🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

৫৬. যাজ্ঞিক পত্নীর অন্নদান বা অন্নভিক্ষা লীলা 🥀 শ্রীকৃষ্ণ লীলা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_28.html

✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
  ꧁ ৫৬. যাজ্ঞিক পত্নীর অন্নদান বা অন্নভিক্ষা লীলা 
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🏠Home Page🏠👇👇🙏👇👇📚PDF গ্রন্থ📚
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
            ꧁ শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ꧂
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 
*যাজ্ঞিক পত্নীর অন্নদান বা অন্নভিক্ষা লীলা।*
*🌻🌻গৌর চন্দ্রিকা🌻🌻*
*নদীয়া বিহারী হরি শ্রীশচীনন্দন।*
*পূরবের ভাবে গোরা হইল মগন।।*
*নিত‍্যানন্দ প্রভুর পানে চাহে বারবার।*
*সহচরগণ কহে কি দেখহ আর।।*
*মলিন হইল বদন ক্ষুধায় কাতর।*
*যাহ ভাই অন্ন চাহি আনহ সত্বর।।*
*আনন্দেতে সবে মোরা করিব ভোজন।*
*বাসুদেব ঘোষ দেখে আনন্দিত মন।।*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*ভাবাবেশে গৌরহরি নদীয়া নগরে*
*সখাগণ সঙ্গ মেলি আনন্দে বিহরে।।*
*প্রখর তপন তাপে বদন শুখায়।*
*গৌরীদাস দেখি তাহা করে হায় হায়।।*
*সুধামাখা হরিনাম বদনে না স্ফূরে*
*গোরা বদন দেখিয়া হৃদয় বিদরে*
*ক্ষুধায় কাতর সভে সখাসঙ্গ গণ।*
*গৌরহরি অভিরামাদিরে পাঠান তখন।।*
*যাহ তোমরা অন্ন চাহি আনহ এখন।*
*বাসু কহে আনন্দে মোরা করিব ভোজন।।*
*সুরধূনী তীরে কত রঙ্গে।*
*বিহরয়ে গৌর প্রিয় পারিষদ সঙ্গে।।*
*হইল দুই প্রহর দিবা।*
*সে সময় না জানি প্রভুর মনে কিবা।।*
*পাতিয়া পলাশ পাত তায়।*
*বিবিধ সামগ্রী পরিবেশয়ে সভায়*
*নিতাই ধরিতে নারে থেহা।*
*উমরয় হিয়ায় কে জানে কিবা লেহা।।*
*ওনা তনু পুলকে ভরিল।*
*পরিকর মাঝে কি কৌতুক উপজিল।।*
*কেহ খায় কারু মুখে দিয়া।*
*কেহ লেই কারু পাত্র হতে কাড়িয়া।।*
*অঞ্জলী  অঞ্জলী ভরি ভরি।*
*পিয়ে সভে সুশীতল সুরধূনী বারি*
*পাত্র শেষ যে কিছু রহিল।*
*দাস নরহরি তা যতন করি নিল।।

 *গৌরচন্দ্রিকার বাখ‍্যা*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*এই কথা শুনে মহাপ্রভু বললেন, না,না,তোমরা এত কাতর হচ্ছ কেন?অমোঘ বালক,বালক স্বভাবে সরল কৌতুকে যা বলেছে তাতে এত রাগ করবার কি আছে?* *আর কি আছে দাও,আমি ভোজন করিব।* *সার্বভৌম ও তাঁর স্ত্রীর সাধ মিটিয়ে মহাপ্রভু সেবা করলেন।অমোঘের কোন দোষ ধরলেন না মহাপ্রভু।*

*🌻গৌরচন্দ্রিকা ব‍্যাখ‍্যা🌻*
*শ্রীমন্মহাপ্রভু নদীয়ায় অবতরী না হইলে আমরা রাধা-গোবিন্দের লীলা বিষয়ক কিছুই জানতে পারতাম না।* *তিনি নীলাচলে গম্ভীরায় ১২ বৎসর রাধা ভাবে থেকে ব্রজেরলীলা শ্রীস্বরূপ দামোদর গোস্বামী,রায় রামানন্দ,শিখি মাহাতি ও মাধবী দাসীর নিকট প্রকাশ করেছিলেন।*
*তিনি কখনও রাধা ভাব-এ ভাবিতা,* *কৃষ্ণ ভাব-এ ভাবিত, ও নানান ভাব মহাপ্রভুর মধ্যে প্রকট হয়েছিল।* *আজ আমি মহাপ্রভুর এক অন‍্যতম পরম ভক্ত সার্বভৌম বাসুদেব ভট্টাচার্যের গৃহে মহাপ্রভুর মধ‍্যাহ্নে সেবার বিষয় আস্বাদন করব।* *সার্বভৌম মহাপ্রভুকে দ্বিপ্রহরে ভোজনের আমন্ত্রণ করলেন,প্রভু গ্রহণ করলেন।* *সার্বভৌমের একটি কন‍্যা নাম ষাঠী*, *জামাইয়ের নাম অমোঘ।* *কুলীন ব্রাহ্মণ, কিন্তু অমোঘের একটি বড় দোষ,পরনিন্দা করা।* *অমোঘ ঘরজামাই হয়ে আছেন।* *সার্বভৌমের বাড়ীতে দেখলেন আজ বিরাট আয়োজন,বহু রকমের ভক্ষ‍্যবস্তু আছে,সমস্ত একত্র করা হয়েছে।* *নিম শুকতো থেকে শুরু করে চাঁপাকলাসহ ঘন দুধ।* *অনেক রকমের শাক,অনেক রকমের ঘন্ট,কত রকমের ভাজা আর বড়ি,বড়া ও ঝাল।* *কত রকমের পিঠে ও পুলি, ঘৃত সিক্ত পরমান্ন,সন্দেশ, মিঠাই ও দই।* *মহাপ্রভু সার্বভৌমের গৃহে এসে আসনে বসলেন।* *বসে বললেন,একি এত ভোজন সম্ভার!*
*মহাপ্রভু চমকিত হয়ে উঠলেন।* *বললেন এত খাদ‍্য সম্ভার কেমন করে ভোজন করব?* *তখন সার্বভৌম বললেন,প্রভু তোমার আহারের পরিমাণ কি তাহা আমার জানা আছে।* *নীলাচলে তুমি প্রত‍্যহ বাহান্ন বার সেবা কর।* *দ্বারকাতে ষোলহাজার মহিষীর মন্দিরে,আর ব্রজধামে তোমার আপনজনের ছড়াছড়ি।* *তারপর তোমার সখী গোপিনীগণ।* *প্রত‍্যেকের ঘরে তোমার প্রত‍্যহ দুইবেলা বাধা আহার।* *গোবর্ধন যজ্ঞে তুমি কত অন্ন ভোজন করেছিলে মনে নেই তোমার?প্রভু তোমার কৃপায় তোমার মহিমা কিঞ্চিৎ জানতে পেরেছি।* *আর আমার ঘরের অন্ন ঐ সবের তুলনায় একগ্রাসেরও কম হবে।* *দয়া করে এই দীনদরিদ্র ঘরে রুখা শুখা যা হয়েছে সেবা কর।*মহাপ্রভু,সার্বভৌমের কথাগুলি শুনে মৃদু হাস‍্য করলেন।*এই অলৌকিক ভোজন করাবার জন‍্যই বুঝি এই একক নিমন্ত্রণ।* *এমন সময়ে অমোঘের আবির্ভাব,অমোঘ নিন্দুক,পরনিন্দা খুব ভালবাসে।* *তারজন‍্য সার্বভৌম একটি লাঠি হাতের সামনে রেখেছেন,অমোঘ এলেই লাঠি মেরে তাড়াব।* *(কথায় আছে না?যেখানে বাঘের ভয়,সেখানে সন্ধ‍্যা হয়।)* *মহাপ্রভু সবে আসনে বসেছেন সেবার জন্য,* *এমন সময় ঘরে ঢুকে পড়ল,বলে উঠল,বাপ-রে-বাপ,একা একটা সন্ন‍্যাসী এত খাবার খাবে?* *এ খাবার অতন্ত দশ-বারজনের।* *এইকথা শুনে সার্বভৌম হাতে লাঠি নিয়ে অমোঘের পেছনে ছুটলেন,কিন্তু ধরতে পারলেন না।* *গালমন্দ করতে করতে ঘরে ফিরে এলেন সার্বভৌম।* *ঘরে এসে দেখলেন অমোঘের নিন্দা শুনে মহাপ্রভু হাসছেন।* *কিন্তু ষাঠীর মায়ের কাছে এই অপমান সহ‍্য হল না।* *বুকে মাথায় করাঘাত করতে করতে বললেন,আমার ষাঠী বিধবা হোক,অমোঘ মরুক।*

*🌻একদিন শ্রীবাস অঙ্গনে শেষ রাত্রে মহাপ্রভু শালগ্রাম কোলে নিয়ে বিষ্ণুখট্টায় উঠে বসলেন।* *খট্টা মড়মড় করে উঠল,ঐখানে নিতাইচাঁদ ছিলেন তাঁর স্পর্শে খট্টা স্থির হল।* *গৌরসুন্দর তর্জন গর্জন করে বলতে লাগলেন,কলিযুগে আমি শ্রীকৃষ্ণ,অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ডের আমি ঈশ্বর।* *তোরা সকলে আমার দাস,তোদের জন্য আমি এসেছি।* *তোরা যা দিবি তাই খাব।* *মহাপ্রভুর বাণী শুনে যার যা সামর্থ‍্য নিয়ে আসতে লাগল।* *দধি,দুগ্ধ,নবনী,সন্দেশ,নারিকেল,কলা,চিপিটক (চিড়া),চালভাজা,যত কিছু ভক্তগণ আনলেন,প্রভু সব সেবা করলেন।* বললেন,আরো আনো,আরো আনো বলতে লাগলেন।*প্রায় দুই শত লোকের আহার্য আহার করে,প্রভু বললেন আরো আনো।* *প্রভু সকল গ্রসণ করলেন।* *প্রভুর বিশ্বম্ভর মূর্তি দেখে ভক্তগণের মনে ভয় হল।* *তখন প্রবুর মূর্তি মহৈশ্বর্য‍্যময়।নিতাইচাঁদ মস্তকে ছত্র ধরলেন।* *অদ্বৈতাচার্য‍্য জোড়করে সামনে স্তব করতে লাগলেন।* *আর সকল ভক্তগণ মাথা নত করে রইলেন।* *হঠাৎ প্রভু মূর্ছিত হলেন,কতক্ষণে প্রভুর বাহ‍্যদশা ফিরে এলো।* *ভাই বান্ধব বলে সকলের গলা ধরে কাঁদতে লাগলেন।* *ঐশ্বর্য‍্য প্রকাশ পেলেই প্রভুর তৎপর মূর্ছা হয়।* *মূর্ছা ভাঙ্গলে দাস‍্যভাবে বহু অনুনয় বিয় করেন।*

*🌻সীতানাথ শচীদেবীকে সংবাদ দিলেন।গঙ্গাদাস পন্ডিত জননীকে নিয়ে শান্তিপুর এলেন।* *জননীকে দর্শন করে গৌরচন্দ্র দন্ডবৎ প্রণাম করে বললেন,*
*তুমি যদি শুভ দৃষ্টি কর জীব প্রতি*
*তবে সে জীবের হয় কৃষ্ণ রতি মতি।।*
*পুত্রের বদন দর্শন করে শচীমা পরমানন্দে জড়িয়ে ধরলেন।* *কিছুক্ষণ পর স্থির হয়ে মা চললেন রন্ধন কার্য‍্যে।* *মা জানেন নিমাই শাক খেতে খুব ভালবাসে।* *তাই বিংশতি (২০) প্রকার শাক রান্না করলেন।* *অন‍্যান‍্য বহু দ্রব‍্য তো আছেই।* *ভোজন করতে বসে প্রভু মধুর হাসতে হাসতে বলতে লাগলেন।*
*প্রভু বলে এই যে অচ‍্যুত নামে শাক।*
*ইহার ভোজনে হয় কৃষ্ণে অনুরাগ।।*
*পটল বাস্তক কাল শাকের ভোজনে।*
*জন্মে জন্মে বিহরয়ে বৈষ্ণবের সনে।।*
*সালিঞ্চা হিলঞ্চা শাক ভক্ষণ করিলে।*
*আরোগ‍্য থাকয়ে তার কৃষ্ণভক্তি মিলে।।*
*এই মত শাকের মহিমা বলতে বলতে প্রভু পরমানন্দে ভোজন করলেন।*



*একদিন শ্রীঅদ্বৈতাচার্য‍্য মহাপ্রভুকে নিজ গৃহে ভিক্ষার্থ(দুপুরে সেবার জন্য ) আমন্ত্রণ করলেন।* *স্বয়ং অদ্বৈতাচার্য‍্য,সীতাদেবীর সঙ্গে রন্ধন করলেন,গৌড়দেশ হতে নীলাচলে যে সব বস্তু মহাপ্রভুর জন্য এনেছিলেন তা সব পরিপাটী করে রন্ধন করলেন।* *আচার্য‍্যের অন্তরের ইচ্ছে মহাপ্রভু যেন সব দ্রব‍্য গ্রহণ করেন।* *আবার মনে মনে ভাবলেন,মহাপ্রভু যদি মোহন্ত সন্ন‍্যাসী গোষ্ঠী সঙ্গে নিয়ে আসেন তবে তো তিনি ভাগের ভাগ কিছুই সেবা নিবেন না,মহাপ্রভু যদি একা আসেন তাহলে আমার মনের বাসনা সিদ্ধ হয়।* *আবার মনে ভাবলেন,না,এই বাসনা পূর্ণ হবার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।* *হঠাৎ দেখা গেল মধ‍্যাহ্নকালে একটা ভীষণ ঝড় বৃষ্টি আরম্ভ হল,অসম্ভব ঝড়,বৃষ্টি,শিলাপাত হল।* *এই ঝড়বৃষ্টিতে কে কোনদিকে থাকল তা ঠিক বুঝা গেল না,আচার্য‍্য সকল সেবার দ্রব‍্য সাজিয়ে সবার উপর তুলসী দিয়া মহাপ্রভু যাতে একাকী আসেন সেইজন‍্য ধ‍্যান করতে বসলেন।*
*"সত‍্য গৌরচন্দ্র অদ্বৈতের ইচ্ছাময়*
*একেশ্বর মহাপ্রভু হইলা বিজয়।।*
*শ্রীমন্মহাপ্রভুকে একা আসতে দেখে আচার্য‍্য পরমনন্দে মহাপ্রভুকে সেবা করালেন।* *অদ্বৈতাচার্য‍্য সেবার দ্রব‍্য যত দিলেন সবই মহাপ্রভু সেবা করলেন।* *আচার্য‍্যের মনোবাঞ্জা পূর্ণ হল।* *মধুর হাসি হেসে মহাপ্রভু বললেন,-------
*প্রভু বোলে আর কেন লুকাও আচার্য‍্য।*
*যত ঝড় বৃষ্টি সব তোমারি কার্য‍্য।।*


 *🌻ব্রজলীলা অন্নভিক্ষা🌻*
*🌻🌻🌻প্রথম পদ🌻🌻🌻*
*শ্রীনন্দ নন্দন, করি গোচারণ,*
      *মলিন ওমুখ শশী।*
*সঙ্গে হলধর,সব সহচর,*
     *বংশীবট তলে বসি।।*
*সকল রাখাল, ক্ষুধায় ব‍্যাকুল,*
    *কহয়ে তেজিয়া লাজ।*
*হৃদয় বুঝিয়া,কি খাবে বলিয়া,*
      *পুছয়ে রাখাল রাজ।।*
*বটু কহে ভাই,অন্ন খেতে চাই,*
      *যদি খাওয়াইতে পার।*
*তবে সুখ পাই,গো-ধন চরাই,*
      *কিছু না চাহিয়ে আর।।*
*বটুর বচন, শুনিয়া তখন,*
      *হাসি নবঘন শ‍্যাম।*
*এ উদ্ধব দাস,চিরদিনের আশ,*
      *পূরাও মনের কাম।।*
*🌻🌻স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনের গোপ*
*গোপীগণের শুদ্ধ প্রেম সিন্ধুতে ডুবে গিয়ে নিজের সবকিছু ঐশ্বর্য‍্য ভুলে মুগ্ধ গোপবালকের মত কতই-না মধুর লীলা করেছেন।*  *এ লীলায় আছে কেবল তাঁর পূর্ণ ভক্তবাৎসল‍্য ও প্রেমধীনতা।* *তাই আজ সেই ভক্তচূড়ামণি ব্রাহ্মণ পত্নীগণের কথা মনে জেগে উঠেছে এবং সেজন‍্য তিনি নিজ দাদা ও সখাগণ সঙ্গে করে যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণের বাসস্থানের নিকট স্থানের দিকে গোচারণ করতে গমন করলেন।* *সেই যজ্ঞ স্থানের নাম "ভাতরোল" যজ্ঞের নাম আঙ্গিরস।*
*যে বনে তাঁরা গোচারণে এসেছিলেন সে বনে অসংখ‍্য অশোক বৃক্ষ ব‍্যতীত আর কোন রকম ফলবান বৃক্ষও নাই।* *শ্রীকৃষ্ণ ও দাদা বলরাম দুইজনে যমুনা তীরের কাছে অশোককাননে শিলাখন্ডে বসে অশোক কাননের শোভা দর্শন করছেন।* *এমন সময় শ্রীদাম,দাম,সুদাম,বসুদাম ও বটু নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে উদরে বামহাত মর্দন করতে করতে কৃষ্ণ-বলরামের সামনে এসে উপস্থিত হলেন।* *বটু তখন বললেন,ভাইকৃষ্ণ,দাদাবলরাম আমরা একেবারেই ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়েছি।* *এমন এক বনে এলে যে কোন ফলের গাছ নেই।* *যাইহোক যদি কিছু খাবারের ব‍্যবস্থা না কর,তাহলে আমরা আর গোচারণ কিম্বা গোষ্ঠক্রীড়া কিছুই করতে পারব না।* *আমরা বনে বনে কত খোঁজ করলাম কিন্তু একমাত্র অশোকবৃক্ষ ছাড়া আর কোন ফলবান বৃক্ষ নাই।* *বটু পুনঃ বললেন,ভাই কানাই,তুই তো অনেকবার আমাদের রক্ষা করেছিস,এবারেও কিছু খাদ‍্য দে।*
*তুই মহাদুষ্ট ক্ষুধাকে দমন করে আমাদের রক্ষা কর।*
*"ক্ষুধা খল বৈ মনুষ‍্যস‍্য ভ্রাতৃব‍্যঃ"*
*অর্থ‍্যাৎ=ক্ষুধার মত মানুষের প্রবল শত্রু আর কেউ নাই,কেননা ক্ষুধার পীড়নে মানুষ নানাবিধ অপকার্য‍্য করতেও কুন্ঠিত হয় না।বিলম্ব করিস না ব‍্যবস্থা কর কানাই।*
*কৃষ্ণ বললেন কি খাবি বল?বটু বললেন ভাই যদি অন্ন খাওয়াইতে পারিস খুব আনন্দ ও সুখ পাব।*

*🌻🌻দ্বিতীয় পদ🌻🌻*
*শ্রীদাম সুদামে ডাকি কহয়ে কানাই।*
*যাজ্ঞিক নিকটে চাহি অন্ন আন খাই।।*
*কহ গিয়া যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণ আগে।*
*রামকৃষ্ণ ক্ষুধায় তোহারে অন্ন মাগে।।*
*শুনিয়া শ্রীদাম গিয়া মুনি বরাবর।*
*রামকৃষ্ণ অন্ন চাহে কি কহ উত্তর*
*মুনি কহে,কোন রামকৃষ্ণ কহ শুনি।*
*বলে ব্রজরাজ সুত পরিচয় জানি।।*
*অরুণ নয়ন মুনি সক্রোধ বচন।*
*যজ্ঞ অগ্র ভাগে চাহে গোপের নন্দন।।*
*দেবতারে অন্ন নাহি করি সমর্পণ।*
*গোপজাতি আগে মাগে ভয় নাহি মন।।*
*নিন্দা শুনি শ্রীদামাদি ফিরিয়া আইলা।*
*মুনির ভৎর্সনা রামকৃষ্ণেরে কহিলা।।*
*অন্ন নাহি দেয় আর কহে কটু বাণী।*
*শুনিয়া উদ্ধব দাসের কাতর পরাণি।।*
*🌼🌼শ্রীকৃষ্ণ,শ্রীদাম ও সুদামকে ডেকে বললেন,তোরা আর বিলম্ব না করে ঐ অদূরবর্তী যজ্ঞের ধূমা দেখা যাচ্ছে এবং বেদমন্ত্র মুখরিত স্থানে গমন কর।* *ঐ জায়গায় বহু "বেদবাদী"ব্রাহ্মণ স্বর্গপ্রাপ্তির কামনায় আঙ্গিরস নামক যজ্ঞ অনুষ্ঠান করছেন।* *তোরা সেখানে গিয়া অন্ন চেহে নিয়ে আয়।* *তারা আশাকরি তোদের অনেক পরিমাণে অন্নদান করবেন ও তাতে সকলেরই ক্ষুধা নিবৃত্তি হবে।* 
*🌻অনন্ত লীলাময় শ্রীকৃষ্ণ ব্রাহ্মণগণকে বেদজ্ঞ না বলে "বেদবাদী" বলে ইঙ্গিত করলেন যে এরা সকলেই উদাত্ত(বেদ গানের উচ্চস্বর) অনুদাত্ত(নিম্নস্বর) প্রভৃতি স্বরভেদে বেদমন্ত্র উচ্চারণ করছেন বটে,* *কিন্তু এদের বেদার্থ হৃদয়ঙ্গম হয়নি।* *কেন না,যাঁরা বেদার্থ হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছেন,* *তাঁরা কখনও স্বর্গাদি বিষয় কামনা করেন না।* *সখাগণ যজ্ঞ স্থানে উপস্থিত হলে যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণ যে অন্নদান করবেন না,তাহা সর্বান্তর্য‍্যামী* *শ্রীকৃষ্ণ জানতেন,তথাপি তিনি তাঁদের পাঠালেন যে,জগতকে জানালেন যে বহু শাস্ত্র অধ‍্যয়ন কিংবা উচ্চারণ করতে পারলেও প্রকৃত ধর্মের অনুসন্ধান পাওয়া যায় না।*
*🌻যাইহোক,সখাগণ মনে মনে বড়ই আনন্দিত,তাঁরা মনে করলেন যে আমাদের কৃষ্ণকে খাওয়াইবার জন্য যদি কেউ অন্ন দান করে,তাহলে চিরজীবন তার দাসত্ব করতেও আমাদের আপত্তি নাই।* *যজ্ঞ স্থলে গিয়া ব্রাহ্মণগণের নিকট হতে অন্ন পেয়ে সর্বপ্রথম আমরা ভাই কানাইয়ের ক্ষুধা নিবৃত্তি করব।* *এই আনন্দে আত্মহারা হয়ে সখাগণ সেখানে গিয়া দেখলেন যে অসংখ‍্য যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণ মিলিত হয়ে মহাধূমধামে যজ্ঞ করছেন।* *এই যজ্ঞ দেখে পরম আনন্দ হল,এবং মনে করলেন যে এখান হতে আমরা অবশ্যই অন্ন পাব।* *তারপর অনেকক্ষণ করজোড়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।* *ব্রাহ্মণগণেরও মন্ত্র পাঠাদির বিরাম হল।* *তখন শ্রীদাম সুদাম বিনীতভাবে বললেন,আমরা সকলে শ্রীকৃষ্ণের আদেশে এখানে এসেছি।* *আপনাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে উপযুক্ত অন্নদান করে আমাদের ক্ষুধা নিবৃত্তি করুন।* *কে কার কথা শোনে, তাঁদের কথায় কোন কর্ণপাত করল না যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণ।* *যারা ক্ষুদ্র লাভের আশায় বৃহৎ কর্মানুষ্ঠান করে,এবং অল্পবুদ্ধি হয়েও নিজেকে বুদ্ধিমান বলে ধারণা রাখে,* *তাদের কার্য‍্যে ও ব‍্যবহারে এইরকম ভুল থাকাই স্বাভাবিক।* *যাজ্ঞিক অনিত‍্য স্বর্গলাভের আশায় "আঙ্গিরস"যজ্ঞের বিরাট আয়োজন এবং অনুষ্ঠান করেছেন,এককথায় বলা হয় ভক্তিহীন।* *যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণের কাছে অন্ন চাইলে অনেক কটুবাক‍্য প্রয়োগ,ও রামকৃষ্ণের প্রতি তাচ্ছিল‍্য দেখিয়ে সে জায়গা হতে তাড়িয়ে দিলেন।* *কেহ যদি মনের মানুষকে অপমান করে বা ছোট করে কার বা ভাল লাগে?একরাশ মনে ব‍্যথা নিয়ে তাঁরা যজ্ঞস্থল হতে রামকৃষ্ণের কাছে ফিরে এলেন ও সমস্ত কথা বললেন।*



অন্ন ভিক্ষার তত্ব:-

১. যে সাতজন মুনি- পত্নী ছিলেন তাঁরা পূর্ব জন্মে কে ছিলেন? তাঁদের নাম কি ছিল, তাঁদের স্বামীর নাম কি ছিল?
উঃ, তাঁরা সপ্ত ঋষির পত্নী ছিলেন,মরীচি পত্নী কলা, অঙ্গিরা পত্নী শ্রদ্ধা, অত্রি পত্নী অনুসূয়া,পুলস্ত‍্য পত্নী হবিরভূ,পুলহ পত্নী গতি, ক্রতু পত্নী ক্রিয়া,ও বলিষ্ঠ পত্নী অরুন্ধতী।মুনিগণ ব্রহ্মার মানস পুত্র ছিলেন,এই মুনিগণই সপ্তর্ষি মন্ডল, সপ্ত ঋষি। ব্রহ্মার মন হইতে মরীচি,চক্ষু হইতে অত্রি,মুখ হইতে অঙ্গিরা,নাভি হইতে পুলহ, কর্ণদ্বয় হইতে পুলস্ত‍্য, হস্ত হইতে ক্রতু,ও প্রাণ হইতে বশিষ্ঠর জন্ম।

২. কী কারণে মর্তে আসিতে হয়েছিল?
উঃ মুনি পত্নীগণ সকলেই রূপে গুণে অনুপমা,সুশীলা, স্বধর্মরতা, এবং পতিব্রতা। তাঁহারা সকলেই নবযৌবন-
সম্পন্না, শোভাশালিনী,দিব‍্য- বস্ত্রপরিহিতা, রত্না-লঙকার শোভিতা, তপ্ত কাঞ্চনের ন‍্যায় সমুজ্জলা এবং সহাস‍্যবদনা ছিলেন। সেই সময় অগ্নি তাঁহাদের সুন্দর মুখ ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গাদির শোভা দেখিয়া মদন-মোহিত হয়ে পড়িলেন, এবং হোম কুন্ডের মধ‍্য হইতেই বহুতর শিখাবিস্তার পূর্বক তাঁহাদের অঙ্গ স্পর্শ করিয়া কামাবেগে আত্মহারা ও অচেতন হয়ে গেলেন।(মুনি পত্নীগণ হোম কুন্ডের কাছেই বসে কথা বলছিলেন) মুনি পত্নীগণ তাহাদের পতিরচরণ ছাড়া আর কিছুই জানেন না, তাঁহারা অগ্নির মনোভাব বা তাঁহাদের দর্শনে ও অঙ্গ স্পর্শে অগ্নির কামবিকার কিছুই বুঝতে পারলেন না। কিন্তু সপ্ত ঋষির অন‍্যতম মহাতেজা অঙ্গিরা ঋষি অগ্নির মনোভাব জানতে পারিয়া তৎক্ষণাৎ অগ্নিকে শাপ প্রদান করিলেন- "তুমি সর্ব ভক্ষক হও"অঙ্গিরার শাপবাক‍্যে অগ্নির চেতনা লাভ হইল এবং নানাভাবে ঋষির স্তুতি করিয়া অগ্নি লজ্জাবনত বদনে হোম কুন্ডে অবস্থিত হইয়া ব্রহ্মতেজে কম্পিত হইতে লাগলেন। রাগান্বিত ঋষি অঙ্গিরা তখন, অগ্নি স্পৃষ্ট রমণীদের বললেন- তোমরা সকলে পাপ যুক্তা হয়েছ, অতএব তোমরা মনুষ‍্য যোনিতে জন্ম গ্রহণ
কর। তোমরা ভারতবর্ষে ব্রাহ্মণ কুলে জন্ম গ্রহণ করিবে এবং আমাদেরই কুলোৎপন্ন ব্রাহ্মণগণ তোমাদের বিবাহ করিবেন।মহাতেজা ঋষির শাপবাক‍্য শ্রবণ করিয়া পত্নীগণ রোদন করিতে লাগিলেন এবং জোড়হাত করিয়া ঋষিকে বলতে লাগলেন,হে মুনি শ্রেষ্ঠ!আমরা আপনার চরণে কোনই অপরাধ করি নাই,আমরা যদি অজ্ঞান বশতঃ পর
পুরুষ স্পৃষ্ট হয়ে থাকি,তাহা হইলে আমাদের পরিত‍্যাগ করা কর্তব্য নহে।

আমরা আপনার ভক্ত ও কিঙকরী, অতএব আমাদের প্রতি এরূপ কঠোর দন্ড বিধান করা উচিত নয়। আমাদের যদি পৃথিবীতে যাইতে হয় তাহা হইলে আবার কবে আপনাদের কাছে আসিতে পারিব তাহা আদেশ করুন।আমরা অজ্ঞান বশতঃ পরপুরুষ স্পৃষ্টা হয়েছি, সুতরাং একেবারে পরিত‍্যাগ
করা কর্তব্য নহে। ইন্দ্র অহল‍্যাকে বর্ষণ করিয়াছিলেন, তথাপি অহল‍্যা কিছুকাল পাষাণী হইয়া থাকিয়া পুনঃ পতির চরণ প্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং পুনরায় বিশুদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন।আমরা কি অগ্নির স্পর্শ মাত্রেই চিরকালের জন্য পরিত্যক্তা হইব? আপনি বেদ কর্তা ব্রহ্মার পুত্র এবং ধর্মনিষ্ঠ ও বেদ বেদাঙ্গপরাগ,এতএব আপনি বিচার পূর্বক আমাদিগকে দন্ড প্রদান করুন।পরমদয়ালু অঙ্গিরা ঋষি ব্রাহ্মণীদের এই করুন বচন শুনিয়া বললেন- তোমাদিগকে সত‍্য বাক‍্য বলছি শ্রবণ কর।জীব মাত্রেই কর্মফল ভোগ করতে হয় এবং যেমন কর্ম, তাহার ফলও তদনুরূপ হয়ে থাকে। অতএব আর তোমাদের সহিত একত্রে বাস করা উচিত নহে, তোমরা এখন পৃথিবীতে গমন করিয়া মনুষ‍্য যোনিতে জন্ম গ্রহণ কর।

৩. মর্তে আসিয়া কিবা কর্ম করিয়া- ছিলেন যে বৃন্দাবনে বসবাস হয়েছিল?
উঃ ঋষি বলিলেন যখন গোকুলে শ্রী কৃষ্ণ অবতীর্ণ হইবেন, তখন তাঁহাকে দরশন করামাত্র তোমাদের গোলোকে গতি হবে। শ্রী কৃষ্ণ যোগমায়া শক্তি প্রভাবে তোমাদের ছায়ামূর্তি
নির্মাণ করিবেন এবং সেই মূর্তি কিছু দিন ব্রাহ্মণ গৃহে থাকিয়া আমাদের নিকটে আগমন করিবে,তখন সেই
ছায়ামূর্তিতে আবার আমাদের পত্নী হইতে পারবে। তারপর ঋষি পত্নীগণ পৃথিবীতে আসিয়া--------------
*ক্ষীরোদ সমুদ্র কুলেযতেক যুবতী।
তপস‍্যা করিলা যে ঈশ্বরে বাঞ্ছে পতি।।
মনে অভিলাষ কৈলা অনেক   কামনা।
পুরাইল ভগবান সবার  বাসনা।।
বরদিল বিষ্ণু,চাহি সব কন‍্যা গণে।
গোকুলেতে অবতার নন্দের   ভবনে।।
বৃন্দাবনে করিব যে বাছুরি  চারণ।
তোমরা করাবে মোরে অন্ন যে ভোজন।।
বিপ্রকুলে জনমিবে বিপ্রের বণিতা।
যজ্ঞ স্থানে সবে গিয়া হৈবে যে হোতা।।
বৃন্দাবনে রাসলীলা যখন  করিব।
তোমা সবাকার মনো বাসনা   পুরাইব।।
(এই হইল অন্ন ভিক্ষার তত্ব।)
অতি সংক্ষেপে।
জয়নিতাই জয়গৌর।

*🌼শ্রীদামের সমস্ত কথা শুনে কৃষ্ণ অন্তরে সামান্য ব‍্যথা পেলেন বটে,বাইরে কাউকে বুঝতে দিলেন না।* *তিনি জানতেন ""বেদবাদী"" ব্রাহ্মণগণ অন্নদান করবেন না।*তাই পুনী শ্রীদাম ও সুদামকে ডেকে বললেন।*


*🌻🌻🌻তৃতীয় পদ🌻🌻🌻*
*শুনিয়া শ্রীদামের কথা,অন্তরে পাইয়া ব‍্যথা,*
     *কহে তুমি যাও পুনঃবার।*
*যাহা যজ্ঞপত্নী রহে,কহ কৃষ্ণ অন্ন মাগে,*
    *শুনিলে নৈরাশ নহে আর।।*
*শুনি আরবার ধাই,যজ্ঞপত্নী স্থানে যাই,*
    *কৃষ্ণ আজ্ঞা কহিলা সত্বর।*
*কহি তোমাদের আগে,রামকৃষ্ণ অন্ন মাগে,*
    *ইথে মোরে কি কহ উত্তর।।*
*🌼🌼এইখানে অন্নভিক্ষার তত্ত্ব তুলে ধরতে হবে।*
*শুনি কৃষ্ণ পর সঙ্গ,প্রেমে পরিপূর্ণ অঙ্গ,*
    *থরে থরে থালি সাজাইয়া।*
*দিব‍্য অন্ন ভরি ভরি,চলিলা যে সারি সারি,*
   *কূল ভয় লজ্জা তেয়াগিয়া।।*
*আর এক মুনি নারী,তার পতি করে ধরি,*
    *রাখিল নির্জন গৃহে তারে।*
*যাইবারে না পাইয়া,নিজ তনু তেয়াগিয়া,*
    *শ্রীকৃষ্ণ ভেটিল দেহান্তরে।।*
*নানা অন্ন ব‍্যঞ্জন,লৈয়া মুনি পত্নীগণ,*
    *যেখানে বসিয়া রামকানু।*
*নবঘন শ‍্যাম দেখি,প্রেমে ছলছল আঁখি,*
    *সমর্পিল অন্নসহ তনু।।*
*নিরখিয়া শ‍্যামরূপ,কি কোটি কদর্পভূপ,*
    *পদতলে করয়ে নিছনি।*
*এ উদ্ধব দাস কয়,নখিলে নখিল নয়,*
     *অখির অমিয়া রস খানি।।*

 *🌻চতুর্থ পদ🌻*
*কি দুর্ভাগ্য বলবন্ত,গণিয়া না পাই অন্ত,*
    *জ্ঞান কর্মে মুগ্ধ মুনিগণ।*
*যার নামে নিবেদন,অন্ন মাগে সেই জন,*
      *তাঁরে না অন্ন কৈল সমর্পণ।।*
*অন্ন ভিক্ষা নাই মনে,শিক্ষা দিতে জগ জনে,*
     *গোবিন্দ পাঠাইল শ্রীদামেরে।*
*জ্ঞানকান্ডে কর্মকান্ডে,যে কিছু আছে ব্রহ্মান্ডে,*
     *ইথে কেহ ধা পাবে আমারে।।*
*ইহা ভাবি ভক্তগণে,বিচার করিয়া মনে,*
    *জ্ঞান কর্ম কান্ড পরিহরি।*
*যম দন্ড সম জানে,বিষ ভান্ডকরি মানে,*
     *পরিহরি বোলে হরি হরি।।*
*লোচন দাস বলে ভাই,জ্ঞান মনে প্রেম নাই,*
     *প্রেম বিনে না মিলে গোবিন্দ।*
*শ্রীকৃষ্ণ প্রেম দর্পণ,জ্ঞানীকে নাহি অর্পণ,*
     *কি দেখিবে যেবা জ্ঞান অন্ধ।।*

 *তৃতীয় পদের ব‍্যাখ‍্যা*
*সখাগণ যখন ভিতরে প্রবেশ করে দেখলেন,সকল পত্নীগণ কৃষ্ণকথাই আত্মহারা,সখাগণ অত‍্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং উচ্চস্বরে বললেন,হে দ্বিজ পত্নীগণ!আপনাদের চরণে প্রণাম করি।সখাগণের মধুর কন্ঠধ্বনি কর্ণগোচর হওয়ামাত্র দ্বিজ পত্নীগণ তাঁদের দিকে তাকালেন,সুশোভিত কয়জন গোপবালক সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।* *এঁরা কে?এমন ভূবনমোহন মূর্তি তো দেখি নাই!কৃষ্ণের বেশ-ভূষা যেমন লোকমুখে শুনেছি,এঁরাও প্রায় তেমনি।* *দ্বিজপত্নীগণ বললেন,তোমরা কে?তাঁরা বললেন,আমাদের ভাই কৃষ্ণ!গোচারণ করতে করতে এই অশোকবনে এসে উপস্থিত হয়েছেন।* *তিনি আমাদের পাঠিয়েছেন।* *দাদা বলরাম ও শ্রীকৃষ্ণ ও সমস্ত রাখালগণ অত‍্যন্ত ক্লান্ত এবং ক্ষুধিত হয়ে পড়েছেন।* *কৃষ্ণ আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন।* *এইকথা শুনে মনের আনন্দে দ্বিজপত্নীগণ অন্ন ব‍্যঞ্জনাদি সুরসাল খাদ‍্য থালি থালি সাজাতে লাগলেন।* *কৃষ্ণানুরাগিনী দ্বজপত্নীগণ যখন কৃষ্ণের কাছে যাবার জন্য অন্নপাত্র মাথায় নিয়ে ভিতর হতে বাইরে এলেন এবং দ্রুতগতিতে যমুনাতীরের দিকে ধাবিত হলেন,তখন ব্রাহ্মণগণ তাঁদের এই অসম্ভব কার্য‍্য দেখে একেবারে অবাক হয়ে গেলেন,কিন্তু সর্বশেষে এক দ্বিজপত্নী তাঁর স্বামীর কাছে ধরা পরে গেলেন,তাঁকে অতি কঠোরভাবে ঘরে এনে আটক করে রাখলেন।* *রমণী বহু অনুরোধ করলেন কিন্তু শুনলেন না।* *তখন কৃষ্ণানুরাগিনী রমণী কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করতে লাগলেন,অন্তর্য‍্যামী কৃষ্ণ তাঁর অন্তরের কথা জানতে পেরে দেহ ঘরে পড়ে রইল,তাঁর আত্মারূপ দেহ নব কলেবরে কৃষ্ণের নিকটে দর্শন দিলেন।* *অন‍্যান‍্য দ্বিজপত্নীগণ পথে  কৃষ্ণের রূপ-গুণ-লীলার কথা কীর্তন করছেন আর পথে চলেছেন।* *তাঁরা কৃষ্ণচরণ দর্শন আকাঙ্ক্ষাই আত্মহারা হয়ে রয়েছেন,কখন তাঁর দর্শন পাব।*
*🌻 চতুর্থ পদের সংক্ষেপে ব‍্যাখ‍্যা🌻*
*শ্রীকৃষ্ণ সখাদের কথা শুনে অন্তরে কিঞ্চিৎ ব‍্যথা পেলেন বটে,বাইরে মধুমাখা হাস‍্য করলেন।ব‍্যথা পাবার কারণ কি?যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণ আমাকে যাহা বাক‍্য প্রয়োগ করেছে তাতে আমার দুঃখ নেই,কিন্তু আমার প্রাণপিয় সখাদের যেভাবে অপমান করেছেন তাতেই অন্তরে ব‍্যথা।* *যাইহোক,কৃষ্ণ বললেন,ভাই তোদের কয়টি কথা বলি শোন,তোরা পুনঃ ব্রাহ্মণপত্নীগণের কাছে যা,আর বিলম্ব করিস না,আমার কথা বললে পরেই নিশ্চয়ই তাঁরা অন্ন প্রদান করবেন।* *যা ভাই মধ‍্যাহকাল প্রায় অতীত হতে চলেছে।* *কৃষ্ণের মুখে সকল কথা শুনে আনন্দে সখাগণ দ্রুত যজ্ঞশালার নিকটে যে ব্রাহ্মণপত্নীগণ আছেন অতি অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে উপনীত হলেন।* *এবং যেদিকে যাজ্জিক ব্রাহ্মণগণ যজ্ঞানুষ্ঠান করছেন সেদিকে দৃষ্টিপাত না করে একেবারে ভিতরে গমন করলেন।* *ও যাজ্ঞিকপত্নীগণের সম্মুখে দাঁড়ালেন।* *সখাগণ দেখলেন যাজ্ঞিক পত্নীগণ একত্র মিলিত হয়ে রন্ধনশালায় রন্ধন কার্য‍্য করছেন,এবং মহানন্দে কৃষ্ণ গুণগান করছেন।* *ব্রাহ্মণপত্নীগণ প্রত‍্যহই তাঁদের আবশ‍্যকীয় কর্ম সমাপন করে মধ‍্যাহ্নকালীন স্নানান্তে শুদ্ধ স্বচ্ছ বস্ত্র পরিধান ও শঙ্খ সিন্দুরাদি অলঙ্কালে ভূষিত হয়ে পাকশালার অলিন্দে বসে সকলে মিলে মনের আনন্দে কৃষ্ণকথা আলাপন করতেন।* *তাঁরা যদিও বা কোনদিন কৃষ্ণকে দর্শন করেন নাই।* *কারণ পূর্বে আর কৃষ্ণ সখাগণসহ মথুরা সীমান্তে আগমনও করেন নাই।* *তাঁদের কৃষ্ণ দর্শনের বাসনা কোথা হতে এলো?* *ব্রাহ্মণপত্নীগণ ব্রজবাসীর মুখে কৃষ্ণের সৌন্দর্য -মাধুর্য‍্য লীলা বালাসাদির কথা শুনে মনে মনে তাঁর শ্রীচরণে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ও একটি ভাবনা ছিল কবে দর্শন পাব।* *যখনই তাঁরা অবসর পেতেন তখনই কৃষ্ণকথা ছাড়া আন ভাবতেন না।* *এবং মনোদুঃখে কৃষ্ণের শ্রীচরণ দর্শন পাবার আশায় নয়নজলে বক্ষ ভাসাতেন।* *শ্রীকৃষ্ণ এই সমস্ত স্বচরণদর্শনাকাঙ্খিনী ব্রাহ্মণপত্নীগণকে কৃতার্থ করবার জন‍্যই আজ এই মথুরা সীমান্তে অশোকবনে গোচারণ করতে এসেছেন।* *এবংতাঁদের মনোআশা পূরণ করবার জন‍্যই অন্নভিক্ষা ছলে সখাগণকে তাঁদের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে নিজের আগমন বার্তা জানিয়ে ছিলেন।*

 *🌼বিরাম পদ🌼 আর পদ লিখিলাম না🌼*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^।
*যজ্ঞপত্নী অন্ন দিয়া,নয়ন ইঙ্গিত পাইয়া,*
    *নিজ গৃহে করিলা গমনে।*
*অন্ন পাইয়া বনমাঝে,আনন্দে রাখাল রাজে,*
     *সখাসহ বসিলা ভোজনে।।*
*অগ্রজ শ্রীবলরাম,কৃষ্ণ করি নিজ বাম,*
     *চৌদিকে বেড়িয়া সবসখা।*
*আনিয়া পলাশ পাত,বাড়িলা ব‍্যঞ্জনভাত,*
    *কি আনন্দ নাহি তার লেখা।।*
*খাইতে খাইতে সুখে,কেহ দেই কারু মুখে,*
    *বন‍্য ভোজন বনকেলি।*
*খাইতে খাইতে আগে,ব‍্যঞ্জন যে ভাল লাগে,*
    *প্রশংসি প্রশংসি ভাল বলি।।*
*কক্ষ তালি দিয়া দিয়া,ভুঞ্জয়ে আনন্দ হিয়া,*
    *সুখের সাগর মাঝে ভাসে।*
*ভোজন হৈল সায়,আচমন কৈল তায়,*
     *গুণ গায় এ উদ্ধব দাসে।।*

*🌻অসংখ‍্য যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণ মিলিত হয়ে মহাধূমধামে যজ্ঞ করছেন।* *যজ্ঞস্থলে শত শত বেদী,স্থন্ডিল(যজ্ঞের জন‍্য পরিস্কৃত সমতল জায়গা),হোমকুন্ড প্রভৃতি শোভা পাচ্ছে।* *অসংখ‍্য বেদবিদ ব্রাহ্মণ মিলিত হয়ে কেহবা বেদ মন্ত্র উচ্চারণ করছেন,যজ্ঞস্থল একেবারে বেদমন্ত্রে মুখরিত, কেহবা অগ্নিতে আহুতি প্রদান করছেন,কেহবা স্তুতি পাঠ করছেন,কেহবা সামগান করছেন।* *হোমধূম ও আহুতি গন্ধে পরিব‍্যাপ্ত।* 

*🌼সৌত্রামণী নামক একটি যজ্ঞ হয়,যাঁরা সৌত্রামণী নামক যজ্ঞে দীক্ষিত হন,তাঁদের অন্নই শাস্ত্রে অভক্ষ‍্য বলিয়া নির্ণীত আছে।* *কিন্তু যাঁরা সৌত্রামণী ব‍্যতীত অন‍্য কোনও যজ্ঞে দীক্ষিত হন,তাঁদের অন্ন সব সময়ে অভক্ষ‍্য নহে।* *অগ্নিসোমীয় পশুবধের পর তাঁদের অন্ন ভোজন করলে কোনও দোষ হয় না।* *কিন্তু এখানে যে যজ্ঞ হচ্ছে তা তো"আঙ্গিরস"যজ্ঞ।* *গোপবালকগণ দৈন‍্য,বিনয়,সদাচার, বেদবাক‍্য প্রদর্শন করে নানাভাবে যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণের কাছে অন্ন চেয়েছিল, কিন্তু তাঁরা নিজ অহঙ্কারে গোপবালকদের প্রতি কর্ণপাত না করে,আমি জ্ঞানী,বেদজ্ঞ বলে স্বয়ং অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ডের অধিপতিকে অপমান করেছেন।* *""যার নামে নিবেদন,অন্ন মাগে সেই জন,তাঁরে অন্ন না কৈল অর্পণ"",যারা ক্ষুদ্র লাভের আশায় বড় বড় কর্ম অনুষ্ঠান করে,এবং অল্পবুদ্ধি হয়েও নিজেকে বুদ্ধিমান বলে ধারণা করে,তাদের সেই নৈবেদ‍্য শ্রীকৃষ্ণ গ্রহণ করেন না।* *শ্রীকৃষ্ণ জীবগণকে কৃতার্থ করবার জন্য নরলোকে অবতীর্ণ হয়ে নরলীলার অনুসরণ করে অযাচিতভাবে করুণা বিতরণ করেন,কিন্তু মূঢ়(মুর্খ )গণ তাঁকে সামান্য মনুষ‍্যবুদ্ধিতে উপেক্ষা করে সেই করুণা লাভে বঞ্চিত হয়ে যায়।*যদিও ভগবান নরলীলাই করছেন,তথাপি তাতে যে অবশ্যই কিছু অসাধারণ বিশেষত্ব আছে তাহা মূঢ় ব‍্যক্তিগণের ধারণায় আসে না।* *""অবজানন্তি মাং মূঢ়া মানুষীং তনুমাশ্রিত"", অর্থ‍্যাৎ ভগবান যখন নরাকৃতি প্রকাশ করে নরলোকে লীলা করেন,তখন বিবেকহীন মূঢ়গণ তাঁকে সামান্য মানব মনে করে তাঁর বিশেষত্ব গ্রহণ করতে পারেনা।* 
*🌻যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণগণও তাঁর তত্ত্ব জানতে পারলেন না।* *যাঁর উদ্দেশ্যে যজ্ঞে চরু,পুরোডাসাদি সমর্পণ করেছেন,ভগবানের নাম শুনেও তাঁকে একমুঠো অন্ন দান করে কৃতার্থ হতে পারলেন না।*
*ধন‍্য মায়ার মোহিনীশক্তি,ধন‍্য অজ্ঞানতার মহাপ্রভাব,আর প্রেমভক্তির অভাব।*

*বিরাম পদের ব‍্যাখ‍্যা,*
*কৃষ্ণানুরাগিনী ব্রাহ্মণ-রমণীগণ নানাভাবে কৃষ্ণচরণে নিবেদন করে বললেন,হে কৃষ্ণ!আমরা আমাদের সকলকে ত‍্যাগ করে তোমার চরণে উপস্থিত হয়েছি।* *সুতরাং পতিগণ আমাদের গ্রহণ করবেন না।কৃষ্ণ বললেন,তোমরা নিশ্চিতরূপে ঘরে ফিরে যাও,তোমাদের পতিগণ তোমাদেরকে পরমাদরে গ্রহণ করবেন।* *(এইকথা বলে কৃষ্ণ মা যোগমায়াকে আহ্বান করলেন।)*
*🌻অঙ্গিরা ঋষি শাপ দিয়েছিলেন যে,পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ কর,এবং যখন গোকুলে শ্রীকৃষ্ণ অবতীর্ণ হবেন,* *তখনতাঁকে দর্শন মাত্র তোমাদের গোলোকে গতি হবে।*
*শ্রীকৃষ্ণ যোগমায়া শক্তি প্রভাবে তোমাদের ছায়ামূর্তি নির্মাণ করবেন,এবং সেই মূর্তি কিছুদিন ব্রাহ্মণ গৃহে থেকে আমাদের কাছে আসবে।* *তখন তোমরা সেই ছায়া মূর্তিতে আবার আমাদের পত্নী হতে পারবে।*

*🌻পদের ব‍্যাখ‍্যা🌻* বিরাম
*শ্রীকৃষ্ণ সখাগণকে বললেন,তোরা ক্ষুধায় কাতর হয়ে আমার কাছে কিছু খেতে চেয়েছিলি,বটু অন্ন চেয়েছিল, প্রেমফতী ব্রাহ্মণরমণীগণ পরমাদরে মস্তকে বহন করে এই অন্ন ব‍্যঞ্জনাদি নিয়ে এসেছে।* *অতএব আয় আর বিলম্ব না করে আমরা সকলে মিলে প্রেমবতী ব্রাহ্মণরমণীগণের প্রেমের দান গ্রহণ করি।* *এই বলে বলরাম এবং সমস্ত রাখালগণকে সারি সারি বসিয়ে শ্রীকৃষ্ণ সেই সমস্ত অন্ন ব‍্যঞ্জন সকলের মধ্যে পরিবেশন করলেন।* *একে অপরের মুখে তুলে দিয়ে মনের আনন্দে ভোজন করলেন।সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণও ভোজন করলেন।* *লীলা এখানেই রইল,বানান,ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয়।*
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
👇👇👇এই লিখনী 📚 PDF 📚 ক্লিক করুন 👇👇👇
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧               
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧










শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html