🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 ত্রয়োদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga13.html


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔙 পূর্ব লীলা 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 দ্বাদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga12.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 ত্রয়োদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga13.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 ত্রয়োদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga13.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২১)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
         *প্রেমবিকার ও সাগরে পতন*
          ~~~~~~~~~~~~~~~~~
*🌺এইরকম সন্ধ‍্যের সময় একদিন মহাপ্রভু তাঁর অন্তরঙ্গ ভক্ত স্বরূপ ও রামরায়ের কাছে কৃষ্ণপ্রসঙ্গ করতে করতে,ভাবে বিভোর হয়ে পড়লেন, এমন সময় রামরায় কৃষ্ণকর্ণামৃত,বিদ‍্যাপতি ও গীতগোবিন্দের মূল অংশ পাঠ করতে লাগলেন এবং মধুরকন্ঠ সুগায়ক স্বরূপদামোদর মধুর কীর্তন ধরলেন।শ্রীচৈতন‍্যদেব কিছুক্ষণ সুস্থির হয়ে সাগরের দিকে ধাবিত হলেন,যেতে যেতে তিনি একটি উদ‍্যানে প্রবেশ করলেন।শ্রীমদ্ভাগবতে পাই শ্রীশ্রীরাসলীলার সময়ে একবার শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধিকাকে নিয়ে পলায়ন করলে,গোপীগণ শ্রীকৃষ্ণবিরহে ব‍্যাকুল হয়ে তরুলতা ও বৃক্ষদের কাছে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের অন্বেষণ করতে লাগলেন।মহাপ্রভু প্রেম-উদ‍্যানে প্রবেশ করতেই শ্রীশ্রীরাসলীলার সেই ছবি তাঁর স্মৃতিপথে উদিত হল। তিনি ভাগবতের দশম স্কন্ধের এই শ্লোকটি আবৃত্তি করতে করতে,গোপীদের ন‍্যায় তাঁর প্রাণসখা শ্রীকৃষ্ণের অন্বেষণ করতে লাগলেন=*
*🌷চূতপিয়ালপনসাসন কোবিদার,*
*🌷জম্বর্কবিল্ববকুলাম্র কদম্বনীপাঃ।*
*🌷যেহন‍্যে পরার্থভাবকা যমুনোপকূলাঃ,*
*🌷শংসন্তু কৃষ্ণপদবীং রহিতাত্মনাং নঃ।।*
*🌻হে চূত!হে পিয়াল!হে পনস!হে অসন!হে কোবিদার!হে জম্ব!হে অক!হে বিল্ব বকুল!হে আম্র!হে কদম্ব!হে নীপা!হে অন‍্যান‍্য বৃক্ষ সকল!তোমরা যমুনাতীর্থবাসী,পরোপকারের জন্যই জন্মগ্রহণ করেছ,আমরা কৃষ্ণবিরহে আত্মহারা হয়েছি, শ্রীকৃষ্ণ কোন পথে গিয়েছেন,আমাদেরকে বলে দাও।*
*🌼বৃক্ষসব নীরবে দাঁড়িয়ে, গৌরহরিরবিরহের কাতরোক্তি সবই শুনিল, কিন্তু কেউই কোন উত্তর দিল না। তখন তিনি ভাবলেন,এরা সবাই পুরুষজাতি,এরা আমার কথার কোন উত্তর দিবে না,তারপর গৌরসুন্দর দেখলেন,সামনে মালতী,মল্লিকা প্রভৃতি নানাজাতীয় ফুল ফুটে রয়েছে, তাঁর মনে হল এরা নারীজাতি,এরা অবশ্যই আমার ব‍্যাথায় ব‍্যথিত হয়ে আমার প্রাণবল্লভের সমাচার নিশ্চয়ই দিবে,তাই তিনি গোপীদের মত ভাগবতের এই শ্লোকটি আবৃত্তি করতে করতে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন=*
*🌷মালত‍্যদর্শি বঃ কচ্চিন্মল্লিকে জাতি যূথিকে।*
*🌷প্রীতিং বো জনয়ন্ যাতঃ করস্পর্শেন মাধবঃ।।*
*🌹হে মালতী!মল্লিকে!জাতি!যূথিকে! তোমরা কি তোমাদের মাধবকে দেখেছ?করস্পর্শে তোমাদের প্রীতি জানিয়ে তিনি কি এই পথে গিয়েছেন?তাই শ্রীপাদ কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী সুললিতছন্দে,তাঁর চৈতন‍্যচরিতামৃত গ্রন্থে বলেছেন=*
*🌷আম্র!পনস!পিয়াল!জম্বু!কোবিদার!*
*🌷তীর্থবাসী সবে,কর উপকার।*
*🌷কৃষ্ণ তোমার ইঁহা আইলা?পাইলা দরশন?*
*🌷কৃষ্ণের উদ্দেশ কহি রাখহ জীবন।*
*🌷উত্তর না পাইয়া পুনঃ করে অনুমান ;*
*🌷এ সব পুরুষ জাতি সখার সমান ;*
*🌷এ কেন কহিবে কৃষ্ণের উদ্দেশ আমায়?*
*🌷এই স্ত্রীজাতি লতা আমার সখী প্রায় ;*
*🌷অবশ‍্য কহিবে কৃষ্ণের পেয়েছে দর্শনে।*
*🌷এত অনুমানি পুছে তুলস‍্যাদিগণে ঃ---*
*🌷তুলসি!মালতি!যূথি!মাধবি!মল্লিকে!*
*🌷তমার প্রিয় কৃষ্ণ আইলা তোমার অন্তিকে?*
*🌷তুমি সব হও আমার সখীর সমান ;*
*🌷কৃষ্ণোদ্দেশ কহি সবে রাখহ পরাণ।*
*🌻অবশেষে কারও কাছ হতে কোন উত্তর না পেয়ে, তিনি সাগরতটে গমন করলেন, এবং উপকূলস্থিত একটি কদম্ব বৃক্ষতলে, কৃষ্ণ পেলাম কৃষ্ণ পেলাম, বলিয়া চেতনাহীন হয়ে পড়লেন।রায় রামানন্দ, স্বরূপদামোদর প্রভৃতি সাথী হয়েই বিচরণ করছিলেন, এখন আগেরমত সঙ্গীত ও ভক্তিগ্রন্থের শ্লোকাদির দ্বারা মহাপ্রভুর চেতনা ফিরিয়ে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে গেলেন। গৌরহরির অবস্থা এইরকম ভাবে কাটতে লাগল।উন্মাদের মত কখন প্রলাপ বাক‍্য বলেন,কখন ব‍্যাকুল হৃদয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্বরূপাদির গলা জড়িয়ে ধরে বলেন,"আমার সে কৃষ্ণধন কোথায় গেলেন!কোথায় গেলে আমি তাঁর দেখা পাব!রাত্রিতে একেবারেই ঘুমোতে পারতেন না,দিব‍্যোন্মাদের সব লক্ষণই তাঁতে প্রকাশ পেতে লাগল।*
🌷🦚🙏🪷🌸🪔🌷🦚🙏🪔🪷🌸🦚
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 ত্রয়োদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga13.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২২)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
               *💮সাগরে পতন💮*
              *********************
*🍀শরৎকাল,জ‍্যোৎস্নাময়ী রজনী ; চন্দ্রালোকে চারিদিক আলোকিত।গৌরহরি কি এসময় স্থির থাকতে পারেন?তিনি ভক্তগণসহ উদ‍্যানে উদ‍্যানে বিচরণ করতে লাগলেন।বেড়াতে বেড়াতে তিনি অদূরে আইটোটায় সাগরের প্রতি তাঁর নজর পড়িল।জ‍্যোৎস্নালোকে নীলাম্বুরাশির বক্ষ যেন ঝলমল করছে।ভাবনিধি গোরাচাঁদের ভাবে বিভোর হয়ে মনে হল এটি পুরুষোত্তমের সমুদ্র নহে,এটি সেই শ্রীবৃন্দাবনের যমুনা। তিনি আর স্থির থাকতে পারলেন না, ভক্তদের অগোচরে অতি দ্রুতবেগে সেইদিকে ধাবিত হলেন এবং সাধ্বী প্রেমিকার ন‍্যায় তাঁর সেই হৃদয়স্বামী শ্রীকৃষ্ণকে লাভ করবার জন্য সিগর বক্ষে ঝাঁপ দিলেন।কিছুক্ষণ পরেই স্বরূপ গোস্বামী ও রায় রামানন্দ চারিদিকে চেয়ে দেখেন,মহাপ্রভু অদৃশ্য হয়েছেন।তাঁরা সকলেই জানতেন যে গৌরহরির ভাবতরঙ্গ যেরকম প্রবল হয়েছে, তাতে যে কোন সময় যেকোন ঘটনায় ঘটতে পারে,তাতে কোন ঘটনায় যে তাঁর জীবন সংশয় হবে তার কিছুই স্থিরতা নাই,এইজন‍্য তাঁরা বড়ই ব‍্যাকুল হয়ে পড়লেন।অন‍্যান‍্য ভক্তবৃন্দের নিকট এ সমাচার পাঠানো হল।সকলেই উদ্বিগ্ন চিত্তে মহাপ্রভুর খোঁজ করতে লাগলেন, আর কেউ কেউ বা চিরায়ু পর্বত প্রভৃতির দিকে গমন করলেন।নিশি প্রায় অবসান হয়ে আসিল, গৌরসুন্দরের দেখা নেই।এই দীর্ঘ সময় খোঁজ করবার পর,মহাপ্রভুকে না পেয়ে নিরাশ হয়ে,সকলেরই মন বিষাদের ঘন মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল,মনে করলেন মহাপ্রভুর দর্শনে তাঁরা চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হলেন,এই হৃদয় বিদারক কথায় তাঁদের হৃদয় মধ্যে উদিত হতে লাগল, এবং বিষাদের মেঘকে আরো ঘনীভূত করে তুলল।ঘন বিষাদে মন আচ্ছন্ন হলেও,তাঁরা শ্রীচৈতন‍্যের অন্বেষণে নিরস্ত হয়ে ঘরে ফিরে গেলেন না। স্বরূপ গোঁসাই কয়েকজনকে নিয়ে সাগরের তীরে ঘুরতে লাগলেন। তাঁর যেন মনে হল,গোরাচাঁদ তাঁদেরকে একেবারে পরিত‍্যাগ করে যাননি।এমন সময়ে তাঁরা দেখলেন,এক ধীবর জাল নিয়ে গমন করছে।গমনকালীন সে হরিবোল বলতে বলতে কখন হাসছে,কখন কাঁদছে ও কখন বা নাচছে।তার এই অবস্থা দেখে সকলেই অবাক হয়ে গেলেন, কেউই আর কারণ নির্ণয় করতে পারলেন না।তখন স্বরূপ গোস্বামী ধীবরকে তার এইরকম অবস্থার কারণ জিজ্ঞাসা করাতে সে বলিল, "আমি ধরবার জন্য জলে জাল ফেলে, তুলে দেখি,আমার জালের মধ্যে একটা মরা মানুষ রয়েছে।সেই মৃতদেহ বাহির করে ফেলবার সময় আমি তাকে ছুঁয়ে ফেললাম।তখন হতেই ভয়ে আমার শরীর কাঁপছে। সেটি মানুষ কি ব্রহ্মদৈত‍্য কি ভূত তা কিছুই বলতে পারি না।তার শরীর হাত-পা খুবই লম্বা। তার গোঁ গোঁ শব্দ শুনে ভয়েতে আমার প্রাণ কেঁপে উটছে।আমি গরীব মানুষ,স্ত্রীপুত্র নিয়ে ঘর করি,আমি ভিন্ন তাদের আর কে দেখবে?আমার মনে হয়েছে ঐ লম্বা মানুষটিকে ভূতে ধরেছে, তাই আমি ভূত ঝাড়াবার জন্য ওঝার বাড়ী যাচ্ছি।তোমরা ওখানে যেও না,তোমাদেরও ভূতে পাবে।ধীবরের কথা শুনে স্বরূপ গোঁসাই বুঝলেন,তিনি ধীবরের পিঠে তিনটি চপেটাঘাত করে বললেন,তোমার ভূত ছেড়ে গেছে আর তোমার ভয় নেই।সরল ধীবর,স্বরূপ গোস্বামী যথার্থ ওঝার কাজ করলেন মনে করে নির্ভয় হল।তখন স্বরূপদামোদর বললেন,তুমি যাঁকে জালে তুলেছ,তিনি ভূত নন,শ্রীকৃষ্ণচৈতন‍্যদেব।তখন ধীবর বলল,আমি তো আর তাঁকে চিনি না?এ তিনি নন। স্বরূপ ও অন‍্যান‍্য ভক্তগণ তারপর ধীবরকে নিয়ে তার জালধৃত ব‍্যক্তির কাছে উপস্থিত হলেন।*
*গিয়ে দেখেন মহাপ্রভু অচৈতন‍্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।শ্রীগৌরাঙ্গের অপরূপ রূপ যেন মলিন হয়ে গিয়েছে।তারপর তাঁরা তাঁকে শুকনো কৌপীন ও বহির্বাস পরালেন এবং সকলে মিলে মধুর হরিনাম সংকীর্তন করতে লাগলেন।যে শ্রীনাম ও কীর্তনে তাঁর বাহ‍্যজ্ঞান বিলুপ্ত হত,সেই শ্রীনামেই তিনি আবার চেতনা লাভ করতেন।এখন সাগর-তটে সুধামাখা হরিনামের মধুর ঝঙ্কারে সংজ্ঞাহীন গৌরসুন্দর চৈতন‍্য লাভ করলেন। মহাপ্রভু চেতনা লাভ করে স্বরূপ গোঁসাইকে জিজ্ঞাসা করলেন,তোমরা আমাকে সমুদ্র-তটে আনলে কেন?তখন স্বরূপদামোদর সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন। আর বললেন, তুমি সমুদ্রকে যমুনা ভেবে ব্রজেন্দ্রনন্দনের জলকেলি দেখছিলে, আর আমরা তোমার জন্য সমস্ত জায়গা ঘুরে বেড়িয়েছি।গৌরহরি স্বরূপের কথায় যেন একটু লজ্জিত হলেন।তারপর ভক্তগণ মহাপ্রভুকে সমুদ্র স্নান করিয়ে ভবনের দিকে ফিরে গেলেন।*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 ত্রয়োদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga13.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২৩)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
                 *🙌লীলা সমাপ্তি🙌*
             🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
*🍁অনুদিন প্রেমোন্মত্তভাবে শ্রীমন্মহাপ্রভুর দিন কাটতে লাগল।বিশেষ করে শেষের দিকে শ্রীমন্মহাপ্রভুর চরম থেকে চরমতম শ্রীকৃষ্ণপ্রেমে বিহ্বল হয়ে থাকতেন। কিন্তু এই মত্ততার অবস্থায়ও তিনি জননীর প্রতি কর্তব‍্য সাধনে বিরত হননি।ভক্তেরা বঙ্গদেশ হতে বৎসরান্তে আগমন করলে,তিনি জননীর সংবাদ নিতেন, এবং তাঁরা যখন ফিরে যেতেন,তখন মাতৃবৎসল গৌরহরি মায়ের জন্য প্রাসাদান্ন ও বস্ত্র পাঠিয়ে,ভক্তিপূর্ণ প্রণাম জানাতে বলতেন।তিনি পন্ডিত জগদানন্দের উপরই জননীর দেখাশোনার ভার অর্পণ করেছিলেন।এজন‍্য তিনি মহাপ্রভুর আজ্ঞাবহ হয়ে নবদ্বীপে শচীমায়ের ভবনে অধিকাংশ সময় বাস করতেন।জগদানন্দ নীলাচলে আসবার সময় শ্রীমৎ অদ্বৈতাচার্য‍্যের অনুমতি গ্রহণের জন্য গমন করলে,আচার্য‍্য জগদানন্দকে নীলাচলে গিয়ে,মহাপ্রভুকে তাঁর কোটি নমস্কার জানিয়ে,তাঁর একটি তরজা বলতে অনুরোধ করলেন।জগদানন্দ নীলাচলে এসে,গৌরহরিকে অদ্বৈতাচার্য‍্যের প্রণাম জানিয়ে বললেন,আচার্য‍্য তোমাকে এই তরজাটি জানাতে বলেছেন=*
*🌷বাউলকে কহিও লোক হইল আউল।*
*🌷বাউলকে কহিও,হাটে না বিকায় চাউল।।*
*🌷বাউলকে কহিও কাজে নাহিক আউল।*
*🌷বাউলকে কহিও ইহা কহিয়াছে বাউল।।*
*🌺মহাপ্রভু আচার্য‍্যের এই তরজাপত্র শুনে ঈষৎ হাসিলেন।এই তরজাপত্রের প্রকৃত অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে মহাপ্রভুর ভক্তগণের মধ্যে কেউ বুঝতে পারেননি বলেই বোধ হয়।আমরাও ইহার তাৎপর্য‍্য বুঝতে পারলাম না।মহাপ্রভু তখন বিরহ বেদনায় অস্থির ; এমন সময় এই তরজা শুনলেন।শোনার পর হতেই তাঁর সেই প্রেমভাব আরো বেড়ে গেল।তিনি কখন রামানন্দের ও কখন স্বরূপদামোদরের গলা ধরে অঝোর নয়নে কাঁদতে থাকেন,অনিদ্রায় নিশি যাপন করে ঘরের ভিতরেই দেওয়ালে নাক,মুখ ঘষে, রক্তের ধারায় বদনমন্ডল প্লাবিত করে ফেলতেন।মহাপ্রভুর এই মহাভাবের লক্ষণ দেখে, স্বরূপ গোঁসাই,রামরায় প্রভৃতি ভক্তগণ দীর্ঘরাত্রি পর্যন্ত তাঁর কাছে বসে থাকতেন।তিনি কখন গৃহত‍্যাগ করে দেহপাত করেন,এই আশঙ্কায় তাঁরা শঙ্কর পন্ডিতকে সমস্ত রাত্রি,তাঁর কাছে শয়ন ও তাঁর সেবা করবার জন্য ভার অর্পণ করলেন।স্বরূপ গোঁসাই প্রভৃতিও গৌরহরির দেহ রক্ষার জন্য সদাসর্বদা সতর্ক থাকতেন।শ্রীচৈতন‍্যদেবের প্রাণ এখন সব ভূতেতেই শ্রীকৃষ্ণের অপরূপ রূপ মাধুরী দেখবার জন্য ব‍্যাকুল হয়েছে। এই মহাভাবের অবস্থাতে তিনি সুনীল আকাশে,হরিৎবর্ণ শস‍্যক্ষেত্রে, বৃক্ষ ও লতাদিতে,গিরিশৃঙ্গে ও নীলাম্বু বক্ষে যেদিকে তাকান,সব জায়গতেই*
*সব জায়গাতেই যেন তাঁর সামনে তাঁর জীবন-নিধি শ্রীকৃষ্ণধনকে প্রকাশ করে দিতেন।তিনি কৃষ্ণরূপ সাগরে তন্ময় হয়ে ব্রহ্মান্ডের চারিদিকেই সেই রূপ দর্শন করে তাঁকে ধরবার জন্য ব‍্যাকুল হয়ে ধাবিত হতেন।বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে তিনি জগন্নাথ বল্পভ নামক এক মনোহর কুসুম-উদ‍্যানে সন্ধ‍্যার সময় বিচরণ করতে গেলেন।চাঁদের রজতকিরণে চারিদিক উদ্ভাসিত। কাননের চতুর্দিক নানাজাতীয় ফুলের গাছ সব ফুলে ফুলে ভরে রয়েছে,তার উপরে বিমল চন্দ্রকিরণে তাদের সৌন্দর্য্য আরো ফুটিয়ে তুলেছে।কত পাখী মনের উল্লাসে বৃক্ষডালে বসে,সুমধুর কন্ঠে প্রাণ ভরে গান করছে ; প্রকৃতির এই মনোহর সৌন্দর্য‍্যের মধ্যে শ্রীচৈতন‍্যদেব মনের উল্লাসে বৃক্ষগুলির তলে তলে গমন করে,প্রেমানন্দে নৃত্য ও কীর্তন করতে লাগলেন।এমন সময়ে কুসুমোদ‍্যান তাঁর কাছে বৃন্দাবনের নিধুবন বলে বোধগম্য হল।তিনি দেখলেন,শ্রীকৃষ্ণ এক বৃক্ষতলে দাঁড়িয়ে বাঁশী বাজাচ্ছেন ; সে মূরতি দরশন করে,সে বাঁশীর শব্দ শুনে,তাঁর চিত্ত বিমোহিত হয়ে পড়ল, যমুনার উজানের মত তাঁর ভাবতরঙ্গ উথলিয়ে উঠিল।প্রবল তুফানে যেমন তরীকে ডুবিয়ে দেয়,প্রবল ভাবের স্রোত তেমনি তাঁর চিত্তকে নিমজ্জিত করে ফেলল। তিনি ভাবাবেশে হতচেতন হয়ে মৃত্তিকায় পড়ে গেলেন।অবশেষে ভক্তগণ জানতে পেরে,নামকীর্তনে তাঁর চৈতন‍্যোদয় করলেন।*
*স্বরূপদামোদর ও রামরায় সবসময়ই তাঁর সঙ্গে থাকতেন।মহাপ্রভুও তাঁদের সঙ্গে ভগবৎ প্রসঙ্গ করে,তৃপ্তিলাভ করতেন।একদিন গৌরহরি স্বরূপ ও রামরায়কে বললেন,দেখ,নাম সংকীর্তন ভিন্ন জীবের আর গতি নাই ; নাম সংকীর্তনেই মানবের সব অমঙ্গল বিদূরিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি প্রেমোদয় হয়।এইকথা বলতে বলতে তাঁর হৃদয়ে বিষাদ ও দৈন‍্য ভাব উপস্থিত হল।*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 👉 শ্রীগৌরাঙ্গ চরিত 📖 ত্রয়োদশ ভাগ 🏵️ শ্রী শশীভূষণ বসু ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/gouranga13.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২৪)🙏শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা*
                   *লীলা----সমাপ্তি*
                ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀তিনি ক্রমে ক্রমে স্বরচিত কয়েকটি শ্লোক আবৃত্তি করতে লাগলেন=*
*🌷নাম্নামকারি বহুধা নিজ সর্বশক্তি,*
*🌷স্তত্রার্পিতা নিয়মিতঃ স্মরণেন কালঃ।*
*🌷এতাদৃশী তব কৃপা ভগবন্মমাপি,*
*🌷দুর্দ্দৈবমীদৃশ মিহাজনি নানুরাগঃ।।*
*🙏হে ভগবন্!তুমি নিজ নাম বহুধা করে তাতে আবার শক্তি সঞ্চার করেছ, এবং এত এতদূর কৃপা করেছ যে,সে সব স্মরণ করতে,কালাকাল বিচার বা কোন নিয়মের প্রয়োজন নাই।তথাপি আমার ও সংসারের লোকদের এমন দুর্ভাগ্য যে,সে সুমধুর নাম গ্রহণে রুচি জন্মায় না।তৎপর নামমাহাত্ম‍্য বর্ণন করে,নামগ্রহণের অধিকারী কে তা উল্লেখ করলেন=*
*🍀তৃণাদপি সুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুণা।*
*🍀অমানিনা মান দেন কীর্তনীয়ঃ সদা হরি।।*
*🌼যে ব‍্যক্তি তৃণ অপেক্ষাও নীচ,তরুর মত ক্ষমাশীল অর্থ‍্যাৎ বৃক্ষ ছেদনকারীকেও যেমন ছায়া দান করে, এবং যে ব‍্যক্তি নিরভিমান হয়ে অন‍্যকে মান দান করে,সেই ব‍্যক্তিই হরিগুণ কীর্তন করে থাকেন।এই শ্লোক পাঠান্তে মহাপ্রভুর দৈন‍্যভাব আরো বেড়ে উঠিল,তিনি প্রেমে গদগদ স্বরে বললেন=*
*🌷ন ধনং ন জনং ন সুন্দরীং কবিতাং বা জদীশ কাময়ে।*
*🌷মম জন্মনি জন্মনীশ্বরে,ভবতাদ্ভক্তিরহৈতুকী ত্বয়ি।।*
*হে ভগবন্!আমি ধন,জন,যুবতীনারী বা কবিতারও রসাস্বাদন করতে বাসনা করি না ; যেন জন্মে জন্মে তোমার প্রতি অহৈতুকী প্রেম থাকে, আমার এই একান্ত প্রার্থনা।এই শ্লোক পাঠান্তে গৌরহরির প্রেমভাব আরো চরমভাবে বেড়ে উঠিল, তিনি বলতে লাগলেন=*
*🌷নয়নং গলদশ্রু ধারয়া বদনং কদা,*
*🌷গদগদ-রুদ্ধয়া গিরা।*
*🌷পুলকৈ-নিচিতং বপুঃ কদা,*
*🌷তব নাম গ্রহণে ভবিষ‍্যতি।।*
*🌹হে পরমেশ্বর!তোমার নাম গ্রহণে কবে আমার নয়ন হতে অশ্রু বর্ষিত হবে ; কবে গদগদ কন্ঠে তোমার নাম উচ্চারণ করব ; এবং আমার সমস্ত অঙ্গ আনন্দে পুলকিত হবে?*
*🔷ক্রমে তাঁর ব‍্যাকুলতা আরও বাড়তে লাগল,তিনি বললেন=*
*🌷যুগায়িতং নিমেষেণ চক্ষুষা প্রাবৃষায়িতম্।*
*🌷শূন‍্যায়িতং জগৎ সর্বং গোবিন্দ বিরহেণ মে।।*
*😭গোবিন্দ বিরহে এক নিমেষ যেন আমার কাছে একযুগ বলে বোধ হচ্ছে ; বর্ষার বৃষ্টির মত আমার দুইনয়ন হতে বারিধারা বাহির হচ্ছে, এবং তিনি বিহনে সমস্ত সংসার যেন শূন‍্য বোধ হচ্ছে।*
*🍁শ্রীচৈতন‍্যদেবের বিরহজ্বালা ক্রমশই বাড়তে লাগিল। তিনি যতই হৃদয় মধ্যে তাঁর প্রাণনাথকে সম্ভোগ করতে লাগলেন, ততই তাঁর সম্ভোগেচ্ছা আরো প্রবল হয়ে উঠতে লাগল।গৌরহরি আমার কৃষ্ণপ্রেমে উন্মত্ত ; তিনি এই উন্মত্ত অবস্থায় একাকী নির্জনে বহু বৃক্ষ সমন্বিত কাননের মধ্যে থেকে তাঁর হৃদয়নাথের সহবাস-সুখ লাভ করতেই ভীষণ ভীষণ প্রয়াসী হয়ে উঠলেন।গদাধর পন্ডিতকে মহাপ্রভু খুবই স্নেহ করতেন।আর গদাধরও মহাপ্রভুর অচলা ভক্তিবশত তাঁকে সুখে ও শান্তিতে রাখবার জন্য যত্নবান থাকতেন।আজন্ম সাধু ও চিরকুমার গদাধর যমেশ্বর টোটায় সাগর-তীরবর্তী এক মনোহর কুসুম উদ‍্যানে বাস করতেন।গৌরহরি অধিকাংশ সময় সে জায়গায় গিয়ে নামকীর্তন ও গদাধরের ভাগবত পাঠ শুনে বিশেষ আনন্দ লাভ করতেন।বারিধি-তীরস্থ বৃক্ষলতাদি পরিশোভিত এই মনোহর স্থানে মহাপ্রভুর ভাবোচ্ছ্বাসে কোন বিপদ ঘটতে পারে, এই আশঙ্কায় তিনি সর্বদা তাঁকে নিজের নয়নপথে রাখতে ব‍্যস্ত থাকতেন।*
*গৌরহরির আদেশে গদাধর উদ‍্যান মধ্যে গোপীনাথের একটি মন্দির তৈরী করেন।🌻কথিত আছে,একদিন মহাপ্রভু উদ‍্যান মধ্যে প্রবেশ করে গোপীনাথের মন্দিরে প্রবেশ করলেন।তখন গদাধর এক বৃক্ষতলে বসে ভাগবত পাঠ করছিলেন।কিছুক্ষণ পরে,গৌরহরিকে ঘর হতে বাহির হতে না দেখে গদাধরের মন চঞ্চল হয়ে উঠলেন ; তিনি তৎক্ষণাৎ মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখলেন যে সেখানে মহাপ্রভুকে দেখতে পেলেন না,মহাপ্রভুর লীলা সম্বরণে কৃতনিশ্নয় হয়ে কেঁদে আকুল হয়ে গেলেন।যাঁকে নিমেষকাল না দেখলে তাঁদের প্রাণ অস্থির হয়ে পড়ত,সেই শ্রীগৌরাঙ্গদেবকে আর তাঁরা দেখতে পেলেন না।আকুল হৃদয়ে অশ্রুবারি ফেলতে ফেলতে গৌরহরির চিরসঙ্গী গদাধর একটা খোলামকুচি (হাড়ি বা কলসির ভাঙ্গা টুকরো)নিয়ে বালুর উপর লিখলেন=*
*🌷কি কহিব কোথা যাব বাক‍্য নাহি সরে।*
*🌷গোরাচাঁদ হারাইলাম গোপীনাথের ঘরে।।*
*🌹বৈষ্ণবগণ বলেন,গোপীনাথের দেহের সঙ্গে মহাপ্রভু নিজের দেহ মিশিয়ে দিয়ে,মর্ত্ত‍্যলীলা সাঙ্গ করেছেন।১৪৫৫ শকের মাঘমাসে পূর্ণিমা তিথিতে ৪৮ বৎসর বয়ঃক্রমের সময় শ্রীশ্রীগৌরহরির তিরোভাবের দিন নির্ণীত হয়েছে।ভক্তিধর্ম-প্রবর্তক ভাগবতশ্রেষ্ঠ প্রমের অবতার শ্রীগৌরসুন্দর মর্ত্ত‍্যলীলা সাঙ্গ করলে,তাঁর ভক্তগণ একরাশ বুকে ব‍্যথা নিয়ে ইহলোকে বাস করতে লাগলেন।গদাধর সেই দিন হতে শোকে,দুঃখে,কষ্টে কোন নির্জন জায়গায় বাস করে,মৃত‍্যুকে আলিঙ্গন করবার জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন।অদ্বৈতাচার্য‍্য,শ্রীরূপ,শ্রীসনাতন গোস্বামী মহাপ্রভুর তিরোভাবের সংবাদ শোনার পর দারুণ শোকানলে দগ্ধ হতে লাগলেন। মহাপ্রভুর অপ্রকটে যেন সকল ভক্তগণ মৃত‍্যুমুখে নিপতিত হলেন।পুরুষোত্তমে গৌড়ীয় ভক্তদের শ্রেণীবদ্ধ হয়ে আগমন ও রথোৎসবের আনন্দোৎসব সবই বন্ধ হয়ে গেল। বাংলা,বিহার ও উড়িষ‍্যার চারিদিকেই বিষাদের চিহ্ন পরিলক্ষিত হতে লাগল।*
*🌹বহুদিন পূর্বে লেখক পুরুষোত্তমে গমন করেছিলেন।সেখান থাকাকালীন তিনি কোন ভক্ত সঙ্গে বৈষ্ণবদের আশ্রমে গমন করে তাঁদের সঙ্গে শ্রীচৈতন‍্যদেবের প্রসঙ্গ করেন।মহাপ্রভুর তিরোভাবের প্রসঙ্গে তিনি তাঁদের নিকট হতে গদাধরের বালির উপর উক্ত কবিতাটির রেখাপাতের কথা শুনেছিলেন।*
*🌺শ্রীগৌরচরিত্রের অসাধারণ,স্নিগ্ধ ও মধুময় প্রভাব বিনষ্ট হবার নয়। তিনি যে ভক্তির অমৃতময় প্রভাব প্রবাহিত করে দিয়েছেন।তা চিরদিনই প্রবাহিত হয়ে নরনারীর প্রাণকে সুশীতল করবে। তিনি ভগবদ্ভক্তির যে আদর্শ দেখিয়ে গিয়েছেন,তা অতুলনীয়,সে আদর্শ চিরদিনই মানুষকে অনন্ত সৌন্দর্য্য,আনন্দ, প্রেম ও পুণ‍্যের দিকে ধাবিত করবে।*
*🙏গৌরহরি! তোমার অমিয়মাখা জীবন-চরিত পাঠে সংশয়বাদী,জড়বাদী ও নাস্তিক বুঝবে যে,জড়াতীত এক বস্তু আছেন,যিনি নরনারীর চিত্তকে হরণ করতে পারেন মুগ্ধ করতে পারেন।তুমি সেই পরমপুরুষকে স্বামীরূপে হৃদয়ে দর্শন করে ভগবদ্ লীলার অপূর্ব কীর্তি স্থাপন করে গেলে।ভাগবত বর্ণিত ভক্তির শ্রেষ্ঠ লক্ষণ সব তোমাতেই প্রকাশ পেয়েছিল।ভক্ত ছাড়া কি ভগবৎ লীলা বুঝতে বা দেখতে সমর্থ হয়?হে গৌরহরি!তুমি সেই লীলা দেখিয়ে গিয়েছ।তুমি অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ডে ভক্তচূড়ামণি, ভক্তশ্রেষ্ঠ।তোমার লীলা বড়ই মধুর ও মধুর হতে মধুরতর সুমধুর।তোমার অমিয়মাখা চরিত পাঠে পাষাণ হৃদয় বিগলিত হয়,অভক্ত হৃদয়ে ভক্তির সঞ্চার হয়,ঘোর বিষয়াসক্ত ব‍্যক্তির বিষয়-লালসা দূরীভূত হয়, এবং তুমি ভগবৎ-ভক্তি ও প্রেমের অবতার স্বরূপ হয়ে চিরদিনই মানুষের চিত্ত অধিকার করে থাকবে, আর নরনারী তোমার মধুর লীলাকথা শ্রবণে ও কীর্তনে মধুর প্রেম ও ভক্তির রসাস্বাদন করে,জীবনকে সুশীতল ও মধুময় করতে সমর্থ হবে।*
*🙏দীর্ঘদিন ধরে "শ্রীগৌরাঙ্গের চরিতসুধা" লিখিলাম, ভুলভ্রান্তি, বানানভুল অনেক হয়েছে হয়ত, অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি জয়দেব দাঁ করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থী, নিজগুণে ক্ষমা করবেন।পরবর্তী নীলাচলে মহাপ্রভু বা শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ পর্ব শুরু করব, আস্বাদন করবেন🙏*
*🙌জয় জয় নিতাই গৌর সীতানাথ প্রেমানন্দে হরিবোল🙌🙌🙌*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ꧁👇 📖 সূচীপত্র ✍️ শ্রী জয়দেব দাঁ 📖 👇꧂



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️ 
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

  *••••┉❀꧁👇🏠Home Page🏠👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

     *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
   🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧





শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html