🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔙 পূর্ব লীলা 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/11/jagotseth.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১)🏢🏢জগৎশেঠ🏢🏢*
            *🏢খোশালচাঁদ🏢*
       ∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
*🍀মীরকাসিম ও কোম্পানীর সংঘর্ষ-জনিত বিপ্লবানল নিভলেও দেশমধ‍্যে শান্তি ফিরে আসতে বেশ কয়েক বৎসর সময় লেগেছিল।এই মহাগ্নিতে যে বঙ্গরাজ‍্য দগ্ধ,বিদগ্ধ হয়ে যায়,তা বলা বাহুল‍্য মাত্র।কাজেই অল্পদিনের মধ্যে সমগ্র দেশ শান্ত ভাব অবলম্বন করতে পারিনি।বাংলার যে সমস্ত সম্ভ্রান্ত বংশ এই দাবানলে ভস্মস্তূপে পরিণত হয়,তাদের অঙ্কুরোদ্গমেরও দেরী হয়েছিল, আবার কোনটিও বা একেবারেই নির্মূল হয়ে যায়।জগৎশেঠ মহাতপচাঁদ ও মহারাজ স্বরূপচাঁদের মৃত‍্যুর পর মুর্শিদাবাদের শেঠবংশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে।যদিও তারবংশগণ নিজেদের কারবার চালাবার জন্য চরম চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাতে সম‍্যক্ প্রকারে কৃতকার্য হতে পারেননি।তারা সে সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছিল না,কাজেই নিজেদের গদীর পূর্ব গৌরব রক্ষা করতে সম্পূর্ণরূপে সমর্থ হয়নি। তার কিছু উল্লেখ দিচ্ছি=*
*🍁বকসারের যুদ্ধের পর বাদশাহ শাহ আলম ও নবাব-উজীর সুজাউদ্দৌলার সঙ্গে সন্ধির পরামর্শ চলতে থাকে।মীরজাফর কোম্পানীর দেয় অর্থের পীড়াপীড়িতে পাটনা হতে কলকাতা আসতে বাধ‍্য হন।মীরজাফর দ্বিতীয়বার রাজ‍্য গ্রহণকালে নন্দকুমারকে দেওয়ান নিযুক্ত করেছিলেন।মীরকাসিম কোম্পানীর দেয় অর্থ পরিশোধের জন্য অনেক পরিমাণে রাজস্ব বৃদ্ধি করলেও,জমিদারদের কাছ হতে তা সম্পূর্ণরূপে আদায় হয়নি।নন্দকুমার নতুন বন্দোবস্ত করে কতক পরিমাণে রাজস্বের লাঘব করলেও,সমস্ত টাকা আদায় করে উঠতে পারেনি।কোম্পানীর কর্মচারীগণ নবাবের কাছ হতে বারংবার অর্থের দাবী করতে লাগলেন।যুদ্ধের ব‍্যয় ও কোম্পানীর ক্ষতিপূরণ প্রভৃতিতে নবাবের দেয় ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কোম্পানি ও তার কর্মচারীগণের দাবী বাড়িতে বাড়িতে অবশেষে তিপ্পান্ন লক্ষ টাকায় পরিণত হয়।রাজা দুর্লভরামও এই সময়ে নিজামত বিভাগের দেওয়ান নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু নন্দকুমারের হাতে খুব বেশী পরিমাণে ক্ষমতা দেওয়া হয়।নন্দকুমার ও দুর্লভরাম কোম্পানির ও তার কর্মচারীগণের প্রাপ‍্য অর্থ পরিশোধের বিশেষ কোন উপায় করতে পারেননি।দুশ্চিন্তায় ক্রমে মীরজাফরের শরীর খারাপ হতে লাগল। তিনি উদ্বিগ্ন হৃদয়ে কলকাতা হতে মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হলেন।তার পর তিনি শয‍্যাগত হয়ে পড়েন,ক্রমে তাঁর অন্তিমকাল উপস্থিত হয়।জাফর দুশ্চিকিৎস‍্য কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৪ বৎসর বয়সে মারা গেলেন।*
*🍀মহাতপচাঁদ ও স্বরূপচাঁদের মৃত‍্যুর পর তাঁদের পুত্র খোশালচাঁদ ও উদায়তচাঁদ গদীর ভার গ্রহণ করেন।তাঁরা একসঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।এই সময়ে তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না, সুতরাং কারবারের কাজ ঠিকমত করতে পারছিলেন না।তাছাড়াও তাঁদের আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ ছিল।মীরকাসিম শেঠদের সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে ছিল।খোশালচাঁদের ভাই গোলাপচাঁদ ও উদায়তচাঁদের ভাই মিহিরচাঁদ, মহাতপচাঁদ ও স্বরূপচাঁদের সঙ্গে মুঙ্গেরে অবরুদ্ধ হয়েছিলেন, একথা আগে বলা হয়েছে।জগৎশেঠ ও স্বরূপচাঁদের হত‍্যাকান্ডের পর গোলাপচাঁদ ও মিহিরচাঁদ মীরকাসিম কর্তৃক বাদশাহ শাহ আলমের হাতে সমর্পিত হন।এর উদ্দেশ্য এরকম ছিল যে,তাঁদেরকে মুক্ত করতে শেঠগণকে অনেক অর্থ উপঢৌকন দিতে হবে।কাজেই তাইই ঘটেছিল।*
*নবাব মীরজাফর খাঁ উজীর সুজাউদ্দৌলাকে তাঁদের মুক্তির জন্য লিখে পাঠালে উজীর উত্তর দেন যে,তাঁদের সম্বন্ধে যথা কর্তব্য স্থির করে পরে উত্তর দেওয়া যাবে। "I have had the pleasure to receive your two letters mentioning the arrival of the royal presents,and your desire that the sets sons may be released, and I have represented in a proper manner to his Majesty the strength and firmness of your obedience. The high in station Raja Beny Bahadre will shortly arrive in the royal presence,and these matters will be settled and answer sent you.(From the Vizier to the Nabob January 8th 1764) Long, P,355. কিন্তু এর পর কোনও উত্তর এসেছিল বলে বোধ হয় না।সেই অল্প বয়স্ক শেঠ দুইভাই কতক অর্থ ঋণ ও কতক অর্থ নিজেদের হীরা জহরাদির বদ্ধক দ্বারা সংগ্রহ করে বাদশাহ ও উজীরকে নজরপ্রদানে অব‍্যাহতি লাভ করতে সমর্থ হন।এই সমস্ত অর্থ পরিশোধের জন্য খোশালচাঁদ ও উদায়তচাঁদকে নিজেদের বাসনপত্রাদি মুদ্রায় পরিণত ও হীরা জহরাদিও বিক্রি করতে হয়েছিল।এরপরে তাঁদের অবস্থা অত‍্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে।এই সমস্ত কারণে তাঁরা নিজেদের কারবার ভাল ভাবে চালাতে পারছিলেন না।তাছাড়াও নবাব সরকারে ও কোম্পানীর কাছে তাঁদের যে সমস্ত প্রাপ‍্য অর্থ ছিল,তাহাও তাঁরা যথাসময়ে পেয়েছিলেন বলে বোধ হয় না।ফলতঃ জগৎশেঠ মহতপচাঁদ ও মহারাজ স্বরূপচাঁদ যেরকম গৌরবের সঙ্গে নিজেদের কারবার পরিচালনা করেছিলেন, খোশালচাঁদ ও উদায়তচাঁদ যে সেরকম ভাবে চালাতে পারেননি সেইবিষয়ে কোন সন্দেহ নাই।বিশেষ করে তাঁরা অল্পবয়স্ক হওয়ায়,কাজের নানাপ্রকার অসুবিধাও ঘটেছিল।*
🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔷🔶🔶🔶🔶🔶🔶

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২)🏢🏢জগৎশেঠ🏢🏢*
           *🏢খোশালচাঁদ🏢*
       ∆∆☆∆∆☆∆∆☆∆∆☆
*🍀তারপরে মীরজাফরের দ্বিতীয় পুত্র নজমউদ্দৌলা মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে বসেন।অতঃপর ভাই ভাই মধ্যে নানাপ্রকার ঝগড়া ঝামেলা লাগায় ঠিকমত রাজকার্য‍্য পরিচালনা হচ্ছিল না।এতে অর্থের টান পরে,খোশালচাঁদের কাছে বাধ‍্য হয়ে হাত পাততে হয়েছিল।তাঁরা মতিরাম নামে একব‍্যক্তির দ্বারা খোশালচাঁদকে বলে পাঠান যে,খোশালচাঁদ তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করলে,তাঁরা তাঁদের সবরকম কাজের সুব‍্যবস্থা করে দিবেন।ইতিপূর্বে তাঁরা লর্ড ক্লাইভকে অনেক অর্থ দিয়েছিলেন বলে সভ‍্যগণ উল্লেখ করেন।খোশালচাঁদ ক্লাইভকে অর্থ প্রদান করা অস্বীকার করে তাঁদেরকে নিরস্ত হতে বলেন। কিন্তু সভ‍্য মহোদয়েরা সহজে নিবৃত্ত হবার পাত্র ছিলেন না।তাঁরা খোশালচাঁদকে নানারকম ভয় দেখাতে আরম্ভ করল,খোশালচাঁদ বাধ‍্য হয়ে সভাদেরকে সওয়ালক্ষ টাকা প্রতিশ্রুত হন।তারমধ‍্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা তক্ষুনি দিয়ে দেন,অবশিষ্ট টাকা শেঠদের পাওনা আদায়ের পর দেবার কথা হয়।অতঃপর অনুসন্ধান সমিতি গঠিত হলে,জগৎশেঠ ও মতিরাম উক্ত সমিতির কাছে এই সমস্ত বিষয়ের সাক্ষ‍্য দিয়েছিলেন।কলকাতা কাউন্সিল হতে ডিরেক্টরগণের কাছে এই বিষয়ের পত্র পাঠান হয়।এর পর ক্লাইভ কিছুকাল পরে পুনর্বার কলকাতার গর্ভণর নিযুক্ত হয়ে আসেন।ক্লাইভ এদেশে আসামাত্র খোশালচাঁদ ও উদায়তচাঁদ তাঁকে তাঁদের দুরবস্থার কথা জানান।কিভাবে মীরকাসিম কর্তৃক তাঁদের পিতা,পিতৃব‍্য নির্যাতিত ও হৃতসর্বস্ব হয়ে জীবন বিসর্জন করেছেন, এবং কিভাবে গোলাপচাঁদ ও মিহিরচাঁদ বহু কষ্ট ভোগ করে বহু অর্থব‍্যয়ে উদ্ধারলাভ করতে সমর্থ হন। আর কিভাবেই বা সেই সমস্ত অর্থ পরিশোধের জন্য তাঁদেরকে সর্বশান্ত হতে হয়,উক্ত পত্রে এই সমস্তই লিখিত থাকে।পরে ক্লাইভ দেওয়ানী গ্রহণ করে অবিলম্বে বাংলায় উপস্থিত হন, এবং খোশালচাঁদকে কোম্পানির সরফ বা গদীয়ানের পদে নিযুক্ত করেন।এইসময়ে খোশালচাঁদের বয়স আঠার পূর্ণ হয়নি। নবাব নজমউদ্দৌলাও খোশালচাঁদ ও দুর্লভরামের পরামর্শক্রমে কার্য‍্য নির্বাহ করতে অনুরুদ্ধ হন।পূর্ববর্তী বা পরবর্তী সমস্ত নবাব নাজিমগণই জগৎশেঠের পরামর্শে কার্য পরিচালনা করতে অনুরুদ্ধ হয়েছিলেন বলে দেখা যায়।ক্লাইভ খোশালচাঁদকে কোম্পানির গদীয়ান নিযুক্ত করলেও, ভাগ‍্যলক্ষ্মী তাঁদের প্রতি সুপ্রসন্না হয়েছিলেন বলে বোধ হয় না।*
*শেঠগণের অবস্থা দিন দিন হীন হচ্ছিল, তা সহজেই বুঝা যায়।তথাপি তাঁরা নিজেদের কারবার চালাতে যথাসাধ‍্য চেষ্টা করেছিলেন।অনেক চেষ্টার পর ধীরে ধীরে কারবার চলতে আরম্ভ হলে, বাদশাহ শাহ আলম ১৭৬৬ খৃষ্টাব্দে খোশালচাঁদকে জগৎশেঠ ও উদায়তচাঁদকে মহারাজ উপাধি প্রদান করেন। তারপর ১৭৬৬ খৃষ্টাব্দে নজমউদ্দৌলা এ জগৎ হতে বিদায় নেন।তাঁর সহোদর ভাই সৈফউদ্দৌলা মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে বসেন।তিনি জগৎশেঠ, দুর্লভরাম ও রেজা খাঁর পরামর্শে নিজামতের কার্য নির্বাহ করতে প্রতিশ্রুত হয়েছিলেন।শেঠগণ নিজেদের কারবার চালানোর জন্য চরম চেষ্টা করছিলেন।কিন্তু ভাগ‍্যলক্ষ্মী তাঁদের প্রতি সুপ্রসন্না না হওয়ায় তাঁদের অবস্থা দিন দিন হীনই হতে থাকে। তাঁরা আবার বৃত্তির জন্য কোম্পানির শরণাপন্ন হন।ক্লাইভ জগৎশেঠ খোশালচাঁদকে বার্ষিক তিনলক্ষ টাকা বৃত্তি দিতে ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু খোশালচাঁদ তা প্রত‍্যাখ‍্যান করে বলেছিলেন যে,আমার মাসিক ব‍্যয় লক্ষ টাকার কমনয়, এই সামান্য বৃত্তিতে আমার কোনই উপকার হবে না। সুতরাং তা নেবার কোন প্রয়োজন নাই। খোশালচাঁদ কিছু অপরিমিত ব‍্যয়ী ছিলেন,তবে অধিকাংশ অর্থ সৎকাজেই ব‍্যয়িত করতেন। এই বিষয় পরে উল্লেখ করব।ফলে শেঠদের অবস্থা দিন দিন শোচনীয় হয়ে উঠে।রাজস্বের ভার কোম্পানি স্বয়ং গ্রহণ করায় তাঁদের অবনতির প্রধান কারণ। কোম্পানি মুর্শিদাবাদে বৎসরের প্রথমে রাজস্ব আদায়ের জন্য পুণ‍্যাহ-ক্রিয়া করতেন। নবাব সৈফউদ্দৌলাও গর্ভণর ভেরলেস্টের সহিত মোতিঝিলে বসে পুণ‍্যাহ-ক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন।এর কয়েক বৎসর পরে বাংলায় ছিয়াত্তরে মন্বন্তর আবির্ভূত হয়ে সমস্ত দেশকে শ্মশানে পরিণত করে। নবাব সৈফউদ্দৌলা তার প্রচণ্ড মহামারীতে জীবন বিসর্জন করতে বাধ‍্য হন। এই দেশ ব‍্যাপী দুর্ভিক্ষে শেঠদেরও ভয়ানক ক্ষতি হয়েছিল।অনেক অর্থ জলে চলে গিয়েছিল।*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৩)🏢🏢জগৎশেঠ🏢🏢*
             *🏢খোশালচাঁদ🏢*
*🍀সৈফউদ্দৌলার পর মীরজাফরের অপর বেগম বব্বুবেগমের গর্ভজাত মোবারকদ্দৌলা মুর্শিদাবাদের মসনদে বসেন।তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায়,তাঁর মাতার পরিবর্তে তাঁর বিমাতা মণি বেগম অভিভাবিকা নিযুক্ত হন।তদুপলক্ষ‍্যে কোম্পানীর কর্মচারীগণ অনেক অর্থলাভ করেছিলেন।এই সময়ে ওয়ারেন্ হেষ্টিংস বাংলার গর্ভণর হয়ে আসেন।তিনি ভারতবর্ষের গর্ভণর জেনারেল পদেও প্রতিষ্ঠিত হন।মোবারকদ্দৌলার সময় নিজামতের বৃত্তি কমতে কমতে শেষে ষোল লক্ষ টাকায় পরিণত হয়।এই সময়ে নিজামত দপ্তরের কাগজপত্রে জগৎশেঠেরও বার্ষিক দেড়লক্ষ টাকার এক বৃত্তি উল্লেখ দেখা যায়।ওয়ারেন্ হেষ্টিংসের রাজত্বকালে দেশমধ‍্যে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল।তিনি ক্লাইভের প্রবর্তিত দ্বৈতশাসনের মূলোচ্ছেদ করে রাজস্ব ও বিচার উভয়েই স্বহস্তে গ্রহণ করেন।নবাব নাজিম কেবল বৃত্তিভোগী মাত্র থাকেন।মুর্শিদাবাদ হতে খালসা বা রাজস্ব বিভাগ কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।হেস্তিংস একসনা ও পাঁচসনা বন্দোবস্তে সমস্ত জমিদারি বন্দোবস্ত করতে আরম্ভ করেছিলেন।তাঁর অনুগ্রহে কান্তবাবু,গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ, দেবী সিংহ প্রভৃতি বহু সম্পত্তির অধীশ্বর হয়ে কাসীমবাজার,কান্দী ও নশীপুর প্রভৃতি রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।মহারাজ নন্দকুমারের সঙ্গে হেষ্টিংসের বিবাদ হওয়ায়,তিনি এক জাল বা নকল মোকদ্দমায় আসামী হয়ে ফাঁসীকাঠে জীবন বিসর্জন করতে বাধ‍্য হন।এইসময়ে গর্ভণর জেনারেল যেরকম কাউন্সিলের সদস‍্যগণ শাসনকার্য‍্যের ক্ষমতা পেয়েছিলেন,সেরকম কলকাতায় সুপ্রীম কোটে একজন প্রধান জজসহ কয়েকজন জজ বিচারকার্য‍্যের পরিচালনা করতে থাকেন।মফস্বলের সঙ্গে তাদের বিশেষ কোন সম্বন্ধ ছিল না।হেস্টিংস মফস্বলে হিন্দু ও মুসলমান আইন প্রচলিত রেখে দেশের অনেক উপকার সাধন করে ছিলেন। কিন্তু কলকাতায় বিলাতি আইন প্রচলিত থাকায় নানারকম অসুবিধা ঘটে।সেইসময়ে সারা ভারতবর্ষ ব‍্যাপিয়াও মহা আন্দোলন চলছিল।সেইসময় মহারাষ্টীয়গণ,মহীশূরের হায়দার আলি প্রভৃতি প্রবল হয়ে উঠায়,হেস্টিংসকে তাঁদের দমনের জন্য বিশেষ ভাবে ব‍্যস্ত থাকতে হয়েছিল।তাছাড়াও তাঁর রাজত্বকালে কাশীর চেৎসিংহ ও অযোধ‍্যার বেগমদের সম্পত্তি নিয়ে অনেক গোলযোগ ঘটে।এদের কাছে অর্থশোষন করায় ওয়ারেন্ হেষ্টিংসের নামে অত‍্যন্ত কলঙ্ক রটে,এমন কি তারজন‍্য পার্লামেন্ট সভায় তাঁর বিচার হয়েছিল।তারপরে তিনি মুক্তিলাভ করেন।যাইহোক,মুর্শিদাবাদ থেকে খালসা বা রাজত্ব বিভাগ স্থানান্তরিত করায়,শেঠদের সঙ্গে তার সম্বন্ধ ছিন্ন হয়। সুতরাং তাঁরা অত‍্যন্ত অর্থকষ্ট অনুভব করতে থাকেন।জগৎশেঠ খোশালচাঁদ তারজন‍্য হেষ্টিংসকে পত্র লিখে পাঠান যে,তাঁদের পূর্বপুরুষরা বরাবরই খালসা বিভাগের দেখাশুনা করতেন, এক্ষণে তাঁদের সঙ্গে উক্ত বিভাগের সম্বন্ধ ছিন্ন হওয়ায়,তাঁরা অত‍্যন্ত কষ্টে আছেন।তাঁর অনুরোধ এই যে,গর্ভণর জেনারেল অনুগ্রহপূর্বক তাঁকে পুনর্বার খালসা বিভাগের দেখাশোনাই নিযুক্ত করেন। হেষ্টিংস তার উত্তরে লিখে পাঠিয়েছিলেন যে,তিনি সমস্ত বিষয়টি জানেন যে,জগৎশেঠের পিতা ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ‍্য স্থাপনের জন্য চরমভাবে সহায়তা করেছেন, এবং তাঁরদ্বারা কোম্পানীরও যথেষ্ট উপকার হয়েছে।উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ হতে ফিরে আসার পর তিনি তাঁদের প্রার্থনা পূরণের চেষ্টা করবেন। কিন্তু হিষ্টিংসপ্রত‍্যাগত হতে না হতে সহসা কন্ঠরোধ হয়ে খোশালচাঁদ মৃত‍্যুমুখে নিপতিত হন।তখন তাঁর বয়স চল্লিশ বৎসরও পূর্ণ হয়নি।এইভাবে জৎশেঠ খোশালচাঁদ ইহজগৎ হতে বিদায় নেন।তিনি অনেক চেষ্টা করেও পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসেতে পারেননি।পরে তিনি বৃত্তির ভিখারী হলেও,সম‍্যকরূপে কৃতকার্য‍্য হননি।তাঁর মৃত‍্যুর পর হতে জগৎশেঠদের অবস্থা দিন দিন আরও হীন হতে থাকে।জগৎশেঠ খোশালচাঁদ কিছু অপরিমিত ব‍্যয়ী ছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর সমস্ত অর্থ প্রায়ই সদ্ব‍্যয়ে নিয়োগ করতেন।তাঁদের প্রধান তীর্থ পরেশনাথ পর্বতের সঙ্গে খোশালচাঁদের নাম বিশেষভাবে বিজড়িত আছে। তাঁর পূর্বপুরুষরা সম্রাট মহম্মদ শাহের কাছ হতে পরেশনাথের অনেক ভূভাগ নিষ্কররূপে পেয়েছিলেন।সম্রাট প্রদত্ত ভূভাগের বা সেই জমির ফার্মান অনেকদিন পর্যন্ত জগৎশেঠদের কাছে ছিল,এক্ষণে স্থানান্তরিত হয়েছে।এই প্রসিদ্ধ জৈনতীর্থ অনেক দিন পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত ভাবে ছিল বলে কথিত হয়ে থাকে।জগৎশেঠ খোশালচাঁদই তার আবিষ্কার করেন।প্রবাদমুখে শোনা যায় যে,তিনি মুর্শিদাবাদ হতে হাতীরপিঠে পরেশনাথে আসিতেন এবং প্রকৃত তীর্থের অনুসন্ধান করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন।পরে তাঁর প্রতি প্রত‍্যাদেশ হয় যে,যে যে জায়গায় পীতচন্দনের চিহ্ন দেখা যাবে,সেই সেই জায়গায়ই প্রকৃত তীর্থ।খোশালচাঁদ পীতচন্দনের চিহ্ন দেখে তীর্থস্থান স্থির করেন।*
*পরেশনাথের মন্দিরে অনেক মূর্তিতে জগৎশেঠদের নামাঙ্কিত আছে।পরেশনাথের পর্বতশিখরে যে সমস্ত মন্দির আছে,তারমধ‍্যে জগৎশেঠদের মন্দির সব থেকে সুন্দর ও রমণীয়।তাঁদের প্রতিষ্ঠিত মূর্তির নিচে,সংবৎ ১৮২২ (১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে) ও সুগলচাঁদ জগৎশেঠের নাম খোদিত আছে।সুগলচাঁদ খোশালচাঁদের ভাই সুখলালচাঁদই বলে বোধ হয়। তাছাড়া ছোট ছোট গুমটির চরণপদ্মেও ১৮২৫ সংবৎ (১৭৮৬ খৃষ্টাব্দ) সুগলচাঁদ জগৎশেঠের নাম অঙ্কিত দেখা যায়।পরেশনাথের পাদদেশে মধুবন নামক গ্রামে উপরালি,মাঝালি ও নীচালি নামে তিনটি প্রসিদ্ধ মন্দির আছে।এই মাঝালি মন্দির শেঠদের তৈরী করা।তার প্রতিষ্ঠিত মূর্তির নিচে ১৮২৫ সংবৎ ও সুগলচাঁদ ও হুসিয়ালচাঁদের নাম আছে।হুসিয়াল সম্ভবত খুশিয়াল বা খোশালচাঁদ হবে।এই মন্দিরের সংলগ্ন ধর্মশালা,নহবতখানা ইত্যাদি মধুবনের মধ্যে একটি প্রধান দৃশ্য।মুর্শিদাবাদের জৈন মহাজনগণ এক্ষণে এর দেখাশোনা করে থাকেন।বালুচরের প্রসিদ্ধ ধনী মহারাজ বাহাদুর এক্ষণে এর অধ‍্যক্ষ।জগৎশেঠরা শ্বেতাম্বর জৈন ছিলেন। কিন্তু দিগম্বর জৈনদের একটি মন্দিরে স্থাপিত মূর্তির নিচে রূপচাঁদ জগৎশেঠ ও সংবৎ ১৮৭৩ (১৮১৬ খৃষ্টাব্দ) অঙ্কিত দেখা যায়।সম্ভবত জগৎশেঠরা দিগম্বর সম্প্রদায়কে উক্ত মূর্তি উপহার দিয়ে থাকবেন। কিন্তু ১৮৭৩ সংবৎ বা ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে রূপচাঁদ জগৎশেঠ ছিলেন কিনা শেঠদের বংশতালিকা হতে তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।খোশালচাঁদের আরও অনেক কীর্তির কথা শোনা যায়।কথিত আছে যে,কোন জগৎশেঠ পত্নীর ধর্মার্থে ১০৮টি পুষ্করিণী খনন করিয়েছিলেন।কার সময় এই পুষ্করিণী খনন করা হয় তা সঠিক বলা যাবে না।জগৎশেঠদের বাড়ীর কাছে খোশালচাঁদের নির্মিত একটি সুন্দর উদ‍্যান ছিল।তা খোশালবাগ নামেই প্রসিদ্ধ হয়।আবার এরকম প্রবাদ আছে যে,খোশালচাঁদের অবস্থা হীন হলেও তাঁর কাছে বহু অর্থ ছিল।তিনি সব অর্থ মাটির তলে পুঁতে রাখেন।হঠাৎ তাঁর মৃত‍্যু হওয়ায়,তিনি কারও কাছে অর্থের কথা বলে যেতে পারেননি।সেইজন‍্য তাঁর মৃত‍্যুর পর হতে শেঠদের উত্তরোত্তর দুর্দশা উপস্থিত হয়।*
🏢🏢🏢🏢🏢🏢🔴🏢🏢🏢🏢🏢🏢
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৪)🏢🏢জগৎশেঠ🏢🏢*
        *🔷পরবর্তী শেঠগণ🔷*
        ◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
*🌺জগৎশেঠগণের গৌরব হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে খোশালচাঁদ এ জগৎ হতে বিদায় নিয়েছেন।তিনি যেরকম অর্থাভাব অনুভব করেছিলেন,সেইরকম নিঃসন্তান হওয়ায় তাঁর হৃদয়ে সর্বদা অশান্তি বিরাজ করছিল।এই অশান্তি দূর করবার জন্য তিনি নিজ ভাই সমীরচাঁদের পুত্র হরকচাঁদকে দত্তক নিয়েছিলেন।খোশালচাঁদের মৃত‍্যুর পর হরকচাঁদ অল্পবয়স্ক ছিলেন।হিষ্টিংসখোশালচাঁদের প্রার্থনা পূর্ণ করতে না পেরে দুঃখিত হন।তারজন‍্য তিনি ১৭৮২ খৃষ্টাব্দে হরকচাঁদকে খেলাত ও জগৎশেঠ উপাধি দান করেছিলেন।এই সময় হতে ব্রিটিশ গর্ভণমেন্ট স্বয়ং উপাধি প্রদান করতে আরম্ভ করেন।তাঁরা এর জন্য দিল্লীর দরবারের অনুমতির অপেক্ষা করতেন না।হরকচাঁদ বয়ঃপ্রাপ্ত হলে হেস্টিংস খোশালচাঁদের প্রার্থনা সম্বন্ধে বিবেচনা করবেন বলে আশা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে ইংল‍্যান্ডে গমন করতে হয় বলে, হেস্টিংস নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি।তার পর লর্ড কর্ণওয়ালিস ভারতের গর্ভণর জেনারেল হয়ে আসেন। তিনি মুর্শিদাবাদ হতে নিজামত আদালাদি কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন, এবং জমিদারদের সঙ্গে প্রথমে দশশালা পরে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে,বাংলার জমিদারদেরকে পুরুষানুক্রমে জমিদারী ভোগ করবার ব‍্যবস্থা করে দেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর হতে বাংলার জমিদারদের যে সর্বাংশে সুযোগ ঘটেছে,তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। ভারতবর্ষের রাজধানী কলকাতা দিন দিন সব বিষয়ে শ্রীশালিনী হতে থাকায়,মুর্শিদাবাদ ক্রমে অতীতের গর্ভে নিমগ্ন হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে নবাব নাজিম ও জগৎশেঠদেরও অবস্থা হীন হয়ে পড়ে।নবাব নাজিমগণ বৃত্তিভোগী হয়ে সামান্য আমোদ প্রমোদ নিয়েই নিজেদের সময় অতিবাহিত করতে রত হন।খোশালচাঁদের মৃত‍্যুর পর হরকচাঁদ অত‍্যন্ত অর্থাভাব অনুভব করেছিলেন। কিন্তু তিনি পিত‍ৃব‍্য গোলাপচাঁদের উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করায় কিছু পরিমাণে অবস্থার উন্নতি করেছিলেন।এই সময় হতে শেঠদের কারবার বন্ধ হয়ে যায়।তাঁরা নিজেদের যৎকিঞ্চিৎ সঞ্চিত অর্থেথ উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ‍্য হন।হরকচাঁদ নিজেদের পৈতৃক জৈনধর্ম পরিত‍্যাগ করে বৈষ্ণবধর্ম অবলম্বন করেন।তাঁর বৈষ্ণব ধর্মগ্রহণের কারণ শুনতে পাওয়া যায়।হরকচাঁদ প্রথমে নিঃসন্তান থাকায় অত‍্যন্ত বিষণ্ণ হৃদয়ে কাল যাপন করতেন।সন্তানলাভের আশায় তিনি জৈনমতে অনেক ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করেছিলেন, কিন্তু কিছুতেই ফললাভ করতে পারেননি।পুত্রমুখ দর্শনে বঞ্চিত হয়ে,হরকচাঁদ অত‍্যন্ত অশান্তিতে সময় কাটাচ্ছিলেন।এই সময়ে একজন বৈষ্ণব সন্ন‍্যাসী তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন।তিনি হরকচাঁদের মনোকষ্টের কারণ জেনে তাঁকে বৈষ্ণবমতে অনুষ্ঠান করতে বলেন।তাঁরই উপদেশ অনুসারে কাজ করে হরকচাঁদ সন্তান লাভ করেছিলেন।পরে উক্ত সন্ন‍্যাসীর পরামর্শক্রমে তিনি জৈনধর্ম পরিত‍্যাগ করে বৈষ্ণবধর্ম অবলম্বন করেছিলেন।হরকচাঁদের বৈষ্ণবধর্ম অনুরাগের জন্য তিনি বাসভবন সংলগ্ন স্থানে ঠাকুরবাড়ী নির্মাণ করে।*
*ঠাকুরবাড়ী নির্মাণ কোরে,তাতে গোবিন্দজীনামক শ্রীকৃষ্ণ মূর্তির প্রতিষ্ঠা করেন।মন্দিরের ভিতরের দিকে চীনামাটির নির্মিত ইট দিয়ে সাজানো ও ঘরগুলি মর্মরপাথরে মন্ডিত করা হয়।হরকচাঁদের পর থেকে জগৎশেঠবংশীয়গণ বৈষ্ণবমতই অবলম্বন করে আসছেন।তাঁরা বৈষ্ণবমতে চলিত হলেও জৈন আচার-ব‍্যবহার একেবারে পরিত‍্যাগ করেননি।তাঁদের পূর্বপ্রতিষ্ঠিত কষ্টিপাথর নির্মিত জৈনমন্দির অনেকদিন পর্যন্ত বিদ‍্যমান ছিল।ভাগীরথী তাকে গর্ভস‍াৎ করতে উদ‍্যত হওয়ায়,তার পাথরগুলি আর পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি।জগৎশেঠ বংশীয়দের আদানপ্রদান জৈনসমাজেই অনুষ্ঠিত হয়।তাঁরা জৈনসমাজের নেতা বলেও অভিহিত হয়ে আসছেন। সাধারণ জৈনগণ তাঁদের সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপনে নিজেদেরকে গৌরবান্বিত মনে করে থাকেন।ওয়ারেন্ হেস্টিংস হরকচাঁদকে যে অনুগ্রহ প্রদর্শন করবেন বলে আশা দিয়েছিলেন,শোনা যায় লর্ড কর্ণওয়ালিসও নাকি সে বিষয়ে বিবেচনা করবেন বলে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু হরকচাঁদেরও হঠাৎ মৃত‍্যু হওয়ায় কর্ণওয়ালিস হরকচাঁদের অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রদের প্রতি কোনরকম ভার অর্পণ করতে সাহসী হন নাই।ইন্দ্রচাঁদ ও বিষণচাঁদ নামে হরকচাঁদের দুই পুত্র পিতার মৃত‍্যুর পর সম্পত্তি তুলাংশে ভাগ করে নেন।ইন্দ্রচাঁদের বিয়ের সময় তাঁকে গর্ভণমেন্টহতে খেলাত দেওয়া হয়েছিল।☆Long, Appendix F.P. 579. পরে তিনি জগৎশেঠ উপাধি লাভ করেন।ইন্দ্রচাঁদই শেষ জগৎশেঠ, তাঁর পর আর উক্ত বংশের কেউ সেই ইতিহাস বিশ্রুত উপাধি পাননি।ইন্দ্রচাঁদ উপাধি পেয়ে অনেক ধূমধাম করেছিলেন।তারজন‍্য তাঁকে অনেক পরিমাণে অর্থ ব‍্যয় করতে হয়।এর পর হতে শেঠগণের গৌরব একেবারে শূন‍্য হয়ে যায়। অতঃপর জগৎশেঠ বংশীয়গণ বৃত্তিভোগী হয়ে কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ‍্য হন।শেঠবংশীধরদের ভাগ‍্যে তাও বেশীদিন স্থায়ী হয়নি।*
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🌷🔥🔥🔥🔥🔥🔥
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৫)🏢🏢জগৎশেঠ🏢🏢*
           *পরবর্তী শেঠগণ🏢*
          ☆☆☆☆◆☆☆☆☆
*☘মহারাজ উদারতচাঁদ নিঃসন্তান হওয়ায়,কীরিতসিংহকে দত্তক গ্রহণ করে পরলোক গমন করেন।উদারতচাঁদের ভাই অভয়চাঁদ মহারাজ উপাধির দাবী করেছিলেন, কিন্তু তাঁর দাবী গ্রাহ‍্য হয়েছিল বলে জানা যায় না।অভয়চাঁদের কোন পুত্র না থাকায় তিনি স্বীয় দৌহিত্র দুকুলচাঁদকে দত্তক গ্রহণ করে তাঁর শেঠ উপাধির জন্য প্রার্থনা করেন।তাঁর আশা ছিল,পরে দুকুলচাঁদ মহারাজ উপাধি পাবে।অন‍্যদিকে উদারতচাঁদের বিধবা পত্নী কীরিত সিংহের জন‍্যও মহারাজ উপাধি প্রার্থনা করেছিলেন।☆Long, Appendix F.P 579.এই সমস্ত গোলযোগের জন্য উদারতচাঁদের পর শেঠবংশে আর কেউ মহারাজ উপাধি পাননি।*
*🍁ইন্দ্রচাঁদের পর তাঁর পুত্র গোবিন্দচাঁদ শেঠদের গদীতে বসেন।এর পূর্ব হতেই শেঠদের কারবার বন্ধ হয়ে যায়।পৈতৃক যা কিছু সম্পত্তি ছিল,তার দ্বারাই গোবিন্দচাঁদ জীবিকা নির্বাহ করতে আরম্ভ করেন।তিনি অত‍্যন্ত অপরিমিতব‍্যয়ীও ছিলেন।সম্পত্তির আয় দ্বারা তাঁর বাসনা পূর্ণ না হওয়ায়,তিনি নিজেদের হীরাজহরাদি বিক্রি করতে আরম্ভ করেন।ক্রমে তাঁর অবস্থা অত‍্যন্ত শোচনীয় হয়ে উঠে।অবশেষে তিনি ব্রিটিশ গভর্ণমেন্টের শরণাপন্ন হন।তিনি নিজেদের পূর্বপুরুষগণের সঙ্গে ব্রিটিশ গভর্ণমেন্টের সম্বন্ধ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বৃত্তির জন্য আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিলে,মুর্শিদাবাদের এজেন্ট মেজর জেনারেল রেপারের ও ভারত গভর্ণমেন্টের অনুরোধে ডিরেক্টরগণ ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে গোবিন্দচাঁদকে মাসিক ১২০০ টাকা বৃত্তি অনুমোদন করেন। তাঁর তাঁদের পত্রে গোবিন্দচাঁদের পূর্ব পুরুষদের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের সম্বন্ধ স্বীকার করলেও,গোবিন্দচাঁদের সহিত তাঁদের কোনরকম সম্বন্ধ থাকা স্বীকার করেননি।তবে এজেন্ট মেজর জেনারেল রেপারের অনুরোধক্রমে তাঁর মাসিক ১২০০ টাকা বৃত্তি নির্দেশ করে দেন।বিষণচাঁদের পুত্র শেঠ কিষাণচাঁদও বৃত্তির জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সে সময়ে তাঁকে কোন স্বতন্ত্র বৃত্তি দেওয়া হয়নি। ডিরেক্টরগণ বাসনা করেছিলেন যে, গোবিন্দচাঁদ সন্তানহীন হওয়ায়, তিনি তাঁর প্রাপ‍্য বৃত্তি হতে কিষাণচাঁদকে সাহায্য করতে পারেন। পরে গোবিন্দচাঁদের মৃত‍্যুর পর কিষাণচাঁদের বৃত্তি সম্বন্ধে বিবেচনা করবেন।গোবিন্দচাঁদ নিজ জীবদ্দশায় গোপালচাঁদের বিয়ের সময় নিজামত তহবিল হতে ৫০০০ টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছিল।১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে বঙ্গের তখনকার লেপ্টেনান্ট গভর্ণর হেলিডে সাহেব গোবিন্দচাঁদের ১২০০টাকা ও কিষাণচাঁদের 300 টাকা বৃত্তি দেওয়ার আদেশ করেন। গোবিন্দচাঁদ এই আদেশের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেন।উক্ত আবেদনপত্র স্টেট সেক্রেটারি স‍্যার চার্লস উডের কাছে পাঠালে,তিনি লেপ্টেনান্ট সরকারের আদেশ অগ্রাহ‍্য করে গোবিন্দচাঁদের 1200 টাকা বৃত্তিই অক্ষুণ্ণ রাখেন। 1867 খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে পত্নী জগৎশেঠানী প্রাণকুমারী ও দত্তক পুত্র গোপালচাঁদকে রেখে গোবিন্দচাঁদ পরলোক গমন করেন।*
*🍀গোবিন্দচাঁদের মৃত‍্যুর পর গোপালচাঁদ ও কিষাণচাঁদ একযোগে বৃত্তি প্রার্থনায় এরকম মর্মে আবেদন করেন যে,গোবিন্দচাঁদের প্রদত্ত 1200 টাকা বৃত্তি হতে গোপালচাঁদকে 700 টাকা ও কিষাণচাঁদকে 500 টাকা দেওয়া হোক। কিন্তু সরকার তাঁদের সে আবেদন গ্রাহ‍্য না করে কিষাণচাঁদের জীবিতকাল পর্যন্ত 800টাকা বৃত্তি নির্দেশ করে দিয়ে গোবিন্দচাঁদের বিধবা ও অন‍্যান‍্য পরিবারবর্গকে প্রতিপালনের আদেশ দেন।গোপালচাঁদ পুনর্বার আবেদন করলে,কিষাণচাঁদের ৮০০টাকা বৃত্তি হতে তাঁকে তিনশ টাকা বৃত্তে দেওয়ার আদেশ হয়।গোপালচাঁদ কিষাণচাঁদে বৃত্তি কমিয়ে দিয়ে এই অল্ট পরিমাণ বৃত্তি নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। সরকারকে ধন‍্যবাদ দিয়ে তাঁদের দান প্রত‍্যাখ‍্যান করে পত্রও পাঠিয়েছিলেন।তার পর তিনি অত‍্যন্ত অর্থকষ্টে পড়ে হতাশ মনে ইহ জীবনের লীলা শেষ করতে বাধ‍্য হন।কিষাণচাঁদের মৃত‍্যু হলে গোবিন্দচাঁদের বিধবা জগৎশেঠানী প্রাণকুমারী সরকারের কাছ হতে তিনশ টাকা বৃত্তি পেয়েছিলেন। গোপালচাঁদের মৃত‍্যুর পর তিনি গোলাপচাঁকে দত্তক নেন। গোলাপচাঁদ প্রাপ্তবয়স্ক হলে প্রাণকুমারী নিজ বৃত্তিবৃদ্ধির জন্য ও গোলাপচাঁদের একটি স্বতন্ত্র বৃত্তির জন্য সরকারের কাছে বারংবার প্রার্থনা করেন।তাঁর শেষ আবেদন লেপ্তেনান্ট গভর্ণর স‍্যার চার্লস এলিয়েটের কাছে করা হয়। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি।প্রাণকুমারীর মৃত‍্যুর পর গোলাপচাঁদ পুনর্বার বেঙ্গল সরকার ও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোন জায়গায় তাঁর আবেদন গ্রাহ‍্য হয়নি।অবশেষে তিনি ১৮৯২ খৃষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে স্টেট সেক্রেটারির কাছেও এক আবেদন পত্র পাঠিয়ে ছিলেন।বলা বাহুল‍্য, গোলাপচাঁদ তাতেও কোন ফল পাইনি।তাঁদের পুরাতন বাসভবন জীর্ণ হয়ে ভগ্নস্তূপে পরিণত হওয়ায়, সরকার তাঁর নতুন বাড়ী নির্মাণের জন্য পাঁচহাজার টাকা সাহায্য করেছিলেন।গোলাপচাঁদ অত‍্যন্ত অর্থকষ্টে দিন কাটাতে লাগলেন।সম্প্রতি তিনি ইহজগৎ হতে বিদায় নিয়েছেন।তাঁর ফতেচাঁদ ও উদয়চাঁদ নামে দুইটি পুত্র বিদ‍্যমান আছেন।তাঁরা এক্ষণে নুতন বাড়ীতে বাস করতেন।এইভাবে যে জগৎশেঠগণ অষ্টাদশ শতাব্দীতে বঙ্গরাজ‍্যে ধন-মান ও মহিমায় মন্ডিত হয়ে সমস্ত ভারতবর্ষে নিজেদের গৌরবকিরণ বিকিরণ করেছিলেন,কালের কুটিল ক্রীড়ায় ক্রমে তাঁরা দীন-হীন দশায় পড়ে অতিকষ্টে জিবন যাপন করতে বাধ‍্য হন।*
🤣🤣🤣🤣🤣🤣😭🤣🤣🤣🤣🤣🤣
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৬)🏢🏢জগৎশেঠ🏢🏢*
             *🏢উপসংহার🏢*
         🐃🐃🐃🐃🐃🐃🐃
*🍀অষ্টাদশ শতাব্দীর ইতিহাস আলোচনা করে আমরা দেখলাম যে,উক্ত শতাব্দীতে জগৎশেঠগণ বঙ্গরাজ‍্যে কিরকম গৌরব বিস্তার করেছিলেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলার ইতিহাস উত্থান-পতনের যে বিচিত্র চিত্র অঙ্কিত করে অদ‍্যাপি কৌতূহল পরায়ণ পাঠকের হৃদয়ে বিস্ময়ের নতুন নতুন লীলার সঞ্চার করেছে,সেই বিস্ময়কর চিত্র জগৎশেঠগণের আলো ও ছায়ায় যে পরিস্ফুট হয়েছিল,তা পূর্বাপর আলোচনা করলে সকলে হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন।আলিবর্দীর উত্থান,সরফরাজের পতন,সিরাজের পতন ও মীরজাফরের উত্থান, আবার মীরজাফরের পতন ও মীরকাসিমের অভ‍্যুদয়,কাসিমের পতন ও মীরজাফরের পুনরুদয়, এবং সর্বশেষ মুসলমান রাজত্বের অবসান ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা, এই উত্থানপতনের বিচিত্র ইতিহাসের সঙ্গে জগৎশেঠগণের যে বিশেষভাবে সম্বন্ধ ছিল,সেকথা বোধহয় আর নতুন করে বলতে হবে না।সেই উত্থানপতনের বিচিত্র ব‍্যাপারের সঙ্গে সঙ্গে অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীর ইতিহাস তাঁদেরও যে উত্থান পতনের চিত্র অঙ্কিত করেছে,আমরা যথাসাধ‍্য তাও দেখাতে চেষ্টা করেছি।অষ্টাদশ শতাব্দীর কৌতূহল উদ্দীপক ইতিহাসে জগৎশেঠগণের জায়গা যে কত উপরে ছিল,তা সকলেই উপলব্ধি করতে পারছেন।উক্ত শতাব্দীর অধিকাংশ রাজনৈতিক ব‍্যাপারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।তাঁদের ধন-সম্পত্তির পরিমাণ ছিল না।তাঁদের গৌরবপ্রভা হয়ত দুপুরের সূর্য‍্যের কিরণকেও পরাভূত করেছিল।বাদশাহ,নবাব,রাজা,মহারাজা,জমিদার,মহাজন সকলেই তাঁদের অনুগ্রহের ভিখারী ছিলেন।তাঁরাও দুইহাতে অনুগ্রহ বিতরণ করে গেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে,অনুগ্রহ বর্ষণ করতে করতে তাঁরাও অবশেষে অনুগ্রহভিখারী হয়ে পড়েন।যে জগৎশেঠগণ ধনসম্পত্তি মাথায় তুলে হিমালয়ের অভ্রভেদী শিখরের সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবার চেষ্টা করেছিল,কালের এক সামান্য ফুৎকারে তা বঙ্গোপসাগরে অতল গর্ভে চিরকালের জন্য ডুবে যায়।পরবর্তী জগৎশেঠগণ অনেক চেষ্টা করেও আগের মত উদ্ধার সাধন করতে পারেননি।বহু পরিশ্রম করেও তাঁরা আর নিজেদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেননি।কিছুদিন তাঁরা ব্রিটিশ সরকারের অনুগ্রহ পেয়ে ছিলেন সত‍্য, কিন্তু পরিণামে তা হতে বঞ্চিত হয়ে একরকম ভিখারীবেশে দিনযাপন করতে হয়েছিল।ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রধান সহায় মহাতপচাঁদের, বংশদের শেষ পরিণাম যে দুঃখবহ সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই।ধনৈশ্বর্য‍্যের লীলাক্ষেত্র তাঁদের বিলাসভবন ভগ্নস্তূপে পরিণত।তাঁদের সুরম‍্য উদ‍্যানাদি জঙ্গলে পরিপূর্ণ, কষ্টিপাথর নির্মিত চৌবাচ্চা ভাঙ্গা ও মন্দিরাদি মাটির তলায় তলিয়ে গেছে।এইসব দেখলে বোধহয়,যেন বিরাট ঐশ্বর্য‍্যস্তম্ভ চূর্ণ হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।ভাগীরথীও তার চিহ্ন বিলুপ্ত করবার জন্য প্রতি বৎসর ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছেন।আর কিছুদিন পরে জগৎশেঠগণের নামের সঙ্গে তাঁদের বাসভবনের চিহ্ন হয়ত ধরণীপৃষ্ঠ হতে মুছে যাবে বলে মনে হয়।ভাগ‍্যলক্ষ্মীর বরপুত্র,গৌরবের আদর্শস্থল, ধনসম্পত্তির বিরাট স্তম্ভ,মণিমাণিক‍্যের উজ্জ্বল খনি, জগৎশেঠগণের নাম বাংলার ইতিহাসে চিরদিনই স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে বলেই বোধ হয়, কিন্তু তাঁদের কোন নিদর্শন ধরণীপৃষ্ঠে বিরাজ করবে বলে মনে হয় না। ইতিহাসের পৃষ্ঠা ছাড়া আর কোথাও জগৎশেঠগণের পরিচয় পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 জগৎ শেঠ 🙇 গ্রন্থকার নিখিলনাথ রায় 📚 দ্বিতীয় ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/12/jagotseth2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔜 ক্রমাগত 👉 

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ꧁👇 📖 সূচীপত্র ✍️ শ্রী জয়দেব দাঁ 📖 👇꧂



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️ 
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

  *••••┉❀꧁👇🏠Home Page🏠👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

     *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
   🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧





শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html