🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩
ভক্ত ভগবানকে চিনিয়ে দেয়,আবার ভগবানও ভক্তকে চিনিয়ে দেয়
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মানুষ দেবতা ও ভগবানের মধ্যে পার্থক্য জানে না, সকলকেই ভগবান জ্ঞান করে, যাহা অজান্তে হলেও শাস্ত্রবিরুদ্ধ এক পাপ। এক ভক্তই নিরলস প্রচেষ্টা করে বোঝায় যে, ভগবান সর্বনিয়ন্তা, তিনি দেবতাদেরও পরিচালনা করেন।
এক ভক্তই শ্রীকৃষ্ণকে সবার কাছে এনে দিতে পারেন, কৃষ্ণভাবনামৃত বিজ্ঞান দ্বারা। এই বিজ্ঞানটি কি
কৃষ্ণকথা শ্রবণ, কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহণ এবং হরেকৃষ্ণ জপ ও কীর্তন। কিন্তু অন্তরে কৃষ্ণপ্রেম জাগানোর জন্য একজন শুদ্ধভক্ত সদগুরুর প্রয়োজন। তিনিই পারেন কৃষ্ণ প্রেমের সেই আগুনকে স্ফুলিঙ্গের আকারে অন্তরে জ্বালিয়ে দিতে।
কিন্তু সদগুরু যে পাচ্ছি না ?
এই চিন্তাটা আমাদের নয়। সকলের অন্তরে কৃষ্ণ বিরাজমান। তিনি সব জানেন। আমাদের অন্তরের ঐকান্তিকতা লক্ষ করে শ্রীকৃষ্ণ ভিতর থেকে নির্দেশ দেবেন, ওইখানে যাও---সঠিক ভক্ত পাবে।
আমরা যদি বর্তমানে সঠিক ভক্তের সান্নিধ্য পাচ্ছি, বুঝতে হবে আমরা ঐকান্তিক। সুতরাং সময় নষ্ট না করে, আধ্যাত্মিক উন্নতিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকুন।
এইভাবে ভগবানও সঠিক ভক্তকে চিনিয়ে দেয়। আবার যেহেতু এক ভক্তই সাধারন মানুষকে ভগবান কে চিনতে সাহায্য করে, তাই শ্রীকৃষ্ণ সর্বদাই বলেন---
"আমার ভক্তের পূজা আমার থেকেও বড়"।
ভক্ত সর্ব অবস্থায় খুশী। একাকী বসে হাসছে দেখে, ভুল করে পাগল ভাবেন না, তিনি ভগবানের লীলা স্মরণ করে হাসছেন। এমন ভক্ত দর্শণ ভাগ্য এবং অবশ্যই নমস্য।
ভক্তের কাছে স্বর্গ ও নরকের কোন পার্থক্য নেই, কারন সর্বদাই তার সাথে কৃষ্ণনাম বর্তমান। আর যেখানে কৃষ্ণ, সেটা কি নরক হতে পারে ? সেটাই বৈকুন্ঠ।
একবার মহাপ্রভু বৃন্দাবনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে, পার্ষদরা উনাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আবার শান্তিপুরে নিয়ে আসে। কারন মহাপ্রভু ছাড়া তারা নিরানন্দ হয়ে যাবে।
মহাপ্রভু বলেন--- "অদ্বৈত মনে হচ্ছে না ইহা বৃন্দাবন"। তিনি উত্তরে বলেন--- "প্রভু, আপনার চরণধূলি যেখানে, তাহাই আমাদের নিকট বৃন্দাবন। ভাবুন কি মধুর রস।
ভক্ত দ্বারা কেউ কখনও বিরক্তও হয় না। হরিদাস ঠাকুর যেহেতু মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তাই হিন্দুরা তাকে মন্দিরে জগন্নাথ দর্শণে প্রবেশ করতে দিত না। তিনিও দুঃখ না পেয়ে ভাবতেন---
"কেন আমি সেখানে গিয়ে তাদের বিরক্ত করব"। আমি বরং এখানে বাইরে বসে লীলাকীর্তন করি।
মহাপ্রভু যিনি স্বয়ং জগন্নাথ, তিনি প্রতিদিন সমুদ্র স্নানের আগে হরিদাস ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যেতেন।
তাহলে সঠিক ভক্ত হলে---তাকে ভগবান দর্শণে যেতে হয় না, ভগবান আসেন তাকে দর্শণ করতে। এমন ভক্ত যদি পেয়েছেন---শুধু তার চরণ ধরে থাকুন, ঠিক ভবসাগর পার হয়ে যাবেন।
*••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••*