🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩
শ্রীশ্রী লোকনাথ গোস্বামিপাদের সূচক-কীর্ত্তন 🙏 কীর্তন পদকর্তা শ্রীপাদ রামদাস বাবাজী 🙏 শ্রীমৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/07/loknath_10.html
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
(আষাঢ়-কৃষ্ণাষ্টমী)
গৌরপ্রেম-গুণমণি—কেবল প্রেমের খনি
শিশুকালে নিজ-পিতার মুখে—শুনি’ মধুর গৌর-চরিতে লোকনাথের বৈরাগ্য চিতে—শুনি’ মধুর গৌর-চরিতে
লোকনাথ লোকের পরাণ—পরম-উদার দয়াবান্
ভক্তি রত্নাকর প্রথম তরঙ্গ :
লোকনাথ প্রভু হয়—শ্রীপদ্মনাভ-তনয়
যাঁর তালখড়ি-গ্রামে স্থিতি—সেই-পদ্মনাভের সন্ততি যে অদ্বৈতের প্রিয় অতি—সেই-পদ্মনাভের সন্ততি
গৌরপ্রেমের খনি লোকনাথ—মনেতে সদাই উদাস শুনি’ গৌরচন্দ্রের প্রকাশ—মনেতে সদাই উদাস
প্রভুর নদীয়া-বিহার—লোকমুখে শুনে রে
নিতাই গৌর বিহরে শুনে—নিশিদিশি প্রাণ কাঁদে
নদীয়ায় গৌরাঙ্গ-বিহার—কতদিনে দেখতে পাব
নবদ্বীপে যাব কতদিনে—সদা চিন্তে মনে মনে ‘নবদ্বীপে যাব কতদিনে’— কবে বিকাব গৌরচরণে—নবদ্বীপে যাব কতদিনে
যে-দিন হতে,–শুনেছে গৌরচন্দ্রের প্রকাশ—না বলে শুনে আন-ভাষ
গৌরাঙ্গ-প্রকাশ শুনেছে যে-দিনে—আন-কথা না বলে শুনে ‘গৌরাঙ্গ-প্রকাশ শুনেছে যে-দিনে’— মধুর-নদীয়া-ভূবনে—গৌরাঙ্গ-প্রকাশ শুনেছে যে-দিনে
প্রাণরাম গৌর-কথা বিনে—আন-কথা না বলে শুনে
বিনা গৌর-গুণগাথা-ভাল লাগে না অন্য-কথা
কমল বিকাশ হলে পরে—লুব্ধ-ভ্রমর কি রইতে পারে
যেথা,–প্রাণগৌর বিহরে—লোকনাথ আইলা নদীয়াপুরে গৌরে স্বাভাবিক অনুরাগে—লোকনাথ আইলা নদীয়াপুরে বাহির হয়ে গৃহ হতে—লোকনাথ আইলা নদীয়াপুরে প্রাণগৌর বলে কাঁদতে কাঁদতে—লোকনাথ আইলা নদীয়াপুরে
গৌর-অনুরাগ জেগেছে যার প্রাণে—সে কি,–বাঁধা পড়ে বিষয়-বন্ধনে ‘‘প্রভু-মুখ নিরখিয়া’’,
লোকনাথ প্রভুরে হেরে—আঁখি পালটিতে নারে
লোকনাথ,–ভাসি’ দুটী-নয়ন-জলে—লুটায়ে,–পড়িল গৌর-পদতলে তোমার,–ক্রীতদাস এসেছে বলে—লুটায়ে,–পড়িল গৌর-পদতলে তোমার অহৈতুকী-কৃপা-বলে,–তোমার চিরদাস এসেছে বলে—
লোকনাথ যেন চির পরিচিত,–মিলিল বহুদিন পরে—
প্রাণের প্রাণ গৌরহরি—যেন,—অপেক্ষা করেছিলেন লোকনাথ আসবে বলে—যেন,–অপেক্ষা করেছিলেন
লোকনাথের পানে চেয়ে—প্রেমভরে গৌর টলমল করে আপনায় সম্বরিতে নারে—প্রেমভরে গৌর টলমল করে ‘‘আইস আইস লোকনাথ,’’
প্রেমদিঠে তাহারে নেহারি’—হেমদণ্ড—বাহু পসারি’
নিগূঢ়-গৌরাঙ্গলীলা—আস্বাদনের লীলা রে অশেষ-বিশেষে রস—আস্বাদনের লীলা রে
শুধু নয় দাস সুখী—দাস পেয়ে প্রভু পরম-সুখী
রসভোগী গৌর আমার,–আজ,–আপনাকে ধন্য মানে নিজ-প্রিয়ভক্ত-দরশনে—আজ,—আপনাকে ধন্য মানে
দাস-দর্শনে প্রভুরও তেমতি—প্রভু-দর্শনে দাসের সুখ যেমতি
পরস্পর-দরশনে—দোঁহে দোঁহার সৌভাগ্য মানে
ভুজযুগ পসারিয়া,’’
এ যে,–সহজ-প্রেমের আকর্ষণ—এ ত’ নয়,–ধেয়ে গিয়ে আলিঙ্গন
লোকনাথে বুকে ধরে—গৌরের,–মুখবুক ভাসে নয়ন-নীরে আজ আমার সুপ্রভাত বলে—গৌরের,–মুখবুক ভাসে নয়ন-নীরে
লোকনাথে করি’ কোলে—প্রাণ,–গৌর ভাসে নয়ন জলে
‘‘লোকনাথ করে দৈন্য,’’
গৌরদাস স্বভাব-দৈন্যে বলে—আমায় তুমি ছুঁয়ো না প্রভু আমি অস্পশ্য বিষয়কীট—আমায় তুমি ছুঁয়ো না প্রভু আমি,–তোমা-স্পর্শের যোগ্য নই—আমায় তুমি ছুঁয়ো না প্রভু
তোমার দৈন্যে মোর বুক ফাটে—দৈন্য সম্বরণ কর বলে
হৃদ-কর্ণ-রসায়ন—অমিয়া-মাখান—স্বরে
মোর দোষ ক্ষমা করি’—যাও ত্বরাব্রজ পুরী
লোকনাথ ব্রজপুরে—যাও তুমি ত্বরা করে
ত্বরা করি যাও ব্রজবনে—কোন দুঃখ ভেবো না মনে
সবে যাবে তোমার পিছে পিছে—লোকনাথ তুমি যাও আগে ‘সরে যাবে তোমার পিছে পিছে’— ক্রমে ক্রমে বৃ্ন্দাবনে—সবে যাবে তোমার পিছে পিছে
রূপ সনাতন ভট্টযুগ রঘুনাথ—সবে মিলিবে তোমার সাথ[মাতন] ‘‘আর এক শুন তুমি,
তোমার,–মনোব্যথা হবে জেনে—তাই,–বলি তোমায় ব্রজে যেতে ‘তোমার,–মনোব্যথা হবে জেনে’— আমার সন্ন্যাস-বেশ দেখে—তোমার,–মনোব্যথা হবে জেনে
প্রাণে ব্যথা লাগবে তোমার—তাই আমার এই ব্যবহার
প্রভুর চাঁচর-কেশ হেরে—মনে মনে গণে রে
এই,–চাঁচর-কেশ মুড়াবে গোরারায়—হায় কি শুনতে হল আমায়
এই,–কেশ মুড়াবে শচীদুলাল—কি,–দারুণ-কথা শুনতে হল এর-চেয়ে,–বজ্রাঘাত ভাল ছিল—কি,–দারুণ-কথা শুনতে হল
মুড়ায়ে,–এই চাঁচর-কেশ-রাশি—প্রাণগৌর হবে সন্ন্যাসী
চাঁচর-কেশ,–মুড়াবে গৌর গুণমনি—হায় কি শুনলাম দারুণ-বাণী এর-চেয়ে,–ভাল ছিল পড়া অশনি—হায় কি শুনলাম দারুণ-বাণী
এই,–দারুণ কথা শুনবার আগে—কেন ব্রজ না পড়িল মাথে
এই,–চাঁচর-কেশের হবে অদর্শন—কেমনে বাঁচিবে ভক্তগণ সবে কেঁদে হবে অচেতন—কেমনে বাঁচিবে ভক্তগণ
এই,–কেশ মুড়াবে কমললোচন—হায়,–এ কি শুনতে হল বচন এর চেয়ে ভাল ছিল মরণ—হায়,–এ কি শুনতে হল বচন
এই কেশের অদর্শন হবে—এ কি কঠোর লীলা করবে এত বলি,–
এর চেয়ে,–ভাল ছিল বজ্রাঘাত—বলে,–এ কি শুনলাম বচন নির্ঘাত
গৌর-মুখচন্দ্র-পানে—যায় যায় ফিরে চায়
গৌরের চাঁচর-কেশ-পানে—যায় যায় ফিরে চায় পদ,–আগে ফেলতে পিছে পড়ে—যায় যায় ফিরে চায়
ঠাকুর শ্রীলোকনাথ—যায় যায় ফিরে চায় ভাসি’ দুটী-নয়ন-ধারায়—যায় যায় ফিরে চায়
নদীয়া—বিহারী গৌরহরি—আর কি দেখতে পাব বে
ঐ,–হরিবোল রসের বদন—আর কি পাব দরশন
‘ঐ,–হরিবোলা রসের বদন’— শিরে চাঁচর-কেশ শোভন—ঐ,–হরিবোলা রসের বদন
মুরতি কৈশোর কেশ চাঁচর—আর কি দেখতে পাব হে
পতিত-পাবন গৌরাঙ্গগণ—এই কৃপা কর সবে যেন এই,–মুরতি সদা হৃদে জাগে—এই কৃপা কর সবে
এই,–নদীয়া বিহারী গৌরহরি—যেন,–সদা হৃদে ধরতে পারি
সবে মিলে এই কৃপা কর—যেন,–হৃদে জাগে নিরন্তর এই গৌর কিশোর-বর—যেন,–হৃদে জাগে নিরন্তর
ভক্তবৎসল গৌরহরি—কতগুণের প্রভু রে
‘ভকত-বাৎসল্য-লীলা’— যা’—শুনিলে গলয়ে শিলা—ভকত-বাৎসল্য-লীলা;
লোকনাথ ব্রজে যায়—কাঁদে গোরা উভরায়
লোকনাথের ব্রজে গমন দেখে—প্রাণগৌর ব্যাকুল হয়ে কাঁদে
একপাশে দাঁড়ায়ে গোরারায়—ততক্ষণ আঁখি নাহি ফিরায় যতক্ষণ লোকনাথে দেখা যায়—ততক্ষণ আঁখি নাহি ফিরায়
লোকনাথ ব্রজে যায়—গৌরের,–বুক ভাসে নয়ন-ধারায় ব্যাকুল হয়ে কাঁদে গোরারায়—গৌরের,–বুক ভাসে নয়ন-ধারায়
দাস-বিরহে প্রভু কাঁদে—মধুর গৌরাঙ্গ-লীলা
আপনি উপভোগ করিয়া—আজ,–তাই প্রভু জানাইছেন ভক্ত-বিরহে কত’ দুঃখ—আজ,–তাই প্রভু জানাইছেন
প্রিয় গদাধর আদি,’’
লোকনাথের বিরহেতে—প্রভুর ব্যাকুলতা দেখে
লোকনাথ ব্রজের পথে যায়—কেঁদে আকুল গোরারায়
আমার লোকনাথ লোকনাথ বলে—আমার,–গৌর ভাসে নয়ন-জলে
লোকনাথ আমায় গেল ফেলে—বলে,–দেখ দেখ তোমরা সবে
ভক্তবৎসল প্রভু আমার—হা লোকনাথ বলি’ কাঁদে
লোকনাথ ব্রজের পথে যেতে—শিরে হাত দিয়া কাঁদে
অমিয়া বরষি মুখের হাসি—আর দেখতে পাব না বুঝি
হরিবোলা রসের বদন—আর বুঝি না দেখবে নয়ন
শিরে হাত দিয়া কাঁদে—আর কি দেখতে পাব না হাসিমাখা রসের বদন—আর কি দেখতে পাব না
শিরে হাত দিয়া কাঁদে—মুই অতি অভাগিয়া
শিরে দিয়ে দুই হাত—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে লোকনাথ
গৌরের সঙ্কীত্তর্ন-লীলা—আমার ভাগ্যে দেখা হল না
দুর্ভাগ্য-বশে দেখতে না দিলি—হায়,–দারুণ-বিধি কি করিলি ‘দুর্ভাগ্য-বশে দেখতে পা দিলি’— গৌরের,–সঙ্কীর্ত্তন-রাসকেলি—দুর্ভাগ্য বশে দেখতে না দিলি
গৌরের সঙ্কীর্ত্তন-বিহার—দেখতে বুঝি না পাব আর
লোকনাথ ব্রজে গিয়া—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে স্মঙরি গৌরাঙ্গগুণে—ব্যাকুল হয়ে কাঁদে রে
দেখাইলে ব্রজ-মাধুরী—এ কি কৃপা কৈলে গৌরহরি
দেখিতে প্রাণ-গৌরবদনে—প্রাণ কাঁদিছে নিশিদিনে
গৌর দক্ষিণে গেছেন শুনে—পাগল হয়ে ছুটল রে প্রাণ গৌর দেখব বলে—পাগল হয়ে ছুটল রে
গৌর-অনুরাগ যারে পরশয়—তার ত’ অমনি দশা হয়
ব্যাকুল হয়ে ফিরে রে প্রাণ-গৌর-দরশন-আশে—ব্যাকুল হয়ে ফিরে রে
প্রাণ-গৌর না হেরে—লোকনাথ রইতে নারে
দেখব বলে ছুটে এলাম—দেখতে ত নাহি পেলাম
হা চিতচোরা প্রাণ-গোরা—চিত,–চুরি করে দাও না ধরা
আমা-দর্শনের ছাড় আশ’—স্থির হও লোকনাথ
আমারে সে চাঁচর-কেশ নাই—আমি,–তাইতে দেখা দিই নাই আমায়,–দেখে তোমার সুখ হবে না—আমি,–তাইতে দেখা দিই নাই ‘আমায়,–দেখে তোমার সুখ হবে না’— গেরুয়া-কাপড়-পরা কেশ-মুড়ানা—আমায়,–দেখে তোমার সুখ হবে না
আমার,—নদীয়া-বিহারী মূরতি বিনা—তোমার ভাল ত’ লাগবে না
আমার,–নাই সেই চাঁচর-কেশ-এখন,–দেখে তুমি পাবে ক্লেশ
দেখিলে মোর সন্ন্যাসী-রূপ—তোমার মনে হবে দুঃখ
আমা-দর্শনের প্রয়াস করো না—তাই,–তুমি আর প্রয়াগে এসো া
আমা-দর্শনের প্রয়াস ছাড়ি’—থাক তুমি ব্রজপুরী তোমার,–দৃষ্ট-মূরতি হৃদে ধরি’—থাক তুমি ব্রজপুরী
যা দেখেছ তাই বুকে রাখ—স্থির হয়ে ব্রজে থাক
রসময় গৌরকিশোর—লোকনাথের চিতেচোর
নদীয়া—বিহারী গৌরহরি—লোকনাথের হৃদবিহারী
শ্রীগৌরাঙ্গ-আজ্ঞা-ক্রমে—লোকনাথ রহে বৃন্দাবনে
লোকনাথ ব্রজে ফিরে—নিরন্তর আক্ষেপ করে
হায় হায় হায়—নয়ন-গোচর হবে না আর গৌরের কীর্ত্তন-নটন-বিহার—নয়ন-গোচর হবে না আর
প্রাণ-গৌর হৃদে ধরে—লোকনাথ ব্রজে বিহরে
গৌরগণের মাঝে লোকনাথ—আগে ব্রজে আগুয়ান
লোকনাথ আগে আগুয়ান—পিছে গেলেন রূপ-সনাতন
রূপ-সনাতনের গলা ধরে—লোকনাথ কাঁদে ব্যাকুল-প্রাণে ব্রজবনে নিরজনে—লোকনাথ কাঁদে ব্যাকুল-প্রাণে স্মঙরি’ গৌরাঙ্গ-গুণে—লোকনাথ কাঁদে ব্যাকুল-প্রাণে সোণার গৌর প্রভু বলে—লোকনাথ কাঁদে ব্যাকুল-প্রাণে
গৌর-গণের গলা ধরি’—কাঁদে গৌর-গুণ স্মঙরি’
আমার বিগ্রহ-সেবায় মন—কেমন করে জানিল
নৈলে,–কেমনে জানিল মনোবৃত্তি মোর—নিশ্চয়ই আমার চিতচোর
তোমার উৎকণ্ঠা জানি’—আপনি আইলাম আমি
প্রেম-আকর্ষণ তোমার—টানিয়া আনিল আমায়
বিগ্রহ-রূপে প্রভু আইলা—প্রাণে প্রাণে জানিলা
শ্রীরাধাবিনোদ বিগ্রহ হেরে—লোকনাথ গৌর ভোগ করে লোকনাথের চোখ আন না দেখে—লোকনাথ গৌর ভোগ করে
একাধারে গৌরহরি—বলে,–এই ত’ গৌর মূরতি
শ্রীরাধাবিনোদ-মুরতি হেরে—লোকনাথ,–গৌর-মাধুরী ভোগ করে
তাঁর,–প্রাণে আছে গৌর-স্বরূপ-শ্রীরাধাবিনোদে দেখে-গৌর-রূপ
এমন করে না ভজিলে—শুধু কি,–মুখের কথায় গৌর মিলে
গৌরহরি লোকনাথে—সবার আগে পাঠালেন ব্রজে
পরলীলা প্রকাশ-তরে—সব-শেষ-পর্য্যন্ত রাখলেন তাঁরে
পরে বিরহ মহাদুঃখ—তাই কিছুদিন মিলন-সুখ
গৌর-গৌরগণের বিরহ সহিয়া—নিশিদিন মরছেন জ্বলিয়া
প্রাণের প্রাণ গৌরহরি—এতদিন রাখলেন লোকনাথে শুধু,–এই কৃপা করাবার তরে—এতদিন রাখলেন লোকনাথে
নরোত্তম প্রাণনাথ—দয়া কর লোকনাথ
ঠাকুর,–নরোত্তমের প্রাণনাথ—কৃপা কর লোকনাথ
অতঃপর ‘কোথা বা লুকালে’ ইত্যাদি মহাজনী-আক্ষেপ-কীর্ত্তন।
ওরে রে নিলাজ পরাণ—কি সুখে বা আছ রে
নামের শকতিও আর দেখতে পাবে না—নামীর দেখা ত’ পেলে না
পরম-করুণ শ্রীগুরুদেব—দেখাইলেন এই নগরীতে নামে মৃত-সঞ্জিবনী-শক্তি আছে—দেখাইলেন এই নগরীতে
একে একে সবাই গেল চলে—সে লীলা আর পাবে না দেখতে
এখন,–পড়ে পড়ে মায়ার লাথি খেতে—কি সুখে বা থাকবে রে
এখনও ভালে ভালে—এখন,–গেলেই ত’ ভাল রে ‘এখনও ভালে ভালে’— না জানি কি আছে কপালে—এখনও ভালে ভাল
যা’ দেখেছ তা’ হৃদে ধরে—এখন,–গেলেই ত’ ভাল রে ‘যা দেখেছ তা’ হৃদে ধরে’— শ্রীগুরু গৌরাঙ্গ প্রকাশ—যা’ দেখেছ তা হৃদে ধরে
তুমি’—দয়া করে সব দিয়েছিলে—সব হারায়ে ফেলেছি নিজ-স্বতন্ত্রতা দোষে—সব হারায়ে ফেলেছি
এই চোখে দেখলাম—বিশ্বাস ত হল না ‘এই চোখে দেখলাম’— কৃপা করে যা’ দেখাইলে—এই চোখে দেখলাম
নামে সর্ব্বশক্তি আছে—বিশ্বাস ত’ হল না
তোমার পরিচয় দিয়ে—নামে কলঙ্ক রটালাম
বলবান প্রভু তুমি ত’ আছ—আমি বটে দুর্দ্দৈব-গ্রস্ত
তোমার,–মুখোদ্গীর্ণ-নাম-গানে—আবার আমায় দাও মাতায়ে ‘তোমার,–মুখোদ্গীর্ণ-নাম-গানে’— সাধ্য-সাধন-নির্ণয়-করা—তোমার,–মুখোদ্গীর্ণ-নাম-গানে
ভোগ দিয়ে প্রাণে প্রাণে—আবার আমায় দাও মাতায়ে ‘ভোগ দিয়ে প্রাণে প্রাণে’— নামে সর্ব্বশক্তি আছে—ভোগ দিয়ে প্রাণে প্রাণে
*••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••*