🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔙 পূর্ব লীলা 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 একাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga11.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১১)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
   *বল্লভ ভট্টের আগমন ও গর্ব চূর্ণ*
    <><><><><><><><><><><><><
*🍀বঙ্গদেশ হতে শ্রীচৈতন‍্য মহাপ্রভুর ভক্তগণ পুরুষোত্তমে আসিতেন,সে সময় মহাপ্রভুর পূর্বপরিচিত বল্লভ ভট্টও একবার পুরীতে এসেছিলেন।ভট্ট আগমন করে গৌরহরিকে যথোচিত সম্মান করে তিনি তাঁর চরণে প্রণত হলেন।মহাপ্রভুও তাঁকে সমাদর করে অভ‍্যর্থনা করলেন।ভট্ট নানাভাবে শ্রীগৌরাঙ্গের স্তুতিবাদ করলে,শ্রীচৈতন‍্য বললেন,ভট্ট! "আমি মায়াবাদী সন্ন‍্যাসী", কৃষ্ণভক্তি কিরকম তা কিছুই জানি না।ভট্টের মনে ধারণা ছিল যে,তিনি শ্রীমদ্ভাগবতের অর্থ যেমন বুঝতে সমর্থ,অন‍্যে সেরকম বুঝতে পারে না।তিনি সেজন‍্য একদিন শ্রীচৈতন‍্য মহাপ্রভুর কাছে এসে বললেন, আমি ভাগবতের একটি টীকা রচনা করেছি ; আপনি যদি দয়া করে শোনেন, তাহলে আমি বড় সুখী হই।মহাপ্রভু আগে থেকেই জানতেন যে,ভট্টের ভাগবত সম্বন্ধে বিশেষ অধিকার আছে বলে,তাঁর ভীষণ গর্ব হত, সেজন‍্য শ্রীচৈতন‍্য ভট্টের কথার উত্তরে বললেন,"আমি ভাগবত ভাল বুঝি না, এবং সেটি শোনারও আমার বিশেষ অধিকার নাই।ভট্ট অত‍্যন্ত দুঃখিত হয়ে ফিরে গেলেন।অন‍্যান‍্য পন্ডিতদের কাছে ভাগবতের টীকা শুনিয়ে, প্রশংসা লাভ করাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য।তিনি মহাপ্রভুর অন‍্যান‍্য ভক্তদের কাছে গিয়ে ব‍্যাখ‍্যা শুনাবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেন ; কিন্তু কেউই তাঁর রচিত ভাগবতের টীকা শোনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেন না।মহাপ্রভুর উপেক্ষাতেই সকলে তাঁর ব‍্যাখ‍্যা শুনতে উপেক্ষা করলেন। একদিন ভট্ট শ্রীগৌরাঙ্গ সভায় আগমন করে বললেন,"পতিব্রতা নারী কখন মুখে পতির নাম উচ্চারণ করে না ; তোমরা কৃষ্ণকে পতি বলে স্বীকার কর ; তবে তোমরা কিভাবে তাঁর নাম রসনায় গ্রহণ কর?তখন মহাপ্রভু ভট্টের কথার উত্তরে বললেন, "স্বামীর আজ্ঞা পালনই পতিব্রতার ধর্ম।পতির ইচ্ছা,সর্বদা আমরা তাঁর নাম গ্রহণ করে এই মানব জীবন কৃতার্থ করি।এজন‍্য তাঁর আজ্ঞা আমরা লঙ্ঘন করতে পারি না।*
*আর একদিন ভট্ট শ্রীগৌরাঙ্গের সভায় এসে বললেন, শ্রীধর স্বামীর ভাগবতের টীকা আমি উপযুক্ত বিবেচনা করি না ; আমার উনার একটি টীকা ভালভাবেই তৈরী করেছি।শ্রীচৈতন‍্য ভট্টের কথা শুনে মৃদু হেসে বললেন, "যে স্বামীকে মানে না,সে কুলটা নারী।ভট্ট মহাপ্রভুর এইকথা শুনে,ক্রোধান্বিত হয়ে গৃহে ফিরে গেলেন।তিনি মনে করেছিলেন যে তিনি গৌরাঙ্গ সভায় বিশেষ প্রশংসা লাভ করবেন। কিন্তু আশায় নিরাশা হয়ে তাঁর গর্বচূর্ণ হয়ে গেল। তিনি ভেবে দেখলেন যে,পূর্বে আম্বুলি গ্রামে তিনি মহাপ্রভুর কৃপা লাভ করেছিলেন,এখন সে কৃপা হতে বঞ্চিত হয়েছেন,সে কেবল নিজেরই দোষে।এইসব চিন্তা করে তিনি শ্রীচৈতন‍্যদেবের কাছে এসে তাঁর চরণ ধরে কাঁদতে কাঁদতে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।*
*🌷অপরাধ কৈনু ক্ষম লইনু শরণ*।
*🌷কৃপা করি মোর মাথে ধরহ চরণ।।*
*🍁করুণাময় গৌরহরি বললেন, ভট্ট!তুমি পন্ডিত,শ্রীধর স্বামীর টীকার উপর দোষারোপ করে গর্ব করা ভাল নয়।শ্রীধরস্বামী জগদগুরু ; তারই প্রসাদে ভাগবতের তাৎপর্য‍্য লোকে বুঝতে সক্ষম হয়।তাঁকে অতিক্রম করে টীকা রচনা করলে,সে টীকা লোকে গ্রহণ করবে না।তাঁরই অনুগত হয়ে টীকা রচনা কর এবং কৃষ্ণানুগত প্রাণ হয়ে জীবন অতিবাহিত কর। জ্ঞানগর্ব পরিত‍্যাগ করে শ্রীনামসংকীর্তন কর,অচিরে ভগবৎকৃপা লাভে জীবন সফল হবে। বল্পভ ভট্ট মহাপ্রভুর কথায় অত‍্যন্ত প্রীতি লাভ করে,তাঁকে ও তদীয় ভক্তগণকে নিজ ভবনে নিমন্ত্রণ করেন।গৌরহরি ভক্তগণসহ ভট্টের বাড়ীতে গমন করলেন।ভট্ট মহানন্দে তাঁদেরকে ভোজন করালেন।ভট্ট পুরুষোত্তমে বাস করে শ্রীগৌরাঙ্গ ভক্তগণের নৃত্য কীর্তনাদি দেখে ভীষণ ভীষণ আনন্দ পেলেন, তাঁর চিত্ত পরিবর্তন হয়ে গেল।তিনি মহাপ্রভুর আজ্ঞায় গদাধর পন্ডিতের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১২)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
         *গোপীনাথ পট্টনায়ক উদ্ধার*
          ~~~~~~~~~~~~~~~~~
*🍀শ্রীভবানন্দ রায়ের পুত্র রায় রামানন্দের সহোদর গোপীনাথ পট্টনায়ক রাজা প্রতাপরুদ্রের কর্মচারী ছিলেন।উৎকলের মধ্যে মালজ‍্যাঠা দন্ডপাঠের কর সংগ্রহের ভার তাঁর উপর অর্পিত হয়েছিল।হিসাব নিকাশের সময় গোপীনাথের কাছ হতে দুইলক্ষ কাহন কড়ি অনাদায় হওয়াতে রাজবিধান অনুসারে নিচে খড়্গ রেখে মাচার উপর থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া স্থির হল।ভবানন্দের পুত্রের এই বিপদের সময় কোন কোন ব‍্যক্তি মহাপ্রভুর কাছে এই ঘটনা বলে তাঁর প্রাণ রক্ষার জন্য রাজাকে অনুরোধ করতে বলেন।শ্রীচৈতন‍্যদেব বললেন, আমি সন্ন‍্যাসী ; রাজার টাকা অপচয় করলে,রাজা শাস্তি দিবেন, এ বিষয়ে আমি কি করতে পারি? এমন সময়ে একজন এসে বলল,গোপীনাথ ও বাণীনাথকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে।মহাপ্রভু এইকথা শুনে জিজ্ঞাসা করলেন,বন্ধন দশায় বাণীনাথ কি করছে?জনৈক ব‍্যক্তি বলল,বাণীনাথ হরিনাম জপ করছে।অবিলম্বে আর এক ব‍্যক্তি মহাপ্রভুর নিকট এসে বলল, গোপীনাথের প্রাণবধের সবই ঠিক হয়েছে ; এখনই মাচার উপর হতে তাঁকে নিচে খড়্গের উপর নিক্ষেপ করা হবে। করুণাময় গৌরহরি তার কথা শুনে বললেন,আমি সন্ন‍্যাসী, আমি এ বিষয়ে কি করব?যাঁকে ডাকলে মানুষ বিপদ হতে উদ্ধার লাভ করে,এখন তোমরা তাঁদের উদ্ধারের জন্য সেই বিপদভঞ্জন হরিকে স্মরণ কর। যখন গোপীনাথকে মাচার উপর হতে ফেলে দিবার ব‍্যবস্থা হচ্ছে,তখন রাজমন্ত্রী হরিচন্দন উৎকলাধিপতির কাছে উপস্থিত হয়ে গোপীনাথের প্রাণরক্ষার জন্য প্রার্থনা করলেন ; এবং বললেন,বাকী টাকা,তাঁর ঘোড়াদি বিক্রি করে,রাজকোষে জমা দেওয়া যাবে।রাজা প্রতাপরুদ্র তাঁর কথা শুনে বললেন, গোপীনাথের টাকার জন্য আমি তার প্রাণবধের আজ্ঞা দিই নাই, টাকা আদায় করতে বলেছি ; বড় জানা ঐরকম ভয় দেখিয়ে, টাকা আদায়ের ব‍্যবস্থা করবেন বলেছিলেন।প্রতাপরুদ্র গোপীনাথের মুক্তিদানের আদেশ দিয়ে রাজমন্ত্রীকে গোপীনাথের নিকট হতে বাকী টাকা আদায়ের ভার প্রদান করলেন।গোপীনাথ মুক্তি লাভ করলেন।*
*🌺কয়েকদিন পরে কাশীমিশ্র মহাপ্রভুর নিকট উপস্থিত হলে, তিনি বললেন,এখানে বিষয়ীদের কাজে আমাকে বড় উত‍্যক্ত হতে হয়,আমি এখান থেকে আলালনাথে গিয়ে বাস করব মনে করেছি।কাশীমিশ্র বললেন, ভবানন্দের পরিবারবর্গকে তুমি অত‍্যন্ত স্নেহ কর,সেজন‍্য বিপদের সময় গোপীনাথের কর্মচারীরা এসে তোমাকে জানিয়েছিল। তুমি এ জায়গা ছেড়ে যেও না।আর তোমার কাছে বিষয়-সংঘটিত প্রস্তাব না আসে,সেজন‍্য আমরা বিশেষ ব‍্যবস্থা নিব।*
*কাশীমিশ্রের ভবনে রাজা প্রতাপরুদ্র নিত‍্য আগমন করে শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্যের বন্দনা করতেন।রাজা মিশ্রভবনে উপস্থিত হলে, মিশ্র বললেন, গোপীনাথকে চাঙ্গের উপর থেকে ফেলে দেওয়া হবে স্থির হলে,মহাপ্রভুর নিকট গোপীনাথের কর্মচারীরা এ সংবাদ দিয়ে তাঁর প্রাণ রক্ষার উপায় বিধান করতে বলে ; মহাপ্রভু কোনরকম বিষয়-ব‍্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে ইচ্ছা করেন না ; সেজন‍্য এই সমাচার তাঁর নিকট উপস্থিত হলে, তিনি এ বিষয়ে নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করে বলেন, "গোপীনাথ অপরাধী হয়ে রাজদন্ড ভোগ করবে, আমি সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারব না। কাশীমিশ্র রাজাকে এইসব কথার উল্লেখ করে বললেন,বিষয়-সংঘটিত ব‍্যাপার তাঁর কাছে উপস্থিত যেন না হয়,সেজন‍্য তিনি আলালনাথে গিয়ে বাস করতে চান। উৎকলাধিপতি বললেন,গোপীনাথের জীবননাশের আজ্ঞা দেওয়া হয়নি।গোপীনাথ পুরুষোত্তম জানাকে অপমান করেছিল বলে তিনি বাকী টাকা আদায়ের জন্য তাঁকে ঐরকম ভয় দেখিয়েছিলেন।রাজা বললেন, ভবানন্দ ও তাঁর পুত্রদেরকে আমি স্নেহের চক্ষেই দেখি,রামানন্দকে রাজমাহেন্দ্রীর ও গোপীনাথকে মালজ‍্যাঠা দন্ডপাঠের শাসনভার অর্পণ করেছিলাম।কখনও তাদের কাছ হতে হিসাব দেখতে চাই নাই।যাইহোক, আমি গোপীনাথের নিকট হতে প্রাপ‍্য টাকা গ্রহণ করব না।তুমি মহাপ্রভুর চরণ ধরে তাঁকে এখানে থাকতে বলবে।আমি তাঁর জন্য দুইলক্ষ কাহন কড়ি কি তাঁর জন্য আমি রাজ‍্য পর্য‍্যন্ত পরিত‍্যাগ করতে পারি।কাশীনাথ মিশ্র রাজার কথা শুনে বললেন, মহাপ্রভু এতে সন্তুষ্ট হবেন না ; মনে করবেন,তাঁরই জন্য, গোপীনাথকে টাকা দিতে হল না। রাজা কাশীনাথ মিশ্রকে বললেন,তুমি দয়াময় গৌরহরিকে বলবে,ভবানন্দ পরিবারের প্রতি স্নেহবশতঃ আমি গোপীনাথের দেয় টাকা গ্রহণ করব না।*
*☘কাশীমিশ্র শ্রীচৈতন‍্যদেবের কাছে গিয়ে,গোপিনাথ সম্বন্ধে রাজার সব কথা তাঁকে বললেন,তাঁকে নীলাচলে থাকবার জন্য উৎকলাধিপতি একান্ত অনুরোধ নিবেদন করলেন।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🌻🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১৩)🙏শ্রীগৌরাঙ্গ চরিতসুধা*
   *গোপীনাথ পট্টনায়ক উদ্ধার*
                     *এবং*
      *প্রদ‍্যুম্ন মিশ্রের ভক্তি শিক্ষা*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀ভক্ত,উদারচেতা,দয়ালু উৎকলাধিপতি, গোপীনাথকে ডেকে, পুরুষোত্তম জানা প্রভৃতির সামনে বললেন, "তোমার কাছে আমার যত কড়ি প্রাপ‍্য আছে,তা সমস্ত ছেড়ে দিলাম।মালজ‍্যাঠা দন্ডপাঠের ভার আগের মতই তোমারই উপর রইল।আর তোমার বেতন যা ছিল,তার দ্বিগুণ বৃদ্ধি করলাম ; এবার থেকে আর রাজস্বের টাকা অন‍্যায়ভাবে গ্রহণ করবে না।মহাপ্রভু শ্রীচৈতন‍্যদেবের আশীর্বাদ নিয়ে কাজে রত হও।এই বলে তিনি গোপীনাথের মাথায় নেতধটী(প্রাচীন কালে ব‍্যবহৃত সূক্ষ্ম পট্টবস্ত্র বিশেষ) পরিয়ে দিলেন।ভবানন্দ তারপর পুত্রগণ সহ শ্রীচৈতন‍্যদেবের কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে তাঁর চরণ ধরে বললেন,কোথায় আমার পুত্র খড়্গে বিদ্ধ হয়ে প্রাণত‍্যাগ করে,আর কোথায় আজ তার দ্বিগুণ বেতন বৃদ্ধি হল ; আর তার মস্তকে নেতধটী স্থাপিত হল।এ সবই তোমার কৃপা। গোপীনাথ মহাপ্রভুর চরণে প্রণাম করে,ক্রন্দন করতে করতে রাজার অপূর্ব করুণার কথা উল্লেখ করলেন, এবং তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করে নিজ কার্য‍্যে রত হলেন।*
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
*🔴প্র‍দ‍্যুম্ন মিশ্রের ভক্তি শিক্ষা🔴*
   🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
*🍀যখন শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্য গৌড় হয়ে বৃন্দাবন যাবার সঙ্কল্প করেন,তখন প্রদ‍্যুম্ন মিশ্র কিছুকাল তাঁর সঙ্গে থেকে নানান প্রকারে মহাপ্রভুর সেবাতে তৎপর ছিলেন।মিশ্রকে মহাপ্রভু অত‍্যন্ত স্নেহ করতেন।একবার প্রদ‍্যুম্ন গৌরহরির কাছে এসে কৃষ্ণতত্ত্ব শিক্ষা করবার বাসনা প্রকাশ করেন। মহাপ্রভু বলেন,আমি তো কৃষ্ণকথা জানি না,রায় রামানন্দের কাছে গেলে তিনি তোমায় এ বিষয় ভালভাবে শিক্ষা দান করবেন।তাঁর কথানুসারে প্রদ‍্যুম্ন মিশ্র রামানন্দ রায়ের ভবনে গমন করলেন।গিয়ে শুনলেন,রামরায় দুইটি অল্পবয়স্কা নারীকে উদ‍্যানের মধ্যে নাটক শিক্ষা দিচ্ছেন।রামরায় এই নারীদ্বয়কে স্নান করাতেন,তাদের অঙ্গ মার্জন করতেন ও বস্ত্র পরিয়ে দিতেন।রামরায় অবিকৃত মনে এ সব কাজ করতে পারতেন বলেই লোকে বিশ্বাস করত।রামরায় উদ‍্যান হতে এসে প্রদ‍্যুম্ন মিশ্রকে দেখে সম্ভাষণ পূর্বক জিজ্ঞাসা করলেন,আপনার কিজন‍্য আগমন হয়েছে?মিশ্র মহাশয় সেদিন তাঁর কাছে আগমনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কিছু না বলে,তাঁর কাছ হতে বিদায় নিয়ে গৃহে ফিরে গেলেন।*
*কয়দিন পরে মিশ্র মহাপ্রভুর নিকট উপস্থিত হলেন।তিনি মিশ্রকে রামানন্দের সহিত সাক্ষাতের কথা জিজ্ঞাসা করাতে,প্রদ‍্যুম্ন রামরায়ের নারীদ্বয়কে নাটক শিক্ষা দেওয়া, ও তাদের অঙ্গমার্জনাদির কথা উল্লেখ করলেন।শ্রীচৈতন‍্য বললেন,আমি সন্ন‍্যাসী বটে, কিন্তু কাষ্ঠের পুত্তলী দেখলেও আমার চিত্তবিকার ঘটে থাকে। কিন্তু রামরায়ের দেহ অপ্রাকৃত, রামরায় জিতেন্দ্রিয়।তুমি তাঁর কাছে পুনরায় যাও এবং ভক্তিতত্ত্ব,কৃষ্ণতত্ত্ব শিক্ষা কর। মহাপ্রভুর আজ্ঞায় প্রদ‍্যুম্ন মিশ্র পুনরায় রায় রামানন্দের নিকট গমন করে ভক্তিতত্ত্ব শিক্ষার বাসনা প্রকাশ করলেন।রামরায় পরমানন্দে প্রদ‍্যুম্ন মিশ্রের সঙ্গে ভক্তিতত্ত্ব আলোচনায় রত হলেন।আলোচনা করতে করতে রামরায় যেন উন্মত্তপ্রায় হয়ে উঠলেন ;এবং হৃদয়ের আবেগ আর সংবরণ করতে না পেরে নৃত‍্য করতে আরম্ভ করলেন।মিশ্র রামানন্দের কৃষ্ণতত্ত্ব প্রেমতত্ত্ব ও ভক্তিতত্ত্ব বিষয়ের গভীর জ্ঞান ও তাঁর ভাবপ্রবণতা দেখে বিমুগ্ধ হয়ে পড়লেন।মিশ্র সফলকাম মনে করে শ্রীচৈতন‍্য মহাপ্রভুর নিকট সকল বিষয় জ্ঞাত করলেন।*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১৪)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
                *🌹রাঘবের ঝালি🌹*
                *হরিদাসের দেহত‍্যাগ*
               ∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
*🍀প্রতি বৎসর রথযাত্রার সময় যখন গৌড়ীয় ভক্তগণ নীলাচলে আগমন করতেন,তখন তাঁদের মধ্যে অনেকেই মহাপ্রভুর জন‍্য নানান খাদ‍্য দ্রব‍্য নিয়ে আসিতেন।ভক্তদের পত্নীরা গৌরহরির প্রতি আন্তরিক ভক্তি ও শ্রদ্ধা বশতঃ এইসব খাদ‍্যদ্রব‍্য তৈরী করে পাঠাতেন।বৎসরান্তে মহাপ্রভুর অঙ্গসেবক গোবিন্দ এইসব খাদ‍্যবস্তুর দ্বারা ঘর পূর্ণ করে ফেলতেন।সকলেই আপনাপন নামে গোবিন্দের হাতে সব খাবার দিয়ে মহাপ্রভুকে যৎকিঞ্চিৎ আস্বাদন করবার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করতেন।গৌড় হতে আনীত খাদ‍্যদ্রব‍্যাদির মধ্যে পানিহাটীর রাঘব পন্ডিতের ঘর হতে মহাপ্রভুর জন্য ফুলবড়ি,সুক্ত বিবিধ প্রকার আচার ও নানাপ্রকার সামগ্রী প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট থলিতে ভরে একটি বড় পেটরার মধ্যে দিয়ে একাধিক বাহক বহন করে নীলাচলে নিয়ে যেত।মহাপ্রভু সন্ন‍্যাসী,তিনি সব বিষয়েই উদাসীন।একদিন গোবিন্দ মহাপ্রভুকে আনীত দ্রব‍্যাদির কিছু কিছু অংশ ভক্ষণ করতে বললেন।তার মধ্যে নূতন ও পুরাতন সবরকম সামগ্রী ছিল।মহাপ্রভু এ সবই হতে প্রসন্নচিত্তে কিছু কিছু নিয়ে ভক্ষণ করলেন।গোবিন্দ গৌরহরির আহারের সময় কার কোন দ্রব‍্য তা মহাপ্রভুকে বলতে লাগলেন।সেদিন অনেক দ্রব‍্য আহারের পর গোবিন্দ বলল,এখন রাঘবের ঝালি বাকী আছে ; তিনি অন‍্যদিন তা ভোজন করবেন বলিয়া রেখে দিতে বললেন।গৌড়ীয় ভক্তদের বাৎসরিক এইরকম উপঢৌকনের মধ্যে রাঘব-দময়ন্তী দেবীর উপঢৌকনই নানান প্রকার ও বহুল বলেই বিবেচিত হত।এইজন‍্য রাঘবের ঝালি প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল।*
*💧হরিদাসের দেহত‍্যাগ বা প্রয়াণ💧*
*🌺পুরুষোত্তমে শ্রীচৈতন‍্যদেবের যে সকল ভক্ত জীবনের অনুপম সৌন্দর্য্য গুণে সকলের চিত্ত হরণ করতেন,তার মধ্যে হরিদাস তাঁদের মধ্যে উজ্জ্বল রত্নসম।হরিদাস অনুদিন অনুক্ষণ হরিনাম জপে ও কীর্তনে রত থাকতেন।তিনি বিনয়ের অবতার ছিলেন।হরিদাস মুসলমানকুলে পালিত হয়েও উচ্চবংশের দেবচরিত্র ব্রাহ্মণের ন‍্যায় বহুলোকের কাছ হতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি পেয়েছিলেন।হরিভক্ত পবিত্রচেতা ব‍্যক্তিরাই যে যথার্থ দ্বিজশ্রেষ্ঠ শ্রীগৌরাঙ্গই বঙ্গদেশে তাঁর কথা ও কাজের দ্বারা তা প্রকাশ করে গিয়েছেন।মহাপ্রভু হরিদাসকে ভীষণ ভীষণ ভালবাসতেন।নিত‍্য তাঁর দর্শন করবার জন্য হরিদাসের কুটীরে আসিতেন। গোবিন্দ মহাপ্রভুর আদেশেই নিত‍্য নামাচার্য‍্য হরিদাসের জন্য প্রসাদান্ন নিয়ে যেতেন।একদিন গোবিন্দ প্রসাদান্ন নিয়ে হরিদাসের কুটীরে উপস্থিত হয়ে দেখলেন,তিনি শয‍্যায় শয়ন করে গুণগুণ রবে হরিনাম জপ করছেন।গোবিন্দ তাঁকে ভোজনের জন্য অনুরোধ করলে,তিনি মৃদুস্বরে বললেন,আমি নামের সংখ্যা পূর্ণ করতে পারছি না,কিভাবে আহার করব?তবে প্রসাদান্নও বা কিভাবে একেবারে গ্রহণ না করে থাকব? এই বলে তা হতে একবিন্দু অন্ন মুখে দিয়ে পুনরায় নামজপে রত হলেন।হরিদাস বৃদ্ধ হয়েছেন ; তাঁর প্রাণবিহঙ্গ এখন সংসারের পরপারে বিভুগুণ কীর্তনের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।দুর্বল শরীরে নাম জপের সংখ্যা পূর্ণ হচ্ছে না,এই তাঁর গভীর দুঃখ।*
*মহাপ্রভু হরিদাসের কুটিরে আগমন করে তিনি কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করাতে,হরিদাস তাঁকে ভক্তিপূর্ণ প্রণাম জানিয়ে বললেন, "শরীর একপ্রকার সুস্থ আছে কিন্তু মনের অবস্থা তেমন ভাল নাই"।গৌরহরি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি ব‍্যাধি,আমাকে খুলে বল? হরিদাস বললেন,প্রভো!শ্রীনাম জপের নির্দ্ধারিত সংখ্যা পূর্ণ করতে পারছি না আমার এই দুঃখ।শ্রীচৈতন‍্যদেব বললেন,"নামমাহাত্ম‍্য প্রচারের জন্যই তুমি এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছ,লোকের তাও ঘোষণা করলে, এখন বৃদ্ধ হয়েছ,শ্রীনামজপের সংখ্যা কম করে ফেল"।এতে কোন অপরাধ হবে না।হরিদাস বললেন,প্রভু!আমি অস্পৃশ‍্য অধম নীচ জাতি ; তোমারই কৃপাতে আমি গৌরবান্বিত হয়েছি; এবং অনেক উচ্চ অধিকার লাভ করেছি।প্রভু তুমি তো আর মানব না, সাক্ষাৎ ভগবান,তুমি নিজ ইচ্ছানুসারে মানুষকে কাজ করাও।প্রভো!বহুদিন হতে আমার এই মনে হচ্ছে যে,তুমি অতি শীঘ্রই ইহলোকের লীলা সাঙ্গ করে চলে যাবে।সে তোমার সাঙ্গ লীলা আমাকে আর দেখতে না হয়,এই আমার বাসনা।অন্তিমকালে যেন তোমার শ্রীচরণ বক্ষে ধারণ করে, তোমার শ্রীচাঁদবদন দেখতে দেখতে, এবং তোমার মধুময় শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্য নাম উচ্চারণ করতে করতে আমার দেহান্ত হয়।দয়াময়!তোমার শ্রীচরণে আমার এই নিবেদন।*
*🌷এক বাঞ্জা হয় মোর বহু দিন হৈতে।*
*🌷লীলা সম্বরিবে তুমি লয় মোর চিতে।।*
*🌷সেই লীলা প্রভু মোরে কভু না দেখাইবা।*
*🌷আপনার আগে মোর শরীর পড়িবা।।*
*🌷হৃদয়ে ধরিব তোমার কমল চরণ।*
*🌷নয়নে দেখিব তোমার চাঁদ বদন।।*
*🌷জিহ্বায় উচ্চারিব তোমার কৃষ্ণচৈতন‍্য নাম।*
*🌷এই মত মোর ইচ্ছা ছাড়িব পরাণ।।*
*🌷মোর ইচ্ছা এই যদি তোমার কৃপা হয়।*
*🌷এই নিবেদন মোর কর দয়াময়।।*
*🌹দয়াময় মহাপ্রভু হরিদাসের ব‍্যাকুল প্রার্থনা শুনে বললেন, হরিদাস! তোমার যে বাসনা,তা অবশ‍্য ভগবান পূর্ণ করবেন।কিন্তু আমার কাজই যে তমাকে নিয়ে ; আমাকে ছেড়ে যাওয়া তোমার উচিত নয়।হরিদাস মহাপ্রভুর চরণ ধরে বললেন, আমার মস্তকের মণিস্বরূপ এমন কত ভক্ত তোমার লীলার সহায় হবে। আমার মত সামান্য একটি পিপীলিকা ইহসংসার হতে চলে গেলে তোমার কোনই ক্ষতি হবে না।কথোপকথনে বেলা বাড়তে লাগল,মহাপ্রভু স্নান ও ভোজনের জন্য গমন করলেন।গৌরহরি দেখলেন, হরিদাসের ইহলোকের দিন ফুরিয়ে আসিল। তিনি তার পরদিন ভক্তগণসহ হরিদাসের কুটিরে আগমন করলেন।*
☘🌳🌲🌻🍀🍁🌷🌹💐🌸🥀🏵🌼
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১৫)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
                 *হরিদাসের দেহত‍্যাগ*
                 ================
*🌼মহাপ্রভু এসে দেখেন,তাঁর ক্ষীণ দেহ হতে প্রাণবায়ু বেড়িয়ে যাবার আর বেশী দেরী নাই, অর্থ‍্যাৎ মৃত‍্যু আসন্ন প্রায়।তিনি হরিদাসের শরীরের অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করলে, হরিদাস বললেন,মহাপ্রভু!তুমি যেমন রেখেছ আমি তেমনি আছি।শ্রীচৈতন‍্যদেব ভক্তগণসহ সেই মূমুর্ষ অনন্তধামের যাত্রী ভক্ত হরিদাস ঠাকুরের শয‍্যার চতুর্দিক বেষ্টন করে,কীর্তন করতে লাগলেন। স্বরূপ দামোদর,বক্রেশ্বর পন্ডিত,রায় রামানন্দ, সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য প্রভৃতি নীলাচলের সমস্ত ভক্তগণই আজ নামাচার্য‍্য হরিদাসের মৃত‍্যু-শয‍্যাপার্শ্বে সমবেত হয়েছেন।কীর্তন করতে করতে মহাপ্রভু হরিদাসের বিচিত্র গুণাবলী স্মরণ করে ভাবে উন্মত্তপ্রায় হয়ে সকলের সামনে তা বর্ণনা করতে লাগলেন।হরিদাস তখনও বতর্মান।যাঁদের সঙ্গে তিনি এতদিন হরিগুণ কীর্তনে জীবন অতিবাহিত করেছেন,আজ বিদায়কালে তাঁদের চরণধূলি মস্তকে গ্রহণ করলেন।*
*অবশেষে হরিদাস শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্যকে সম্মুখে বসালেন,এবং তাঁর পদদ্বয় বক্ষে ধারণ করে অনিমিষনয়নে তাঁর শ্রীমুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।তাঁর দুই নয়ন হতে বারিধারা বহিতে লাগল এবং শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্যদেবের নাম উচ্চারণ করতে করতে নামাচার্য‍্য হরিদাসের প্রাণবায়ু বেড়িয়ে গেল।হরিদাসের দেহান্ত হলে,ভক্তদের কন্ঠ হতে হরিধ্বনিতে চারিদিক পূর্ণ হয়ে যেতে লাগল।শ্রীচৈতন‍্যদেব হরিদাসের মৃতদেহ কোলে করে নৃত্য করতে লাগলেন।অবশেষে সকলে কীর্তন করতে করতে তাঁর মৃতদেহ সাগর-জলে নিয়ে গিয়ে স্নান করালেন, এবং সকলে তাঁর পাদোদক পান ও চরণধূলি মস্তকে গ্রহণ করলেন।শ্রীচৈতন‍্যদেব বললেন, হরিদাসের অঙ্গস্পর্শে আজ হতে সাগর মহাতীর্থে পরিণত হল।তাঁরা হরিদাসের মৃতদেহে নূতন কৌপীন ও বহির্বাস পরিয়ে,পুষ্পে সজ্জিত করলেন, এবং প্রসাদান্ন সঙ্গে দিয়ে সাগরতটে বালুকারাশির মধ্যে প্রোথিত করলেন।অবশেষে সমাধির চতুর্দিকে ক্ষণকাল কীর্তন করে ভক্তগণ গৃহাভিমুখে প্রত‍্যাবর্তন করলেন। হরিদাসকে সমাধিস্থ করে শ্রীচৈতন‍্যদেব তাঁর মহোৎসবের জন্য সিংহদ্বারে ও সব দোকানে গিয়ে ভিক্ষা সংগ্রহ করতে লাগলেন।( ভগবান ভক্তের জন্য কি-না করেন) সকলেই মহাপ্রভুকে প্রচুর পরিমাণে ভিক্ষা দান করতে লাগলেন।এই মহোৎসবে সকলে ভোজন করতে বসিলে, মহাপ্রভু নিজহাতে পরিবেশন করতে লাগলেন। গৌরহরি এক একজনের পাতে পাঁচ-পাঁচজনের খাবারপ্রদান করতে লাগলেন।সকলেই হরিধ্বনি করতে করতে আকন্ঠ পূরে ভোজন করলেন।মহাপ্রভু ভোজনান্তে সকলকে চন্দন ও মালা প্রদান করলেন ; এবং অশ্রুজলে বক্ষ ভাসিয়ে সর্বসমক্ষে হরিদাসের গুণকীর্তন করতে লাগলেন।*
😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১৬)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
*গৌড়ীয় নারীদের আগমন ও কথোপকথন*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀প্রায় প্রতি বৎসরের ন‍্যায় এই বছরও নীলাচলে আগমনের উপস্থিত হল।এবার গৌড়ীয়দের পত্নীরাও মহাপ্রভুর দর্শন লালসায় তাঁদের সঙ্গে শ্রীক্ষেত্রে যাত্রা করলেন।শ্রীশিবানন্দ সেন প্রতি বৎসরই ভক্তগণদের সঙ্গে নিয়ে পুরুষোত্তমে যাবার কাজ করতেন।এই বৎসরও তিনি প্রায় তিনশ পুরুষ-নারীর দেখাশোনা রূপে সকলকে নিয়ে যাত্রা করলেন।পথে কোন জায়গায় নদী পার হবার সময় তিনি সকলের পারের কড়ি দিয়ে পার করিয়ে দিলেন ; কিন্তু তাঁর নিজের পারের জন্য ঘাটে কিছু দেরী হল।এদিকে ভক্তদল অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন শিবানন্দের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।বেলা বাড়তে লাগল,তাঁরা কোথায় থাকবেন,কি সেবা করবেন কিছুই স্থির করতে পারলেন না।এইসব অসুবিধার মধ্যে তাঁরা বড়ই কষ্ট অনুভব করতে লাগলেন।বিলম্ব দেখে শিবানন্দ সেনের উপর অত‍্যন্ত বিরক্ত হয়ে নিত‍্যানন্দ বললেন, "শিবানন্দের সব ছেলে মরুক" বলে অভিশাপ করতে লাগলেন।রৌদ্রেতে সকলে একটি বৃক্ষতল আশ্রয় করে অপেক্ষা করছেন,এমন সময়ে শিবানন্দ সেন এসে উপস্থিত হলেন। আসিবামাত্র নিত‍্যানন্দ শিবানন্দ সেনের বক্ষে পদাঘাত করলেন।শান্তস্বভাব শিবানন্দ পদাঘাতে কিছুমাত্র বিরক্তি প্রকাশ না করে,"আমার পরমসৌভাগ্য " এই বলে আনন্দ প্রকাশ করতে লাগলেন।এদিকে শিবানন্দের পত্নী নয়নজল ফেলতে ফেলতে স্বামীকে বললেন,নিত‍্যানন্দপ্রভু তোমার আসিতে দেরী দেখে,তার তিন ছেলে মরুক বলে অভিশাপ দিয়েছেন।এইকথা শুনে শিবানন্দ ঈষৎ হাসি হেসে বললেন,এইকথায় কি রাগ বা দুঃখ করতে আছে?এ যে নিতাইচাঁদের আশীর্বাদ গো।*
*🌸ভক্তদল দীর্ঘ পথ চলে নীলাচলে উপনীত হলে,মহাপ্রভু সবাইকে সমাদর করলেন।ভক্তগণের সকলে শ্রীমন্মহাপ্রভুর শ্রীচরণে দন্ডবৎ প্রণাম করতে লাগলেন,তখন নদীয়াবাসী পরমেশ্বর মোদক তাঁর শ্রীচরণে প্রণাম করলে,মহাপ্রভো মোদককে দেখে ভীষণ সুখী হলেন।পরমেশ্বর মোদকের নিবাস নদীয়ায়, তাঁর বাড়ীর সন্নিকটেয় মহাপ্রভুর গৃহ। গৌরহরি বাল‍্যকালে মোদকের দোকানে মুড়কী,বাতাসা,সন্দেশ প্রভৃতি অনেক মিষ্টান্ন ভক্ষণ করেছিলেন।শিবানন্দ সেনের একটি সাত বৎসরের পুত্র শ্রীচৈতন‍্যদেবকে প্রণাম করলে,তিনি সেই পুত্রের নামকরণ করলেন পুরীদাস।এই বালকই ভবিষ্যতে শ্রীচৈতন‍্যদেবের জীবনী রচনা করেন ; এবং শ্রীকবি কর্ণপুর নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।*
*🍁নীলাচলে পুনঃ আনন্দোৎসব আরম্ভ হল।এবার ভক্ত পরিবারের অন্তরঙ্গ ভক্তের পত্নীরা এসে মহাপ্রভুকে প্রণাম করলেন। দেখতে দেখতে মহোৎসব সম্পন্ন হয়ে গেল।ভক্তগণ সস্ত্রীক চাতুর্মাস‍্য করে স্বদেশে প্রত‍্যাগমনকালে গৌরহরির নিকট বিদায় নিতে আসিলে,তিনি বললেন, তোমরা প্রত‍্যেক বৎসর কত কষ্ট করে নীলাচলে এসে আমার সেবা কর।আমি নিত‍্যানন্দকে বঙ্গদেশে থেকে প্রচার করতে বলেছি ;তিনি তবুও আমাকে দেখবার জন্য এখানে এসে থাকেন।আমি তোমাদের এ প্রেমের ঋণ কখনও পরিশোধ করতে পারব না।আমি সন্ন‍্যাসী,আমার এ দেহ ছাড়া আর কোন সম্বল নেই ; তাও তো তোমাদের দান করেছি।সকলে মহাপ্রভুর এই স্নেহপূর্ণকথা শুনে ক্রন্দন করতে করতে স্বদেশাভিমুখে যাত্রা করলেন।*
👣👣👣👣👣👣👣👣👣👣👣👣👣
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১৭)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
*জগদানন্দ পন্ডিতের অভিমানভঞ্জন*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀জগদানন্দ পন্ডিত কবিরাজ ছিলেন।তিনি মহাপ্রভুর আদেশে অনেক সময় শচীমায়ের দেখাশোনা করতেন নবদ্বীপে থেকে।একবার বঙ্গদেশ হতে নীলাচলে আসিবার সময় তিনি গৌরহরির জন্য এক কলস সুগন্ধি তেল নিয়ে আসেন ; এবং সেই তেল গোবিন্দের হাতে দিয়ে বললেন এই তেল গৌরহরির অঙ্গে ও মস্তকে মর্দন করবেন।জগদানন্দের মনের পূর্ণ বিশ্বাস,ঐ তেলের দ্বারা মহাপ্রভুর শরীর স্নিগ্ধ বা আরামদায়ক থাকবে।তারপর গোবিন্দ মহাপ্রভুকে জগদানন্দের দেওয়া তেলের কথা বললে,শ্রীচৈতন‍্যদেব বললেন,আমি সন্ন‍্যাসী,সন্ন‍্যাসীর পক্ষে তেল ব‍্যবহার নিষিদ্ধ।তুমি ঐ তেল শ্রীজগন্নাথদেবের প্রদীপ জ্বালাবার জন্য প্রদান কর।জগদানন্দ এই কথা শুনলেন,পরেরদিন জগদানন্দ আসিলে মহাপ্রভু তেলের কথা উত্থাপন করে জগন্নাথের সেবার জন্য ব‍্যবহার করতে বললেন।তখন জগদানন্দ ভিতরের ভাব গোপন করে বললেন,আমি বঙ্গদেশ হতে সুগন্ধি তেল এনেছি কে বলল?এই বলিয়া তিনি তেলপূর্ণ কলস মাটিতে আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেললেন।মহাপ্রভু আর কোন কথা বললেন না,কারণ জগদানন্দ মহাপ্রভুর বাল‍্যকালের সাথী।জগদানন্দ কলসটি ভেঙ্গে নিজ ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শয়ন করে রইলেন।তিনদিন এইভাবে কেটে গেল।তারপর শ্রীচৈতন‍্যদেব জগদানন্দের অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য তাঁর বাড়ির দরজার কাছে গিয়ে চিৎকার করে বললেন,আজ তোমার এখানে ভিক্ষা গ্রহণ করব।জগদানন্দ অযাচিত মহাপ্রভুর এই অনুরোধ শুনে পরম পুলকিত চিত্তে শয‍্যা হতে উঠে দরজা খুললেন, এবং গৌরহরির ভোজনের জন্য রন্ধন কার্য‍্যে রত হলেন।জগদানন্দ যেমন সুপন্ডিত ছিলেন তেমনি রন্ধনকার্য‍্যেও সুপটু ছিলেন। তিনি নানা প্রকার ব‍্যঞ্জন রান্না করলেন।বাল‍্যবন্ধু আহার করবে,এই আনন্দে তাঁর প্রাণ মহানন্দে ভরে উঠিল।মহাপ্রভু যথাসময়ে ভোজন করবার জন্য উপস্থিত হলেন।জগদানন্দ তাঁর আহারের জন্য পাতা পাতিলে, মহাপ্রভু বললেন,এই পাতার পার্শ্বে আরেকটি পাতা রাখ,আমরা একসঙ্গে ভোজন করব। জগদানন্দ তাতে স্বীকৃত না হয়ে বললেন,তোমার ভোজনের পর আমি আহার করব।কথা না বাড়িয়ে মহাপ্রভু সেবায় রত হলেন,জগদানন্দ নানান ব‍্যঞ্জন দ্বারা শ্রীচৈতন‍্যদেবকে ভোজন করাতে লাগলেন।মহাপ্রভু তাঁর রন্ধনের বিশেষ প্রশংসা করে বললেন, "ক্রোধাভিভূত হয়ে বড় সুন্দর রন্ধন করেছ"।পরে করুণাময় গৌরহরি জগদানন্দের কাছে বসে তাঁকে আহার করিয়ে, অভিমান ভঞ্জন করিয়ে নিজস্থানে আসিলেন।*
*🍁মহাপ্রভুর কঠোর বৈরাগ‍্য দর্শন করে জগদানন্দ সাধ‍্যানুসারে শ্রীচৈতন‍্যদেবকে একটু সুখে রাখতে যত্ন করতেন।মহাপ্রভুর কলার বাসনায় শয়ন করতেন। কিন্তু তাতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে মনে করে,জগদানন্দ একখানি তুলোর তোষক তৈরী করিয়ে গোবিন্দকে দিয়ে মহাপ্রভুর শয‍্যা প্রস্তুত করতে বললেন।গৌরহরি তোষক দেখে গোবিন্দকে জিজ্ঞাসা করলেন,তোষক কে দিয়েছে?গোবিন্দ বলল,জগদানন্দ পন্ডিত দিয়েছেন। তখন মহাপ্রভু বললেন,তবে তো একখানা খাট বা পালঙ্ক আনলেই তো হয়?এইকথা জগদানন্দ শুনে অত‍্যন্ত অভিমানী হলেন বটে,পরে বুঝলেন সন্ন‍্যাসধর্মে বিলাসিতা চলে না, তিনি আর কোন কথা বললেন না,চুপ করে রইলেন।*
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১৮)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
          *🌹রঘুনাথ ভট্টের আগমন*
                    *🌹নারীর সঙ্গীত*
            *🌹কোন নারীর ধর্মনীষ্ঠা*
         °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
*🍀শ্রীচৈতন‍্যদেব যখন কাশীধামে গমন করেছিলেন,তখন তপন মিশ্রের পুত্র বালক রঘুনাথ তাঁর পদসেবা করতেন এবং তাঁর উচ্ছষ্ট প্রসাদ ভক্ষণ করতেন।এই বাল‍্যাবস্থায় ইনি শ্রীচৈতন‍্যদেবের সুমধুর কথা শুনে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন।তখন হতেই তাঁর মনে ধর্ম ও ভক্তিভাবের সঞ্চার হয়েছিল।রঘুনাথ বয়ঃপ্রাপ্ত হলে শ্রীচৈতন‍্য মহাপ্রভুর দর্শনের জন্য নীলাচলে যাত্রা করেন।পথে যাবার সময় শ্রীরামদাস নামে এক প্রবীণ শাস্ত্রজ্ঞ ও ধর্মপরায়ণ ব‍্যক্তির সঙ্গে ইঁনার পরিচয় হয়।রামদাস যদিও রাম-উপাসক ছিলেন, তথাপি তরুণবয়স্ক যুবা রঘুনাথের ভক্তিভাব দেখে তাঁর প্রতি অত‍্যন্ত আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং রঘুনাথের তল্পি বহন করে,তাঁকে সঙ্গে করে,পুরুষো‍ত্তমে নিয়ে আসেন। তারপর রঘুনাথ মহাপ্রভুর কাছে এসে তাঁকে দন্ডবৎ প্রণাম করলে, মহাপ্রভু প্রথমতঃ রঘুনাথকে চিতনে পারেননি ; পরে পরিচয় যখন দেন আমি তপন মিশ্রের পুত্র রঘুনাথ,তখন সানন্দচিত্তে গৌরহরি তাঁকে আলিঙ্গন দান করেছিলেন।শ্রীচৈতন‍্যদেব তপন মিশ্রের পুত্রের ধর্মনিষ্ঠা,বৈরাগ‍্য ও ভক্তিভাব দেখে তাঁকে অত‍্যন্ত স্নেহ করতেন।*
*রঘুনাথ কাশীধামে ফিরবার সময় শ্রীচৈতন‍্যদেব তাঁকে দারপরিগ্রহ করতে নিষেধ করেন ; এবং ভাগবত পাঠ ও শ্রীকৃষ্ণের নামকীর্তনে সময় অতিবাহিত করতে বলেন। ভক্ত রঘুনাথ ভক্তি ও বৈরাগ‍্য প্রণোদিত অন্তরে মহাপ্রভুর উপদেশ অনুসারে জীবন অতিবাহিত করতে লাগলেন।যখন পিতামাতা ইহলোক ত‍্যাগ করলেন,তারপর রঘুনাথ পুনরায় নীলাচলে আগমন করে কয়েকমাস থাকেন, এবং তৎপর মহাপ্রভুর আজ্ঞায় বৃন্দাবনে গমন করেন।সেখানে সনাতনাদি পরম বৈষ্ণবগণের সঙ্গে মিলিত হয়ে সাধন,ভজন ও হরিগুণ কীর্তনে জীবন অতিবাহিত করেন।বৈষ্ণবদেরপূজ‍্যপাদ ছয়জন গোস্বামীর মধ্যে ইনি অন‍্যতম*
*🔵🔵নারীর সঙ্গীত🔵🔵*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀একদিন শ্রীচৈতন‍্যদেব যমেশ্বর টোটায় যাচ্ছিলেন।দূরে জগন্নাথদেবের মন্দিরের এক দেবদাসী অতি মধুর স্বরে গান করছিলেন।ধর্মাত্মারা চিরদিনই সঙ্গীতে মুগ্ধ হয়ে থাকেন।শ্রীচৈতন‍্যের কোমলহৃদয় গান শুনে মুগ্ধ হয়ে পড়িল ; তিনি উর্দ্ধশ্বাসে সেইদিকে ধাবিত হলেন।সঙ্গীত যে বামাকন্ঠ হতে উত্থিত হচ্ছে,তখন তাঁর সে জ্ঞান নেই। তিনি দৌড়িয়ে গিয়ে,বাহু প্রসারণ করে যেই সে দেবদাসী গায়িকাকে আলিঙ্গন করতে যাবেন,অমনি অঙ্গসেবক গোবিন্দ পেছন পেছন ছুটছিলেন মহাপ্রভুর,সঙ্গে সঙ্গে গোবিন্দ সামনে দাঁড়িয়ে দুই বাহু দ্বারা মহাপ্রভুকে বক্ষে জড়িয়ে ধরলেন।পরে যখন বললেন যে যাকে তুমি আলিঙ্গন করতে যাচ্ছিলে সেই স্ত্রীলোক,এইকথা শুনামাত্র গৌরহরির চৈতন‍্য হল।তিনি গোবিন্দকে বললেন,তুমি যদি আমাকে রক্ষা না করতে তাহলে,আমি আজ দেহত‍্যাগ করতাম,তুমি আজ হতে আমার কাছে থেকে আমাকে রক্ষা করবে*
*🌺🌺কোন নারীর ধর্মনিষ্ঠা🌺🌺*
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
*🍀কোন একদিন অনেকেই শ্রীজগন্নাথদেবের মন্দিরে শ্রীজগন্নাথ করছিলেন,এমন সময়ে শ্রীচৈতন‍্যদেবও সেখানে উপস্থিত হয়ে শ্রীজগন্নাথ দর্শন করছিলেন।এক উড়িয়া নারী গরুড়ের উপর বসে নিবিষ্টচিত্তে শ্রীজগন্নাথদেবের মূর্তি দর্শন করছিলেন ; গোবিন্দ তা দর্শন করে স্ত্রীলোকটিকে তিরস্কার করে সেখান হতে নামাতে গেলে,মহাপ্রভু গোবিন্দকে বললেন, ইঁনার দর্শনের ব‍্যাঘাত সৃষ্টি করিও না।যখন উড়িয়া রমণী দেখল যে শ্রীচৈতন‍্যদেবের স্কন্ধে বা কাঁধে তার চরণদ্বয় স্থাপিত রয়েছে তখন সে লজ্জায় ও দুঃখে মহাপ্রভুর শ্রীচরণ ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলেন।মহাপ্রভু সে নারীর একাগ্রতা ও ধর্মনিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বললেন,এ নারী যথার্থই ভাগ‍্যবতী,যদি এর মত আমার নিষ্ঠা থাকত, আমি নিজেকে সৌভাগ্যশালী মনে করতাম।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১৯)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
*গৌড়ীয় ভক্তাদের আগমন ও গৌর সংকীর্তন।*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀যখন বৎসরান্তে গৌড়ীয় ভক্তগণেরা নীলাচলে আসতেন, চারমাস কাল সেখানে বাস করতেন, তখন অদ্বৈতাচার্য‍্যের ভবনে প্রতিদিন সন্ধ‍্যাবেলা সংকীর্তন হত।আর একদিন ভক্ত সমবেত হলে,অদ্বৈতাচার্য‍্য সবাইকে বললেন, এসো আজ আমরা গৌরচন্দ্রের গুণাবলী কীর্তন করি।আচার্য‍্য অন্তরের চরম ভালবাসা দিয়ে একটি কীর্তন রচনা করেছিলেন।অন‍্যান‍্য ভক্তগণ বললেন,মহাপ্রভুতাঁর গুণকীর্তন শুনিলে অত‍্যন্ত অসন্তুষ্ট হবেন।*
*আচার্য‍্য বললেন,আমরা অন‍্য বিষয়ে তাঁর আজ্ঞাবহহতে পারি, কিন্তু এ বিষয়ে তাঁর কোন কথা আমরা শুনতে রাজী নই।অদ্বৈতাচার্য‍্যের কথায় সবাই সম্মত হয়ে,তাঁরা আচার্য‍্য-রচিত কীর্তনটি অতি উৎসাহের সঙ্গে কীর্তন করতে লাগলেন।মৃদঙ্গ ও করতালের ধ্বনির সঙ্গে তাঁদের কন্ঠধ্বনিতে চারিদিক নিনাদিত করে তুলল। গৌরহরি সংকীর্তনধ্বনি শুনে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখলেন,আজকের কীর্তন অন‍্যান‍্য দিনের ন‍্যায় হরিগুণ কীর্তন নয় ; তাঁরই গুণাবলী কীর্তিত হচ্ছে।অনন্ত ঈশ্বরে ও তাঁতে কত প্রভেদ এটি স্মরণ করে তিনি লজ্জায় ও ঘৃণায় নিজের ঘরে চলে গিয়ে শয‍্যায় শয়ন করলেন।কীর্তনের সময় মহাপ্রভুকে চলে আসতে দেখে কীর্তনকারীরা কীর্তনান্তে সকলে তাঁর ঘরে আসিলেন।দয়াময় গৌরসুন্দর কীর্তন শুনে প্রীতিলাভ করেননি,ইহা অনুভব করে কেউ আর সাহস করে গৃহের ভিতরে প্রবেশ করলেন না।কেবল শ্রীবাস পন্ডিত মহাপ্রভুর কাছে গিয়ে বললেন,চলে আসার কারণ কি জানতে পারি?তখন মহাপ্রভু প্রায় ক্রোধান্বিত হয়ে বললেন,তোমরা যে কীর্তন করছিলে তা মোটেই উচিত হয় নাই।কোথায় হরিনাম সংকীর্তন করবে না,সেই জায়গায় মানুষের মহিমা কীর্তিত হচ্ছে?শ্রীবাস পন্ডিত মহাপ্রভুর কথা শুনে নিজের হাতদুটি উপরে তুলে বললেন শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্যদেবের জয়।তখন মহাপ্রভু বললেন,কেন তুমি মানুষের জয় জয়কার করছ?শ্রীচৈতন‍্য একথা বলাতে শ্রীবাস বললেন,সূর্য‍্যকে কি আবরণে আবৃত করে রাখা যায়? তখন শ্রীচৈতন‍্যদেব শ্রীবাসের কথা শুনে মৌন অবলম্বন করলেন।এমন সময় চট্টগ্রাম ও শ্রীহট্ট অঞ্চলের একদল লোক বা ভক্ত শ্রীচৈতন‍্যদেবের ঘরের দরজায় এসে প্রমত্তভাবে গৌর সংকীর্তন করতে লাগলেন। শ্রীবাস তখন গৌরহরিকে বললেন,ঐ শোন, বল,এখন কার মুখ বন্ধ করবে? এইকথা শুনে গৌরসুন্দর নিরুপায় হয়ে নিরুত্তর রইলেন।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🌻🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২০)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
    *☘প্রেমবিকার ও সাগরে পতন*
       🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
*🌹ভক্ত হরিদাসের তিরোভাবের পর হতেই শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্যের ভাবোচ্ছ্বাস পূর্ণিমার সাগরোচ্ছ্বাসের ন‍্যায় ক্রমশঃই বৃদ্ধি পেতে লাগল।তিনি সবসময়ই বিরহ-যাতনায় অস্থির হয়ে, দিনরাত্রি যাপন করতেন।স্নানাহার কেমল অভ‍্যাস বশতই সম্পন্ন হয়ে যেত।তাঁর এই অবস্থা দেখে ভক্তবৃন্দ ভীত হয়ে পড়লেন।সন্ধ‍্যার পূর্ব অর্থ‍্যাৎ গোধূলি সময় হতে তাঁর ভাব-তরঙ্গ ক্রমে বাড়তে থাকত।ক্রমে যত রাত্রি বেশী হত ততই তিনি যেন সেই ভাবতরঙ্গে ভাসমান হয়ে আত্মহারা হয়ে পড়তেন।সন্ধ‍্যার সময় তাঁর ঘরের মধ্যে রায় রামানন্দ,স্বরূপ-দামোদর প্রভৃতি কৃষ্ণপ্রেমানুরাগী তাঁর অনুগত ভক্তবৃন্দ সমবেত হয়ে তাঁকে যেন চেতনাবস্থায় রাখবার জন্য প্রয়াসী হতেন।কেননা,মহাপ্রভু একেবারে বাহ‍্যজ্ঞানশূন‍্য হয়ে পড়তেন।একদিন সন্ধ‍্যার সময় গৌরহরি ব‍্যাকুল হয়ে স্বরূপ ও রামরায়ের কন্ঠালিঙ্গন করে বললেন,তোমরা শ্রীকৃষ্ণের অপরূপ শক্তির কথা শুনতে চাও?ঐ অপরূপ রূপমাধুরী লোভে মুগ্ধ হয়েই আমি বেদবিহিত ধর্মপথ পরিত‍্যাগ করে যোগী-সাজে সেজে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করেছি। এই কথাগুলি শ্রীচৈতন‍্যচরিতামৃতে শ্রীপাদ কবিরাজ গোস্বামী কলম দিয়েছেন=*
*🌷রায় স্বরূপের কন্ঠে ধরি,*
*🌷কহে "হাহা!হরি!হরি!",*
*🌷ধৈর্য‍্য গেল হইল চপল।*
*🌷শুন বান্ধব! কৃষ্ণের মাধুরী,*
*🌷যার লোভে মোর মন,*
*🌷ছাড়িলেক বেদ ধর্ম,*
*🌷যোগী হঞা হইল ভিখারী।।*
*🌻এইসব কথা বলতে বলতে তিনি কৃষ্ণবিরহে অস্থির হয়ে পড়লেন,ভাবাবেশে আত্মহারা হয়ে পড়লেন। বাহ‍্যজ্ঞান একেবারে বিলুপ্ত হয়ে পড়ল।তখন সবাই ধরাধরি করে,মহাপ্রভুকে ভিতরের ঘরে নিয়ে গেলেন।তারপর রামরায় সময়োচিত একটি শ্লোক পাঠ করলেন।স্বরূদামোদরের মধুর কন্ঠে পূর্বরাগের একটি পদ আরম্ভ করলেন।মহাপ্রভু পদটি শুনে চেতনা লাভ করলেন ; এবং অতি ভক্তিভরে শ্রীকৃষ্ণের মনোহর রূপের বর্ণনা করতে লাগলেন।তাঁদের মনে হল আজকের রাত্রিতে আর মহাপ্রভু সংজ্ঞাহীন হবেন না। তাঁকে শয‍্যায় শয়ন করিয়ে রামরায় নিজ ঘরে গমন করলেন।স্বরূপদামোদর ও গোবিন্দ গম্ভীরার দ্বারদেশে শয়ন করলেন।ঘরের ভিতর মহাপ্রভু উচ্চৈঃস্বরে হরিকীর্তন করতে লাগলেন।তারপর আর কিছুক্ষণ স্বরূপ আর মহাপ্রভুর কন্ঠধ্বনি শুনতে না পেয়ে কপাট খুলে দেখেন, তিনি ঘরের মধ্যে নাই।অথচ ঘরের তিনদিকের কপাট বন্ধ রয়েছে।তাঁরা ব‍্যাকুল চিত্তে গৌরহরির খোঁজে এদিক ওদিক দেখতে লাগলেন,দেখেন মহাপ্রভু সিংহদ্বারে অচৈতন‍্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।ভক্তগণ উচ্চৈঃস্বরে তাঁর কর্ণকুহরে কৃষ্ণনাম উচ্চারণ করতে লাগলেন।শ্রীনাম শুনে তিনি চেতনা লাভ করলেন।চৈতন‍্য লাভ করে শ্রীচৈতন‍্য কিভাবে সিংহদ্বারে আসিলেন,আশ্চর্য‍্যান্বিত ভাবে স্বরূপকে জিজ্ঞাসা করাতে স্বরূপ বললেন,ঘরে চলো সব কথা বলব।এই বলে তিনি তাঁর হাত ধরে ঘরে নিয়ে এলেন, এবং তাঁদের অসাক্ষাতে বন্ধ ঘরের মধ্যে দিয়ে সিংহদ্বারে তাঁর গমনের বৃত্তান্ত বিবৃত করলেন।মহাপ্রভু এই ঘটনা শুনে বিস্মিত হলেন।*
*🍁একদিন সমুদ্রে স্নান করতে যাবার সময়,দূর হতে চটকগিরি দেখতে পেয়ে,গিরিগোবর্ধন মনে করে মহাপ্রভুর মনে কৃষ্ণপ্রেমে হৃদয় উথলিয়ে উঠিল ; তিনি বায়ুর মত দ্রুতগতিতে সেই দিকে ধাবমান হলেন। কিন্তু কিছুদূর যাবার পর,তাঁর অঙ্গ অবসন্ন হয়ে পড়ল,তিনি চলনশক্তি হারিয়ে ফেললেন,বালির উপর বসে পড়লেন।*
*ভক্তগণ তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে দেখেন,মহাপ্রভু চেতনাহীন অবস্থায় সাগরতটে পড়ে রয়েছেন ; তাঁর দুই নয়ন জলে ভেসে যাচ্ছে, এবং শরীরের লোমকূপের মধ‍্য দিয়ে রক্ত বাহির হচ্ছে।ভক্তচূড়ামণি শ্রীচৈতন‍্যদেবের চৈতন‍্য ফেরানোর জন্য তাঁর কর্ণের নিকট মৃতসঞ্জীবনী হরিনাম উচ্চারণ করতে লাগলেন।সেই শ্রীহরিনাম শুনে গৌরহরি চেতনা লাভ করলেন।*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔜 ক্রমাগত 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 ত্রয়োদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga13.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ꧁👇 📖 সূচীপত্র ✍️ শ্রী জয়দেব দাঁ 📖 👇꧂



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️ 
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

  *••••┉❀꧁👇🏠Home Page🏠👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

     *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
   🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧






শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html