🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔙 পূর্ব লীলা 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
          *অচ‍্যুত বাবুর প্রবন্ধ*
           ^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🌷ঈশ্বরাখ‍্যপুরীং গৌর উররীকৃত‍্য গৌরবে।*
*🌷জগদাপ্লাবয়ামাস প্রাকৃতাপ্রাকৃতাত্মং।।*
*🌻কবি কর্ণপূর গোস্বামী এই শ্লোকটিতে ঈশ্বরপুরীর মহিমা গান করেছেন ; বস্তুতঃ যিনি শ্রীমহাপ্রভুর দীক্ষাদাতা,তাঁর মাহাত্ম্যের পরিসীমা কোথায়? "কৃষ্ণপ্রেমকল্পতরুর প্রথম "অঙ্কুর" স্বরূপ শ্রীপাদ মাধবেন্দ্রপুরীর অন‍্যতম শিষ‍্যই ঈশ্বরপুরী। ঈশ্বরপুরী ব্রাহ্মণকুলে কুমারহট্টে জন্মগ্রহণ করেন।*
                  *(২)*
*🌻শ্রীমহাপ্রভু নদীয়ায় যখন বিদ‍্যারসে বিলাস করছিলেন,যখন এই নবীন অধ‍্যাপকের প্রদীপ্ত প্রতিভায় নবদ্বীপের ভুবনবিখ‍্যাত পন্ডিতবর্গ চমকিত--স্তম্ভিত, রঘুনাথ-রঘুনন্দনের সেই গৌরবান্বিত নবদ্বীপে ভক্তিদেবী তখন সঙ্কোচিতভাবে বিরাজ করছিলেন। তখন অদ্বৈতাচার্য‍্য বৈষ্ণবসমাজের প্রধান ; শ্রীবাস,মুরারি,শ্রীধর প্রভৃতি তাঁর সঙ্গে যোগ দিতেন ;একত্রে "ইষ্টগোষ্ঠী" ও "কৃষ্ণকীর্তন" করতেন। বিদ‍্যাগর্বিত পন্ডিতবর্গ বৈষ্ণবগণের ভাবপ্রবণতা-দেখে হাসি সম্বরণ করতে পারতেন না।নবীন নিমাইপন্ডিত বিশেষ চঞ্চল ও পরিহাসরসিক ছিলেন ; তিনি ভক্তগণ পেলে উৎসাহের সঙ্গে পরিহাস করতেন।ভক্তগণ ছাড়া অন‍্যের কাছে ধীর-শান্ত ছিলেন।তাঁর স্বদেশী অর্থ‍্যাৎ শ্রীহট্টবাসীর প্রতি পরিহাসের মাত্রে ও তীব্রতা একটু বেশী ছিল ; সুতরাং শ্রীহট্টবাসী শ্রীবাস,মুরারি প্রভৃতি ভক্তগণ নিমাইপন্ডিতকে দেখলেই পালাতেন। বৈষ্ণবগণের এইরকম ব‍্যবহার দর্শনে নিমাই বলতেন, "কালে আমি এমন বৈষ্ণব হ'ব যে, ব্রহ্মা শিবাদি আমার দ্বারস্থ হবেন "।এইকথা শুনে ছাত্রগণ হাসাহাসি করত, ভক্তগণ নিমাইকে নাস্তিক বলতেন। যথা চৈতন‍্যভাগবতে=*
*🌷হাসি প্রভু বলে আগে পঢ়ু কথোদিন।*
*🌷তবে সে দেখিবে মোর বৈষ্ণবের চিন।।*
*🌷এমন বৈষ্ণব হৈমু মুঞি এ সংসারে।*
*🌷অজ ভব আসিবেক আমার দুয়ারে।।*
*🌷শুন ভাইসব এই আমার বচন।*
*🌷বৈষ্ণব হইব মুঞি সর্ববিলক্ষণ।।*
*🌷আমারে দেখিয়া এবে যে-সব পলায়।*
*🌷তাহারাও যেন মোর গুণকীর্তি গায়।।*
                   *(৩)*
*🌻নিমাইপন্ডিত যখন এইরকম বিদ‍্যাবিলাসে উন্মত্ত, যখন অদ্বৈতাদি ভক্তগণ নীরবে ধীরেধীরে শ্রীকৃষ্ণের কৃপা আকর্ষণ করছিলেন,তখন ভক্তরাজ ঈশ্বরপুরী নবদ্বীপে শুভাগমন করেন।যথা চৈতন‍্যভাগবতে=*
*🌷হেনকালে নবদ্বীপে শ্রীঈশ্বরপুরী।*
*🌷আইলেন অতি অলক্ষিতবেশ ধরি।।*
*🌷 কৃষ্ণরসে পরম বিহ্বল মহাশয়।*
*🌷একান্ত কৃষ্ণের প্রিয় অতি দয়াময়।।*
*🌷তাঁর বেশে কেহ তাঁরে চিনিতে না পারে।*
*🌷দৈবে গিয়া উঠিলেন অদ্বৈতমন্দিরে।।*
☆ ☆ ☆ ☆ ☆
*🌷অদ্বৈত বলেন বাপ তুমি কোন জন।*
*🌷বৈষ্ণব-সন্ন‍্যাসী তুমি হেন লয় মন।।*
*🌷বলেন ঈশ্বরপুরী আমি ক্ষুদ্রাধম।*
*🌷দেখিবারে আইলাম তোমার চরণ।।*
*🌻এইভাবে ঈশ্বরপুরী অদ্বৈতের কাছে পরিচয় দিলেন,পুরীর অতুলনীয় কৃষ্ণপ্রেমের পরিচয় পেয়ে ভক্তগণ আনন্দিত ও চমকিত হলেন। শ্রীবৃন্দাবন দাস বলেন=*
*🌷প্রেম দেখি সভেই বলেন হরি!হরি!*
                     *(৪)*
*🌻একদিন নিমাইপন্ডিত ছাত্রদেরকে অধ‍্যয়ন করায়ে বাড়ী আসছিলেন,পথে ঈশ্বরপুরীর সঙ্গে দেখা হল,সন্ন‍্যাসী দেখে নিমাই তাঁকে প্রণাম করলেন।ঈশ্বরপুরীও নিমাইয়ের অত‍্যুজ্জ্বল কান্তি,বিমল শরচ্চন্দ্রবিনিন্দিত বদনশোভা সন্দর্শনে বিমোহিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন--,"পন্ডিত,তুমি কে?নিমাই হেসে বললেন--"দাসের নাম নিমাই"।তাঁর দিকে তাকিয়ে বিস্মিতভাবে পুরী বললেন-- তুমিই সেই বিখ‍্যাত নিমাইপন্ডিত!নিমাই বললেন-- "আজ দাসের গৃহে আপনার ভিক্ষা (নিমন্ত্রণ), সেখানে আমাকে এইরকম দেখতে পাবেন।যথা চৈতন‍্যভাগবতে=*
*🌷দৈবে একদিন প্রভু শ্রীগৌরসুন্দর।*
*🌷পঢ়াইয়া আইসেন আপনার ঘর।।*
*🌷পথে দেখা হইল ঈশ্বরপুরী-সনে।*
*🌷ভৃত‍্য দেখি প্রভু নমস্করিলা আপনে।।*
☆ ☆ ☆ ☆ ☆
*🌷চাহেন ঈশ্বরপুরী প্রভর শরীর।*
*🌷সিদ্ধপুরুষের প্রায় পরম গম্ভীর।।*
*🌷জিজ্ঞাসেন কি নাম তোমার বিপ্রবর।*
*🌷কি পুথি পঢ়াও,পঢ়, কোন স্থানে ঘর।।*
*🌷শেষে সভে বলিলেন-- নিমাইপন্ডিত।*
*🌷তুমি সে!! বলিয়া বড় হৈল হরষিত।।*
*🌷ভিক্ষা-নিমন্ত্রণ প্রভু করিলেন তানে।*
*🌷সমাদরে গৃহে লই বসিলা আপনে।।*
                     *(৫)*
*🌻নবদ্বীপে গোপীনাথ আচার্য‍্যের গৃহে, ঈশ্বরপুরী তারপর কয়েক মাস বাস করেছিলেন,নিমাইয়ের প্রতি সেই হতেই তাঁর ভালবাসা জন্মে।তিনি ভাবতেন--এ নবীন অধ‍্যাপকের প্রতি কেন এত ভালবাসা জন্মিল?ইহাঁকে দেখতে পেলে শ্রীকৃষ্ণকে কেন স্মরণ থাকে না?এ অদ্ভুত যুবকটি কে? যাইহোক,সেই জায়গায় থেকে "কৃষ্ণলীলামৃত" নামে একটি সংস্কৃত কাব‍্য প্রণয়ন করেন। এবং নিমাইয়ের বন্ধু গদাধর পন্ডিতকে তা পড়াতেন। ভক্তিরত্নাকর বলেন=*
*🌷শ্রীঈশ্বরপুরী কিছুদিন এথা ছিলা।*
*🌷কৃষ্ণলীলামৃত গ্রন্থ এথাই রচিলা।।*
*🌷গদাধরপন্ডিতে পরম স্নেহ করে।*
*🌷তার প্রেমচেষ্টা দেখি পঢ়াইলা তারে।।*
                 *ক্রমাগত*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
           *অচ‍্যুত বাবুর প্রবন্ধ*
            ☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী স্বরচিত এই কৃষ্ণলীলামৃত কাব‍্য সংশোধন দিতে প্রত‍্যহ নিমাইকে অনুরোধ করতেন ; কিন্তু নিমাই স্বীয় স্বভাবসিদ্ধ বিনয়ের সঙ্গে অস্বীকৃত হতেন।মহাপ্রভুর নিজ উক্তি চৈতন‍্যভাগবতে লিখিত আছে, পুরীর অনুরোধ শুনে=*
*🌷প্রভু বলে, ভক্তবাক‍্য,কৃষ্ণের বর্ণন।*
*🌷ইহাতে যে দোষ দেখে সেই পাপী জন।।*
*🌷ভক্তের কবিত্ব যে-তে-মতে কেনে নয়।*
*🌷সর্বথা কৃষ্ণের প্রীতি তাহাতে নিশ্চয়।।*
☆ ☆ ☆ ☆ ☆
*🌷অতএব তোমার সে কৃষ্ণের বর্ণন।*
*🌷ইহাতে দোষিবে কোন্ সাহসিক জন।।*
*🌻পুরী মহাশয় নিমাইয়ের বিনীত ব‍্যবহারে বিমুগ্ধ হলেন ; কিন্তু তবুও অনুরোধ করতে লাগলেন--পন্ডিত! এতে কোন দোষ নাই, গ্রন্থে ভুল থাকলে নিঃসঙ্কোচে তুমি একবার দেখে নাও? নিমাই প্রধানতঃ পুরীর নির্বন্ধ-অতিশয়েএকটি ধাতু পরস্মৈপদী হবে বলে নির্দেশ করলেন।নিমাই চলে গেলেন,পুরী অনেক ভেবে,পরদিন নিমাই আসিলে বললেন,পন্তিত?তুমি যাকে পরস্মৈপদী বলে নির্দেশ করেছ,তা আত্মনেপদীই থাকবে।এই বলে স্বকল্পিত যুক্তি প্রদর্শন করলেন।নিমাই এ সম্বন্ধে আর কোন তর্কই করলেন না ; সুতরাং ভক্তশ্রেষ্ঠেরই জয় হ'ল। চৈতন‍্যভাগবত বলেন=*
*🌷ভৃত‍্য-জয় নিমিত্ত না দেন আর দোষ।।*
*🌷সর্বকাল প্রভু বাঢ়িয়েন ভৃত‍্য-জয়।*
*🌷এ তান স্বভাব সকল বেদে কয়।।*
*🌻এর পর ঈশ্বরপুরী নবদ্বীপ ত‍্যাগ করে স্থানান্তরে গমন করেন ; কেননা,---*
*🌷ভক্তিরসে চঞ্চল,একত্র নাহি স্থিতি।*
*🌷পর্য‍্যটনে চলিলা পবিত্র করি ক্ষিতি।।*
                   *(৬)*
*🌹এই যে সব কথা বর্ণিত হল, তার দুই কি তিন বৎসর পরে নিমাই পন্ডিত গয়াতীর্থে গমন করেন।গয়াধামে শ্রীবিষ্ণুপদ-দর্শনে নদীয়ার উদ্ধত পন্ডিতবরের ভাবান্তর উপস্থিত হল।দেখতে দেখতে নিমাইয়ের অঙ্গ কম্পিত হতে লিগল,রোমাবলী উর্দ্ধোত্থিত হল, এবং নয়নযুগল হতে অবিরলধারে প্রেমাশ্রুপাত হতে লাগল।এদিকে পান্ডাগণ বলতে লাগলেন, পন্ডিত!দর্শন কর=*
*🌷যে চরণ নিরবধি লক্ষ্মীর জীবন।*
*🌷কাশীনাথ হৃদয়ে ধরিলা যে চরণ।।*
*🌷বলি-শিরে আবির্ভাব হৈল যে চরণ।*
*🌷সেই এই দেখ যত ভাগ‍্যবন্ত জন।।*
*🌷তিলার্দ্ধেক যে চরণ ধ‍্যান কৈলে মাত্র।*
*🌷যম তার না হয়েন অধিকার-পাত্র।।*
*🌷যোগেশ্বর-সভার দুর্লভ যে চরণ।*
*🌷সেই এই দেখ যত ভাগ‍্যবন্ত জন।।*
*🌷যে চরণে ভাগীরথী হইল প্রকাশ।*
*🌷নিরবধি হৃদয়ে না ছাড়ে যারে দাস।।*
*🌷অনন্তশয‍্যায় অতি প্রিয় যে চরণ।*
*🌷সেই এই দেখ যত ভাগ‍্যবন্ত জন।।*
*🌻বিষ্ণুপদ দেখতে দেখতে মহাপ্রভু এরকম অদ্দ ভাবরাশি প্রকাশ করতে লাগলেন যে,তা মানুষের কখনও সম্ভবে না। উপস্থিত সকলেই নিমায়ের এই অতিলৌকিক ভাব দর্শনে অবাক হল।*
*🌻দৈবযোগে ঈশ্বরপুরী ঐসময় গয়াতেই ছিলেন, দৈবক্রমে তিনি সেই সময়েই সেখানে উপস্থিত হলেন। ঈশ্বরপুরী পরম ভক্ত,তাঁকে দেখে নিমায়ের চেতনা হল।নিমাই তাঁকে প্রণাম করলেন।এইভাবে গয়াধামে পুরীর সহিত পুনর্বার শ্রীগৌরাঙ্গের সম্মিলন ঘটিল। যথা অদ্বৈতপ্রকাশ গ্রন্থে=*
*🌷তবে কিছুদিন পরে শ্রীশচীনন্দন।*
*🌷পিতৃকার্য‍্যে গয়াধামে করিলা গমন।।*
*🌷ভক্তি করি গদাধরের পদে পিন্ড দিলা।*
*🌷তহিঁ শ্রীঈশ্বরপুরীর সাক্ষাৎ পাইলা।।*
*🌷পুরীরাজে দেখি নিমাই দন্ডবৎ কৈলা।*
*🌷তিহোঁ সসম্ভ্রমে গৌরচন্দ্রে আলিঙ্গিলা।।*
                    *(৭)*
*🌻শ্রীমন্মহাপ্রভু গয়াতে, কখন কখন রন্ধন করতেন।একদিন রান্না শেষ হয়েছে, সেই সময় ঈশ্বরপুরী সেখানে উপস্থিত হলেন।পুরী প্রীতি-পরিহাস-সহকারে বললেন, ভালই সময় উপস্থিত হলাম।মহাপ্রভু আনন্দভরে বললেন, যথা=*
*🌷প্রভু বলে যবে হৈল ভাগ‍্যের উদয়।*
*🌷এই অন্ন ভিক্ষা আজি কর মহাশয়।।*
*🌹এই কথা শুনে=*
*🌷হাসিয়া বলেন পুরী তুমি কি খাইবে।*
*🌷প্রভু বলে আমি অন্ন রান্ধিবাঙ এবে।।*
*🌻তখন=*
*🌷পুরী বলে কি কার্য‍্যে করিবে আর পাক।*
*🌷যে অন্ন আছয়ে তাহা কর দুইভাগ।।*
*🌻কিন্তু তখন প্রেমে পরিপূর্ণ নিমাই রাজি হলেন না, সব অন্নই পুরীর পাতে পরিবেশন করে দিলেন ; ও পুনর্বার রন্ধন করে স্বয়ং আহার করলেন।এই সময়ে গয়াধামে ঈশ্বরপুরী হতে নিমাই দীক্ষা গ্রহণ করেন। যথা অদ্বৈতপ্রকাশে=*
*🌷পরদিন মহাপ্রভু,দেখি শুভক্ষণ।*
*🌷পুরীরাজস্থানে মন্ত্র করিলা গ্রহণ।।*
☆ ☆ ☆ ☆
*🌷পুরীরাজে প্রণমিয়া কহে বারেবার।*
*🌷বড় কৃপা করি কৈলা মো-ছারে উদ্ধার।।*
*🌷পুরী কহে তত্ত্ব জানি না করিহ দৈন‍্য।*
*🌷জীব শিক্ষাইতে ধরায় হৈলা অবতীর্ণ।।*
*🌷স্বতন্ত্র ঈশ্বর তুহুঁ চিদানন্দময়।*
*🌷তব মায়া-নাটে কার্ ভ্রম নাহি হয়।।*
*🌻নবদ্বীপে ঈশ্বরপুরীর মনে যে সন্দেহ হয়েছিল,গয়াধামে সে সংশয় দূর হল ; কেন তাঁর কৃষ্ণনিষ্ঠ মন গৌরাঙ্গে আকৃষ্ট হত, তখন বুঝলেন। বুঝে তাঁর মনে আনন্দ ও ভয় উভয়ই উপস্থিত হল। ঈশ্বরপুরী গুরু ; শিষ্য নিমাই তাঁকে প্রণাম করতে কার্য‍্যত তিনি নিষেধ করতে পারেন না। আবার জেনে শুনে ভগবানের প্রণাম কোন ভক্ত গ্রহণ করতে পারেন? পুরী অগত‍্যা গয়া থেকে চলে যেতে মনস্থ করলেন।যে ভগবানের দর্শনজন‍্য মুনিগণ কত যোগ-তপস‍্যা করেন, হায়!প্রণামের ভয়ে ঈশ্বরপুরী সত‍্যসত‍্যই তাঁকে গয়ায় রেখে অন‍্যত্র চলে গেলেন!! নিমাইকে সেদিন অনিমিষ-নয়নে দেখে নিয়ে, হৃদয়ে নিমাই-রূপ ভাব নিয়ে,নয়নের জলে বক্ষ ভাসিয়ে চিরতরে দূরে চলে গেলেন।*
               *ক্রমাগত*
😭😭😭😭😭😭🙏😭😭😭😭😭😭
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৩)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
          *অচ‍্যুত বাবুর প্রবন্ধ*
          °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
*🍀গয়াধাম হতে প্রত‍্যাবর্তনকালে শ্রীনিমাইপন্ডিত শ্রীঈশ্বরপুরীর জন্মস্থান দর্শন করে,পরে নবদ্বীপে আগমন করেছিলেন। যথা অদ্বৈত প্রকাশে=*
*🌷তবে কুমারহট্টে গেলা প্রভু বিশ্বম্ভর।*
*🌷পুরীরাজের জন্মস্থান অতি পুণ‍্যতর।।*
                  *(৮)*
*☘গয়া হতে ঈশ্বরপুরী বৃন্দাবন গমন করেন। সেখানে দেখতে পেলেন যে, "জনৈক অবধূত পাগলের মত কানাইকে খোঁজ করছেন।আকৃতি প্রকৃতি প্রায় গৌরাঙ্গেরই মত। ঈশ্বরপুরী ইঁনাকে চিনতে পারলেন ; (তীর্থ ভ্রমণ কালে আর একবার উভয়ে দেখা হয়েছিল )। এবং তাঁর মনের ভাব বুঝে বললেন--ঠাকুর! এখানে কি চাইছ?তোমার কানাই এখন নবদ্বীপে ; যাও সেখানে, তিনি তোমারই অপেক্ষা করছেন।পুরীর কথায় অবধূত নবদ্বীপ মুখে ধাবিত হলেন।এই অবধূতই আমার নিতাইচাঁদ।*
*🍀কিন্তু ঈশ্বরপুরীর এক রোগ জন্মিল ; এক সময় তিনি স্বীয় "কৃষ্ণনিষ্ঠ" মনের কথা ভাবছিলেন ; হায়!সেই কৃষ্ণনিষ্ঠ মনে,এখন কৃষ্ণ কোথায়?সেই জায়গা শ্রীগৌরাঙ্গময়! ঈশ্বরপুরীকৃত দৈন‍্য উক্তি সূচক শ্লোকটি এখানে দিলাম=*
*🌷নৃত‍্যেন্ বায়ুবিঘূর্ণিতৈঃ সুবিটপৈর্গায়ন্নলীনাং,*
*🌷রুতৈর্মুঞ্চন্নশ্রুমরন্দবিন্দুভিরলং রোমাঞ্চবানঙ্কুরৈঃ।*
*🌷মাকন্দোহপি মুকুন্দ মূর্চ্ছতি তব স্মৃতা নু বৃন্দাবনে,*
*🌷রূহি প্রাণসমান চেতসি কথং নামাপি নায়াতি তে।।*
*🌻ভাবার্থ=হা মুকুন্দ!তৎস্মরণে ব্রজের বৃক্ষরাজি বায়ুবিঘূণিত শাখাদ্বারা নৃত‍্য করছে, (তোমার স্মরণ করে বৃক্ষগুলি বায়ু যেমন ঘুরে,বৃক্ষের শাখাগুলি কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলিয়া নৃত্য করছে),অঙ্কুর-উদ্গম ছলে রোমাঞ্চিত হচ্ছে ; ভ্রমরগণ গুণ গুণ শব্দেতে গান করছে এবং মকরন্দবিন্দু দ্বারা অশ্রুপাত করছে ; কিন্তু হে প্রাণসম!বল দেখি, আমার চিত্তে তোমার নামটিও কেন আসছে না? ভগবৎ-বিরহের দারুণ প্রতিঘাতে পুরীপাদকে অস্থির করে তুলিল, তিনি কাতর প্রাণে ভগবানের কাছে সদৈন‍্য প্রার্থনা করতে লাগলেন।এখানে তৎকৃত দ্বিতীয় শ্লোকটি এই=*
*🌷ধন‍্যানাং হৃদি ভাসতাং গিরিবরপ্রত‍্যগ্রকুঞ্জৌকসাং সত‍্যানন্দরসং বিকারবিভবব‍্যাবর্ত্তমন্তর্মহঃ।*
*🌷অস্মাকং কিল বল্লবীরতিরসো বৃন্দাটকীলালসো গোপঃ কোহপি মহেন্দ্রনীলরুচিরশ্চিত্তে মুহুঃ ক্রীড়তু।।*
*🌹ভাবার্থ=পর্বত-গুহাবাসী ধন‍্য পুরুষদের হৃদয়ে বিকারবিরহিত সত‍্যানন্দরস বিকাশ পাক ; আমাদের হৃদয়-কন্দরে কিন্তু গোপীরতিরসরূপ ব্রজবনবাসী ইন্দ্রনীলকান্তি কোন গোপ খেলা করুন।*
*🍀এই শ্লোকে ব্রহ্ম-জ্ঞান অপেক্ষা শ্রবণ-স্মরণাদি ভক্তি-অঙ্গের প্রাধান‍্য প্রতিপাদিত হচ্ছে।যাইহোক, পুরীপাদ অতঃপর নানান তীর্থে পর্য‍্যটন করতে লাগলেন, কিন্তু ভগবৎ-বিরহের প্রবল উচ্ছ্বাস কিছুতেই শান্ত হল না।এখানে তৎকৃত তৃতীয় শ্লোকটি এই=*
*🌷যোগশ্রুত‍্যুপপত্তিনির্জনবনধ‍্যানাধ্বসংভাবিতাঃ,*
*🌷স্বারাজ‍্যং প্রতিপদ‍্য নির্ভয়মমী মুক্তা ভবন্তু দ্বিজাঃ।*
*🌷অস্মাকন্তু কদম্বকুঞ্জকুহরপ্রোন্মীলদিন্দীবর-,*
*🌷শ্রেণীশ‍্যামলধাম-নাম জুষতাং জন্মাস্তু লক্ষাবধি।।*
*🌻ভাবার্থ=দ্বিজাতিগণ যোগ,বেদ অনুশীলন,নির্জনবনে ধ‍্যান ও তীর্থভ্রমণাদি দ্বারা নির্ভয়রূপ ব্রহ্মসাক্ষাৎকারে মুক্ত হন, আমরা কিন্তু কদম্বকুঞ্জে বিদ‍্যমান ইন্দীবরনিন্দি শ‍্যামসুন্দরের নাম-সেবক ; আমাদের জন্মের ভয় নাই।*
*⭐এইভাবে শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী পন্ডারপুর নামক জায়গার তীর্থে গমন করেন ; চৈতন‍্যচন্দ্রোদয়নাটকে লিখিত আছে যে,সেই তীর্থে অদ্ভুত ভাবে তিনি অন্তর্দ্ধান করেন।*
                 *(৯)*
*শ্রীমন্মহাপ্রভু সন্ন‍্যাস গ্রহণ করে নীলাচলে গিয়েছেন ; সেখান হতে তীর্থ-দর্শন-উপলক্ষ‍্যে দক্ষিণদেশ উদ্ধার করে, পুনঃ শ্রীক্ষেত্রে প্রত‍্যাগমন করেছেন।ঐসময় গোবিন্দ দাস নামক একজন ভক্ত এসে মহাপ্রভুকে প্রণাম করলেন, এবং নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন=*
*🌷ঈশ্বরপুরীর ভৃত‍্য, গোবিন্দ মোর নাম।*
*🌷পুরীগোসাঞীর আজ্ঞায় আইনু তব স্থান।।*
*🌷সিদ্ধিপ্রাপ্তিকালে গোসাঞি আজ্ঞা কৈল মোরে।*
*🌷শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্য-নিকট রহি সেব যাই তারে।।*
*🌷কাশীশ্বর আসিবেন তীর্থ দেখিয়া।*
*🌷প্রভু-আজ্ঞায় তোমার পদে আইনু ধাইঞা।।চৈঃচঃ।।*
*🌻গোবিন্দ বললেন, অন্তর্দ্ধানকালে শ্রীপাদ পুরীশ্বর আদেশ দিয়েছেন যে, তোমার নিকটে থেকে তোমার সেবা শুশ্রূষা করতে হবে, তাই আমি আসিলাম। মহাপ্রভু বললেন, যথা তত্রৈব----*
*🌷প্রভু কহে,পুরীশ্বর বাৎসল‍্য করি মোরে।*
*🌷কৃপা করি মোর ঠাঞি পাঠাইলা তোমারে।।*
*🌹মহাপ্রভুর এই বাক‍্যাবশেষ ভক্তগণ মধ‍্য হতে সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য মহাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, শূদ্রই অন‍্য শূদ্রকে সেবক-স্বরূপে রাখতে পারেন, কিন্তু ----*
*🌷পুরীগোসাঞি শূদ্রসেবক কাহাতে রাখিলা।*
*☘শ্রীচৈতন‍্যদেব এর উত্তর দিলেন, যথা চৈতন‍্যচরিতামৃতে=*
*🌷প্রভু কহে, ঈশ্বর হয় পরম স্বতন্ত্র।*
*🌷ঈশ্বরের কৃপা নহে বেদপরতন্ত্র।।*
*🌷ঈশ্বরের কৃপা জাতিকুলাদি না মানে।*
*🌷বিদুরের ঘরে কৃষ্ণ করিলা ভোজনে।।*
*🌻এই কথা বলেই মহাপ্রভু গোবিন্দকে আলিঙ্গন করলে,তিনি তাঁর চরণ বন্দনা করলেন।তার পর মহাপ্রভু ভট্টাচার্য্যকে জিজ্ঞাসা করলেন, ভট্টাচার্য্য!বল দেখি----*
*🌷গুরুর কিঙ্কর হয়, মান‍্য সে আমার।।*
*🌷ইহাকে আপন সেবা করাইতে না জুয়ায়।*
*🌷গুরু আজ্ঞা দিয়েছেন,কি করি উপায়?*
*🌻ভট্টাচার্য‍্য উত্তর করলেন, "আজ্ঞা গুরূণাং হ‍্যবিচারণীয়া"।*
*🍀গোবিন্দ সেই সময় হতে,শ্রীমন্মহাপ্রভুর কাছে থেকে,তার শ্রীঅঙ্গ সেবা করতে রত হন। এর কিছুদিন পরেই কাশীশ্বর গোস্বামী আগমন করেন ; শ্রীমহাপ্রভু সসম্মানে তাঁকেও নিজের কাছে রাখেন। তিনি যখন শ্রীজগন্নাথদর্শনে গমন করতেন, কাশীশ্বর আগে থেকে তখন লোকভীড় বারণ করতেন।*
*🔷শ্রীপাদ পুরীশ্বরের ভক্ত-প্রেরণ উপলক্ষ্যে চরিতামৃত বলেন=*
*🌷স্নেহলেশাপেক্ষামাত্র ঈশ্বরকৃপার।*
*🌷স্নেহবশ হঞা করে স্বতন্ত্র আচার।।*
*🌻অচ‍্যুত-বাবুর প্রবন্ধ এখানেই রইল।*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৪)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
 *শ্রীপুরীপাদ সম্বন্ধে সাধারণের মত*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🍀সুপ্রসিদ্ধ "নিবেদন" পত্রিকায় "বৈষ্ণবসমাজ"-শীর্ষক প্রবন্ধে সূক্ষ্মদর্শী শ্রীজনার্দন শর্মা লিখেছেন=*
*🌻যে গোস্বামীসন্তানগণ বৈষ্ণবসমাজে এতাবৎ (এ পর্য‍্যন্ত বা এ যাবৎ)পরিচয় দিচ্ছেন,মহাপ্রভুর বৈষ্ণবসমাজ রক্ষা করবার জন্যই যাদের উদ্দেশ্য দেখা যায়,যাঁদের বৈষ্ণবসমাজের শিক্ষাদাতা।ও গুরুর কাজ করছেন,তাঁদের মধ্যে যোগ্য ব‍্যক্তিকেও বাদসাদ দিতে ইঁনাদের একটা আন্তরিক যত্ন দেখা যায়।গুরুদেবের বাড়ীতে মোড়লী বা সদ্দারী চলবে কেন?তাঁরা বতর্মান থাকতে তোমরা চাঁই (মন্ডল) হয়ে উঠতে পারছ না,বড় বিঘ্ন, সব একাকার করতে পারলেই যেন অনেকটা নিশ্চিন্ত হও,সব এক-ক্ষুরে মাথা মুড়াবার জন্য ভারি ব‍্যস্ত।বৈষ্ণব হলে আর জাতি থাকে না,এ ধুয়া ধরে কি লোকটা না হাসিয়েছ। "বর্ণানাং ব্রাহ্মণো গুরুঃ"একথা তাঁদের হৃদয়শূল, তাই আবার প্রভুবংশ অসহ‍্য,অসহ‍্য ; আর উচু নীচু রাখা হবে না,সব একসা্ করে দাও--তবেই অন্তরের জ্বালা জুড়াবে! তোমাদের মধ্যে একদলের এই হৃদয়ের আগ্নেয়গিরি প্রথম স্ফুরণ শ্রীমন্মহাপ্রভুর গুরুদেব শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীর উপর পড়েছে। ঈশ্বরপুরীকে "শূদ্র" নামে তুলবার জন্য কি ব‍্যর্থ চেষ্টা!কেন,শূদ্র হলেই কি তাঁর মান‍্য বাড়বে?তাঁরা কি জানেন না,যে গিরি,পুরী,ভারতী,সরস্বতী,অরণ‍্য প্রভৃতি সম্প্রদায়ী সন্ন‍্যাসী ব্রাহ্মণ ছাড়া অন‍্য জাতি হতেই পারেন না! এই কথাটা যদি তাঁদের না জানা ছিল,কাশীতে গিয়ে দশনামী সন্ন‍্যাসীদেরকে জিজ্ঞাসা করে আসিলেই হত।এরকম ভাবে শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী শূদ্র ছিলেন,প্রচার করায়,তাঁরা লোকতঃ ধর্মতঃ পাপভাগী হয়েছেন।*
*একটা বড় আশ্চর্য‍্য এই,মহাপ্রভুকে জগদীশ্বর বলে জগতের কাছে প্রচার করছ,তাঁর শ্রীগুরু-সম্বন্ধে একটা অযথা কথা রটনা করতে কি রসনা কিছুমাত্র কুন্ঠিত হল না!কুমারহট্টে ঈশ্বরপুরীর পূর্বাশ্রম ছিল,এখনও সেখানে পুরীগোস্বামীর দূর-জ্ঞাতি বলে পরিচয় দেন,এমন তো ব্রাহ্মণ আছেন।তোমাদের ও-দলের একজন লিখিলেন "ঈশ্বরপুরী শূদ্র কি ব্রাহ্মণ তার কোন বিনিগমনা (একতর-পক্ষপাতিনী যুক্তি) না থাকাই,শূদ্রাধম পাঠ দেখে,তাঁকে শূদ্র কুলোৎপন্ন বলা যেতে পারে। শূদ্রকুলে জন্মিয়া তিনি তপস‍্যা করে ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেছিলেন বলেই যতি অর্থ‍্যাৎ বৈদিক-সন্ন‍্যাসী হতে পেরেছিলেন ইত্যাদি।*
*🍀কেমন যুক্তি?সরল অল্পবুদ্ধি অশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত ব‍্যক্তিগণকে ধাঁধায় ফেলবার কেমন সুন্দর কৌশল! বলি!পুরীগোস্বামী সন্ন‍্যাসী হবার আগে তপস‍্যা করলেন, না পরে করলেন? ব্রাহ্মণ ছাড়া তো সন্ন‍্যাসী হয় না,তবে পুরীগোঁসাই আগে তপস‍্যা করে ব্রাহ্মণ হলেন,তার পর সন্ন‍্যাসী হলেন!ভাল,এ কথা যদি সত‍্য হয়,তবে তোমরা পুনরায় ঈশ্বরপুরীকে শূদ্র ছিলেন বলে প্রচার করছ কেন,তিনি তো ব্রাহ্মণ হয়ে সন্ন‍্যাসী হয়েছিলেন! এ সম্বন্ধে বেশী বলা নিষ্প্রয়োজন। ৮ই বৈশাখ,১৩০৮ সাল।*
                  *(২)*
*🌻সুপ্রসিদ্ধ "অনুসন্ধান" পত্রিকায় "জয়কৃষ্ণচরিত" প্রভৃতির গ্রন্থকার সুলেখক শ্রীযুক্ত অম্বিকাচরণ গুপ্ত মহাশয় লিখেছেন=*
*🍀যে গ্রন্থে ও যে মহাপুরুষের নিকট ঈশ্বরপুরীর জাতীয়ত্বের কথা অবগত হয়েছি, সে গ্রন্থ আমার কাছে এখন নাই, এবং সেই মহাপুরুষও দূরবর্তী স্থানে অবস্থিতি করছেন।তাঁর কাছে আমি শ্রীচৈতন‍্যচরিতামৃত ও শ্রীচৈতন‍্যভাগবত যখন অধ‍্যয়ন করি,তখন,ঈশ্বরপুরী কোন্ জাতীয় ছিলেন --একথা জিজ্ঞাসায়, উত্তর পেয়েছিলাম--"তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন "। ঈশ্বরপুরী যে সন্ন‍্যাসী ছিলেন,তা শ্রীচৈতন‍্যমঙ্গল-পাঠেই অবগত হওয়া যায়,------*
*🌷যাইতে দেখিলা পথে সন্ন‍্যাসিপ্রবর।*
*🌷 মহা ভাগ‍্যবন্ত নাম পুরী ঈশ্বর।।*
*🌻"পুরী"--জাতীয় উপাধি না,দশনামী মোহন্তগণের উপাধিবিশেষ।গিরি,পুরী,ভারতী প্রভৃতি দশটি উপাধি সন্ন‍্যাসীদেরই জন্য।তারকেশ্বরতীর্থের অধ‍্যক্ষদের উপাধি গিরি,ভোটবাগানের মোহন্তগণও গিরি,তারকেশ্বরের নিকটবর্তী চাঁদুর সন্তোষপুরে যে দুইটি মঠ আছে,তাদের একটির অধ‍্যক্ষ ঁ রাজেন্দ্র পুরীকে আমি জানতাম ; অন‍্যতর মঠের অধ‍্যক্ষ ঁ মহেশ ভারতীকেও আমি জানতাম।তাঁদের কুলাচার এই যে,ব্রাহ্মণ-সন্তান উপবীত ত‍্যাগ করে সন্ন‍্যাস গ্রহণ করলেই,তাঁদের গদীতে মোহন্ত হয়ে, উক্তরূপ উপাধি নিয়ে,বসতে পাবেন।*
*🍀তারকেশ্বরে অদ‍্যাপি এই নিয়ম প্রচলিত আছে।এতেই বুঝতে হবে, ব্রাহ্মণ ছাড়া গিরি,পুরী হতে পারে না।বাস্তবিক দেখাও যাচ্ছে, ব্রাহ্মণেতর অন‍্যজাতীয় লোক দন্ডাশ্রম গ্রহণ করতে পারেন না। এইজন‍্যই,শ্রীকৃষ্ণপ্রসন্ন সেন যখন দন্ডাশ্রম-গ্রহণে দন্ডী হবার চেষ্টা করেন, তখন কাশীর দন্ডিসমাজ তাতে সম্মতি দিতে পারেন নাই। কৃষ্ণপ্রসন্ন সর্বসম্মত দন্ডী নহেন।পরিশেষে, এক বৈষ্ণব দন্ডী তাঁকে দন্ডগ্রহণ করিয়েছিলেন।আজ-কাল ঊনবিংশ শতাব্দীতে সবই চলে যাচ্ছে বলে, প্রায় চারশ বৎসর পূর্বে শ্রীচৈতন‍্যদেবের আমলেও যে ব্রাহ্মণেতর ঈশ্বর "পুরী" উপাধিধারী সন্ন‍্যাসী হতে পেরেছিলেন, এ কথা বিশ্বাসের পথে আদৌ আনতে পারা যায় না। ঈশ্বরপুরীর পুরীত্ব যদি শ্রীচৈতন‍্যদেবের পরে হত,তাহলেও একদিন মনে করতে পারা যেত যে, তিনি শ্রীচৈতন‍্যসম্প্রদায়স্থ ব্রাহ্মণেতর সন্ন‍্যাসী "পুরী" হয়েছেন। কিন্তু তা নহে ; মহাপ্রভু যখন গয়াতীর্থে গমন করেন,তার পূর্ব হতেই ঈশ্বরপুরী "পুরী" ছিলেন। ৭ই ভাদ্র, ১৩০৬ সাল।*
💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৫)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
              *সাধারণের মত*
                       *(৩)*
*🍀সুপ্রসিদ্ধ অনুসন্ধান-পত্রিকায় "গৌরাঙ্গ-ধর্মে গুরুতত্ত্ব" শীর্ষক প্রবন্ধে এইরকম একটি প্রতিবাদ ও প্রত‍্যুত্তর প্রকাশিত হয়েছে,----*
*🌻হিন্দুর কাছে,শাস্ত্রজ্ঞানী মহাজনের কাছে, "গুরুতত্ত্ব" চিরদিন মীমাংসিত রইলেও, "অনুসন্ধানে" প্রকাশিত "গৌরাঙ্গ-ধর্মে গুরুতত্ত্ব" প্রসঙ্গ নিয়ে, একটা তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হয়েছে।বৈষ্ণব-সম্প্রদায়-ভুক্ত অনেকেরই মুখে আজকাল ঐ বিষয়ের প্রসঙ্গ চলেছে, অন‍্যান‍্য সম্প্রদায়ও তাতে আগ্রহের সঙ্গে যোগদান করেছেন।উচ্ছৃঙ্খল সমাজের পান্ডুগ্রস্ত চোখের সামনে,সত‍্যের শুভ্র উজ্জ্বল পদার্থও--- স্বতঃই হরিদ্রাবর্ণ প্রতিভাত হয় ; তথাপি সত‍্য-- চিরদিনই সত‍্য।সেই সত‍্যেরই পূর্ণপরিস্ফুটন কামনায়, পুনরায়, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গুরুতত্ত্ব আলোচিত হচ্ছে।বাদ-প্রতিবাদেও সত‍্য পরিস্ফুট হয়।বিশেষকরে বঙ্গসাহিত‍্যের প্রবীণ লেখক,বৈষ্ণবশাস্ত্রের পারদর্শী পন্ডিত, শ্রীযুক্ত জগদ্বন্ধু ভদ্রের মত বিচক্ষণ ব‍্যক্তি, যখন প্রতিবাদকের পক্ষ গ্রহণ করেছেন,তখন আর সুমীমাংসায় সন্দেহ নাই।আমরা, প্রথমে তাঁর প্রতিবাদ-পত্র ও তারনিচে প্রতিবাদের উত্তর প্রকাশ করছি।ভরসা করি,সত‍্য-তত্ত্ব এটিতেই অবিসংবাদিতরূপে (অবাধে)প্রতিপন্ন হবে।*
           *প্রতিবাদ---পত্র*
            ▪▫▪▫▪
*🍀বিগত ২১শে আষাঢ়ের সাপ্তাহিক "অনুসন্ধানে" কোন লেখক গুরুতত্ত্ব সম্বন্ধে একটি ক্ষুদ্র প্রবন্ধ লিখেছেন।লেখক "বৈষ্ণবশাস্ত্রাদির অভিপ্রায় " মতে "গুরুকে" প্রধানতঃ শ্রবণ-গুরু, দীক্ষাগুরু ও ভজন-গুরু এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করে,তাঁদের লক্ষণ দিয়েছেন।প্রবন্ধলেখকের শ্রেণীবিভাগ,কোন্ প্রামাণিক বৈষ্ণবগ্রন্থমতে সম্পাদিত হয়েছে,তার উল্লেখ করা উচিত ছিল। প্রবন্ধের চরমভাগে যে তিনি লিখেছেন-- "এ কথা,শ্রীহরিভক্তিবিলাস প্রভৃতি বৈষ্ণবদের অনুশাসনগ্রন্থে সুন্দরভাবে প্রদর্শিত হয়েছে "।সেটির অর্থ কি, আমি তো বুঝতে পারলাম না! আমার যেন বোধ হয়,ঐরকম লেখাতে আমার মত অনেক মূর্খ বৈষ্ণবকে তিনি ধাঁধায় ফেলেছেন।যদি হরিভক্তিবিলাসে তাঁর লিখিত শ্রেণীবিভাগ থাকে,তবে "প্রভৃতির" প্রয়োজন কি? যদি উক্ত গ্রন্থ ও অন‍্যান‍্য বৈষ্ণবগ্রন্থে সেটি থাকে, তবে স্পষ্ট করে তৎগ্রন্থের নামোল্লেখ উচিৎ ছিল।আমার মত ক্ষুদ্র ব‍্যক্তির যতটুকু জানা আছে,তাতে বৈষ্ণবধর্মমতে "গুরুর"-গুরু পরম-গুরু ও পরমেষ্ট-গুরু (?) এই বিভাগত্রয় ও তার বর্ণনা আছে।অপর এক প্রকার বিভাগে গুরু দ্বিবিধ বলে বর্ণিত আছে ; যথা--দীক্ষা-গুরু ও শিক্ষা-গুরু। মদুল্লেখিত বিভাগ সম্বন্ধে কোন গ্রন্থের উল্লেখ অনাবশ‍্যক ; কারণ, সেটি বহু গ্রন্থে আছে, এবং বৈষ্ণবধর্মাবলম্বী প্রায় ব‍্যক্তি মাত্রেই জানেন ; ভরসা করি,বৈষ্ণবশাস্ত্রজ্ঞ প্রবন্ধ-লেখকও জানেন।প্রবন্ধের উপসংহারে লেখক বলেন-- আজকাল যে শূদ্র হয়ে ব্রাহ্মণকে মন্ত্রদানের হুজুক উঠেছে, সেটি মহাপাতক ; মুখে আনলেও পাপ হয়। এই বাক‍্যটি পাঠ করে যেন বোধ হয়,প্রবন্ধলেখক "বঙ্গবাসীর" দলস্থ লোক এবং "অমৃতবাজারের" দলের বিদ্বেষী ; এবং আরও বোধ হয় যে,যে কলিকাতার লোক জানে না যে-- "ধান‍্য" লতায় না বৃক্ষে জন্মে, লেখকও সেই কলিকাতাবাসী।তা, যে স্থলে পূজ‍্যপাদ শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর মত বিজ্ঞ,অভিজ্ঞ,অগাধশাস্ত্রজ্ঞ মহান্ ব‍্যক্তি বৈষ্ণবসন্ন‍্যাসের বিদ‍্যমানতার খবর পর্যন্ত রাখেন না ; এবং ব্রাহ্মণেতর জাতীয় গুরুবংশীদের দ্বারা ব্রাহ্মণাদি শিষ‍্যের দীক্ষা সম্পাদন হয়,বঙ্গদেশে অনেক গুরু-বংশ এখনও বতর্মান আছেন-- এ কথা জানেন না; সে স্থলে প্রবন্ধ লেখকের ভ্রমে পতিত হওয়া বিচিত্র নহে। কিন্তু আমি ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্রজীব হয়েও,গোস্বামী প্রভুকে,বৈষ্ণবধর্মে সম্পূর্ণ অনধিকারী "বঙ্গবাসীর"দলকে, এবং "মহাপাতক" ভয়ে ভীত ধার্মিক প্রবন্ধ লেখককে বিনীতভাবে জানাচ্ছি, শূদ্র হয়ে ব্রাহ্মণকে মন্ত্রদানের কথা হুজুক না ; শিশিরবাবুর বেয়াদপি বা গোস্তাকি না ; প্রামাণিক সত‍্য-- অবিসংবাদিত সত‍্য--পুরুষপরম্পরাপ্রচলিত বহুকালের সত‍্য।সত‍্য মিথ‍্যা,নিম্নলিখিত বৃত্তান্তগুলি পাঠ করে, "অনুসন্ধানের" পাঠকগণই মীমাংসা করবেন।*
*🌻প্রথমতঃ।ঢাকা-জেলার অন্তর্গত নবাবগঞ্জ-থানার অধীন মাহাম্মদপুর-ষ্টীমার-স্টেশনের কিঞ্চিৎ পশ্চিমে প্রসিদ্ধ কুসুমহাটী গ্রাম।ঐ গ্রামের শূদ্রবংশীয় অধিকারী মহাশয়েরা, পুরুষানুক্রমে ব্রাহ্মণাদি সর্ববর্ণকে ইষ্টমন্ত্রে দীক্ষিত করে আসছেন।ঐ বংশের অস্তিত্ব এখনও আছে কি না, আমি তিন-চার বৎসরের কথা জানি না।*
*🌻দ্বিতীয়তঃ। উক্ত ঢাকা-জেলার মাণিকগঞ্জ-উপবিভাগের মধ্যে খাবাসপুর বলে একটি বৃহৎ গ্রাম আছে।ঐ গ্রামের ঘোষ (কায়স্থ কুলীন)বংশ,ব্রাহ্মণাদি সর্ববর্ণকে বহুকাল হতে শিষ্য করে আসছেন।ঐ বংশের ঁ রাজনাথ ঘোষ, আমার এক আত্মীয়ের কন‍্যাকে বিয়ে করেন। ইঁনারও ব্রাহ্মণ মন্ত্রশিষ‍্য ছিল। ইনি আপন বিধবা পত্নী শ্রীমতী বগলাসুন্দরীকে ও অনুমান চোদ্দ বৎসর বয়স্ক অক্ষয়কুমার ঘোষ পুত্রকে রেখে, আজ সাত-কি-আট বৎসর পরলোক গমন করেছেন। পাঁচ-ছয় মাস হল, বগলাসুন্দরী আমার বাড়ীতে এসেছিল ; সে বলল, "আমি স্ত্রীলোক ও আমার পুত্র নাবালক বলে, ব্রাহ্মণ শিষ‍্যেরা অন‍্য গুরুর আশ্রয় গ্রহণ করেছেন ; কায়স্থ নবশাখগণ ও শৌন্ডিক,নরসুন্দর, ধীবর প্রভৃতি ইতর হিন্দুগণ, আমাকে ব্রাহ্মণ-পত্নীর অপেক্ষা বেশী মান‍্য করে এবং আমার উচ্ছিষ্ট পর্যন্ত গ্রহণ করে।*
                  *ক্রমাগত*
*🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৬)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
              *সাধারণের মত*
             ¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥¥
*🍀তৃতীয়তঃ।প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মধর্মপ্রচারক শ্রীযুক্ত নবদ্বীপচন্দ্র দাস মহাশয় আজ চার-পাঁচদিন হল আমাকে বলেছেন,যে বংশে তাঁর জন্ম,সে বংশীয় লোকেরা অর্থ‍্যাৎ নবদ্বীপবাবুর পিতা,পিতামহগণ, ব্রাহ্মণাদিজাতির দীক্ষাগুরু ছিলেন।নবদ্বীপবাবুর নিবাস ছিল ময়মনসিংহ জেলায়।*
*🍀চতুর্থতঃ। প্রসিদ্ধ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার শ্রীযুক্ত বাবু চন্দ্রশিখর কালীর বাসস্থান ঢাকা জেলার অন্তর্গত ধামরাই গ্রামে।উক্ত ধামরাই গ্রামের কাছে সামড়া গ্রাম।ঐ গ্রামে এক সর্বজন পূজিত বিখ‍্যাত শূদ্র গোস্বামী-বংশ বাস করেন ; তাঁরা সানড়ার গোঁসাই নামে প্রসিদ্ধ। নবদ্বীপবাবু বলেন, তিনি ঐ গোস্বামীদের ঘরে গিয়েছেন, এবং খোঁজ করে জেনেছেন,উক্ত গোস্বামীদের এখনও ব্রাহ্মণ মন্ত্রশাষ‍্য আছে।*
*🍀প্রভুপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী এবং বতর্মান প্রবন্ধ-লেখক যে বৈদিকসন্ন‍্যাসের দোহাই দিয়ে ব্রাহ্মণেতর জাতির গুরু হওয়াকে দূষছেন ; সে বৈদিকসন্ন‍্যাস যে কলিকালে রহিত হয়েছে,তা কি তাঁরা জানেন না? এবং বতর্মান গুরু-ব‍্যবসায় যে,তান্ত্রিক-বিধির উপর স্থাপিত,তাও কি তাঁরা জানেন না?যে মন্ত্রবীজ কর্ণে প্রদান দ্বারা দীক্ষাকার্য‍্য সম্পন্ন হয়, তা কি তন্ত্রসম্মত না?*
*🌷অবধূতাশ্রমং দেবি কলৌ সন্ন‍্যাসমুচ‍্যতে।*
*🍀এই যে তান্ত্রিক বচন,এতে সর্ববর্ণের গুরু হওয়ার বিধি কি পাওয়া গেল না?এই শিববাক‍্য কি আধুনিক হুজুক?না, শিশিরবাবুর ছাপাখানায় গঠিত?প্রভুপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীি বলুন,আর যেই বলুন, শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী যে শূদ্র,এ কথা অমিয়নিমাইচরিতকারের মনঃকল্পিত নহে, বা হুজুক নহে।বৈষ্ণব গুরু বৈদিক গুরু হতে স্বতন্ত্র পদার্থ।সম্প্রতি যে শাক্ত ও বৈষ্ণব গুরু বঙ্গদেশে দেখা যায়,ইঁনারা উভয়েই তান্ত্রিক-গুরু ; এবং উভয়ই শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আবির্ভাবের পূর্ব হতে প্রচলিত।*
*🍀বৈষ্ণব-ধর্মে জাতিবিচার অবশ্যই আছে, এবং মহাপ্রভুও তা মান‍্য করা চলেছেন--অন্ততঃ লোকশিাঁর জন্য। কিন্তু সর্ব বিষয়ে অন‍্য হিন্দুসম্প্রদায়ের উপর বর্ণাশ্রমধর্মের যেরকম অবিচলিত প্রভাব, বৈষ্ণবধর্মাবলম্বীর উপর তদ্রূপ না। যাঁরা পরমভগবৎভক্ত, যাঁরা চরিত্রগুণে নমস‍্য,যাঁরা সাধক ও সাধনাবলে অলৌকিক-শক্তি-সম্পন্ন,এরকম এরকম মাহাত্ম্যগণ--যে জাতিসম্ভূত হন না কেন,তাঁদের কাছে মন্ত্রগ্রহণে বৈষ্ণবধর্মে বাধা নাই।বৈষ্ণবগ্রন্থে ইহার দৃষ্টান্তের অভাব নাই। ইতি=শ্রীজগদ্বন্ধু ভদ্র।*
☆ ☆ ☆ ☆ ☆ ☆
*🌻শ্রীযুক্ত জগদ্বন্ধু ভদ্র মহাশয়ের পত্রখানি, প্রকাশিত হ'ল।পত্রখানি,তাঁর সরল অনুসন্ধানের নিদর্শন হলেও, আমাদের বিশ্বাস হয়,তাঁর মত পরমবৈষ্ণব ব‍্যক্তির এরকম প্রশ্নাবলী---বেশীভাগই প্রস্ফুটরূপে সত‍্যপ্রকাশ-কল্পনায়, কৌশলের সঙ্গে,প্রতিপক্ষভাবে লিখিত হয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল সমাজের তীক্ষ্ণ যুক্তি-জাল বিস্তার করেই তাঁদেরকে প্রকৃত সত‍্যতত্ত্ব বুঝান-- তাঁর উদ্দেশ্য কি না,জানি না ; তবে এ ক্ষেত্রে তিনি, "এক ঢিলে দুই পাখী মেরেছেন"। প্রথমে-- শ্রীযুক্ত শিশিরবাবুপ্রমুখ গৌরাঙ্গসমাজের দলকে দেখিয়েছেন--তাঁদের পক্ষ-সমর্থনে কতদূর সুতীক্ষ্ণ-যুক্তি-তর্ক অবলম্বিত হতে পারে ; দ্বিতীয়ত=শাস্ত্রজ্ঞানী পন্ডিতেরাই বা, সেই সব তর্ক, তন্নতন্নভাবে কিরকম উচ্ছেদ করতে পারেন। যেরকম উদ্দেশ্যই হোক, তাঁর প্রতিবাদের উত্তরগুলিও নিচে দেওয়া হল।*
            *🌻প্রতিবাদের উত্তর🌻*
              🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
*🍀ভদ্র-মহাশয়ের প্রতিবাদ-পত্রের প্রথম-অংশের অভিপ্রায় এই যে, "শ্রবণ-গুরু,দীক্ষা-গুরু ও ভজনশিক্ষা-গুরু, এই তিন প্রকার গুরুপর্য‍্যায়,বৈষ্ণব-শাস্ত্র বিহিত নহে ; অন্ততঃ কোন্ গ্রন্থে এইরকম পয‍্যায় নির্দিষ্ট আছে,তার প্রমাণ তিনি জানতে চান।*
*🍀এ বিষয়ে আমরা আর নতূন প্রমাণ কি দিব?প্রভুপাদ ও পন্ডিতগণই বহুপূর্বে এ প্রশ্নের মীমাংসা করে গিয়েছেন ঃ----*
*🍀পন্ডিত শ্রীযুক্ত মদনগোপাল গোস্বামী, রাধিকানাথ গোস্বামী, (ইনিই আবার "বিষ্ণুপ্রিয়া-পত্রিকার" সম্পাদক)।অদ্বৈতচাঁদ গোস্বামী,শান্তিপুর,উপেন্দ্রমোহন গোস্বামী,খড়দহ,নীলমণি গোস্বামী,বৃন্দাবন,মদনগোপাল গোস্বামী,বিষ্ণুচন্দ্র গোস্বামী,মাড়, বেণীমাধব গোস্বামী, বিজয়গোপাল মুখোপাধ‍্যায়,মালিপাড়া,অজিতনাথ ন‍্যায়রত্ন,নবদ্বীপ,(কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর সভাপন্ডিত) আনন্দগোপাল গোস্বামী,অম্বিকা, বিপিনবিহারী গোস্বামী, বাঘনাপাড়া ইত্যাদি।*
*🍀এই সকল শাস্ত্রতত্ত্ববিৎ পন্ডিতগণের সহায়তায় সম্পাদিত, "পল্লীবাসী"-সম্পাদক সুপ্রসিদ্ধ শশীভূষণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় দ্বারা প্রকাশিত "শ্রীচৈতন‍্যচরিতামৃত" গ্রন্থের প্রথমেই দেখুন,= মনুষ‍্য যখন জন্মগ্রহণ করে,তখন পশু হতে কিছুই প্রভেদ থাকে না ; পরে সদুপদেশ দ্বারা ক্রমশঃ বয়েস বাড়বার সঙ্গে মনুষ‍্যত্ব লাভ করে ; সেই উপদেষ্টা গুরু।শ্রবণ-গুরু,দীক্ষা-গুরু এবং ভজনশিক্ষাগুরু ভেদে তিন প্রকার।যদ‍্যপি গুরু একই পদার্থ,তথাপি কার্য‍্যভেদে তাঁরই তিন নাম।প্রথমে যাঁর কাছে ভগবৎ-মহিমা শুনে ভগবদ্ভজনে অভিলাষ হয়,তাঁকে শ্রবণগুরু বলে।ঐ শ্রবণগুরুর যদি দীক্ষাপ্রদানে "শাস্ত্রানুসারে" যোগ্যতা থাকে,তাঁরই কাছে দীক্ষিত হবে,অর্থ‍্যাৎ যদি ঐ শ্রবণগুরু ব্রাহ্মণ হন,তবে তাঁরই কাছে দীক্ষাগ্রহণ করবে।যেহেতু যোগ্য ব্রাহ্মণ পেলে ক্ষত্রিয়াদির কাছে দীক্ষাগ্রহণ করবে না, এবং উত্তমবর্ণ,হীনবর্ণের কাছে দীক্ষাগ্রহণ করবে না। "কিবা বিপ্র কিবা ন‍্যাসী শূদ্র কেনে নয়। যেই কৃষ্ণতত্ত্ব-বেত্তা সে-ই গুরু হয়।।" এ কথা শ্রবণগুরু সম্বন্ধে বলেছেন।হরিভক্তিবিলাসে এর বিশেষ বিবরণ আছে।অতএব শ্রবণ গুরুর যোগ্যতা না থাকলে সুতরাং অন‍্যের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করবে। দীক্ষাপ্রদান মাত্রই দীক্ষাগুরুর কার্য‍্য। যদি দীক্ষাগুরু অপ্রকট হন,তবে অগত‍্যা অন‍্যের কাছে ভজনশিক্ষা করতে হবে।যিনি ভজনশিক্ষা প্রদান করেন,তাঁকেই শিক্ষাগুরু বলে।এটিই রসামৃতসিন্ধুকার বলেছেন, "গুরুপাদাশ্রয়স্তস্মাৎ কৃষ্ণদীক্ষাদিশিক্ষণমিতি"। প্রথম গুরুর আশ্রয় গ্রহণ করে তত্ত্বকথা শুনবে।তদনন্তর তাঁরই কাছে দীক্ষা ও শিক্ষা গ্রহণ করবে। এর বিশেষ বিবরণ ভক্তিসন্দর্ভেও আছে। শ্রীশ্রীচৈতন‍্যচরিতামৃত ; প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠা।*
                   *ক্রমাগত*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙌🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী 🙇 শ্রীপাদ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীপ্রভু 🌷 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/iswarpuri2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৭)🙏শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী🙏*
              *সাধারণের মত*
. &&&&&&&&&&
*🍀দেশের সমগ্র পন্ডিতমন্ডলী একবাক‍্যে যে মত প্রকাশ করেছেন, "অনুসন্ধানের" দীনলেখক,তার প্রতিধ্বনি মাত্র প্রকাশ করে,সুপন্ডিত সূক্ষ্মদর্শী জগদ্বন্ধুবাবুকে কেন, বোধ হয়,কাউকেও "বিষম ধাঁধায়" ফেলেননি!সত‍্য--চিরদিনই সত‍্য ; এর আর "ধাঁধা" কি? হরিভক্তিবিলাস "প্রভৃতির" নাম করার প্রয়োজনও, এক উদ্ধৃতাংশের সপ্রমাণ হল না কি?*
*🍀শূদ্র হয়ে ব্রাহ্মণকে মন্ত্রদানের আকাঙ্ক্ষা --মহাপাতক ; সেটি মুখে আনলেও পাপ হয়।এ কথা,আগেও বলেছি।ভদ্র মহাশয়ের প্রতিবাদ পত্রের পর,আরও উচ্চকন্ঠে বলছি। মন্বাদিশাস্ত্রপরম্পরার যে মত-- বহুপূর্বে "অনুসন্ধানেই" প্রকাশিত হয়েছে ; অদ‍্য বৈষ্ণবদের পরম-মান‍্য "হরিভক্তিবিলাসের" মতও এ স্থলে উদ্ধৃত করছি ; দেখুন-- বৈষ্ণবশাস্ত্রই বা কি বলেন,----*
*🌻শ্রীনারদপঞ্চরাত্রে শ্রীভগবন্নারদসম্বাদে=*
*🌷ব্রাহ্মণঃ সর্ব্বকালজ্ঞ কুর্য‍্যাৎ সর্বেষ্বনুগ্রহং।।*
*🌷তদভাবাদ্দ্বিজশ্রেষ্ঠ!শান্তাত্মা ভগবন্ময়ঃ।*
*🌷ভাবিতাত্মা চ সর্বজ্ঞঃ শাস্ত্রজ্ঞঃ সৎক্রিয়াপরঃ।।*
*🌷সিদ্ধিত্রয়সমাযুক্ত আচার্য‍্যত্বেহভিষেচিতঃ।*
*🌷ক্ষত্র-বিট-শূদ্রজাতীনাং ক্ষত্রিয়োহনুগ্রহে ক্ষমঃ।।*
*🌷ক্ষত্রিয়স‍্যাপি চ গুরোরভাবাদীদৃশো যদি।*
*🌷বৈশ‍্যঃ স‍্যাত্তেন কার্য‍্যশ্চ দ্বয়ে নিত‍্যমনুগ্রহঃ।।*
*🌷সজাতীয়েন শূদ্রেন তাদৃশ‍েন মহামতে।*
*🌷অনুগ্রহাভিষেকৌ চ কার্য‍্যৌ শূদ্রস‍্য সর্বদা।।*৩৬*
*🌻কিঞ্চ====*
*🌷বর্ণোত্তমেহথ চ গুরৌ সতি বা বিশ্রুতেহপি চ।*
*🌷স্বদেশতোহথ বান‍্যত্র নেদং কার্য‍্যং শুভার্থিনা।।৩৭*
*🌷বিদ‍্যমানে তু যঃ কুর্য‍্যাৎ যত্র তত্র বিপর্য‍্যয়ং।*
*🌷তস‍্যেহামুত্র নাশঃ স‍্যাত্তস্মাচ্ছাস্ত্রোক্তমাচরেৎ।*
*🌷ক্ষত্র-বিট্-শূদ্রজাতীয়ঃ প্রাতিলোম‍্যং ন দীক্ষয়েৎ।।৩৮*
         *(হরিভক্তিবিলাসঃ,১ম বিলাস)*
*🌻বঙ্গানুবাদ=নারদপঞ্চরাত্রে ভগবন্নারদসম্বাদেও কথিত আছে যে,সর্বকালজ্ঞ (পঞ্চরাত্রবিধানোক্ত পঞ্চকালবিৎ) ব্রাহ্মণ যাবতীয় বর্ণের প্রতিই (মন্ত্রদানাদিরূপ)অনুগ্রহ প্রকাশ করবেন।হে দ্বিজসত্তম!তদভাবে শান্তাত্মা,ভগফন্ময়,ভাবিতাত্মা (বিশুদ্ধচিত্ত) সর্বপ্রকার দীক্ষাবিধানবিৎ,শাস্ত্রবেত্তা, সৎক্রিয়াপরায়ণ, সিদ্ধিত্রয়সমন্বিত (পুরশ্চরণাদির দ্বারা মন্ত্রসাধন গুরুসাধন ও দেবসাধন) ক্ষত্রিয়কে আচার্য‍‍্যত্বে অভিষিক্ত করবেন।ক্ষত্রিয় গুরু হলে তিনি ক্ষত্রিয়,বৈশ‍্য ও শূদ্র এই তিন জাতির প্রতি অনুগ্রহ করতে অর্থ‍্যাৎ মন্ত্রপ্রদানে সমর্থ হয়ে থাকেন।যদি ক্ষত্রিয়ের অভাব হয়,তাহলে সেইরকম গুণসম্পন্ন বৈশ‍্য,বৈশ‍্য ও শূদ্র এই জাতিদ্বয়ের প্রতি নিত‍্য অনুগ্রহ করবেন।হে মহামতে!ঐরকম গুণশালী শূদ্রও স্বজাতীয় শূদ্রের প্রতি মন্ত্রদানাদিরূপ অনুগ্রহ ও অভিষেক করতে পারেন (৩৬)।আরও লিখিত আছে যে,পূর্বকথিত গুণসম্পন্ন বর্ণশ্রেষ্ঠ গুরু,স্বদেশে কি অন‍্যদেশে বর্তমান থাকতে কল‍্যাণ-আকাঙ্ক্ষী হীনবর্ণ ব‍্যক্তি মন্ত্রদানাদিরূপ অনুগ্রহাদি করবে না।(৩৭)।বর্ণশ্রেষ্ঠ বতর্মানে যিনি যথাতথা সেটির বিপরীত-আচরণ করেন,তাঁর ঐহিক ও পারমার্থিক উভয় প্রকার অর্থের হানি হয়। অতএব শাস্ত্রোক্ত বিধির প্রতিপালন করাই বিধেয়। ক্ষত্রিয়,বৈশ‍্য ও শূদ্র এরা প্রতিলোম অনুসারে দীক্ষাপ্রদান করবে না অর্থ‍্যাৎ নিকৃষ্ট বর্ণ হয়ে উত্তম বর্ণকে দীক্ষিত করতে নাই।(৩৮)। কলিকাতা-- কালিকা প্রেস হতে শ্রীযুক্ত বাবু শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী কর্তৃক প্রকাশিত "শ্রীশ্রীহরিভক্তবিলাসঃ" প্রথম সংস্করণ,১০ম ও ১১ পৃষ্ঠা দেখুন।*
*🍀কেবল মন্ত্র দেওয়ার কথা কি? হরিভক্তিবিলাসে আরও আছে =*
*🌷বর্ণাশ্রমক্রিয়াতীতান্ দূরতঃ পরিবর্জ্জয়েৎ।*
      *(হরিভক্তিবিলাস,১১শ বিলাস,৪৩২ শ্লোক)*
*🌻অর্থ‍্যাৎ বর্ণোচিত এবং আশ্রমোচিত ক্রিয়াশূন‍্য ব‍্যক্তিদেরকে দূর হতেই পরিত‍্যাগ করবে।*
*🌹এর উপর কি আর কথা আছে? বর্ণাশ্রমধর্ম যারা না মানে,--দূর হতে তাদের পরিত‍্যাগ করবে, অর্থ‍্যাৎ তারা বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের বহির্ভূত ; এর উপর কি আর কথা আছে?*
*🔥তবে যদি কোথাও দেখেন, শূদ্র হয়েও ব্রাহ্মণকে মন্ত্রদান করে,নিশ্চয়ই তা "বেয়াদপি" নিশ্চয়ই তা "গোস্তাকি বা ঔদ্ধত‍্য" নিশ্চয়ই তা "অপ্রামাণিক" নিশ্চয়ই তা অবিসংবাদিত "অসত‍্য"।সে কথার আর,বেশী উত্তর কি দিব?সে উত্তর,একটু রূঢ় হলেও সত‍্যের অনুরোধে,পুনরুল্লেখ করতে হয়, অনেক কুলাঙ্গার,খৃষ্টান মুসলমান হয়েও তো কুলত‍্যাগ করছে ; দু'দশটা, অকালে কালগ্রাসেও তো পতিত হয়!অগত‍্যা এই মনে করেই, এ বিষয়ে মনকে প্রবোধ দিতে হয়!তার পর,যদি কোন ব্রাহ্মণ,শূদ্রের কাছে মন্ত্রগ্রহণ করে থাকেন,তিনি কি উচ্চ ব্রাহ্মণ বলে গণ‍্য?কখনই না।*
*🔴মহানির্বাণতন্ত্রের যে শ্লোকার্দ্ধ উদ্ধৃত করে দীক্ষা কার্য‍্যের উল্লেখ করা হয়েছে,তা অবান্তর কথা। জিজ্ঞাসা করি=তন্ত্রশাস্ত্রের মতেই কি বৈষ্ণব-ধর্ম চলে থাকে?মহানির্বাণতন্ত্র কি?বৈষ্ণবগণের প্রামাণিক গ্রন্থ?বৈষ্ণবেরা কি মহানির্বাণতন্ত্রকেই নিজেদের অনুশাসন-শাস্ত্র বলে মান‍্য করে আসছেন? না,আপাততঃ কার্য‍্যোধারের জন্য সেটিরই আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে? মহানির্বাণতন্ত্রের এ শ্লোকসম্বন্ধেও নানা মত আছে।সে সব কথার জায়গা না।সেটি বৈষ্ণবদের শাস্ত্র নয়,সেটির মত-ক্রমে বৈষ্ণবসমাজ কখনও পরিচালিত হয় না, এই উত্তরই, এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট বলে মনে করি।*
*🙏বৈষ্ণব গুরু বৈদিক গুরু হতে স্বতন্ত্র পদার্থ।এতে যেন বৈষ্ণবধর্মকে বৈদিকধর্ম হতে পৃথকভাবে গণ‍্য করা হয়েছে।এ বড় অদ্ভুত কথা!শাস্ত্রে আছে =*
*🌷বেদপ্রণিহিতো ধর্মঃ হ‍্যধর্মস্তদ্বিপর্য‍্যয়ঃ।*
*🌹বৈষ্ণব-ধর্ম কি,বেদ বহির্ভূত? কখনই না। বৈষ্ণবশাস্ত্রের সারভূত " শ্রীশ্রীচৈতন‍্যচরিতামৃত" গ্রন্থেও স্পষ্টত প্রকাশ,*
*🌷বেদ না মানিয়ে বৌদ্ধ হয় সে নাস্তিক।*
*🌻এছাড়াও আরও অনেক জায়গায়,শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী বেদের মহিমা স্বীকার করেছেন।ফলে বৈষ্ণবধর্ম,কোনমতেই অবৈদিক ধর্ম হতে পারে না।*
*🍀শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরী যে ব্রাহ্মণ ছিলেন-- প্রভুপাদ পন্ডিত শ্রীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়, বিশেষভাবে তা প্রমাণ করেছেন।তিনি যে শূদ্র ছিলেন,ভদ্র মহাশয় তার কোন প্রমাণ দিতে পারেননি।*
*🍀উপসংহারে ভদ্র মহাশয় যে লিখেছেন,বৈষ্ণবধর্মে জাতিবিচার অবশ্যই আছে, এবং মহাপ্রভুও তা মান‍্য করে চলেছেন,অন্ততঃ লোকশিক্ষার জন্য।এ তাঁর অতি উচ্চ কথা। শ্রীচৈতন‍্যের দাক্ষিণাত‍্য ভ্রমণ প্রসঙ্গেও আজ প্রায় চার বৎসর পূর্বে,ভদ্র মহাশয়,শ্রীচৈতন‍্যের জাতি-বিচারের প্রমাণ দিয়েছিলেন।সে কথাও,আমরা হাজারবার স্বীকার করি।আর এই জন্যই বলছিলাম এ ক্ষেত্রে,অতি সুকৌশলে,সার-সত‍্যের প্রচারেই তিনি সহায়তা করেছেন।ভদ্র মহাশয়ের জয় হোক।১১শ্রাবণ ১৩০৬ সাল।*
 *🌻এইখানেই বাদ-প্রতিবাদ রইল।*
💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧💧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝
    ꧁👇📖 সূচীপত্র ✍️ শ্রী জয়দেব দাঁ 📖👇



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️ 
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

  *••••┉❀꧁👇🏠Home Page🏠👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

     *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
   🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧







শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html