🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 🙏 প্রথম ভাগ 🙏 শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏 রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস 🙏 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/bokreshwar-charit.html

  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
            ꧁ শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত - প্রথম ভাগ 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
     🏠Home Page🏠⬇️⬇️🙏⬇️⬇️📚PDF গ্রন্থ📚
꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧   
  ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧

  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                ꧁ ১. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
সূচনা:-
জয় জয় শ্রীবৈকুণ্ঠনাথ গৌরচন্দ্র।
জয় জয় শ্রী দেবা বিগ্রহ নিত্যানন্দ।।
জয় জয় অদ্বৈত শ্রীবাস প্রিয়ধাম।
জয় গদাধর শ্রী জগদানন্দ প্রাণ।।
জয় শ্রীপারমানন্দ পুরীর জীবন।
জয় দামোদর স্বরূপের প্রাণধন।।
জয় বক্রেশ্বর পণ্ডিতের প্রিয়কারী।
জয় পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি মনোহারী।।
জয় জয় দ্বারপাল গোবিন্দের নাথ।
জীব প্রতি কর প্রভু শুভ দৃষ্টিপাত।।
(শ্রীচৈতন্য- ভাগবত)
শ্রীমদ্বক্রেশ্বর পণ্ডিত কলিযুগ - পাবনাবতার শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ দেবের অতি প্রিয় পারিষদ ছিলেন। তাহার মহিমা অপার ও অনন্ত। তাহার নাম স্মরণ মাত্রেই ত্রিভুবন পবিত্র হইয়া যায়।
যথা শ্রীচৈতন্য-ভাগবতে -----
বক্রেশ্বর পণ্ডিত চৈতন্য - কৃপাপাত্র।
ব্রহ্মাণ্ড পবিত্র যাঁর স্মরণেই মাত্র।।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ২. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
শ্রীপাদ বৈষ্ণবাচর্য্যগণ হিন্দুশাস্ত্রসমূহ মথিত করিয়া এই সারতত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন যে, শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু পূর্ণব্রহ্ম স্বয়ং ভগবান্। আর তিনি লীলার সহায় স্ব-পার্ষদগণ সহিত কলিযুগে নবদ্বীপ ধামে অবতীর্ণ হইয়াছেন।
হিন্দু ধর্ম্মের শাক্ত , শৈব, সৌর ও গাণপত্য সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যাক্তিগত অবতারবাদ মানেন না। কেবল বৈষ্ণব সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যাক্তিগত অবতারবাদ স্বীকার করেন। এবং অবতার তত্ব বৈষ্ণব ধর্ম্মের মূলভিত্তি স্বরুপ। তাঁহাদের মতে শ্রীভগবান্ কখন কখন এই মার্ত্ত্যভূমে মনুষ্য গণের মধ্যে মনুষ্যদেহ ধারণ করিয়া আসিয়া থাকেন এবং মনুষ্যের মত আচরণাদি করিয়া থাকেন। ইহাই শ্রীভগবানের অবতার লীলা। ভগবান্ প্রপঞ্চাতীত এবং মায়াতীত; বৈকুণ্ঠাদি ধাম তাঁহার নিত্য বিলাস-স্থল। তবে তিনি এই মায়াময় জগতে যে মধ্যে মধ্যে দেহ ধারণ করিয়া লীলা প্রকাশ করেন, তাহা কেবল নিথিল প্রাণীর নিশ্রেয়স- বিধানের জন্য। তিনি স্বয়ং শ্রীমদ্ভাগবদগীতায় নিজ সখা অর্জুনকে বলিয়াছেন যে, "" যখনই ধর্ম্মের গ্লানি উপস্থিত হয়, তখনই সাধুদিগের পরিত্রাণ জন্য ও দুষ্কৃতকারিগণের বিনাশ্বার্থ এবং ধর্ম্মসংস্থাপন নিমিত্তে আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।""
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ৩. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
যাঁহারা অবতারবাদ মানেন না, তাঁহারা ঐ ভগবদ্বাক্য সম্বন্ধে নানা তর্ক উত্থাপিত করিতে পারেন। তাঁহার বলিতে পারেন যে, ভগবান যখন সর্ব্বশক্তিমান্; যখন তিনি মনে করিলেই নিমেষ মধ্যেই কোটি কোটি ব্রহ্মান্ডের সৃষ্ঠি ও প্রলয় করিতে পারেন, তখন ধর্ম্ম- সংস্থাপন জন্য দেহ ধারণ করিয়া, দুষ্ট লোকদিগের বিনাশ করিবার নিমিত্তে অস্ত্রাদি ধারণ পূর্ব্বক সামান্য দেহীর মত কার্য্যক্ষেতে প্রবিষ্ট হইবার তাঁহার প্রয়োজন কি? এই প্রশ্ন সম্বন্ধে প্রয়োজন অপ্রয়োজন বিষয়ে কোন তর্কই উঠতে পারে না। তিনি কোন কার্য্য কি জন্য করেন, তাহা তিনিই জানেন; মায়া দ্বারা অভিভূত জীবের পক্ষে তাহা বুঝিয়া উঠা সহজ নহে এবং যে বিষয়ে মায়াভিভূত জীবের পক্ষে তর্ক দ্বারা কিছু মীমাংসা হইবারও সম্ভাবনা নাই। আমরা কেবল ইহাই বলিতে পারি যে, নরদেহ ধারণ করিয়া নরের মত কার্য্য দ্বারা ধর্ম্মসংস্থাপন করা তাহার নিজের ইচ্ছা; আমরা সে ইছাময়ের ইচ্ছার বিষয় কি বুঝিব? উপর্য্যুক্ত গীতেক্তি ভগবদ্ধাক্যে কেহ কেহ এরূপ তর্কও করিয়া থাকেন যে, যদি ধর্ম্মসংস্থাপন করাই ভগবানের অবতারের উদ্দেশ্য হয়, তাহা হইলে তিনি তাহা সংসীধিত করিবার জন্য অন্য কোন সাধু পন্থা ও সৎ উপায় অবলম্বন করিতেন; দুষ্টগণের বিনাশরূপ গহিত প্রাণী - হিংসা কার্য্য কখনই করিতেন না। 
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ৪. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
পূর্ব প্রশ্ন সম্বন্ধে যে কথা বলা হইয়াছে, এ প্রশ্ন সম্বন্ধেও ঐ উওর হইতে পারে। আরও বলা যাইতে পারে যে। ভগবান সমস্ত বিধি-নিষেধের অতীত। তাহার কার্য্যে বিধি-নিষেধের নিয়ম ঘটাতে পারে না। এতদ্ব্যতীত আমাদের বিবেচনার যাহা কার্য্যাকার্য্য, তাঁহার কৃত কর্ম্মের প্রতি সে নিয়ম কোন ক্রমেই প্রযোজ্য হইতে পারে না। সুতরাং অসুর-বিনাশকে গহিত কার্য্য বলিয়া ভগবানে দোষারোপ হইতেই পারে না। এবং তদ্ধেতুক তাহার অবতার লীলার প্রতি পন্ন হইতেছে। কারণ আমরা মায়িক উপাদানে গঠিত বলিয়া আমাদের মায়াভিভূতমনে বা চক্ষে উহা বিনাশ বলিয়া বোধ হইতেছে, কিন্তু জ্ঞানের চক্ষে বিনাশ বা মৃত্যু বলিয়া ঘটনাই নাই। ভাগবদগীতায়ও ভগবান্ তাহার সখা অর্জুনকে বলিয়াছেন যে, "যেমন মনুষ্য জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ পূর্ব্বক নতুন বস্ত্র গ্রহণ করেন, তদ্রুপ দেহী এই জীর্ণ দেহ পরিত্যাগ করিয়া অন্য অভিনব দেহ ধারণ করিয়া থাকে ।" যে জীব পূর্ব্ব-দেহ পরিত্যাগ পূর্বক পুণ্যকর্ম্ম ফলে দিব্যি দেহ পাইয়া সুখী থাকে,  মৃত্যু তাহার পক্ষে শ্রেয়স্কর ।

দুষ্কৃতকারিগণের এমন কোন পুণ্যকর্ম্ম-ফল হয়তো নাই, যদ্বারা তাহাদের এই মলিন পরিচ্ছদরূপ পাপ দেহের অন্ত হইলে অন্য কোন উৎকৃষ্ট দেহধারণে তাহার সক্ষম হইতে পারে; কিন্তু ভগবান হস্তে হত হওয়ায় তাহাদের আত্মার সদগতি হয়। অতএব ভগবান কৃপা-গুণেই তাহাদের মলিন পরিচ্ছদ রূপ পাপ-দেহ মোচন করিয়া তাহাদের আত্মার উন্নতিই করিয়া থাকেন।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ৫. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
যাহা হউক, এইরুপ তর্কবাদ ভগবানের অন্যান্য অবতার সম্বন্ধে উঠিলেও অপার-প্রেমময় গৌর-অবতার সম্বন্ধে আর কিছুতেই উত্থাপিত হইতে পারে না। এই অবতার তিনি দুষ্টলোকদিগকে এই রূপ অস্ত্র দমন করিয়া ধর্ম্মসংস্থাপন করেন নাই ; কেবল প্রেম-দান ও ভক্তি-শিক্ষা দিয়াই মলিন জীবগণকে উদ্ধার করিয়াছেন। বৈষ্ণবাচার্য্যগণের মতে ইহাই ভগবানের অবতারের মুল প্রয়োজন। তাঁহারা বলেন যে, বহির্মূখ জনগণকে রস আস্বাদন করিইয়া আত্মপরায়ণ করিবার জন্যই শ্রীভগবান্ মর্ত্ত্যভূমে অবতীর্ণ হইয়া থাকেন। ভুভার- হরণাদি ও অসুর বিনাশাদি কার্য্য যে সম্পন্ন করেন তাহা কেবল আনুযঙ্গিক মাত্র। 
যথা শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে ------
আনুযঙ্গ কর্ম্ম এই অসুর মারণ।
যে লাগি অবতার কহি সে মূল কারণ।।
প্রেমরস নির্যাস করিতে আস্বাদন।
রাগমার্গ ভক্তি লোকে করিতে প্রচারণ।।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ৬. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
শাস্ত্রে ভগবানের অবতারাবলি নানারূপ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে।  উহা পুরুষাবতার , লীলাবতার , গুণাবতার ভেদে ত্রিবিধ।  আবার মন্বন্তারাবতার, যুগাবতার , কল্পাবতার প্রভৃতিও বহুবিধি।  ঐ সকল অবতারাবলির মধ্যে কোন কোন অবতার ভগবান স্বয়ং-রূপ ও কোন কোন অবতার তিনি অংশ , কলা , আবেশ ও প্রকাশ স্বরূপ।  যেজন্য পূর্ণব্রহ্ম ভগবান্ স্বয়ং রূপে প্রকট হন, তাহার মূল কারণই ঐ বহির্মু্খ লোককে আত্মপরায়ণ করা।  আর অন্যান্য যে সকল আনুষঙ্গিক কার্য্য , তাহা অংশ , কলা প্রভৃতি অবতারের কার্য্য।  তবে ভূভার - হরণাদি  জন্য যখন ঐরূপ অংশ, কলা প্রভৃতি অবতার হন, তখন ভগবান্ পূর্ণরূপে অবতীর্ণ হইলে ঐ অংশাবতার, কলাবতার প্রভৃতি তাহাতে আসিয়া মিলিয়া থাকে।  
যথা শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে-----
স্বয়ং ভগবানের কর্ম্ম নহে ভার হরণ। 
স্থিতিকর্ত্তা বিষ্ণু করে জগৎ পালন।।
পূর্ণ ভগবান্ অবতারে যেই কালে। 
আর সব অবতীর আসি তাতে মিলে।।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ৭. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
শাস্ত্রে নির্ণীত হইয়াছে যে, ভগবানের বিবিধ অবতারাবলির মধ্যে দ্বাপর যুগে শ্রীব্রজেন্দ্রনন্দন শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণরূপে স্বয়ং ভগবান্, "কৃষ্ণেস্তু ভগবান্ স্বয়ং।" 
আরও বর্ণিত আছে যথা -------
ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ ।
অনাদিরাদির্গোবিন্দঃ সর্বকারণ-কারণং** ।।
(ব্রহ্মসংহিতা ৫/১)
অর্থাৎ -- সচ্চিদানন্দ শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর। তিনি সকলের আদি , কিন্তু তাঁহার আদি কেহ নাই; তিনি গোবিন্দ এবং সর্ব্বকারণ মায়ারও কারণ। 
কবিরাজ গোস্বামীও শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে বলিয়াছেন ----
স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ কৃষ্ণ সর্ব্বাশ্রেয়। 
পরম ঈশ্বর কৃষ্ণ সর্ব্ব শাস্ত্রে কয়।।
ঐ যে সচ্চিদানন্দ - বিগ্রহ গোবিন্দ অর্থাৎ সুরভীকুলের পরিপালক , সেই যশোদানন্দন শ্রীকৃষ্ণকে ব্রজবাসিগণ তাহাদের নিজজন  ও নিজায়ত্ত বলিয়া অনুভব করিতেন।  এবং তিনিই কলিযুগে নবদ্বীপ ধামে শ্রীচৈতন্য রূপে  অবতীর্ণ হইয়াছিলেন।
যথা -শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে-
সেই কৃষ্ণ- অবতারী ব্রজেন্দ্রকুমার।
আপনে চৈতন্য রূপে কৈল অবতার।।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ৮. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
কলিযুগ-পাবনাবতার শ্রীগৌরাঙ্গদেবই যে পূর্ণব্রহ্ম স্বয়ং ভগবান্ , সে সম্বন্ধে গৌরভক্ত বৈষ্ণবগণের অচল ও দৃঢ় বিশ্বাস; সুতরাং তাঁহারা আর সে বিষয়ের কোন শাস্ত্রীয় প্রমাণ বা যুক্তি চাহেন না। কিন্তু তাই বলিয়া যে, সে বিষয়ের কোন শাস্ত্রীয় প্রমাণ নাই, তাহা বলিবার যো নাই। ভাগবত পুরণাদি ও তন্ত্রাদি বিবিধ শাস্ত্রে শ্রীভগবানের গৌর অবতারের ভূরি ভূরি প্রমাণ বিবিধ বৈষ্ণব শ্রীগ্রন্থাদিতে পুনঃ পুনঃ উল্লেখিত ও আলোচিত হইয়াছে।

সে সকলের আর এস্থলে পুনরালোচনা করা তত আবশ্যক নাই; কেবল মাত্র দুই চারটি প্রমাণের উল্লেখ করা যাইতেছে ---

শ্রীমদ্ভাগবতের ১০ স্কঃ, ৮ অঃ ,৯ শ্লোক যথা ----
আসন্ বর্ণাস্ত্রয়ো হ্যস্য গৃহ্ণতোহনুযুগং তনূঃ।
শুক্লো রক্তাস্তথা পীত ইদানিং কৃষ্ণতাং ইতঃ।।
শ্রীকৃষ্ণের নামকরণকালে গার্গাচার্য্য নন্দকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছিলেন, হে নন্দ! তদীয় এই পুত্রটি প্রতিযুগেই দেহ ধারণ করিয়া থাকেন। ইহার শুক্ল, লোহিত ও পীত এই ত্রিবিধ বর্ণ হইয়াছিল, অধুনা (দ্বাপরে) ইনি কৃষ্ণত্ব - প্রাপ্ত হইয়াছেন।

শ্রীপাদ কবিরাজ গোস্বামীও এই শ্লোকটির অবলম্বনে, ইহার অর্থ শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে লিখিয়াছেন। যথা -----
শুক্ল রক্ত পীত বর্ণ এই তিন দ্যুতি।
সত্য ত্রেতা কলিকালে ধরেন শ্রীপতি।।
ইদানী দ্বাপরে ঞিহো হৈলা কৃষ্ণবর্ণ।
এই সব শাস্ত্রাগম পুরাণের মর্ম্ম।।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ৯. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
সন্ন্যাসকৃচ্ছমঃ শাস্তো নিষ্ঠাশান্তিপরায়ণঃ ॥ 

ঐ বৈশাস্পায়নোক্ত বাক্য শ্রীচৈতন্যলীলায় যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপন্ন হইতেছে । অর্থাৎ প্রথম শ্লোকার্দ্ধটীতে সুরর্ণ বর্ণ প্রভৃতি চারিটী ' নাম শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আদি লীলার 
ও দ্বিতীয় শ্লোকার্দ্ধটীতে সন্ন্যাসক্বৎ হইতে শেষের চারিটা নাম শ্রীচৈতন্যের অন্ত্য লীলায় যে কিরূপ প্রযোজ্য , তাহা আর 
গৌরভক্তগণের বুঝিতে বাকি নাই এবং ভক্ত ছাড়া যাঁহারা শ্রীগৌরাঙ্গদেবের জীবন - কাহিনী কিছু কিছু অবগত আছেন , তাঁহারাও উপলব্ধি করিতে পারিবেন । 

ঐ মহাভারতীয় সহস্রনাম স্তোত্র সম্বন্ধে শ্রীমদ্বেদান্তাচাৰ্য্য বলদেব বিদ্যাভূষণ স্বপ্রণীত “ নামার্থ - সুধাভিধ ” ভাষ্য মধ্যে কয়েকটী শ্রুতিবচন দ্বারাও দেখাইয়াছেন যে “ সুবর্ণবর্ণো হেমাঙ্গঃ ” ইত্যাদি শ্লোকার্দ্ধ  ও “ সন্ন্যাসকৃচ্ছমঃ শান্তো ” ইত্যাদি শ্লোকার্দ্ধ শ্রীচৈতন্যদেবের অবতারত্ব অতি সুন্দররূপে ও স্পষ্টরূপে সপ্রমাণ করিতেছে । তাঁহার উদ্ধৃত একটী শ্রুতির অর্থ এই ---

“ বৈবস্বত মনুর সপ্তম মন্বন্তরে কলির প্রথম সন্ধ্যায় ভগবান্ নিজ আহ্লাদিনী - শক্তির সহিত একীভূত হইয়া স্বপার্ষদগণের সহিত অবতীর্ণ হত্তত স্বমন্ত্র- হরে কৃষ্ণ নামাদি প্রচারে জনসকলকে কৃতার্থ করিবেন । ” 
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১০. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
আর একটা উদ্ধৃত শ্রুতিবচনের অর্থ । যথা— 
“ ইহার পর কলিযুগের চারিসহস্র বৎসর গতে পঞ্চসহস্র বৎসরের মধ্যে ভাগীরথী - তীরে ব্রাহ্মণ - কুলে মহাবিষ্ণুর প্রার্থনানুসারে আমি সৰ্ব্বলক্ষণযুক্ত সুদর্শন দীর্ঘ গৌরাঙ্গরূপে আবির্ভূত হইয়া | বিদ্যা - বিনয়াদি ও বৈরাগ্য - সম্পন্ন এবং সকল বিষয়ের কামনা - শূন্য হইয়া সন্ন্যাসিমূর্তি ধারণানন্তর ভক্তভাব অঙ্গীকারপূর্ব্বক রসাস্বাদন করিব । সেই সময়ে জনসমাজে মিশ্র বলিয়া বিদিত হইব ” । 

তথাহি শ্রীমদ্ভাগবতে ১১ স্কঃ, ৫ অঃ , ২৯ শ্লোক ---
কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্ৰপার্ষদং না। 
যজ্ঞৈঃ সংকীৰ্ত্তনপ্রায়ৈৰ্যজন্তি হি সুমেধসঃ ॥
 ‘ অস্বার্থঃ — করভাজন বলিয়াছিলেন , হৈ পৃথ্বীপতে ! কৃষ্ণবর্ণ , ইন্দ্রনীলমণিবৎ জ্যোতিঃসম্পন্ন এবং অঙ্গ , উপাঙ্গ , অস্ত্র ও পার্ষদ সমন্বিত হইয়া ভগবান্ যৎকালে অবতীর্ণ হয়েন , বিবেকী মানবগণ তৎকালে নামসংকীৰ্ত্তনরূপ যজ্ঞদ্বারা তাঁহার পূজা করিয়া থাকেন । 
আগম ও পুরাণাদিতে গৌরাবতারের প্রমাণের অভাব নাই । 
গৌরভক্ত গ্রন্থকার শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সঙ্কলিত “ যুগাবতার ” নামক গ্রন্থে অনেকগুলি শাস্ত্রীয় ' বচন উদ্ধৃত করা হইয়াছে । পাঠক মহোদয়গণের মধ্যে যাঁহাদের জানিতে ইচ্ছা হইবে , উক্ত গ্রন্থখানির ঐ অংশ তাঁহারা পাঠ করিয়া দেখিবেন । 

ঐ সকল শাস্ত্রবচন দ্বারা জান । যাইতেছে যে , কলিযুগের ধৰ্ম্ম কৃষ্ণনাম - কীৰ্ত্তন , “ এবং ভগবান্ পীতবর্ণ ধারণ পূর্ব্বক অবতীর্ণ হইয়া ঐ যুগধর্ম্ম সংস্থাপন করিবেন । যুগধৰ্ম্ম সম্বন্ধে শাস্ত্রে স্পষ্ট বর্ণিত আছে যে , সত্যযুগের ধর্ম্ম — ধ্যানাদি ; ত্রেতা যুগের ধর্ম্ম — যাগযজ্ঞাদি ; দ্বাপরের ধর্ম - কৃষ্ণের অর্চ্চনাদি , এবং কলিযুগের ধর্ম্ম — হরিনাম সংকীর্তন ।
    ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১১. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
ধ্যায়ন্ কুর্তে যজন্ যজ্ঞৈস্ত্রেতায়াং দ্বাপরেহর্চ্চয়ন্ । যদাপ্নোতি তদাপ্নোতি কলৌ সংকীৰ্ত্ত্য কেশবং ॥ 

কৃতে যদ্ধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজতো মখৈঃ ৷ 
দ্বাপরে পরিচর্য্যায়াং কলৌ তদ্ধৱিকীৰ্ত্তনাৎ ॥ 

কিন্তু যুগধৰ্ম্ম - সংস্থাপন শ্রীচৈতন্যের অবতারের উদ্দেশ্য হইলেও উহা আনুষঙ্গিক মাত্র ছিল । 
যেমন কৃষ্ণাবতারের একটা মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল— বহির্মুখ লোকদিগকে আত্মপরায়ণ করা , সেইরূপ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যও পূর্ণ ভগবান্ , তাঁহারও একটী মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল — নিজে প্রেমের সারাংশ আস্বাদন আর লোকমধ্যে রাগমার্গে ভক্তিপ্রকাশ । যেমন ব্রহ্মাদি দেবগণের প্রার্থনানুসারে শ্রীকৃষ্ণাবতারে অসুর বিনাশাদি যে সকল কাৰ্য্য হইয়াছিল , তাহা ভগবানের অবতারের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না , কেবল প্রসঙ্গাধীন মাত্র বুঝিতে হইবে ; সেইরূপ শ্রীচৈতন্যাবতারেও যুগধর্ম্ম - প্রবর্ত্তন তাঁহার মুখ্য কৰ্ম্ম নহে — তবে যুগধৰ্ম্ম  কাল উপস্থিত হওয়ায় তাহাতে মিলিত হইয়াছিল মাত্র । ঐ যে মুখ্য উদ্দেশ্য , তাহাই সাধিত করিবার জন্য শ্রীমন্মহাপ্রভু ভক্তকুল সহিত অবতার গ্রহণ করিয়া স্বয়ং প্রেমাস্বাদন করেন ও লোকমধ্যে নাম - সংকীর্তন প্রকাশ করেন । কবিরাজ গোস্বামী শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে লিখিয়াছেন । 
যথা— 
এইমত চৈতন্য কৃষ্ণ পূৰ্ণ ভগবান । 
যুগধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তন নহে তাঁর কাম ৷। 
কোন কারণে যবে হৈল অবতারে মন । 
যুগধর্ম্ম কালের হৈল সে কালে মিলন ।।
এই হেতু অবতারি লৈঞা ভক্তগণ।
আপনে আম্বাদে প্রেম নামসংকীৰ্ত্তন ।।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১২. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
ভগবান্ নিজে এই অবতারে ভক্তভাব স্বীকার করিয়া নিজে
রসাস্বাদন করিয়াছেন তাহার কারণ আর কিছুই নহে, কেবল নিজে আচরণ পূর্ব্বক লোকশিক্ষা দিবার জন্য। শাস্ত্রেও বর্ণিত আছে যে, নিজে ধর্মাচরণ না করিলে অপরকে ধর্ম্মশিক্ষা দেওয়া যায় না। শ্রীকবিরাজ গোস্বামীও শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে মহাপ্রভুর নিজের উক্তিস্বরূপে এই কথা দৃঢ় করিয়া বর্ণন করিয়াছেন। যথা—
আপনি করিব ভক্তভাব অঙ্গীকারে ।
আপনি আচরি ধর্ম্ম শিখার সভারে ॥
আপনে না কৈলে ধৰ্ম্ম শিখান না যায়।
এই তো সিদ্ধান্ত গীতা ভাগবতে গায়।।

এক্ষণে দেখা গেল যে, শ্রীকৃষ্ণচৈত্যদেব যে সাক্ষাৎ পূর্ণব্রহ্ম
স্বয়ং ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ, সে বিষয়ে শাস্ত্রীয় প্রমাণের অভাব
নাই ; এবং তাঁহার অলৌকিক কাৰ্য্যাদি দেখিলেও সে বিষয়ে আর কিছু মাত্র সন্দেহ থাকিতে পারে না। এই জন্য শ্রীপাদ কবিরাজ গোস্বামী শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে লিখিয়াছেন যে, এই সকল দেখিয়াও যে ব্যক্তির শ্রীগৌরাঙ্গের অবতারত্বে সন্দেহ
হয়, সে ব্যক্তি মনুষ্যমধ্যে গণ্য হইবার যোগ্য নহে। 
যথা—
ভাগবত ভারত শাস্ত্র আগম পুরণ।
চৈতন্য কৃষ্ণ অবতারের প্রকট প্রমাণ ॥
প্রত্যক্ষ দেখহ নানা প্রকট প্রভাব ।
অলৌকিক কৰ্ম্ম অলৌকিক অনুভাব ৷
দেখিয়া না দেখে যত অভক্তের গণ।
উলূকে না দেখে যেন সূর্য্যের কিরণ ॥
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১৩. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
অন্যত্র, শ্রীকরিরাজ গোস্বামী শ্রীচৈতন্যদেব সম্বন্ধে বর্ণন করিয়াছেন। যথা----
কলিযুগে যুগধর্ম্ম নামের প্রচার ।
তথি লাগি পীতবর্ণ চৈতন্যাবতার ॥
তপ্ত হেম সম কান্তি প্রকাণ্ড শরীর ।
নব মেঘ জিনি কণ্ঠ-নিস্বন গম্ভীর ॥
দৈর্ঘ্যে বিস্তারে যেই আপনার হাতে ।
চারি হস্ত হয় মহাপুরুষ বিখ্যাতে ॥
ন্যগ্রোধপরিমণ্ডল হয় তার নাম ।
ন্যগ্রোধপরিমণ্ডল-তনু চৈতন্য গুণধাম ॥
আজানু লম্বিত ভুজ কমল লোচন ।
তিল ফুল সম নাসা সুধাংশুবদন ॥
শান্ত দান্ত নিষ্ঠা কৃষ্ণভক্তিপরায়ণ।
ভক্তবৎসল সুশীল সৰ্ব্বভূতে সম ॥
চন্দনের অঙ্গদ বালা চন্দন ভূষণ ৷
নৃত্যকালে পরি করে কৃষ্ণসংকীর্ত্তন ৷
এই সব গুণ লৈয়া মুনি বৈশম্পায়ন।
সহস্র নামে কৈল তাঁর নাম গণন ॥
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১৪. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
বন্দে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য-প্রেমামরতরোঃ প্রিয়ান্ ।
শাখারুপান্ ভক্তগণান্ কৃষ্ণপ্রেমফলপ্রদান্ ॥
অস্যার্থঃ: — শ্রীকৃষ্ণচৈতনরূপ কল্পতরুর কৃষ্ণপ্রেম-ফলদাতা, অতি প্রিয়, শাখারূপ ভক্তদিগকে বন্দনা করি।

পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, ভগবান্ যখন অবতার হন, তখন তিনি লীলাপরিকরগণ —নিজ সাঙ্গোপাঙ্গ ভক্তগণের সহিতই অবতীর্ণ হইয়া থাকেন। গৌরাবতারেও ঐরূপ হইয়াছিলেন ; যথা—
সৰ্ব্ব অবতারের সকল ভক্ত লৈয়া।
বৃন্দাবনচন্দ্র গৌর বিহরে নদীয়া ॥
(ভক্তিরত্নাকর)

ভগবানের ভক্তগণ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত ; পারিষদ আর সাধক। যথা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে—
সেই ভক্তগণ হয় দ্বিবিধ প্রকার।
পারিষদগণ এক, সাধকগণ আর ॥

যাঁহারা ভগবানের নিত্যসেবক বিশুদ্ধসত্ত্বতনু, তাঁহাদের
নাম পারিষদ; এবং যাহারা সাধনপ্রণালী দ্বারা ভগবানের ভজনাকারী, তাঁহাদের নাম সাধক। শ্রীচৈতন্য দেবের ঐ পারিষদগণ তাঁহার পাদপদ্মের ভ্রমর স্বরূপে অহর্নিশ মনের সাধ মিটাইয়া সেই চরণ-সুধা গান করিয়া কৃতার্থ হইতেন। এবং যে প্রেমরস জীবগণকে আস্বাদন করাইবার জন্য মহাপ্রভু নবদ্বীপে অবতার হইয়াছিলেন, সেই প্রেমফল তিনি নিজেও ঐ সকল ভক্ত গণের দ্বারা অকাতরে বিতরণ করিয়াছিলেন।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১৫. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
এজন্য বৈষ্ণব ধর্ম্মের শ্রীগ্রন্থাদিতে গৌরাঙ্গদেবকে তক্তি কল্পতরু এবং ঐ সাঙ্গোপাঙ্গ ভক্তগনকে শাখারূপে বর্ণিত করিয়াছেন। ঐ তরুর প্রধান দুইটী স্কন্ধ ছিলেন—প্রভু অদ্বৈত ও প্রভু নিত্যানন্দ; এবং ঐ স্কন্ধদ্বয়ের শিষ্য-প্রশিষ্য-ক্রমে বহুতর শাখা-প্রশাখায় জগৎ ব্যাপ্ত হইয়াছে। আরও প্রধান প্রধান পারিষদগণ-রূপমূল-শাখাগণেরও ঐরূণ শাখা-প্রশাখায় পৃথিবী ছাইয়াছে। ঐ মূল-শাখাগণের মধ্যে শ্রীপণ্ডিত বক্রেশ্বর একটী বৃহৎ শাখা বলিয়া পরিগণিত।
ঐ পণ্ডিত প্রভু শ্রীমন্মহাপ্রভুর অতি অন্তরঙ্গ ও প্রিয় ভক্ত
ছিলেন। তাঁহার মহিমা সম্বন্ধে শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতোক্ত নিম্ন 
লিখিত মহাপ্রভুর নিজ বচনটী উদ্ধৃত করা গেল ;  যথা—
প্রভু বলে তুমি মোর পক্ষ এক শাখা ।
আকাশে উড়িতাম যদি পাঙ আর পাখা।।

শ্রীচৈতন্য দেবের অতি অন্তরঙ্গ ভক্ত শ্রীকবি কর্ণপূর স্বরচিত
শ্রীচৈতন্যচন্দ্রোদয় নাটকে একটী শ্লোক দ্বারা চৈতন্যকল্পতরুর ও শাখাগণের যেরূপ বর্ণন করিয়াছেন, তাহার অর্থ এই ;  যথা—
“যতিমুকুটমণি মুনিবর মাধবাচার্য্য যাহার মূল, শ্রীযুক্ত অদ্বৈত প্রভু যাঁহার অঙ্কুর, ভুবন বিখ্যাত অবধূত শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু যাহার স্কন্ধ, শ্রীবক্রেশ্বরাদি পণ্ডিতগণ যাঁহার মূলশাখা, যাঁহার সর্ব্বাঙ্গ মধুর রসে পরিপূর্ণ, সুবিস্তীর্ণ ভক্তিযোগ র্যাহার কুসুম, অকৈতব প্রেম যাহার ফল :।”
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১৬. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
ঐ শ্রীগ্রন্থে ঐ কল্পবৃক্ষের শাখাগণের মাহাত্ম্য আর একটা শ্লোকে বর্ণিত হইয়াছে'; অর্থ যথা—“যাহার শাখা সকল ব্রহ্মানন্দ ভেদ করিয়া বিরাজিত হইতেছে, যাহাতে রাধাকৃষ্ণ নামক লীলাময় থগ-মিথুন অভিন্ন ভাবে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে, যাহার ছায়া গ্রহণ করিলে সংসারপথের পথশ্রান্তি এককালে দূর হইয়া যায়, ভক্তগণের অভীষ্টদাতা সেই চৈত্যরূপ কল্পবৃক্ষ এই অবনীমণ্ডলে অবতীর্ণ হইয়াছেন।” অহো ! জীবের বহুভাগ।-ফলেই চৈতন্তাবতারের প্রকাশ। কি দয়ার ঠাকুরই অবনীতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন ! জীবগণ ভক্তিরূপ অমৃত-ফল না চাহিলেও মহাপ্রভু ও তাহার পারিষদ ও ভক্তগণ যাচিয়া যাচিয়া যে ফল বিলাইতেন ও মলিন জীবকে তাহার রসাস্বাদন করাইয়া অজর ও অমর করিতেন। শ্রীচৈতন্য তন্যরূপ কল্পবৃক্ষের মূল, স্কন্ধ-শাখা, উপশাখা প্রভৃতি সৰ্ব্বস্থানেই ঐ প্রেমফল প্রচুর পরিমাণে ফলিয়াছে; 

যথা—চৈতন্যচরিতামৃতে—
উড়ম্বর বৃক্ষ যৈছে ফলে সব অঙ্গে ।
এই মত ভক্তি-বৃক্ষ সর্ববত্র ফল লাগে ॥

মহাপ্রভু নিজে তো যত পারিলেন, ততই ঐ প্রেমফল
বিলাইলেন এবং শাখাগণকেও ঐরূপ অকাতরে বিলাইতে আজ্ঞা দিলেন। এবং ভক্তগণও প্রভু-আজ্ঞা অনুসারে আনন্দে গদ্‌গদ হইয়া প্ৰেমফল দান করিয়া জীব-উদ্ধার-কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন। 

শ্রীকবিরাজ গোস্বামী লিখিয়াছেন, যথা—
এক মালাকার আমি কাঁহা কাঁহা যাব ।
একলা বা কত ফল পাড়িয়া বিলাব ।।
একলা উঠাঞা দিতে হয় পরিশ্রম।
কেহ পায় কেহ না পায় রহে এই ভ্রম ।।
অতএব আমি আজ্ঞা দিল সবাকারে।
যাঁহা তাঁহা প্ৰেমফল দেহ যারে তারে ।।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১৭. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
তখন-
এই আজ্ঞা কৈল যবে চৈতন্য মালাকার ।
পরমানন্দ পাইল তবে বৃক্ষ-পরিবার ॥
যেই যাহা তাহা দান করে প্রেমফল।
প্রেম ফলাস্বাদে সুখে ব্যাপিল সকল ।।

শ্রীচৈতন্যরূপ কল্পবৃক্ষের শ্রীবক্রেশ্বর পণ্ডিতরূপ-মূল-শাখার অমৃত ফল খাইয়া কত কত জনে যে উদ্ধার হইয়া গিয়াছে, তাহার সংখ্যা কে করিবে? যাহাকে তিনি কৃপা করিয়াছেন, সে অতি-বড় পাষণ্ডী হইলেও কৃষ্ণপ্রেম প্রাপ্ত হইয়া অনায়াসে ভববন্ধন ছিন্ন করিতে সক্ষম হইয়াছে। এবং যে স্থানে তিনি কৃপা করিয়া কিছু দিনের জন্যও অবস্থিতি করিয়াছেন, সে স্থানের মহিমা আর কি কহিব, তাহা পরম পবিত্র তীর্থ হইয়া রহিয়াছে । শ্রীচৈতন্যভাগবতে শ্রীবক্রেশ্বর পণ্ডিতের মহিমা সম্বন্ধে শ্রীমন্মহাপ্রভুর নিজের উক্তি এইরূপে বর্ণিত হইয়াছে, 
যথা—
যে তে স্থানে যদি বক্রেশ্বর সঙ্গ হয়।
সেই স্থান সর্ববতীর্থ শ্রীবৈকুণ্ঠময় ৷৷

শ্রীগৌরাঙ্গরূপী শ্রীভগবানের পারিষদগণ মধ্যে শ্রীবক্রেশ্বর পণ্ডিত প্ৰভু অদ্বিতীয় ও সৰ্ব্বপ্রধান ছিলেন। অবশ্য, ভগবানের অন্তরঙ্গ ভক্ত ও নিত্য সেবকগণের মধ্যে ছোট বড় কেহ নাই, কারণ তাঁহারা সকলেই সেই পাদপদ্মের মধুপসদৃশ। কবিরাজ গোস্বামীও শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে বলিয়াছেন যে—
দ্বিতীয় অধ্যায়।
চৈতন্য গোসাঞির যত পারিষদচয় |
গুরু লঘু ভাব কার না হয় নিশ্চয় ৷৷
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১৮. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
আর যদিও তাঁহাদের মধ্যে ছোট বড় কেহ থাকেন, তাহা বিচার করিবার ক্ষমতা আমাদের মত সাধারণ মনুষ্যের থাকিবার সম্ভাবনা নাই এবং তাহা বিচার করিতে যাওয়াও মহাদোষ। শ্রীকবিরাজ গোস্বামীই স্বয়ং উক্ত শীগ্রন্থে বলিয়াছেন ---------
কেহ না করিতে পারে জ্যেষ্ঠ লঘু ক্রম ।।

তবে কোন কোন বিশেষ বিষয় বিবেচনা করিয়া ভক্তবর গৌরগত-প্রাণ 'শ্রীযুক্ত শিশির কুমার ঘোষ মহাশয় তাঁহার রচিত অমূল্য গ্রন্থ “অমিয় নিমাই চরিতের” এক স্থানে তাঁহাকে মহাপ্রভুর ভক্তগণ মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান ও অদ্বিতীয় বলিয়া বর্ণন করিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন—
“গৌর অবতারে নৃত্যকারী দুই জন, সুন্দর পুরুষ চারি
জন। সুন্দর পুরুষের মধ্যে সৌন্দর্য্যে সর্ব্বাপেক্ষা প্রধান শ্রীগৌরাঙ্গ, তাঁহার নীচে শ্রীগদাধর, তাঁহার নীচে শ্রীবক্রেশ্বর ও রঘুনন্দন। নৃত্যকারীর মধ্যে দুই জন প্রধান। প্রথম শ্রীগৌরাঙ্গ, দ্বিতীয় শ্রীবক্রেশ্বর। অতএব নৃত্য ও সৌন্দর্য্যে বক্রেশ্বর অদ্বিতীয় ; প্রভুর ভক্তগণ মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান।”
শ্রীপণ্ডিত বক্রেশ্বর প্রভুর কলিযুগের জন্ম সন্বন্ধে মহিমার বিষয় সংক্ষেপতঃ কিছু বলা হইল, কিন্তু তিনি যে কত বড় বস্তু ছিলেন, তাহা সম্যক্ হৃদয়ঙ্গম করিতে হইলে তাহার পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব জন্মসম্বন্ধে যথাসাধ্য কিঞ্চিৎ বর্ণন করা প্রাসঙ্গিক হইতেছে। ভগবানের কোন এক অবতার কালে কোন্ কোন্ পারিষদ বা ভক্ত, পূর্ব্ববর্ত্তী অবতারের কোন্ কোন্ পারিষদের প্রকাশ রূপে জন্ম গ্রহণ করেন, তাহা স্থির করা সাধারণ জীবের সাধ্যায়ত্ত নহে । এক শ্রীভগবান্‌ই তাহা জানেন, আর তাঁহার বিশেষ কৃপাপাত্র কোন ভক্ত ভিন্ন আর কেহই এই বিষয় বলিয়া দিতে সক্ষম নহেন। আর ঐরূপ ভক্তও কি নিজ শক্তিতে তাহা জানিতে পারেন ? ভগবান্‌ই তাঁহার প্রতি শক্তি সঞ্চার করিয়া তাঁহাকে উপলক্ষ মাত্র করতঃ ঐ গুরু রহস্ত, সাধারণ সেবক ও ভক্তবৃন্দের প্রতি স্বয়ংই প্রকাশ করিয়া দিয়া থাকেন! গৌর অবতারেও যে সকল লীলা-পরিকরগণ অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, তাঁহারা পূর্ব্ব পূর্ব্ব অবতারে কোন্ কোন্ পারিষদ বা সাধকের প্রকাশরূপে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহা মহাপ্রভুর ঐরূপ বিশেষ কৃপাপাত্র ভক্তগণ দ্বারা নির্ণীত হইয়াছে, এবং তাঁহাদের দয়া দ্বারাই আমরা জানিতে পারিয়াছি যে, শ্রীপণ্ডিত বক্রেশ্বর প্রভু সাক্ষাৎ অনিরুদ্ধের প্রকাশ
ছিলেন। এবং কেবল তাহাও নহে; শ্রীকৃষ্ণের দ্বাপর-লীলায় শ্রীবৃন্দাবনেশ্বরী শ্রীমতী রাধিকার প্রধান সখীগণের মধ্যে যিনি শশিরেখা নামে অভিহিতা ছিলেন, শ্রীবক্রেশ্বর প্রভু তাঁহারও প্রকাশরূপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। এবং কোন কোনমতে তিনি ব্রজের তুঙ্গবিদ্যানাম্নী শ্রীরাধিকার অপরা প্রিয়-পরিচারিকার প্রকাশ ছিলেন।
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ১৯. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
পূৰ্ব্বাধ্যায়ে বলা হইয়াছে যে, ভগবানের কোন্ কোন্ অবতারের কোন্ কোন্ পার্ষদ পরবর্তী অবতারে কি কি মূর্তিতে প্রকাশ হয়েন, তাহা কেবল ভগবানের কৃপাপাত্র কোন ভক্ত ভিন্ন। সাধারণ লোকের জানিবার সম্ভাবনা নাই। কলিযুগ পাবনাবতার শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গদেবের লীলার সময় তাহার ঐরূপ প্রিয় ও শক্তিমান্ কৃপাপাত্র ভক্ত একজন জন্মগ্রহণ করিয়া ছিলেন—ইনি শ্রীকবি কর্ণপূর। তিনি গৌরগণোদ্দেশদীপিকা নামে এক থানি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন, তাহাতে শ্রীমন্মহাপ্রভুর গণসমূহের পূর্ব্ব জন্ম নির্ণীত হইয়াছে। ঐ শ্রীগ্রন্থ হইতে মানা যায় যে, শ্রীপণ্ডিত বক্রেশ্বর প্রভু সাক্ষাৎ অনিরুদ্ধের প্রকাশ ছিলেন। ঐ শ্রীগ্রন্থে বর্ণিত হইয়াছে, যথা—
বৃহস্বর্য্যোঽনিরুদ্ধো বঃ স বক্রেশ্বরপতিঃ ।
কৃষ্ণাবেশজ-নৃত্যেন প্রভোঃ সুখ-মজীজনৎ |
যিনি তুৰ্যব্যূহ অনিরুদ্ধ, তিনিই বক্রেশ্বর পণ্ডিত। তিনি
শ্রীকৃষ্ণাবেশ বশে সর্ব্বদা নৃত্য করিয়া মহাপ্রভুর সুখ সম্পাদন করিতেন। শ্রীভক্তমাল নামে আর একথানি বঙ্গীয় বৈষ্ণব শ্রীগ্রন্থেও লিখিত আছে, যথা—
ব্যূহ চতুর্থ অনিরুদ্ধ ভক্তি শক্তিমান্ ।
বক্রেশ্বর পণ্ডিত যেঁহো প্রেমের নিধান ॥
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ২০. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
বৈষ্ণবাচারদর্শণ নামক পুস্তকে, যথা-------
কৃষ্ণব্যূহ অনিরুদ্ধ আছিল পূর্ববকালে।
বক্রেশ্বর গণ্ডিত গোঁসাই জানিহ একালে ।
এক্ষণে অনিরুদ্ধ বস্তুটা কি, তদ্বিষয়ে দু' একটা শাস্ত্রীয়
কথার প্রসঙ্গাধীন অবতারণা করা যাইতেছে।
পরব্যোমগতি শ্রীমন্ নারায়ণের বিবিধ অবতারের মধ্যে পূর্ব্বে যে পুরুষাবতারের কথা বলা হইয়াছে, অনিরুদ্ধ সেই পুরুষাবতারের অন্তর্গত। পরমেশ্বরের আদ্য অবতারই “পুরুষ” বলিয়া অভিহিত। এই পুরুষাবতার দ্বারা সৃষ্টিলীলা কাৰ্য্য সম্পাদিত হইয়া থাকে। সেই পুরুষাবতার চতুর্বিধ। শাস্ত্রে ইহার অভিধান চতুৰ্ব্ব্যূহ। এই চতুৰ্ব্ব্যূহের নাম বাসুদেব, সঙ্কর্ষণ, প্রদ্যুম্ন ও অনিরুদ্ধ। যেমন কোন রণক্ষেত্রে যিনি সৈন্যাধ্যক্ষ, তিনি ব্যূহাভ্যন্তরে অবস্থিতি পূর্ব্বক অবাধে যুদ্ধ কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া থাকেন, সেইমত ভগবান্ ঐ চারিব্যূহ দ্বারা অর্থাৎ নিজের চারি অংশ দ্বারা অর্থাৎ বাসুদেবরূপে, সঙ্কর্ষণরূপে, প্রদ্যুম্নরূপে, এবং অনিরুদ্ধরূপে সৃষ্টিলীনা করিয়া থাকেন। কবিরাজ গোস্বামীও শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে লিথিয়াছেন, যথা—
আপনে করেন কৃষ্ণ লীলার সহায়।
সৃষ্টিলীলা কার্য্য করে ধরি চারি কায় ।
শাস্ত্রে বর্ণিত হইয়াছে যে, যিনি আদিব্যূহ বাসুদেব, তিনি
চিত্তে উপাস্য, যেহেতুক তিনি চিত্তের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা।
শ্রীসঙ্কর্ষণ ইহারই স্বাংশ অর্থাৎ বিলাস । ইনি মহত্তত্বের সৃষ্টি-কর্তা—সকল জীবের প্রাদুর্ভাবের আস্পদ। 
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ২১. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
শ্রীপ্রদ্যুম্ন ইহারই বিলাসমূর্তি। ইনি ব্রহ্মান্ডের অর্থাৎ সমষ্টির অন্তধামী। বুদ্ধিমানেরা বুদ্ধিতত্বে এই প্রদ্যুম্নের উপাসনা করিয়া থাকেন। ইনি বিধাতা-স্বরূপে সৃষ্টি কার্য্য সম্পাদন করেন। চতুর্থব্যুহ অনিরুদ্ধ ইঁহারই বিলাসমূর্তি। মনীষিগণ মনস্তত্বে এই অনিরুদ্ধের উপাসনা করেন–ইনি সর্ব্বভূতের অর্থাৎ ব্যষ্টির অন্তর্যামী। ইনি বিশ্বরক্ষণে তৎপর ও ধৰ্ম্ম, মনু, দেবতা এবং নরপতিগণের অন্তর্যামী হইয়া জগৎ পালন করিয়া থাকেন। ইঁহার নামান্তর তুৰ্য্যব্যূহ ।

চতুর্ব্ব্যূহর স্থান সম্বন্ধে কোন কোন শাস্ত্রে বর্ণিত আছে যে, পরব্যোমের পূর্ব্বাদি-দিক্‌চতুষ্টয়ে বাসুদেবাদি চতুৰ্ব্ব্যূহ ক্রমান্বয়ে অবস্থান করেন। অন্যত্রে বর্ণিত আছে যে, জলাবরণস্থ বৈকুণ্ঠে বেদবতীপুরে বাসুদেব, সত্যলোকের উপরিভাগে বিষ্ণুলোকে সঙ্কর্ষণ, নিতাখ্য দ্বারকাপুরে প্রদ্যুম্ন, এবং শুদ্ধ জলনিধির উত্তর-তীরস্থিত ক্ষীরসমুদ্রের মধ্যবর্তী শ্বেতদ্বীপস্থ ঐরাবতীপুরে অনন্ত-শয্যায় অনিরুদ্ধ বাস করিতেছেন। তাঁহার বাসস্থান ঐ যে শ্বেতদ্বীপ, তাহারও বর্ণনা শাস্ত্রে এইরূপ আছে, যথা— এই স্থান অতি বৃহৎ; যাহার বিস্তার লক্ষ যোজন, সমস্ত সুদৃশ্য ও কাঞ্চনময় এবং যাহার নির্ম্মল শিলাতল ক্ষীরসমুদ্রের কুন্দকুসুম চন্দ্র ও কুমুদসদৃশ ধবল তরঙ্গরাশি দ্বারা পরিবেষ্টিত। শ্রীগ্রন্থ শ্রীলঘুভাগবতামৃতে শ্রীঅনিরুদ্ধের রূপ সম্বন্ধেও এই- রূপ বর্ণিত আছে, যথা— “তাহার অঙ্গকান্তি নীল-নীরদের সদৃশ—।”

পরে যখন ভগবান্ দ্বাপরযুগে শ্রীকৃষ্ণলীলায় স্বয়ংরূপে অব-
তীর্ণ হইয়াছিলেন, তখন তাঁহার ঐ কায়ব্যূহ সকলেরও অবতরণ হইয়াছিল। এই লীলায় শ্রীবৃন্দাবন, দ্বারকা ও মথুরায় বলরাম-রূপী সঙ্কর্ষণ, এবং প্রায় ও অনিরুদ্ধ ব্যূহ রূপেও লীলা করিয়াছেন। 
শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে লিখিত আছে; যথা—
মথুরা দ্বারকায় নিজ রূপ প্রকাশিয়া।
নানারূপে বিলসয়ে চতুর্ভূহ হঞা ৷৷
বাসুদেব সঙ্কর্ষণ প্রদ্যুম্নানিরুদ্ধ।
সর্বব চতুর্ব্যহ অংশী তুরীয় বিশুদ্ধ ||
এই তিন লোকে কৃষ্ণ কেবল লীলাময় ।
নিজগণ লঞা খেলে অনন্ত সময় ৷৷
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ২২. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
শ্রীকৃষ্ণের, সকল লীলাস্থান অপেক্ষা শ্রীবৃন্দাবনেরই মহিমা অধিক। সকল লোকের উপরিভাগে যে কৃষ্ণলোক, তাহা ঐ তিন লোকে পরিব্যাপ্ত হইলেও, বৃন্দাবনই শ্রেষ্ঠ। যথা—

------------উপরিভাগে কৃষ্ণলোক খ্যাতি।
দ্বারকা মথুরা গোকুল ত্রিবিধত্বে স্থিতি ।
সর্ব্বোপরি শ্রীগোকুল ব্রজলোকধাম ।
শ্রীগোলোক শ্বেতদ্বীপ বৃন্দাবন নাম !
🙏 শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত 🙏

ঐ শ্রীগ্রন্থে ঐ লীলাস্থল সম্বন্ধে আরও বর্ণিত আছে, যথা—
চিন্তামণি ভূমি কল্পবৃক্ষময় বন।
সর্ববচক্ষে দেখে তারে প্রপঞ্চের মন ।
প্রেমনেত্রে দেখে তার স্বরূপ প্রকাশ ।
গোপ গোপী সঙ্গে যাঁহা কৃষ্ণের বিলাস |

শ্রীকবিরাজ গোস্বামী ব্রহ্মসংহিতার একটা শ্লোক অবলম্বনে এইরূপ বৃন্দাবন-মহিমা বর্ণন করিয়াছেন, ঐ মূল শ্লোকের অর্থটিও এস্থলে দেওয়া যাইতেছে। যথা—

“যত্রত্য গৃহসমূহ চিস্তামণি দ্বারা খচিত, যে স্থলে অসংখ্য
কল্পতরু বিরাজমান রহিয়াছে, সেই স্থানে যিনি শতসহস্র লক্ষ্মী কর্তৃক সসম্ভ্রমে সেবিত হইয়া সুরভিদিগকে পালন করিতেছেন, আমি সেই আদি পুরুষ গোবিন্দকে ভজনা করি।”

দ্বাপরযুগে ভগবানের বৃন্দাবন-লীলায় অনিরুদ্ধরূপে যিনি লীলার সহায়তা করিতেন, তাঁহার স্থান সম্বন্ধে শ্রীবৃন্দাবন-মাহাত্ম্যে বর্ণন আছে। শ্লোকার্থ যথা—“পূর্ব্বদিকে সুরদ্রুম-সমাকীর্ণ-অরণ্যে হেমমণ্ডিত পীঠে শুভকর দিব্য সিংহাসন বিরাজিত আছে। তদুপরি দিব্যরূপিণী ঊষা সতীর সহিত জগৎপতি শ্রীমান্ অনিরুদ্ধ অধিষ্ঠিত আছেন।” ঐ শ্রীবৃন্দাবন-মাহাত্ম্যে তাঁহার রূপ সম্বন্ধেও বর্ণন আছে ; শ্লোকার্থ যথা—তিনি গাঢ় জনদবৎ শ্যামলবর্ণ, নীলবর্ণ স্নিগ্ধ কুন্তলবিশিষ্ট ও সুনাসিক। তদীয় উন্নত ভ্রূণতা-ভঙ্গীতে কপোল দেশ পরম রমণীয়তা ধারণ করিয়াছে। তাঁহার গ্রীবা সুগঠিত, এবং সুদৃশ্য বক্ষঃস্থল দ্বারা তাঁহাকে মনোহর হইতেও মনোহর দেখাইতেছে। তিনি কিরীটী, কুণ্ডলবান্ ও কণ্ঠভূষায় বিভূষিত। প্রিয়তম ভৃত্যগণ নিরন্তর তাঁহার আরাধনা করিতেছে। তিনি সঙ্গীতপ্রিয়, পূর্ণব্রহ্মানন্দে আনন্দিত ও শুদ্ধ-সত্ত্বস্বরূপ। তাঁহাকে দর্শনপূর্ব্বক ভক্তিসহকারে পূজা করিলে অখিল কামনা পূর্ণ হইয়া থাকে।”
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ২৩. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
শ্রীমৎ বক্রেশ্বর পণ্ডিতের পূর্ব্বজন্ম সম্বন্ধে পূর্ব্বে আভাষ দেওয়া হইয়াছে যে, ইনি কেবল অনিরুদ্ধ ব্যূহ ছিলেন না, শ্রীবৃন্দাবন-লীলায় শ্রীরাধিকার প্রধান সখীগণের যিনি শশিরেখা নামে অভিহিতা ছিলেন, ইনি তাঁহারও প্রকাশ ছিলেন। অতএব বক্রেশ্বর কি বস্তু, তাহা সম্যক্‌ হৃদয়ঙ্গম করিবার জন্য শশিরেথা সখী সম্বন্ধে দু'এক কথার অবতারণা আবশ্যক। এবং তাহা বলিবার পূর্ব্বে ভগবানের ব্রজলীলা বিষয়ে কিঞ্চিৎ বলাও প্রয়োজন। এবং এ স্থলে এ কথাটীও বলিয়া রাখা উচিত যে, নবদ্বীপবিহারী শ্রীচৈতন্য দেব— শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা উভয় মিলিত। এই জন্য বৈষ্ণবাচাৰ্য শ্রীম-দ্রূপ-গোস্বামিপাদ কৃত কড়চা গ্রন্থের মঙ্গলাচরণে লিখিত হইয়াছে, যথা—

রাধা কৃষ্ণপ্রণয়বিকৃতিহলাদিনী শক্তিরস্মা-
দেকাত্মানাবপি ভুবি পুরা দেহভেদং গতৌ তৌ।
চৈতন্যাখ্যং প্রকটমধুনা তদ্দ্বয়ং চৈক্যমাপ্তং
রাধাভাবদ্যুতি-সুবলিতং নৌমি কৃষ্ণস্বরূপং ৷৷

অস্যার্থঃ—শ্রীকৃষ্ণপ্রেমের বিকৃতিরূপিণীহ্লাদিনী শক্তিই রাধা নামে অভিহিত! ; এই কারণে রাধাকৃষ্ণ একাত্মা হইয়াও অনাদিকাল হইতে বিলাসাভিলাষে অবনীতলে শরীর ভেদ স্বীকার করিয়াছিলেন। অধুনা সেই উভয়ে একতা লাভ করত, চৈতন্যাভিধানে প্রকাশিত হইয়াছেন; অতএর 'রাধাভাব ও রাধাকান্তি সমন্বিত কৃষ্ণস্বরূপ ( নরাকার 'পরব্রহ্ম-স্বরূপ ) শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেবকে বন্দনা করি।”
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ২৪. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
রাধাকান্তি সমন্বিত কৃষ্ণস্বরূণ (নরাকার 'পরব্রহ্ম-স্বরূপ) শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেবকে বন্দনা করি।”

এই শ্লোক দ্বারা বুঝা যাইতেছে, শ্রীকৃষ্ণপ্রেমের হলাদিনী শক্তিই শ্রীরাধিকা। এক্ষণে হলাদিনী শক্তি কি ও তৎসম্বন্ধে শক্তিতত্ত্বের দু’একটী কথা বলা নিতান্ত অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। শাস্ত্রবাক্য এই যে, পূর্ণব্রহ্ম স্বয়ং ভগবান্ “সচ্চিদানন্দ স্বরূপ” অর্থাৎ ভগবৎস্বরূপের আলোচনায় সত্য, জ্ঞান ও আনন্দ এই তিনটী শক্তি প্রাপ্ত হওয়া যায় । কোন পদার্থের বা কোন ব্যক্তির যে কোন কার্য্যক্ষমতা, তাহারই নাম তাহার সামর্থ্য বা শক্তি। যেমন সূর্য্যের প্রভা, অগ্নির দহন, ও অস্মদাদির দর্শন, শ্রবণ, গমনাদি শক্তি, সর্ব্বেশ্বর শ্রীভগবানেরও এরূপ স্বভাবসিদ্ধ যে অনন্ত কার্য্যক্ষমতা আছে, তাহাদেরই নাম ভগবৎশক্তি। ঐ শক্তিসমূহ সামর্থ্যরূপে ঐভগবানের স্বরূপে নিত্যই বিরাজ করিতেছেন। শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণাদি শাস্ত্রে শ্রীভগবানের শক্তি অনন্ত বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে; কিন্তু শাস্ত্রকারগণ ঐ শক্তিসমূহ সামান্যতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন ; যথা—
 (১ম ) স্বরূপশক্তি, যাহার নামান্তর অন্তরঙ্গা শক্তি ;― 
( ২য় ) তটস্থা শক্তি অথবা জীবশক্তি ;—
( ৩য় ) মায়া শক্তি বা বহিরঙ্গা শক্তি । 
ঐ যে ভগবানের স্বরূপশক্তি, তাহাই সত্য,
জ্ঞান ও আনন্দ অংশে ত্রিরূপা। বৈষ্ণব শাস্ত্র মতে, ইহাদের অভিধান সন্ধিনী, সম্বিৎ ও হলাদিনী। 
যথা ---
সচ্চিৎ আনন্দময় কৃষ্ণের স্বরূপ।
অতএব স্বরূপ শক্তি হয় তিন রূপ ॥
আনন্দাংশে হলাদিনী সদংশে সন্ধিনী।
চিদংশে সম্বিৎ যারে জ্ঞান করি মানি
🙏 শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত 🙏
   ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                 ꧁ ২৫. শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
আমরা এস্থলে ঐ হলাদিনী শক্তি কি, সেই সম্বন্ধেই দু'এক কথা বলিব। অর্থাৎ ভগবানের স্বরূপগত যে শক্তি দ্বারা তিনি স্বরূপের মধুরতা আম্বাদন করেন ও অন্যকে আস্বাদন করান, তাহারই নাম ভগবানের স্বরূপের হলাদিনী শক্তি। যখনই ভগবান্ নরদেহ ধারণ করিয়া অবনীতলে অবতীর্ণ হন, তখনই তিনি পুরুষরূপে অবতীর্ণ হইয়া থাকেন এবং স্ব স্বরূপের মধুর রস আস্বাদন করিতে ও অন্যকে আস্বাদন করাইতে ঐ হলাদিনী শক্তিও মূর্তিমতী হইয়া প্রকৃতিরূপে বিরাজিতা হইয়া থাকেন। শ্রীবৃন্দাবনে ঐরূপেই শ্রীকৃষ্ণ পুরুষ ও হলাদিনী শক্তি শ্রীরাধিকারূপে মূল প্রকৃতি। এই জন্যই রাধাকৃষ্ণ একাত্মা হইলেও বিলাসাভিলাষে শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা দেহ ভেদ স্বীকার করিয়া রসাস্বাদন করিয়াছিলেন; যথা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে—

রাধাকৃষ্ণ এক আত্মা দুই দেহ ধরি ॥
অন্যোন্যে বিলসয়ে রস আস্বাদন করি।

এই হলাদিনী শক্তি দ্বারা আনন্দ বিধান হয়, যেহেতুক এই শক্তির সম্যক্ রূপে বিকাশ হইলে আনন্দচিন্ময় রস, যাহার নামান্তর প্রেম, সেই প্রেমের উদয় হইয়া থাকে। প্রেমের সার ভাব, আর সেই ভাবের ঘনীভূত অবস্থার নাম মহাভাব। সেই মহাভাবই চিন্তার সার চিন্তা বলিয়া চিন্তামণি নামে আখ্যাত এবং তাহাই শ্রীরাধিকার স্বরূপ বিগ্রহ। 
যথা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে—

হলাদিনীর সার অংশ তার প্রেম নাম।
আনন্দ চিন্ময় রস প্রেমের আখ্যান।।
প্রেমের পরম সার মহাভাব জানি।
সেই মহাভাব রূপা রাধা ঠাকুরাণী।।
মহাভাব চিন্তামণি রাধার স্বরূপ।
ললিতাদি সখী তাঁর কায়ব্যূহ রূপ।।
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
            ꧁ শ্রীশ্রীবক্রেশ্বর-চরিত - দ্বিতীয় ভাগ 
শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ পার্ষদ-প্রবর  শ্রীমৎ বক্রেশ্বর প্রভুর জীবন চরিত 🙏 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী 🙏 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ 🙏 শ্রীগম্ভীরা 🙏 শ্রীধাম পুরী 🙏
        ꧁ রচয়িতা 🙏 শ্রীঅমৃতলাল পাল দাস ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧







শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

১৫১ হইতে ১৬০ পর্ব 🌷 শ্রীরামানন্দ রায় 🦚🦚 কাষ্ঠ পুত্তুলিকা 🏵️ শ্রীরসিকমোহন বিদ‍্যাভূষণ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/09/ramananda151to160.html

ঝাড়খণ্ডের পথে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু 🙏 সংগৃহীত 🙏 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/04/blog-post_55.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html