🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

৪৯. নিধুবনে কৃষ্ণকালী পর্যায় 🌷 গৌরচন্দ্রিকা 🌼 শ্রীকৃষ্ণ লীলা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/httpmrinmoynandy_28.html


  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
             ꧁ ৪৯. নিধুবনে কৃষ্ণকালী পর্যায় 
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
            ꧁ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
            ꧁ শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ꧂
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 
 *🌻নিধুবনে কৃষ্ণকালী পর্যায়, গৌরচন্দ্রিকা🌻*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*সুরধূনী তীরে এক,উপবন হেরইতে,*
     *রসময় গৌর কিশোর।*
*মাঝ দিনহি তঁহি,হোয়ল উপনীত,*
     *পূরবহি ভাবে বিভোর।।*
   *অপরূপ গৌরাঙ্গ বিলাস।*
*গদাধর মুখ হেরি,থির নয়ন করি,*
      *ছোড়ই দীর্ঘ নিশ্বাস।।*
*খেনে পুন কহই,গদাধর পানে চায়,*
      *অন্তরে না হবি তরাস।*
*দশনে চাপি রসনা,নয়ন খর তাড়ই,*
     *খিল খিল অট্ট অট্ট হাস।।*
*চতুর ভকতগণ,পুনঃপুনঃ পুছই,*
      *কিয়ে ভেল আজুক বাত।*
*শ্রীচৈতন‍্য দাস,মরম নাহি সমুঝিয়ে,*
      *রোয়ত শিরে দেহ হাত।।*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
      *অপরূপ গৌরাঙ্গ বিলাস।*
*অদ‍্য ভাবনিধি গৌরসুন্দর সম্বন্ধে সামান্য কিছু কথা আলোচনা করব।* *কেন না,এই দয়ালঠাকুর, প্রেমের ঠাকুর আমাদের এই মানব জনমের সার্থকতা এনেছেন।* 
*যদি গৌর না হইত,কিমেনে হইত,*
      *কেমনে ধরিতাম দে।*
*রাধার মহিমা,প্রেমরস সীমা,*
     *জগতে জানাত কে।।*
*ব‍্যপদেশে (সূত্র,ছল বা আছিলায়)বলা হয়েছে শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীমন্মহাপ্রভুর রূপ ধারণ করে প্রেমভক্তি প্রবর্তিত করেছেন,* *শ্রীমন্নিত‍্যানন্দ প্রভুর দ্বারা গৌড়দেশে এবং শ্রীরূপ-সনাতনাদি দ্বারা বৃন্দাবনাদি পশ্চিমাঞ্চলস্থ স্থানসমূহে প্রেমভক্তি প্রচার করাবার এবং শ্রীরূপ-সনাতনাদি দ্বারা বৃন্দাবনের লুপ্ততীর্থ উদ্ধার,বিগ্রহ সেবা প্রচার,বহু বেষ্ণবগ্রন্থ প্রণয়ন করাবার বন্দোবস্ত করেছেন।* *আর প্রতি বৎসর রথযাত্রা উপলক্ষ্যে গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ নীলাচলে আসিলে তাঁদের সঙ্গে নৃত‍্যকীর্তন ও শ্রীকৃষ্ণকথা প্রসঙ্গে অতিবাহিত করেছেন।* *১৮হতে৪৫ পয়ারে শেষ ১২ বৎসরের লীলার পরিচয় দেওয়া হয়েছে।* *এই ১২ বৎসরকাল মহাপ্রভু বেশী সময় রাধাভাবে ভাবিত হয়ে মহাপ্রভুর কেবল শ্রীকৃষ্ণবিরহ স্ফূর্তিতে অতিবাহিত করেছেন।* *এই সময়কালে মহাপ্রভুর বাহ‍্যস্ফূর্তি প্রায় ছিল না বললেও বোধহয় অত‍্যু্যুক্তি (অতিরঞ্জিত বা বাড়িয়ে বলা)হবে না।* *মহাপ্রভুর অবতারের দু'টি উদ্দেশ্য,প্রথমতঃ জগতে প্রেমভক্তি প্রচার,দ্বিতীয়তঃ আশ্রয়রূপে প্রেমভক্তির আস্বাদন।*
*মহাপ্রভুর সন্ন‍্যাসের চব্বিশ বৎসরের লীলা আলোচনা করলে বুঝা যায়,দু'টি উদ্দেশ্যই সিদ্ধির পথে ক্রমশঃ অতি দ্রুতবেগে উৎকর্ষ লাভ করেছে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যেই (বার বৎসরের মধ্যেই ) সিদ্ধির চরমসীমায় উপনীত হয়েছে।* *প্রথম ছয় বৎসর (মধ‍্যলীলা)মহাপ্রভু নিজে নানা জায়গায় গিয়ে উপদেশাদি এবং স্বীয় আচরণের দ্বারা প্রেমভক্তি প্রচার করেছেন, এবং এই প্রচার উপলক্ষ্যে নিজে ভক্তভাবে প্রেমভক্তির আস্বাদনও করেছেন।* *দ্বিতীয় ছয় বৎসরে মহাপ্রভু কোথাও যান নাই,নীলাচলে থেকেই আদেশ,উপদেশ ও আচরণের দ্বারা,অন‍্যত্র প্রচারক পাঠিয়ে প্রেমভক্তি প্রচার করেছেন।* *শেষ বারবৎসর আদেশ-উপদেশাদি বিশেষ নেই,প্রেমভক্তি হৃদয়ে আবির্ভূত হলে,ভক্তের বাহ‍্য অনুষ্ঠানে, এমনকি প্রচারের বাসনা ও চেষ্টা পর্যন্ত কি রকম ভাবে অন্তর্হিত হয়ে যায়,প্রেমভক্তির গাঢ়তমরসের নিবিড়তম আস্বাদনে ভক্ত কি রকম বিভোর হয়ে থাকেন,* *প্রেমভক্তির প্রভাবে ভক্তের মনে ও দেহে কত কত অত‍্যদ্ভুত বিকার আপনা-আপনি উদ্ভুত(উৎপন্ন)হয়ে,গজযুদ্ধে ইক্ষুবনের মত ভক্তের দেহমনকে কিভাবে বিদলিত (সম্পূন্ন পরাজিত) করে থাকে,মহাপ্রভু শেষ দ্বাদশ বৎসরে তাহাই জীবকে দেখালেন।* *এবং তাদের দ্বারাই মহাপ্রভু প্রেমভক্তির প্রতি আপামর সাধারণের চিত্তকে আকৃষ্ট করলেন।* *মধ‍্যলীলার প্রথম ছয় বৎসর মহাপ্রভুর প্রেমভক্তির আস্বাদন ইতস্ততঃ(এদিক ওদিক) গমনাগমন,আদেশ,উপদেশ ও বিচারাদি দ্বারা (লৌকিক দৃষ্টিতে)বিশেষরূপে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বলেই মনে হয়।* *দ্বিতীয় ছয় বৎসরে ইতস্ততঃ গমনাগমন না থাকায় আস্বাদনের বিঘ্ন অনেক পরিমাণে তিরোহিত(না থাকার মতই) হয়েছে বটে।*

 *গদাধর মুখ হেরি,থির নয়ন করি,*
      *ছোড়ই দীর্ঘ নিশ্বাস।*
*🌻সুরধূনীর তীরের পাশে উপবনে প্রবেশ করে মহাপ্রভুর মধ্যে আর শচীনন্দন নহে,তিনি যশোদা নন্দনে পরিণত হয়েছেন।* *আর গদাধরকে দর্শন করে সেই ব্রজের ভাবে বিভাবিত হয়েছেন,রাধাই গদা।* *শ্রীকৃষ্ণের শক্তি সংখ‍্যায় অনন্ত।এই অনন্তশক্তির মধ্যে তিনটি প্রধান =চিচ্ছক্তি,মায়াশক্তি ও জীবশক্তি।* *চিচ্ছক্তির অপর নাম অন্তরঙ্গা শক্তি,মায়াশক্তির অপর নাম বহিরঙ্গা শক্তি,এবং জীবশক্তির অপর নাম তটস্থাশক্তি।* *শ্রীকৃষ্ণের স্বরূপ সৎ,চিৎ ও আনন্দময়।* *সুতরাং এই তিন অংশের সংশ্রবে তাঁর স্বরূপশক্তিও তিনরূপে প্রকাশ পান।* *(আনন্দাংশে হ্লাদিনী,সদংশে সন্ধিনী।* *চিদংশে সংবিৎ যারে "জ্ঞান"করি মানি।।)*স্বরূপ শক্তির* *তিন রকমের অভিব‍্যক্তির কথা বলা হয়েছে।* *তাদের নাম হ্লাদিনী,সন্ধিনী ও সংবিৎ।* *সচ্চিদানন্দ-পূর্ণ শ্রীকৃষ্ণের সৎ-অংশের শক্তির নাম সন্ধিনী অর্থ‍্যাৎ শ্রীকৃষ্ণের চিচ্ছক্তি যখন তাঁর সৎ-এর দিক দিয়া প্রকাশ হয়,সত্তা সম্বন্ধনীয় ব‍্যাপারে আত্মপ্রকাশ করে,* *তখন তাকে বলে সন্ধিনী শক্তি।* *শ্রীকৃষ্ণের চিৎ-অংশের শক্তির নাম সংবিৎ, শ্রীকৃষ্ণের চিচ্ছক্তি যখন তাঁর চিৎ এর দিক দিয়া প্রকাশ হয়,চিৎ সম্বন্ধনীয় ব‍্যাপারে আত্মপ্রকাশ করে,তখন তাহাকে সংবিৎশক্তি বলে।* *আর তাঁর আনন্দাংশের নাম হ্লাদিনী,অর্থ‍্যাৎ চিচ্ছক্তি যখন আনন্দের দিক দিয়া প্রকাশ হয়,আনন্দ সম্বন্ধনীয় ব‍্যাপারে আত্মপ্রকাশ করে তখন তাকে হ্লাদিনী শক্তি বলে।* *যে শক্তি শ্রীকৃষ্ণকে আনন্দ দেন,তাঁর নাম হ্লাদিনী।* *এই হ্লাদিনীর সার প্রেম,প্রেমের সার মহাভাব,সুতরাং যে পরমাশক্তি সচ্চিদানন্দমময় এবং শৃঙ্গার রসরাজময় মূর্তিধর শ্রীকৃষ্ণকে ঐ শৃঙ্গার-রসানন্দ অনুভব করান।* *তিনিই এই মহাভাব স্বরূপা মহাভাবের মূর্তরূপ রাধা।* *তাই আজ গদাধরকে দেখে সেই রাধার কথা মনে পড়েছে।* *মহাপ্রভু নিজেকে স্থির করে গদাধরকে দর্শন করে যেন দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লেন।*গদারূপী রাধাকে দর্শন করে আনন্দের সীমা নাই।*
*আখর=আনন্দের সীমা নাই,গদাধরকে দর্শন করে,আনন্দের সীমা নাই।* *আমার,ভাবনিধি গোরাচাঁদের, আনন্দের সীমা নাই।*
*গদাধর মুখ হেরি,থির নয়ন করি,*
        *ছোড়ই দীর্ঘ নিশ্বাস।*
*কিন্তু সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হয়নি।* *প্রচারকদের প্রতি ও সমাগত ভক্তবৃন্দের প্রতি আদেশ- উপদেশাদি ও আস্বাদনের কিছু বিঘ্ন হয়েছিল বলেই মনে হয়।* *শেষ দ্বাদশ বৎসর ইতস্ততঃ গমনাগমন নাই,* *প্রচারকদের প্রতি আদেশ উপদেশের হাঙ্গামা নাই,গমনাগমন নাই,আছে কেবল প্রেমভক্তির আস্বাদনের নিরবচ্ছিন্ন সুযোগ,আর নিরবচ্ছিন্ন আস্বাদন,* *এই সময়ে অন্তরঙ্গ ভক্তদের সঙ্গে যে আলাপ আচরণ,তাহাও আস্বাদনের বৈচিত্রীবিশেষ,এই আলাপ আচরণ আস্বাদনীয় বিষয় হতে মনকে অপসারিত করতেন না,* *বরং আস্বাদনীয় রসের সমুদ্রে প্রবল তরঙ্গেই উত্থাপিত করত মাত্র।* *এইরকমভাবে প্রেমভক্তির আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে আস্বাদনের মধুরতা,গাঢ়তা ও সর্ব বিস্মারকতা কি ভাবে উৎকর্ষ লাভ করে;মহাপ্রভু স্বীয় লীলায় তাহাই দেখিয়ে গেলেন।* *অপরূপ গৌরাঙ্গ বিলাস।* *নিজে আচরণ করে ভক্তদের শেখালেন।*
*🌼 পদে ফিরে আসি🌼*
*সুরধূনী তীরে এক,উপবন হেরইতে,*
      *রসময় গৌর কিশোর।*
*মাঝ দিনহি তহিঁ,হোয়ল উপনীত,*
     *পূরবহি ভাবে বিভোর।।*
*🌻অদ‍্য শ্রীবাস অঙ্গনে ভক্তসঙ্গে দ্বিপ্রহরে না-সংকীর্তন নহে,শ্রীকৃষ্ণকথা রসাস্বাদন চলছে,শ্রীমনমহাপ্রভু নিজ ভঙ্গী দ্বারা অর্থ‍্যাৎ উর্ধনয়ন রসাস্বাদনে ভরপুর অবস্থা।* *এই কৃষ্ণকথা রসাস্বাদনের মাঝে ভাবনিধি গৌরসুন্দর শ্রীবাস অঙ্গন ত‍্যাগ করে সুরধূনীর তীরে এসে,* *তীর ধরে যেতে যেতে একটি উপবন দেখতে পেয়ে মুখে কি যেন বিড় বিড় শব্দ করতে করতে সেই উপবনের মধ্যে প্রবেশ করলেন।* *কোন সময়? না,মধ‍্যাহ্ন সময়ে।* *বনে প্রবেশ করে এদিক ওদিক দেখতে লাগলেন, কারো সঙ্গে কোন কথা বলছেন না।* *মহাপ্রভুর এই আচরণদেখে সঙ্গের ভক্তগণ বা পার্ষদগণ চমকিত হলেন,কি বিষয়বস্তু বুঝতে পারলেন না।*
*সঙ্গে আছেন গদাধর,নরহরি,শ্রবাসাদি অন‍্যান‍্য অন্তরঙ্গ পার্ষদগণ।* *তবে মহাপ্রভুর ভাবটি আজ একেবারেই অন‍্য রকম,যেন মনে হচ্ছে তিনি আর মহাপ্রভু নহেন,তাহলে কি মনে হল?* *হ‍্যাঁ,ব্রজের কেহ।* *এই ভাবটি আজ মহাপ্রভুর এসেছে।*
*কৈছন রাধা প্রেমা,কৈছন মধুরিমা,*
     *কৈছন সুখে তিঁহো ভোর।*
*এ তিন বাঞ্চিত ধন,ব্রজে নহিল পূরণ,*
      *কি করিয়ে না পাইয়া ওর।।*
*ভাবিয়া দেখিনু মনে,শ্রীরাধার স্বরূপ বিনে,*
     *এ বাসনা পূর্ণ কভু নয়।*
*রাধা-ভাব কান্তি ধরি,রাধা-প্রেম গুরু করি,*
     *নদীয়াতে করল উদয়।।*
*আখর=বিভাবিত হ'তে হবে, আশ্রয়-জাতীয় ভাবে, বিভাবিত হ'তে হবে।* *মহাভাব স্বরূপিনীর ভাবে,(আমায়)বিভাবিত হ'তে হবে।*
*খেনে পুন কহই,গদাধর পানে চায়,*
     *অন্তরে না হবি তরাস।*
*দশনে চাপি রসনা,নয়ন খর তাড়ই,*
     *খিলখিল অট্টঅট্ট হাস।।*
*চতুর ভকতগণে,পুনঃপুনঃ পুছই,*
      *কিয়ে ভেল আজুক বাত।*
*শ্রীচৈতন‍্য দাস,মরম নাহি সমুঝিয়ে,*
     *রোয়ত শিরে দেহ হাত।।*
*🌻শ্রীমন্মহাপ্রভু উপবনে প্রবেশ করিয়া পূরবের ভাবে এমনভাবে বিভাবিত হয়েছেন সেই উপবনকে নিধুবন মনে করিয়া সেই ব্রজলীলার স্মরণ হয়েছে,কোন লীলা?হ‍্যাঁ,সেই মধ‍্যাহ্নলীলা নিধুবনে কৃষ্ণকালী।* *মহাপ্রভুর মধ্যে আর বাহ্রজ্ঞান নেই,তিনি ব্রজভাবে বিভাবিত।* *হঠাৎ যেন তিনি রূপ পরিবর্তনে এলেন,আর বারংবার গদাধরের মুখপানে চাহিছেন আর বলছেন,* *তোমরা কেহ ভয় পেও না,সকলেই আমার কাছে থেক।* *বলেই যেন তিনি অট্টহাসি দিলেন।*
*দশনে চাপি রসনা,নয়ন খর তাড়ই,*
     *খিলখিল অট্টঅট্ট হাস।*
*এবারে বাহ‍্যজ্ঞানহীন মহাপ্রভু অন‍্যরূপে প্রকট হলেন,দশনে অর্থ‍্যাৎ দন্ত বা দাঁত,রসনা অর্থ‍্যাৎ জিহ্বা,মহাপ্রভু মা কালীর রূপ ধারণ করলেন।* *মা কালী যেমন জিহ্বা বের করে থাকেন তেমন রূপ।* *সকল ভক্তগণ বলছেন,আজ মহাপ্রভুর কোন ভাব কিছুই বুঝতে পারছি না,আজ যে কেন এমন হল?* *পদকর্তা শ্রীচৈতন‍্য দাস বলছেন,আমিও আজকের এই লীলা মর্ম কিছুই বুঝতে পারলাম না বলিয়া তিনি মাথায় হাত দিয়ে রোদন করছেন।*
*শ্রীচৈতন‍্য দাস,মরম নাহি সমুঝিয়ে,*
     *রোয়ত শিরে দেহ হাত।।*
*🌻গৌরচন্দ্রিকা এখানেই রইল🌻*

*🌻নিধুবনে কৃষ্ণকালী ব্রজলীলা🌻*
*অদ‍্য শ্রীগোবিন্দ প্রাতঃকালে সখাসঙ্গে গোচারণে গেলেন বটে,মনে বড় দুঃখ রয়েগেল।* *কেন?তিনি প্রত‍্যহ যাবটের পথ দিয়েই গোচারণে যান,আজও গেলেন,* *যে উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া তা পূরণ হল না।*অপরদিকে গোবিন্দ দর্শন না পেয়ে রাধারাণী নিজ কক্ষে ক্রন্দন করছেন,কেন?এমন এক বাস করি তা বলবার নয়,* *জটিলা কুটিলা এঁরা কৃষ্ণ বাদী, কৃষ্ণবাদিনীর ঘরে কি মনের আশা পূর্ণ হয়।* *রাধা যখন ক্রন্দন করছিলেন তখন সখিগণ রাধার কাছে বললেন তোর কি হয়েছে যে তুই অমন করে কাঁদছিস?* *আমাদের বল?* *ওরে সখীগণ!প্রাতে যদি আমার প্রাণবল্লভের বদন দর্শন হয়,তাহলে সারাদিন আমার আনন্দে কাটে,কিন্তু---,* *ও বুঝে গেছি সখীগণ বললেন।* *কোন চিন্তা করিস না আমরা কোন একটি ব‍্যবস্থা নিব।* *অপরদিকে গোবিন্দের আর গোচারণ ভূমিতে থাকতে মন চাইছে না,* *সুবলের সঙ্গে যুক্তি করে দাদা বলরামকে বললেন,দাদা!আমি আর সুবল বন ভ্রমণ করব,তুমি কিছুক্ষণ দেখ,* *বলেই বন ভ্রমণ করতে করতে নিধুবনে এলেন।* *নিধুবনে মনে আনন্দ ধরে না।* *নিধুবনে বসে,*
*🌻রাধা রাধা বলি পূরিল বেণু।*
*শুনি ধ্বনি ধনি অবশ তনু।।*
*বংশীধ্বনি শ্রবণ করে পুন রোদন করতে লাগলেন,রোদন অবস্থায় রাধা সখিদের বললেন,বল সখি এখন আমি কি করব?* *কেমন করে আমার প্রাণবঁধূকে দর্শন করব?* *🌻সখীগণ কহে শুনহ রাই।* *দেবতা পূজিতে চলহ যাই।।* *এবারে সখীদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে শাশুড়ী জটিলাকে বললেন,মা আমার মনে একটি বাসনা জেগেছে,* *আপনার পুত্রের কল‍্যাণের জন্য আমি কালীমাতার পূজো করব,যদি অনুমতি দেন।* *জটিলা ভাবলেন,আয়ান যে মাকে পূজন করে, বৌমাও সেই ইচ্ছে হয়েছে, বৌমার সুমতি ঘটেছে, এই কথা মনে করে জটিলা অনুমতি দিলেন।* *কিন্তু ঘরে আরেকজন আছে কুটিলা আড়াল থেকে সব কথা শুনে মনে মনে বলছে "কালী পূজা করবে না কালুয়ার পূজা করবে?*
*মনে সন্দের দানা, মাকে আড়াল থেকে বলছে-------------*
*🌻প্রথম পদ🌻*
    *মাগো তোর বৌ বড় সতী।*
*তাই সে বনে,কালার সনে,*
      *থাকে দিবারাতি।*
*কথায়=মন কি বসে গৃহবাসে,*
         *সার করেছে পীতবাসে,*
         *কালো রূপ সে ভালবাসে,*
       *চাই না সোনারপতি।।*
*🌻মা তোর মন খুব উদার বলে তোর বৌমাকে পূজো করবার অনুমতি দিলি,* *কিন্তু আমার মন অন‍্য কথা বলছে,তোর বৌমার মধ্যে নিশ্চয়ই কোন কিন্তু আছে।*
*মা---ঐ----যে কালা ছোড়ার সঙ্গে বনে দেখা করবার জন্য ছলা করছে।* *মা------আমার মন বলছে।* *তোর সতী বৌয়ের ঘরে মন বসে না,আমার দাদার মত পতি,তোর সতী বৌয়ের পছন্দ না মা,আর তুই অনুমতি দিলি?*
*আখর=স্বভাব ভাল না,তোর সতী বৌয়ের,স্বভাব ভাল না।* 
*তাই সে বনে,কালার সনে,থাকে দিবারাতি।।*
*রাধার চরিত হেরে,আগে বলেছিলাম তোরে,*
*দেখবি একদিন বৌয়ের তরে হবে অখ‍্যাতি।*
*আয়ান দাদা ঘরে এলে,সকল কথা বলবি তারে,*
*পীতাম্বর কহে ছাড়িস নারে কৃষ্ণপদে মতি।।*
*🌼মা,ওমা!সেদিনের কথা মনে নাই তোর?* *তোর বৌয়ের চরিত আমার খুব ভালো জানা আছে,*
*দেখিস মা,একদিন এমন হবে যে,*
*তোর সতী বৌয়ের জন্য আমাদের নাক,কান কাটা যাবে,চারিদিকে অখ‍্যাতি ছড়াবে।*( *মা জটিলা* *মনে* *মনে বলছেন,ওরে কুটিলা,তুই যে কত বড় সতী আমার জানা আছে,তুই* *যেখানে যেখানে যাবি,আর কিছু হোক আর না হোক আমার নাক,কান কাটা যাবে।)* *কুটিলা বলছে দাদা ঘরে ফিরুক আমি সব কথা বলব,* *পদকর্তা পীতাম্বর বলছেন, কুটিলা,যাঁরা শ্রীকৃষ্ণপদে সর্বস‍্য দান করেছেন,তাঁদের কোন ভয় নেই গো।*

*🌻কুটিলা তার দাদাকে বলছে🌻* *🌼🌼দ্বিতীয় পদ🌼🌼*
*ওগো দাদা---------বলব কি তোরে।*
*শ্রীরাধার গুণের কথা জানে ব্রজপুরে।।*
*সকাল বেলা জলকে গেলে,*
*ঘরকে আসে সন্ধ‍্যেবেলে,*
*দাঁড়িয়ে থাকে কদমতলে,*
*কালায় দেখবার তরে।।*
*বাঁশীর সাড়া পেলে পরে,*
*)আর কি রাইকে রাখে ঘরে,*
*গৃহ কার্য‍্য ফেলি দূরে,*
*বনে গমন করে।*
*শ‍্যামের প্রেমে আছে বাঁধা,*
*মানে না সে কারো বাধা,*
*কালো ছোড়ার সঙ্গে দাদা কাননে বিহরে।।*
*চল দাদা আমার সনে,*
*দেখাইব নিধুবন,*
*পীতাম্বর বলে নিষ্ঠামনে ভজ বংশীধরে।।*
*🌻কথায় আছে,যার যেমন ভাব,তার তেমন লাভ,তাইনা?*
*তার নামটি কুটিলা,তার ভাবটিও কুটিল।* *তাই তার ভাবনায় যা এসেছে তাই বলছে।*
*ওগো দাদা!বলব কি তোরে।*
*শ্রীরাধার গুণের কথা জানে ব্রজপুরে।।*
*🌻সৎসঙ্গে স্বর্গ বাস,অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।* *কুটিলা নিজ মত তার দাদার কাছে প্রকাশ করেছে।* *শ্রীরাধার গুণের কথা কুটিল ভাবনা দ্বারা দর্শন না করে যদি সরল,ভক্তিমতি দ্বারা দর্শন করত,*
*তাহলে তার কূচিন্তন,কূভাবনা তার হৃদয়ে বাসা বাঁধত না।* *তাই বলেছে,যার যেমন ভাব,তার তেমন লাভ।* *শ্রীরাধার শ্রীচরণ পাবার আশায় কত সাধু,বৈষ্ণব,মুনি,ঋষি জন্ম জন্মান্তর তপ করে চলেছেন,আর কুটিলা,* *জয় শ্রীরাধে! মুনি ঋষিগণের আর যাইহোক ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষতাঁরা চান না,এই চতুবর্গ তাঁরা তুচ্ছ মনে করেন।* *একমাত্র কামনা, যুগলচরণ সেবা।* *বর্তমানে কত বড় বড় কোটিপতি জনেরা সর্বস‍্য ত‍্যাগ করে শ্রীরাধার শ্রীচরণ পাবার আশায় শ্রীবৃন্দাবনে জয়রাধে শ্রীরাধে বলে সামান্য জীবনযাপন করছেন।* *যার যেমন ভাব,তার তেমন লাভ।* *( বাকী কথা আপনারা বলবেন পদের।)*
*^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^*
*🌻নিধুবনে কুঞ্জের ভিতরে রাধা-গোবিন্দ বসে আছেন।* *আর কৃষ্ণ সখা সুবল বাহিরে ঘোরাফেরা করছেন,এমন সময় দেখা গেল আয়ান ঘোষ ও কুটিলা নিধুবনের দিকে আসতে দেখে সুবল,* *কৃষ্ণকে বললেন,ঐ দেখা যায় আয়ান ও কুটিলা আসছে,সখা সাবধান।* *কৃষ্ণ মনে ভাবলেন আয়ান তো কালী ভক্ত,* *তাই কৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ নিজ রূপ আবরণ করে কালীরূপ ধারণ করলেন।* 
*কৃষ্ণ কালী হলেন নিধুবনে।*
*বিপিন হল আলো রূপের কিরণে।।*
*চতুর্ভূজা এলোকেশী,দিগম্বরী করে অসি,*
  *লোলজিহ্বা অট্টহাসি করাল বদনে।*
*শিরেতে কীরিট শোভা,প্রভাকর জিনি প্রভা,*
  *মুন্ডমালা গলে দুলিছে সঘনে।।*
*কালীর চরণতলে,রক্তজবা বিল্বদলে,*
   *পূজে রাধা কুতূহলে অভয়ার চরণে।*
*আয়ান আসিয়া দেখে,রাধিকা পূজে কালিকাকে,*
   *অঙ্গপূর্ণ হয় পুলকে লোটায় ধরাসনে।।*
*কৃষ্ণকালীর পদকমল,দাস পীতাম্বর সাধে কেবল,*
 *দুরন্ত কৃতান্ত কবল এড়াতে নিদানে।।*
*🌻আয়ান নিজ নয়নে তার ইষ্টদেবীকে দর্শন করে ও রাধিকাকে কালীপূজো করতে দেখে অত‍্যন্ত মুগ্ধ হলেন,এবং কালিকার চরণতলে সাষ্টাঙ্গে লুটিয়ে পড়লেন।* *তার পর তার বোন কুটিলাকে বলছেন।*
    *কি কথা কহিলি ঘরে।*
*রাধা কালার সনে,দিবানিশি ভ্রমে বনে,*
       *পরিচয় দিলি মোরে।।*
*দেখাব বলিয়ে,সঙ্গে এলি ধেয়ে,*
       *লয়ে যত সকলেরে।*
*কৈ কালা কালী হেরি,*
*অসি ধরা নহে বংশীধারী,*
*দিগম্বরী বিরাজ করে।।*
*আমার রাধিকা,পূজিছে অম্বিকা,*
      *কলঙ্কিনী বলিস তারে।*
*চেয়ে দ‍্যাখ মায়ের আগে,*
*বসে আছে সমাধি যোগে,*
*বাহ‍্য জ্ঞান গেছে দূরে।।*
*শ্রীরাধার গুণে,হেরিলাম নয়নে,*
      *ভয়হারা অভয়ারে।*
*ভজ কৃষ্ণ কালী,কালের মুখে কালি,*
      *নিয়ে যাবে ভবপারে।।*
*🌻আয়ান সমস্ত কিছু নিজ নয়নে দেখে,রাধার প্রতি বিশ্বাস বেড়ে গেল।* *সঙ্গে মা ও বোনকে ভৎর্সনা করতে লাগলেন,আয়ানের কথা সহ‍্য করতে না পেরে,নিজেরা ভুল প্রমাণিত হল জেনে চুপকরে নিধুবন হতে পলায়ন করল।* *আর আয়ান,*
   *জয় জয় জগৎ জননী।*
*যম ভয়হর মা ত্রিগুণধারিণী।।*
*ভৈরব ভবানী ভীমা,অন্নদা অম্বিকা উমা,*
 *শিব সীমান্তিনী শ‍্যামা শ্মশান বাসিনী।*
*বিশ্বরূপা বিশ্বেদরী,পরমা পরমেশ্বরী,*
   *দেবারাধ‍্য দিগম্বরী দনুজ-দলনী।।*
*আদ‍্যাশক্তি মহামায়া,কে বুঝে গো তব মায়া,*
   *নিজগুণে কর দয়া করালবদনী*
*কৃষ্ণকালীর যুগল চরণ,*
*দাস পীতাম্বর করে সাধন,*
*ভব-ভয়করবে তারণ তারা ত্রিনয়নী।।*
*🌻আয়ান কৃষ্ণকালীর সামনে বসে মায়ের স্তব করতে লাগলেন।*
*🌻 বলছেন🌻* *ওহে আয়ান কি কব তোমারে।*
*তব তুল‍্য ভাগ‍্যবান কে আছে সংসারে।।*
*হেন রমণী ধনে,পেয়েছ বহু সাধনে,*
     *তুমি ধন‍্য এ ভূবন ভিতরে।*
*না বুঝিয়া তব তত্ত্ব,অপবাদ দিয়েছি কত,*
   *অপরাধে মুক্ত কর আমা সবাকারে।।*
  *কার্য‍্য দেখে গেল জানা,*
  *রাধার গুণের নাই তুলনা,*
*পীতাম্বর বলে সাধন বিনা না পাবি রাধারে।।*
*^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^*
*আয়ান পূর্ব জন্মে কে ছিলেন?*
*কি এমন কর্ম করেছিলেন যে রাধারাণীকে পত্নীরূপে পেয়েছিলেন?*
*🌻পূর্বে আয়ান বা অভিমন‍্যু ছিলেন এক ব্রাহ্মণ নন্দন,তাঁর নাম ছিল সৌম‍্যমুনি।* *এই মুনির নাম আমি ভক্তের নিকট পেয়েছি,শোনা কথা।* *সেই মুনি মনে মনে সঙ্কল্প করলেন যে,আমি বিষ্ণুর আরাধনা করে তাঁকে তুষ্ট করে,তাঁর কাছ হতে তাঁর জায়া (পত্নী)কে লাভ করব।* *তিনি উৎকট তপ শুরু করলেন,গ্রীষ্মকালে অগ্নি প্রজ্বলিত করে অর্থ‍্যাৎ গোলাকার অগ্নিকুন্ডর মধ‍্যে বসে তপ করতে লাগলেন।*
*শীতকালে হিমসরোবরে দাঁড়িয়ে তপ করতে লাগলেন।* *এইভাবে সহস্র বছর তপ করতে করতে প্রায় অন্তকাল এলো।* *শ্রীবিষ্ণু আর থাকতে পারলেন না,এসে বললেন তোমার তপে তুষ্ট হয়েছি বর চাহ?*
*বিষ্ণু বলে বর মাগো বিপ্র মহাশয়*
*চক্ষু মেলি দেখে তবে বিপ্রের তনয়।।*
*🌻তারপর বিপ্রপুত্র সৌম‍্য নারায়ণকে দেখে প্রণাম করে স্তব স্তুতি করলেন,* *বললেন আমার জীবন সফল,আমি শ্রীহরির দরশন পেলাম।* *শ্রীহরি বললেন আর বিলম্ব কেন বর মাগো?* *তখন সৌম‍্য বললেন----------*
*বর যদি দিবে গো মোরে কৃপাবান হৈয়া।*
*বর দেহ তব প্রিয়া হোক মোর জায়া।।*
*🌻তখন শ্রীহরি বললেন,ইহা ছাড়া অন‍্য বর চাহ,এই বর সম্ভব নহে।*
*এইকথা বলে শ্রীহরি অন্তর্ধান হলেন।কাল প্রাপ্তে দ্বিজের পতন হল।* *পুনঃ বিপ্রকূলে জন্মিলেন ও শিশুকাল হতে তপস‍্যা শুরু করলেন।* *পুনঃ শ্রীহরি এসে বললেন আমি তোমার তপে তুষ্ট বর চাও।* *বিপ্র বললেন-----*
*তুষ্ট হৈয়া মোরে দেহ এই বর।*
*বিপ্র বলে লক্ষ্মী মোরে দেহ গদাধর।।*
*প্রভু কহে যাহ বিপ্র দিনু ঐ বর।*
*ব্রজপুরে গোপকুলে জন্মিবে সত্বর।।*
*আমি হব অবতার হেতু ব্রজলীলা*
*ভানু পুত্রী তব জায়া হৈবে কমলা।।* *🌻ভানু পুত্রী বলিতে বৃষভানু কন‍্যা।* *বর দিয়া শ্রীহরি বৈকুন্ঠে গমন করলেন,এবং কমলাকে সকল কথা বললেন।* *সকল কথা শুদে কমলা চরম ক্রোধান্বিত হলেন ও রোদন করতে লাগলেন।* *তারপর হরি ধড়ার অঞ্চল দিয়ে কমলার নেত্রজল মুছিয়ে বললেন,*
*প্রেয়সী তুমি কোন চিন্তা কোরো না,* *আয়ানজায়া হবে বটে,কিন্তু গোপনে ফৃন্দাবনে গিয়ে কেবল তোমার সঙ্গে বিহার করব।* *প্রেয়সী তুমি তো জানো,আমি ভক্তবৎসল,ভক্তের ভক্তি ও নয়নজল দেখলে তাদের মনোবাঞ্জা পূরণ করি।* *এইভাবে কমলাকে প্রবোধ দিলেন।* *আরো বললেন,ডাকার মত করে যদি কেহ ডাকে আমি স্থির হয়ে থাকতে পারি না।* *তৎক্ষণাৎ আমায় ভক্তের নিকট ছুটে যেতে হয়।* *এসব কথা শোনার পর কমলা বললেন-----*
*ভক্তবাঞ্জা পূরাইলে দিলে তারে বর।*
*আমি শাপ দিব তারে শোন গদাধর।।*
*তোমার চরণ বিনে অন‍্য নাহি জানি।*
*তব বাক্য হেতু হব তাঁহার রমণী।।*
*তার সহ কভু মোর না হবে দর্শন।*
*ক্লীব হয়ে জনমিবে সেই তো ব্রাহ্মণ।।*
*🌻কমলা আরো বললেন,তার ঘরে যাব বটে,কিন্তু বৃন্দাবনে তব সনে বিহার করব।* 
*লক্ষ্মী শাপে অভিমন‍্যু ক্লীবত্ব পাইল।*
*শুনি নারায়ণ বড় সন্তুষ্ট হইল।।*
*🌻নিধুবনে কৃষ্ণকালী এখানেই রইল। ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয়।🌻*
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
👇👇👇এই লিখনী 📚 PDF 📚 ক্লিক করুন 👇👇👇
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧               
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧






শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html