🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

*🌼ভক্তলীলা🌼, বীর হাম্বীর* ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_24.html

  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ *ভক্তলীলা, বীর হাম্বীর* 
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*ভক্তলীলা, বীর হাম্বীর*
""""""""""""""""""""""""""""""""""
*বিষ্ণুপুরের স্বাধীন রাজা বীর হাম্বীর মল্ল।গৌড়াধিপতি সোলেমানের পুত্র দাউদ খাঁ কে পরাভূত করে "বীর হাম্বীর" নামে পরিচিত।প্রথম বয়সে বীর হাম্বীর অত‍্যন্ত দুর্ধর্ষ ছিল।দস‍্যুতা করতেও তার বাধত না। ""দস‍্যুকর্ম করে সদা লৈয়া দস‍্যুগণ""।গোস্বামী গ্রন্থ নিয়ে বৃন্দাবন থেকে আসছেন শ্রীনিবাস সঙ্গে শ‍্যামানন্দ আর নরোত্তম দাস। গ্রন্থগুলি রয়েছে কাঠের সিন্দুকে,গরুর গাড়ীতে চাপানো।বনপথ দিয়ে যাচ্ছেন, যে পথ দিয়ে শ্রীচৈতন‍্যদেব গিয়েছলেন,শ্রীপাদ সনাতন গিয়েছিলেন,সেই পথে যেতে কী আনন্দ! সর্বত্র ধ্বনি উঠল, এক মহাজন বহু ধনরত্ন সঙ্গে নিয়ে নীলাচলে যাচ্ছে।হাম্বীরের রাজধানী বনবিষ্ণুপুরের কাছাকাছি এসে পৌঁছল গাড়ী। রাজার গুপ্তচরেরা সংবাদ পেয়ে দস‍্যুদের জানাল।দস‍্যুগণ গণকের কাছে গণাপড়া করতে গেল,লুন্ঠনের মত সামগ্রী কিছু আছে কিনা।গণক বললে,অমূল‍্য সম্পদ আছে সিন্দুকে।সুযোগ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না।দস‍্যুগণ রাজাকে খবর দিল,কোন এক মহাজন গাড়ী ভরে ধনরত্ন নিয়ে যাচ্ছে। আর আবার কথা কী,হাম্বীর উল্লসিত হয়ে উঠল।এখুনি সাজগোজ করে বেড়িয়ে পরো।অর্থসহ পুরো গাড়ীটাই এখানে নিয়ে এসো।আর একটা কথা মনে রেখ,শুধু ভয় দেখাবে,কাউকে প্রাণে মারবে না। তামড়গ্রাম,মালিয়াড়া ও রঘুনাথপুর অতিক্রম করে শ্রীনিবাস আর তাঁর সঙ্গীগণ গোপালপুর এসে পৌঁছেছে,কৃষ্ণকথা সুখে অর্ধেকরাত কাটিয়ে একটু ঘুমিয়েছে, ব‍্যস,দস‍্যুরা এসে চড়াও হল।রাজার (হাম্বীরের)আদেশ মতো কারো গায়ে তারা হাত দিল না,সিন্দুক সমেত গাড়ী নিয়ে বনে প্রবেশ করল।শেষ পযর্ন্ত সমস্ত কিছু নিয়ে হাজির হল রাজার কাছে।অপহরণের খবর পেয়ে বনবিষ্ণুপুরের লোকেরা বিক্ষুব্ধ হল।ধনী মহাজন তার সম্ভার নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে চলেছেন,তাঁর উপর বলদর্পী রাজার এ কী দৌরাত্ম!এ পাপাষ্ঠ কে উদ্ধার করবে?যে মহাপ্রভু নদীয়া-বিহারে জগাই-মাধাইকে উদ্ধার করেছিলেন,তিনি তো এখন নীলাচলে সংগোপিত হয়েছেন,তবে এ দুরাচারের কী করে ত্রাণ হবে!*
*যে প্রভু হইলানীলাচলে সংগোপন*।
*একে কে করিবে দুষ্টের তারণ।।*
*🍀কেউ কেউ বললেন, বলা যায় না, দুষ্টের দুর্বুদ্ধি মোচনের জন্যে ভক্তকে দিয়েই মহাপ্রভু তাঁর উদ্দেশ্য সিদ্ধ করে নিচ্ছেন।কে জানে হয়ত এ পাপ-দেশেই তেমনি কোন ভক্তের শুভাগমন হবে। প্রকান্ড সিন্দুক দেখে হাম্বীর পুলকিত হল। কত না জানি মহামূল‍্য ধনরত্ন রয়েছে লুকোনো।সঙ্গীদের প্রচুর প্রশংসা করল,বসন-ভূষণ দিয়ে দস‍্যুদের পরিতৃপ্ত করল।পরে নির্জনে গেল সিন্দুক খুলতে।গণককে ডেকে পাঠান হল। কী জানি কী ব‍্যাপার,গণক ভয়ে ভয়ে কাছে এসে দাঁড়াল।তুমি এমন অদ্ভুত গণনা কি করে করলে? গণনা ঠিক হয়নি? আশ্চর্য‍্য কি হয়েছে,হাম্বীর উল্লসিত হয়ে উঠল, সিন্দুকের মধ্যে অমূল‍্য সব গ্রন্থ।তুমি যে বলেছিলে গাড়ীতে অমূল‍্য সম্পদ আছে,সত‍্যিই কি তাই।তোমার কোন গণনাই কোনদিন মিথ‍্যে হয়নি, যতই গ্রন্থগুলি দেখছি,স্পর্শ করছি,ততই আমার চিত্ত চঞ্চল হচ্ছে, এ কী অনন‍্য সম্পদ আমি লুন্ঠন করে এনেছি!এখন বলো যার গ্রন্থ তাকে আমি কোথায় পাব?রাজমহিষী সুলক্ষণাও এলো গ্রন্থ দেখতে।গ্রন্থ দেখে সেও অভিভূত হল।বললে,এখন এগুলোকে সংরক্ষণের ব‍্যবস্থা কর। রাণীর কথা মত ব‍্যবস্থার ক্রটি হল না।কিন্তু এ আবার কি হল?হাম্বীরের চোখে ঘুম নেই, কেবলই ভাবতে লাগল,ভক্ত কৃপার কথা শুনেছি, আমার বেলায় এ যে দেখছি গ্রন্থকৃপা।এদিকে গ্রন্থ হারিয়ে শ্রীনিবাস পাগলের মত হয়ে গিয়েছে।এই গ্রন্থগুলির যে কোন প্রতিলিপিই নেই,এই গ্রন্থের কোন বিকল্প হয় না।যেমন করে হোক এই গ্রন্থগুলি উদ্ধার করতেই হবে,নইলে জীবন ধারণই অর্থহীন।নরোত্তম ও শ‍্যামানন্দকে ফিরে যেতে বলে শ্রীনিবাস গ্রন্থ সন্ধানে বেড়িয়ে পড়লেন।ভাবলেন দস‍্যুতার প্রতিকারে রাজদ্বারে গিয়ে দাঁড়ালে ক্ষতি কি।রাজা কি শুধু দস‍্যুদেরই রাজা,সর্বস্বান্ত প্রজার রাজা নয়?খুঁজতে খুঁজতে দেউলি গ্রামে এসে পৌঁছুলেন শ্রীনিবাস।উঠলেন কৃষ্ণবল্লম চক্রবর্তী নামে এক ব্রাহ্মণের গৃহে।সেখানে কথায় কথায় শুনতে পেলেন মল্লপাটের রাজা বীর হাম্বীর দুই গাড়ী ধন লুঠ করে এনেছে।আর শোনো মজা,রাজার দস‍্যুবৃত্তি থাকলেও কি হবে,রাজা আবার ভাগবত কথাও শোনে। ভাগবত শোনে, কোথায়? কেন,রাজসভায়। ব‍্যাস চক্রবর্তী পাঠ করেন।অনেকে শোনে।*       

*🌻ভক্তলীলা,বীর হাম্বীর🌻পরের অংশ*
🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀
*শ্রীনিবাস জিজ্ঞেস করলেন, ভাগবত শোনে কোথায়? কেন,রাজসভায়, ব‍্যাস চক্রবর্তী পাঠ করেন,অনেকেই শোনেন। তুমি শুনেছ? শুনেছি বৈকি। আমাকে তবে শোনাও একদিন, রাজসভায় নিয়ে চলো।শ্রীনিবাস যখন রাজসভায় এসে দাঁড়ালেন।বীর হাম্বীরের মনে কি এক চরম ভাবনা এলো,শ্রীনিবাসকে দর্শন করে বলেন, এই অপূর্ব সুন্দর পুরুষ নিশ্চয়ই ঈশ্বর প্ররিত কেউ হবেন।নইলে আমার মন-প্রাণ উনার শ্রীচরণে আত্মসমর্পণ করতে চাইছে কেন?বীর হাম্বীর শ্রীনিবাসকে পরম সাদরে আসন দিলেন।কে রাজা,কে পাঠক, সমস্ত সভার অধিপতি শ্রীনিবাস।রূপে তেজে সম্ভ্রমগাম্ভীর্য‍্যে এক অপরূপ।হয়ত ইনিই গ্রন্থরত্নের অধিকারী।পাঠ বিরামে রাজপন্ডিতের ভ্রান্ত ব‍্যাখ‍্যার অনুযোগ করলেন শ্রীনিবাস।ব‍্যাস চক্রবর্তী প্রথমে রুষ্ট হলেন বটে, কিন্তু শ্রীনিবাসের শান্ত যুক্তির কাছে চক্রবর্তীর মহাশয়ের রোষ স্থায়ী হল না।রাজা বললেন, আমাদের আপনি কিছু শোনান,যদি ভ্রমরগীতা পাঠ করেনতো কৃতার্থ হই।*
*🌻শ্রীনিবাস অতি প্রেমভরে ভ্রমরগীতা পাঠ করে শোনালেন। রাজা চরম তৃপ্তি লাভ করলেন সঙ্গে চক্রবর্তী পাঠকও আর্দ্র হয়ে গেলেন। রাজা,শ্রীনিবাসকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি উপলক্ষ্যে এসেছেন এখানে?তখন শ্রীনিবাস আদ‍্যোপান্ত সকল কথা রাজাকে বললেন।গোস্বামীগণের গ্রন্থ প্রকাশ করতে গৌড়ে যাচ্ছিলাম, আসছিলাম বৃন্দাবন থেকে,গোপালপুরে মধ‍্যরাত্রে বিশ্রাম করছিলাম,দস‍্যুদল এসে গ্রন্থ সম্পুট হরণ করে নিল।বলুন এখন আমি কি করি, কোথায় যাই, কি করলে আবার হারানো গ্রন্থ ফিরে পাব? তাই এসেছি এখানে।বীর হাম্বীর শ্রীনিবাস আচার্য‍্যের শ্রীচরণে পড়ে কাঁদতে লাগলেন। বললেন, প্রভু! আমি সেই দস‍্যু, আমার সমস্ত পাপভার আপনার শ্রীচরণে এনে রাখছি, আমাকে মার্জনা করুন। সমস্ত গ্রন্থ অটুট আছে,যত্নে রক্ষিত আছে, আমাকে আপনি রক্ষা করুন।*
*(সাধুসঙ্গ সাধুসঙ্গ সর্বশাস্ত্রে কয়)।*
*(লবমাত্র সাধুসঙ্গ সর্ব সিদ্ধি হয়)*।।
*🌻পুরীর অভ‍্যন্তরে নিয়ে গেলেন, গিয়ে দেখলেন গ্রন্থ যেমনকার তেমনই রয়েছে, শ্রীনিবাস আচার্য‍্যের আনন্দ আর ধরে না। কিন্তু সমস্ত গ্রন্থ ছড়ান রয়েছে, কিন্তু ঠিক আছে। সঙ্গে রাণী সুলক্ষণাও ছিলেন,আচায‍্যের শ্রীচরণ প্রণত হলেন। বীর হাম্বীর বললেন, প্রভু!আমাকে আপনার শ্রীচরণে স্থান দিন,বলুন দিবেন তো! শ্রীনিবাস বললেন, তোমাকে আমি শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্যের শ্রীচরণে সমর্পণ করে দিলাম।সেই পাদপদ্ম নিরন্তর চিন্তন কর। আর কি করতে হবে বলুন? ব‍্যাকুল হয়ে হাম্বীর বললেন। মনে রেখ, নিজেকে সর্বক্ষণ অপরাধী জ্ঞান করে নামসংকীর্তন করবে।সর্বপ্রথম তোমাকে গোস্বামীগণের গ্রন্থ আস্বাদন করাই,পরে তোমাকে শ্রীরাধাকৃষ্ণ যুগল মন্ত্রে দীক্ষা প্রদান করব। গ্রন্থ চুরির কথা বৃন্দাবনে জানানো হয়েছিল, এখন গ্রন্থ প্রাপ্তির সংবাদও জানাতে হবে। রাজা বললেন, সেই সঙ্গে সঙ্গে এই দস‍্যুর উদ্ধারের বার্তাটিও জানিয়ে দেবেন।আর বলবেন,গোস্বামীগণ যেন আমাকে কৃপা করেন,আমার সমস্ত অপরাধ মার্জনা করে।*
*🙏বানান,ভুল ক্ষমা করবেন🙏*

*ভক্তলীলা,বীর হাম্বীর বিরাম অংশ*
*এবারে সমস্ত গ্রন্থ শকটে করে পুনরায় বৃন্দাবনে পাঠিয়ে দেওয়া হল,খেতুরীতেও লোক পাঠানো হল নরোত্তমকে সংবাদ দিতে।শ্রীনিবাস বললেন,এবার তবে আমিও যাজিগ্রামে ফিরে যায়।রাজা বললেন, আমার তবে কি হবে?শ্রীনিবাস বললেন,আরো কিছুকাল অপেক্ষা করুন, গ্রন্থ আস্বাদন করুন, আস্বাদনের ফল কি হয় দেখা যাক।রাজার প্রেরিত লোক মারফৎ শ্রীজীব গোস্বামী হাম্বীরের কাছে পত্র পাঠালেন। এই গ্রন্থগুলি বৃন্দাবনের অনুরাগ দিয়ে ভরা, গোস্বামী-প্রভু তাকে চৈতন্য-ভক্ত বলে বর্ণনা করেছেন।রাজার আনন্দ আর ধরে না, সঙ্গে সঙ্গে নেমে এলো অশ্রুর নির্ঝর। নিজেকে নিজে রাজা বলছেন আমি কি চৈতন‍্যভক্ত? শ্রীনিবাস পুনরায় বৃন্দাবনে গেলেন।ব‍্যাস চক্রবর্তী তাঁর সঙ্গ কিছুতেই ছাড়ছেন না,সেও বৃন্দাবনের যাত্রী হলেন।বৃন্দাবনে পৌঁছে ব‍্যাস শ্রীজীব গোস্বামীর কাছে দীক্ষা নিতে চাইলেন, জীব গোস্বামী বললেন, না,আমার কাছে নয়,দীক্ষা নেবে শ্রীনিবাসের কাছে।বৃন্দাবন থেকে ফিরে শ্রীনিবাস বিষ্ণুপুরে এলেন। সঙ্গে ব‍্যাস ছাড়া আরো দুইজন,রামচন্দ্র ও শ‍্যামানন্দ।নতুন দুইজনের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় হল হাম্বীরের।শ‍্যামনন্দ উৎকলে যাবেন,সম্ভার-সামগ্রী সাজিয়ে দিলেন রাজা। ভক্তসেবায়

*বিরাম অংশ* *বীর হাম্বীর*
*ভক্তসেবায় বীর হাম্বীর উদ্ধার হয়ে গেলেন।শ্রীনিবাস দেখলেন, রাজার ভক্তি গ্রন্থে অধিকার জন্মেছে।ফল গাঢ়-পক্ক হয়েছে, এবার আপনাকে দীক্ষা প্রদান করব। আষাঢ়ী কৃষ্ণা তৃতীয়ায় শ্রীনিবাস হাম্বীরকে রাধাকৃষ্ণ মন্ত্রে দীক্ষা দিলেন।বললেন,শ্রীজীব গোস্বামী তোমার প্রতি প্রসন্ন হয়ে তোমার নতুন নাম রেখেছেন। কি নাম? নাম শ্রীচৈতন‍্যদাস। রাণী* *সুলক্ষণাও দীক্ষা নিলেন। বীর হাম্বীরের পুত্রের নাম ধাড়ি হাম্বীর, সেও দীক্ষিত হল।শ্রীজীব গোস্বামী তার নতুন নাম দিলেন গোপালদাস। শ্রীচৈতন‍্যদাসের পুত্র গোপালদাস। সমগ্র মল্লরাজবংশ বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হল।পরবর্তীকালে পিতা-পুত্র শ্রীচৈতন‍্যদাস ও গোপালদাস পদকর্তা হয়ে উঠলেন। রাণী সুলক্ষণা দেখলেন বীর হাম্বীর স্বপ্নাবেশে শ্রীনিবাস* *আচার্য‍্যের প্রশস্তিমূলক পাঠ মনে-মনে রচনা করে মুখে আবৃত্তি করে চলেছেন।তন্ময় হয়ে শুনতে লাগলেন রাণী সুলক্ষণা।গ্রন্থকৃপা আর কাকে বলে!দর্শনে-স্পর্শনেই চিত্তের পরিবর্তন আর আস্বাদনেই একেবারে কান্তদর্শন।রাজার মতও ব‍্যাসাচার্য‍্যও সবংশে শ্রীনিবাসের নিকটে দীক্ষা নিলেন।দীক্ষা নিলেন কৃষ্ণবল্লভ ও* *বিষ্ণুপুরের আরো অনেকেই। বিষ্ণুপুরে শ্রীনিবাস আচার্য‍্যের জন্যে একটি বাড়ী করে দিলেন বীর হাম্বীর।কিন্তু শ্রীনিবাসকে বাঁধতে পারলেন না, রাজা বললেন,তবে আমাকে আপনার সঙ্গে নিয়ে চলুন, তাতেও রাজী হলেন না শ্রীনিবাস।আচার্য‍্য বললেন,রাজা রাজধানী ছেড়ে চলে গলে রাজ‍্য চলবে কী করে? শেষে* *খেতুরি-উৎসবের পর নবদ্বীপ পরিক্রমা শেষ করে শ্রীনিবাস, নরোত্তম ও রামচন্দ্রসহ যাজিগ্রামে ফিরে এলেন। যখন জানতে পারলেন যে শ্রীগুরুদেব যাজিগ্রামে এসেছেন, তখন হাম্বীর সেখানে এসে উপস্থিত হলেন।গ্রামের বাইরে অশ্ব-গজ- পদাতিকের সমারোহ ছেড়ে, সব রেখে* *কয়েকজন নিরীহ লোক সঙ্গে নিয়ে রাজা গুরুদেবের শ্রীচরণে বহুবিধ দ্রব‍্যসম্ভার সমর্পণ করলেন, নরোত্তম ও রামচন্দ্রকেও প্রণাম করলেন।রাজার এই প্রথম নরোত্তম মিলন।* *দীনহীনের মতো সর্বত্র ভ্রমণ করে রাজা বৈষ্ণব মহান্তদের আশীর্বাদ কুড়োলেন।রাজার সঙ্গে রাণীও এসেছেন। গুরুপত্নী (গুরুমা) কেও দিয়ছেন অনেক বস্ত্রালঙ্কার।রাণী চতুর্দোলায় এসেছিলেন, আবার চতুর্দোলায় চলে গেলেন। কিন্তু রাজা গ্রামের সীমানা পযর্ন্ত গেলেন পদব্রজে।পরে যথাযুক্ত যানে আরোহণ করলেন।বৈষ্ণবতাই বীর হাম্বীরকে যথার্থ বীর্যে মন্ডিত করেছেন।রাজা ভেতরে প্রেমার্দ্র ভক্ত, কিন্তু বাইরে সুকঠিন সম্রাট।তিনি প্রেমে ভক্তবৎসল, যুদ্ধে শত্রুঞ্জয়।বৈষ্ণবতায় তাঁকে যথার্থ ন‍্যায়-নিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।*
*🌻জাহ্নবা দেবী বৃন্দাবনে শ্রীরাধিকা বিগ্রহ পাঠাচ্ছেন,ভক্তবৃন্দ কন্টকনগরে পৌঁছলে বীর হাম্বীর গোপনে তাদের সহস্র মুদ্রা পাঠিয়ে দিলেন। শ্রীনিবাসের দ্বিতীয় বিবাহেও তিনি বহু ব‍্যয় করেছিলেন।*
*🌻বৃন্দাবনের অনুকরণে বিষ্ণুপুরে শ‍্যামকুন্ড ও রাধাকুন্ড নির্মাণ করালে রাজা,তাল,তমাল ও ভান্ডীরবন স্থাপন করলেন, স্থাপন করলেন যমুনা ও কালিন্দী বাঁধ,মথুরা,দ্বারকা,গোকুল নামে জনপদ।গিরি গোবর্ধনের অনুকরণে এক মন্দির নির্মাণ শুরু করলেন, অবশ‍্য শেষ করতে পারেননি।তাই লোকে এখন রাসমঞ্চ বলে।সুপ্রসিদ্ধ শ্রীমদনমোহন বীর হাম্বীরের প্রতিষ্ঠিত।*
*🌻শ্রীবাস পন্ডিতের মাতৃশ্রাদ্ধ উপলক্ষ্যে বীর হাম্বীর চলেছেন যাজিগ্রামে।পথে বৃষভানুপুরে এক ব্রাহ্মণের গৃহে নিশি যাপন করলেন।দেখলেন সেখানে সুন্দর শ্রীমদনমোহনের বিগ্রহ। দেখে রাজার খুব মন টানলো এবং যাজিগ্রাম থেকে ফিরবার সময় ঐ বিগ্রহ বিষ্ণুপুরে নিয়ে এলেন।ব্রাহ্মণ দারুণ শোকে মুহ‍্যমান হলে শ্রীমদনমোহন তাঁকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বললেন,দিবাভাগে বিষ্ণুপুরে এবং নিশাকালে বৃষভানুপুরে তোমার মন্দিরে থাকব।*
*🌻মল্লবংশের শেষ রাজা চৈতন‍্য সিংহ নানা কারণে ঋণগ্রস্ত হলে শ্রীমদনমোহনের স্বপ্নাদেশ হল= আমার বিগ্রহ তুমি বাগবাজারের গোকুল মিত্রের কাছে বাঁধা রেখে অর্থ সংগ্রহ করে ঋণমুক্ত হও। তখনকার সময়ে লক্ষাধিক টাকায় শ্রীবিগ্রহ গোকুল মিত্রের গৃহে আবদ্ধ রয়েছে। সেই থেকে শ্রীমদনমোহন বাগবাজারে অধিষ্ঠান করছেন।*
*🙏বানান,ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয়🙏*
      🌻🌻বিরাম🌻🌻*
*নিত‍্যানন্দ ছিল যেই, নরোত্তম হৈলা সেই,*
      *শ্রীচৈতন‍্য হইলা শ্রীনিবাস।*
*শ্রীঅদ্বৈত যারে কয়,শ‍্যামানন্দ তেঁহো হয়,*
     *ঐছে হইলা তিনের প্রকাশ।।*
*🌻এই তিনের আবির্ভাব, সর্বদেশ কৈলা ধন‍্য দিয়া ভক্তিভাব।*   
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧      
👇👇👇এই লিখনী 📚 PDF 📚 ক্লিক করুন 👇👇👇
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧





শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html