🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

৬৩. পাশা খেলা লীলা-- শ্রীকৃষ্ণ অপরপক্ষে শ্রীরাধিকা 🌷 শ্রীকৃষ্ণ লীলা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/07/httpmrinmoynandy_51.html

✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
꧁ ৬৩. পাশা খেলা লীলা-- শ্রীকৃষ্ণ অপরপক্ষে শ্রীরাধিকা 
       এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 
          ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
               ꧁ শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ꧂
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧  
*অদ‍্য এক নতুন পরিবেশ,সকল পারিষদগণ আছেন কিন্তু এইসময়ে মহাপ্রভু কাছে নেই।* *সকলেই বলাবলি করছেন আমরা ধন‍্যাতিধন‍্য,শ্রীমন্মহাপ্রভুকে কাছে পেয়ে আমাদের জীবন ধন‍্য হয়েছে।* *এক ভক্ত বলছেন,তিনি মানব নহেন,মানবরূপে আমাদের কাছে এসে আমাদেরকে আনন্দ দেবার জন্য ও মূঢ় জীবগণকে নাম-প্রেম দিয়ে উদ্ধার করবার জন্য তিনি নদীয়ায় অবতীর্ণ হয়েছেন।* *আরেক ভক্ত বললেন দেখলে না,দিগ্ বিজয়ী পন্ডিত এসেছিলেন,মহাপ্রভু তাঁকে কেমন ভাবে চূর্ণবিচূর্ণ করলেন।* *তাঁকে কেউ বিচারে পরাস্ত করতে পারে না।* *নবদ্বীপে তিনি জয়ী হয়ে গেলে নবদ্বীপের মর্য‍্যাদা ক্ষুন্ন হবে,তাঁর সামনে বিচারে বসতে কারও সাহস নাই।* *একদিন আমরা অনেকেই গঙ্গাতটে মহাপ্রভুর সঙ্গে ছিলাম, দিগবিজয়ী সেখানে এলেন, প্রভুর রূপ লাবণ‍্য দেখে দিগবিজয়ী মুগ্ধ হলেন।* *মহাপ্রভু বললেন,আপনি কিছু গঙ্গার মহিমা কীর্তন করুন।* *বলা মাত্র পন্ডিত অনর্গল শ্লোক বলতে লাগলেন,আমরা সকলে স্তব্ধ হয়ে শুনতে লাগলাম।* *তখন দিগবিজয়ী বলতে লাগলেন,আমি যে শ্লোক বললাম বলুন তো?* 
*ঝড়ের মত আমি শ্লোক পঢ়িল।*
*তাহা হৈতে একশ্লোক কৈছে কন্ঠ কৈল।।*
*গৌরহরি বললেন,সরস্বতীর কৃপায় কেহ দিগবিজয়ী হয়,যেমন আপনি হয়েছেন।* *আবার কেহ বা শ্রুতিধর হয়।* *তিনি বুঝলেন নিমাই শ্রুতিধর।* *দিগবিজয়ী শ্লোকের ব‍্যাখ‍্যান করলেন,গৌরহরি তার মধ্যে পাঁচটি দোষ বললেন--*
*তুমিও হইলা ভ্রান্ত অনেক পড়িয়া*
*নিশাও অনেক যায় শুই থাক গিয়া।।* *মহাপ্রভুর কথা শুনে পন্ডিত গৃহে গিয়া মা সরস্বতীর মন্ত্র জপ করলেন।মন্ত্রবলে মা উদিতা হলেন।* *পন্ডিত বললেন,আমার মন্ত্রবলে মা সরস্বতী বর দিয়াছেন,তিনি আমার জিহ্বায় থাকবেন,আজ কেন থাকলে না,শাস্ত্র ব‍্যাকরণ নিমাই পন্ডিতের কাছে পরাস্ত হলাম কেন?* *মা সরস্বতী উত্তর দিলেন,তুমি যার সঙ্গে বিচার করছিলে তিনি আমার প্রভু।* *তাই লজ্জায় সরে গেলাম।*
*আমি যাঁর পাদপদ্মে নিরন্তর দাসী।*
*সম্মুখে হইতে আপনাকে লজ্জা বাসি।।*
*উষাকালে গৌরহরি গঙ্গাস্নান করতে চলেছেন,এমন সময় দিগবিজয়ী চরণে দন্ডবৎ করলেন,প্রভু তুলে আলিঙ্গন করলেন।* *পন্ডিত বললেন,প্রভু তুমি সাক্ষাৎ সরস্বতী মায়ের প্রভু,এই শুভক্ষণে নবদ্বীপ এসে ধন‍্য হলাম;কিছু আদেশ দিয়া কৃতার্থ করুন।* *প্রভু বলিলেন---*

*🌻পাশা খেলা, গৌরচন্দ্রিকা🌻*
*গৌরাঙ্গচাঁদের মনে কি ভাব হইল*
*পাশা সারি লৈয়া প্রভু খেলা আরম্ভিল।।*
*প্রিয় গদাধর সঙ্গে খেলে পাশা সারি।*
*ফেলিতে লাগিলা পাশা জিনি হারি করি।।*
*দুই চারি বলি দান ফেলে গদাধর।*
*পঞ্চ তিন বলি ডাকে রসিক নাগর।।*
*দুইজন মগন হইল পাশা রসে।*
*জয় জয় দিয়া গায় বাসুদেব ঘোষে।।*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^

*আরেক ভক্ত বলতে লাগলেন,মুরারি গুপ্ত মহাপ্রভুর থেকে অনেক বড়,কিন্তু মনে মনে মহাপ্রভুর প্রতি বলতেন,আমার হৃদয়ে তুমি বসে রয়েছ,যদি তোমার স্বরূপ দেখতে পেতাম এজীবন ধন‍্য হত।* *অন্তর্য‍্যামী মহাপ্রভু তাঁর অন্তরের কথা জানতে পারে মুরারির গৃহে এলেন,প্রভু বললেন,মুরারি আমার রূপ দর্শন কর।* *মুরারি নয়ন তুলে তাকিয়ে দেখলেন,"নবদূর্বাদলশ‍্যাম স্বয়ং রঘুনাথ।* *প্রভু বললেন,আমি সেই রামচন্দ্র, তুমি হনুমান।যে তোমার অভিমত বর চাও,মুরারি বললেন--*
*প্রভু,আর নাহি চাই।*
*হেন কর প্রভু যেন তোর গুণ গায়।।*
*করুণাময় গৌরহরি খানিক দূরে হরিদাস ছিলেন,তখন হরিদাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বললেন,"হরিদাস যখন পাপিষ্ঠরা তোমার গায়ে কঠোর বেত্রাঘাত করছিল,তখন আমি বৈকুন্ঠ হতে সুদর্শন পাঠিয়েছিলাম,কিন্তু সুদর্শন শক্তিহীন হয়ে গিয়াছিল কেন জান?* *প্রহারের সময় তুমি পাপিষ্ঠদের মঙ্গল কামনা করছিলে।* *তুমি যার মঙ্গল চাও সুদর্শনের সাধ‍্য নাই তার ক্ষতি করে।* *তোমার গায়ের যতগুলি দাগ পড়েছে,সবই দেখ আমার অঙ্গে।* *হরিদাস তোমার দুঃখ সহ‍্য করতে না পেরে আমি শীঘ্র এসেছি।* *"শীঘ্র আইলু তোর দুঃখ না পারি সহিতে"।* *মহাপ্রভুর মধুময় কথা শুনে হরিদাস ধূলায় লুটিয়ে গড়াগড়ি দিতে লাগলেন।*
*🌻অপর এক ভক্ত বলছেন,মহাপ্রভু অদ্বৈতাচার্য‍্যের দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেন,তুমি আমাকে আনতে চরম পরিশ্রম করেছ।* *তুমি গীতা পড়াও,ভক্তিমার্গের ব‍্যাখ‍্যা কর,এক শ্লোকের ভক্তি যোগ না পেয়ে উপবাস করেছিলে মনে আছে?*
*তোমার উপবাসে আমার উপবাস।তাই স্বপ্নে তোমাকে বলে দেই শ্লোকের শুদ্ধপাঠ।"সর্বতঃ পানিপাদন্তং" পাঠ নহে, সর্বতঃ স্থলে সর্বত্র পাঠ হবে।মনে পড়ে?*
*তখন আমার আবির্ভাব হয় নাই।*
*প্রাণ গৌরের মধুর কথা বললেন-*
*আর কি বলিব মুঞি।*
*এই মোর মহত্ব যে,মোর নাথ তুঞি।।*
*একদিন শ্রীবাস বললেন,প্রভু,ভক্তবর মুকুন্দ কি অপরাধ করল?তাকে কেন ডাকেন না?* *প্রভু বললেন,মুকুন্দ ভক্তিস্থানে অপরাধী।তাকে ডাকব না,যেখানে যেখানে যায় সেই মত কথা বলে।* *অদ্বৈত স্থানে গিয়া বলে ভক্তি বড়,আবার অন‍্য জায়গায় গিয়া বলে,ভক্তি হতে জ্ঞান বড়।এই অপরাধে মুকুন্দ কৃপা পাবে না।* *বাহির হতে প্রভুর কথা শুনতে পেয়ে মুকুন্দ বললেন,কবে কৃপা পাব?প্রভু বললেন,"কোটি জন্ম পরে"* *এইকথা শুনে মুকুন্দ আনন্দে "পাব পাব"বলে মহানিত‍্য আরম্ভ করলেন।* *তখন করুণাময় গৌরহরি বললেন,মুকুন্দকে ডাক,আমার কাছে তোমার কোন অপরাধ নাই।কোটিজন্ম পরে পাবে।* *আমার এই কথা অব‍্যর্থ জেনে তুমি নাচলে।ইহাতে তিলার্ধের মধ্যে কোটি জন্ম কেটে গেছে,মুকুন্দ তুমি আমার গায়ক,চিরকাল সঙ্গে থাকবে।*

*🌻তখন গদাধর মনে মনে বলতে লাগলেন,তুমি স্বয়ং ব্রজের কৃষ্ণ,আজ তোমার সঙ্গে ভক্ত ও ভগবানের খেলা খেলব,এই ভাবনা ভাবতে ভাবতেই মহাপ্রভু এসে উপস্থিত হলেন।* *তখন প্রভু নিজেই বলছেন,আজ গদাধরের সঙ্গে পাশা খেলব,নিয়ে এস পাশা আর গুটি।* *যেহেতু গদাধর মনে মনে বলেছেন ভক্ত আর ভগবানের খেলা হবে,ভক্তাধীন ভগবান,ভগবান সব সময় ভক্তের ইচ্ছায় পূরণ করেন।* *কুরুক্ষেত্রে ভীষ্মের কাছে নত হয়ে ছিলেন,কেন?কৃষ্ণ বলেছিলেন,কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করব না,ভক্তের ইচ্ছায় ধারণ করেছিলেন।*
*🌻জয় নিতাই,এখানেই রহিল🌻*
 *দিগ্বিজয় করিব'বিদ‍্যার কার্য‍্য নহে।*
*ঈশ্বরে ভজিলে,সে বিদ‍্যায় সত‍্য কহে।।*
***************************************
*

*এতেক ছাড়িয়া বিপ্র!সকল জঞ্জাল।*
*শ্রীকৃষ্ণ চরণ গিয়া ভজহ সকাল।।*
*********************************

*সেই সে বিদ‍্যার ফল জানিহ নিশ্চয়।*
*কৃষ্ণ পাদপদ্মে যদি চিত্ত বৃত্তি হয়।।* 
*এই কথাগুলি পন্ডিতকে বললেন।*

*🌻শ্রীমদ্ভাগবত গীতার কথন আস্বাদন করি।🌻*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*ভক্ত ও ভগবানে যদি কখনও কোন প্রকার হঠবত্তায়(জেদাজেদি) আরম্ভ হয়,তাহলে দেখা যায় যে শ্রীভগবান নিজের হঠে(জিদে)জলাঞ্জলী দিয়া ভক্তের হঠই(জিদ)রক্ষা করেন।*
*ইহা তাঁর প্রেমাধীনতা স্বভাবেরই পরিচয়।* *শ্রীকৃষ্ণ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে,তিনি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবেন না।* *এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবার জন্য তিনি অর্জূনের রথের সারথি হয়ে যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন।* *কয়েকদিন এইভাবে অতিবাহিত হবার পর একদিন ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা করলেন যে আমি এই যুদ্ধে আগামীকাল কৃষ্ণকে অস্ত্রধারণ করাইব।* *যথা সময়ে ভীষ্ম ও অর্জুনের মহাযুদ্ধ আরম্ভ হল।* *কৃষ্ণকে অস্ত্রধারণ করাবার জন্য ভীষ্ম সেদিন ভীষণ যুদ্ধ আরম্ভ করলেন।* *শ্রাবণের বারিধারার মত(শ্রাবণ মাসে বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টি হয় )তাঁর ধনু হতে অনবরত শরবৃষ্টি হতে লাগল।* *অর্জুন একেবারে ব‍্যতিব‍্যস্ত হয়ে পড়লেন।* *শ্রীভগবান এই মহাযুদ্ধে তাঁর পরমপ্রিয় ভক্তচূড়ামণি অর্জুনকে রক্ষা করবার জন্য রথ নিয়ে মন্ডলাকারে(গোলাকার হয়ে)রণাঙ্গণে ভ্রমণ করতে লাগলেন।* *তাঁর সর্বাঙ্গে বাণবিদ্ধ হয়ে রক্তধারা পড়তে লাগল,তথাপি তাঁর ভক্তরক্ষায় কিছুমাত্র ঔদাসীন‍্য(উপেক্ষা বা অনাসক্ততা)নাই।* *"আত্মা হতে তাঁর ভক্তই সব থেকে প্রিয়"।* *তিনি এই মহাযুদ্ধে তা প্রত‍্যক্ষভাবে দেখিয়ে দিলেন।* *কিছুক্ষণ এই ভাবে মহাযুদ্ধ হবার পর অর্জুন একেবারে কান্ত হয়ে পড়লেন।* *ভীষ্মের বাণে তাঁর গান্ডীবের জ‍্যা খন্ড খন্ড হয়ে ছিন্ন হয়ে গেল,তাঁর আর গান্ডীবের জ‍্যা রোপনেরও শক্তি থাকল না।* *তখন তিনি ব‍্যাকুল হয়ে আর্তস্বরে কৃষ্ণকে ডেকে বললেন,হে পান্ডবনাথ!হে সখে!আর আমার আত্মরক্ষা করবার সাধ‍্য নেই!অদ‍্যকার এই যুদ্ধে আমার নিশ্চয়ই প্রাণান্ত (হয়ত আর বাঁচব না) হবে সন্দেহ নাই;অতএব হে কৃতান্তভয়হারিন্!তোমার আর অশ্ব চালনে প্রয়োজন নাই,তুমি অশ্বরশ্মি ত‍্যাগ করে আমার দিকে ফিরে দাঁড়াও, আমি তোমাকে দেখতে দেখতে প্রাণত‍্যাগ করি।* *অর্জুনের এই কথা শুনে অর্জুনসারথি শ্রীকৃষ্ণ,একবার মুখ ফিরে অর্জুনের দিকে দেখলেন যে,তাঁর সখা একেবারে বিপর্য‍্যস্ত হয়ে পড়েছেন;তাঁর গান্ডীব জ‍্যাহীন,সর্বাঙ্গ রক্তাক্ত এবং বাণবিদ্ধ।* *তিনি কাতরনয়নে কৃষ্ণের মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেন সখে!আমার এই শেষ!আর তোমার অশ্বচালনা করতে হবে না,তুমি আমার জীবনান্ত কাল পর্যন্ত আমার সামনে তুমি দাঁড়িয়ে থাক,আমি ঐ করুণামাখা মুখখানির* *স্মৃতি নিয়ে দেহত‍্যাগ করি,যেন দেহান্তে আবার তোমার সখা হয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারি।*
*অর্জুনের কাতর মুখ দেখে ভক্তবৎসল আর স্থির থাকতে পারলেন না,তিনি আর ক্ষণমাত্রও দেরী না করে তৎক্ষণাৎ একলাফে রণভূমিতে নেমে নিজের প্রতিজ্ঞায় জলাঞ্জলী দিয়া ভাঙ্গা রথের চাকা হাতে করে ভীষ্মকে বধ করবার জন্য অগ্রসর হলেন।* *তাঁর সেইসময় ভক্তরক্ষায় ব‍্যগ্র মূর্তি কোটি কোটি রুদ্র অপেক্ষাও ভীষণতর হয়ে উঠল।* *কৃষ্ণের এই রুদ্র রূপ দেখে ভীষ্ম অতিভয়ে অস্ত্র-শস্ত্র ত‍্যাগ করে জোড়হাতে স্তুতি করতে আরম্ভ করে বললেন=*
*হে ভগবান!হে ভক্তবৎসল!আপনার ক্রোধে অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে অনন্তে বিলীন হয়ে যায়।* *আমি কোন ছার যে আমাকে বধ করবার জন্য আপনার চক্র ধারণের প্রয়োজন হয়?* *কিন্তু হে ভক্তবৎসল!আপনার ভক্তবাৎসল‍্যের জয় হোক!আপনি আপনার ভক্তচূড়ামণি অর্জুনকে বিপদাপন্ন দেখে একেবারেই আত্মহারা হয়ে পড়েছেন,তাই আপনি নিজ প্রতিজ্ঞা ভুলে এই যুদ্ধে অস্ত্রধারণ করতেও কুন্ঠা বোধ করলেন না।*
*আপনার হাতের চক্রে,চক্রাঘাতে আমার প্রাণ যায় তাতে আমার কিছুমাত্র ক্ষতি নেই,কিন্তু আজ হতে জগত আপনার ভক্তবাৎসল‍্যের পরিচয় জানিল যে,ভক্তরক্ষার জন্য এবং আমার ন‍্যায় ক্ষুদ্র মানবের প্রতিজ্ঞা রক্ষার জন্য আপনি নিজ প্রতিজ্ঞায় জলাঞ্জলী দিতেও কুন্ঠিত হন না।*
*শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় শ্রীভগবান যখন অর্জুনকে তত্ত্বোপদেশ দেয়াছেন,তখন তিনি অর্জুনকে বলেছিলেন "কৌন্তেয়"! "প্রতিজানীহ ন মে ভক্তঃ প্রণশ‍্যতি"।* *অর্থ‍্যাৎ অর্জুন!তুমি সর্বসমক্ষে প্রতিজ্ঞাপূর্বক ঘোষণা করে দাও যে,"কদাপি আমার বিনাশ নাই"।*
*এখানে ভগবান নিজে প্রতিজ্ঞা না করে যে অর্জুনকে প্রতিজ্ঞা করতে বললেন,তাঁর উদ্দেশ্য এ যে,ভক্তচূড়ামণি অর্জুন যদি প্রতিজ্ঞা করে,তাহলে ভগবান তা সর্বভাবে রক্ষা করবেন।* *কিন্তু নিজে প্রতিজ্ঞা করলে কোনও ভক্তের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে গিয়া তাঁর অন‍্যথা বিচিত্র নহে।ভক্তাধীন ভগবান তাঁর ভক্তের জন্য সবই করতে পারেন।* *আত্মবিসর্জন করেও ভক্তরক্ষার প্রবৃত্তিই তাঁর ভক্তাধীনতা এবং ভক্তবাৎসল‍্যের স্বরূপ লক্ষণ।*
*🌻জয় কৃষ্ণ,অর্জুন ও ভীষ্মের জয়🌻*
 *রাধিকা,ললিতাকে বললেন,সখি ললিতা!অন‍্যান‍্য খেলায় হাসি ঠাট্টার ছলে করীন্দ্র যেমন নলিনীগণে পরাজয় করে,এইরকম কৃষ্ণ আমাদেরকে পরাজয় করে দম্ভ প্রকাশ করে।* *অতএব বুদ্ধিমতি ললিতা,যাতে বল প্রয়োগের প্রয়োজন,এইরকম খেলা আমাদের প্রয়োজন নাই,যা দ্বারা বুদ্ধি বলে জয় হয়ে থাকে,এইরকম একটি খেলা বিচার বিচার করে স্থির কর।* *তাহলে কৃষ্ণের গর্ব ধ্বংস হবে।* *তখন ললিতা বললেন,পাশা খেলায় তোর সদা জয় হয়,অতএব রাধে!তোকে পরাজয়রূপ অন্ধকার,দুঃখ প্রদান করতে পারবে না।* *এইরকম কথা বলাতে শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে রাধা বললেন,হে প্রিয়তম!পাশা খেলব বস।* *তখন বললেন বেশ তোমার ইচ্ছে পূর্ণ হোক।*
*🌻পদের ব‍্যাখ‍্যা🌻*
*পাশা খেলায় এক দিকে কৃষ্ণ ও অন‍্য দিকে রাধা।* *নান্দীমুখি কৃষ্ণ পক্ষে ও বৃন্দা দেবী রাধিকা পক্ষে।*
*রাই কানু পাশা খেলে,নিজ চিত্ত কুতূহলে,*
     *পণ কৈল সুরঙ্গ রঙ্গিণী।*
*পহিলে গোবিন্দ জিনে,বটু আনন্দিত মনে,*
     *বান্ধল সে রঙ্গিণী হরিণী।।*
*যুব দ্বন্দ্ব খেলে পুনঃ,মুরলী সারিকা পণ,*
     *দ্বিতীয়ে জিনিলা সুবদনী।*
*আনন্দে ললিতা ধাইয়া,কৃষ্ণকর হৈতে লৈয়া,*
     *লুকাইয়া রাখয়ে বাঁশী আনি।।*
*কৃষ্ণ রাধা পুনর্বার,খেলে পুনঃ দুহুঁ হার,*
     *হেনকালে বটু মিথ‍্যা করি।*
*কৃষ্ণে উপদেশ দান,জিনিবার অনুষ্ঠান,*
     *কহে কৃষ্ণ মারো এই সারি।।*
*কলোক্তি সারিকা শুনি,ভয়ে কহে দৈন‍্য বাণী,*
     *বৃক্ষশাখা আগে উড়ি যায়।*
*রাই কানু তাহা দেখি,হৈয়া সকৌতুক সুখী,*
      *হাসে দুহুঁ আনন্দ হিয়ায়।।*
*চতুর্থে রাখিলা পণ,নিজ সহচর গণ,*
     *রাধিকার জর অনুমানি।,*
*বটু সশঙ্কিত হৈয়া,চালে পাশা ভয় পাঞা,*
     *গোবিন্দের হীন দান জানি।।*
*জিনিল জিনিল বলি,এক পাশা কৈল চুরি,*
      *দেখি ক্রোধ করি সখীগণে।*
*বটুকে বন্ধন কাজে,সব সখীগণ সাজে,*
     *অত‍্যন্ত কলহ তার সনে।।*
*🌻পাশা খেলায় একপক্ষে শ্রীকৃষ্ণ, অপরপক্ষে শ্রীরাধিকা।* *নান্দীমুখী শ্রীকৃষ্ণেরপক্ষে ও বৃন্দাদেবী শ্রীরাধারপক্ষে সাক্ষী রহিলেন।* *পাশা খলায় উপদেশ দেবার জন্য কৃষ্ণপক্ষে মধুমঙ্গল(বটু) ও রাধাপক্ষে ললিতা থাকলেন।* *পাশার গুটি নিয়ে রাধা করতলে নাচাতে লাগলেন,এবং পাশার উপর ফেলতে লাগলেন।* *রাধার করতলের নৃত‍্যের সাথে রাধার সর্বাঙ্গ শোভায় শ‍্যামনাগরের নয়ন যুগল ডুবে গেল।* *পাশায় সর্ত রইল যে হারবে সুরঙ্গ রঙ্গিণী,অর্থ‍্যাৎ রাধার সঙ্গে নৃত‍্যরত সঙ্গিনীগণ ছিল তাহা রাধা পণে ধরলেন।* *প্রথম চালে কৃষ্ণের জয় হল বটু তখন সেই রঙ্গিনী সঙ্গিনীদের বন্ধন করলেন।।দ্বিতীয় চালে পণ ধরলেন কৃষ্ণের মুরলী,দ্বিতীয় চালে কৃষ্ণের পরাজয় হল।* *তখন ললিতা,মধুমঙ্গলকে বললেন,রে বটো!এখন কেন মাথা নিচু আছিস?জলকেলির সময় আমাদের পরাভব দেখে খুবই নেচেছিলি।* *সে নাচার ভঙ্গিমা এখন কোথায় গেল?তখন রাধা বললেন,হে সখীগণ!এই বটু বড়ই শিতোপলা প্রিয়,(শিতোপলা=শুক্ল বর্ণ পাথর)অতএব পর্বত শিখর থেকে নবীন শিতোপলা নিয়ে এসে মাথায় ঘসে দে,তার আস্বাদ গ্রহণ করুক।* *বটু এইসব কথা শুনে চুপ করে থাকলে,সখীগণ জিজ্ঞাসা করছেন,অরে!এখন কিছু বলছিস না কেন?* *পাশাখেলায় হার হয়ে ক্ষমা,ধৈর্য‍্য,শান্তি প্রভৃতি মুনি ধর্মের মত তোর বটুত্ব সত‍্য হল।* *তখন ললিতা বললেন,দাও তোমার মুরলী দাও?কৃষ্ণ তুন্দবন্ধ(জঠরদেশ)অর্থ‍্যাৎ কৃষ্ণ কটির পাশে মুরলী গুঁজে রাখেন দেখেন মুরলী নাই,তখন ললিতাকে বললেন,এই সঙ্কটে তুমিই আমার গতি,তোমার সখী রাধা কী চুরি করেছেন? ললিতা বললেন,আমাদের মধ্যে এইরকম কেউ নাই যে তোমার মুরলী চুরি করবে।* *কৃষ্ণ বললেন,ললিতা!ঝুলনের সময়ে আমার কটি হতে মুরলী পড়ে গিয়েছিল সেইসময় তুমি চুরি করেছ?* *ললিতা বললেন,আমি সূর্য‍্যের শপথ করে বলছি আমি চুরি করিনি।* *কৃষ্ণ বললেন,তবে মধুপানের সময়ে তুমি চুরি করেছ?ললিতা বললেন,আমি বিষ্ণুর শপথ করে বলছি চুরি করিনি।* *কৃষ্ণ বললেন,জলে কেলি করবার সময় নিয়ে থাকবে?ললিতা পুনঃ বললেন,আমি কঠিন শপথ করে বলছি চুরি করিনি।* *কৃষ্ণ বললেন,তবে আমার মুরলী কোথায় গেল?ললিতা বলছেন,হে সভ‍্যগণ!ইনি কোথায় মুরলী নিজে হারিয়ে এসে আমাদেরকে চোর বলে অপবাদ দিচ্ছে। তখন কুন্দলতা বলছেন,তুমি পাশা খেলায় হেরেছ,এবার পণ মুরলী যদি দিতে না পার,তাহলে রাধা তোমাকে হস্তবন্ধন করে রাজার কাছে নিয়ে যাবেন,এ বিষয়ে কি যুক্তি বল?* *এইকথা শুনে হাসতে হাসতে নান্দীমুখী বললেন,হায়!হায়!রাধে!তুমি যদি হস্তবন্ধনে কৃষ্ণকে বন্ধন কর,তবে তাঁর কষ্ট যে আমি দেখতে পারব না।* *অতএব আমাদের কথা ক্ষমা করে পণের জন্য পীত উত্তরীয় নাও।* *আবার কৃষ্ণ বললেন,হে মধুমঙ্গল!তুই জ‍্যোতি শাস্ত্র অধ‍্যয়ন করেছিস,গণনা করে দেখ,এদের মধ্যে কে মুরলী হরণ করেছে।* *মধু মঙ্গল কিছুক্ষণ ভেবে বললেন,হে সখা!ললিতা হরণ করেছে।* *ললিতে বললেন,হে কুটিল বটো!আমি হরণ করিনি।* *কৃষ্ণ বললেন,ললিতা তোমার নিবীবন্ধ(উত্তরীয় আঁচল,কঞ্চুক,কবরী খুলে আমাকে দেখাও,নচেৎ আমি নিজেয় খুলতে বাধ‍্য হব,আমি কাউকে ভয় করি না।* *এইকথা শুনে ললিতা চোখের ঈশারায় দেখালেন রাধাকে,অর্থ‍্যাৎ রাধা চুরি করেছে,এবারে রাধা ইঙ্গিতে দেখালেন,বিশাখাকে।* *বিশাখা অন‍্য সখীকে দেখালেন, এরকম ভাবে রঙ্গরসিকতা হল।*

*🌻🌻🌻দ্বিতীয় পদ🌻🌻🌻*
*নাগর নাগরী,সঙ্গে সহচরী,*
     *বিনোদ পাশার খেলা।*
*সহচরগণে,নাগর হারিলা,*
     *দেখি বটু পলাইল।।*
*ললিতা বিশাখা,যাইয়া তাহারে,*
     *বান্ধিয়া রাখিতে চায়।*
*শ্রীমধুমঙ্গল, হাসি খল খল,*
     *সখা জয় বলি ধায়।।*
*তোর সখা তোরে,খেলাতে হারিলে,*
     *আর কি করিতে পারে।*
*রাধিকার নিজ,পরিজন করি,*
     *নিকটে রাখিব তোরে।।*
*এত কহি তার, করেতে ধরিয়া,*
     *রাইর নিকটে আনে।*
*হেরি সুবদনী, ঈষত হাসিয়া,*
     *চাহে তার মুখপানে।।*
*সুদেবী কহয়ে, দ্বিজের কুমার,*
     *ইহারে ছাড়িয়া দেহ।*
*আর প্রিয়সখা, শুবল আছয়ে,*
     *তাহারে বান্ধিয়া লহ।।*
*কহিতে এ বোল,দু'জনে কোন্দল,*
     *সবে কহে মোর জয়।*
*বৃন্দা কুন্দলতা,সমাধয়ে তথা,*
     *এ উদ্ধব দাসে কয়।।*
*🌻পাশার চাল দেবার সময় রাধা দশ দশ বলে ঘুঁটি ছাড়ছেন,

 *🌻🌻দ্বিতীয় পদের ব‍্যাখ‍্যা🌻🌻* 
*মনের আনন্দে পাশা খেলা চলছে, রাধিকা দশ দশ বলে পাশার ঘুঁটি চাল দিচ্ছেন,তখন কৃষ্ণ বললেন,দশ দশ বলে চাল দিলে কিন্তু দশ পড়ে নাই,অতএব বারে বারে দশ দশ বলে প্রার্থনা করা মানেই উপহাস করা।* *এই খেলায় তোমার জয়ের কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।* *রাধিকা বললেন,পুনরায় চাল দিচ্ছি ভাল করে দেখ?সেই চালে কৃষ্ণ হেরে গেলে বটু পালিয়ে যাচ্ছিল,ললিতা বিশাখা বটুকে ধরে ফেলল,বলল কোথায় যাবি তোকে বেঁধে রাখব।*
*ললিতা বলছেন,হে বটো!তোর সখার যে গৌরবে তোর মাটিতে পা পড়ে না,এই পাশা খেলায় তোর সখার গৌরব কোথায় গেল?* *অরে মূঢ়!এটা,গোচারণের কানন না,এবং বক,বৎস‍্য,বকীর মারণ না,এর নাম পাশা খেলা।* *এতে বিদগ্ধ (গুণীজনের)জনের বুদ্ধি পরীক্ষা হয়,* *এইকথা শোনার পর বটু বললেন,তোমরা ছল করে পাশা জিতেছ,আমার সখায় জিতেছে।* *তখন সখীগণ বলছেন,ওরে বটু!তোর সখায় তোকে পণে রেখে হেরে গেছে,বল এখন কি করব?তোকে কি করব জানিস?রাধার নিজজন করে তোকে রাখব।* *এইকথা বলে সখী হাত ধরে রাধার কাছে নিয়ে আসছেন,বটুর মুখ দেখে রাইধনি মুচকি মুচি হাসছেন।* *ঠিক সেই সময় সুদেবী বলে উঠলেন,বটুকে ছেড়ে দাও, আর তাঁর প্রিয় সখা সুবলকে বেঁধে রাখ।* *এই কথা বলাতেই মোটামুটিভাবে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেল।তখনি বৃন্দা ও কুন্দলতা বললেন দাঁড়াও এর সমাধান আমি করছি। সেসময় পদকর্তা উদ্ধব দাস বললেন, তোমরাই সমাধান কর।*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^

*🌻🌻তৃতীয় পদ🌻🌻*
*রাধা-মাধব, পাশা খেলত,*
     *করি কত বিবিধ বিধান।*
*দুহুঁক বচন রীতি, কেবর পিরীতি,*.
      *দুহুঁ বর রসিক নিধান।।*
  *সখি হে আজু নাহি আনন্দ ওর।*
*দুহুঁ দুহুঁ রূপ, নয়ন ভরি পিবই,*
     *দুহুঁ কিয়ে চন্দ্র চকোর।*
*হাত হি হাত,নাগাই খেলত যব,*
     *ভাবে অবশ তব দেহ।*
*আনন্দ সায়রে, নিমগন দুহুঁ মন,*
     *ভুলল নিজ নিজ গেহ।।*
*ঐছন সময়ে ,নিয়োজিত শুক কহে,*
       *জটিলা গমন অকাজ।*
*রাধামোহন পহুঁ,চতুর শিরোমণি,*
      *সাজল দ্বিজবর রাজ।।*
/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\//
*🌻সকল সখীগণ খেলা উপভোগ করছেন,এমন সময় কৃষ্ণ পক্ষের সাক্ষী নান্দীমুখী বললেন,হে ব্রজযুবরাজ!এইবার তোমার পরাছয় হয়েছে,অতএব রাধাকে তোমার কৌস্তুভ প্রদান কর,এইকথা শুনে মিথ‍্যা দম্ভকারী কৃষ্ণ লজ্জা পেয়েছেন।* *সঙ্গে সঙ্গে কুন্দলতা কৃষ্ণের কন্ঠ হতে কৌস্তুভমণি খুলে রাধার বক্ষস্থলে দিলেন।* *তখন কৃষ্ণের প্রতিবিম্ব রাধার বক্ষস্থলে পড়েছে দেখে কুন্দলতা বললেন,হে কৃষ্ণ!মণিবর কৌস্তুভে প্রতিছবি রাধার কুচমধ‍্যে পড়ায় তোমার কেমন শোভা হয়েছে,দেখ,দেখ।*
*এতদিন তুমি যাকে বক্ষে ধারণ করে বহন করছিলে,আজ সেই মণরাজ রাধার কুচমধ‍্যবতী হয়ে প্রেম বশতঃ তোমাকে নিজ বক্ষে ধারণ করছে।* *তখন কৃষ্ণ,কৌস্তুভে পড়া নিজ প্রতিবিম্বের শোভা দেখে,শোভাময় কৃষ্ণ, বলছেন,আমি তোমার কান্তির প্রতিবিম্ব মাত্র।* *তুমি যেখানে বিরাজ করছ,এই রাধার কুচমধ‍্যে থাকতে সর্বদা আমার বাঞ্জা হয়।* *এই কথা বলতে বলতে কৃষ্ণের নয়ন হতে বারিধারা পড়তে লাগল।* *রাধা মনে মনে ভাবছেন আমার বঁধূকে হৃদয়ে জড়িয়ে ধরি,কিন্তু সখী মধ‍্যে সম্ভব হল না।*
*উভয়ের চরম আনন্দ, ক্ষণকাল পরে কুন্দলতা বললেন, হে রসনিধিযুগল!* *পুনরায় খেলা কর,এইবার আলিঙ্গন পণ থাকল? পুনরায় রাধা-কৃষ্ণ খেলা আরম্ভ করলেন,কৃষ্ণ জয়ী হয়ে আলিঙ্গন পণ নিবার জন্য ব‍্যস্ত হলেন।* *এইভাবে বহুবার খেলা হয়েছিল,আর সখীগণ উভয়ের মিলন দর্শন করবার জন‍্য খেলা খেলাচ্ছিলেন।* *দুইজন আনন্দ সাগরে ডুবে গিয়েছিলেন,এমন সময় শুক সংবাদ দিল সাবধান,জটিলা বুড়ি আসছে।* *তখন চতুরের শিরোমণি দ্বিজরূপ ধারণ করলেন,অন‍্যান‍্য সখীগণ সূর্য‍্য পূজা করবার জন‍্য যেমন হওয়া উচিত সেইরকম ভাবে প্রস্তুত হলেন।* 
********************************
*জটিলা গমন কথা শুনি সশঙ্কিত।*
*সূর্য‍্যের মন্দিরে সবে হৈল উপনীত।।*
*প্রবেশিল সবে সূর্য‍্য-মন্দির ভিতরে।*
*হেনকালে তথা আসি জটিলা উত্তরে।।*
*দিনমণি প্রণমিতে আইল জটিলা।*
*দেখে যত বসে আছে আভীরের বালা।।*
*কুন্দলতা দেখি তথা কহে ব‍্যাজ কেনে।*
*কুন্দলতা কহে বিপ্র না পাই এখানে।।*
*জটিলা কহয়ে কেন কোথা গেল বটু।*
*কুন্দলতা কহে তোমার কথা ভেল কটু।।*
*আর এক বিপ্র আছে গর্গমুনির শিষ‍্য।*
*জটিলা কহয়ে তারে আনহ অবশ‍্য।।*
*শুনি কুন্দলতা গেল ব্রাহ্মণ আনিতে।*
*মাধব চলিল তার পাছেতে পাছেতে।।*

*🌻জটিলার আসছেন শুনে সকলে পূজোর বেশে সূর্য‍্য মন্দিরে উপনীত হলেন।* *জটিলা বুড়ি এসে দেখলেন রাধাকে,তাঁকে দেখে বললেন,স্নুষে!(পুত্রবধু)এত বিলম্ব কেন?রাধা বললেন,আমি মানসজাহ্নবীর সলিলে স্নান করতে গিয়াছিলাম।* *কুন্দলতাকে দেখে বললেন,ব্রাহ্মণ কোথায়? বটু কোথায়? কুন্দলতা বললেন আপনার সামনে আসবে না।* *কুন্দলতা বললেন,গর্গমুনির এক শিষ‍্য আছেন,কি করব?জটিলা বললেন তাকেই নিয়ে আয়।* *কুন্দলতা গেলেন।* *পরক্ষণেই বিপ্রবেশধর কৃষ্ণসহ কুন্দলতা এসে জটিলাকে বললেন,অনেক খোঁজ করেও আমাদের গোষ্ঠে একজনও বিপ্রসুতকে পেলাম না* *অনেক কষ্টে মধুপুরবাসী নিখিলবিদ‍্যৈক নিকেতন এই গর্গ শিষ‍্য বটুকে (বিপ্র) পেয়েছি।* *এই বটুকে পন্ডতগণ স্তুতি করে থাকেন,আমি অত‍্যন্ত আগ্রহ করে ইনিকে এখানে নিয়ে এলাম।* *জটিলা বিপ্রবেশি কৃষ্ণকে বলতে লাগলেন,হে বিপ্র!আমি আজ তোমায় দেখে কৃতার্থ হয়েছি,আমার বধূকে পূজা করাও।* *পূজোয় বসলেন, এবং বিপ্রবেশি কৃষ্ণ বললেন, হে বৃদ্ধে!ব্রহ্মচারীগণের স্ত্রীলোক দেখা উচিত না, যদি সতী সাধ্বী তোমার বধূকে বসাও।* *আমি যে মন্ত্র বলছি বলো,"ওঁ জয় সর্বব‍্যাপক!ঈশ্বর!জগদ্ধিতকারিন্ ভাস্কর!নয়ন দুঃখ নিবারক!পদ্মিনীগণ বিকাশক!ধর্মদায় নমঃ,পরামার্থ সবিত্রে নমঃ,কাদায় নমঃ,মহসে তুভ‍্যং নমঃ।* *এইরকম রসময় কৃষ্ণ রাধাকে মিত্র যজন করালে বৃদ্ধা জটিলা অত‍্যন্ত সন্তুষ্টা হয়ে বললেন,* *হে বিপ্র!তোমার কৃপায় অযুত সংখ‍্যক গো লাভ হোক, এবং আয়ুবৃদ্ধি হোক এই বর প্রার্থনা করি।*
*জটিলা আসিয়া তবে,কহয়ে সবারে এবে,*
    *পুরোহিত আনহ যাইয়া।*
*শুনি পুন কুন্দলতা,হৈলা অতি হর্ষচিতা,*
    *সেই ক্ষণে চলিলা ধাইয়া।।*
    *দেখ কৃষ্ণের অপরূপ লীলা।*
*ধীর শান্ত কলেবর,সাক্ষাত বিপ্রবেশ ধর,*
     *কেহ নাহি লখিতে নারিলা।।*
*আসি কুন্দলতা দেবী,কহয়ে বৃদ্ধারে ভাবি,*
    *মাথুর দেশীয় গর্গ ছাত্র।*
*ব্রহ্মচর্য‍্য সদা ধরে,না দেখে অবলা কারে,*
     *আমার সাধনে আইলা মাত্র।।*
*শুনি সেই হর্ষমতি,করয়ে মিনতি স্তুতি,*
     *ত্বরান্বিতা কহয়ে বধূরে।*
*এই বিপ্র বিজ্ঞবর,সুশীল সর্ব গুণধর,*
     *পৌরোহিত‍্যে বরহ ইহারে।।*
*শুনি রাই হর্ষ হৈয়া,ধীরে ধীরে কহে যাঞা,*
     *এসো মোর মিত্র পূজিবারে।*
*বিশ্বকর্মা নামে খ‍্যাত,জগত মঙ্গল গোত্র,*
     *পৌরোহিত‍্যে বরিল তোমারে*
*তবে সেই বিপ্রবর,কুশাগ্রে কর্ষিয়া কর,*
    *রাই হস্তে পুষ্পাঞ্জলি দিল।*
*নমো নমো মিত্রবরে,এই মন্ত্র উচ্চারে,*
      *অর্ঘ দিয়া পূজা সমর্পিল।।*
*তবে বৃদ্ধা হর্ষভরে,দক্ষিণা লইতে তারে,*
    *পুনঃ পুনঃ যত্নেতে সাধিল।*
*তেহো কহে কার্য‍্য নাহি,তোমা সবার প্রীতি চাহি,*
    *এই মোর দক্ষিণা হইল।।*
*তবে সেই তুষ্ট হৈয়া,রতন মুদ্রাদি দিয়া,*
      *কহে নিত‍্য করাবে পূজন।*
*দন্ডবৎ প্রণতি কৈলা,রাইকে লৈয়া গেলা,*
     *সঙ্গে চলু এ যদু নন্দন।।*

 *🌻শ্রীকৃষ্ণ জটিলাকে বর দিলেন,"এবমস্তু"বলে আশীর্বাদ করলেন, ঠিক এই সময়ে মধুমঙ্গল এসে উপস্থিত,বললে,"আমি সূর্য‍্যসূক্ত পাঠ করছি" বলে বিবিধ নৈবিদ‍্যের উপরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন।* *তখন জটিলা বুড়ি বললেন,ওরে মূর্খ!তুই এখানে এসেছিস কেন?এই শ‍্যামবর্ণ সৌম‍্য বিপ্র আমার বধূকে প্রতিদিন পূজা করাবেন।* *এই যজ্ঞ পূর্ণ হলে জটিলা সুবর্ণ দক্ষিণা প্রদান করলেন,কিন্তু বিপ্রবেশকৃষ্ণ তা গ্রহণ করলেন না,মধুমঙ্গল গ্রহণ করলেন।* *দক্ষণান্তে বিপ্রবেশি কৃষ্ণ রাধাকে বললেন,হে সতীকুল চূড়ামণি!""ভাস্বতে নমঃ"" এই মন্ত্র পাঠ করে প্রণতি কর।*

*🌻রাধিকা প্রণাম করলেন,এবং বিপ্রবেশি শ্রীকৃষ্ণের পাটব(দক্ষতা) সুধা রসের দ্বারা তাঁর হৃদয় পরিতৃপ্ত হতে লাগল,তারজন‍্য প্রণাম করবার সময় বেণী হতে ""ঠনৎ""এই শব্দ করে মণিময়ী মুরলী মাটিতে পড়ল,তা জানতে পারলেন না রাধা।* *যেসময় মুরলী মাটিতে পড়ল,কি পড়ল,বলে জটিলা কাছে এলেন,এবং কৃষ্ণের মুরলী চিনতে পেরে বদন কাঁপাতে কাঁপাতে রাগে চোখ লাল করে হুঁ হুঁ বলে পন্নগীর (সর্পিনীর)মত গর্জন করতে করতে মৃগ নয়না রাধাকে তর্জন করতে লাগলেন।* *তখন রাধিকা বললেন,আজ গোবর্ধন সানুতে(পর্বতে)মুরলী পড়ে ছিল।*
*আমি সেখানে পেয়েছি বললেন।* *এই মুরলী আমাকে ভীষণ দুঃখ দিয়ে থাকে,এ কারণে মুরলীকে যমুনায় ভাসিয়ে দিব বলেই নিয়েছিলাম,তুমি কেন অকারণ ক্রোধ করছ বল?রাধা তার শাশুড়ীকে এইকথা গুলি বললেন।*
*রাধার এইকথাই জটিলা আরও রাগে বলতে লাগলেন,অরে কলঙ্কিনী!* *অরে মন্দবংশজাতে!আমাকে এইভাবে প্রতিদিন তুই প্রতারণা করে থাকিস,আজ বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা গোপিনীদের সভায় এই মুরলী দেখিয়ে তোর ও তোর কালার উচিত শাস্তি কি করে দেওয়া যায় সেই কাজ করব।* *বিপ্রবেশি কৃষ্ণ কাছেই ছিলেন,জটিলার,রাধার প্রতি তর্জন গর্জন দেখে বিপ্র রসিক নাগর বললেন,হে বৃদ্ধে!তুমি কি জন্য তোমার বধূকে ক্রোধে তর্জন করছ?* *এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না,আমি তোমাদের হিতকারী, অতএব অসংকোচে আমাকে সব কিছু বলতে পার।* *জটিলা বললেন,হে বিপ্র!তুমি কি ব্রজরাজকে জান?* *বিপ্র বললেন,তিনি আমাদের মধুপুরেও মহা যশস্বী তাঁকে কে না জানে?* *জটিলা বললেন,তাঁর এক পুত্র জন্মিয়েছে।* *বিপ্র বললেন,যিনি অঘাসুর,বকাসুর ও কেশী নামক অসুরকে বধ করেছিলেন,তাঁর খ‍্যাতিও মধুপুরে শুনেছি।* *জটিলা বললেন,তার গুণ বলি শোন,এই গোষ্ঠ মধ্যে তার গুণে নাম রাখবার জন‍্যও একটিও সতী নাই,কেবল আমার এই বধূটী মাত্র আছে,পরে কি হবে তা জানিনা? এই তার মুরলী,এর গানরূপ মন্ত্র দ্বারা সে কুলবতীদের বনে ডেকে,আর বলতে পারলেন না,লজ্জায় জিহ্বায় চাপ রাখলেন,* *""ওঁ শ্রীবিষ্ণবে নম""বলে চুপ করলেন।* *বিপ্র জটিলার কথা শুনে মৃদু মৃদু হাসতে হাসতে কহিলেন=হে বৃদ্ধে!মুরলী কেমন?কখনও দেখিনি,আমার হাতে একবার দাও,একথা শুনে জটিলা দিলেন,নাগররাজ,হাতে নিয়ে এমনভাবে দেখতে লাগলেন যেন কোনদিনও দেখেননি।* *জটিলা বললেন,যদি তোমার নেবার ইচ্ছে হয় তো তোমায় দিলাম নাও।তুমি গ্রহণ কর,এই দুষ্টা মুরলী ব্রজবন হতে মধুপুরীতে চলে যাক,এখানে সতীগণের কুল,ধর্ম অক্ষুন্ন থাকুক।*
*তাহলে আজ্ঞা কর বধূকে নিয়ে নিজ ঘরে গমন করি,হে বিপ্র!সূর্য‍্যপূজা সময়ে নিত‍্য আসিও।*
*আমার বধূ ও আমার প্রতি আশীর্বাদ রেখ।* *বিপ্রবেশি কৃষ্ণ কোনরকমে হাসি চেপে রেখে সেখান হতে গোচারণ স্থানে গেলেন,যেখানে সখাগণ ছিলেন।*
*🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻*

*বিরাম পদ*
*মিত্র পূজাইয়া বিশ্বশর্মা দ্বিজরাজ*
*বটুকে লৈয়া সাধিলা সব কাজ।।*
*মুদ্রা সহিত বটু নৈবেদ‍্য বান্ধিলা।*
*বিদায় হইয়া দোঁহে কাননে চলিলা।।*
*সখাগণ মাঝে কৃষ্ণ যাইবার তরে।*
*ব্রাহ্মণের বেশ সব করিলন দূরে*
*চূড়া বান্ধি বেণু বাঁশী লইলেন করে।*
*কৌতুকে মিলিলা সব সখার ভিতরে।।*
*বটুর অঞ্চলে বান্ধা নৈবেদ‍্য দেখিয়া।*
*খোলয় রাখাল সব চৌদিকে ঘেরিয়া।।*
*বলরামের ইঙ্গিতে সকল সখাগণ।*
*নৈবেদ‍্য সহিত নিল তাহার বসন।।*
*ক্রোধে শাপ পাড়ে বটু কৃষ্ণ করে মানা।*
*তবে তারে বস্ত্র দিল করি বিড়ম্বনা।।*
*কৃষ্ণ লৈয়া সখাগণ নানা ক্রীড়া করে।*
*অপরাহ্ন হইল বলি মাধব ফুকারে।।*
*🌻🌻পাশা খেলা লীলা এখানেই রহিল,জয় রাধেশ‍্যাম🌻🌻*
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
👇👇👇এই লিখনী 📚 PDF 📚 ক্লিক করুন 👇👇👇
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧               
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧





শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html