালিয়সর্প সেই যোগীগণবাঞ্জিত শ্রকৃষ্ণচরণকমল মস্তকে ধারণ করবার সৌভাগ্য লাভ করেছিল। সে জন্য আমার জানতে ইচ্ছে হইতেছে যে,কালিয় তাহার পূর্বজন্মেএমন কি সদনুষ্ঠান করেছিল যে,তার ফলে সে নিজমস্তকে শ্রীকৃষ্ণ- চরণস্পর্শ পাবার সৌভাগ্য লাভ করিয়াছিল। নারদঋষি বলিলেন=পূর্বকালে স্বায়ম্ভুব মন্বন্তরে ভৃগুবংশসমুদ্ভব বেদশিরা নামক একজন মুনি বিন্ধ‍্যা চলে তীব্র তপস‍্যা করেন!সেই স্থানে অশ্বশিরা নামক একজন মুনিকে তপস‍্যা করিতে আসিতে দেখিয়া বেদশিরা মুনি ক্রোধে আরক্তনয়ন হইয়া বলতে লাগলেন-- হে বিপ্র! তুমি আমার আশ্রমে তপস‍্যা করতে রত হইও না, ইহাতে তোমার ভাল হবে না,তোমার কি অন‍্যত্র তপস‍্যা করবার উপযুক্ত স্থান নাই?
অশ্বশিরা মুনি বেদশিরাকে বললেন- এই ভূমি তোমারও নহে,আমারও নহে।একমাত্র মহাবিষ্ণুই এই স্থানের অধিকারী।এখানে কত শত মুনিগণই না তীব্র তপশ্চরণ করেছেন, কিন্তু তুমি আমাকে দেখিয়া সর্পের ন‍্যায় গর্জন করতে করতে বৃথা ক্রোধ প্রকাশ করছো? অতএব তুমি সর্প হইয়া জন্মগ্রহণ কর এবং তোমার যেন গরুড় হইতে সর্বদা ভীত থাকতে হয়। 


বেদশিরা উবাচ=ত্বং মসাদুরভিপ্রায়ো লঘুদ্রোহে মহ‍্যোদ‍্যমঃ।
কার্য‍্যার্থী কাকইব কৌ ত্বং কাকো ভব দুর্মতে।।
বেদশিরা মুনি বললেন=তোমার অভিপ্রায় অতি অসৎ, তুমি লঘুপাপে গুরুদন্ড প্রদান করিয়াছ এবং তোমার সর্বদা কাকের ন‍্যায় স্বকার্য‍্য সাধন-তৎপর। অতএব তুমি কাক হইয়া ভূতলে জন্মগ্রহণ কর। 
শ্রীনারদ উবাচ=আবিরাসীত্ততো বিষ্ণু-রিথুঞ্চ শপতোস্তয়োঃ।
স্বস্বশাপাদ্দুঃখিতয়োঃ সান্ত্বয়ামাস তৌ গিরা।।
শ্রীনারদ ঋষি বলিলেন= হে বিদেহরাজ! মহামুনি বেদশিরা ও অশ্বশিরা এইরূপে পরস্পরকে শাপ প্রদান করিয়া অতি দুঃখিত মনে অবস্থান করতে লাগলেন। এমন সময় তাঁহাদিগকে সান্ত্বনা প্রদান করবার জন্য সেই স্থানে শ্রীলক্ষ্মীপতি নারায়ণ আবির্ভূত হইলেন।

শ্রীভগবানুবাচ=যুবান্তু মে সমৌ ভক্তৌভুজাবিব তনৌ মুনী।
স্ববাক‍্যন্তু মৃষা কর্তুং সমর্থোহহং মুনীশ্বরৌ।।
ভক্তবাক‍্যং মৃষাকর্তুং নেচ্ছামি শপথো মম।
তে মুর্ধির্নি হে বেদশিরশ্চরণৌ মে ভবিষ্যতঃ।।
তদা তে গরুড়াদ্ভীতির্নভবিষ‍্যতি কর্হিচিৎ।
শৃণু মেহশ্বশিরোবাক‍্যং শোকং মা কুরুমাকুরু।।
কাকরূপোহপি সুজ্ঞানং তে ভবিষ্যতি নিশ্চিতং।
পরং ত্রৈকালিকং জ্ঞানং সংযুতং যোগসিদ্ধিভিঃ।।
শ্রীভগবান মহামুনি বেদশিরা ও অশ্ব-শিরাকে বলিলেন=তোমরা দুই জনই আমার দেহের দুই বাহুর ন‍্যায় প্রিয়তম এবং পরমভক্ত। হে মুনিশ্রেষ্ঠ! আমি নিজ বাক‍্যের অন‍্যথা করতে পারি ;কিন্তু ভক্তবাক‍্যের অন‍্যথা করি না এই আমার নিয়ম। যাহা হউক, হে বেদশির! তুমি সর্প রূপে জন্মগ্রহণ করিবে বটে, কিন্তু তোমার মস্তকে আমার চরণদ্বয় বিন‍্যস্ত থাকবে এবং  তাহাতে তোমার কদাপি গরুড়ভীতি থাকবে না। হে অশ্বশির! তুমি কাক রূপে জন্মগ্রহণ করিবে বলিয়া কোন প্রকার দুঃখ করিও না, তোমার কাকদেহেও যোগসিদ্ধি সমন্বিত ত্রৈকালিক জ্ঞানলাভ হইবে। শ্রীনারদমুনি বলিলেন=(সংস্কৃত শ্লোক লিখিলাম না) হে বিদেহরাজ! শ্রী- নারায়ণ,মহামুনি বেদশিরা ও অশ্বশিরাকে এই বাক‍্য বলিয়া বিদ্ধ‍্যাচল হইতে চলিয়া গেলে যথাকালে মহামুনি অশ্বশিরা নীলপর্বতে যোগীশ্রেষ্ঠ ভূশুন্ড নামক কাক হইয়া জন্মগ্রহণ করিলেন। ভূশুন্ড সর্বশাস্ত্রার্থজ্ঞানসম্পন্ন, মহাতেজস্বী এবং রামভক্তচূড়ামণি হইলেন।তিনি পক্ষিরাজ গরুড়ের নিকট রামায়ণ-কথা বর্ণনা করিয়াছিলেন। তদনন্তর চাক্ষুস মন্বন্তরে প্রচেতার পুত্র,দক্ষপ্রজাপতি মহামুনি কশ‍্যপের সহিত তাঁর একাদশটি কন‍্যার বিবাহ দিয়াছিলেন।তাঁর একাদশ কন‍্যার মধ‍্যে কদ্রু সর্বশ্রেষ্ঠা এবং তিনিই বৈবস্বত মন্বন্তরে বসুদেবপত্নী রোহিণী রূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। কশ‍্যপ পত্নী কদ্রুর গর্ভে কোটি কোটি মহা সর্পের জন্ম হয়। কদ্রুনন্দনসর্পগণ মহাযোদ্ধা, দুঃসহ তীব্র বিষবীর্য‍্যসম্পন্ন এবং মহামণিধর ছিল।তাহারা কেহ বা  পঞ্চশত ফণাধারী এবং কেহ বা শতফণা ধারী ছিল। মহামুনি বেদশিরা ঐ সমস্ত কদ্রুনন্দন সর্পগণের মধ‍্যে সর্পরাজ কালিয়নাগরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন।
(অতি সংক্ষেপে লিখিলাম)



*শ্রীকৃষ্ণ ছয় বৎসর বয়সে পদার্পণ করিয়া সেই বৎসরের কার্তিকমাসে গোচারণ আরম্ভ,এবং গ্রীষ্মকালে কালিয় দমন লীলা করেছিলেন।* *তিনি প্রত‍্যহ গোচারণে সখাসহ* *বিচরণ করে,বৃন্দাবনবিহারী শ্রীকৃষ্ণ* *শ্রীদাম,সুবল,আদি সখাগণ গোচারণ* *করতে করতে যমুনাতীরে উপস্থিত হলেন।* *সেদিন দাদা বলরাম কৃষ্ণের সঙ্গে গোচারণে যাননি।* *কেন?শ্রীবলদেব শ্রীকৃষ্ণেরই দ্বিতীয় ব‍্যূহ,* *মূল সঙ্কর্ষণ,* *সুতরাং তিনি সর্বশক্তিশালী এবং সর্বজ্ঞ।* *তিনি কৃষ্ণের সর্ববিধ মনোভাব অবগত আছেন।* *কাজেই তাহা তিনি নিশ্চিতরূপে জানেন এবং কালিয়দমন লীলার জন‍্যই যে কৃষ্ণ এ ভঙ্গি করেছেন,* *ইহাও তাঁর জানতে বাকী নেই।* *দিন বুঝে দিন আজ বলরামের জন্মনক্ষত্র যোগ হওয়ায় তাঁর মাঙ্গলিক কার্য‍্য করবার জন্য তাঁকে গোচারণে যেতে দেওয়া হয়নি।* *দাদা সঙ্গে থাকলে এই লীলা হয়ত সম্ভব হত না।* *কৃষ্ণ যখন গোচারণ করতে করতে যমুনাতীরে উপস্থিত হলেন,* *তখন গ্রীষ্মকালীন মধ‍্যাহ্ন সূর্য‍্য তাপে তপ্ত ও পিপাসিত গোবৎসগণ ও সখাগণ যমুনার দক্ষিণস্থ ভাগের জল স্পর্শ করা মাত্রেই সকলেই প্রাণ হারালেন।* *কৃষ্ণ তাঁদের এই* *অবস্থা দেখে অতিদ্রুত অমৃতবর্ষিণী*
*দৃষ্টিপাত করে তাঁদের পুনজীবিত করলেন।* *তারপর কৃষ্ণ মনে মনে ভাবলেন,* *আমারই লীলাভূমি বৃন্দাবনে এইরকম বিষাক্ত জল থাকা উচিত নয়,* *বিশেষতঃ যমুনারও এক নাম "কৃষ্ণা" সুতরাং নামসাম‍্যে সে আমার সখীতুল‍্য,*
*অতএব তার সর্বত্রভাবে বিশুদ্ধ হওয়াই উচিত।* *কালিয়হ্রদটি কোথায় ছিল?* *শ্রীবৃন্দাবন তট বাহিনী যমুনার দক্ষিণ ভাগে এক সুবিস্তৃত ও সুগভীর জলপূর্ণ হ্রদ ছিল।* *মহাবিষধর কালিয় সেই হ্রদে বাস করত।* *এই কালিয় হ্রদ এক যোজন পরিমিত(চার ক্রোশ বা আট মাইল) দীর্ঘ ও বিস্তৃত,দেবতাগণের পক্ষেও তাহা অতিক্রম করা দুঃসাধ‍্য।* *কৃষ্ণ মনে মনে কালিয় নাগকে দমন করবার সঙ্কল্প করলেন,* *প্রকাশ‍্যে সখাগণদের বললেন,এই কালিয় হ্রদে* *কালিয় নামে এক মহাদুষ্ট নাগ*  *বাস করছে, সে দুষ্ট নাগকে দমন* *করে* *এই হ্রদ নির্মল করব।* *তোরা কোন চিন্তা করবি না।* *সময়মত ফিরে আসব।* *এই বলে কৃষ্ণ সামনে এক কদম্ববৃক্ষ ছিল সেই বৃক্ষে উঠে ঝাঁপ দিলেন।*


*🌻 প্রথম পদ🌻*
*কালিন্দীর এক দহে,কালিনাগ তাহা রহে,*
       *বিষজল দহন সমান।*
*তাহার উপরে বায়,পাখী যদি উড়ে যায়,*
       *পড়ে তাহে তেজিয়া পরাণ।।*
*বিষ উছলিছে জলে,প্রাণী যদি যায় কূলে,*
      *জলের বাতাস পাইয়া মরে।*
*স্থাবর জঙ্গম যত,কূলে মরিয়াছে কত,*
       *বিষজ্বালা সহিতে না পারে।।*
*দেখি যদুনন্দন,দুষ্ট দর্পণ বিনাশন,*
      *উঠিলেক কদম্বের ডালে।*
*তাহার উপরে চড়ি,ঘন মালশাট মারি,*
      *ঝাঁপ দিলা কালিদহ জলে।।*
*দেখিয়া রাখালগণ,কান্দিয়া আকুল মন,*
       *পড়ে সবে মূরছিত হৈঞা।*
*ফুকরি শ্রীদাম কান্দে,কেহ থির নাহি বান্ধে,*
       *ক্ষণেকে চেতন সব পাঞা।।*
*কি বলি যাইব ঘরে,কি বলিব যশোদারে,*
        *ধেনুবৎস কান্দে উভরয়।*
*শুনিতে এসব বাণী,পাষাণ হৈল পাণী,*
        *মাধব অবনী গড়ি যায়।।*

*🌻দ্বিতীয় পদ🌻*
*দিবসে আন্ধার,গোকুল নগর,সঘনে কাঁপয়ে মহী।*
*রুধীর বরিখে,নয়ান নিমিখে,সবাই হেরয়ে অহী।।*
*নন্ন যশোমতী,গোপ গোপী ততি,বিচার করয়ে মনে।*
*বলরাম বিনে,সখাগণ সনে,কানাই গিয়াছে বনে।।*
*যশোমতী কহে,দারুণ স্বপন,দেখিনু রজনী শেষে।*
*আমার গোপালে,ভুজঙ্গে বেঢ়ল,জাঢ়ল বিষম বিষে।।*
*ব্রজবাসী কিবা,বালবৃদ্ধ যুবা,শুনিয়া চলিলা ধাই।*
*যাহা শিশুগণ,করয়ে রোদন,তাহাই মিলল যাই।।*
*ঝাঁপ দিলা জলে,শুনিয়া সকলে,বালকগণের মুখে।*
*অবণী মাঝারে,মূরছি পড়য়ে,মাধব কান্দয়ে দুঃখে।।*
*🌻ব্রজবাসীগণকে কালিয়দহের সংবাদ দেবার জন্য নানাবিধ অমঙ্গল সূচক ইঙ্গিত করতে আরম্ভ করলেন দেবাগণ।* *আচমকা* *ভূমিকম্প,আকাশে ঘন ঘন* *উল্কাপাত,* *দিনে নক্ষত্র দর্শন, রুধীর মানে রক্ত বৃষ্টি নানান অমঙ্গল চিহ্ন দেখা দিল।* *অমঙ্গল চিহ্ন দেখে ব্রজবাসীগণ কৃষ্ণসহ নিজ নিজ পুত্রের চিন্তায় মগ্ন হলেন।* *নন্দ,যশোদা,রোহিণী,উপনন্দ,সনন্দ প্রভৃতি সকলেই কৃষ্ণ ও কৃষ্ণসখাগণদের জন্য চরম ব‍্যাকুল হয়ে পড়লেন।* *তার মধ্যে আবার বলরাম গোঠে যাইনি,গেলে খানিকটা চিন্তা কম হত।* *কথায় কথায় যশোমতী বললেন,আমি রজনী শেষে এক দুঃস্বপ্ন দেখেছি,* *আমার মন ভাল লাগছে না,আমি গোঠে যাব।* *ঐদিকে বলরাম কৃষ্ণেরই দ্বিতীয় ব‍্যূহ,* *মূল সঙ্কর্ষণ,* *তিনি কৃষ্ণের সমস্তই লীলা বিবরণ জানেন,* *কিন্তু কৃষ্ণের বিনা অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারছেন না।* *কেবলমাত্র মৃদু হাস‍্য করেই নিজ মনোভাবের ইঙ্গিত করলেন।* *ব্রজবাসীগণ সকলে কালিদহের দিকে চললেন,সঙ্গে বলরাম।*মা যশোমতী দেখলেন কৃষ্ণকে কালিয়নাগ জড়িয়ে ধরেছে, দৃশ্য দেখেই অজ্ঞান প্রায়।* *বলরাম সান্ত্বনা দিচ্ছেন মা ভাইয়ের কিছুই হবে না শান্ত হও,বুঝ মানে না মা।**যাই হোক মা,সন্তানের ব‍্যথা একমাত্র মা ভাল বুঝেন।* 

*🌻🌻 তৃতীয় পদ🌻🌻*
*কান্দে ব্রজেশ্বরী,উচ্চস্বর করি,*
        *কোথারে গোকুল চন্দ্র।*
*ভুলি কার বোলে,ঝাঁপ দিলা জলে,*
      *ভূজগে হইলা বন্ধ।।*
*×××××××××××××××××××××××××××××
×××××××××××××××××××××××××××××
*নন্দঘোষ কান্দে,থির নাহি বান্ধে,*
       *ভূমে মূরছিয়া যায়*
*গোপগণ তাহা,হেরিয়া কান্দয়ে,*
        *মাধব প্রবোধে তায়।।*
*🌻🌻মা যশোমতী আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছেন না।* *কোথায় গোকুলচন্দ্র,কোথায় আমার জীবনের জীবন, কোথায় আমার নয়নতারা বলিয়া বিলাপ করছেন।* *আমার ছয় বছরের নাবালক,ফিরে আয় বাপ ফিরে আয় বলে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করছেন।* *নন্দমহারাজেরও একই অবস্থা।* *সমস্ত গোপগণেরও একই বিলাপ।*
*🌻 চতুর্থ পদ-রাধিকার বিলাপ🌻*
*সহচরী সঙ্গে,রাই ক্ষিতি লুঠই,ক্ষণহি ক্ষণহি মূরছায়।*
*কুন্তল তোড়ি,সঘনে শির হানই,কো পরবোধব তায়।।*
  *হরি হরি কি ভেল বজর নিপাত।*
*কাহে নাগি কালিন্দী,বিষজলে পৈঠল,*
      *সো মুঝ জীবন নাথ।।*
*চৌদিশে সবহুঁ,রমণীগণ রোয়ত,*
       *লোরহি মহী বহি যায়।*
*বিগলিত ভরম,সরম সব তেজল,*
       *ঘন রোয়ত উভরায়।।*
*বিষজল পানে,ছুটই কোই লুঠই,*
      *কোইনা বান্ধয় কেশ।*
*মাধব দাস,সবহুঁ পরবোধয়,*
 *🌻🌻শ্রীকৃষ্ণে বিপদাপন্ন এইকথা শুনে রাধিকার চরম অবস্থা।* *কি হয়েছে,কোথায়! কোনরকম না জেনেই এমন বিলাপ করতে লাগলেন তা বর্ণনাতীত।* *কৃষ্ণের জন‍্য তাঁরা সকলে বক্ষঃস্থলে ও মস্তকে করাঘাত করতে করতে হা কৃষ্ণ!হা কৃষ্ণ!হা ব্রজজীবন বলে আর্তনাদ করতে লাগলন।* *কৃষ্ণকে কোথায় পাবেন?* *রাধার সেই কৃষ্ণের চরণচিহ্নর কথা মনে পরাই পথে পথে পদচিহ্ন* *অনুসরণ করতে করতে কালিয়হ্রদের* *তীরে এসে উপস্থিত হলেন।* *তারপর বঁধূকে কালিয়গ্রস্থ দেখে একেবারে ত্রিজগত শূন‍্যময় দেখতে লাগলেন।* *কৃষ্ণকে মহাবিপন্ন বলে ধারণা করলেন ও কৃষ্ণ বিরহে মহাসিন্ধুতে নিমগ্ন হলেন।*


*🌻পঞ্চম পদ ও ষষ্ঠ পদ🌻*
*ব্রজবাসীগণ কান্দে ধেনুবৎস শিশু।*
*কোকিল ময়ূর কান্দে যত মৃগ পশু।।*
*যশোদা রোহিণী দেহ ধরণে না যায়।*
*সবে মাত্র বলরাম প্রবোধে সবায়।।
*নন্দ উপনন্দ আদি যত গোপগণ*
*ধাইয়া চলয়ে বিষ করিতে ভক্ষণ।।
*শ্রীদাম সুদাম আদি যত সখাগণ।*
*সবে বলে বিষজল করিব ভক্ষণ।।
*বলরাম রাখে সবাই প্রবোধ করিয়া*
*এখনি উঠিবে কালি দমন করিয়া।।*
*(৬)
*ব্রজবাসীগণ জীবন শেষ।*
*দেখিয়া উঠিলা নটন বেশ।।*
*কালিয় ফণায় নটন রঙ্গ।*
*হেরি জনু তনু জীবন সঙ্গ।।*
*মরণ শরীরে আইল প্রাণ।*
*হেরিয়া ঐছন সবহুঁ মান।।*
*ফণায় ফণায় দমন করি।*
*নটবর ভঙ্গে নাচয়ে হরি।*
*ভাঙ্গল দরপ ভূজগ ঈশ।*
*উগারে অনল সমাহ বিষ।।*
*ফণিমণিগণ পড়য়ে খসি।*
*পূজয়ে চরণ নখর শশী।।*
*নাগাঙ্গনাগণ করয়ে স্তুতি।*
*শুনি ব্রজমণি হরষ মতি।।*
*ফণিপতি মতি হইয়া ভীত।*
*স্মরণ লইল চরণ নীত।।*
*ফণিপতিবরে অভয় করি।*
*জল সঞে তীরে আইলা হরি।*
*মাতা যশোমতী লইল কোরে।*
*মাধব ভাসয়ে আনন্দ লোরে।।*
*🌻এইখানেই রহিল,ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয়🌻*
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧      
👇👇👇এই লিখনী 📚 PDF 📚 ক্লিক করুন 👇👇👇
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧




শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html