🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীনরোত্তম ঠাকুর মহাশয় 😭 তিরোভাব আশ্বিন কৃষ্ণা পঞ্চমী ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/11/narattam.html


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

শ্রীনরোত্তম ঠাকুর মহাশয় 😭 তিরোভাব আশ্বিন কৃষ্ণা পঞ্চমী ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/11/narattam.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*#শ্রীনরোত্তম_ঠাকুর_মহাশয়*

(#তিরোভাব_আশ্বিন_কৃষ্ণা_পঞ্চমী)

১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দের মাঘী পূর্ণিমায় রাজশাহী জেলার গড়েরহাট পরগনার খেতুরী গ্রামে, পিতা কৃষ্ণানন্দ দত্ত ও মাতা শ্রীনারায়নী দেবীর কোল আলো করে নিত্যানন্দ শক্তি আবির্ভূত হলেন, নাম হল নরোত্তম।

শ্রীমন্মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রার প্রাক্কালে রূপ সনাতনের উদ্ধারের জন্য রামকেলি আগমন করেন, আর খেতুরী গ্রামের পানে চেয়ে "নরু"  "নরু" বলে প্রেমস্বরে আহ্বান করেন।
পদ্মানদীতে নিত্যানন্দ সহ নিজপ্রেম গচ্ছিত রাখলেন। পদ্মাকে বললেন,- নরোত্তম যখন স্নানে আসবে তখন তাঁকে এই প্রেম প্রদান করবে।

 পদ্মা বলল - আমি কি করে চিনবো প্রভু?

 মহাপ্রভু - যার স্পর্শে তুমি অত্যধিক উচ্ছ্বলিত হবে,জানবে সেই নরোত্তম।

নরোত্তমের জন্মের সময় গৃহাঙ্গনে গৌরনিত্যানন্দ  সপরিকরে নৃত্য করেছিলেন। নারায়ণী দেবী তা প্রত্যক্ষ দর্শন করেছিলেন। অন্নপ্রাশনের সময় অন্ন মুখে দিলে মুখ ফিরিয়ে নেন। সে সময় এক ব্রাহ্মণ দ্বারা অন্ন প্রসাদ আনীত হলে, তা আনন্দপুর্বক গ্রহণ করেন। চূড়াকরণান্তর বিদ্যাভ্যাস শুরু হল। সুমেধা নরোত্তম অতি অল্পকালেই সর্ব শাস্ত্রে ব্যূৎপত্তি লাভ করলেন।

এরই মধ্যে কৃষ্ণদাস নামক এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের সাহচর্য পেলেন ।সেই ব্রাহ্মণ নরোত্তম কে সপরিকর  গৌরাঙ্গের সম্পূর্ণ জীবনী শ্রবণ করালেন।
তার মুখেই নরোত্তম শ্রীনিবাস সম্পর্কে বিশেষভাবে জ্ঞাত হলেন। স্বাভাবিক অনুরাগ জাত হল,ও ব্যাকুল হয়ে বলতে লাগলেন,- "কিভাবে তোমার সঙ্গ পাব" - বলে কাঁদতে লাগলেন।

এরই মধ্যে শ্রীমন্নিত্যানন্দ প্রভু একদিন স্বপ্নে দেখা দিয়ে মৃদু হেসে আজ্ঞা দিলেন, প্রাতঃকালে তুমি পদ্মায় গিয়ে স্নান কর, সেখানেই তুমি গৌর প্রেম প্রাপ্ত হবে। আদেশ শিরোধার্য করে নরোত্তম পদ্মায় স্নান করে প্রেমধন প্রাপ্ত হলেন।
শ্রীগৌরাঙ্গপ্রেম মূর্তিমান হয়ে আলিঙ্গন করে হৃদয়ে প্রবিষ্ট হলেন। তৎক্ষণাৎ নরোত্তমের অঙ্গকান্তি শ্যামবর্ণ থেকে গৌরবর্ণে রূপান্তরিত হল।
(যে ঘাটে নরোত্তম প্রেম পেয়েছিলেন তা পরবর্তীকালে প্রেমতলি ঘাট নামে প্রসিদ্ধ হয়েছিল। তথায় মহৎ প্রাচীন তমাল বৃক্ষ আজও সেই লীলার সাক্ষীরূপে দর্শকের মনকে আনন্দে অভিভূত করে।)

ছেলের কান্না দেখে মা নারায়নী দেবী জিজ্ঞাসা করলেন,- বৎস! কাঁদছো কেন? কি কষ্ট তোমার?
নরোত্তম- আমি পদ্মায় স্নানে গিয়েছিলাম, সেখানে গৌরবর্ণ এক মহাপুরুষ আমার হৃদয়ে প্রবিষ্ট হয়ে আমায় এইরূপ দশা করল।
 মা!কোথায় গেলে আমি তাকে পাব? আমায় ছেড়ে দাও! আমি তার কাছে যাব। এই প্রকার বলতে বলতে  আছাড় খেয়ে পড়ে মূর্ছিত হয়ে গেলেন।

ছেলের এই প্রকার বৈরাগ্য দেখে রাজা কৃষ্ণানন্দ দত্ত চিন্তান্বিত চিত্তে, কোথাও পালিয়ে না যায় ভেবে, কড়া প্রহরী নিযুক্ত করলেন।
বন্দীদশায় নরোত্তম কিভাবে ঘর ছাড়বেন? দুই হাত উপরে তুলে গৌরসুন্দর কে বারংবার ডাকতে লাগলেন,- *হে প্রভু! আমায় সংসার সাগর থেকে পার করো।* 
নরোত্তমের এই প্রকার ব্যাকুলতায় দিন কাটতে লাগল। না দিনে ঘুম না রাতে। হাগৌর! প্রাণ গৌর! বলে দিন রাত জেগে অতিবাহিত করতে লাগলেন। একদিন প্রভুর ইচ্ছায় কিঞ্চিৎ তন্দ্রার উদ্গম হল। মহাপ্রভু এসে দুহাতে উঠিয়ে আলিঙ্গন করলেন, আর মধুর স্বরে বললেন,- নরোত্তম তোমার জন্য আমিও ব্যাকুল! কোন চিন্তা কো'রো না। শীঘ্রই বৃন্দাবনে যাবে। সেখানে আমার প্রিয় লোকনাথের  চরণাশ্রয় করবে।
 নিদ্রাভঙ্গ হতেই নরোত্তম মহাপ্রভুর অদর্শন জনিত দুঃখে অতিশয় ব্যাকুল হয়ে পড়লেন। পুনরায় স্বপ্নে মহাপ্রভু সপরিকরে দর্শন দিয়ে সুস্থ করলেন।

 কিছুদিন পরে মহাপ্রভুর ইচ্ছায় অনুকূল পরিবেশ তৈরি হল।

N__I__T__Y__A__N__A__N__D__A

রাজা কৃষ্ণানন্দ রাজ কার্যে গৌড়ে গেলেন। নরোত্তম সুযোগ বুঝে প্রকারান্তরে মায়ের কাছে বিদায় নিয়ে নিজের অঙ্গরক্ষকদের বঞ্চনা করে গৃহ ত্যাগ করলেন। ব্যাকুল হয়ে হা গৌর, প্রাণ গৌর, বলতে বলতে বৃন্দাবনের দিকে রওনা দিলেন।  রাজকুমার হয়েও খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে রাস্তা চলতে চলতে পায়ে ফোস্কা পড়ে গেল। শ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে এক গাছের নিচে বসে পড়লেন। সহসা নিদ্রাদেবী এসে কোলে তুলে নিলেন।
 ইতিমধ্যেই এক গৌরবর্ণ ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে স্বয়ং গৌরহরি এসে ওনাকে দুগ্ধ পান করতে বলে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
কিন্তু নরোত্তম দুধ পান করতে অনিচ্ছুক দেখে শ্রীরূপ সনাতন স্বপ্নে এসে বললেন,- "এখন তোমার সব দুঃখ দূর হয়ে গেল। স্বয়ং মহাপ্রভু তোমাকে দুগ্ধ প্রদান করে গিয়েছেন। উঠ দুগ্ধ পান কর, আর বৃন্দাবনের দিকে অগ্রসর হও। স্বপ্ন দূর হতেই নরোত্তম ব্যাকুল হয়ে হা রূপ-সনাতন বলতে বলতে আর্তস্বরে ক্রন্দন করতে লাগলেন। উনার আর্তনাদ দেখে রূপ সনাতন পুনঃ দর্শন দিলেন ,আর এরপর অল্প সময়ে নরোত্তম ব্রজধামে পৌঁছে গেলেন।

মথুরার বিশ্রাম ঘাটে রাত্রি সময় এক মাথুর বিপ্র অতিশয় স্নেহে  প্রসাদ এনে খাওয়ালেন। ব্রাহ্মণের মুখেই শ্রীরূপ-সনাতন শ্রীরঘুনাথ ভট্ট ও শ্রী কাশীশ্বরের অন্তর্ধান সমাচার শুনে মুর্চ্ছিত হয়ে পড়লেন। স্বপ্নে কাশীশ্বর আর রঘুনাথের সাথে শ্রীরূপ সনাতন আসলেন,ও নানা প্রকারে সান্ত্বনা দিলেন। সেই সব কথা সেই ভাগ্যবান বিপ্র ও কিছু শুনতে পেলেন।

প্রাতঃকালে উঠে নরোত্তম ব্যাকুল প্রাণে বৃন্দাবনের দিকে হাঁটা দিলেন। বৃন্দাবনে এসে শ্রীজীব গোস্বামী, শ্রীগোপালভট্ট গোস্বামী, শ্রীলোকনাথ গোস্বামী আদির দর্শন করলেন। মহাপ্রভু স্বপ্নে আদেশ দিয়েছিলেন লোকনাথের চরণাশ্রয় করবার। কিন্তু এখানে এসে শুনলেন লোকনাথ প্রভু কাউকে শিষ্য, না করার সংকল্প করেছেন ।নরোত্তম ব্যাকুল হয়ে পড়লেন, ও চিন্তা করতে লাগলেন, কিভাবে কৃপা পাওয়া যায়।

 *#ভাবিতে_ভাবিতে_কৃষ্ণ_স্ফূরয়ে_অন্তরে।*
 ভগবান তার হৃদয়ে কৃপা প্রাপ্তির উপায় জানিয়ে দিলেন।

নরোত্তম লক্ষ্য করলেন গভীর রাত্রে লোকনাথ গোস্বামী শৌচে যান। তিনি সেই স্থান ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে জল দিয়ে ধুয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে রাখতে লাগলেন ও সেই ঝাড়ু বুকে ধরে কাঁদতে থাকেন। এমনিভাবে একটি বছর পার হয়ে গেল। একদিন লোকনাথ গোস্বামী লক্ষ্য করলেন,  আমার শৌচ স্থান কে যেন উপস্কার করে! কোনো ব্রজবাসী কি আমায় অপরাধে ফেলছে? 
উনি ঘটনাটি জানার জন্য গভীর রাত্রে উঠে আসলেন, এসে দেখছেন একজন এসে জল ঢেলে ঝাড়ু দিয়ে স্থান পরিষ্কার করে ঝাড়ু বুকে ধরে কাঁদছে। লোকনাথ এগিয়ে এলেন, বললেন -কে বাপু তুমি ?
ছুটে এসে চরণে পড়ে বলছেন,- আপনার ক্রীতদাস!
 লোকনাথের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেল, তুলে বুকে জড়িয়ে ধরলেন,ও বললেন যাও যমুনায় স্নান করে এসো। আজই তোমার দীক্ষা হবে।
 মহাপ্রভু জগতে শিক্ষা দিলেন, যে কিভাবে গুরু কৃপা প্রাপ্ত করতে হয়। 

#অনুভব_কর_ভাইরে- #কোন_সাধনে_গুরুকৃপা_মিলে।
 *#শুধু_কি_মুখের_কথাই_গুরুকৃপা_মিলে❓- #এমন_করে_সেবা_না_করিলে❓*

 গৌরহরি দেখালেন জগতেরে- প্রেমের মূর্তি নরোত্তমের দ্বারে।
 শ্রীগুরু কৃপা মিলে কেমন করে- গৌরহরি দেখালেন জগতেরে।

 *#আদর্শ_শ্রীনরোত্তম_শ্রীগুরু_সেবার।*

 শ্রীনরোত্তমে কৃপা কৈলেন- শুভদিনে দীক্ষা দিয়ে।
সঁপে দিলেন শ্রীজীবের করে- ভক্তি শাস্ত্র অধ্যয়ন করাবারে।

N__I__T__Y__A__N__A__N__D__A

শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন শ্রীলোকনাথ গোস্বামী নরোত্তম কে দীক্ষা দিলেন ।এরপর শ্রীজীব গোস্বামীর  নিকট ভক্তি গ্রন্থ অধ্যয়নের জন্য আদেশ দিলেন। শ্রীজীব গোস্বামী ভক্তি শাস্ত্রে অপূর্ব দক্ষতা দেখে আর সব গোস্বামীর অনুমতি নিয়ে  নরোত্তমকে *#ঠাকুর_মহাশয়* উপাধি প্রদান করলেন।

 এরপূর্বেই শ্রীনিবাস আচার্য বৃন্দাবনে পৌঁছেছিলেন এক শুভক্ষণে উনার মধুর মিলন হল। কিছুদিন পরে শ্যামানন্দ প্রভু বৃন্দাবনে এসে মিললেন ।শ্রীনিতাইগৌরসীতানাথ আস্বাদনের ত্রিমূর্তি সম্মিলিত হয়ে বৃন্দাবনে প্রেম তরঙ্গিণীর ত্রিবেণী সঙ্গম উচ্ছসিত হল। শ্রীলোকনাথ নরোত্তম ঠাকুরের অপূর্ব মানসিক সেবার বর্ণনা করার সামর্থ্য কার আছে?
অর্ধবাহ্য অবস্থায় সাক্ষাৎ রাধারানী দর্শন দিয়ে দুগ্ধ আবর্তন সেবা  প্রদান করেছিলেন এবং নাম রেখেছিলেন চম্পক মঞ্জরী।
একদিন স্মরণ করার সময় দুগ্ধ আবর্তন করছেন, বারেবারে উথলে উঠছে, তাড়াতাড়ি হাত দিয়ে নামাতে গিয়ে হাত পুড়ে গেল। ধ্যান ভাঙলে দেখছেন যে সত্যিই হাত পুড়ে গিয়েছে। হাত কাপড়ে ঢেকে শ্রীগুরুদেবের নিকট প্রণাম করতেই লোকনাথের দৃষ্টি পড়ল,- বললেন কি হয়েছে নরোত্তম? আনুপূর্বিক সব ঘটনা গুরুদেবের নিকট বিবৃত করলে গুরুদেব আনন্দে বুকে জড়িয়ে ধরলেন,ও বললেন তোমারই জীবন সার্থক, তুমি ধন্য হয়েছ,সাক্ষাৎ রাধারানীর কৃপা লাভ করে।

শ্রীনিবাস নরোত্তম শ্যামানন্দ তিনজনে রাঘব পণ্ডিতের সঙ্গে ব্রজমন্ডল পরিক্রমা করলেন। তারপর গোস্বামী গনের আদেশ অনুমতে গ্রন্থ সম্পূট নিয়ে শ্রীগৌড়মণ্ডলে এলে বিষ্ণুপুরে গ্রন্থ চুরি হয়ে যায়। শ্রীনিবাস নরোত্তম কে বললেন নিজের জন্মভূমে ফিরে যেতে।

নরোত্তম খেতুরীতে আসলে গ্রামবাসী গণের আনন্দের সীমা রইল না, সর্বপ্রথম তার কাকাতুতো ভাই সন্তোষ দত্ত তার কাছে দীক্ষা নিলেন।
এরপর গৌরীদাস, শ্রীগোকুল, শ্রীগৌরাঙ্গ, শ্রীগঙ্গানারায়ণ চক্রবর্তী, শ্রীরামকৃষ্ণ, রাজা নরসিংহ, রানী রূপমালা, রাজা চাঁদরায়, সন্তোষরায়, রাজা রাঘবেন্দ্র প্রভৃতি নরোত্তম ঠাকুরের  চরণাশ্রয় করে ধন্য হলেন ও জগতে ভক্তির প্রচার করতে লাগলেন।

অভিন্ন চৈতন্যতনু নিগুঢ় নিতাই শ্রীনরোত্তমের কৃপায় অসংখ্য পাপীতাপী উদ্ধার হল।

কিছুদিন পরে শ্রীগৌড়মণ্ডলে এসে পরিক্রমা ও মহাপ্রভুর সমস্ত প্রকট  পরিকর গনের দর্শন করে নীলাচলে গিয়ে গোপীনাথ আচার্য আদি ভক্তবৃন্দের দর্শন করে পুনরায় শ্রীখণ্ডে নরহরি সরকার ও রঘুনন্দনের দর্শন করলেন। পশ্চাৎ যাজিগ্রামে এসে আচার্য প্রভুর সঙ্গে মিলিত হলেন। সেখান থেকে মহাপ্রভুর সন্ন্যাসপীঠ দর্শন করে, শ্রীমন্নিত্যানন্দ প্রভুর জন্মস্থান একচক্রা আসলেন। সেখানে দর্শন আদি সম্পন্ন করে পুনরায় খেতুরীতে ফিরে আসলেন।
খেতুরীতে এসে প্রভু লোকনাথের প্রেরণায় বিগ্রহ সেবা স্থাপনের ইচ্ছা হল। শ্রীগৌরসুন্দরের আবির্ভাব তিথি গৌরপূর্ণিমায় বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার শুভ দিন নির্ধারিত হল। 

 এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা উৎসবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন *#মা_জাহ্নবা_ঠাকুরানী*।
 সমস্ত প্রকট অপ্রকট গনসহ মহাপ্রভু  এসে নৃত্য করেছিলেন। ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন- *#শ্রীগৌরাঙ্গ, #শ্রীবল্লভীকান্ত, #শ্রীকৃষ্ণ, #শ্রীব্রজমোহন, #শ্রীরাধারমণ, #শ্রীরাধাকান্ত* এই ছয় যুগল বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হলেন ।সেই উৎসবে নিজ আবিষ্কৃত অপূর্ব গরাণহাটি ঘরানার কীর্তন গান করলে সপরিকর গৌরসুন্দর প্রকট হয়ে ভুবনমোহন নৃত্য করেছিলেন। 

(এখন যার গরানহাটি নাম -কৈলেন নব আবিষ্কৃত-কীর্তন।
নরোত্তমের সংকীর্তনে-গৌর প্রকট হইলা গণ সনে।
  গৌর নাচলেন আনন্দ মনে-নরোত্তমের ভক্তি গুনে।
 সবাই দেখল নয়নে- সঙ্গে যারা ছিল সেখানে।
 তাদের  সনেও নাচলেন-  যারা প্রকট বিহার দেখে নাই।

 নবদ্বীপ নীলাচল ব্রজ-তিন যেন এক হল।
 শ্রীখেতুরী নাম ধরিল-তিন যেন এক হল।)

শ্রীনরোত্তম ঠাকুরের কীর্তনে আকর্ষিত হয়ে প্রকট অপ্রকট পরিকরের সাথে প্রাণ গৌরাঙ্গের এই অপূর্ব বিহার- গৌরাঙ্গের পরিপূর্ণতম বিহার। কার গুন গাইব বল!  দাস এর গুন না প্রভুর গুন, না এই খেতুরী ভূমির মহিমার গুন!!
 শ্রীগুরুচরণ হৃদয়ে ধরে অনুভব কর ভাইরে ।
*ভাগ্যবতী খেতুরী ভূমিতে নদীয়া নীলাচল বৃন্দাবন ধামের প্রকট অপ্রকট গণ সাথে গৌরসুন্দর নৃত্য করলেন।*
 N__I__T__Y__A__N__A__N__D__A
 ধামেশ্বর আর তাঁর পরিকর কখনো ধাম ছেড়ে যান না। যেখানে ধামেশ্বর বিহার করবেন, সেখানে ধাম ব্যাপক বিভূ রূপ ধারণ করে আগেই প্রকট হয়ে যান। এই লীলার নিয়ম। খেতুরীর প্রাঙ্গনে সংকীর্তন বিহার করার জন্য যখন নদীয়া নীলাচল বৃন্দাবনের প্রকট অপ্রকট গৌর পরিকর যখন সেখানে গেলেন তখন নিশ্চিত সেখানে নদীয়া নীলাচল বৃন্দাবন ধাম ও এসে গিয়েছিলেন।
*#খেতুরী_ভূমির_স্বরূপ_নদীয়া_নীলাচল_ব্রজধাম_তিন_ধামের_সমন্বিত_স্বরূপ*।
এছাড়াও নদীয়া নীলাচল ও ব্রজধাম থেকেও খেতুরী ভাগ্যশালিনী কেননা ইহা বাসনা পূর্তিকারী লীলা । অভিন্ন চৈতন্য নিগূঢ় নিতাই এর গৌরলীলায় যে বাসনা  পূর্তি হয়নি, তারও পূর্ণ করার জন্য নরোত্তম রূপ ধারণ করে বিলাসের ইচ্ছাপুর্তি করার জন্য তিনি এক স্থানে প্রকট করে দিয়েছিলেন।

ঠাকুর নরোত্তম তিন লীলার একীভূত মূর্তি। ত্রিকাল সত্য  লীলায় সপরিকর নরোত্তম এখনও বিহার করছেন।  নিতাই গৌর  প্রেমের পাগল বললেন,- যদি তিন লীলার সমন্বয় ভোগ করতে চাও তাহলে নিতাই নরোত্তমের  শরণ লও।
 শ্রীনরোত্তম লীলা পরিপূর্ণ লীলা ভোগ করানোর শক্তি রাখেন। 

নরোত্তম এর মহিমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। অনেক বিমুখ, দস্যু-তস্কর চরণে আশ্রয় নিলেন।প্রথমেই তার ভাই সন্তোষ দত্ত দীক্ষা নেন। তারপরে গঙ্গানারায়ণ চক্রবর্তী আদি অনেক ব্রাহ্মণও তার চরণে শরন নেন।
একবার ভগবদ্ লীলা স্মরণাবিষ্ট দশায় তিন দিন কেটে যায়। সকলেই ভাবলেন উনি দেহ ছেড়ে দিয়েছেন। এই ভেবে চিতা সাজিয়ে, তার উপরে নিয়ে শয়ন করালেন। বিমুখ লোক সব এসে বলতে লাগল দেখলে তো! কায়স্থ হয়ে এই ব্রাহ্মণদের দীক্ষা দেওয়ার ফলে বাকরুদ্ধ হয়ে মারা গেল। এসমস্ত কথা গঙ্গানারায়ণ চক্রবর্তীর প্রাণে খুব ব্যাথা দিল‌। তিনি সাষ্টাঙ্গে দণ্ডবৎ করে বললেন *#গুরুদেব_রক্ষা_করো এই গুরুনিন্দা শ্রবন রূপ অপরাধের থেকে রক্ষা কর। বলে ব্যাকুল প্রাণে কাঁদতে লাগলেন। ধীরে ধীরে ঠাকুর মহাশয় চিতা থেকে উঠে বসলেন এই দৃশ্য দেখে সমস্ত পাষন্ডরা এসে চরণে শরণ নিল। বললেন আমাদের অপরাধ হয়ে গেছে, আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের চরণে আশ্রয় দিন। ঠাকুরমশাই বললেন "তোমাদের আমি আর আশ্রয় দিতে পারবো না। তোমরা গঙ্গানারায়ণ চক্রবর্তীর চরণে শরণ নাও। বলে উঠে চলে আসলেন। কিছুকাল ব্যতীত হলো এদিকে শ্রীনিবাস আচার্য প্রভু ও রামচন্দ্র কবিরাজও অন্তর্হিত হলেন। তাদের বিরহে আর প্রাণ ধারণ করা যায় না। এই সময়ে ঠাকুর মহাশয় প্রেমভক্তি চন্দ্রিকা ও প্রার্থনা লিখেছিলেন।
 তারপর একদিন বললেন গঙ্গানারায়ণ!চল গঙ্গায় স্নান করে আসি। এই বলে জিয়াগঞ্জের গাম্ভিলাঘাটে গঙ্গাস্নান করতে গেলেন। গিয়ে বলছেন -"আমার দেহ মার্জনা করে দাওতো! সেবকগণ দেহ মার্জন করতে লাগলেন।সাদা দুধের মত বের হতে লাগল ও ধীরে ধীরে তিনি সম্পূর্ণ গঙ্গা জলে মিশে গেলেন। এজন্য তার কোথাও পূর্ণ সমাধি নেই। (মহাপ্রভুর প্রেম পদ্মাতে প্রাপ্ত হয়েছিলেন সেই প্রেম ই পুনরায় গঙ্গা জলে মিশে গেল।)

*জয় নিতাই!*
*নিত্যানন্দ প্রভু ও গৌড়ীয় গোস্বামী সিদ্ধান্ত সম্বলিত বিবিধ প্রসঙ্গ জানতে এই গ্রুপে অ্যাড হোন, বন্ধুদের অ্যাড করুন , লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথে থাকুন।*


*এখানে ধর্মীয় ভক্তি-জ্ঞান সম্বন্ধে অনেক নতুন নতুন পোস্ট পেতে পারবেন।*
 *জয় নিতাই!*
 *জয় জয় নিতাই!!*
*🌹🌹🙏🙏🌹🌹*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝
  ꧁👇📖সূচীপত্র ✍️ শ্রী গোপীশরণ দাস📖👇
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

      ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস-শ্রীশ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর জন্মস্থান, একচক্রা, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ। 

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

  *••••┉❀꧁👇🏠Home Page🏠👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

     *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
   🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧







শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html