🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩
শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০১)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*🍀শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু প্রণীত "শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী" নামক প্রবন্ধ এবং তাঁর নানান সমালোচনা প্রভৃতি।*
*🍀শ্রীরাজেন্দ্রনাথ দাস ঘোষ কর্তৃক সঙ্কলিত। তৎকর্তৃক ২৪ পরগণা পৃথিবা, হতে প্রকাশিত।*
*🍀শ্রীশ্রীস্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে,চৈতন্যাব্দ ৪১৭, বঙ্গাব্দ ১৩০৯, মূল্য আট-আনা মাত্র।*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🌻🌻প্রকাশকের নিবেদন🌻*
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
*🍀গত ১৩০৬ সালের ৩১শে বৈশাখ তারিখের "বঙ্গবাসী" পত্রিকায় কলিপাবনাবতার শ্রীমন্নিত্যানন্দবংশাবতংস প্রভুপাদ শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় "শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী" শীর্ষক একটি সুচিন্তিত ও সারগর্ভ প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।প্রবন্ধটির উদ্দেশ্যও উক্ত পত্রিকারই সম্পাদকীয়-স্তম্ভে এইরকম বিবৃত হয়েছিল। যথা=*
*🌻কোন কোন মহাজন শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীকে বর্তমানে "শূদ্র"প্রতিপন্ন করতে চান। বলেন,ঈশ্বরপুরী,বাহ্মণবংশাতংস শ্রীগৌরাঙ্গের দীক্ষাগুরু ছিলেন।ব্রাহ্মণ শ্রীগৌরাঙ্গ প্রায় চারশ বৎসর পূর্বে শূদ্রের নিকট হতে যখন মন্ত্রগ্রহণ করেছিলেন,তখন অদ্য আমি "আচারো-বিনয়ো-বিদ্যা" ইত্যাদি নবধাগুণসম্পন্ন শূদ্র হয়ে,ব্রাহ্মণকে মন্ত্র দিতে কেন না সক্ষম হবে?অতএব শ্রীপাদ পুরীর শূদ্র হওয়াই একান্ত আবশ্যক।"গরজ বড় বালাই! পুঁথিতে "ক্ষুদাধম"পাঠ থাকলেও তাকে "শূদ্রাধম" বলে পড়তে হবে! কিন্তু দুঃখ এই,-- শূদ্রাধম-পাঠ সংযোজিত হলেও শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী শূদ্র বলিয়া প্রমাণীকৃত হলেন না!পন্ডিত শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় স্বতন্ত্র প্রবন্ধে,শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী যে ব্রাহ্মণ,তা বিশদ ও অকাট্য যুক্তির দ্বারা দেখিয়ে দিয়েছেন।*
*🍀এই প্রবন্ধটি উপলক্ষ্য করে,নানা মহাত্মার পত্রে,সংবাদ পত্রে,ও সাময়িক পত্রে বৈষ্ণববৃন্দের অবশ্য জ্ঞাতব্য নানান বিষয় সমালোচিত হয়।সেগুলি একত্রে প্রকাশিত হলে অনেকেরই বিশেষ উপকার হবে ভেবে,আমি উক্ত সমালোচনাগুলোর সঙ্গে প্রবন্ধটি পুস্তকাকারে প্রকাশ করলাম।*
*🙏পূজ্যপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী তাঁর সম্পাদিত শ্রীচৈতন্যভাগবতের ব্যাখ্যা ও বক্তব্যের ৭৯|২|২১ অংশের ব্যাখ্যায় লিখেছেন=*
*🌹ক্ষুদ্রাধম---,ক্ষুদ্র অপেক্ষাও অধম অর্থ্যাৎ ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র।এই জায়গায় "ক্ষুদ্রাধর্মের" পরিবর্তে কেউ কেউ "শূদ্রাধম" পাঠ কল্পনা করে বলেন যে,শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী জাতিতে "শূদ্র" ছিলেন।তাঁদের কথা যে কতদূর চরমভাবে ভুল তা মৎপ্রণীত "শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী " নামক গ্রন্থে দ্রষ্টব্য।*
*🍀 কিন্তু আমি এই গ্রন্থ প্রকাশ করায়,অপ্রয়োজন-বোধে, তিনি আর আলাদা ভাবে উক্ত গ্রন্থ প্রকাশ করলেন না।*
*🍀অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর প্রবন্ধই এই গ্রন্থের প্রাণ ; সুতরাং তাঁর প্রবন্ধের নামেই গ্রন্থের নামকরণ হল-- শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী।তাঁর পূর্ব প্রতিশ্রুতির মর্য্যাদা রক্ষা করাও,এইরকম নামকরণের অন্যতর উদ্দেশ্য। এই গ্রন্থের সর্বপ্রথমেই অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর প্রবন্ধ,তারপরে ঐ প্রবন্ধ সম্বন্ধে অনুকূল মত,তদনন্তর প্রতিকূল মত, তার পরে ঐ প্রতিকূল মতের প্রতিবাদ,তার শেষে অচ্যুতবাবুর প্রবন্ধ এবং শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী সম্বন্ধে সাধারণের মত প্রকাশ করা হল। অনুকূল মতের ভিতরে প্রভুপাদ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, প্রভুপাদ গোকুলচন্দ্র গোস্বামী ও অচ্যুতবরণ চৌধুরী, মহাশয়ত্রয়ের পত্র এবং বসুমতী-পত্রিকার সম্পাদকীয় মন্তব্য স্থান প্রাপ্ত হয়েছে।বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর এই পত্রই তাঁর জীবনের শেষ পত্র।এই পত্র লিখিবার পর, আর তাঁকে লেখনি ধারণ করতে হয়নি, তিনি ইহলোক পরিত্যাগ করেন।বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অচ্যুতবাবুর পত্র দুইটি ২৮শে জ্যৈষ্ঠের বঙ্গবাসী এবং গোকুলচন্দ্র গোস্বামীর পত্রটি ৭ই শ্রাবণের বঙ্গবাসী হতেই সংগৃহীত।*
*🌻প্রতিকূল মত একটিমাত্র।প্রতিকূল মতের প্রতিবাদ দুইটি, গৌড়েশ্বর-বৈষ্ণবের প্রবন্ধ এবং কৃষ্ণহরি গোস্বামী মহাশয়ের পত্র।পত্রটি অতুলকৃষ্ণ মহাশয়ের কাছ হতেই পেয়েছিলাম।*
*🌺প্রতিকূল মতের লেখক-- শ্রীযুক্ত অপূর্বকৃষ্ণ দেব।তাঁর বক্তব্য (১৩০৬, জ্যৈষ্ঠ মাসের) শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।গৌড়েশ্বর-বৈষ্ণবের প্রবন্ধ ও কৃষ্ণহরি গোস্বামী মহাশয়ের পত্র পাঠ করলেই অপূর্ববাবুর প্রতিবাদের অসারতা সকলেই বুঝতে পারবেন।*
*🍁অপূর্ববাবুর এই প্রবন্ধ সম্বন্ধে আমারও দুই-একটি কথা বলবার আছে।তিনি লিখেছেন যে, "ক্ষুদ্রাধম" পাঠ কোন গ্রন্থেই দেখতে পাননি,তাঁকে "ক্ষুদ্রাধম" পাঠ দেখাতে পারলে,তিনি বড় বাধিত হবেন, এবং যেহেতু ক্ষুদ্র ও অধম শব্দ একার্থবাচী(একইকথা), সুতরাং "ক্ষুদ্রাধম" দ্বিরুক্তি-দোষে দুষ্ট।*
*🍀প্রভুপাদ অতুলকৃষ্ণ ও কৃষ্ণহরি গোস্বামী প্রভৃতি পন্ডিতগণ প্রাচীন গ্রন্থে "ক্ষুদ্রাধম" পাঠ দেখতে পেলেও, অপূর্ববাবুই যে কেন দেখতে পেলেন না,এ কথার প্রকৃত উত্তর দিতে না পারলেও, আমি তাঁকে সাহসের সঙ্গেই বলতে পারি যে, তিনি অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর (১১ নং মহেন্দ্রনাথ গোস্বামীর লেন,সিমুলিয়া স্থিত) ভবনে গিয়ে,অথবা সেখানে যাবার যদি কোন আপত্তি থাকে,তাহলে হাবড়া রামকৃষ্ণপুর নিবাসী শ্রীযুক্ত রোহিণীনন্দন দাস বাবাজী মহাশয়ের কাছে উপস্থিত হয়ে,"ক্ষুদ্রাধম" পাঠ দেখে আসতে পারেন। "ক্ষুদ্রাধম" শব্দটি দ্বিরুক্তি-দোষে দুষ্ট,(দ্বিরুক্তি=একটি শব্দ পুনর্বার উল্লেখ ),অপূর্ববাবুর এ সিদ্ধান্তটি অতীব অর্পূব!তাঁর এই সিদ্ধান্তই তাঃর ব্যাকরণজ্ঞান ও দূরদর্শিতার প্রতি বিশেষ সন্দেহ উৎপাদন করে দিয়েছে।ব্যাকরণশাস্ত্রে "সমাস" বলে যে একটা-কিছু আছে,তা জানা থাকলে,তাঁর লেখনিমুখে কখনই ঐরকম কথা বাহির হত না। অপূর্ববাবুকে জিজ্ঞাসা করি, পান্ডবগীতা দেখেছেন কি? কৃপাচার্য্য বলেছেন=*
*🌷ত্বদ্ভৃত্য-ভৃত্য-পরিচারক-ভৃত্য-ভৃত্য।*
*🌷ভৃত্যস্য ভৃত্য ইতি মাং স্মর লোকনাথ।।*
*☘এখানে দেখতে পাই,"পরিচারক" ও ভৃত্য শব্দ একইশব্দ।অপূর্ববাবুর মতে এটি দ্বিরুক্তি-দোষে দুষ্ট বলে কৃপাচার্য্যের মস্ত ভুলই বলতে হবে, না, এটির অর্থ-পরিগ্রহের প্রকৃত চেষ্টা করতে হবে?অপূর্ববাবুকে আরও জিজ্ঞাসা করি, শঙ্করাবতার শঙ্করাচার্য্যের "চর্পট-পঞ্জরিকা" পড়েছেন কি?তাতে তিনি বলেছেন=*
*🌷ভগবদ্গীতা কিঞ্চিদধীতা,*
*🌷গঙ্গা-জল-লব-কণিকা-পীতা।*
*🌷সকৃদপি যস্য মুরারি-সমর্চ্চা,*
*🌷তস্য যমঃ কিং কুরুতে চর্চ্চা।।*
*🌺এই শ্লোকেও দেখতে পাই, একার্থবাচী "লব" ও "কণিকা" শব্দ একত্র প্রযুক্ত হয়েছে।এটি শঙ্করাচার্য্যের ভুল না কি? শ্রীভাগবতেও= "অনুজানীহি নৌ ভূমংস্তবানুচর-কিঙ্করৌ", এইরকম জায়গাও একার্থবাচী "অনুচর" ও "কিঙ্কর" শব্দের একত্র প্রয়োগ দেখা যায়।এটিও কি ব্যাসদেবের ভুল বলতে হবে?*
*ক্রমাগত*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০২)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রকাশকের নিবেদন*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀আর একটি কথা,--তিনি অমরকোষের নানার্থবর্গ হতে যে প্রমাণবচনটি উদ্ধৃত করে নিজ পান্ডিত্য প্রখ্যাপনের চেষ্টা করেছেন,সেই বচনের মধ্যস্থিত "অধম" শব্দটির "অধন" পাঠান্তর আছে।মেদিনীকোষেও "অধনই" পাঠ। সুতরাং উক্ত জায়গায় "অধম" শব্দটি সর্ববাদিসম্মত না।অমরকোষের ঐ জায়গায় টীকা দেখলেই তিনি আমার কথার যথার্থ উপলব্ধি করতে পারবেন।তার পর,ঐ অমরকোষেরই নানাজায়গায় ঐ অধম-শব্দেরই নানা অর্থ কথিত থাকতে,এখানের অর্থই যে কেন স্বীকার করতে হবে,অপূর্ববাবুর তার কারণ নির্দেশ করে দেওয়া উচিত ছিল। বোধ হয়, এ সম্বন্ধে আর বেশী বলা নিষ্প্রয়োজন।*
*☘অচ্যুতবাবুর প্রবন্ধে পুরীপাদের জীবনলীলা অতি সুন্দরভাবেই বর্ণিত হয়েছে। তিনি তাঁর এই প্রবন্ধমধ্যেই প্রথমে পুরীপাদকে "শূদ্র" বলে উল্লেখ করেছিলেন, পরে অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর প্রবন্ধ পাঠ করে, পুরীপাদকে "ব্রাহ্মণ" বলে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং বলতে হয়,তাঁর প্রবন্ধটি এখন পূর্ণবয়বই হয়েছে। শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী সম্বন্ধে সাধারণের মতের মধ্যে শ্রীজনার্দ্দন শর্ম্মা ও শ্রীঅম্বিকাচরণ গুপ্ত মহাশয়দ্বয়ের প্রবন্ধের কিছু অংশ এবং অনুসন্ধানপত্রিকায় প্রকাশিত শ্রীজগদ্বন্ধু ভদ্র মহাশয়ের একটি প্রতিবাদ-প্রবন্ধ ও তার প্রত্যুত্তর-প্রবন্ধের অধিকাংশ উদ্ধৃত হয়েছে।মহাত্মা জনার্দ্দন শর্ম্মা যে বিকাররোগীর প্রলাপের কিছু অংশ উদ্ধৃত করে,তার প্রলাপ-বিরতির জন্য বিদ্রূপের জাতিই বলেন। আপনি "ব্রাহ্মণ" প্রতিপন্ন(প্রমাণসিদ্ধ) করে লিখলে কেন না সুখী হব?*
*🍀সুহৃদবরের পত্রের উত্তরস্বরূপে আমি এটিই বলতে পারি,শ্রীপাদ বৃন্দাবন দাস শ্রীচৈতন্যভাগবতে কখনই শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীকে "শূদ্রজাতি" লিখেন নাই।আমি যে পুঁথিগুলি আশ্রয় করে শ্রীচৈতন্যভাগবত সম্পাদন করেছি,তার মধ্যে অনেকগুলিই বিশুদ্ধ ও কোন কোন পুঁথি আড়াইশ বৎসরেরও প্রাচীন।সমস্ত প্রাচীন পুঁথিতেই "ক্ষুদ্রাধম" পাঠ দেখেছি এবং সুসঙ্গত-বোধে সেই পাঠই রেখেছি। ভাল,"ক্ষুদ্রাধম" পাঠ না হয় নাই রইল ; স্বীকার করলাম যে "শূদ্রাধম"ই প্রকৃত পাঠ ; তাহলেও কি পুরীপাদকে শূদ্রজাতি বলে নির্দেশ করতে পারা যায়?আসুন দেখি,এবিষয়ে একটু বিচার করে দেখা যাক!শ্রীপাদ বৃন্দাবন দাস লিখেছেন=*
*🌷হেনকালে নবদ্বীপে শ্রীঈশ্বরপুরী।*
*🌷আইলেন অতি অলক্ষিত বেশ ধরি।।*
*🌷কৃষ্ণরসে পরম বিহ্বল মহাশয়*।
*🌷একান্ত কৃষ্ণের প্রিয় অতি দয়াময়।।*
*🌷তান বেশে তানে কেহো চিনিতে না পারে।*
*🌷দৈবে গিয়া উঠিলেন অদ্বৈত-মন্দিরে।।*
*🌷যেখানে অদ্বৈত সেবা করেন বসিয়া।*
*🌷সম্মুখে বসিলা বড় সঙ্কোচিত হৈয়া।।*
*🌷বৈষ্ণবের তেজ বৈষ্ণবেতে না লুকায়।*
*🌷পুনঃপুনঃ অদ্বৈত তাহান পানে চায়।।*
*🌷অদ্বৈত বোলেন বাপ!তুমি কোন জন।*
*🌷বৈষ্ণব-সন্ন্যাসী তুমি হেন লয় মন।।*
*🌷বোলেন ঈশ্বরপুরী "আমি ক্ষুদ্রাধম।*
*🌷দেখিবারে আইলাঙ তোমার চরণ।।*
*(শ্রীচৈঃভাঃ আদি খন্ড ৭ম অধ্যায়)*
*🌻তান=তাঁর, তানে=তাঁরে, তাহান=তাঁহার।*
*🌹শ্রীবৃন্দাবন দাসের এই তো কথা, "বোলেন ঈশ্বরপুরী--আমি ক্ষুদ্রাধম"।এর পরিবর্তে না হয় বললাম, "বোলেন ঈশ্বরপুরী-- আমি শূদ্রাধম"। এই অংশ আশ্রয় করে কি ভাবে যে পুরীপাদকে শূদ্রজাতি বলা যেতে পারে,তা তো আমাদের অল্প বুদ্ধির গোচর হল না।আমরা তো বুঝি, এস্থলে "শূদ্রাধম" পাঠ বৈষ্ণব-স্বভাব সুলভ দীনতারই দ্যোতক(প্রকাশক)। জাতির প্রসঙ্গ এখানে আসতেই পারে না। যদি "বোলেন ঈশ্বরপুরী আমি শূদ্রাধম" এর অর্থ এইরকম করা যায় যে. ঈশ্বরপুরী বললেন,আমি অতি অধম শূদ্রজাতি,তাহলে আমাদের এই কথাটি মনে পড়ে,(মৃত আসি কহিলেক আমি তো জীবিত!) অর্থ্যাৎ যার জীবন নাই, সেই মরা মানুষ এসে বলল,আমি জীবিত!! যিনি পুরী, যিনি সন্ন্যাসী, যিনি সমস্ত বিষয়ের আসক্তি পরিত্যাগ করেছেন, যিনি নিজ পূর্বাশ্রম বা নাম-ধাম জাতি গোপনে রাখতে শাস্ত্র অনুসারে বাধ্য, আজ সেই ঈশ্বরপুরী বলছেন কি? না আমি শূদ্রাধম,আমি অতি অধম শূদ্রজাতি!!এর চেয়ে বেশী হাস্যজনক ব্যাপার আর কিছু হতে পারে কি?*
*🙏শ্রীঅদ্বৈতাচার্য্য পুরীপাদকে জিজ্ঞাসা করলেন,তুমি কোন জন?এরই তো উত্তরস্বরূপে পুরীপাদ বলেছেন, আমি শূদ্রাধম?এখানে "শূদ্রাধম"শব্দ জাতিত্বব্যঞ্জক কেমন করে হবে?কেন না, অদ্বৈতাচার্য্য তাঁর পরিচয় জানার আগেই স্বয়ং শ্রীমুখে বলেছেন, "বৈষ্ণব সন্ন্যাসী তুমি হেন লয় মন"। সুতরাং শ্রীঅদ্বৈতাচার্য্য তাঁকে "তুমি কোন জাতি"?এইরকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি,এটি যেরকম অভ্রান্ত সত্য,পুরীপাদও যে শূদ্রাধম শব্দ দ্বারা তাঁর জাতির পরিচয় প্রদান করেননি,এটিও সেইরকম অভ্রান্ত সত্য।শ্রীমৎ অদ্বৈতাচার্য্যপ্রভুপাদের ন্যায় একজন সর্বশাস্ত্রপারদর্শীর পক্ষে যেরকম একজন বৈষ্ণব সন্ন্যাসীকে "তুমি কোন জাতি"? এরকম অসঙ্গত ও অশাস্ত্রীয় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা অসম্ভব,শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীর মত একজন মহামহোপাধ্যায় পন্ডিত সন্ন্যাসীর পক্ষেও স্বকীয় পূর্বাশ্রম বা জাতির পরিচয় প্রদান করা সেইরকমই অসম্ভব ও অসঙ্গত।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙌🙏🙏🙏🙏🙏🙏
*🌻অধন ও অধম মানে হচ্ছে=যার ধন নেই, ধনহীন,নিঃস্ব,নির্ধন,দরিদ্র।*
*(২)যাদের নিজস্ব বলিবার কিছুই নেই ; সোপার্জিত ও কোন কিছু যাদের নিজস্ব নয়। শাস্ত্রে নিশ্চিত আছে যে,অস্বাধীন দাস,পুত্র ও নারী এই তিনজন অধন,এদের নিজস্ব কিছুই থাকে না,এরা যা কিছু লাভ করে,তা স্বামীরই হয়।*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০৩)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রকাশকের নিবেদন*
~~~~~~~~~~~~
*🍀বৈষ্ণবে জাতি-বুদ্ধি,এক মহান অপরাধের মধ্যে পরিগণিত,তা কি অদ্বৈতাচার্য্য জানতেন না? সুতরাং এ স্থলে "শূদ্রাধম"শব্দের অর্থ এইরকমই বুঝতে হবে,"আমি অতি দীনহীন,আমি শূদ্র হতেও অধম, আমি অতি সামান্য ব্যক্তি"।মোটকথা, শ্রীবৃন্দাবন দাস শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীকে "শূদ্র জাতি" বলেছেন,এ কথা যে আর চলে না,তা বোধ হয় সকলেই স্বীকার করবেন।*
*🌻শ্রীবৃন্দাবন দাস ভাগবতে শ্রীঈশ্বরপুরীপাদকে 'শূদ্রজাতি' লিখেছেন,না জেনে,না শুনে, বিশেষ আলোচনা না করে,এরকম কথা বলা যে অতি গুরুতর অপরাধ,তার আর সন্দেহ নাই।শ্রীবৃন্দাবনদাসের বদনে এরকম কলঙ্কের কালিমা লেপন,করা দূরে থাকুক,এরকম কথা শুনলেও অপরাধী হতে হয়। কেন না, "ন কেবলং যো মহতোহপভাষতে শৃণোতি তস্মাদপি যঃ স পাপভাক্"।শ্রীপাদ বৃন্দাবন দাস একজন সন্ন্যাসীকে "শূদ্র" বলে নির্দেশ করেছেন বা সেই সন্ন্যাসী পূর্বাশ্রমে "শূদ্র" ছিলেন বলে প্রকাশ করেছেন,এইকথা বলবার আগে শ্রীপাদবৃন্দাবন দাসের গ্রন্থটি আদ্যোপান্ত আলোচনা করাই সুবিবেচকের উচিত।কেন না,তিনি আলোচনা করলেই দেখতে পেতেন যে, "সন্ন্যাসী শূদ্র নহেন বা শূদ্র সন্ন্যাসী হতে পারেন না ", একথাই শ্রীবৃন্দাবনদাস পদে পদে প্রচার করেছেন।আমি তাঁর গ্রন্থ হতে যদৃচ্ছাক্রমে দুই-একটা স্থান নিচে উদ্ধৃত করছি ; ধীরতার সঙ্গে সেই জায়গাগুলি আলোচনা করে দেখুন, কি বোধ হয়! শ্রীবৃন্দাবন দাস লিখেছেন=*
*🌷এই মত আপ্ত বৈষ্ণবের স্থানে স্থানে।*
*🌷'শিখা সূত্র ঘুচাইমু' বলিলা আপনে।।(১)*
*(শ্রীচৈঃভাঃ,মধ্যখন্ড,২৫অধ্যায়)*
*🌷"শিখা সূত্র ঘুচাইয়া সবে এই লাভ।*
*🌷নমস্কার করে আসি মহাভাগবত"।।(২)*
*🌷"যদি কৃষ্ণভক্তিযোগে করিবে উদ্ধার।*
*🌷তবে শিখা সূত্র-ত্যাগে কোন্ লভ্য আর"।।(৩)*
*🌷"যদি বোল মাধবেন্দ্র-আদি মহাভাগ।*
*🌷তাঁরাও করিয়াছেন শিখা-সূত্র-ত্যাগ"।।(৪)*
*(শ্রীচৈঃভাঃ অন্ত্যখন্ড,৩য় অধ্যায়)*
*🌹উপরের উদ্ধৃত চারটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশটি গ্রন্থকারের নিজের উক্তি এবং অবশিষ্ট তিনটি অংশ মহাপ্রভুর প্রতি সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের উক্তি।এই কয়টি জায়গায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, গ্রন্থকার 'সন্ন্যাস' শব্দের পরিবর্তে "শিখা-সূত্র-ত্যাগ" কথাটির ব্যবহার করেছেন ; অর্থ্যাৎ শিখা-সূত্র-ত্যাগই যে সন্ন্যাস,এই শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্তটি গ্রন্থকার যেরকম নিজে জানতেন,সেইরকম অকপট হৃদয়ে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছেন। সুতরাং "সন্ন্যাস" শব্দের পরিবর্তে "শিখা-সূত্র-ত্যাগ" কথাটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারংবার বলেছেন।এখন জিজ্ঞাসা করি,এই সব অংশ দেখে-শুনেও কি শ্রীবৃন্দাবনদাসের উপর দোষারোপ করতে পারা যায়? তিনি সন্ন্যাসীকে "শূদ্র"বলেন,বা শূদ্র সন্ন্যাসী হতে পারেন,এ কথা প্রচার করেন,এরকম কথা আর বলা চলে কি?আর এক কথা,চতুর্থ পদ্যাংশের মধ্যে যে "মাধবেন্দ্র-আদি" শব্দ বিন্যস্ত রয়েছে, এই "আদি" শব্দের অভ্যন্তরে মাধবেন্দ্রশিষ্য "শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীর" প্রতিমূর্তি কি দেখা যাচ্ছে না? হঠকারিতা এবং জিগীষাবৃত্তিকে দূরে রেখে, এ কথাটাও একটু নিরপেক্ষ ভাবে ভেবে দেখুন, কি বোধ হয়!*
*🍀সুহৃদ্বর শেষ মীমাংসা করেছেন যে,শিশিরবাবু শূদ্রজাতিই বলেন, সুতরাং ঈশ্বরপুরী শূদ্র!আমরা এ কথাটা বেশ ভালভাবে বুঝতে পারলাম না।অনেক আচার্য্যপদপ্রার্থী হীনচেতা ও মূর্খ শূদ্র পূর্বোক্ত "ক্ষুদ্রধাম" পাঠকে "শূদ্রাধম" করে ব্যাখ্যার কৌশলে নিরক্ষর মানুষগুলোর চোখে ধূলি দিয়ে নিজের কাজ সাধন করে থাকে,একথা আমরা জানি। অর্থ্যাৎ তারা এইরকম প্রচার করে যে, শ্রেষ্ঠ বৈদিকব্রাহ্মণবংশসমূদ্ভূত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যখন শূদ্রজাতি -সমুৎপন্ন ঈশ্বরপুরীর কাছে দীক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছেন,তখন আমরাই বা কেন ব্রাহ্মণাদি সব জাতিকে দীক্ষিত করার অধিকার হতে বঞ্চিত হব?এইরকম অভিমানের বশবর্তী হয়েই,তারা একমাত্র ঐ "শূদ্রাধম"শব্দটিকে অবলম্বন করে,পাপের সাগরে ঝাঁপ দিয়ে থাকে। কিন্তু শিশিরবাবুর মত একজন সুশিক্ষিত শ্রীগৌরভক্ত যে ঐরকম কোন একটা অসৎ উদ্দেশ্যে ঐরকম মত প্রচার করেছেন, অর্থ্যাৎ ঈশ্বরপুরীপাদকে "শূদ্র"বলে নির্দেশ করেছেন,তা কখনই হতে পারে না।তবে শিশিরবাবু তো দেবতা নহেন, তিনি মানুষ। ভ্রম-প্রমাদ মানুষের নিত্য সহচর।এ ক্ষেত্রে শিশিরবাবু সেই ভ্রমে পতিত হয়েছেন।অসাবধানতাপ্রযুক্ত এরকম কথা বলেছেন বলেই আমাদের মনে হয়। মোটকথা, শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী শূদ্র নহেন কিংবা পূর্বাশ্রমে শূদ্র ছিলেন না এবং শ্রীবৃন্দাবনদাসও যে তাঁকে শূদ্রজাতিসম্ভূত বলেননি,এ বিষয়ে আর সংশয়ের লেশমাত্র থাকতে পারে না।*
*🙏লেখকের মতামত প্রকাশ করিলাম।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০৪)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রবন্ধ-সম্বন্ধে অনুকূল মত*
<><><><><><><><><><><
*🍀কলিপাবনাবতার শ্রীমদদ্বৈতপ্রভুবংশাবতংস শ্রীবিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় লিখেছেন=*
*🌷নমোহস্তু শ্রীনিত্যানন্দ-বংশধর-চরণ-সরোজেষু।*
*🌻অদ্য বঙ্গবাসীতে "শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী" নামক প্রবন্ধটি শুনিয়া কতদূর যে সুখী হইলাম, তাহা বলিতে পারি না।যখন আমি কলকাতায় ছিলাম,প্রায়ই দেখিতাম যে,লোকেরা আসিয়া বলিতেছে যে,বিষ্ণুপ্রিয়া পত্রিকাতে মহাপ্রভুর গুরু ঈশ্বরপুরী যে শূদ্র ছিলেন,তাহাই লেখা হইতেছে।সেই পর্য্যন্ত আমার মনে সর্বদা হইত যে, আমাদের কোন গোস্বামী বংশে কি এমন কেহই নাই যে,এই মিথ্যা এবং ভয়ানক মতের প্রতিবাদ করে!অদ্য আপনার প্রতিবাদ শুনিয়া যে কি পর্য্যন্ত আহ্লাদিত হইলাম,তাহা বলিতে পারি না।যদি আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ও সমুদ্র শুকাইয়া যায়,তথাপি ঈশ্বরপুরী যে শূদ্র ছিলেন,এ কথা কখনই সত্য হইতে পারে না।আপনি যেরূপ যুক্তিযুক্তভাবে প্রবন্ধটি লিখায়াছেন,তাহা খুব সুন্দরই হইয়াছে।যুক্তিগুলি খুবই অকাট্য হইয়াছে।তথাপি আমি দুই একটি কথা বলি।আপনি যাহা প্রমাণ দেখাইয়াছেন,তাহা যথেষ্ট হইয়াছে ; তবে সব দিকেই ঈশ্বরপুরী যে কখনই শূদ্র হইতে পারেন না,তাহার প্রমাণ রহিয়াছে।*
*🌻মহাপ্রভু যখন গয়াধামে গিয়াছিলেন,সেই স্থানেই ঈশ্বরপুরীর নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেন,তখন তাঁহার প্রকটাবস্থা নয়।আর বর্ণাশ্রমধর্মে থাকিয়া তিনি যে শূদ্রের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করিবেন, এ মোটেই সম্ভব হইতে পারে না।গয়াধামে গিয়া,শ্রীঈশ্বরপুরী ব্রাহ্মণ না হইলে,তাঁহার কাছে দীক্ষাগ্রহণ করিবেনই বা কেন?তা ছাড়া গুরুপরম্পরায় শ্রীমাধবেন্দ্রপুরীর শিষ্য শ্রীঈশ্বরপুরী বলিয়া লেখা আছে।ঈশ্বরপুরী শূদ্র হইলে মাধবেন্দ্রপুরী তাঁহাকে শিষ্য করিবেন কেন?*
*🌻আপনি যে সব যুক্তি দেখাইয়া লিখিয়াছেন,তাহাতে এই সব অসার ও অন্যায় মত খুব খন্ডন করা হইয়াছে।এইরূপ ভয়ানক মত যাহাতে প্রশ্রয় না পাইতে পারে,তাহার জন্য আপনারা সবিশেষ চেষ্টিত থাকিবেন। আমাদের দেশে বর্ণাশ্রমধর্ম লোপ পাইবার মত হইয়াছে।আপনারা বর্ণাশ্রমধর্ম রক্ষার জন্য না চেষ্টা করিলে আর কারা করিবে?এই বর্ণাশ্রমধর্ম না ডাঁড়ালে,সর্বসাধারণের কখনই মঙ্গল হবে না।বর্ণাশ্রমধর্ম রক্ষা হইলে যথার্থ সকলের কল্যাণ হইবে। শেষে মহাপ্রভুর নিকট প্রার্থনা করি, যেন আপনাকে দীর্ঘজীবী করেন ও যেন তাঁর সত্যধর্ম এইরূপ রক্ষা করিতে ও লোককে বুঝাইতে শক্তি দেন।*
*🌻শাস্ত্র ও সদাচার-রক্ষাকারী সর্বসজ্জনগণের দাসানুদাস শ্রীবিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, শ্রীক্ষেত্রধাম। ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ সাল।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
*🌻কলিপাবনাবতার শ্রীমন্নিত্যানন্দপ্রভুবংশাবতংস শ্রীপাদ গোকুলচন্দ্র গোস্বামী মহাশয় লিখেছেন=*
*🌻বঙ্গবাসীতে তোমার প্রকাশিত "শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী শূদ্র কিনা প্রবন্ধটি পড়িয়াছি।প্রবন্ধে "ক্ষুদ্রাধম" বা "শূদ্রাধম" পাঠ বিষয়ে এক্ষণে আমি কিছু বলিয়েছি না।তবে তুমি যে সকল যুক্তি ও সিদ্ধান্ত করিয়াছ,উহা অতি সুন্দর।যে মর্ম্মে লেখা হইয়াছে তাহা সুসঙ্গত হইয়াছে। ঈশ্বরপুরী সম্বন্ধে আমারও বক্তব্য এই,তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন। ব্রাহ্মণ ব্যতিরেকে বেদাদি শাস্ত্র অধ্যয়ন, বিশেষতঃ সে সময়ে,সম্ভব নহে।শ্রীমন্মহাপ্রভু তাঁহাকে প্রতিদিন নমস্কার করিতেন ও তাঁহার সহিত শাস্ত্রপ্রসঙ্গ করিতেন।*
*🌷ঈশ্বরপুরীকে নমস্করিবারে চলে।*
*🌷ঈশ্বরপুরীও সর্বশাস্ত্রেতে পন্ডিত।*
*🌻ইত্যাদি শ্রীচৈতন্যভাগবতে দেখিতে পাওয়া যাইতেছে।আরো "পুরী" এটি ব্রাহ্মণ ভিন্ন শূদ্রাদিতেও সম্ভব নহে। অতএব ঈশ্বরপুরী ব্রাহ্মণ ছিলেন,ইহাতে সন্দেহ হইতেই পারে না। শূদ্র দীক্ষা প্রদান করিতে পারে, এ কথাটি বাস্তবিকই নূতন।ইহা যে বৈষ্ণবশাস্ত্রানুমোদিত,ইহা কখনই নহে।তবে আজকাল বৈষ্ণবশাস্ত্র না জানিয়া,যদি কেহ ঐরূপ বলে,সে বিষয়ে কেবল অজ্ঞতা প্রখ্যাপন মাত্র। ব্রাহ্মণ ভিন্ন,আচার্য্য হওয়া,দীক্ষা প্রদান করা,কাহারই অধিকার নাই। ইহাই বৈষ্ণবশাস্ত্র কি বেদাদি শাস্ত্র মাত্রেরই সিদ্ধান্ত।সদাচারও এইরূপ চলিয়া আসিতেছে।অতএব ব্রাহ্মণ ভিন্ন দীক্ষা প্রদান করিতে পারে না।ইহাতে সংশয়মাত্রও নাই। ইতি=.শ্রীগোকুলচন্দ্র গোস্বামী, ১৬১ হ্যারিসন রোড,কলিকাতা।*
*🌻সুপ্রসিদ্ধ "বসুমতী" পত্রিকার সম্পাদকীয়স্তম্ভে লিখিত হয়েছে =*
*🍀দেশপাবন গুরুদেব ঈশ্বরপুরীকে অনেকে শূদ্র মনে করেন ; কেবল মনেই করেন না,সাধারণের মধ্যে প্রকাশ করতেও কুন্ঠিত হন না।এ সব কথা শুনলে আমাদের হাসি পায়। ঈশ্বরপুরীর নিবাস হালিশহর, কুমারহট্ট গ্রাম ; তিনি ব্রাহ্মণ ; কুলীন ব্রাহ্মণ।আমাদের স্বগ্রামবাসী বলে আমরা এ সংবাদ ঠিক জানি।একবার "দাসী" নামক মাসিক পত্রিকায় ভক্ত রামপ্রসাদ সেনকে কায়স্থ বলে প্রতিপন্ন করবার চেষ্টা হয়েছিল। সে চেষ্টাও যেমন হাস্যজনক, পুরীমহাশয়কে শূদ্র প্রতিপন্ন করবার চেষ্টাও তেমনি হাস্যজনক। এই বিষয় নিয়ে গত সপ্তাহের বঙ্গবাসীতে শ্রীমান্ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী একটি সুন্দর সুচিন্তিত প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।বৈষ্ণবমাত্রেই তা পাঠ করবেন, এই আমার অনুরোধ।*
*বসুমতী,৫ই জ্যৈষ্ঠ,১৩০৬ সাল।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
*🌻সর্বজনপ্রিয় বৈষ্ণবজীবনী-লেখক শ্রীযুক্ত অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি মহাশয় লিখেছেন=*
*🌻বঙ্গবাসীতে প্রতিবাদ পাঠে সুখীই হলাম।নিমাইচরিত গ্রন্থে, (এখানে বলে রাখা ভাল যে,এই পূজনীয় প্রভুপাদই শ্রীগৌরাঙ্গসমাজের সভাপতি। প্রকাশক)।যে ভ্রান্তমত প্রচারিত হচ্ছিল, আমার প্রবন্ধের (এই সময় সুপ্রসিদ্ধ "উমা" প্রভৃতির গ্রন্থকর্তা সুলেখক শ্রীযুক্ত পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, বি,এ,মহাশয় এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।প্রকাশক)।উপলক্ষ্যে তার একটা মীমাংসা হয়ে গেল,ভালই হল।*
*শ্রীঅচ্যুতচরণ চৌধুরী।*
*১৮ই মে,১৮৯৯*
*মৈনা*
*কানাইবাজার*
*শ্রীহট্ট*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০৫)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রবন্ধ-সম্বন্ধে প্রতিকূল মত*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀শ্রীশ্রীগৌরাব্দ ৪১৪,জ্যৈষ্ঠ মাসের শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াপত্রিকায় শ্রীযুক্ত অপূর্ব কৃষ্ণ দেব লিখেছেন=*
*🌻শ্রীশিশিরবাবু তাঁর অমিয় নিমাই চরিতে শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীকে কায়স্থ বলে উল্লেখ করায় বৈষ্ণব মন্ডলীর মধ্যে কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছেন, লোকপরম্পরায় এই রকম শুনা যেত। সম্প্রতি বঙ্গবাসী নামক পত্রে এই সম্বন্ধে "শ্রীঅতুলকৃষ্ণ গোস্বামী" স্বাক্ষরিত একখানি পত্র প্রকাশিত হয়েছে।এই প্রবন্ধে শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী যে ব্রাহ্মণেতর জাতি ছিলেন না তাইই প্রমাণ করবার চেষ্টা করা হয়েছে।*
*তাঁর প্রথম যুক্তি এই যে,শূদ্রের সন্ন্যাসে অধিকার নাই,শূদ্র পুরী হবার অযোগ্য।শূদ্রের সন্ন্যাসে অধিকার নাই একসময়ে একথা সত্য ছিল। কিন্তু মহাপ্রভুর সময়ের অনেক পূর্ব হতেই এই নিয়মের ব্যভিচার ঘটতে আরম্ভ হয়।কলিকালের নিমিত্ত ধর্মসংহিতার কোন কোন নিয়মের প্রত্যাখ্যাত হল,তারমধ্যে সন্ন্যাসও একটি। যথা=*
*🌷সমুদ্র যাত্রা স্বীকারঃ কমন্ডলু বিধারণঃ ইত্যাদি।*
*🌻এই কথার অংশটি বৃহন্নারদীয় পুরাণ অন্তর্গত এবং উদ্বাহতত্ত্বে বিধৃত।কলিতে বৈদিক সন্ন্যাসের বিধি এই কথায় প্রত্যাখ্যাত (অস্বীকৃত) হয়ে যায়। সুতরাং শাস্ত্রানুসারে ব্রাহ্মণও পুরী হবার অযোগ্য হলেন। অন্য দেশে যদিও এ নিয়ম সেরকম প্রভাবিত হল না, কিন্তু বঙ্গদেশে এর বিলক্ষণ প্রভাব রহিল। অথচ ত্যাগীগণ সংসারে আবদ্ধ থাকতে পারেন না। তন্ত্র হতে তাঁরা তান্ত্রিক সন্ন্যাসের বিধি খুঁজে বাহির করলেন। "অবধূতাশ্রমং দেবি কলৌ-সন্ন্যাস মুচ্যতে"। ইত্যাদি শিব বাক্যের উপর আস্থা সংস্থাপন করে আবার সন্ন্যাসের বিধি প্রবর্তিত হল।এবার একটু উপরন্তু সুবিধা হল।সে সুবিধা এই যে,এতে সর্ববর্ণেরই সন্ন্যাসে অধিকার জন্মিল।।বৈদিক সন্ন্যাসের মত এটির নিয়মের কঠোরতা থাকল না, শাক্ত,বামাচারী সন্ন্যাসী, বৈষ্ণব সন্ন্যাসী, এই দুই শ্রেণীর সন্ন্যাসী চারশ বৎসরের অনেক পূর্বেও বঙ্গদেশে বিরাজ করছিলেন।মালদহ,রঙপুর প্রভৃতি জায়গায় এখনও বামাচারী শাক্ত সন্ন্যাসীগণের গাদি ও চেলা দেখতে পাওয়া য।ইঁনারা গিরি উপাধিধারী।ইঁনারা সৌখিন গিরি নন। প্রচলিত প্রথা অনুসারে ইনাদেরকে সন্ন্যাসী হতে হয় ইঁনারা ব্রাহ্মণেতর জাতি হতেও সন্ন্যাসী চেলা গ্রহণ করে থাকেন।*
*এইরকম বৈষ্ণব সন্ন্যাসের প্রথাও বহুকাল হল প্রচলিত হয়। আমাদের আলোচ্য শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীও বৈষ্ণব সন্ন্যাসী।শ্রীমৎ অদ্বৈতাচার্য্য দেখিবামাত্রই ইঁনাকে বৈষ্ণব সন্ন্যাসী বলে অনুমান করেছিলেন, যথা=*
*🌷হেনকালে নবদ্বীপে শ্রীঈশ্বরপুরী।*
*🌷আইলেন অতি অলক্ষিত বেশধারী।।*
*🌷কৃষ্ণরসে পরম বিহ্বল মহাশয়*।
*🌷একান্ত কৃষ্ণের প্রিয় অতি দয়াময়।।*
*🌷তাঁর বেশে তাঁরে কেহ চিনিতে না পারে।*
*🌷দৈবে গিয়া উঠিলেন অদ্বৈতমন্দিরে।।*
*🌷যেখানে অদ্বৈত সেবা করেন বসিয়া।*
*🌷সম্মুখে বসিলা বড় সঙ্কোচিত হইয়া।।*
*🌷বৈষ্ণবের তেজঃ বৈষ্ণবেরে না লুকায়।*
*🌷পুনঃ পুনঃ অদ্বৈত তাঁহার পানে চায়।।*
*🍀এই পর্যন্ত গেল গ্রন্থকারের কথা। এতে পুরী গোস্বামীর বেশ বিন্যাস, স্বভাব চরিত্র অনেকটা বুঝা গেল। তিনি যে বেশে অদ্বৈতমন্দিরে আগমন করলেন তা দেখে কেউ চিনতে পারেননি, তবে বৈষ্ণবের কাছে বৈষ্ণবতেজঃ লুকানো যায় না। সুতরাং পুরী গোসাঞী অদ্বৈতাচার্য্যর কাছে তাঁর বৈষ্ণবতেজঃ লুকাতে পারলেন না। এর পরে--*
*🌷অদ্বৈত বলেন,--বাপ!তুমি কোন জন।*
*🌷বৈষ্ণব সন্ন্যাসী তুমি হেন লয় মন।।*
*🍀ইহা শুনে যে কোন কারণেই হোক পুরী গোসাঞী তা অস্বীকার করে বললেন,=*
*🌷বলেন ঈশ্বরপুরী----মুঞি শূদ্রাধম।*
*🌷দেখিবারে আইলাম তোমার চরণ।।*
*🌹গোস্বামী মহাশয় এই পয়ারের "শূদ্রাধম" শব্দটি নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন।তাঁর মতে "শূদ্রাধম" পাঠ কোন হস্তলিখিত গ্রন্থে নাই,সব হস্তলিখিত গ্রন্থেই তিনি "ক্ষুদ্রাধম" পাঠ দেখেছেন। আমরা কিন্তু এ পর্যন্ত অনেকগুলি অতি প্রাচীন পুঁথিতেই "ক্ষুদ্রাধম" দেখিনি,সব গুলিতেই "শূদ্রাধম" পাঠ আছে।আরও একটি সত্তর বৎসরের তুলোট কাগজে ছাপা গ্রন্থ দেখেছি,তাতেও "শূদ্রাধম"পাঠ আছে।যাদের ঘরে প্রাচীন শ্রীচৈতন্য ভাগবত পুঁথি আছে,তাঁরাও সেটিতে শূদ্রাধম পাঠই দেখতে পাবেন হস্তলিখিত কোন প্রাচীন পুঁথিতে প্রবন্ধ লেখক "ক্ষুদ্রাধম" পাঠ দেখাতে পারলে আমরা বড়ই বাধিত হব।*
*তার পর, প্রবন্ধ লেখক মহাশয় যে ক্ষুদ্রাধম শব্দ নিয়ে বাকবিতন্ডা করেছেন,তা যে আদৌ ব্যবহৃত হয় না,তা তাঁর জানা উচিত ছিল। কারণ অমরকোষে দেখতে পাবেন যে,"ক্ষুদ্র ও অধম" শব্দ একার্থ বাচী, যথা=*
*🌷ত্রিষু ক্রুরেহধমেহল্পেহপি ক্ষুদ্রঃ।*
*🍀অতএব শ্রীবৃন্দাবনদাস ঠাকুর মহাশয় যে এই দ্বিরুক্তি দোষে দূষিত শব্দ ব্যবহার করবেন এটি হতেই পারে না।এটিতেই বোধ হয় শূদ্রাধম পাঠই সঙ্গত।*
*🍀ফলে,বৈদিক সন্ন্যাসী ও বৈষ্ণব সন্ন্যাসীর আচারে ব্যবহারে অনেক বিভিন্নতা আছে।বৈদিক সন্ন্যাসে ব্রাহ্মণেতর জাতির অধিকার নাই এটি সত্য। কিন্তু বৈষ্ণব সন্ন্যাসে সর্বজাতির সমান অধিকার। তন্ত্র ও প্রচলিত নিয়মই তার প্রমাণ।মহানির্বাণ ও অন্যান্য কোন কোন তন্ত্রে এইরকম বিধি আছে।*
*🌺লেখকের দ্বিতীয় যুক্তি এই যে, শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীর নাম শ্রীমন্মধ্বাচার্য্য সম্প্রদায়ের গুরু পরম্পরার অন্তনির্বিষ্ট।ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কারও সন্ন্যাসে অধিকার নাই। শ্রীমন্মধ্বাচার্য্যের এটিই অভিপ্রায়, এমত এখানে পুরী অবশ্যই ব্রাহ্মণ হবেন।*
*🍀আগেই বলা হয়েছে, একসময়ে সে নিয়ম ছিল তা সত্য, কিন্তু তখন পুরী শূদ্র-সেবকও রাখতে পারতেন না। তার পরে নিয়মের কঠোরতা বাড়ল, ব্রাহ্মণের বৈদিক সন্ন্যাস ঘুরে গেল,তান্ত্রিক সন্ন্যাসের দিন পড়ল।তাতে সব বর্ণেরই অবধূতাশ্রমে বা সন্ন্যাসে অধিকার জন্মিল। সে সন্ন্যাসী সর্ব বর্ণের পূজনীয় হলেন।শূদ্রও সন্ন্যাসী হলেন এবং বৈষ্ণব সন্ন্যাসীরও শূদ্র সেবক রাখা দূষণীয় বলে বিবেচিত হল না। সমাজের এই অবস্থায় শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীর আবির্ভাব। সুতরাং বিশেষ প্রমাণ না পেলে কি ভাবে বলা যেতে পারে যে, শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী ব্রাহ্মণ না শূদ্র ছিলেন?*
*🍀তাঁর তৃতীয় যুক্তি এই, পুরী গোসাঞী শূদ্র গোবিন্দকে সেবক রাখার কথা শুনে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য শিহরিয়া উঠেছিলেন।উঠবার তো কথায়!শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী যে ভগবদ্ভক্তিরস-ভাবিব-চিত্ত জনৈক ভক্ত রত্ন, এ কথা তো আর ভট্টাচার্য্য মহাশয় জানতেন না? ভট্টাচার্য্য মহাশয় ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণ, পন্ডিতের পন্ডিত, তার উপর আবার তর্ক শাস্ত্রে অসাধারণ বুদ্ধিমান।তাঁর বিশ্বাস ছিল, শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী বুঝি বৈদিক পুরী হবেন।বৈদিক সন্ন্যাসীর তো আর শূদ্র সেবক রাখবার বিধি নাই,কাজেই তিনি ভারি গোচের শিহরণেই পতিত হলেন।*
💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০৬)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রবন্ধ সম্বন্ধে প্রতিকূল মতের প্রতিবাদ*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀কলিপাবনাবতার শ্রীমদদ্বৈতপ্রভুবংশাবতংস শ্রীবৃন্দারণ্যবাসী শ্রীপাদ রাধিকানাথ গোস্বামী মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্রবন্ধাদির সম্যক্ অনুমোদনে শ্রীবৃন্দাবন হতে প্রকাশিত "শ্রীগৌড়েশ্বর বৈষ্ণব" পত্রিকায় লিখিত হয়েছে।*
*🍀ইতিপূর্বে শ্রীঅমিয়নিমাইচরিতে শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীকে শূদ্র কায়স্থজাতি বলে লিখিত হওয়ায় কলিপাবনাবতার শ্রীমন্নিত্যানন্দবংশ্য পন্ডিতবর শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় তার প্রতিবাদ করে বঙ্গবাসী পত্রিকায় (শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া পত্রিকায় যেরকম ছাপা ছিল, আমরা অবিকল তাইই উদ্ধৃত করেছি।তাঁরা যে শব্দের যেরকম "বানান" করেছেন,তাইই রেখে দিয়েছি।কেন?তা সুধীজনই বুঝিবেন।প্রকাশক)।প্রকাশ করেন।তারপরে কুরুবংশপ্রণেতা বাবু অপূর্বকৃষ্ণ দেব মহাশয় জ্যৈষ্ঠমাসের পঞ্চমসংখ্যা শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া-পত্রিকায় উক্ত শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়ের প্রতিবাদ খন্ডনকরে পুরীগোস্বামীকে কায়স্থকুলজ বলে যা সমর্থন করেছেন,তা পাঠে অনেকে মর্মবেদনা পেয়ে,এর মীমাংসার জন্য আমাদেরকে অনুরোধ করায়,আমরা শাস্ত্র-যুক্তি-অনুসারে এর মীমাংসা করছি।🙏শ্রীঈশ্বরপুরী যে শূদ্র,তদ্বিষয়ে প্রমাণের অত্যন্ত অভাব।কেবল শ্রীচৈতন্যভাগবতে এটি আছে--,যখন শ্রীঈশ্বরপুরী গোস্বামী শ্রীমদদ্বৈতমন্দিরে আগমন করেন,তখন শ্রীঅদ্বৈতাচার্য্য বলেছিলেন,=*
*🌷অদ্বৈত কহেন বাপ তুমি কোন জন।*
*🌷বৈষ্ণব সন্ন্যাসী তুমি হেন লয় মন।।*
*🌻তার পরে শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী বলেছিলেন=*
*🌷বলেন ঈশ্বরপুরী মুঞি শূদ্রাধম*।
*🌷দেখিবারে আইলাম তোমার চরণ।।*
*🌻এখানে উক্ত পুরীগোস্বামী "শূদ্রাধম" বলে নিজেকে দৈন্য করায়,তত্ত্বতঃ শূদ্র কায়স্থ বলে তাঁকে নিরূপণ করা যেতে পারে না। তা করলে,*
*অধম চন্ডাল আমি,দয়ার ঠাকুর তুমি,*
*শুনিয়াছি বৈষ্ণবের মুখে।*
*🌻এখানে শ্রীনরোত্তমদাস ঠাকুর মহাশয় ভক্তিস্বভাব-বশতঃ দৈন্য করে যা নিজেকে বলেছেন,তত্ত্বতঃ তাঁকে তাইই নিরূপণ করে অতিসাহসে প্রবৃত্ত হতে হয়।*
*🍀কলিযুগে ব্রাহ্মণ ছাড়া দ্বিজাতি হলেও,ক্ষত্রিয়ের ও বৈশ্যের যখন সন্ন্যাস-নিষেধ,তখন শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী শূদ্র-সন্ন্যাসী হতে পারেন না।যথা=*
*🌷অশ্বমেধং গবালম্ভং সন্ন্যাসং পলপৈতৃকং।*
*🌷দেবরেণ সুতোৎপক্তিং কলৌ পঞ্চ বিবর্জ্জয়েৎ।*
*🌷ইতি সন্ন্যাসনিষেধকং ক্ষত্রিয়-বৈশ্যবিষয়কমিতি মলমাসতত্ত্বং।*
*🌷অন্যত্র চ--,সন্ন্যাসপ্রতিষেধস্তু কলৌ ক্ষত্র-বিশাং ভবেৎ।।*
*🌻অর্থ্যাৎ=অশ্বমেধ,গবালম্ভ,সন্ন্যাস এবং মাংসদ্বারা পিতৃশ্রাদ্ধ ও দেবরের দ্বারা পুত্র-উৎপত্তি এই পাঁচটি কলিযুগে বর্জন করবে।(এখানে যে সন্ন্যাস নিষিদ্ধ হয়েছে,তা ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য-বিষয়ক,ব্রাহ্মণ-বিষয়ক না)*
*🍀যখন কলিযুগে ব্রাহ্মণজাতি ছাড়া অন্যের সন্ন্যাসে অধিকার নাই, তখন শ্রীঈশ্বরপুরী কখনও শূদ্র হতে পারেন না।অপূর্বকৃষ্ণ বাবু,ব্রাহ্মণেতর জাতির বৈদিকসন্ন্যাসে অধিকার না থাকায়,শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীকে তান্ত্রিকসন্ন্যাসী বলে নির্ণয় করে,তাঁর শূদ্রত্ব সংস্থাপন করেছেন। কিন্তু তাদ্বারা শ্রীপুরীগোস্বামীর অবৈষ্ণব কৌল বামাচারিত্ব প্রতিপাদন করা হয়েছে। তা অপূর্বকৃষ্ণ বাবুর অনভিপ্রেত হলেও,কার্য্যতঃ হয়ে গিয়েছে।যেহেতু তান্ত্রিকসন্ন্যাসীদের গিরি,পুরী প্রভৃতি সংজ্ঞা নাই, এটি শ্রীশঙ্করাচার্য্যসম্প্রদায়ী বৈদিকসন্ন্যাসীদের সংজ্ঞা। বৈদিকসন্ন্যাসীদের সত্যযুগে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, রুদ্র ; ত্রেতাযুগে বশিষ্ঠ,শক্ত্রি, পরাশর ও দ্বাপরযুগে ব্যাস ও শুকদেব ; কলিযুগে গৌড়,গোবিন্দ, শঙ্কর(গৌড়াচার্য্যের শিষ্য গোবিন্দাচার্য্য ও গোবিন্দাচার্য্যের শিষ্য শঙ্করাচায্য) আচার্য্য।তার মধ্যে কলিযুগের আচার্য্য শ্রীশঙ্করের চারজন শিষ্য। যথা=স্বরূপাচার্য্য, পদ্মাচার্য্য,ত্রোটকাচার্য্য ও পৃথ্বীধরাচার্য্য।এই চারজনই দশনামীদের গুরু।স্বরূপাচার্য্যের তীর্থ ও আশ্রম,পদ্মাচার্য্যের বন ও অরণ্য, ত্রোটকাচার্য্যের গিরি,পর্বত,সাগর এবং পৃথ্বীধরাচার্য্যের সরস্বতী,ভারতী ও পুরী--শিষ্য।*
*🌻এটি দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে, শঙ্করাচার্য্যের শিষ্য পৃথ্বীধরাচার্য্য হতে সরস্বতী,পুরী ও ভারতী এই তিনটি সন্ন্যাসী-সম্প্রদায়ের প্রবৃত্তি বা উৎপত্তি হয়েছে। শ্রীঈশ্বরপুরীগোস্বামী পুরীসম্প্রদায়ের অন্তর্নিবিষ্ট হয়ে বামাচারী তান্ত্রিক শূদ্র-সন্ন্যাসী কি ভাবে হবেন? যদিও শ্রীরামানুজ সম্প্রদায়ে ও আমাদের সম্প্রদায়ে ভগবত্তত্ত্ববেত্তা শূদ্রাদির গুরুত্ব দেখা যায় (?),তা বলেই সেই প্রমাণে বিপ্রকুলজাত বৈদিকসন্ন্যাসীকে শূদ্র বলা যেতে পারে না।বিশেষ করে মণিপুর হতে গুজরাট ও হিমালয়পর্বতের প্রান্ত হতে কুমারিকা-অন্তরীপ পর্যন্ত স্থলের প্রায় দুই কোটি মানুষ যাঁকে স্বয়ং ভগবান বলে জানেন,সেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুকে কায়স্থের শিষ্য করে নিরূপণ করায় এখন যেরকম অবিনয়ের স্রোত মর্য্যাদা লঙ্ঘন করছে,তাতে ভবিষ্যতে কায়স্থগণ, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের জাতির শিষ্য ছিলেন বলে অহঙ্কার করে,ঘোরতর অনর্থ সংগ্রহ করবেন।এক্ষণে শাস্ত্রযুক্তিদ্বারা শ্রীঈশ্বরপুরীপাদের তত্ত্ব নিরূপণ করলাম, আশাকরি যাঁরা শ্রীপুরীগোস্বামীপাদের শূদ্রত্বের পক্ষপাতী,তাঁরা প্রবন্ধটি পাঠ করে নীরব হবেন।*
*১২ই শ্রাবণ,১৩০৬ সাল।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০৭)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রতিকূল মতের প্রতিবাদ*
***********************
*🌻ময়মনসিংহ বাণীগ্রাম হতে পন্ডিত শ্রীযুক্ত কৃষ্ণহরি গোস্বামী বিদ্যাবিনোদ মহাশয় লিখেছেন।*
*🌻শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী পূর্বাশ্রমে শূদ্র কি ব্রাহ্মণ ছিলেন, কিছুদিন হতে এই বিষয়ে বাদানুবাদ চলছে,নিরপেক্ষভাবে এই সব বিষয়ের পর্য্যালোচনা হলে অনেক গূঢ় রহস্য প্রকাশ পেতে পারে। অথচ তদবলোকনে অনেকেরই যথার্থ তত্ত্ব উপলব্ধি হতে পারে। আমরা যুক্তি ও প্রমাণের সাহায্যে এর প্রকৃত মর্ম উদঘাটন করতে চেষ্টা করব।*
*বৈদিক ও তান্ত্রিক মতভেদে সন্ন্যাসী দুই প্রকার।কলিযুগে একমাত্র ব্রাহ্মণগণই বৈদিকসন্ন্যাসে অধিকারী।এই বিষয়ে মনু বলেছেন,=*
*🌷আত্মন্যগ্নীন্ সমাধায় ব্রাহ্মণঃ প্রব্রজেদ্ গৃহাৎ।*
*🌻কিন্তু বিশ্বরূপলিখিত বচনে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য তির জাতিরই সন্ন্যাস-অধিকার দেখা যায়। যথা=*
*🌷ব্রাহ্মণঃ ক্ষত্রিয়ো বাথ বৈশ্যো বা প্রব্রজেদ্ গৃহাৎ।*
*🌹আবার ব্রহ্মপুরাণে=*
*🌷চত্বার আশ্রমাশ্চৈব ব্রাহ্মণস্য প্রকীর্ত্তিতাঃ।*
*🌷গার্হস্থ্যং ব্রহ্মচর্য্যঞ্চ বানপ্রস্থং ত্রয়ো মতাঃ।।*
*🌷ক্ষত্রিয়স্যাপি কথিতা আশ্রমাস্ত্রয় এব হি।*
*🌷ব্রহ্মচর্য্যঞ্চ গার্হস্থ্যমাশ্রমদ্বিতয়ং বিশঃ।।*
*🌷গার্হস্থ্যমুচিতন্ত্বেকং শূদ্রস্য ক্ষণদাচর।*
*🌻এই কথায় ক্ষত্রিয়াদির সন্ন্যাসগ্রহণে অনধিকারের কথা বলা হয়েছে। পরস্পরবিসম্বাদী উক্ত শাস্ত্রদ্বয়ের স্মার্ত ভট্টাচার্য্য যুগভেদে মীমাংসা করেছেন ; অর্থ্যাৎ সত্যাদি যুগত্রয়েই ক্ষত্রিয়-বৈশ্যের সন্ন্যাসে অধিকার ছিল, কিন্তু কলিতে নাই ; যেহেতু,=*
*🌷অশ্বমেধং গবালম্ভং সন্ন্যাসং পলপৈতৃকং।*
*🌷দেবরেণ সুতোৎপত্তিং কলৌ পঞ্চ বিবর্জয়েৎ।।*
*🌻এই কাত্যায়নবচন ও উদ্বাহতত্ত্বধৃত=*
*🌷সমুদ্রযাত্রাস্বীকারঃ কমন্ডলুবিধারণং।*
*🌷দ্বিজানামসবর্ণাসু কন্যাসূপযমস্তথা।।*
*🌷দেবরেণ সুতোৎপত্তির্মধুপর্কে প্রশোবধঃ।*
*🌷মাংসাদানং তথা শ্রাদ্ধে বানপ্রস্থাশ্রমস্তথা।।*
*🌷দত্তায়াশ্চৈব কন্যায়াঃ পুনর্দানং বরস্য চ।*
*🌷দীর্ঘকালং ব্রহ্মচর্য্যং নরমেধাশ্বমেধকৌ।।*
*🌷মহাপ্রস্থানগমনং গোমেধঞ্চ তথা মখং।*
*🌷ইমান্ ধর্মান্ কলিযুগে বর্জ্জ্যানাহুর্মণীষিণঃ।।*
*🌻এই নারদীয় বচন দ্বারা কলিযুগেই সন্ন্যাস নিষিদ্ধ আছে। "ব্রাহ্মণঃ ক্ষত্রিয়ো বাথ" ইত্যাদি বিশ্বরূপলিখিত বচন দ্বারা ক্ষত্রিয় বৈশ্যের সন্ন্যাসে বিধি সত্ত্বেও "চত্বার আশ্রমাশ্চৈব ব্রাহ্মণস্য প্রকীর্ত্তিতাঃ"। ক্ষত্রিয়স্যাপি কথিতা আশ্রমাস্ত্রয় এবহি।।* *ইত্যাদি ব্রহ্মপুরাণ বচনে যে সন্ন্যাসে অনধিকার দেখা যায়, এটি "অশ্বমেধং গবালম্ভং" ইত্যাদি ও "সমুদ্রযাত্রাস্বীকারঃ" ইত্যাদি বচনের সঙ্গে এক বাক্যতা রক্ষা করে এইরকম বুঝতে হবে যে,কেবল কলিযুগেই ক্ষত্রিয়-বৈশ্যের সন্ন্যাসে অনধিকার। জৈমিনি বলেছেন, "সম্ভবত্যেকবাক্যত্বে বাক্যভেদো ন যুজ্যতে"।অর্থ্যাৎ একবাক্যতার সম্ভাবনা থাকলে বাক্যভেদকল্পনা যুক্ত হয় না।তবে এইক্ষণে এটিই দেখা যাচ্ছে যে,ক্ষত্রিয়-বৈশ্যের সত্যাদি যুগত্রয়েই সন্ন্যাসে অধিকার ছিল, কলিযুগে ধাই, কিন্তু ব্রাহ্মণগণের সব সময়েই সমান অধিকার, সুতরাং কলিযুগে বৈদিকসন্ন্যাসগ্রহণে একমাত্র ব্রাহ্মণগণই অধিকারী।*
*🌹মহানির্ব্বাণতন্ত্রের মতে ব্রাহ্মণাদি চন্ডাল পর্যন্ত সাধারণেরই সন্ন্যাসগ্রহণে ক্ষমতা রয়েছে।যথা=*
*🌷যজ্ঞসূত্র-শিখাত্যাগাৎ সন্যাসঃ স্যাদ্ দ্বিজন্মনাং।*
*🌷শূদ্রানামিতরেষাঞ্চ শিখাং হুত্বৈব সংস্ক্রিয়া।।*
*(মহিনির্ব্বাণ, ৮ম উল্লাস)*
*🌻সম্প্রতি আমাদের এটিই আলোচ্য যে, ঈশ্বরপুরী বৈদিক কি তান্ত্রিক মতানুযায়ী সন্ন্যাসী ছিলেন? আমাদের বিশ্বাস,ঈশ্বরপুরী কেন, বৈষ্ণব-সন্ন্যাসীমাত্রেই বৈদিকমতাবলম্বী। কারণ তান্ত্রিক সন্ন্যাসীরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ,তাদের অন্নাদি গ্রহণে পাত্রাপাত্র বিচার নাই। এই বিষয়ে মহানির্ব্বাণ এইরকম বলেছেন=*
*🌷বিপ্রান্নং শ্বপচান্নং বা যস্মাত্তস্মাৎ সমাগতং।*
*🌷দেশং কালং তথাচান্নমশ্নীয়াদবিচারয়ন্।।*
*(অষ্টম উল্লাস)*
*🌻আর সন্ন্যাসপ্রদানেও জাতিকুলের বাধাবাধ্যকতা নাই। তান্ত্রিকসন্ন্যাসীরা যে ব্রাহ্মণাদি চন্ডাল পর্যন্ত সকলকেই সন্ন্যাস গ্রহণ করাতে পারেন, তা আগেই বলা হয়েছে।বৈষ্ণব-সন্ন্যাসীরা তান্ত্রিকমতানুযায়ী হলে,যার-তার অন্ন গ্রহণ করতে পারতেন এবং সকল জাতিকেই সন্ন্যাসে দীক্ষিত করতেন।বৈদিকসন্ন্যাসীদেরই যেখানে সেখানে যার তার অন্নগ্রহণ নিষিদ্ধ।যথা=*
*🌷সর্বসঙ্গপরিত্যাগাৎ ব্রহ্মচর্য্যাসমন্বিতঃ।*
*🌷জিতেন্দ্রিয়ত্বমাবাসে নৈকস্মিন্ বসতিশ্চিরং।।*
*🌷অনারস্বস্তথাহারে ভিক্ষা বিপ্রে হ্যনিন্দতে।*
*(বামন পুরাণ,১৪ অধ্যায়)*
*ক্রমাগত*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🌷🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০৮)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রতিকূল মতের প্রতিবাদ*
*🍀তদানীন্তন সন্ন্যাসীদের ইতরজাতির অন্নগ্রহণের কথা কি বলব,তাদের সংস্রব পর্যন্ত কিরকম নিন্দনীয় ছিল,তা মহাপ্রভুর সহাধ্যায়ী জনৈক ভক্তের কথাতেই বিলক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে=*
*🌷বিপ্র বলে প্রভু মোর এক নিবেদন।*
*🌷কহিনু তোমার স্থানে যদি দেহ মন।।*
*🌷নবদ্বীপে গিয়া নিত্যানন্দ অবধূত।*
*🌷কিছু ত না বুঝ মুঞি করেন কিরূপ।।*
*🌷সন্ন্যাস আশ্রম তান বলে সর্বজন।*
*🌷কর্পূর তাম্বুল সে ভোজন অনুক্ষণ।।*
*🌷ধাতুদ্রব্য পরশিতে নাহি সন্ন্যাসীরে।*
*🌷সোনা রূপা মুক্তকষা সকল শরীরে।।*
*🌷কষায় কৌপীন ছাড়ি দিব্য পট্টবাস।*
*🌷ধরেন চন্দন মালা সদাই বিলাস।।*
*🌷দন্ড ছাড়ি লৌহদন্ড ধরেন বা কেনে।*
*🌷শূদ্রের আবাসে সে থাকেন অনুক্ষণে।।*
*🌷শাস্ত্রমতে মুঞি তাঁর না দেখি আচার।*
*🌷এতেকে আমার চিত্তে সন্দেহ অপার।।*
*(চৈঃ ভাঃ,৭ম অঃ,অন্ত্যখন্ড)*
*🌻আর যখন ঈশ্বরপুরীর শিষ্য গোবিন্দদাস মহাশয় শ্রীচৈতন্যদেবের চরণোপ্রান্তে উপস্থিত হয়ে পুরীগোঁসায়ের অন্তর্দ্ধান বিবরণ বলছিলেন,সেই সময় ভাগবতপ্রবর সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন=*
*🌷পুরীগোঁসাই শূদ্রসেবক কাঁহে ত রাখিল।*
*(চৈঃচঃ,মধ্য,১০ম পঃ)*
*🍁সার্বভৌম=*
*🌻স্বামিন্ কথমসৌ ব্রাহ্মণেতরং পরিচারকত্বেনানুগৃহীতবান্?*
*(চৈতন্যচন্দ্রোদয় ৮ম অঙ্ক)*
*🌻এতদ্বারা সন্ন্যাসীর শূদ্র সংসর্গ যে সর্বথা পরিহার্য্য,এটিই প্রমাণিত হয়। পন্ডিতধুরন্ধর সার্বভৌমভট্টাচার্য্য এটি অবশ্যই জানতেন যে,তান্ত্রিকসন্ন্যাসীর পক্ষে শূদ্র কেন, চন্ডালাদি হীনজাতীয় সেবকও দোষাবহ হতে পারে না। আবার শ্রীচৈতন্যদেব তদুত্তরে বললেন,ভট্টাচার্য্য!এইরকম বলবেন না,কেননা হরি যেমন স্বতন্ত্র,তাঁর কৃপাও তেমনই অন্যনিরপেক্ষ।অতএব হরি বা তাঁর কৃপা জাতিকুলের অপেক্ষা করেন না।যথা=*
*🌷প্রভু কহে ঈশ্বর হয় পরম স্বতন্ত্র।*
*🌷ঈশ্বরের কৃপা নহে বেদপরতন্ত্র।।*
*🌷ঈশ্বরের কৃপা জাতিকুল নাহি মানে।*
*(চৈঃচঃ,মধ্য,১০ম পঃ)*
*🌻ভট্টাচার্য্য! মৈবং বাদীঃ--- হরেঃ স্বতন্ত্রস্য কৃপাহি তদ্বৎ,ধত্তে ন সা জাতিকুলাদ্যপেক্ষাম্।*
*(চেতন্যচন্দ্রোদয়,৮ম অঙ্গ)*
*🌻শ্রীচৈতন্যদেবের উক্তবিধ উত্তরবাক্যের তাৎপর্য্য এই যে, যদিও শূদ্রজাতীয় গোবিন্দদাস মহাশয়ের শাস্ত্র অনুসারে সন্ন্যাসিবরের সেবকত্বে অধিষ্ঠিত হওয়া অসম্ভব,তবুও অনন্যাপেক্ষিণী ভগবৎকৃপাতেই এতাদৃশ (এইরকম)অঘটন ঘটন হয়েছিল।আলোচ্য পুরীপাদ তান্ত্রিকসন্ন্যাসী হলে, সার্বভৌমকৃত প্রশ্নের উত্তরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে ঈদৃশ(এপ্রকার)কষ্টকল্পনা করতে হত না।বরঞ্চ শাস্ত্রীয় প্রমাণ দ্বারা "পুরীগোঁসায়ের" শূদ্রসেবক রাখায় দোষ কি?এইভাবে ভট্টাচার্য্যকে অপ্রতিভই (হতবুদ্ধি)করতে পারতেন,অথবা প্রকৃত তত্ত্বের উপদেশ করে ভট্টাচার্য্যের ভুল ভাঙ্গতে পারতেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি বললেন=*
*🌷ঈশ্বরের কৃপা নহে বেদপরতন্ত্র*
*🌻অর্থ্যাৎ আমাদের মত ঈশ্বরকৃপা বেদের অধীন না।এতদ্বারা শ্রীঈশ্বরপুরী যে বেদ-অনুযায়ী সন্ন্যাসই অবলম্বন করেছিলেন,তাইই প্রতীয়মান(বোধগম্য) হয়।*
*🌹শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়াপত্রিকায় অপূর্বকৃষ্ণ দেব নামে কোন মহাত্মা সার্বভৌমের উপরোক্ত প্রশ্নটি (পুরীগোঁসাই শূদ্রসেবক কাঁহে ত রাখিল)তদীয় তর্কনিষ্ঠা হতে উদ্ভূত বলে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের প্রতি তীব্র উক্তি করে আমাদেরকে দুঃখিত করেছেন। ভগবান শ্রীচৈতন্যদেবের অনুগ্রহে যখন সার্বভৌমের তর্কনিষ্ঠা দূরীভূত হয়েছিল এবং তিনি নিজের অভীষ্টদেব বলে বুঝতে পেরে যখন সবসময়ই তাঁর অনুবর্তী (অর্থ্যাৎ মহাপ্রভুর মত অনুযায়ী সবকিছু করতেন বা অনুগামী)ছিলেন,সেই ইষ্টদেব শ্রীচৈতন্য যাকে গুরুত্বে বরণ করেছিলেন, উক্ত মহানুভব ঈশ্বরপুরীর বিষয়ে তর্কনিষ্ঠার বশবর্তী হয়ে তিনি যে এইরকম প্রশ্নের (পুরীগোঁসাই শূদ্রসেবক কাঁহে ত রাখিল) উত্থাপন করবে,আমরা এটি মনে করতে পারি না।*
*শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত ও শ্রীচৈতন্যভাগবতের অনেক জায়গায় সন্ন্যাসীর শূদ্রসংসর্গের নিন্দনীয়তা উল্লেখ রয়েছে।যখন রামানন্দরায়ের সঙ্গে মহাপ্রভুর প্রথম মিলন,তখন দেখতে পাই,=*
*🌷বৈদিক ব্রাহ্মণ সব করেন বিচার।।*
*🌷এই সন্ন্যাসীর তেজ দেখি ব্রহ্মসম।*
*🌷শূদ্রে আলিঙ্গিয়া কেনে করেন ক্রন্দন।।চৈঃচঃ।।*
*🌻আবার রামানন্দ রায় কহিলেন=*
*🌷কাঁহা মুঞি রাজসেবক বিষয়ী শূদ্রাধম।।*
☆ ☆ ☆ ☆ ☆ ☆
*🌷মোর স্পর্শে না করিলে ঘৃণা বেদ ভয়।চৈঃচঃ।*
*🌻যে সমাজে সন্ন্যাসীর শূদ্র পরিচারক রাখা দূরের কথা,শূদ্রের সংসর্গ পর্য্যন্তও গর্হিত বা নিন্দিত,সেই সমাজের শীষাস্থানীয় মাধবেন্দ্রপুরী যে একজন শূদ্রজাতীয়কে দীক্ষিত করবেন,এটি কখনই সম্ভবপর না,আর তা হলে--- "পুরীগোঁসাই শূদ্র সেবক কাঁহে ত রাখিল" এই প্রশ্নটি ঈশ্বরপুরী সম্বন্ধে না হয়ে তাঁর গুরুদেব মাধবেন্দ্রপুরীকে লক্ষ্য করেই উত্থাপিত হত। আবার পুরী লক্ষণেও দেখা যায়,ঐ উপাধিলাভে দ্বিজাতি ভিন্ন কারও যোগ্যতা নাই।🌹বৃহচ্ছঙ্করবিজয় নামক গ্রন্থে এইরকম পুরীলক্ষণ উল্লিখিত আছে।যথা=*
*🌷তত্ত্বজ্ঞানেন সম্পূর্ণঃ পূর্ণতত্ত্বপদে স্থিতঃ।*
*🌷পদব্রহ্মরতো নিত্যং পুরীনামা স উচ্যতে।।*
*🌻এখানে "পদব্রহ্মরতো" শব্দে বেদাধ্যায়ীকেই বুঝাচ্ছে। সুতরাং পুরী-উপাধি-প্রাপ্ত ব্যক্তি নিয়ত বেদাধ্যায়ী হবেন। বেদপাঠে দ্বিজাতি ভিন্ন কারও অধিকার নাই, কাজেই শূদ্রের পুরী-উপাধি-প্রাপ্ত সম্ভবপর না।*
*ক্রমাগত*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(০৯)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙏*
*প্রতিকূল মতের প্রতিবাদ*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀শ্রীঅদ্বৈতাচায্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ সময়ে পুরীগোঁসাই "আমি শূদ্রাধম" (বলেন ঈশ্বরপুরী মুঞি শূদ্রাধম) বলে যে দৈন্যোক্তি করেছেন,কেবল এইমাত্র অবলম্বনে তাঁকে শূদ্রজাতীয় বলি সিদ্ধান্ত করা সঙ্গত বোধ করি না।আবার "শূদ্রাধম" স্থলে "ক্ষুদ্রাধম" এইরকম পাঠই প্রাচীন হস্তলিখিত গ্রন্থে দেখতে পাই। এই পাঠদ্বৈধে আমরা সত্যাসত্য নিশ্নয় করতে অসমর্থ হলেও এইমাত্র বলতে পারি যে,অদ্বৈতাচার্য্যের প্রশ্নের উত্তরে ঈশ্বরপুরীর নিজের নীচতা জানানই উদ্দেশ্য ছিল,এটি অভ্রান্ত সত্য। কারণ অদ্বৈতাচার্য্য যা বলেছিলেন (বৈষ্ণবসন্ন্যাসী তুমি হেন লয় মন), এটি দ্বারা কোন জাতির পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।এমত মনে করা যেতে পারে না।অতএব তার প্রত্যুত্তরে ঈশ্বরপুরী যে "আমি শূদ্রাধম" বলেছেন, এটি জাতির পরিচায়ক কেমনে বলব? তবে "শূদ্রাধম" এই কথাটির পূর্বাপর সামঞ্জস্য রেখে-- শূদ্রের ন্যায় অধম, অথবা শূদ্র হতেও অধম, এইরকম ব্যাখ্যাই সমীচীন বলে বোধ হয়। আর "ক্ষুদ্রাধম" এইরকম পাঠে ক্ষুদ্র শব্দের অর্থ অধম ; সুতরাং অধম হতেও অধম এমত ব্যাখ্যা করলে কোন দোষ দেখা যায় না। নানাপ্রকার বিরুদ্ধ প্রমাণ সত্ত্বেও কেবল "শূদ্রাধম" এই কথাটি দেখিয়ে পুরীগোঁসাইকে শূদ্রজাতীয় বলতে আমাদের সাহস হয় না। বিশেষ করে এই "শূদ্রাধম" পাঠটি সর্ববাদীসম্মত নয়। পুরীগোঁসাইর প্রত্যুত্তর বাক্য যে জাতির পরিচায়ক হতে পারে না,তা যুক্তি দ্বারা আগেই প্রদর্শিত হয়, সম্প্রতি আমরা এই বিষয়ে শাস্ত্রীয় প্রমাণ উল্লেখ করে এই প্রসঙ্গের উপসংহার করব।*
*(১)কলিযুগপাবনাবতার শ্রীমন্মহাপ্রভুর কৃপাপাত্র মহাত্মা কবিকর্ণপুর গৌরগণোদ্দেশদীপিকায় লিখেছেন=*
*🌷তস্য শিষ্যো ভবচ্ছ্রীমানীশ্বরাখ্যপুরী যতিঃ।*
*🌻অর্থ্যাৎ ঈশ্বরপুরী নামক যতি-- সন্ন্যাসী মাধবেন্দ্রপুরীর শিষ্য ছিলেন। এইরকম ঈশ্বরপুরীকে 'যতি' রূপে উল্লেখ করে স্পষ্টাক্ষরেই পুরীপাদের জাতিনির্দেশ করে রেখেছেন,যেহেতু শাস্ত্রে জিতেন্দ্রিয় ব্রাক্ষণেরই 'যতি' অভিধা কীর্তিত রয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতের মুক্তাফলনামক ভাষ্যকার বোপদেবাচার্য্য=*
*🌷ইন্দ্রশ্চন্দ্রঃ কাশকৃৎস্নঃ পিশলী শাকটায়নঃ।*
*🌷পানিন্যমর-জৈনেন্দ্রা জয়ন্ত্যষ্টাদিশাব্দিকাঃ।।*
*🌻এই যে আটজন আদিশাব্দিকের নাম কীর্তন করেছেন,মহাত্মা অমরসিংহ ইঁনাদের অন্যতম।ইনি স্বপ্রণীত নামলিঙ্গানুশাসন গ্রন্থে ব্রহ্মবর্গে লিখেছেন=*
*🌷ঋষয়ঃ সত্যবচসঃ স্নাতকস্ত্বাপ্লবব্রতী।*
*🌷যে নির্জিতেন্দ্রিয়গ্রামা যতিনো যতয়শ্চ তে।।*
*🌻অর্থ্যাৎ ঋষির নাম-- ঋষি ও সত্যবচাঃ,নিঃশেষরূপে অধীতবেদ ব্যক্তির নাম---স্নাতক ও আপ্লবব্রতী, আর সর্বথা জিতসর্বেন্দ্রিয় ব্যক্তির নাম--যতী ও যতি।যতির নাম ব্রহ্মবর্গে উল্লেখ থাকায় এবং ঋষি ও স্নাতকের সঙ্গে একত্র নির্দেশ করায়,যতি যে ব্রাহ্মণবিশেষেরই সংজ্ঞা,এটিতে কোনই সন্দেহ থাকতে পারে না। জিতেন্দ্রিয় মনুষ্য মাত্রেই যতিশব্দের সুষ্ঠুপ্রয়োগ হতে পারলে,শাব্দিক প্রবর অমরসিংহ সেটির ব্রহ্মবর্গে অভিধান না চেষ্টা মনুষ্যবর্গেই উল্লেখ করতেন।*
*🌷সম্পূর্ণমুচ্যতে বর্গৈর্নামলিঙ্গানুশাসনং।*
*🌻সজাতীয়-সমূহ বিশিষ্ট নামলিঙ্গানুশাসন গ্রন্থ সম্পূর্ণরূপে বলছে, গ্রন্থারম্ভে এইভাবে প্রতিজ্ঞা করে, দ্বিতীয়কান্ডের প্রারম্ভে বলেছেন=*
*🌷বর্গাঃ পৃথ্বী-পুর-ক্ষ্মাভৃদবনৌষধি-মৃগাদিভিঃ।*
*🌷নৃব্রহ্মক্ষত্রবিটশূদ্রৈঃ সাঙ্গোপাঙ্গৈরিহোদিতাঃ।।*
*🌻এই দ্বিতীয়কান্ডে অঙ্গ এবং উপাঙ্গের সঙ্গে পৃথিবী,পুর,পর্বত, বনৌষধি,সিংহাদি,মনুষ্য,ব্রহ্ম,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র এই দশটি দ্বারা বর্গ অর্থ্যাৎ সজাতীয়-সমূহ কথিত হল। প্রথম ও দ্বিতীয়কান্ডের উক্তবিধ প্রারম্ভ কথানুসারে দেখা যাচ্ছে যে,ব্রহ্মবর্গে ব্রাহ্মণের অঙ্গ, উপাঙ্গ এবং তৎসজাতীয় গুলিই বিবৃত করা গ্রন্থকারের উদ্দেশ্য। সুতরাং যতি শব্দের অর্থে আমরা নিঃশেষরূপে জিতেন্দ্রিয়-সমূহ ব্রাহ্মণকেই বুঝে থাকি,অর্থ্যাৎ যে ব্রাহ্মণ যাবতীয় ইন্দ্রিয়বৃত্তি বাহ্য-বিষয় হতে প্রত্যাবর্তন পূর্বক একমাত্র ভগবৎ বিষয়ে সম্যকরূপে বিন্যস্ত করতে পেরেছেন,তাঁকেই নিজিতেন্দ্রিয়গ্রাম যতি অথবা সন্ন্যাসী বলা যেতে পারে। এই বিষয়ে শ্রীমদ্ভাগবত একাদশ স্কন্ধে অষ্টাদশ অধ্যায়ে যতিধর্মনির্ণয় প্রসঙ্গে "বিপ্রস্য বৈ সন্ন্যসতঃ" এই উপক্রম করে ভগবান উদ্ধবকে বলেছেন=*
*🌷মৌনানীহানিলায়ামা দন্ডা বাগ্দেহচেতসাং।*
*🌷ন হ্যেতে যস্য সন্ত্যঙ্গ বেণুভির্ন ভবেদযতিঃ।।*
*🌻হে উদ্ধব!মৌন অর্থ্যাৎ বাহ্যবিষয় হতে বাগিন্দ্রিয়ের প্রত্যাবর্তনরূপ বাগদন্ড,অনীহা" অর্থ্যাৎ কাম্যকর্ম হতে সর্বেন্দ্রিয়াশ্রয় দেহের প্রত্যাখ্যাপকরূপ দেহদন্ড, প্রাণায়াম অর্থ্যাৎ সর্বেন্দ্রিয়পরিচালক মনের বহির্বস্তু হতে আকর্ষণ করে একমাত্র ভগবানে স্থিরিকরণরূপ মনোদন্ড, এই দন্ডত্রিতয় যাঁর নাই,তিনি কেবল অঙ্গে বেণুদন্ড ধারণ দ্বারা যতি হতে পারেন না। সুতরাং যিনি উক্তবিধ দন্ডত্রয় দ্বারা কায়-মনো-বাক্যকে নিজ অধীনে রাখতে পেরেছেন, এমন নির্জিতেন্দ্রিয় গুলি ব্যক্তি যতি-নামের যোগ্য।*
*ক্রমাগত*
😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১০)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
*প্রতিকূল মতের প্রতিবাদ*
***********************
*🍀এই যত আচার একমাত্র ব্রাহ্মণগণেরই অবলম্বনীয় বলে একাদশে (১৭ অধ্যায়ে) উল্লিখিত আছে=*
*🌷বিপ্রঃ ক্ষত্রিয়বিটশূদ্রা মুখবাহূরুপাদজাঃ।*
*🌷বৈরাজাৎ পুরুষাজ্জাতা য আত্মাচারলক্ষণাঃ।।*
*🌷গৃহাশ্রমো জঘনতো ব্রহ্মচর্য্যং হৃদো মম।*
*🌷বক্ষঃস্থলাদবনেবাসঃ সন্ন্যাসঃ শিরসঃ স্মৃতঃ।।*
*🌷বর্ণানামাশ্রমাণাঞ্চ জন্মভূম্যনুসারিণীঃ।*
*🌷আসন্ প্রকৃতয়ো নৃণাং নীচৈর্নীচোত্তমোত্তমাঃ।।*
*🌷শমো দমস্তপঃ শৌচং সন্তোষঃ ক্ষান্তিরার্জবং।*
*🌷মদ্ভক্তিশ্চ দয়া সত্যং ব্রহ্মপ্রকৃতয়স্ত্বিমাঃ।।*
*🌷তেজো বলং ধৃতিঃ শৌর্য্যং তিতিক্ষৌদার্য্যমুদ্যমঃ।*
*🌷স্থৈর্য্যং ব্রহ্মণ্যমৈশ্বর্য্যং ক্ষত্রপ্রকৃতস্ত্বিমাঃ।।*
*🌷আস্তিক্যং দাননিষ্ঠা চ অদম্ভো ব্রহ্মসেবনং।*
*🌷অতুষ্টিরর্থোপচয়ে বৈশ্যপ্রকৃতস্ত্বিমাঃ।।*
*🌷শুশ্রূষণং দ্বিজগবাং দেবানাঞ্চাপ্যমায়য়া।*
*🌷তত্রলব্ধেন সন্তোষঃ শূদ্রপ্রকৃতস্ত্বিমাঃ।।*
*🌷"এতৈরেবাশ্রমস্বভাবা অপি জ্ঞেয়াঃ"ইতি স্বামী।*
*🌻শ্রীভগবান্ উদ্ধবকে বলছেন--, আমার বিরাট-রূপের মুখ,বাহু,ঊরু ও পদ হতে স্ব-স্ব-বর্ণাশ্রমোচিত-আচারসম্পন্ন ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্রবর্ণ উৎপন্ন হয়েছে।জঘন(স্ত্রীলোকের কটী)হতে গৃহস্থাশ্রম,হৃদয় হতে ব্রহ্মচর্য্য, বক্ষঃস্থল হতে বানপ্রস্থ এবং মস্তক হতে সন্ন্যাসাশ্রম জন্মেছে।বর্ণসব ও আশ্রমসবের জন্মস্থানের তারতম্য অনুসারে নীচ হতে নীচ প্রকৃতি এবং উত্তম হতে উত্তমপ্রকৃতি জন্মিবে অর্থ্যাৎ মুখ ও মস্তকের সর্বোত্তমত্ব বিধায় ব্রাহ্মণ এবং সন্ন্যাসের সর্বোত্তমপ্রকৃতি,চরণ ও জঘনের নীচত্ব হেতুক শূদ্র ও গার্হস্থ্যাশ্রমের নীচপ্রকৃতি হয়েছে।শম,দম,তপস্যা, শৌচ,সন্তোষ,ক্ষমা,সরলতা, বিষ্ণুভক্তি,দয়া ও সত্য এই সবগুলি ব্রাহ্মণদের প্রকৃতি।তেজ,বল,ধৈর্য্য, শৌর্য্য,তিতিক্ষা,উদারতা,উদ্যম,স্থিরতা,ব্রহ্মণ্য ও প্রভুত্ব এই সব ক্ষত্রিয়প্রকৃতি।আস্তিক্য (বৈদিক ধর্মে শ্রদ্ধা; ঈশ্বরে ও পরলোকে বিশ্বাস ; আস্তিকের আচার বা ব্যবহার),দাননিষ্ঠা,দম্ভরাহিত্য (গর্বহীন)ব্রাহ্মণসেবন ও অর্থোপার্জ্জনে অতৃপ্তি--এইসব বৈশ্যপ্রকৃতি।অকপটভাবে ব্রাহ্মণ, গো ও দেবতাগণের শুশ্রূষণ (শ্রবণের ইচ্ছা বা পরিচর্য্যা) ও তদ্বিষয়ে যথালাভে সন্তোষ-- এইসব শূদ্রজাতীয়ের প্রকৃতি।এতদ্বারাই ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য ও শূদ্রের আশ্রমধর্মও বুঝতে হবে।শ্রীপাদ শ্রীধরস্বামীর এই ব্যাখ্যা অনুসারে এটিই বুঝা যাচ্ছে যে,ব্রাহ্মণপ্রকৃতি-অনুসারে ব্রাহ্মণদের শমদমাদির প্রধান ব্রহ্মচর্য্যাদি,ক্ষত্রপ্রকৃতি-অনুসারে ক্ষত্রিয়ের তেজোবল প্রধান ব্রহ্মচর্য্যাদি,বৈশ্যপ্রকৃতি-অনুসারে বৈশ্যদের আস্তিক্যাদি প্রধান ব্রহ্মচর্য্যাদি,আর শূদ্রপ্রকৃতি-দ্বিজশুশ্রূষাদি-অনুসারে শূদ্রদের একমাত্র গার্হস্থ্যধর্মই শাস্ত্রানুমোদিত। "দীপিকাদীপনকার" "এতৈরেবাশ্রমস্বভাবা অপি জ্ঞেয়াঃ" শ্রীধর স্বামীপাদের এই ব্যাখ্যাকথার তাৎপর্য্যের অর্থ এইভাবে প্রকাশ করেছেন।যথা=শূদ্রস্য তু শুশ্রূষণাদিপ্রধানো গৃহস্থধর্ম এবৈকঃ ইতি এতৈরেবাশ্রমধর্মা অপি জ্ঞেয়া ইতি ব্যাখ্যাতং।*
*(২)সপ্তদশ অধ্যায়ে বত্রিশ শ্লোকে ব্যতিরেকমুখে ব্রাহ্মণেতত্রেব প্রব্রজ্যা গ্রহণ প্রত্যাদিষ্ট(দেবতা আদেশ) হয়েছে।যথা=*
*🌷গৃহং বনং প্রবিশেৎ প্রব্রজেদবা দ্বিজোত্তমঃ।*
*🌷দ্বিজোত্তমঃ ব্রাহ্মণশ্চেৎ প্রব্রজেৎ ইত্যর্থঃ,ইতি স্বামী।*
*🌻ব্রহ্মচর্য্য হতে আশ্রমান্তরে প্রবেশ করতে হলে,দ্বিজাতিগণ যদি সকাম হন,তবে গৃহাশ্রমে, আর যদি নিষ্কাম হন,তবে বনে প্রবেশ করবেন, কিন্তু যদি দ্বিজাতীয়ের মধ্যে উত্তম অর্থ্যাৎ ব্রাহ্মণ হন,তবে তিনি প্রব্রজ্যাও (সন্ন্যাসও) অবলম্বন করতে পারেন। এই কথাদ্বারা এটিই প্রমাণিত হচ্ছে যে,ব্রাহ্মণ-অতিরিক্ত ব্যক্তি কখনও প্রব্রজ্যা অধিকার লাভে সমর্থ নন। শ্রীমদ্ভাগবত এবং তার-সারার্থবেত্তা শ্রীধরস্বামীপাদের মতে ক্ষত্রিয়াদির সন্ন্যাস গ্রহণে অনধিকারই দেখা যাচ্ছে।শ্রীমন্মহাপ্রভুও এই স্বামীপাদ সম্বন্ধে শ্লেষবাক্যে (কাব্যবাক্যে) জনৈক ব্রাহ্মণকে লক্ষ্য করে এই প্রকার অভিমত প্রকাশ করেছিলেন যে, যিনি স্বামীকে না মানেন, তিনি পতিতা-মধ্যে গণনীয়।শ্রীপাদ পুরীগোঁসাই সেই মহামান্য শ্রীধরস্বামীর অভিপ্রায়ের বিপরীতে পদক্ষেপ করলে--,স্বামীর মতোচ্ছেদে প্রবর্তমান হলে আদর্শচরিত্র শ্রীচৈতন্যদেব তাঁকে গুরুত্বে অঙ্গীকার করে বৈষ্ণবজগতে তদীয় গৌরব অক্ষুন্ন রাখতেন কি না,এটি বৈষ্ণব সুধীগণেই বিবেচনা করবেন। অলমতিবিস্তরেণ।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙌🙏🙏🙏🙏🙏🙏
🔜 ক্রমাগত 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝
꧁👇📖 সূচীপত্র ✍️ শ্রী জয়দেব দাঁ 📖👇꧂
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
*••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
*••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-
শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 👇👇🙏👇👇 📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ ꧂ পদ - পদাবলী 🙏 গৌরচন্দ্রিকা 🙏 ব্যাখ্যা ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/krishna.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ সুধী ভক্তবৃন্দ যে লীলা অধ্যায়নের করতে চান নিম্নে লিংকের উপর ক্লিক করুন 👇👇👇 ✧═══════════•❁❀❁•═════...
শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শিবরাত্রি ব্রতকথা ꧂ শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓ শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓ শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_54.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ পুরাক...
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ꧂ https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *বিবেক বৈরাগ্য দিয়া দু'গলুই করিল।* *ধৈর্য্য তাহার উপর দাঁড়া করিল।।* *আসক্তির তক্তা আনি তাহাতে জুড়িল।* *লালসার পাতান লোহা তাহাতে গড়িল।।* *নববিধা ভক্তি দিয়া নয়টি গুড়া দিল।* *সরল সুবুদ্ধি দিয়া মাস্তুল গড়িল।।* *মন রূপী পাল তাহে উড়াইয়া দিল। *সাধুসঙ্গ কাণি দড়ি চৌদিকে আঁটিল।।* নৌকা গঠন তত্ব দ্বারা।---------------- শ্রী গোবিন্দ আমার সখাদের সঙ্গে গো-চারণ করিতে করিতে সেই কথা মনে পড়েছে, কোন কথা,গোলোক বৃন্দাবনের কথা, ভাই সুবলকে ডেকে বললেন,ওরে ভাই সুবল সখা, আজ আমি যমুন...
🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html
👉 মতানুসারে 👉 https://drive.google.com/file/d/1lS0aV1XBKbzRfve110-R6hJEsX3JHoMQ/view?usp=drivesdk ✧ ══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 ✧ ══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🔘👉🏠Home🏠 🔘👉📝সূচীপত্র📝 🔘👉📚PDF গ্রন্থ📚 🔘👉✉️WhatsApp Chanel✉️ 🔘👉Apps 🔘👉🌐Google Drive🌐 🔘👉 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ🚩শ্রীশ্রীগৌর গম্ভীরা🐚শ্রীধাম পুরী🐚 🔘👉 🗓️ ব্রত তালিকা 🗓️ শ্রীগিরিগোবর্ধন 🙇 🔘👉 🗓️ ব্রত তালিকা 🗓️ শ্রীরাধাকুণ্ড 🙇 🔘👉🖼️ধর্মীয় চিত্রপট🖼️ 🔘 👉 📝শ্রী জয়দেব দাঁ📝 🔘👉📝শ্রী গোপীশরণ দাস📝 🔘👉📝শ্রী দীপ বাগুই📝 🔘👉 🎶শ্রীমতী কুঞ্জশ্রী দাশগুপ্ত🎶 🔘👉📝শ্রী মৃন্ময় নন্দী📝 ✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 ✧ ══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ ✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷 *শচীসুতাষ্টকম্ ✍️ শ্রীশ্রী সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য বিরচিতং 🙏 সংগৃহীত 🙏 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন* 👉 http://mrinmoynandy.bl...
শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/home-page-pdf-httpsmrinmoynandy_25.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ...
মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ৪২. ব্রহ্মা এবং মহেশ্বর যাঁর আরাধনা করেন 🙇 মনোশিক্ষা🙏 দ্বিতীয় ভাগ🙏শ্রী প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *(৪২)🔥🔥মনো শিক্ষা 🔥🔥* •••••••••••••••••••••••••••••••••••••• *ওরে মন! বিচারিয়া দেখ না হৃদয়* *ধনে জনে যত আর্তি,বাড়ে বই নহে নিবৃত্তি,* *হরি-পদে হৈলে কি না হয়।।* *যা ভাবিলে হবে নাই,তাই ভেবে কাট আই,* *ভাবিলে যে পাও তা না কর।* *লক্ষকোটি যার ধন,সে কি পায় এক মণ,* *বুঝি কেনে ধৈরয না ধর।।* *খাওয়া পরা ভাল চাও,তাই কি ভাবিলে পাও,* *পূর্ব-জন্মার্জিত সেই পাবে।* *কার ধন চিরস্থায়ী,না গণ'আপন আই,* *কত কাল তুমি বা বাঁচিবে।।* *অজ ভব ভবে যাঁরে,কি মদে পাসর তাঁরে,* *"হরি" ভুলি জীয় কোন্ কাজে।* *"হরিনাম"যাতে নাই,সে বদনে পড়ুক ছাই,* *সে মুখ সে দেখায় কোন্ লাজে।।* *...
বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═════...
শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🙏 প্রথম ভাগ ꧂ ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *••••┉❀꧁👇 🏠Home Page🏠👇 ꧂❀┅••••* 👉 MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 Boisnob.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/pdf_22.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *•❀꧁ 📖সূচীপত্র 🙏 শ্রী জয়দেব দাঁ 📖 ꧂❀•* 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html 👉...
*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ *নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্* ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 🌐 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠👇👇🙏👇👇📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।* *পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।* = = = = = = = = = = = = = = = = = *মুলানুবাদ=হে রসবিশেষভাবনা-চতুর রসিক ভক্তগণ!শুকমুনির মুখনির্গলিত দেব-কল্পতরুর শ্রীমদ্ভাগবত নামক পরমানন্দরসময় ফল সাধনকাল হতে মোক্ষক...
শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য ꧂ ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ https://Gopisharan.blogspot.com 🙏 সূচীপত্র ꧂ ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/home-page-pdf-httpsmrinmoynandy_25.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহ...