🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

তত্ব কথন ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🌹 JOYDEB DAWN 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/blog-post_85.html

  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                           ꧁ তত্ব কথন 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
  🏠Home Page🏠⬇️⬇️🙏⬇️⬇️📚PDF গ্রন্থ📚
꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*🌻নলকূবর ও মণিগ্রীবকে ধনমদে মত্ত হয়ে অসৎকার্য‍্যে রত হতে দেখে দেবর্ষি নারদ ধনমদের দোষ কীর্তনে রত হয়ে বললেন=ধনমদে জীবের যেমন বুদ্ধিভ্রংশ হয় এবং চিত্তের অযথা চাঞ্চল‍্য উপস্থিত করে, এমন আর কিছুতেই হয় না।ধনমদ,সৎকুলে জন্মজনিত মদ ও বিদ‍্যামদ ভেদে মদ তিন প্রকার। "বিদ‍্যামদো ধনমদস্তথা চাভিজনো মদঃ।মদা এতৈরলিপ্তানাং ত এব চ সতাং দমাঃ"।।(বৈষ্ণবতোষণী ধৃতং প্রাচীনবাক‍্যং)। অর্থ‍্যাৎ বিদ‍্যা,ধন এবং উচ্চকুলে জন্ম এই ত্রিবিধ ভাবে মদ(দম্ভ বা অহঙ্কার)সঞ্চার হয়ে থাকে।কোনও ব‍্যক্তি যদি এই ত্রিবিধ(তিন প্রকার) মদে লিপ্ত না হয়ে থাকতে পারে,তাহলে এই ত্রিবিধ মদ বিপরীত হয়ে তার কাছে দমরূপে (ইন্দ্রিয় সংযম)আত্মপ্রকাশ করে।*
*🌻বিদ‍্যালাভ করে যদি কেউ "আমি বিদ্বান" বলে গর্বিত হয়,তাহলে সে বিদ‍্যাগর্বে অন্ধ হয়ে পড়ে ; কিন্তু কোনও ভাগ‍্যবশে যাকে এই গর্ব স্পর্শ করতে না পারে,তার বিদ‍্যা দমরূপে পরিণত হয়।দম শব্দের অর্থ ইন্দ্রিয় সংযম। (শমো মন্নিষ্ঠতা বুদ্ধের্দম ইন্দ্রিয়সংযমঃ)।শ্রীমদ্ভাগবতে একাদশ  স্কন্ধে ভগবান উদ্ধবকে বলেছেন, আমাতে বুদ্ধি স্থাপন করার নাম শম এবং বিষয় হতে ইন্দ্রিয়ের নিগ্রহ করার নাম দম। বিদ্বান্ ব‍্যক্তি যদি বিদ‍্যাগর্বে গর্বিত না হন,তাহলে সেই বিদ‍্যাবলে বিষয়ভোগবাসনা তিরোহিত হয়।তাঁদের সর্বদাই মনে হয় যে,আমি এত শাস্ত্রপাঠ করেও শাস্ত্র প্রতিপাদ‍্য শ্রীগোবিন্দচরণ ভজন না করে পশুর মতো বিষয়ভোগে রত হব? ধিক্ ধিক্!শত ধিক্ আমাকে!আমি বিদ‍্যাবলে হরিভজনের তত্ত্ব ও প্রণালী জেনে তাতেই আত্মনিয়োগ করে দুর্লভ মানব জনম সফল করব।যার বিদ‍্যালাভ করে বিদ‍্যাগর্ব উপস্থিত হয়,সে তার বিদ‍্যাবলে নানাবিধ বিষয়ভোগের উপায় নির্ধারণ করে তাতেই রত হয়ে যায়,বিদ‍্যাবলে বিদ‍্যাহীনকে প্রতারিত করে আত্মপোষণ করে, ইত‍্যাদি প্রকার বহুবিধ দোষে বিদ‍্যাগর্বান্বিত ব‍্যক্তিগণ একেবারে পশুতুল‍্য হয়ে পড়ে।ধনবান ব‍্যক্তিরও যদি ধনগর্ব উপস্থিত হয়,তাহলে তারা ধনবলে নির্ধন ব‍্যক্তিগণকে পীড়ন করে এবং ধনবলে নানাপ্রকার বিষয়ভোগে রত হয়ে মানব জীবনের লক্ষ্য হতে ভ্রষ্ট হয়ে পড়ে।কিন্তু কোনও ভাগ‍্যবলে যদি ধনবান ব‍্যক্তিগণ ধনগর্বহীন হতে পারেন,তাহলে তাঁদের ধন দ্বারা জগতের প্রচুর কল‍্যাণ সাধন হয়,তাঁদের ধনে অনেক গরীব প্রতিপালিত হয়,তাঁদের ধনে দেশে অনেক সদ্ অনুষ্ঠান হয়,তাঁদের ধনে দেবসেবা ও দেবোৎসবাদির অনুষ্ঠান হয়ে দেশে নিরন্তর আনন্দের স্রোত বহে যায়।উচ্চকুলে জন্মগ্রহণ করে যদি কেউ কুলগর্বে গর্বিত হন,তাহলে তিনি সেই গর্বে বশীভূত হয়ে নানা কুকর্মচারণ লজ্জিত হতে চাই না।উচ্চকুলের জন্মের অভিমান নিয়ে তিনি নীচকুলে জাত ব‍্যক্তিগণকে অবজ্ঞা করে,এইভাব তার সবসময় হলে অধঃপাত হয়। কিন্তু যদি কোনও ভাগ‍্যবলে উচ্চকুল জাত ব‍্যক্তির কুলগর্ব না থাকে,তাহলে তাঁর কখনও কোনও কুকর্মে প্রবৃত্তি জন্মাতে পারে না।কেননা,কুকর্মে মন গেলেই তাঁর মনে হয় যে,আমি এমন উচ্চকুলে জন্ম নিয়ে নীচকর্ম করব?কুলগর্ব না থাকলে উচ্চকুলে জাত ব‍্যক্তিগণ নীচকুলের জাত ব‍্যক্তিগণের সাহায্য ও সহানুভূতি পেয়ে পরম সুখে জীবন যাপন করতে পারেন।এইজন‍্য এই তিনটিকে যথাযথ ব‍্যবহার করা উচিত।*
*🙏জয় নিতাই গৌর হরিবোল🙏*

*যাইহোক,বিদ‍্যামদ,ধনমদ ও কুলমদ এই তিন মদেই জগতের জীবকে একেবারে পশুতুল‍্য করে ফেলে।এই তিনপ্রকার মদের মধ্যে "ধনমদই" সর্বপ্রধান।ধনমদ যেমন জীবের অনিষ্ট করে,সেইরকম আর কোন মদই করতে পারে না।ধনহীন ব‍্যক্তির বিদ‍্যা থাকলেও ধনহীনতার জন্য তর বিদ‍্যাগর্ব আসতে পারে না।ধনহীন ব‍্যক্তি যদি উচ্চকুলেও জন্মগ্রহণ করে,তাহলে কুলগর্ব বিসর্জন দিয়ে নীচসেবা করতে বাধ‍্য হয়, সুতরাং ধনমদই সকল মদের পোষণকর্তা।ধনবলে মূর্খও বিদ‍্যাভিমানী হয়,ধনবলে নীচকুলজাত ব‍্যক্তিও উচ্চকুলজাত ব‍্যক্তির অবজ্ঞা ও অনাদর করতে সমর্থ হয়।ধনবল হতে না পারে এমন কোনও কুকর্ম বোধহয় এখনও বিধাতা পুরুষ সৃষ্টি করতে পারেননি।জগতে এ পর্যন্ত যত কিছু কুকর্ম হয়েছে,তা সমস্তই একমাত্র ধনগর্বের পরিণাম।কিন্তু ধনহীন ব‍্যক্তির কোনও কুপ্রবৃত্তিও থাকে তাহলে তা ধনাভাবে ফলবতী হতে পারে না।ধনগর্বিত ব‍্যক্তির শত সহস্র সৎপ্রবৃত্তি থাকলেও তা ক্রমশ কুপ্রবৃত্তি ও কুপ্রক্রিয়ায় পরিণত হয়ে যায়।ধনগর্বের মত মানবের চিরশত্রু আর দ্বিতীয় নাই। ভগবানের কি ইচ্ছে,তা কেউ বলতে পারে?এই সর্বানর্থনিদান ধনপ্রাপ্তির জন‍্যই জগতের সমস্ত প্রায় মানব সর্বদাই লালায়িত।পরস্ত্রীসঙ্গ,পাশাক্রীড়াদি ব‍্যসন এবং মদ‍্যপানাদি ধনগর্বিত ব‍্যক্তিরই নিত‍্যসহচর।ধনহীন ব‍্যক্তির এই সমস্ত কুবাসনা থাকলেও তারা ধনাভাবে তা চরিতার্থ করতে পারে না।বারবিলাসিনী,জুয়াখেলা প্রভৃতি নীচকর্ম এবং মদ‍্যপান কেবলমাত্র ধনগর্বিত ব‍্যক্তিগণের জন‍্যই সৃষ্টি হয়েছে।ধনহীনের এতে কোনই অধিকার নাই।*
*(আরো বহু কিছু আছে,থাক এখানে।)*

*🌻ব্রহ্মা,শিব,লক্ষ্মী এবং চতুঃসন (সনক,সনন্দন,সনৎকুমার ও সনাতন ব্রহ্মার এই চারজন মানস পুত্রের মিলিত নাম চতুঃসন)জগতে ভক্তিভাব এবং ভক্তি-সাধনার প্রবর্তক।তাঁরা ভক্তির আচরণ করে জগতে ভক্তি প্রচার করেছিলেন, সুতরাং ভক্তগুরু ও ভক্তিপ্রবর্তকরূপে  তাঁদের চরণাশ্রয় করে তাঁদের আচরিত ভক্তিপথে অগ্রসর হওয়াই ভক্তিসাধক ব‍্যক্তিগণের কর্তব‍্য।তাঁদের স্বরূপ নিয়ে কলহ সৃষ্টি করা এবং ছোট বড় কল্পনা করে অনাদর কিংবা অবজ্ঞা করা ভক্তিসাধকের পক্ষে শ্রেয়স্কর নহে।💧সম্প্রদায়বিহীনা যে মন্ত্রাস্তে নিস্ফলা মতাঃ।অতঃ কলৌ ভবিষ‍্যন্তি চত্বারঃ সম্প্রদায়িনঃ।।শ্রীরুদ্র-সনকাঃ বৈষ্ণবাঃ ক্ষিতিপাবনাঃ।রামানুজং শ্রীঃ স্বীচক্রে মাধ্বাচার্য‍্যং চতুর্মুখঃ। শ্রীবিষ্ণুস্বামিনঃ রুদ্রো নিম্বাদিত‍্যং চতুঃসনঃ।।(প্রমেয়-রত্নাবল‍্যাদি-বহুগ্রন্থধৃত-বচনম্)।অর্থ‍্যাৎ=যে সমস্ত মন্ত্রের সম্প্রদায় নাই অর্থ‍্যাৎ গুরুপরম্পরা ক্রম জানতে পারা যায় না,সে সমস্ত মন্ত্র জপ করে কেউই সিদ্ধিলাভ করতে পারে না।সে সমস্ত মন্ত্র জপে কোন প্রকার প্রাকৃত তুচ্ছশক্তি লাভ হতে দেখা গেলেও তাতে শ্রীগোবিন্দ চরণ প্রাপ্তি হয় না।অতএব ভগবানের কৃপায় কলিযুগে "শ্রী","রুদ্র","ব্রহ্মা" এবং "সনক" এই চারজন ভুবনপাবন বৈষ্ণবচূড়ামণি হতে ""চারটি"" সম্প্রদায় প্রবর্তিত হবে। শ্রীনারায়ণ-প্রেয়সী লক্ষ্মী, রামানুজাচার্য‍্যকে শিষ‍্যরূপে গ্রহণ করে তাঁর দ্বারা ""শ্রী"" সম্প্রদায় প্রবর্তন করেছেন। ভগবানের নাভিকমলজাত এবং সর্ববেদ-পুরাণাদির আদি বক্তা ব্রহ্মা, মাধ্বাচার্য‍্যকে শিষ‍্যরূপে গ্রহণ করে তাঁর দ্বারা ব্রহ্ম-সম্প্রদায় বা মাধ্ব-সম্প্রদায় প্রবতান করেছেন। ভগবানের অভিন্ন মূর্তি শিব,বিষ্ণুস্বামীকে শিষ‍্যরূপে গ্রহণ করে জগতে বিষ্ণুস্বামী সম্প্রদায় প্রবর্তন করেছেন।(এই সম্প্রদায় সম্প্রতি বল্লভাচার্য‍্য সম্প্রদায় নামে বিখ‍্যাত।)চতুঃসন নিম্বাদিতাকে (ইঁহার  নামান্তর নিম্বাক)শিষ‍্যরূপে গ্রহণ করে জগতে চতুঃসন-সম্প্রদায় কিংবা নিম্বাক-সম্প্রদায় প্রবর্তন করেছেন। লক্ষ্মী,শিব,ব্রহ্মা এবং চতুঃসন প্রবর্তিত ভক্তি-সম্প্রদায়ের সাধকগণ লক্ষ্মী,শিব,ব্রহ্মা এবং চতুঃসনকে গুরুপরম্পরায় প্রথম স্থান দিয়ে গুরুরূপে তাঁদের শ্রীচরণে শরণাপন্ন হয়ে তাঁদেরই উপদিষ্ট(উপদেশ প্রাপ্ত) মন্ত্রে ভগবানের আরাধনা করে থাকেন।এই সমস্ত সম্প্রদায়ের বৈষ্ণবগণ লক্ষ্মী,শিব,ব্রহ্মা এবং চতুঃসনের স্বরূপ বিচার করে তাঁদেরকে আদি গুরুরূপেই গ্রহণ করে থাকেন। সুতরাং এতে ছোট বড় বিচার কিংবা স্বরূপ বিচারের কোনই অবসর নেই।(☘অনাদিজন্মসঞ্চিত অভিমানের মহাধনী জীবগণ নিজ উপাস‍্য দেবতা নিয়ে অভিমান দেখাতেই ভালবাসে, কিন্তু সাধনপথে কতদূর অগ্রসর হলাম বা এগোলাম তা একবার ভেবেও দেখে না,কাজেই ইষ্টকলহই তাদের একমাত্র সম্বল।☘*
*🌻ব্রহ্মা,শিব,লক্ষ্মী,অনন্তদেব,সঙ্কর্ষণ প্রভৃতি ভগবানের অনেক মূর্তিই আছেন,যাঁরা ভগবানের সঙ্গে স্বরূপতঃ অভিন্ন হয়েও ভক্তভাব পোষণ এবং ভক্তভাব আচরণ করে ভক্তভাবেরই ঘোষণা করে থাকেন। কিন্তু শ্রীমদ্ভাগবতে "নেমং বিরিঞ্চো ন ভবো ন শ্রীরপ‍্যঙ্গসংশ্রয়া" "যান্ ব্রহ্মেশৌ রমা দেবী দধুমুর্ধন‍্যঘনুত্তয়ে" "শিব বিরিঞ্চিনূতংশরণ‍্যং" প্রভৃতি সমস্ত শ্লোকেই কেবলমাত্র ব্রহ্মা,শিব এবং লক্ষ্মীরই নামোল্লেখ করা হয়।এর কারণ অনুসন্ধান করলে মনে হয় যে, ব্রহ্মা,শিব ও লক্ষ্মীই জগতে শুদ্ধ ভক্তির প্রচার করেছেন ; সঙ্কর্ষণ,অনন্তদেব প্রভৃতি স্বয়ং ভক্তভাবে ভাবিত হলেও জগতে তাঁদের প্রবর্তিত কোন প্রকার শুদ্ধ-ভক্তি-সম্প্রদায় নাই ; এইজন‍্য শ্রীমদ্ভাগবত,জাগতিক ভক্তগণের কাছে ভক্তিমাহাত্ম‍্য প্রকাশ করতে গিয়ে কেবলমাত্র তাঁদের গুরুবর্গেরই নাম উল্লেখ করেছেন, এবং ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে,জাগতিক ভক্তগণ কৃষ্ণকৃপা কিংবা কৃষ্ণ-প্রেমলাভের অভিমানে স্ফীত নন,কেননা তাঁদের গুরুবর্গ ব্রহ্মা,শিব এবং লক্ষ্মীও আজ পর্যন্ত তাঁর অনুসন্ধান পান নাই।সাধক ভক্তগণের সাধনাই একমাত্র কর্তব‍্য,কৃষ্ণকৃপা কিংবা কৃষ্ণপ্রেম লাভের অভিমান তাঁদের সাধনপথের প্রবল অন্তরায়।*
*🌻তৃতীয় খন্ড,৬৮৭ পৃষ্ঠা🌻*
               ক্রমশ
*🌻ব্রজের তথ‍্য কথন🌻*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🌻ব্রজগোপ-গোপীগণের সমস্ত মনপ্রাণ শ্রীকৃষ্ণে সমর্পিত,সেই ভগবদগতচিত্ত পরম কৃষ্ণপ্রেমী ব্রজগোপগোপীগণের আবার কর্তব‍্যের বন্ধনই বা কি,অথবা "ঋণ'ই বা কি"? তাই শ্রীমদ্ভাগবতেও বলা হয়েছে -------*
*দেবর্ষিভূতাপ্তণাং পিতৃনাং ন কিঙ্করো নায়মৃণী চ রাজন্।*
*সর্বাত্মনা যঃ শরণং গতো মুকুন্দং পরিহ‍্যত‍্য কর্তম্।।*
                   *(ভাগবত=১১|৫|৪১)*
*অর্থ‍্যাৎ যে ব‍্যক্তি আপন স্বতন্ত্র কর্তৃত্ববুদ্ধি ত‍্যাগ করে সর্বতোভাবে সকলের আশ্রয় ভগবান মুকুন্দের শরণ গ্রহণ করেন,তিনি দেবতা,ঋষি, ভূতগণ বা প্রাণীগণ,মনুষ‍্যগণ বা পিতৃগণ কারও কাছে ঋণী থাকেন না, বা কারও কিঙ্কর বা ভৃত‍্য থাকেন না।(কারও কাছে তার কোন প্রকার কর্তব‍্যের বাধ‍্য-বাধকতাও থাকে না।*

*"যৎ করোষি যদশ্নাসি যজ্জুহোষি দদাসি যৎ।*
*যৎ তপস‍্যসি কৌন্তেয় তৎ কুরুষ্ব মদর্পণম্।।*
                        *(গীতা=৯|২৭)*
*🌻হে কৌন্তেয়!তুমি যে কোন কর্ম কর,যাহা কিছু ভোজন কর,যাহা কিছু হবন বা হোম কর,যাহা কিছু দান কর,যাহা কিছু তপস‍্যা কর,তৎসমস্তই আমাকেই অর্পণ কর।*
*••••••••••মৎ কর্ম পরমো ভব।*
*•••••••মদর্থমপি কর্মাণি কুর্বন্ সিদ্ধিমবাপ্স‍্যসি।।*
                       *(গীতা=১২|২০)*
*🌻তুমি কেবল আমারই প্রীতি বা সেবার জন্য আচরণ কর।কেবল আমারই জন্য কর্ম করলেও তুমি সিদ্ধিলাভ করতে পারবে।*
*"চেতসা সর্বকর্মাণি ময়ি সংন‍্যস‍্য মৎপরঃ।*
*বুদ্ধিযোগমুপাশ্রিত‍্য মচ্চিত্তঃ সততং ভব।।*
                      .*(গীতা=১৮|৫৭)*
*"মচ্চিত্তঃ সর্বদূর্গাণি মৎপ্রাসাদাৎতরিষ‍্যসি।।*
                        *(১৮|৫৮)*
*🌻একনিষ্ঠ বুদ্ধির দ্বারা সমস্ত কর্ম আমাতে অর্পণ করতঃ (করে) আমাকে আশ্রয় করে আমাতেই আত্মবুদ্ধি ও মদীয়ত্ত্ব বুদ্ধি স্থাপনপূর্বক সর্বদা আমাতেই চিত্তের সমাধান কর।এইরূপে আমাতে চিত্ত সন্নিবিষ্ট করলে আমার কৃপায় সমস্ত দুঃখ অতিক্রম করবে।*
*"সর্বধর্মান পরিত‍্যজ‍্য মামেকং শরণং ব্রজ।*
                             *(গীতা=১৮|৬৬)*
*🌻সকল প্রকার ধমাধর্মের বিচার পরিত‍্যাগ করে তুমি আমার শরণ গ্রহণ কর।*

 *🌻শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম সুদামা নামক এক মালাকারের গৃহে গমন করলেন।তাঁদেরকে দেখামাত্র ভক্ত সুদামা তৎক্ষণাৎ তাঁদের শ্রীচরণে পড়ে প্রণাম করল এবং ভক্তিপূর্বক তাঁদেরকে পাদ‍্য-অর্ঘ‍্য-পুষ্প-চন্দনাদির দ্বারা অর্চনা করল।অর্চনা করবার পর অত‍্যন্ত দৈন‍্যের সঙ্গে তাঁদের স্তুতিকরতে লাগল।সুদামা বলতে লাগল, হে প্রভো!আমি শুনেছি এবং নিশ্চিতরূপেই জানি যে আপনারা স্বয়ং ভগবান,আপনারা ভক্তগণের প্রতি অনুগ্রহ করবার জন্য তাদেরকে অধিকার অনুসারে ভোগ ও মোক্ষ দিবার জন্য এবং জগতের কল‍্যাণের জন্য আপনারা স্বীয়-সঙ্কল্পবশে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন।আপনারা যে নিজগুণে কৃপা করে আমার এই দীন গৃহে আগমন করেছেন তাতে এবং সাক্ষাৎ আপনাকে দর্শন করে আমার জন্ম আজ সার্থক হল।আপনাদের শুভ পদার্পণে আমার পিতৃপুরুষগণ, এবং আমার সম্বন্ধীয় আমার বংশের অতীত ও ভবিষ্যৎ সকল পুরুষই পবিত্র হলেন ও হবেন।নিত‍্যপূজ‍্য পিতৃগণ এর দ্বারা পরম প্রীত হলেন,এবং তৎসম্বন্ধীয় আমার সমস্ত কৃত‍্যাদি কর্মও আজ সমাপ্ত হল,আমি কৃতকৃত‍্য হলাম।দেবগণ ও ঋষিগণও এতে আমার উপর তুষ্ট হলেন।আপনারা আপনাদের ভজনকারী ভক্তদের প্রতি অনুগ্রহ করলেও আপনারা সর্বত্র ও সর্বপ্রাণীতে সমদৃষ্টিসম্পন্ন।আপনারাই সকলেরই সম্পদ,আপনারা জগতের আত্মা,তাই এসেছেন কৃপা করে এই দরিদ্রের ঘরে।কারণ আপনারা দীনবন্ধু,দীনবৎসল। আমি আপনার ভক্ত হতে পারিনি,আমি আপনাদের ভৃত‍্যমাত্র।আপনাদের কি প্রিয় কার্য‍্য সাধন করব?আদেশ করুন।আপনাদের আদেশই আমার উপর মহান্ অনুগ্রহ।🌻এই প্রসঙ্গে শ্রীভগবদ গীতার উক্তি, ভগবান বলেছেন=*
*সমোহহং সর্বভূতেষু ন মে দ্বেষ‍্যোহন্তি ন প্রিয়ঃ।*
*যে ভজন্তি তু মাং ভক্ত‍্যা ময়ি তে তেষু চাপ‍্যহম্।।*
                                *(গীতা=৯|২৯)*
*🌻অর্থ‍্যাৎ আমি সর্বভূতেই সমভাবাপন্ন,আমি কাউকেও দ্বেষ করি না,আমার প্রিয়ও কেউ নাই। পরন্তু যাঁরা আমাকে ভক্তির সহিত ভজন করেন,তাঁরা অনুভব করেন যে তাঁরা আমাতে আছেন এবং আমিও তাঁদের মধ্যেই আছি।(আমার সঙ্গে তাদের পার্থক‍্যবুদ্ধি থাকে না )।* *ভক্ত সুদামা ভগবান কৃষ্ণ ও বলরামের স্তুতিনতি করে আনন্দ চিত্তে উত্তম সুগন্ধি পুষ্মমালা তৈরী করে সুন্দর ভাবে সাজালেন।মালায় সুশোভিত হয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হয়ে ভক্ত সুদামাকে বর দিতে চাইলেন।সুদামা বর চাইলেন, "আমার যের শ্রীকৃষ্ণে অচলাভক্তি,আর ভগবদ্ ভক্তগণের প্রতি মৈত্রী এবং সর্ব প্রাণীর প্রতি দয়া। ভক্তবৎসল দীনবন্ধু শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হয়ে সুদামাকে প্রার্থিত বর দান করলেন, এবং সুদামা না চাইলেও তাঁকে আরও দিলেন,"বংশগতভাবে শ্রী,ঐশ্বর্য‍্য,বল,আয়ু,যশ ও কান্তি। অর্থ‍্যাৎ ভগবান মালাকার সুদামাকে ভুক্তি,মুক্তি,প্রেম-ভক্তি সমস্তই দিলেন।কারণ সুদামা ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের প্রণত,শরণাগত।প্রণত,শরণাগত ভক্তকে ভক্তিবদ্ধ ও ভক্তবৎসল ভগবান,(প্রসন্ন হয়ে নিজের আত্মাকেও দান করে থাকেন) "যৈঃ প্রসন্নঃ প্রপন্নায় দাসত‍্যাত্মানমপ‍্যজঃ", ভাগবত=১১|২|৩১।*


শ্রীকৃষ্ণের মুরলী রব শ্রবণ করিয়া দেব রমণীদের কি অবস্থা হয়।কৃষ্ণের বেণুনাদ শুনিয়া স্বর্গের দেবীগণ স্ব স্ব পতিসহ বিমানে বৃন্দাবনের আকাশে উপস্থিত হন। তারপর যখন বেণুর স্বরলহরী বিশ্বজগৎ মাতাইয়া বায়ুমন্ডলের স্তরে স্তরে নাচিতে নাচিতে তাঁহাদের কানের ভিতর দিয়া
মর্মে প্রবেশ করে, তখন তাঁহারা কামবিবশা হইয়া সংবিৎহারা অবস্থায় নিজ নিজ স্বামীর ক্রোড়ে ঢলিয়া পড়েন।আলুলায়িত কবরীর ফুলগুলো বৃন্দাবনে পুষ্পবৃষ্টির মত পড়তে থাকে।যাঁরা দূর হতে বাঁশী শোনেন তাঁদের ত এই অবস্থা। যাঁরা নিকটে আসিয়া অসমোর্ধ মাধুর্য‍্যখনি
কৃষ্ণশ‍্যামল তনুখানি দরশন করেন  তাঁহারা কিরূপ আত্মহারা হন, তাহা বর্ণনাতীত।
যে রূপের এক কোণ, ডুবায় সব ত্রিভুবন,
সর্ব প্রাণী করে আকর্ষণ।
বিশ্বে যত সৌন্দর্য আছে, সকল মিলিয়া কৃষ্ণের সৌন্দর্য - মহাসাগরের
একটি বিন্দু। কৃষ্ণের নবকিশোর নটবর গোপবেশ বেণুকর মূর্তিখানি যে দেখে সে-ই মোহিত হয়।শুনেছি গোবিন্দ নাকি নিজেও বিস্মিত হন।
রূপ দেখি আপনার,
কৃষ্ণের হয় চমৎকার,
আস্বাদিতে মনে উঠে কাম।
কৃষ্ণের রূপের মোহিনী শক্তিতে গবাদি পশুগণ তৃণভক্ষণ ত‍্যাগ করে, 
পক্ষীগণ নয়ন মুদিয়া ধ‍্যানীযোগীর মত বৃক্ষশাখায় নীরবে বসিয়া থাকে।
হরিণ হরিণী বন ছাড়িয়া কৃষ্ণের অনুগমন করে।বাঁশীর তানে যমুনা স্থির হয়, গোবর্ধন শিলা গলিয়া যায়, শুষ্কতরু পল্লবিত হয়। যখন আমরা তোমার রূপ দেখি, তখন ভাবি, সমস্ত 
ইন্দ্রিয়গুলো কেন চক্ষু হইল না। যখন বাঁশী শুনি, তখন ভাবি, সব ইন্দ্রিয়গুলো কান হলে ধন‍্য হতাম।
*🌻শ্রীমদ্ভাগবত ভগবদতার মহর্ষি শ্রীকৃষ্ণদ্বৈপায়ন প্রণীত।দ্বাপরযুগের অন্তিম সময়ে প্রায় পাঁচ হাজার বৎসর পূর্বে এই মহাগ্রন্থ প্রকাশিত।এইরকম তথ‍্যে গন্ট পেয়ে আধুনিক জন অবিশ্বাস পোষণ করেন।শ্রীমদ্ভাগবতের প্রণেতার ও প্রণয়ন সময়ের নির্ণয়ে তারা নানারকম শঙ্কা ও মনোমত বক্তব‍্য উপস্থাপিত করে ;  এই সব শঙ্কার ও বক্তব‍্যের উৎপত্তিস্থল পাশ্চাত‍্য পন্ডিত পুঙ্গবকুল ও তাদের পদসেবি ভারতীয় শিষ‍্যদল।এদের মধ্যে বেশীসংখ‍্যকের বক্তব‍্য শ্রীমদ্ভাগবত বোপদেব পন্ডিত কর্তৃক এয়োদশ খৃষ্টাব্দে রচিত।কেউ কেউ বলে শ্রীমদ্ভাগবত আরও পরের সময়ের গ্রন্থ।যারা ঘুমন্ত অবস্থায় অভিনয়রত এই সব ব‍্যক্তিদের কর্ণমূলে কয়েকটি কথা বলছি। ইতিহাসবেত্তা নির্ণয় করেছেন যে,বোপদেব এয়োদশ খৃষ্টাব্দের লোক।দেবগিরির যাদববংশীয় রাজা "মহাদেব" ১২৬০ খৃষ্টাব্দ হতে ১২৭১ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। ১২৭১ খৃষ্টাব্দ হতে ১৩০৯ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত রামচন্দ্র রাজত্ব করেছিলেন।এই উভয় নরপতির মন্ত্রী ও কার্য‍্যাধ‍্যক্ষ ছিলেন হিমাদ্রি।এই হিমাদ্রির প্রসন্দতার জন্য বোপদেব অনেক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।বোপদেব ব‍্যাকরণে দশটি,বৈদ‍্যশাস্ত্রে নয়টি,তিথি নির্ণয়ে একটি,সাহিত‍্যে তিনটি ও ভাগবততত্ত্ব বিষয়ে তিনটি এই ছাব্বিশটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।ভাগবততত্ত্ববিষয়ে রচিত তিনটি গ্রন্থের নাম=পরমহংসপ্রিয়া,হরিলীলামৃত ও মুক্তাফল।হরিলীলামৃত ও মুক্তাফল গ্রন্থ মুদ্রিত হয়েছে।হরিলীলামৃতের অপর নাম ভাগবতানুক্রমণিকা। হিমাদ্রি স্বয়ং মুক্তাফল গ্রন্থের টীকায় বোপদেব রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ও নাম লিখেছেন।শ্রীমদ্ভাগবতের মত বিশাল মহান্ গ্রন্থ যদি বোপদেব রচিত হত, হিমাদ্রি বোপদেবের অন‍্যান‍্য গ্রন্থের সঙ্গে অবশ্যই শ্রীমদ্ভাগবতের নাম উল্লেখ করতেন।হিমাদ্রি ধর্মশাস্ত্রবিষয়ে "চতুর্বর্গচিন্তামণি" নামক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।ধর্মনির্ণয়ে ঋষিবাক‍্যই গৃহীত হয়।শ্রীমদ্ভাগবত বোপদেব রচিত হলে হিমাদ্রির প্রসন্নতা সাধনে গ্রন্থ প্রণেতা বোপদেবের কথা বাড়তি হত না। শ্রীমদ্ভাগবত বোপদেব রচিত হলে বোপদেবের পূর্ববর্তী শ্রীমদাচার্য‍্য আনন্দতীর্থ বা পূর্ণপ্রজ্ঞ শ্রীমদ্ভাগবতের টীকাকার হতেন না।এই পূর্ণপ্রজ্ঞ আনন্দতীর্থ শ্রীমধ্ব‍্যচার্য‍্য নামে বিখ‍্যাত।ইনি ১১৯৯ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।বোপদেব মধ্বাচার্য‍্যের প্রায় শতবর্ষ পরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।মধ্বাচার্য‍্য বিরচিত টীকার নাম ভাগবতাতাৎপর্য‍্য নির্ণয়।মধ্বাচার্য‍্যের সময়ে শ্রীমদ্ভাগত প্রামাণিক প্রসিদ্ধ গ্রন্থরূপে সমাদৃত (সমাদর প্রাপ্ত) থাকাতেই তিনি টীকা লিখতে প্রবৃত্ত(রত) হয়েছিলেন।মধ্বাচার্য‍্য রচিত টীকাই শ্রীমদ্ভাগবতের প্রথম টীকা নয়।মধ্বাচার্য‍্য রচিত টীকায় শ্রীমদ্ভাগবতের প্রাচীন টীকাকারদের নাম উল্লিখিত হয়েছে।শ্রীরামানুজাচার্য‍্য স্বকীয় বেদান্ততত্ত্বসারগ্রন্থে শ্রীমদ্ভাগবতের নাম উল্লেখ করে কয়েকটি শ্লোক উদ্ধৃত করেছেন।শ্রীরামানুজাচার্য‍্য শ্রীমধ্বাচার্য‍্যের অনেক পূর্ববর্তী।বোপদেব সমকালিক হিমাদ্রি শ্রীমদ্ভাগবতের টীকাকাররূপে শ্রীধর স্বামীর নাম লিখেছেন।*
*🌻কাশ্মীরের প্রত‍্যভিজ্ঞ-সম্প্রদায়ের মহামান‍্য,সংস্কৃতরসশাস্ত্রের মুখ‍্য আচার্য‍্য শ্রীমদ্ অভিনব গুপ্ত স্বকৃত শ্রীমদ্ভাগবতগীতার টীকায় শ্রীমদ্ভাগবতের নাম উল্লেখ করে কয়েকটি শ্লোক উদ্ধৃত করেছেন।তিনি নিজেই নিজ সময়ের উল্লেখ করেছেন।তাঁর রচিত শ্রীমদ্ভাগবদগীতাটীকা মুদ্রিত হয়েছে।শ্রীমদ্ অভিনব গুপ্তের সময়ে সুপ্রচারিত সুপ্রমাণিত গ্রন্থরূপে শ্রীমদ্ভাগবত বিদিত না হলে শৈব‍াচার্য‍্য  শ্রীমদ্ অভিনব গুপ্ত এই বৈষ্ণবগ্রন্থে শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক কখনই উদ্ধৃত করতেন না।সুদূর কাশ্মীরে দশম শতাব্দীতে প্রমাণিত প্রমাণিত গ্রন্থরূপে বিদিত হওয়ায় শ্রীমদ্ভাগবতের জনপ্রিয়তা ও প্রাচীনতাই প্রমাণিত হয়।*
*🌹ঈশ্বরচন্দ্র বিরচিত সাংখ‍্যকারিকা গ্রন্থের টীকা লিখেছিলেন মারাঠাচার্য‍্য।৫৫৯ খৃষ্টাব্দে ঐ টীকার চীনভাষায় অনুবাদ করেছিলেন পরমার্থ নামক বৌদ্ধবিদ্বান।সুদূর দেশে প্রচারিত হতে অন্ততঃ এক শত বৎসরের বেশী সময় লেগেছিল,এইরকম স্বীকার করলে মাঠরবৃত্তি যে ৫০০ খৃষ্টাব্দ সময়ে বিশেষ প্রচারিত সমাদৃত গ্রন্থরূপে বর্তমান ছিল,তা স্বীকার করতেই হয়।ঐ মাঠরবৃত্তিতে শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক উদ্ধৃত হয়েছে।এতে শ্রীমদ্ভাগবতের ৫০০ খৃষ্টাব্দের পূর্বে বিদ‍্যমানতা অবশ্যই স্বীকার্য‍্য।ভারতীয় পরম্পরা অনুসারে শ্রীশঙ্করাচার্য‍্য খৃষ্টপূর্ববর্তী মহান্ আচার্য‍্য।আধুনিক পন্ডিতগণ বলেন=তিনি সপ্তম খৃষ্টশতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন।আচার্য‍্য শ্রীশঙ্কর উপনিষদভাষ‍্যে ব্রহ্মসূত্রভাষ‍্যে শ্রীমদ্মাগবতের উল্লেখ নেই।উপক্রম উপসংহার প্রভৃতি শাস্ত্রতাৎপর্য‍্যনির্ণয়ক নিয়মের দ্বারা ভক্তির ও সগুণ ব্রহ্মের প্রতিপাদক মনে করে শ্রীমদ্ভাগবতের বচন উদ্ধৃত করেন নাই।যেহেতু তাঁর প্রতিপাদ‍্য বিষয় জ্ঞান ও নির্গুণব্রহ্ম।কিন্তু তিনি স্বকৃত সর্বসিদ্ধান্তসংগ্রহগ্রন্থে লিখেছেন,"পরমহংসধর্মো ভাগবতে পুরাণে কৃষ্ণেনোদ্ধবায়োপদিষ্টঃ"।ভাগবতাপুরাণে শ্রীকৃষ্ণ উদ্ধবকে পরমহংসগণের ধর্মের উপদেশ করেছেন।শ্রীশঙ্করাচার্য‍্যকৃত শ্রীগোবিন্দাষ্টক নামক স্তোত্রে শ্রীকৃষ্ণের মৃত্তিকাভক্ষণ বিশ্বরূপ প্রদর্শনাদি বর্ণিত হয়েছে।ঐ সকল শ্রীকৃষ্ণবাল‍্যলীলা শ্রীমদ্ভাগবতেই পাওয়া যায়।সুতরাং শ্রীমদ্ভাগবতকেই ঐ স্তোত্রের অবলম্বন বলতে হবে।প্রবোধ সুধাকর গ্রন্থে শ্রীশঙ্করাচার্য‍্য ব্রহ্মমোহন,গোবৎসবালকহরণ,শ্রীকৃষ্ণকর্তৃক গোবৎসবালকরূপ ধারণ,ধেনুগণের সন্তানবাৎসল‍্য দেখে বলরামের বিস্ময় প্রভৃতির বর্ণনা করেছেন।শ্রীমদ্ভাগবত ভিন্ন অন‍্য কোন পুরাণে বা গ্রন্থে ঐ সব লীলা বর্ণিত নাই। অতএব স্বীকার করতেই হবে যে,ঐ সব লীলা,শ্রীশঙ্করাচার্য‍্যের কল্পিত নয়।শ্রীমদ্ভাগবত হতেই গৃহীত।শ্রীকৃষ্ণের বিরহে গোপীদের তন্ময় অবস্থার বর্ণনে শ্রীমদ্ভাগবত বলেছেন=*
*"কস‍্যাশ্চিৎ পূতনায়ন্ত‍্যাঃকৃষ্ণায়ন্ত‍্যপিবৎ স্তনম্।*
*🍀শ্রীশঙ্করাচার্য‍্য বলেছেন=*
*"কাপি কৃষ্ণায়ন্তী কস‍্যাশ্চিৎ পূতনায়ন্ত‍্যাঃ।*
*অপিবৎ স্তনমিতি সাক্ষাদ্ ব‍্যাসো নারায়ণঃ প্রাহ"।।*
*🌻এই বাক‍্যের তুলনামূলক আলোচনায় এই তথ‍্য সুস্পষ্ট সুপ্রতিষ্ঠ হয়  যে, শ্রীশঙ্করাচার্য‍্য শ্রীমদ্ভাগবত অধ‍্যয়ন করেছিলেন এবং শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থ বেদব‍্যাস প্রণীত বলেই জানতেন।শ্রীশঙ্করাচার্য‍্যের গুরু ছিলেন শ্রীগোবিন্দপাদ,তাঁর গুরু শ্রীগৌড়পাদাচার্য‍্য।*
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧




শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html