🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীকৃষ্ণের ঊনবিংশতি চিহ্নযুক্ত চরণ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ -> http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_37.html

  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
       ꧁ শ্রীকৃষ্ণের ঊনবিংশতি চিহ্নযুক্ত চরণ 
শ্রীপাদ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী তাঁর স্তবামৃতলহরী গ্রন্থান্তর্গত
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
            ꧁ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
  ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র 
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
শ্রীপাদ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী তাঁর স্তবামৃতলহরী গ্রন্থান্তর্গত রূপচিন্তামণিতে শ্রীকৃষ্ণের ঊনবিংশতি চিহ্নযুক্ত চরণ বর্ণনা করেছেন-----------------------
** চন্দ্রার্ধং কলসং ত্রিকোণধনুষী খং গোষ্পদং প্রোষ্ঠিকাং, শঙ্খং সব‍্যপদেহথ দক্ষিণপদে কোণাষ্টকং স্বস্তিকম্।
চক্রং ছত্রযবাঙ্কুশং ধ্বজপবীজম্বুর্ধৎরেখাম্বুজং, বিভ্রাণং
হরিমূনবিংশতিমহালক্ষ্ম‍্যাচ্চিতাঙ্ঘ্রিং ভজে।।
অর্থ‍্যাৎ== শ্রীকৃষ্ণের বাম চরণতলে অর্ধচন্দ্র,কলস,ত্রিকোণ, ধনুঃ, অম্বর, গোষ্পদ,মৎস‍্য ও শঙ্খ এই অষ্টচিহ্ন এবং দক্ষিণ চরণতলে অষ্টকোণ, স্বস্তিক,চক্র,ছত্র,যব, অঙ্কুশ ধ্বজা, বজ্র,জম্বুফল,ঊর্ধরেখা ও পদ্ম এই একাদশ চিহ্ন বিরাজমান। শ্রীকৃষ্ণের উভয় চরণতলে এই ঊনবিংশতি চিহ্নরূপে মহালক্ষ্মী তাঁর চরণসেবন করিয়া থাকেন।
** আবার শ্রীগোবিন্দলীলামৃতেও এই ঊনবিংশতি চিহ্নের কথাই জানা যায়।
চক্রার্ধেন্দুযবাষ্টকোণকলসৈশ্ছত্রত্রিকোণাম্বরৈশ্চাপস্বস্তিকবজ্রগোষ্পদদরৈমীনোর্ধরেখাঙ্কুশশৈঃ।
অম্ভোজধ্বজপক্কজাম্বফলৈঃ সল্পক্ষণৈরঙ্কিতং জীয়াচ্ছ্রীপুরুষোত্তমত্বগমকৈঃ শ্রীকৃষ্ণপাদদ্বয়ম্।।


শ্রীগোবিন্দলীলামৃতের সংস্কৃত শ্লোকের অনুবাদ:----- ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
চন্দ্র,অর্ধচন্দ্র,যব,অষ্টকোণ,কলস,ছত্র ত্রিকোণ,অম্বর,ধনুঃ,স্বস্তিক,বজ্র, গোষ্পদ,শঙ্খ,মীন,ঊর্ধরেখা,অঙ্কুশ, পদ্ম,ধ্বজ এবং পক্কজম্বুফল এই উনবিংশতি প্রকার স্বয়ংভগবত্তার পরিচায়ক সুলক্ষণ-সমন্বিত শ্রীকৃষ্ণ-চরণযুগলের জয় হউক।

পরের অংশ চরণচিহ্ন ঃ--------------
ভগবান তাঁর দক্ষিণ চরণের অঙ্গুষ্ঠপর্বে যবচিহ্ন ধারণ করিয়া জগতের জীবকে ইঙ্গিত করেন যে, তাঁর চরণাশ্রয়ে জীবের সর্ববিধ ভোগ সম্পদ লাভ হয়ে থাকে। যাহারা ভগবানের চরণাশ্রয় না করিয়া নাধাবিধ ভোগবাসনার তাড়নায় নানাবিধ লৌকিক ও বৈদিক কর্মের সাহায্যে ভোগসম্পদ লাভের জন্য লালায়িত হয় তাহারা নিজ নিজ কর্মফলানুসারে মায়াদত্ত ভোগসম্পদ লাভ করে বটে, কিন্তু তাহা ভোগ করিয়া তাহাদের কদাপি ভোগবাসনার নিবৃত্তি হয় না, অধিকন্তু তাহা ভোগ করিয়া উত্তরোত্তর ভোগবাসনার বৃদ্ধি হয় এবং প্রতি পদে পদে 
নূতন নূতন কর্মজালে জড়িত হওয়ায় তাহাদের অনন্ত সংসারের অনন্ত দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু যাহারা ভগবানের চরণাশ্রয় করিয়া ভগবানের অনুগ্রহদান স্বরূপ ভোগসম্পদ লাভ করেন, তাঁহাদের তাহা ভোগ করতে গিয়া আর কোনও নূতন  ভোগবাসনার সৃষ্টি হয় না। কিংবা সেই
ভোগে তাঁদের সংসারের দ্বারও উন্মুক্ত  হয় না।ধ্রুব, প্রহ্লাদ প্রভৃতি ভক্তচূড়া মণিগণ ভগবানের চরণাশ্রয় করিয়া তাঁরই অনুগ্রহদান স্বরূপ সসাগরা ধরার আধিপত‍্য লাভ করিয়া দীর্ঘকাল ধরণীমন্ডলে অবস্থান করে ছিলেন, কিন্তু তাহাতে তাঁদের ভোগবাসনার বৃদ্ধি হয় নাই। তাঁহারা ভগবানের অনুগ্রহ দান উপভোগ করিয়া ভোগান্তে ভগবানের চরণপ্রান্তে গমন করিয়া চিরকৃতার্থ হয়ে গিয়াছেন। 
( অকামঃ সর্বকামো বা মোক্ষকাম উদারধীঃ।
তীব্রেণ ভক্তিযোগেন যজেত পুরুষং পরম।।)
অর্থ‍্যাৎ= এই শ্রীমদ্ভাগবত বচনে জানা যায় যে-- নিষ্কাম, নানাবিধ ভোগাকাঙ্খাপরায়ণ এবং মুক্তিকাম ব‍্যক্তির পক্ষে তীব্র ভক্তিযোগে ভগবানের চরণ ভজন করাই বিধেয়।
(ভুক্তি-মুক্তি-সিদ্ধিকামী সুবুদ্ধি যদি হয়।
গাঢ় ভক্তিযোগে সেই কৃষ্ণেরে ভজয়।।) চৈঃচঃ
ক্ষুধিত ব‍্যক্তি যদি উপযুক্ত মূল্য সংগ্রহ করিয়া খাদ‍্যদ্রব‍্যের দোকানে গিয়া খাদ‍্য সংগ্রহ ও তদ্দারা ক্ষুধা নিবৃত্তি ও রসনার তৃপ্তি সাধন করে, তাহা হলে তাহাতে তাহার আপাতত প্রীতিলাভ হইলেও পরিণামে বিবিধ 
রোগাদি ভোগের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু যদি কেহ ক্ষুধিত হইয়া স্নেহময়ী জননীর শরণাগত হয়, তাহা হলে জননী কখনও তাহাকে আপাতত মুখরোচক অথচ পরিণামে অনিষ্টকর খাদ‍্য প্রদান করেন না। জননী তাঁর পুত্রের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করিয়া যাহা তাহার পক্ষে হিতকর হয় সেইরূপ খাদ‍্যই তাহাকে প্রদান করিয়া থাকেন। জগতে এমন অনেক অশান্ত ও নির্বোধ বালক দেখা যায়,যারা তাঁদের জননীপ্রদত্ত খাদ‍্য উপেক্ষা করিয়া বাজারের খাদ‍্যে রসধার তৃপ্তি সাধন করিয়া থাকে। কিন্তু শান্ত সুবোধ বালক সর্বদাই তার জননীপ্রদত্ত খাদ‍্যেই সন্তুষ্ট থাকে।ভগবানের চরণে শরণাগত ব‍্যক্তিও  ভগবানের অনুগ্রহ দানেই সন্তুষ্ট থাকেন।তারা কখনও লৌকিক বা বৈদিক কর্মানুষ্ঠানের মূল‍্য দিয়া মায়ার দোকান হতে অহিতকর খাদ‍্যরূপ আপাত প্রীতিজনক ঐহিক বা পারলৌকিক ভোগসম্পদ সংগ্রহ করতে চেষ্টিত হন না। ভগবানের চরণাশ্রয়ে ভোগসম্পদ লাভ হলে ভোগবাসনার চিরনিবৃত্তি হয়ে যায়, কিন্তু যোগ তপস‍্যা কিংবা কর্মানুষ্ঠান 
ভোগসম্পদসূচক যবচিহ্ন ধারণ করিয়া ভোগলিপ্সু জীবকে ইঙ্গিত করেছেন যে, যদি কেহ ভোগ বাসনার চির নিবৃত্তি করতে চাও, তবে আমার শরণাগত হও।


শ্রীকৃষ্ণের বাম চরণ তলে অর্দ্ধচন্দ্র,কলস, ত্রিকোণ,ধনুঃ, অম্বর, গোষ্পদ, মৎস‍্য ও শঙ্খ এই অষ্টচিহ্ন এবং দক্ষিণ চরণ তলে অষ্টকোণ, স্বস্তিক,চক্র,ছত্র,যব, অঙ্কুশ,ধ্বজা, বজ্র, জম্বুফল,উর্দ্ধরেখা ও পদ্ম এই একাদশ চিহ্ন বিরাজমান।


ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন চরণচিহ্ন ধারণ করেছেন?
শ্রীভগবান তাঁর দক্ষিণচরণের কনিষ্ঠমূলে বজ্রচিহ্ন ধারণ করিয়া তাঁর চরণাশ্রিত ভক্তগণের পাপপর্বত চূর্ণ করিবার জন‍্য সর্বদাই ব‍্যগ্র হইয়া আছেন, কিন্তু নানাবিধ দুরভিনিবেশ বশতঃ কেহ তাঁহার চরণাশ্রয় করতে পারে না।শ্রীভগবানের চরণাশ্রয় না করিয়া যদি অন‍্য কোনও উপায়ে নিজ কোটি কোটি জন্মসঞ্চিত পাপপঙ্ক ধৌত করতে চেষ্টা করে, তাহা হইলেও তাহা পঙ্ক মিশ্রিত জল দ্বারা পঙ্ক ধৌত করার মত ব‍্যর্থ চেষ্টায়ই পরিণত হয়।জীবের ক্ষুদ্র চেষ্টায় কখনই বহুজন্মসঞ্চিত পর্বতোপম পাপরাশি দূর করা সম্ভব
পর হয় না।সেইজন‍্যই শ্রীভগবান তাঁর চরণে বজ্রচিহ্ন ধারণ করিয়া তাঁর চরণাশ্রিত জনগণের পাপপর্বত চূর্ণ করবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। পাপের ফলেই সকলের নানাবিধ দুঃখ দৈন‍্য জরা ব‍্যধি প্রভৃতির ভোগে নিপীড়িত হইতে হয়।ইহজন্মে কোনও পাপাচরণ না থাকলেও নানাবিধ দুঃখ 
ভোগে অনুমান করা উচিত যে নিশ্চয়ই জন্মান্তরের কোনও সঞ্চিত পাপ আছে এবং তাহা ইহজন্মের সৎ কর্মে নিবৃত্তি হয় নাই।সেই জন‍্যই বিজ্ঞব‍্যক্তিগণ দুঃখনিবৃত্তির জন্য অন‍্য কোনও উপায়ালম্বন না করিয়া শ্রীভগবানের চরণাবলম্বন করতে চেষ্টা করেন এবং তাহাতে শ্রীভগবানের কৃপায় সর্ববিধ দুঃখ নিবৃত্তি হয়ে যায়। নানাবিধ দুঃখ দৈন‍্যাদিতে নিপীড়িত জীব যদি কোনও ভাগ‍্যবলে শ্রীভগবৎ-সেবা করতে চেষ্টাও করে, তথাপি সে তার চিত্তকে বশীভূত করতে সমর্থ হয় না। নানাবিধ ভোগবাসনায় পরিপুষ্ট চিত্ত যখন মদমত্ত হস্তীর ন‍্যায় বিষয়কাননে  প্রবেশ করে,তখন কেহই তার গতিরোধ করতে সামর্থ হয় না।যদিও চিত্তবৃত্তি নিরোধ করবার জন্য অষ্টাঙ্গযোগ প্রভৃতি বিবিধ উপায়ের কথা নানা শাস্ত্রে প্রসিদ্ধ আছে,তথাপি শ্রীভগবানের চরণাশ্রয়বিহীন ব‍্যক্তির পক্ষে তাহা কখনও সফলপ্রদ হয় না। ভগবানের চরণে শরণাগতিবিহীন ব‍্যক্তি যদি অষ্টাঙ্গযোগ সাধনা করবার জন্য প্রবৃত্ত হয়, তাহা হইলেও সে নানা প্রকার সিদ্ধিলাভ করিয়া তাহারই মোহে এমনই লক্ষ‍্যভ্রষ্ট হয়ে যায় যে, সে তখন যোগসাধনা ছেড়ে যোগসিদ্ধির বৈভব দেখাইয়া বেড়াবার  জন্য লালায়িত হয়ে পড়ে এবং সেই প্রসঙ্গে বহুতর বিষয়াসক্ত ব‍্যক্তির সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া এক বিরাট মহাপুরুষ সাজিয়া নানাবিধ ভোগবিলাসের দাসত্বে নিযুক্ত হয়ে যায়।সুতরাং নানা শাস্ত্রে চিত্তবৃত্তি নিরোধকের নানাবিধ উপায় প্রদর্শিত হলেও তাহাই ভগবানের চরণে শরণা গতিবিহীন ব‍্যক্তির পক্ষে সুগম নহে।
যাঁরা ভগবানের চরণাশ্রয় করেন, ভগবান অঙ্কুশাঘাতে তাদের চিত্তহস্তীকে সংযত করে দেন। জগতে 
এই ইঙ্গিত জানাবার জন‍্যই ভগবান তাঁর দক্ষিণ চরণের পাষ্র্ণি মধ্যে অঙ্কুশ চিহ্ন ধারণ করিয়াছেন।


পরের অংশ চরণচিহ্ন ঃ--------------
ন জাতু কামঃ কামানামুপভোগেন শাম‍্যতি।
হবিষা কৃষ্ণবত্মেব ভুয় এবাভিবরদ্ধতে।। শ্রীমদ্ভাগবত ঘৃতাহুতিতে যেমন অগ্নি নির্বাপিত না হইয়া প্রজ্বলিত হয়,সেইরূপ বিষয়ভোগেও ভোগাকাঙ্খার নিবৃত্তি না হইয়া উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই হয়।কাজেই ভগবানের চরণাশ্রয় করিয়া তাঁর প্রদত্ত বিষয় ভোগে ভোগাকাঙ্খা নিবৃত্তি করাই কর্তব‍্য।
*** ভগবান তাঁর বামচরণে অঙ্গুষ্ঠমূলে শঙ্খচিহ্ন ধারণ করিয়া জগতের জীবগণকে ইঙ্গিত করেন  যে, তাঁর চরণাশ্রয়ে জীবের সর্ববিধ বিদ‍্যা লাভ হইয়া থাকে। শ্রীমদ্ভাগবতে চতুর্থ স্কন্ধে বর্ণিত আছে যে, পঞ্চম বৎসরের শিশু ধ্রুব যখন ভগবানের চরণ আরাধনা করিয়া তাঁর দর্শনলাভ করেছিলেন,তখন তিনি কি বলবেন কিছুই নির্ণয় করতে পারলেন না। পঞ্চম বৎসরের শিশু এমন কি কথা জানেন যে তাহা ভগবানকে বলা যেতে পারে? কিন্তু তাঁর বড়ই বাসনা হইল যে তিনি তাঁর আরাধনার ধনকে কিছু বলেন। তাহা দেখিয়া ভগবান তাঁর হস্তস্থিত শঙ্খ দ্বারা ধ্রুবের কপোল স্পর্শ করলেন এবং তৎক্ষণাৎ ধ্রুবের সর্ববিধ জ্ঞান লাভ হল।
স তং বিবক্ষন্তমতদ্বিদং হরিজ্ঞাত্বাস‍্য সর্বস‍্য চ হৃদ‍্যবস্থিতঃ।
কৃতাঞ্জলিং ব্রহ্মময়েন কম্বূনা পস্পর্শ বালং কৃপয়া কপোলে।।

শ্রী রাধার বাম চরণ তলে ছত্র,চক্র,ধ্বজা, লতা,পদ্ম,পুষ্প, বলয়উদ্ধরেখা,অঙ্কুশ, অর্দ্ধচন্দ্র, এবং যব এই একাদশ চিহ্ন এবং দক্ষিণ চরণ তলে শক্তি,গদা,রথ, বেদী,কুন্ডল,মৎস‍্য,
পর্বত,ও শঙ্খ এই অষ্ট চিহ্ন বিরাজিত। এই ঊনবিংশতি রেখারূপা মহালক্ষ্মীগণ সর্বদাই শ্রীরাধার চরণ সেবন করিয়া থাকেন।


পরের অংশ চরণচিহ্ন ঃ--------------
অঙ্কান‍্যেতানি ভো বিদ্বন দৃশ‍্যন্তে তু যদা তদা।
কৃষ্ণাখ‍্যন্তু পরং ব্রহ্ম ভুবি জাতং ন সংশয়ঃ।।
দ্বয়ং বাথ ত্রয়ং বাথ চত্বারি পঞ্চ চৈব হি।
দৃশ‍্যন্তে বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ অবতারে কথঞ্চন।
                         (পদ্মপুরাণ)
অর্থ‍্যাৎ হে নারদ! যদি কাহারও পদতলে ধ্বজ ব্রজাঙ্কুশাদি ষোড়শ চিহ্ন দেখা যায়, তাহা হলে নিশ্চয়ই জানবে যে, নরাকৃতি পরব্রহ্ম স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগতে অবতীর্ণ হয়েছেন। হে বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ! শ্রীকৃষ্ণের গুণাবতার, লীলাবতার,আবেশাবতার প্রভৃতির যখন আবির্ভাব হয়, তখন তাঁহাদের চরণতলে এই সমস্ত চিহ্নের দুইটি,তিনটি, চারটি অথবা পাঁচটি দেখা যায়। কিন্তু একধারে ষোড়শচিহ্ন
একমাত্র স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণেই থাকে। তাঁহার অবতারগণের চরণে একাধারে ষোড়শচিহ্ন থাকা সম্ভবপর হয় না। পদ্মপুরাণের   এই  বচনানুসারে স্পষ্টই জানা যায় যে, ধ্বজবজ্রাঙ্কুশাদি ষোড়শচিহ্ন শ্রীকৃষ্ণেরই থাকে। এবং তাঁর বিষ্ণু প্রভৃতির অবতারবিগ্রহের চরণে যথাযোগ‍্য অংশকলা আবেশাদি ভেদে নানাধিকরূপে চিহ্ন দেখা যায়।কাহাকেও যদি শ্রীভগবানের অবতার  বলিয়া সম্ভাবনা করিতে হয়, তাহলে তাঁর অন‍্য কিছু পরীক্ষা না করিয়া কেবলমাত্র চরণতল দর্শন করিলেই সমস্ত সন্দেহ দূর হইয়া যাবে।ভগবান ও তাঁর ভক্তচূড়ামণিগণকে চিনিবার সোজা উপায় সম্বন্ধে এক প্রাচীন কিম্বদন্তী আছে যে, "ভগবানের পরীক্ষা চরণে, আর ভক্তের পরীক্ষা মরণে"।মানুষ অসাধ‍্য কর্ম করিলেই ভগবান হয় না, অগস্ত‍্য ঋষি গন্ডুষে সমুদ্র পান করিয়াও ভগবান বলিয়া পরিচিত হতে পারেন নাই, কিংবা বিশ্বামিত্র ঋষি ব্রহ্মার সহিত হঠ করিয়া জগৎ সৃষ্টি করিতে প্রবৃত্ত হইয়াও ভগবান হন নাই। যোগসাধনার প্রভাবে অনেকেই অলৌকিক কার্য‍্য করে গিয়েছেন এবং তাঁদের কথা এখনও ইতিহাস-পুরাণাদিতে প্রসিদ্ধ আছে।এখনও অনেকেই অনেক প্রকার অলৌকিক কার্য‍্য করিয়া সাধারণের বিস্ময়োৎপাদন করেন, কিন্তু কিন্তু তাঁদের মধ্যে যদি কারও ভগবানের অনুসন্ধান করতে ইচ্ছে হয়, তাহলে তাঁর চরণের দিকে দৃষ্টিপাত করা উচিৎ। চরণে যদি ধ্বজ
বজ্রাঙ্কুশাদি চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে জানবে,ভগবান অবতীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু চরণতল যদি সাধারণ মানুষের মত হয়, তাহলে জানবে যোগ-শক্তি সম্পন্ন জীব ব‍্যতীত তিনি আর কিছুই নন।এইরূপ কারও কোন প্রকার সদ্ব‍্যবহার দেখিয়াই তাঁহাকে ভক্তচূড়ামণি বলিয়া ধারণা করা যায় না, কায়িক ও বাচিক ব‍্যবহারে ভক্তের অনুকরণ করিয়া ভক্ত সাজা কঠিন নহে, এবং তাহাতে অজ্ঞ লোকের দৃষ্টিতে ধূলি নিক্ষেপ করাও কঠিন নহে ; কিন্তু ভগবানের চরণে শরণাগতি আছে কিনা তাহার পরীক্ষা তাহার মরণে জানা যাবে।ভগবানের চরণারাধনা ব‍্যতীত কারও অনায়াসে 
মরণ হতে পারে না।
 স বৈ তদৈব প্রতিপাদিত‍্যং গিরং দৈবীং পরিজ্ঞাতপরাত্মনির্ণয়ঃ।
তং ভক্তিভাবোহভ‍্যগৃণাদসত্বরং পরিশ্রুতোরুশ্রবসং ধ্রুবক্ষিতিঃ।।
            (শ্রীমদ্ভাগবত)
শ্রীভগবান সকলের হৃদয়ে অন্তর্যামী রূপে অবস্থিত ;সুতরাং কারো হৃদয়ের ভাব তাহার কিছুমাত্র বিলম্ব হয় না। তিনি যখন বুঝলেন যে ধ্রুব তাহাকে কিছু বলতে ইচ্ছা করছে অথচ সে কিছু জানে না বলিয়া শুধু কৃতাঞ্জলিপুটে নির্বাক হইয়া আছে তখন ভগবান তাহার ব্রহ্মময় শঙ্খ দ্বারা তাহার কপোল স্পর্শ করলেন। ভগবানের এতাদৃশ কৃপাপ্রভাবে ধ্রুবের তৎক্ষণাৎ সর্ববিদ‍্যা প্রকাশ হইয়া গেল ও জীবাত্মা - পরমাত্মার স্বরূপাদি সম্বন্ধে তার প্রকৃত তত্ত্বজ্ঞান হইল। ধ্রুব তখন ভক্তিভাবে সেই উত্তমঃশ্লোক বৈকুন্ঠপতির স্তবে প্রবৃত্ত হইলেন। ইহাতে জানা যায় যে, ভগবানের হস্তস্থিত শঙ্খ সাক্ষাত সর্ববিদ‍্যাপ্রকাশক (বেদময়)।ভগবান তাঁর চরণে এই শঙ্খচিহ্ন ধারণ করিয়া জগতে ইঙ্গিত করেন যে, তাঁর চরণাশ্রয়ে জীবের পরাবিদ‍্যা লাভ হইয়া থাকে। ভগবানের চরণাশ্রয় না করিয়া যদি কেহ কেবলমাত্র শাস্ত্রাদি অভ‍্যাস দ্বারাই বিদ‍্যালাভ করিয়া থাকেন, তাহলে সে বিদ‍্যায় তাঁর সংসারনিবৃত্তি হয় না, বরং তাঁহাতে তার অভিমান বৃদ্ধি হইয়া সংসার বন্ধন আরও দৃঢ়তর হয়ে যায়। ভগবানের চরণাশ্রয়ে যে বিদ‍্যা লাভ হয়, তাহাতে তাঁর চরণ ভজনেরই আনুকূল‍্য হয়, কিন্তু ভগবানের চরণাশ্রয় ব‍্যতীত কেবলমাত্র অধ‍্যায়নাদি দ্বারা যে বিদ‍্যা লাভ হয়,
তাহাতে কারও ভগবানের চরণ ভজন করবার সাধ‍্য থাকে না।জগতেও দেখা যায়, যাঁরা শিক্ষিত তাঁদের মধ্যে 
অনেকেই ভগবানের অস্তিত্বে পর্যন্ত বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন নাই। কেহ বা বিদ‍্যাবলে শাস্ত্রবচনে কদর্থ কল্পনা করিয়া ভগবতজনের কর্তব‍্যতা বিলুপ্ত করে দেন এবং ( সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম) প্রভৃতি শাস্ত্রবচন দেখাইয়া নিজেই ভগবান হয়ে যান। কিন্তু যাঁরা ভগবানের চরণাশ্রিত,তাঁহারা শ্রীভগবৎ কৃপায় যে বিদ‍্যা লাভ করেন তাহাতে তাঁদের সংসারমুক্তির পথ পরিস্কৃত হয়। ভগবান তাঁর চরণে সর্ববিদ‍্যাময় শঙ্খচিহ্ন ধারণ করিয়া তাঁর চরণাশ্রয়ই যে প্রকৃত বিদ‍্যালাভের উপায়, এই তত্ত্ব ঘোষণা করেছেন।ভগবানের চরণতলে ছত্রচিহ্ন ত্রিতাপসূর্য‍্যের তাপ নিবারণ হয়। ( পরবর্তী)

শ্রীরামনারায়ণকৃত ভাবভাববিভাবিকা টীকায় পাওয়া যায়, যদিও বা এই সংস্কৃত শ্লোক কোটিতে গুটিকয়েকজন মুখস্থ করবে তবুও লিখছি। তত্রধ্বজোভক্তানামভায়ায় অম্ভোজং
মনোহলিমোহনায়, ব্রজঃ পাপাগধ্বংসায় অঙ্কুশোমনোমত্তগজ-বশীকারায়,যবো জগজ্জীবনত্বসূচনায়
স্বস্তিকং শরণাগতস্বস্তয়ে,উর্ধরেখাতু-পগতানামুর্ধপ্রাপ্তিসূচিকা, অষ্টকোণন্তু-
স্বজনানামষ্টদিক্ষু স্বপ্রাপ্তিরষ্টসিদ্ধীনাঞ্চ তদনুসৃতত্বসূচনায়, চাপশঙ্খচক্রাণি ভক্তরক্ষার্থং, ত্রিকোণন্তু ত্রিগুণ ত্রিভূবনাদ‍্যশ্রয়ত্ব দেবতির্য‍্যঙনরত্রিবিধ
সর্বারাধ‍্যত্ন মুক্তমুমুক্ষ বিষয়িত্রিবিধ সর্বেষ্টত্ব মনোবাককর্মত্রিবিধ সেব‍্যত্বা- দিসূচকং, অমৃতকলসস্তূপগতামৃতত্ব- প্রাপ্তিমাঙ্গল‍্যাদিব‍্যঞ্জকং, চন্দ্রস্তু শিবশিবাদি শিরোভূষণস‍্য পাদানুগত- ত্ব শরণাগতজনাহ্লাদকত্বাদিবোধকঃ, অম্বরন্তুব‍্যাপকত্বেহপ‍্যসঙ্গত্বদ‍্যোতকং, মৎস‍্যন্তু কামধ্বজত্বেন স্বানুগতজনানাং কামপুরত্ব জ্ঞাপকঃ গোষ্পদং শরণাপন্নানাং  সংসারসিন্ধৌঃ গোষ্পদত্বাপদকং।
জম্বুফলন্তু জম্বুদ্বীপবাসিনাং চরণসেবনপ্রাধান‍্যপ্রখ‍্যাকং আতপত্রং তাপত্রয়াপহমিতিবোধ‍্যং।।
অর্থ‍্যাৎ== শ্রীভগবান, শরণাগত ভক্তগণকে অভয় প্রদান করিবার জন্য নিজ চরণে ধ্বজচিহ্ন ধারণ করিয়াছেন, তাঁহাদের মনোভ্রমরকে মোহন করিবার জন্য পদ্মচিহ্ন ধারণ করিয়াছেন, পাপপর্বত চূর্ণ করিবার জন্য বজ্রচিহ্ন ধারণ করিয়াছেন, মনোমত্ত গজ বশীকরণের জন্য অঙ্কুশচিহ্ন ধারণ করিয়াছেন, সর্ব সম্পদলাভ সূচনার জন্য যবচিহ্ন ধারণ, শরণাগতজনের স্বস্তিলাভ সূচনা করিবার জন্য স্বস্তিকচিহ্ন ধারণ, এবং ঊর্ধলোক প্রাপ্তি সূচনার জন্য ঊর্ধরেখা ধারণ করিয়াছেন। শরণাগতজনের অষ্টদিক রক্ষা এবং অষ্টসিদ্ধিপ্রাপ্তি সূচনার জন্য চরণে অষ্টকোণ চিহ্ন ধারণ এবং তাঁর চরণে শরণাগত ভক্তগণকে তিনিই যে সর্ববিধ বিপদ হইতে রাঁ করেন, ইহাই জ্ঞাপন করিবার জন্য ধনুঃ,শঙ্খ এবং চক্রচিহ্ন ধারণ।শ্রীভগবানের চরণ যে ত্রিগুণা প্রকৃতি এবং ঊর্ধ, মধ‍্য ও অধঃ এই ত্রিলোকের আশ্রয়, এবং দেব, তির্য‍্যক ও নর এই ত্রিবিধ জীবের তাঁর চরণই যে একমাত্র আরাধ‍্য ; মুক্ত,মুমুক্ষু ও বিজয়ী এই ত্রিবিধ জনের তাঁর চরণই যে ইষ্ট এবং কায় মনঃ এবং বাক‍্য এই তিন দ্বারা তাঁর চরণই যে আরাধ‍্য, এই সমস্ত তত্ত্ব সূচনা করিবার জন্যই  চরণতলে তিনি ত্রিকোণ ধারণ করিয়াছেন।তাঁ চরণই যে জীবের অমৃততত্ত্ব প্রাপ্তির উপায়, এই তত্ত্ব সূচনার জন্য শ্রীভগবান চরণতলে অমৃতকলস চিহ্ন ধারণ করিয়াছেন।শিব এবং শিবাদির শিরোভূষণ যে তাঁর চরণগত এবং শরণাগত জনের পক্ষে তাঁর পক্ষে তাঁর চরণই যে সর্বানন্দপ্রদ এই তত্ত্ব জ্ঞাপনের জন্য তিনি চরণতলে অর্ধচন্দ্র ধারণ করিয়াছেন। শ্রীভগবানের চরণ সর্বব‍্যাপী হইলেও আকাশের ন‍্যায় উহা নির্লিপ্ত,তাঁর চরণস্থ অম্বরচিহ্নে এই তত্ত্বই জানা যায়। কামধ্বজ মৎস‍্য তাঁর চরণতলে অবস্থিত থাকায় জানা যায় যে, তাঁর চরণই শরণাগতজনের সর্ববিধ কামনা পূরণে সমর্থ। তাঁর চরণস্থ গোষ্পদচিহ্নে জানা যায় যে, তাঁর চরণে শরণাগতজনের পক্ষে ভবসাগর গোষ্পদ তুল‍্য হইয়া যায়। শ্রীভগবান তাঁর চরণে জম্বুফল চিহ্ন ধারণ করিয়া ঘোষণা করেছেন যে, জম্বুদ্বীপবাসীগণের পক্ষে তাঁর চরণই একমাএ উপাস‍্য। শ্রীভগবানের চরণে ছত্রচিহ্ন থাকায় জানা যায় যে, তাঁর চরণাশ্রয়ে ত্রিতাপতপ্ত জীবের সর্ববিধ দুঃখ নিবৃত্তি হয়।
 (শ্রীভগবানের চরণ চিহ্ন সম্বন্ধে যতটুকু অধ‍্যয়ন করেছিলাম তুলে ধরলাম, জয় নিতাই।)
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
👇👇👇এই লিখনী 📚 PDF 📚 ক্লিক করুন 👇👇👇
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧               
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧






শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html