🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/bishnupriya5.html

 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
         ꧁ শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    🏠Home Page🏠⬇️⬇️🙏⬇️⬇️📚PDF গ্রন্থ📚
꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
  ꧁ JoydebDaw.blogspot.com 🙏 সূচীপত্র 🙏 ꧂
         ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
     এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
꧁ শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 সূচীপত্র 🙏 প্রথম ভাগ ꧂
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
         ꧁ শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
         ꧁ শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 তৃতীয় ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
         ꧁ শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 চতুর্থ ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ꧁ ১৭৫. শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 *(১৭৫)👣শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী👣*
*😭বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর কঠোর ভজন বৃত্তান্ত শুনে অদ্বৈতাচার্য‍্যের দুঃখ,শ্রীজাহ্নবা ও সীতাদেবীর সহিত প্রিয়াজীর মিলন😭*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🌻শ্রীমতী জাহ্নবা দেবী এ কথার উত্তর আর কি দিবেন। শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীকে দৃঢ়ব্রতা দেখে এ সম্বন্ধে আর কিছু বলতে সাহস করলেন না।তবুও তিনি বললেন ভগিনি!শরীর রক্ষা করিও। তোমার শারীরিক অবস্থা যা দেখছি, তাতে বোধহয়,আর কিছু দিন পরে দেহ-রক্ষা দায় হবে। তোমাকে আমি আর কিছু বলতে চাই না। শরীরের প্রতি দৃষ্টি রেখে ভজন-সাধন করবে।বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী কাঁদতে কাঁদতে উত্তর করলেন, দিদি!কার জন্য এই পাপদেহ ধারণ করে মনাগুনে জ্বলে পুড়ে মরব!আত্মহত‍্যা মহাপাপ বলেই এই পাপদেহ রেখেছি।এই কথা বলতে বলতে বিষ্ণুপ্রিয়ার বিশাল নয়নদ্বয় বারিধারায় পূর্ণ হয়ে গেল।নয়ন-নীরে তাঁর বক্ষ ভেসে গেল।তখন জাহ্নবাদেবী প্রিয় বোনকে কোলে করে বসলেন।সাগর-জলে গঙ্গাজল মিশিল।উভয়ের অশ্রুজলে উভয়ের বস্ত্রাঞ্চল ভিজল, নয়নজলে নয়নজল মিশে সাগরসঙ্গম হ'ল।চৈতন‍্যের কুটির মহাতীর্থে পরিণত হল। অশ্রুপূর্ণ লোচনে শ্রীমতী জাহ্নবাদেবী প্রিয় ভগ্নী শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়ার নিকট বিদায় গ্রহণ করলেন।বিদায়-কালীন দৃশ্যটি বড়ই শোকোদ্দীপক এবং মর্মান্তিক কষ্টদায়ক।শ্রীমতী জাহ্নবা দেবী শেষ বিদায় কালে বিষ্ণুপ্রিয়ার হাত দুইখানি ধরে নিজ বক্ষে রেখে কেঁদে কেঁদে বললেন,ভগ্নী!পুনরায় কবে সাক্ষাৎ হবে জানি না, রোরুদ‍্যমানা,বিষাদময়ী কনকপ্রতিমা শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া অস্ফুট ভাষায় গদ গদ স্বরে বললেন, দিদি! আশীর্বাদ কর যেন শীঘ্র এ পাপদেহের পতন হয় প্রাণবল্লভের কাছে যেন শীঘ্র যেতে পারি।বিরহ-বিচ্ছেদ আর সইছে না।*
*🌻শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দৈবী শ্রীমতী জাহ্নবা দেবীর কাছ হতে বিদায় গ্রহণ করে শ্রীঅদ্বৈত-ঘরণী সীতাদেবীকে প্রণাম করতে গেলেন।সীতাদেবী অতি ব‍্যগ্র হয়ে বিষ্ণুপ্রিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করে মুখ-চুম্বন করলেন।তাঁকে প্রণাম করতে দিলেন না।সীতাদেবীর আদর-সোহাগ পেয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর শাশুড়িকে মনে পড়ল।দেবী বিনত-আননে সীতাদেবীর কোলে বসে অঝোর নয়নে কাঁদতে লাগলেন।সীতামা নিজ বস্ত্র অঞ্চল দিয়ে দেবীর নয়ন মুছিয়ে দিয়ে বললেন, মা! তোমাকে দেখলে আমরা শ্রীগৌরাঙ্গের শোক ভুলে যায়।তোমাকে বক্ষে জড়িয়ে ধরে আমার প্রাণ জুড়িয়ে গেল। মা!তুমি কেঁদ না,তুমি জগজ্জীবকে শ্রীগৌরাঙ্গ ভজন শিক্ষা দিয়ে তোমার প্রাণনাথের আদেশ পালন কর। তোমার আদর্শ চরিত্র শ্রবণ ও পঠন করে কলি-ক্লিষ্ট জীব সর্বপাপ হতে মুক্ত হবে। তোমার কঠিন ব্রহ্মচর্য‍্যব্রত নারী জীবনের আদর্শধর্ম।তুমি সাধ্বী, তোমার নয়নজলে মহাপাপীরও সর্বপাপ ধৌত হবে।তোমার নামের সঙ্গে গৌরাঙ্গ নাম চিরমিলিত হয়ে সমগ্র দেশে পূজ‍্য হবে।শ্রীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়া বিগ্রহ গৌড়দেশে প্রতি ঘরে ঘরে পূজিত হবে। তমায় দেখে আমার মনে হচ্ছে, সর্বমঙ্গলময়ী তুমি মা মহালক্ষ্মী!কলির অধম জীবের প্রতি কৃপাদৃষ্টি কর।চিরকরুণাময়ী তুমি মা!অধম পাতকীর প্রতি করুণা কর।ইহাই তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা, ইহাই তোমার প্রানবল্লভের আদেশ।শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী বিষাদভরা বদনচন্দ্র খানি সীতাদেবীর বক্ষের মধ্যে লুকিয়ে স্থিরচিত্তে সবকথা শুনলেন।শুনে কোন উত্তর করলেন না।অদ্বৈত-ঘরণী এক্ষণে বৃদ্ধা হয়েছেন। কিন্তু তাঁর বদনমন্ডল দিব‍্যজ‍্যোতিপূর্ণ। তিনি যখন এই কথাগুলি বিষ্ণুপ্রিয়াকে সম্বোধন করে বললেন, তখন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ গম্ভীর মুখমন্ডলে স্বর্গীয় জ‍্যোতি বিকীর্ণ হচ্ছিল।তিনি বিষ্ণুপ্রিয়ার প্রকৃতির পূর্ণ  পরিচয় দিচ্ছেলেন। সীতাদেবীর সস্নেহে উৎসাহবাক‍্যে বিষ্ণুপ্রিয়ার সন্তপ্ত হৃদয় বেশকিছু শান্ত হল। তিনি নয়নের জল মুছে স্থির হয়ে বসলেন।সীতাদেবীকে সম্বোধন করে বললেন, মা!তুমি আমার প্রাণবল্লভকে জননীর মত পালন করেছ।আমার শাশুড়ি ঠাকুরাণী নিত‍্যধামে গমন করেছেন।মা!তুমি আছ, তোমার আদেশ আমার শিরোধার্য‍্য।মা! তোমার উৎসাহ-পূর্ণ উপদেশবাণী শ্রবণে আমার শুষ্ক প্রাণে শক্তি আসিল, নিরাশ হৃদয়ে আশার সঞ্চার হল।কলির জীবের মঙ্গল কামনায় আমার এই কঠোর ব্রত গ্রহণ। আমার প্রাণবল্লভ কলির জীবের দুঃখে কাতর হয়ে ভিখারীর বেশে দেশে দেশে ভিক্ষা করে বেড়িয়েছেন।আমি গৃহে বসে অতি সামান্য উপায়ে তাঁর ভজন করতে রত হয়েছি। এতেও ভক্তগণের বিরোধী। আমার এ দুঃখ রাখবার জায়গা নেই। মা! তোমার আশ্বাসবাণী পেয়ে আমি দ্বিগুণতর উৎসাহের সহিত শ্রীগৌরাঙ্গ ভজন ব্রত উদযাপন করব।মা!তুমি আশীর্বাদ কর, যেন সফল মনোরথ হই!সীতাদেবী ধীরে ধীরে উত্তর করলেন, মা!তোমাকে আশীর্বাদ করবার অধিকার আমার নেই, তোমার কৃপাবলে জগৎ জীব উদ্ধার হবে।তুমি কৃপাময়ী।সর্ব জীবের প্রতি কৃপাকটাক্ষ কর। তোমার কৃপা না হলে শ্রীগৌরাঙ্গের কৃপালাভ জীবের পক্ষে সুদুর্লভ।*
*🌻শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া আর উত্তর করলেন না।সজলনয়নে সীতাদেবীর কাছ হতে বিদায় নিয়ে নিজ ভজন মন্দিরে এসে দ্বিগুণতর কঠোরতার সঙ্গে গৌরাঙ্গভজনে ব্রতী হলেন।দেবীর সমগ্র শক্তি জীব উদ্ধার কল্পে নিয়োজিত হল।কলিহত জীবের আর কোনই ভাবনা রইল না।তারা প্রেমানন্দে হেসে খেলে বেড়াতে লাগল। মনের আবেগে অধম গ্রন্থকার শ্রীহরিদাস গোস্বামী মহোদয় লিখেছেন=*
*বিশ্ব-বিধাতা,        জগতের মাতা,*
          *মিলিয়াছে এক সঙ্গে।*
*ভাবনা কি আর,  পাপী দুরাচার,*
         *হাস খেল সব রঙ্গে।।*
*🌻অদ্বৈত-ঘরণী সীতাদেবীর ভবিষ্যৎ বাক‍্যের ফল ফলেছে।শ্রীগৌরাঙ্গ-বিষ্ণুপ্রিয়ার যুগলমূর্তি নানাস্থানে প্রতিষ্ঠিত ও পূজিত হচ্ছেন।এতে কলিহত জীবের পরম মঙ্গল সাধিত হচ্ছে।কলির একমাত্র উপাস‍্য দেবদেবী শ্রীশ্রীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়ার জয়🙏*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ꧁ ১৭৬. শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 *(১৭৬)👣শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী👣*
*😭বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর শেষ জীবনের কঠোর সাধন😭*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*প্রভুর প্রেয়সী যিঁহো তাঁহার কি কথা।*
*দিবিনিশি হরিনাম লয়েন সর্বথা।।*
                       *(প্রেম বিলাস গ্রন্থ )*
*শ্রীজাহ্নবা ও সীতাদেবীর সহিত বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর মিলন হবার পর হতে তাঁর ভজনের কঠোরতা আরও বৃদ্ধি পেল।দেবীদ্বয়ের অনুরোধ তাঁর সাধনার অনুকূল হল।তাঁর প্রাণবল্লভের কঠোর সাধনার কথা দেবী দুই একবার দামোদর পন্ডিতের মুখে কিছু কিছু শুনেছিলেন।জাহ্নবা দেবীর কাছে সেই কথা তুলতে গিয়ে দেবীর দুঃখসমুদ্র  একেবারে উথলিয়ে উঠিল।প্রাণবল্লভের কঠোর সাধনার কথা মনে করে তিনি নিজ জীবনকে শত ধিক্কার দিলেন।তাঁর প্রাণনাথ গৃহত‍্যাগী, বৃক্ষতল যাঁর আবাসস্থল, ভিক্ষালব্ধ সামান্য আহারে তিনি প্রাণধারণ করতেন।আর তাঁর অর্ধাঙ্গিণী হয়ে,তাঁর দাসী হয়ে,দেবী গৃহবাসিনী,দাসদাসী ও পরিজনে পরিবেষ্টিতা,এটি তাঁর মনে আর ভাল লাগছে না। তিনি স্ত্রীলোক,গৃহত‍্যাগ করে বনে যেতে পারেন না, কিন্তু নির্জনে কঠিন ভজন করতে বাধা কি? কাঞ্চনা আর দুই একটি মর্মসখী নিয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া ঘরের ভিতরে থেকে নির্জনে গৌরাঙ্গ-ভজন করতে লাগলেন।ঘরের দরজা বন্ধ করে বিষ্ণুপ্রিয়া ভজনে বসতেন।দেবীর ভজন-মন্দিরে কারও যাবার অধিকার ছিল না।অন্দর-মহলে ভক্তবৃন্দের যাবার অধিকার ছিল।বিষ্ণুপ্রিয়ার আদেশে এক্ষণে তাও বন্ধ হল।বাইরের দরজাও বন্ধ করতে তিনি আদেশ দিলেন।মহাপ্রভুর গৃহ প্রাঙ্গণ উচ্চপ্রাচীরে বেষ্টিত ছিল।বাইরের দরজাও একেবারেই বন্ধ হল।প্রাচীরের দুইদিকে সিঁড়ি লাগিয়ে দাসীগণ ও দামোদর পন্ডিত দেবীর পূজোর জন্য গঙ্গাজল ও পূজোর উপকরণাদি নিয়ে আসিতেন।দামোদর পন্ডিতও অতি বৃদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু বিষ্ণুপ্রিয়ার সেবার জন্য তিনি নিত‍্য গঙ্গা হতে জল নিয়ে এসে সিঁড়ি দ্বারা প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করে মহাপ্রভুর অন্দর-মহলে দিয়ে আসেন।দেবীর স্নানের ও সেবার যত জল লাগে তিনি সবই নিয়ে আসেন।এই কাজটি তিনি আর কাউকেও করতে দেন না।দেবীর দাসীগণ বাইরের কাজের জন্য জল আনেন।দামোদর সত‍্য সত‍্যই তুমি ধন‍্য=*
*🍀প্রভু অপ্রকটে বিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণী।*
*🍀বিরহ সমুদ্রে ভাসে দিবস রজনী।।*
*🍀বাড়ীর বাহির দ্বার মুদ্রিত করিয়া।*
*🍀ভিতরে রহিলা দাসী জনা কথো লৈয়া।।*
*🍀দুই দিগে দুই মই ভিতে লাগা আছে।*
*🍀তাহে চড়ি দাসী আইসে যায় আগে পাছে।।*
*🍀ভিতরে পুরুষ মাত্র যাইতে না পায়।*
*🍀দামোদর পন্ডিত যায় প্রভুর আজ্ঞায়।।*
*🍀পন্ডিতের অদ্ভুত শক্তি অদ্ভুত প্রকৃতি।*
*🍀মহাপ্রভুর গুণে নিরপেক্ষ যার খ‍্যাতি।।*
*কদাচ কেহ করে অল্প মর্য‍্যাদা লঙ্ঘন।*
*🍀সেই ক্ষণে দন্ড করে মর্য‍্যাদা স্থাপন।।*
*🍀নিরবধি প্রেমাবেশ যাহার শরীরে।*
*🍀হেন জন নাহি যে সঙ্কোচ নাহি করে।।*
*🍀গঙ্গাজল ভরি দুই ঘট হস্তে লৈয়া।*
*🍀সেই পথে লঞা যায় নিলক্ষে চলিয়া।।*
*🍀প্রত‍্যহ সেবার লাগি লাগে যত জল।*
*🍀প্রায় দামোদর তত আনয়ে একল।।*
*🍀বহিরাচরণ লাগি দাসীগণ আনে।*
*🍀কলস লইয়া যবে যায় গঙ্গাস্নানে।।*
                    *(অদ্বৈত প্রকাশ গ্রন্থ)*
*🌻দেবীর কঠোর ভজনের কথা পূর্বে কিছু নিবেদন করেছি।শ্রীঈশান নাগর স্বচক্ষে দেখে যা বর্ণনা করেছেন তাতে কলির জীবের কঠিন হৃদয় দ্রব হবে সন্দেহ নাই।শ্রীগ্রন্থ অনুরাগ-বল্লীতে শ্রীমনোহর দাস (মনোহর দাস শ্রীনিবাস আচার্য‍্যের মন্ত্র শিষ্য।১৬১৮ শকে চৈত্র শুক্লাদশমী তিথিতে শ্রীধাম বৃন্দাবনে এসে শ্রীমনোহর দাস "অনুরাগ-বল্লী" গ্রন্থ টি রচনা করেন।কাটোয়ার নিকট বেগুন-কোলাগ্রামে ইঁহার জন্ম।ইনি সংস্কৃত ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন।)*
*সেই সবকথা পুনরাবৃত্তি করেছেন।কৃপাময় পাঠক-পাঠিকাদের অবগতির জন্য তা উদ্ধৃত হল।*
*🍀অন্তঃপুরে ঠাকুরাণী প্রাতঃস্নান করি।*
*🍀শালগ্রামে সমর্পিয়া তুলসীমঞ্জরী।*
*🍀পিঁড়াতে বসিয়া করে হরেকৃষ্ণ নাম।*
*🍀আতপ-তন্ডুল কিছু রাখে নিজ স্থান।।*
*🍀ষোল নাম পূর্ণ হইলে একটি তন্ডুল।*
*🍀রাখেন সরাতে অতি হইয়া ব‍্যাকুল।।*
*🍀এইরূপে তৃতীয় প্রহর নাম লয়*।
*🍀তাহাতে তন্ডুল সব সরাতে দেখয়।।*
*🍀তাহা পাক করি শালগ্রামে সমর্পিয়া।*
*🍀ভোজন করেন কত নির্বেদ করিয়া।।*
*🍀সেবক লাগিয়া কিছু রাখে পাত্র শেষ।*
*🍀ভক্ত সব আইসে তবে পাইয়া আদেশ।।*
*🍀বাড়ীর বাহিরে চারিদিকে ছানি করি।*
*🍀ভক্ত সব রহিয়াছে প্রাণ মাত্র ধরি।।*
*🍀কোন ভক্ত গ্রামে কেহ আছে আশপাশ।*
*🍀একত্র হঞা অভ‍্যন্তর যান সব দাস।।*
*🍀তাবৎ না করে কেহ জলপান মাত্র।*
*🍀অনন‍্য-শরণ যাতে অতি কৃপাপাত্র।।*
😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ꧁ ১৭৭. শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*(১৭৭)🙏শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী🙏*
*😭বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর শেষ জীবনের কঠোর সাধন😭*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🌻মহাপ্রভুর ভক্তবৃন্দ,যাঁরা দৈবীর সঙ্গে শ্রীধাম-নবদ্বীপে বাস করছেন, তাঁরা সকলৈ মিলে বিষ্ণুপ্রিয়া দৈবীর প্রসাদান্ন পাবার আশায় গৃহের বাইরে চতুর্দিকে এখানে ওখানে বসে থাকতেন।দেবীর আদেশে তাঁর দাসী একটি ব্রাহ্মণ কন‍্যা (বোধ হয় শ্রীমতী কাঞ্চনাদেবী) সকল ভক্তবৃন্দকে বাড়ীর ভিতর ডেকে দেবীর প্রসাদান্ন বিতরণ করতেন।*
*🍀তবে সেই প্রসাদান্ন বাহির করয়ে।।*
*🍀সেবিকা ব্রাহ্মণী দেই এক এক করি।*
*🍀যে কেহ আইসে তার হয়ে বরাবরি।।*
*🍀প্রসাদ পাইয়া পুন যথাস্থানে যাইয়া।*
*🍀রহে যথা কথঞ্চিৎ আহার করিয়া।।*
                       *(অদ্বৈত প্রকাশ)*
*🌻দেবীর প্রসাদান্ন পেয়ে ভক্তগণ মস্তকে ধারণ করতেন এবং দেবকর শ্রীচরণ-পঙ্কজ দর্শন আশায় সকলে একত্র হয়ে অন্তঃপুরের আঙ্গিনায় মধ‍্যস্থলে দাঁড়াতেন। গৃহের উচু পিঁড়িতে দেবী বস্ত্রাবৃত হয়ে বসতেন। বস্ত্রাচ্ছাদিত ঘেরার মধ‍্য হতে তিনি কখন কখন কোন বিশেষ ভক্তের সঙ্গে কথা বলতেন।প্রত‍্যহ প্রসাদান্ন বিতরণের পর দেবী এইস্থানে এসে বসতেন।দাসীগণ সেই ঘেরার এক পার্শের বস্ত্র উত্তোলন করলে ভক্তগণ দেবীর শ্রীচরণ কমলদ্বয় দর্শন করে কৃতার্থ হতেন।*
*🍀পিঁড়াতে কাঁড়ার টানা বস্ত্রের আছয়ে।*
*🍀তাহার ভিতরে ঠাকুরাণী ঠাড় হ'য়ে।।*
*🍀আঙ্গিনাতে সব ভক্ত একত্র হইলে।*
*🍀দাসী যাই কাঁড়ার রঞ্চেক ধরি তোলে।।*
*🍀চরণ কমল মাত্র দর্শন পাইতে।*
*🍀কেহ কেহ ঢলিয়া পড়য়ে কোন ভিতে।।অঃপ্রঃ।।*
*🌻তাঁদের শ্রীগৌরাঙ্গ ভজনের ফলে এই সুকৃতি লাভ হয়েছে।নদীয়ার ভক্তবৃন্দকে মহাপ্রভু বড় ভালবাসতেন।তাই ভক্তবাঞ্জাকল্পতরু ভক্ত বৎসল শ্রীগৌর ভগবান নদীয়াবাসী ভক্তবৃন্দকে দেবীর শ্রীচরণ-দর্শন-সুখ দিয়ে কৃতার্থ করেছেন।গৌরহরি জানতেন,এই সুখটুকু না দিলে তাঁরা তাঁর বিহনে কেউ প্রাণে বাঁচবেন না! নদীয়াবাসীর সৌভাগ্যের কথা আর কি বলব? তাঁদের ভাগ‍্য দেবগণের বাঞ্জনীয়।গৌরাঙ্গের বিশেষ কৃপাপাত্র না হলে এ সৌভাগ্য কারও অদৃষ্টে ঘটে না।দেবীর শ্রীচরণ দর্শন করে ভক্তগণ আনন্দে গদগদ হয়ে প্রেমাশ্রু বর্ষণ করতে করতে গৃহে ফিরতেন।এটি নদীয়াবাসী ভক্তগণের নিত‍্য-কর্ম ছিল।*
*🌷অনুরাগ-বল্লী গ্রন্থকার শ্রীমনোহর দাস শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর শ্রীচরণ পদ্মের রূপ-শোভা বর্ণনা করেছেন।কৃপাময় পাঠক-পাঠিকাগণ একবার মনোসাধে দেবীর শ্রীপাদপদ্মদ্বয় হৃদয়ে অঙ্কিত করে ধ‍্যান করে কৃতার্থ হন।*
*🍀দেখিতে চরণ-চিত্র করায়ে প্রতীত।*
*🍀 উপমা দিবারে লাগে দুঃখ আর ভীত।।*
*🍀তথাপি কহিয়ে কিছু শাখা চন্দ্র ন‍্যায়।*
*🍀না কহি রহিতে চাহি রহা নাহি যায়।।*
*🍀উপরে চমকে শুদ্ধ সোনার বরণ।*
*🍀দশ নখ দশচন্দ্র প্রকাশে কিরণ।।*
*🍀চরণের তল অরুণের পরকাশ*।
*🍀মধুরিমা সীমা কিবা সুধার নির্য‍্যাস।।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ꧁ ১৭৮. শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*(১৭৮)👣শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী👣*
*বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর শেষ জীবনে কঠোর সাধনা*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🙏শ্রীমনোহর দাস মহোদয়ের বিশেষ প্রার্থনা  করে বলছেন, মাগো! জগজ্জননী!তুমি জগদীশ্বরী! তোমার দাসের দাস হতে আশা করা ধৃষ্টতা মাত্র।পূজ‍্যপাদ মহাপ্রভুর সাক্ষাৎ কৃপাপাত্র মহাজনগণ বলে গিয়েছেন*
*🍀চৈতন‍্য বল্লভা তুমি জগত ঈশ্বরী।*
*🍀তোমার দাসের দাস হৈতে বাঞ্জা করি।।বঃশিঃ।।*
*🌻মহাজনগণ যে আশা করে গিয়েছেন,সে আশা তোমার অকৃতী অধম সন্তান কি করে করবে?এত বড় উচ্চ আশা সে করতে পারে না।তবে মা কৃপাময়ী! তোমার দাসের দাস পদটি বড় উচ্চ।এই উচ্চ ও মহাজনগণ আকাঙ্খিত পদটি প্রাপ্তির অহঙ্কার ছাড়তে পারি কৈ?*
*🍀তোমার দাসের দাস হৈতে মুঞি চাই।*
*🍀সেই সে আমার মাগো জানিহ বড়াই।।*
*🙏দয়াময়ী মাগো! তোমার শ্রীচরণ দর্শনলাভ যাঁদের ভাগ‍্যে ঘটেছে,তাঁদের সকলের পদধূলি মস্তকে ধারণ করে কাতরকন্ঠে তোমায় ডাকছি।*
*ওমা! বিষ্ণুপ্রিয়ে! করুণা করিয়ে,*
        *অধমের প্রতি চাহ গো।*
*তোমার চরণে ,     জীবনে মরণে,*
     *মতি যেন মোর থাকে গো।।*
*তুমি মা আমার,  জীবনের সার,*
       *সাধন-প্রতিমা জননী।*
*ধরিয়া তোমায় , পাই গোরা রায়,*
        *তুমি মা ভবের তরণী।।*
*🙏মাগো!কৃপাকণা বিতরণে কৃপণতা করিও না।অধম সন্তানকে চরণে ঠেলিও না।তুমি মা!পতিতপাবনী! এ অধমের মত পতিত আর একটি খুঁজে পাবে না।অধম অকৃতী সন্তানকে উদ্ধার করে পতিতোদ্ধারিণী নামের সার্থকতা কর।*
*🌻দেবীর এই কঠোর ভজন-কাহিনী নদীয়ার সর্বত্র প্রচারিত হল।ভক্তবৃন্দ সকলে কেঁদে আকুল হলেন।কোমলহৃদয় কুলললনাগণ এ কঠোর ভজনের কথা শুনে দেবীর পূর্ব বৃত্তান্ত স্মরণ করে নির্জনে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন।পুরুষগণ দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত‍্যাগ পূর্বক হা গৌরাঙ্গ!বলে সর্বদা হায় হায় করতে লাগলেন।দামোদর পন্ডিত অতি বৃদ্ধ হয়েছেন।শ্রীগৌরাঙ্গ-বিরহ-ব‍্যাধিতে বৃদ্ধের দেহ জর্জরিত।তার উপর দেবীর কঠোরতা দেখে তিনি বিষম ব‍্যথিত হয়েছেন।দামোদর,দেবীকে কিছু বলতে পারছেন না।মনে দারুণ দুঃখের শেল বিঁধল।এই দুঃখেই বৃদ্ধ-ব্রাহ্মণ দেহত‍্যাগ করে নিত‍্যধামে গমন করলেন।দেবীর কর্ণে এ কথা গেল।তিনি মর্মান্তিক কষ্ট পেলেন এবং  শ্রীগৌরাঙ্গভজন কঠোর হতে কঠোরতম করলেন।এইরকম কঠোর ভজনে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী দিনাতিপাত করছেন। কাঞ্চনা,অমিতাদি সখীগণ সর্বদা দেবীর কাছে থেকে তাঁর সেবা পরিচর্য‍্যা করে কৃতার্থ হচ্ছেন।কাঞ্চনা, দেবীর প্রধানা সখী।বিষ্ণুপ্রিয়া তাঁকে আদর করে "সখী কাঞ্চনমালা" বলে ডাকেন।দীনা ব্রাহ্মণ কন‍্যা দীনভাবে দেবীর সেবা করেন।"সখী" বলে ডাকলে এখন তিনি ক্ষুণ্ণা হন।দেবীর দাসীপদ বাচ‍্য হতে কাঞ্চনার বড় বাসনা।বিষ্ণুপ্রিয়ার কাছে একদিন কাঞ্চনা মনের কথাটি খুলে বললেন।বিষ্ণুপ্রিয়া সেই কথাগুলি শুনে মনে বড় কষ্ট পেলেন।তিনি সখীকে বললেন,সখি কাঞ্চনমালা!তুমি আমার প্রধানা সখী!দাসীত্ব-পদ তোমাকে আমি দিতে পারি না। শ্রীগৌরাঙ্গ ভজনের তুমি আমার প্রধান সহায়। তুমি দিবানিশি আমাকে আমার প্রাণবল্লভের গুণগাথা,লীলাকথা শুনাচ্ছ।কলির জীবের শ্রীগৌরাঙ্গ ভজনের তুমি প্রধান সহায় হবে।তোমার অনুগা হয়ে যিনি শ্রীগৌরাঙ্গ ভজন করবেন,তাঁর সাধনা শীঘ্র সিদ্ধ হবে।*
*🌼বিষ্ণুপ্রিয়ার কথাগুলি শুনে কাঞ্চনা একটু লজ্জিতা হলেন।আর কোন কথা  বলতে সাহস করলেন না। কাঞ্চনা বিস্তারিত ভাবে গৌর-লীলা কাহিনী বিষ্ণুপ্রিয়ার কাছে বলতে লাগলেন, আর দেবী প্রাণ ভরে প্রাণবল্লভের লীলারসমাধুরী শ্রবণ করে হৃদয়,মন ও কর্ণ পরিতৃপ্ত করেন, শ্রীগৌরাঙ্গ-লীলারসামৃত পান করে তাপিত পরাণ সুশীতল করেন। শ্রীধামে মহাপ্রভুর দারুমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।বিষ্ণুপ্রিয়ার ভাই শ্রীপাদ যাদবাচার্য‍্যের উপর মহাপ্রভুর সেবার ভার। মধ্যে মধ্যে দেবী খুব সকালবেলা শ্রীমন্দিরে গিয়ে নয়নভরে শ্রীমূর্তি দর্শন করে অঝোর নয়নে কাঁদেন।মন্দিরে বেশীক্ষণ থাকতে পারেন না।প্রাণবল্লভকে দর্শন করলেই তাঁর মূর্ছা হন।সে মূর্ছা অপনোদন (খন্ডন) করতে ভক্তবৃন্দের হৃদয় ফেটে যায়।সে দৃশ্য কেউ দেখতে পারেন না বলে বিষ্ণুপ্রিয়া কদাচিৎ (কখনও কখনও) মন্দিরে গমন করেন।শ্রীপাদ যাদবাচার্য‍্য ভগ্নীর সর্বদা তত্ত্বাবধারণ করেন।দামোদর পন্ডিত নিত‍্যধামে গমন করবার পর হতে বিষ্ণুপ্রিয়ার রক্ষণাবেক্ষণের ভার শ্রীপাদ যাদবাচার্য‍্য নিয়েছেন।তিনি মহাপ্রভুর সেবা করেও দু'বেলা ভগ্নীর দেখা শুনা করে যান।শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া এক্ষণে প্রকৃত সন্ন‍্যাসিনী, পূর্ণ যোগিনী।প্রেমভক্তি-যোগ শিক্ষার তিনি পূর্ণ আদর্শস্থানীয়া।মহাপ্রভুর পদানুসরণ করে দেবী কঠোর হতে কঠোরতম নিয়মানুসারে প্রেমভক্তি যোগের সাধনায় সম্পূর্ণ সিদ্ধিলাভ করেছেন।তাঁর দর্শন-ভিখারী হয়ে ভক্তবৃন্দ নানাস্থান হতে শ্রীধামে আগমন করছেন।দেবী-প্রতিমা সাক্ষাৎ জগদম্বার শ্রীচরণ-দর্শন লাভ সুদুর্ঘট। তিনি রুদ্ধদ্বারে সাধনযজ্ঞের দৃঢ়াসনে উপবিষ্টা।মহাসংকীর্তন-যজ্ঞেশ্বর শ্রীগৌরাঙ্গচরণ চিন্তা ভিন্ন অন‍্য বাসনা তিনি রাখেন না।ভক্তগণের আকুল কান্না তাঁর কানে পৌঁছতে পায় না।কেউ তাঁকে কোন কথা বলতে সাহস পান না।দেবী প্রতিমার পরম জ‍্যোতিময়ী দিব‍্য-প্রতিভায় ভজনমন্দির আলোকিত।পদ্মগন্ধে ভজনকুটির সর্বদাই আমোদিত। সে স্থানের প্রভাব ও দেবীর ভজননিষ্ঠার প্রভাব একত্রীভূত হয়ে মহাপ্রভুর গৃহ প্রাঙ্গণকে দেবালয় হতেও পবিত্র করেছেন।সে গভীর নিস্তব্ধতার, সে কমনীয় পবিত্রতা বিমল-জ‍্যোতিতে নদীয়াবাসী ভক্তগণের হৃদয় মন ও প্রাণ পরিপূর্ণ হয়েছে।মহাপ্রভুর গম্ভীরার ভজন-কুটির, আর নদীয়ার শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর ভজনমন্দিরে কোন পার্থক‍্য নেই।কলিহত জীবের মঙ্গল কামনায় কলিক্লিষ্ট জীবের ভবরোগ মোচন করবার জন্য কৃপাময় মহাপ্রভু আমার যেরকম কঠোরতার সঙ্গে সহধর্মিনী পতিগতপ্রাণা চতুর্দশবর্ষীয়া নববালা শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী তদীয়া সাধনধন শ্রীগৌরাঙ্গসুন্দরের আদেশ অনুসারেই সন্ন‍্যাসিনী সেজে যোগিনীর বেশে গৃহে বসে,তদনুরূপ কঠোরতার সঙ্গে লোক শিক্ষার জন্য যে প্রেমভক্তি যোগের অনুষ্ঠান করলেন,তা গৌরভক্ত বৃন্দের সর্বথা অনুষ্ঠেয়।🙏*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ꧁ ১৭৯. শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*(১৭৯)😭শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী😭*
*😭শ্রীশ্রীঈশ্বরীর অপ্রকট😭*
💧💧💧💧💧💧💧💧💧
 *"ব্রাহ্ম-মুহূর্ত‍্যে প্রভুর জন্ম-দিনে।*
*দারু-মূর্ত‍্যে লীন দেবী হইলা আপনে।।*
      *(গ্রন্থকার শ্রীহরিদাস গোস্বামী)*
*🌼শচীমায়ের অপ্রকটের পর হতেই শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর কঠোর ভজনের প্রারম্ভ।জাহ্নবা ও সীতা দেবীর সহিত তাঁর সাক্ষাৎ হবার পর হতেই বিষ্ণুপ্রিয়া মাতা বড় একটা কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। তিনি একপ্রকার মৌনী হলেন।তাঁর শরীর দিন দিন জীর্ণ-শীর্ণ ও ক্ষীণ হতে লাগিল।দেবীর আহার অতি অল্পই ছিল।এক্ষণে কোন দিন প্রসাদ পান, আবার কোন দিন প্রসাদ পান না,এইভাবেই দিন অতিবাহিত হচ্ছিল।ভাই শ্রীপাদ যাদবাচার্য‍্যের আনীত মহাপ্রভুর শ্রীচরণ-তুলসী ও গঙ্গোদক(চরণামৃত) পান করেই দেবীর কোন কোন দিন কেটে যেত।মহাপ্রভুর শয়ন-গৃহের সমস্ত দ্রব‍্যাদি সেইরকম ভাবেই এখনও সজ্জিত রয়েছে।প্রভু-দত্ত কাষ্ঠ-পাদুকা (কাঠের খড়ম) দুইখানি বিষ্ণুপ্রিয়া মাতার ভজন-মন্দিরে একটি উচ্চ বেদীর উপর গন্ধ-পুষ্পে সজ্জিত হয়ে সংস্থাপিত রয়েছে।দেবী এই পরম বস্তু নিত‍্য পূজো করেন।মহাপ্রভুর স্মরণ-চিহ্নস্বরূপ সেই শ্রীচরণ-রেণুযুক্ত পাদুকাদ্বয় কখন বা মস্তকে,কখনও বা বক্ষে ধারণ করে তিনি অঝোর-নয়নে রোদন করেন।কখনও বা প্রাণের আবেগভরে প্রাণবল্লভের চরণ-পাদুকার উপরে প্রেম বিগলিত নয়নে শত শত চুম্বন করে দগ্ধ-হৃদয় সুশীতল করেন।মহাপ্রভু যেই দিন গৃহত‍্যাগ করেছিলেন,তাঁর পরিত‍্যক্ত সেই পট্টবস্ত্র,সেই চাদর,সেই শয‍্যা, সেই পালঙ্ক প্রভৃতি সকল বস্তুই অতি যত্নের সহিত বিষ্ণুপ্রিয়া মাতা এতকাল রক্ষা করে আসছেন।প্রিয়সখি কাঞ্চনমালা, দেবীর আদেশে মহাপ্রভুর পরিত‍্যক্ত এই সব দ্রব‍্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।মহাপ্রভুর পালঙ্কের নিচে ভূমি-শয‍্যায় দেবী শয়ন করেন।মহাপ্রভুর কক্ষে বসেই শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী মহাপ্রভুর শ্রীচরণ বন্দনা করেন।মহাপ্রভুর ছেড়ে যাওয়া বস্ত্রাদি শ্রীমতী যখনই দেখেন অঝোর নয়নে ক্রন্দন করেন।শেষদিন পর্যন্ত সখী কাঞ্চনমালা সঙ্গে ছিলেন এবং যথাসাধ‍্য দেবীকে সান্ত্বনা দেন।গৌরকথা ভিন্ন আন কথা কাঞ্চনা জানেন না।শ্রীমতীর দুঃখ উপশমের একমাত্র উপায় তাঁকে গৌরকথা শ্রবণ করান।সখি এ বিষয়ে সিদ্ধহস্তা।দেবী কাঁদলেই কাঞ্চনা হা গৌরাঙ্গ বলে ভূমিতে পড়ে ক্রন্দন করলেই, সখীর অবস্থা দেখে বিষ্ণুপ্রিয়ার মনে ভীষণ দুঃখ হয়  ; তিনি তখন আর স্থির থাকতে পারেন না, নিজ দুঃখ ভুলে যান, আর কাঁদতে পারেন না।দেবী ও কাঞ্চনা নিশিদিন উভয়ে মিলে এইভাবে শ্রীগৌরাঙ্গভজন করেন।*
*😭শচীদেবীর অপ্রকটের পূর্বেই শ্রীপাদ সনাতন মিশ্র নিত‍্যধামে গমন করেছেন।দেবীর মাতা মহামায়াদেবীও স্বামীর অনুগমন করেছেন।দাস গদাধর প্রভৃতি মহাপ্রভুর ভক্তবৃন্দ শ্রীগৌরাঙ্গ বিরহে একে একে অদর্শন হয়েছেন।যাঁরা আছেন তাঁরা দেবীর দুঃখে দেহে প্রাণে আছে মাত্র।ইঁহাদের মধ্যে শুক্লম্বর ব্রহ্মচারী একজন।ইঁহার গৃহে জননী ও জন্মভূই দর্শনকালীন মহাপ্রভু নবদ্বীপে এসে একদিন বাস করেছিলেন। বর্তমানে শুক্লম্বর অতি বৃদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু দুইবেলা মহাপ্রভুর গৃহে এসে দবীর তত্ত্বাবধারণ করতে ভুলেন না। শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী মধ্যে মধ্যে অতি সকালবেলা বা সন্ধ‍্যার পর শ্রীমন্দিরে মহাপ্রভুর দারুমূর্তি দর্শন করতে গমন করেন। সখী কাঞ্চনা সঙ্গে যান।যখনই দেবী এই দারুমূর্তি দর্শন করেন, তাঁর কোল হৃদয় দুঃখে ফেটে যায়,যতক্ষণ মূরতি দর্শন করেন,ততক্ষণ অঝোর নয়নে রোদন করেন। অনিমিষনয়নে দেবী প্রাণনাথের বদনচন্দ্রের প্রতি তাকিয়ে থাকেন,আর আঁখির পলক পড়ে না, জলধারায় বক্ষ ভেসে যায়।কাঞ্চনার অঙ্গে দেবী নিজ অঙ্গের ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে কলিজীবকে রক্ষাকর্তা গৌরহরিকে দর্শন করেন।কাঞ্চনার ভয় হয়  পাছে দেবী মূর্ছিতা হয়ে না পড়েন।শ্রীমন্দিরের এক পাশে দেবী শত অপরাধিনীর মত দাঁড়িয়ে আছেন।প্রাণবল্লভের বিষম বিরহ-জ্বালা আর তিনি সহ‍্য করতে পারছেন না।দেবী কাঁদতে কাঁদতে একদিন মহাপ্রভুর শ্রীচরণান্তিকে একটু স্থান প্রার্থনা করলেন, অর্থ‍্যাৎ প্রাণনাথ তোমার ঐ শ্রীচরণের এককোণে শত অপরাধিনীকে স্থান দাও🙏।দয়াময় মহাপ্রভুর কর্ণে প্রাণপ্রিয়া অনাথিনী শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর কাতর নিবেদন পৌঁছল।ঠিক ঐ সময়ে শ্রীশ্রীমহাপ্রভুর বদনচন্দ্রে যেন ঈষৎ হাসির রেখা দেখা দিল।পরম করুণাময়ী ঈশ্বরী তা দেখতে পেলেন।তিনি প্রাণবল্লভের মনোভাব বুঝতে পেরে সখী কাঞ্চনাকে কহিলেন,সখি!যাদবকে বলো,আমি শ্রীমন্দিরের অভ‍্যন্তরে একবার গিয়ে মহাপ্রভুর শ্রীচরণ দর্শন ও স্পর্শ করে কৃতার্থ হব।অদ‍্য গৌর-পূর্ণিমা, আমার হৃদয়েশ্বরের জন্ম তিথি।মঙ্গল আরতি শেষ হলে আমাকে শ্রীমন্দিরাভ‍্যন্তরে রেখে কিছুক্ষণ দ্বার বন্ধ করে দিতে বল।*
😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ꧁ ১৮০. শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*(১৮০)😭শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী😭*
*😭😭শ্রীশ্রীঈশ্বরীর অপ্রকট😭😭*
👣👣👣👣👣👣👣👣👣👣👣
*🙏বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর আদেশ পেয়ে কাঞ্চনা দ্রুতপদে গিয়ে শ্রীপাদ যাদবাচার্য‍্যকে দেবীর আজ্ঞা নিবেদন করলেন।শ্রীপাদ যাদবাচার্য‍্য সবকিছুই বন্দোবস্ত করে দিলেন।শ্রীগৌরাঙ্গ-ঘরণী সর্ব সমক্ষে প্রাণবল্লভের শ্রীমন্দিরে প্রবেশ করলেন।দরজা বন্ধ হ'ল।তখন মঙ্গল আরতীর বাজনা বাজছে।বাইরে ভক্তগণ জয়-ধ্বনি করছেন।হরি সংকীর্তনের আনন্দ রোলে মহাপ্রভুর শ্রীমন্দির মুখরিত। শ্রীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়া যুগলে মিলিত হলেন, শ্রীশ্রীনবদ্বীপচন্দ্র,শ্রীশ্রীনবদ্বীপময়ীর সহিত একত্রীভূত হলেন।আহা! কি সুন্দর যুগল-মিলন!কি মধুর দৃশ্য! অলক্ষ‍্যে দেবগণ এই মনোরম অপূর্ব দৃশ্য দেখে পুষ্পবৃষ্টি করতে লাগলেন।শ্রীশ্রীগৌর বিষ্ণুপ্রিয়ার এই অভিনব যুগল-মিলন-দৃশ‍্য দর্শন জীবের ভাগ‍্যে ঘটিল না।মহাপ্রভু আমার শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের সহিত সম্মিলত হয়েছিলেন ; শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী তাঁর প্রাণবল্লভের সহিত সম্মিলিতা হলেন।এ শুভ মিলন স্বাভাবিক, এ যুগল মিলন মহাপ্রভুর ইচ্ছাতেই সংঘটন হল।*
*😭কিছুক্ষণ পরে শ্রীমন্দিরের দরজা খোলা হলে কেউ আর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীকে দেখতে পেলেন না।মহাপ্রভুর বদনচন্দ্রে হাসির ছটা, নয়নে প্রেমের ঘটা দেখে শ্রীপাদ যাদবাচার্য‍্য সকলই বুঝলেন। "🙌জয় গৌরবিষ্ণুপ্রিয়া"🙌 বলে ভক্তগণ মহাসংকীর্তন আরম্ভ করলেন।কাঞ্চনা কাঁদতে কাঁদতে লজ্জাসরম ত‍্যাগ করে শ্রীগৌরাঙ্গর সম্মুখে পাগলিনীর মত মধুর নৃত্য করতে লাগলেন। নবদ্বীপময়ী,নবদ্বীপ-চন্দ্রের সঙ্গে সম্মিলিতা হয়ে মধুর মনমোহনরূপে নদীয়াধাম আলোকিত করলেন। শ্রীধামে যুগল-মিলন-মূর্তি প্রকাশ হ'ল।মহাপ্রভুর এই অভিনব ও অপরূপ যুগল-মিলন যে সব ভাগ‍্যবান ভক্তগণ দর্শন করলেন,তাঁরা শ্রীশ্রীগৌরবিষ্ণুপ্রিয়ার যুগলরূপ একাধারে দেখলেন।মহাপ্রভু আমার শ্রীরাধার ভাব-কান্তি নিয়ে ভুবনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।তাঁর রূপের অবধি ছিল না।তাঁর রূপ-সাগরে পড়ে ভক্তবৃন্দ হাবুডুবু খেতে লাগলেন।গৌরহরির এই অপরূপ রূপ রাশির উপর আরও অপূর্ব রূপ প্রকাশ পেল।মণিকাঞ্চনের সংযোগ হল।শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী মহাপ্রভুর শ্রীঅঙ্গে মিলিতা হলে তাঁর অপরূপ রূপ রাশি যেন উছলিয়ে উঠিল।অনুপম রূপ মাধুরী ও সৌন্দর্য‍্যচ্ছটায় দশদিক মুখরিত হল।ভক্তগণ প্রেমানন্দে নৃত্য করতে করতে যুগল মিলন গীতি গাইতে লাগলেন। মধুর কীর্তনের সঙ্গে দিগন্ত প্লাবিত সেই মধুর সঙ্গীত-ধ্বনি নদীয়াবাসীর হৃদয় অভূতপূর্ব আনন্দ-রসে পূর্ণ করল।বনের পশু-পক্ষী,বৃক্ষলতা,তরু-তৃণ, জড়-অজড় সকলে মিলে শ্রীগৌর বিষ্ণুপ্রিয়ার যুগল মিলন মধুর সঙ্গীতের তান ধরিল।অধম গ্রন্থকার শ্রীহরিদাস গোস্বামী রচিত একটি যুগল মিলনগীতি এস্থলে উদ্ধৃত হল।*
*(তোরা)  বদন ভরে, বল দেখিরে,*
  *(জয়)    *গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া।*
       *প্রাণ জুড়াবে,      প্রেম পাবে,*
               *ঘুচবে ভবের মায়া।।*
    *যুগল নামে ,     ডাকলে গোরা,*
             *যুগল হয়ে আসে।*
    *যুগল হয়ে ,      কলির জীবের,*
             *মনের তম নাশে।।*
   *আয়রে সব,           পাপী তাপী,*
            *সময় বহে যায়।*
*যুগল  মিলন ,         ভবে অতুলন,*
             *হয়েছে নদীয়ায়।।*
*দেখ্ রে চেয়ে,       বনের পাখী,*
            *যুগল নাম গায়।*
*যুগল  হয়ে ,              মধুর ভাবে,*
           *হাসচে গোরা রায়।।*
*চলচে নদী,           সাগর পানে,*
            *যুগল নাম গেয়ে।*
*বনের   পশু,             যুগল  নামে,*
            *আসচে দেখ ধেয়ে।।*
*বৃক্ষ---লতা,             দুলচে্  দেখ,*
               *যুগল মহিমায়।*
*জড়---অজড়,         সবাই  মিলে,*
            *যুগল নাম গায়।।*
*গৌর     সনে,        মিলেছে প্রিয়া,*
            *দেখরে নয়ন ভরে।*
*বঞ্চিত সুধু   ,        এহেন   সুখে,*
            *দীন পামর হরি।।*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ꧁ ১৮১. শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পঞ্চম ভাগ 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*(১৮১)😭শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াদেবী😭*
*😭😭দেবীর অপ্রকট লীলা😭😭*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🌻শ্রীগৌর-পূর্ণিমা তিথিতে এই অপূর্ব যুগল-মিলনের পূর্ব দিনে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী স্বপ্ন দেখেছিলেন, শ্রীনিবাসকে কৃপা করে তাঁর শেষ কার্য‍্য সমাধা হয়েছে, মহাপ্রভুর মনোবাঞ্জা পূর্ণ হয়েছে।দেবীর দুঃখে ও বিরহে মহাপ্রভু বড় কাতর ছিলেন।তাই তাঁকে ডেকে নিলেন।দেবীর অপ্রকট কাহিনী জনশ্রুতি অবলম্বনে লিখিত হল।দেবীর আদেশে তাঁর ভ্রাতৃবংশীয় গৌরভক্ত চূড়ামণি শ্রীযুক্ত নৃত‍্যগোপাল গোস্বামী কৃপা করে অধম গ্রন্থকারকে নিম্নোদ্ধৃত পত্রখানি লিখেছিলেন।ইহা হতেই দেবীর সঙ্গোপন কাহিনী সংক্ষেপে লিখিত হল।*
*🙏শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর অপ্রকট সম্বন্ধে আমার পিতৃব‍্য ও পিতামহীর মুখে যা শুনেছি,তাই লিখলাম।পিতামহী দশ আনার ঘরের মেয়ে।তিনি বাল‍্যকালে যা শুনেছিলেন, তাইই গল্পচ্ছলে আমাকে বলেছিলেন।আমি বাল‍্যকালে বড় গল্পপ্রিয় ছিলাম।প্রায় দশ বৎসর পর্যন্ত সর্বদাই তাঁর নিকট থাকতাম।তাঁর অনেক কথায় আমার স্মরণ আছে।*
*🌼একদিন বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী অত‍্যন্ত বিরহ কাতরা হয়ে মহাপ্রভুর দারুমূর্তির নিকট আকুল প্রাণে রোদন করতে করতে মহাপ্রভুর শ্রীচরণান্তিকে স্থান প্রার্থনা করেছিলেন।সেই রাত্রে মহাপ্রভু প্রিয়াজীকে স্বপ্নদেশ দেন, একটি ব্রাহ্মণ কুমার তোমার দর্শন আশায় আকুল হয়ে নদীয়ায় আসছে, তাকে কৃপা করিও, উহাই তোমার শেষকার্য‍্য। তার কিছু দিন পর শ্রীনিবাস আচার্য‍্য নবদ্বীপে এসে উপস্থিত হন।দেবী তাঁকে কৃপা করেন।শ্রীনিবাস আচার্য‍্যের নবদ্বীপ ত‍্যাগের পর প্রিয়াজী শ্রীগৌরাঙ্গের দারুমূর্তিতে লীন হয়ে যান।শ্রীমন্দিরে প্রবেশ করতে তাঁকে অনেকেই দেখেছেন কিন্তু বাহির হতে কেউই দেখতে পান নাই।এটি ছাড়া আমি আর কিছু জানি না।*
*😭দেবীর অপ্রকটে নদীয়াবাসীর দশা যে কি হল তা আর লিখতে পারলাম না।শ্রীশ্রীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়া-যুগল-বিরহ-দুঃখ-সাগরে তাঁরা নিমগ্ন হলেন।দুঃখের তরঙ্গের উপর,শোকের আবর্ত আসিল।সেই আবর্ত-ভীষণ শোক সাগরে পড়ে নদীয়ার ভক্তগণ অনেকে প্রাণপাত করলেন।জীবাধম গ্রন্থকার দেবীর সঙ্গোপন কাহিনী নিয়ে নিচে একটি পদ লিখেছেন আস্বাদন করুন।*
*🙏(গৌর হে),*
        *সাঙ্গ  করি,      নদের লীলা,*
                *যুগলে বসিলে।*
       *প্রাণের  প্রিয়া, বুকের মাঝে,*
              *লুকায়ে রাখিলে।।*
*সুধুই   তুমি,           দেখবে বলে,*
          *এ খেলা খেলিলে।*
*নদীয়া বাসী,           পরাণে  মরে,*
          *দেখে না দেখিলে।।*
*(মায়ের) দুঃখে তুমি,  কাতর হয়ে,*
                  *নিকটে ডাকিলে।*
        *দুঃখের ভার,      হরণ  করে,*
                *পরাণ জুড়ালে।।*
       *যুগল  রূপে,  প্রিয়াকে  লয়ে,*
                *ভুবন ভুলালে।*
      *রূপের রাশি,    ছড়ায়ে  তুমি,*
              *জগত ভাসালে।।*
     *সন্ন‍্যাসী  হয়ে,  প্রকৃতি   সনে,*
            *কেমনে মিশিলে।*
     *প্রিয়ার  রূপ,   কান্তি   লয়ে,*
            *চাতুরী শিখিলে।।*
*(একি)*
      *কাঁদায়ে  যত,   নদীয়া  বাসী,*
                *ভকত সকলে।*
       *সঙ্গোপনে ,       রাখিলে তুমি,*
               *সোনার কমলে।।*
       *কাঞ্চনাদি,       সখিরা সবে,,*
              *কাঁদিলা বিরলে।*
      *যুগল হয়ে,      প্রিয়ার সনে,*
             *গোপনে মিশিলে।।*
         *(দেবীর প্রতি)*
*গৌর-প্রিয়ে!*
                *চির  দিনের,   অধীন জনে,*
                       *ফেলিয়া চলিলে।*
          *দুখের দুখী,    সুখের সুখী,*
                  *কেমনে ভুলিলে।।*
         *আপন  সুখে, আশ্রিত জনে,*
                *চরণে ঠেলিলে।*
       *লিখিছে হরি, লেখনি ভরি,*
                *নয়ন সলিলে।*
*(মাগো)* *ঠেলনা তারে,করুণা করে,*
                        *চরণ কমলে।।*
*🙌জয় শ্রীশ্রীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়ার জয়!*🙌
*🙌জয় শ্রীশ্রীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়ার জয়🙌*
*🙌জয় শ্রীশ্রীগৌর-বিষ্ণুপ্রিয়ার জয়🙌*
*🙏শ্রীশ্রীগৌরচন্দ্রায় সমর্পণমস্তু🙏*
*🙏লেখনিতে হয়ত অনেক বানান ভুল হবে নিজজন মনে করে ক্ষমা করবেন।🙏*
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                                   *ক্রমশ*
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
         ꧁ শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবী 🙏 পরিশিষ্ট 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
        এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
   ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧


শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html