🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩
শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🔙 পূর্ব লীলা 👉 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 পঞ্চম ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath5.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫১)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*⛰️নীলাচলে মহাপ্রভু⛰️*
*🌲🌲রথযাত্রা🌲🌲*
⭐⭐⭐⭐⭐⭐⭐
*🍀আপনারা শ্রীশ্রীজগন্নাথের ঐশ্বর্য্যের কথা অর্থ্যাৎ অলৌকিকতা শুনে থাকবেন।মাঝে মাঝে শোনা যায়,রথের গতি থেমে যেত।এইরকম আরও যে সব অলৌকিক ঘটনা ঘটিত,তার সমস্ত কিছুই মিথ্যা না।সেই প্রেমময় ভগবানের যে কি খেলা,তা সামান্য মানুষ কিভাবে বুঝতে পারবে। ইন্দ্র,চন্দ্র,ব্রহ্মাদি যখন,তাঁর লীলা কিছুই বুঝতে পারেন না,তখন সামান্য জীবের কি সাধ্য যে বুঝতে পারে?তিনি প্রেমময়,দয়ার অবতার, ভক্তবৎসল,তিনি যাকে দয়া করে না বুঝান, সে কিছুই বুঝতে পারে না।এ সম্বন্ধে একটি গল্প বলি শুনুন। ভক্তের উপর ভগবানের কিরকম দয়া।*
*🌷অপি চেৎ সুদুরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্।*
*🌳ইত্যাদি বচনে দ্বারা দেখা যায় যে,যিনি ভগবানের ভক্ত,তিনি যদি কখনও আচার ভ্রষ্ট হন, অথবা কোন খারাপ কাজ করেন,তবে ভগবানের নামের গুণে সে সমস্তেরও খন্ডন হয়। প্রেমের বন্যায় সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে পরিস্কার হয়ে যায়।*
*🌷তরণীব তিমির-জলধের্জয়তি জগন্মঙ্গলং হরের্নাম।*
*🍀জগতের মঙ্গলকারী হরিনাম ত্রিতাপ-জলধির তরণী স্বরূপ,সেই হরির নাম জয়যুক্ত হচ্ছে।এই জগতের মঙ্গলকারী হরি নামেতে,সমস্ত পাপ তাপ ধূয়ে পরিস্কার হয়ে যায়।🔴বলরাম দাস নামে কোন এক ভক্ত,এক সময়ে ইন্দ্রিয়সংযম করতে না পারায়,কোন পতিতার ঘরে গিয়েছিলেন এবং পান চিবানো,ধূমপান ইত্যাদি নানা ব্যাপারে রত থাকেন।শ্রীজগন্নাথের কথা, এই মোহেতে তিনি একেবারেই ভুলে যান।তখন ঐ বারাঙ্গনা বা বেশ্যানারী তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলছে,শ্রীজগন্নাথ দেবের রথ-যাত্রা হচ্ছে,দেখতে যাবে না?বারাঙ্গনার এই ভর্ৎসনাতে তাঁর চেতনা জন্মিল। তখন বলরাম দাস অপবিত্র শরীরেই দৌড়ায়ে রথের উপর উঠতে গেলেন। কিন্তু সেবকগণ তাঁর দুশ্চরিত্রতার কথা শুনে,তাঁকে রথ থেকে বাহির করে দিলেন।এই অপমানে বলরাম মর্মাহত হয়ে রথের উপরে থাকা জগন্নাথকে যথেষ্টভাবে ভর্ৎসনা করতে লাগলেন।তাঁর মনে হল,জগন্নাথ তাঁর কথা শুনলেন না। এতে বলরাম আরও ক্ষুব্ধ হলেন।জগন্নাথের উপর তাঁর ক্রোধ দ্বিগুণ বেড়ে গেল।কোন প্রেমিকা যদি তার প্রিয়-পাত্র দ্বারা অপমানিত হয়,তাহলে অন্য লোক দ্বারা অপমানিতা হওয়া অপেক্ষা,এর বেশী দুঃসহ মনে করেন।তাই প্রেমিকা স্থানীয় বলরামও দুঃখে ও অভিমানে মর্মাহত হয়ে,রথস্থান ত্যাগ করে,চক্রতীর্থে চলে গেলেন।সেইখানে বালি দ্বারা তিনটি রথ তৈরী করে জগন্নাথের রথযাত্রা আরম্ভ করলেন।ভক্তের টানে ভগবান বালি নির্মিত রথে আবির্ভূত হলেন।এদিকে জগন্নাথের রথ চলছে না,কত হাতী,রথ টানাটানি করতে লাগল, কিন্তু কিছুতেই রথ চলল না। সকলেই হতাশ হয়ে পড়ল।ভক্তের মান ভগবান রক্ষা করেন। তাই বলরাম দাসের রথ সেই হতে চির স্মরণীয় হল।আজ বলরামদাসের কাছে শ্রীজগন্নাথ বাঁধা।ভক্তির প্রভাবে ভগবান এক সময়ে বলির দরজায় দ্বারী (পাহারাদার) হয়েছিলেন।নন্দ-যশোদার বাৎসল্যপ্রেমে তিনি এক সময়ে বাধা রয়েছিলেন।ভক্তিবলেই গোপবালকেরা ভগবানের কাঁধে চড়ে ছিলেন।আজ বলরাম দাসও শ্রীজগন্নাথকে এই ভক্তিডোরে বেঁধেছেন। ভগবান উভয় সংকটে পড়লেন।এদিকে উড়িষ্যার রাজা প্রতাপরুদ্র রথ চলে না দেখে ব্যাকুল হলেন।তিনি জগন্নাথের কাছে অভীষ্টসাধনের জন্য আমৃত্যু মরণের ধরনা দিলেন।জগন্নাথ দেখলেন,উভয় ভক্তের মধ্যে একটা আপোষ(মীমাংসা) না হলে,বড়ই বিভ্রাট হবে।তখন ভগবান জগন্নাথদেব,রাজা প্রতাপরুদ্রকে স্বপ্নাদেশ করলেন যে,আমার প্রিয়ভক্ত বলরামদাসকে তোমার রথের সেবকরা অপমানিত করেছে,তাদেরকে হাতে গলায় বেঁধে বলরামের কাছে উপস্থিত কর।তারা বলরামের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে,তাকে প্রসন্ন করতে পারলেই রথ চলবে।রাজা এই স্বপ্নাদেশ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং সকালবেলায় সেবকদের হাতে পায়ে বেঁধে, বলরামদাসের কাছে উপস্থিত করলেন, রাজা স্বয়ং ও উপস্থিত হলেন। বলরাম দাস রাজার কাছে এবং সেবকদের কাছে ভগবানের আদেশবাণী শুনে, ভগবৎ-প্রেমে বিমুগ্ধ হলেন।বলরাম ভাবলেন, ভগবান আমার জন্য কত কি করেছেন,বুঝি এই জন্যই তাঁকে জগদ্বন্ধু ও ভক্তবৎসল বলে থাকে।বলরামের মনে হল,জগন্নাথ কত রাজসেবায় তৃপ্ত হতেন,এই কয়দিন যাবৎ একেবারে অনাহারে আছেন, আমার জন্য তাঁর কতই না কষ্ট হয়েছে। এই ভেবে বলরাম তাড়াতাড়ি রথের কাছে উপস্থিত হলেন,রথের উপরে তাঁর প্রিয়বন্ধু জগদ্বন্ধুকে দর্শন করে,আনন্দে কাঁদতে লাগলেন ও অশ্রু বরিষণ করতে করতে বলতে লাগলেন,"আজ তুমি ভক্তের ভগবান", এর জীবন্ত পরিচয় পেলাম।এইরকম বলতে বলতে বলরাম রথ ঠেলতে আরম্ভ করলেন, অমনিই রথ আপন মনে চলতে লাগল এবং অনায়াসেই গুন্ডিচাবাড়ী পৌঁছল। (এর বিস্তারিত বিবরণ অতুলকৃষ্ণ গোস্বামীর "ভক্তের জয়" গ্রন্থে লিখিত আছে)। শ্রীশ্রীজগন্নাথের রথযাত্রা পুরীতে যেরকম হয়ে থাকে, ইহাই সর্বত্র প্রচারিত ; এবং শাস্ত্রও তাইই বলছেন।তবে যোগী ভক্তেরা এই দেহকেই রথ কল্পনা করে থাকেন, এবং সহস্রদ্বার,হৃদয় এবং মূলাধার,এদেরকে তিনতলা বলে আরোপ করেন।সবার উপরের তলা সহস্রার,সহস্রার স্বর্গ, হৃদয় মর্ত্ত্যলোক এবং মূলাধার পাতাল।সহস্রারে জগন্নাথ বাস করেন। হৃদয়ে ভগবানের লীলাক্ষেত্র এবং পাতাল পাপী জীবদের বাসস্থান।এই রথ বৌদ্ধ মন্দিরেও দেখা যায়।এই সম্বন্ধে স্বর্গীয় মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়ের কাছে প্রশ্ন হয়েছিল যে,বৌদ্ধ মন্দিরে রথ হয় কেন?তাঁর প্রশ্নের উত্তরে নিচে দেওয়া হল।*
*প্রশ্ন=বৌদ্ধ মন্দিরে রথযাত্রা হয় কেন?*
*উত্তর=রথ মনুষ্যদেহ,তিনতলা। উপর তলায় সহস্রদল পদ্মে শ্রীশ্রীবামনদেব অর্থ্যাৎ জগন্নাথ বিরাজ করেন।বামন অবতারে ত্রিভুবন অধিকার করেন, এজন্য জগন্নাথ। এই রথে বামনদেবকে দর্শন করলে পুনর্বার জন্ম হয় না।মধ্যতলার সমস্ত দেবদেবী একপদ্মে ও কুটীরে বিরাজ করেন।সমস্ত অবতার ও তাঁদের কাজ এখানে দেখতে পাওয়া যায়। নীচের তলায় কাম,ক্রোধ,লোভ,মোহ,মদ,মাৎসর্য্য ছয় রিপুগণ তাঁদের পরিবারগণের সঙ্গে বিরাজ করেন।বামনদেব রথে উঠিবামাত্র, চারিদিকে শঙ্খ ঘন্টা বাজতে থাকে,নীচের তলায় সিঁড়ি পড়ে।চারিদিক হতে ভক্তমন্ডলী এসে ভিড় করলে,কাম, ক্রোধগণ পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়।তখন সত্ত্ব রজঃ তমোরূপ প্রকান্ড তিনগাছা কাছি(মোটা দড়ি) রথে বেঁধে টানতে থাকে।দুঃখ-সুখময় কালচক্র ঘুরতে ঘুরতে ঠাকুর মন্দিরের কাছে উপস্থিত হলে,কাছি খসিয়ে নেয়।*
*🌳বুদ্ধদেব সিদ্ধিলাভ করে,কার কাছে এই তত্ত্ব প্রকাশ করবেন,এই ভাবতে ভাবতে পূর্বের পাঁচ শিষ্যের কথা মনে হল।বুদ্ধদেব তাদের কাছে সমস্ত তত্ত্ব বর্ণনা করে নিজের শরীর রথ,তাতে দেবতা ও কন্দর্পের প্রকাশ,পরে ব্রহ্মলাভ এই সমস্ত প্রত্যক্ষ করিয়েছিলেন,তাইই রথ।এইজন্য বৌদ্ধ মন্দির মাত্রেতেই রথযাত্রা হয়ে থাকে।*
🛕🛕🛕🛕🛕🛕🪔🛕🛕🛕🛕🛕🛕
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫২)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🛕নীলাচলে মহাপ্রভু🛕*
*প্রথমে--পুনর্যাত্রা*
*দ্বিতীয়--গুন্ডিচাবাড়ী*
*তৃতীয়--ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবর*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🌻🌻🌻পুনর্যাত্রা🌻🌻🌻*
*🍀গুন্ডিচা মন্দির বা গুঞ্জাবাড়ীতে শ্রীজগন্নাথদেবের ৯ দিন থাকবার পর দশমীতে পুনর্যাত্রা হয়।এই সময়েও অনেক যাত্রিক সমবেত হয়।শ্রীজগন্নাথদেব প্রথম দিন এসে,মন্দিরে প্রবেশ করেন না। দ্বিতীয় দিনও সমস্ত জীবকে দেখা দিবার জন্য বাইরে রথের উপরে থাকেন।তৃতীয় দিন শেষ বেলায় রথ হতে নামেন। কিন্তু বলরাম ও সুভদ্রা প্রথমদিনেই মন্দিরে প্রবেশ করেন।তারপর লক্ষ্মীর আদেশে কপাট বন্ধ হয়ে যায়,জগন্নাথ ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন না। এই সময়ে জগন্নাথের পক্ষ হতে অনেক বস্ত্রালঙ্কারের প্রলোভন দেখান হয় ; কিছুতেই লক্ষ্মী দরজা ছাড়েন না। লক্ষ্মীর পক্ষ হতে বলা হয় =*
*🌹দেয়াসুরকে যাইতে দাও মন্দির ভিতর।*
*🌹কালীয়া পড়িয়া থাক প্রাচীর তর।।*
*🌻🌻দেয়াসুর=ভাসুর।*
*🌻ইহাদ্বারা বেশ প্রেমের লীলা প্রকটিত হয়েছে। লক্ষ্মীর অভিমান হয়েছে,সেইজন্য জগন্নাথকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।প্রায় ৩-৪ ঘন্টা পরে,যখন জগন্নাথ এসে বড়ই কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন,তখন কপাট খুলে দেওয়া হয়। জগন্নাথের পক্ষে পান্ডারা, এবং লক্ষ্মীর পক্ষে দেবদাসীরা কথোপকথনকরতে থাকেন।এই ঘটনা দ্বারা শ্রীমতীর মানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।*
*🌷মুঞ্চময়ি মানমনিদানম্। দেহি পদপল্লবমুদারম্।*
*🔵🔵🔵গুন্ডিচা বাড়ী🔵🔵🔵*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🌷ইন্দ্রদ্যুম্ন-সরস্তীরে সপ্তাহানি জনার্দ্দন।*
*🌷তিষ্ঠেৎ পুরা স্বয়ং রাজ্ঞে বরমেতৎ সমাদিশৎ।।*
*🌹ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রতি শ্রীভগবান উক্তি*
*🌷তত্তীর্থ-তীরে রাজেন্দ্র স্থাস্যামি প্রতি বৎসরং।*
*🌷সর্বতীর্থানি তস্মিংশ্চ স্থাস্যন্তি ময়ি তিষ্ঠতি।।*
*🌷সপ্তাহঞ্চ প্রপশ্যন্তি গুন্ডিচা-মন্ডপস্থিতং।*
*🌷মাঞ্চ রামং সুভদ্রাঞ্চ মৎসাযুজ্যমবাপ্নুয়াৎ।।*
*🌷গুন্ডিচা-মন্ডপং যান্তং যে পশ্যন্তি জনার্দ্দনং।*
*🌷রামং কৃষ্ণং সুভদ্রাঞ্চ তে যান্তি ভুবনং হরেঃ।।*
*(মুক্তি চিন্তামণি)*
*🍀রথে আরোহণ করে,জগন্নাথগুন্ডিচা বাড়ীতে আগমন করেন। এখানে সাতদিন থাকেন বলে শাস্ত্রে লেখা আছে। কিন্তু কার্য্যত নয়দিন দেখতে পাই।বোধ হয়,আগে রথ একদিনে গুঞ্জাবাড়ী পৌঁছিত না বলে,নয়দিনের ব্যবস্থা হয়েছে। এটি অতি পুণ্যক্ষেত্র।যেমন জগন্নাথের মন্দিরে ভোগ আদি হয়ে থাকে,এখানেও সেইরকম হয়।ইন্দ্রদ্যুম্নের পত্নীর নাম গুন্ডিচা ছিল বলে,এর নাম গুঞ্জাবাড়ী হয়েছে।এখানে জগন্নাথ আসিলে পর,আর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগ হয় না।*
*🌳🌳ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবর🌳🌳*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবর জগন্নাথ মন্দির হতে এক মাইল দূরে গুন্ডিচা বাড়ীর কাছে অবস্থিত।বহু বৎসর ব্যাপী অশ্বমেধ যজ্ঞকালীন, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন ব্রাহ্মণদেরকে কোটি কোটি গাভী দান করেছিলেন।সে সব গাভী যে জায়গায় রাখা হয়েছিল, সেখানে তাদের ক্ষুরের দ্বারা মৃত্তিকা খনন হতে হতে এক বৃহৎ খাত তৈরী হয়।পরে গাভী সব উৎসর্গীকৃত হয়,তখন হাত হতে সঙ্কল্প জল,সেই খাতে অল্প অল্প করে পড়ে,সেই খাত জল পূর্ণ হয়ে এক বৃহৎ সরোবরে পরিণত হয়। তাই এর নাম ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবর।এটি দীর্ঘে ৫৮৬ ফিট,প্রস্থে ৩৯৬ ফিট।পৃথিবীতে এর মত পবিত্র তীর্থ আর দ্বিতীয় নাই।*
*🌷ইন্দ্রদ্যুম্নসরঃ স্নাত্বা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে।*
*🌻এই সরোবরের দক্ষিণ পাড়ের দুই ধারেই মন্দির আছে।ডানদিকে ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজার বাড়ী ছিল।সেই জায়গায় বতর্মান সময়ে একটি মন্দির আছে। এই মন্দিরকে ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজার মন্দির বলে থাকে।এই মন্দিরে নীলকন্ঠ মহাদেব আছেন, এবং এই মন্দিরের উত্তর পশ্চিম কোণে, একটি ছোট মন্দির আছে।সেই মন্দিরের ভিতরে যজ্ঞকুন্ড ও যজ্ঞমাতা আছেন।বামদিকে গালমাধব রাজার মন্দির আছে।সেই মন্দিরে সাক্ষীগোপাল আছেন।সেই জায়গায় অন্য একটি মন্দিরে বাসুদেব আছেন।*
*এই সরোবরের তীরেই ইন্দ্রদ্যুম্ন মহিষীর একটি মন্দির ও সাক্ষী জগন্নাথের একটি মন্দির আছে।তারসঙ্গে সাধুর আশ্রম আছে।সেইখানে এখন একটি রামায়িত সাধু বাস করছেন।ডানদিকে একটি মন্দিরে কল্কি অবতারের মূর্তি আছে।সেই মন্দিরের ডানধারে এবং বামধারে ছোট ছোট কয়েকটি মন্দির আছে।পৃথক পৃথক মন্দিরে পঞ্চ পান্ডব আছেন।বামধারে মহাবীর সিংহজীর মন্দির ও নৃসিংহ মহারাজের মন্দির।এই জায়গায় গুন্ডিচা মন্দির।এই বাড়ী হতে বাহির হয়ে,পুরী আসতে বামধারে একটি মন্দির আছে, এবং সেই জায়গায় আলাদা আলাদা দশাবতারের মধ্যে কতকগুলি মূর্তি আছে।🔷এক, প্রথম মন্দিরে রাম,লক্ষ্মণ,সীতা। দুই, হনুমানের মন্দির, তিন, বরাহ অবতারের মন্দির, চার, নৃসিংহ অবতারের মন্দির, পাঁচ,পরশুরামের মন্দির,ছয়,মীন অবতারের মন্দির, সাত,বামনাবতারের মন্দির, আট,রাধাকৃষ্ণের মন্দির।*
*ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবরও, শ্রীগৌরাঙ্গদেবের আর এক লীলাক্ষেত্র।এখানেও সমস্ত ভক্তসহ মিলিত হয়ে,এই ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবরে,সাতদিন আনন্দে বিহ্বল হয়ে স্নানকেলি করেছিলেন।মহাপ্রভু প্রত্যেকদিন সমুদ্র স্নান করে, জগন্নাথ দর্শন করতেন, কিন্তু এই সাতদিন, ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবরেই স্নান করেন, আর কাশীমিশ্রের বাড়ীতে যান না।মধ্যাহ্নে জগন্নাথ দর্শন শেষ করে, জগন্নাথ-বল্লভ উপবনে প্রসাদ ভক্ষণ করেন।ইন্দ্রদ্যুম্ন সরোবরে ভক্তগণ একসঙ্গে সাঁতারাদি লীলা করে থাকেন,এই সময়ে সকলেই আনন্দে বিহ্বল।মহাপ্রভু যে কোন কাজই করেন,তার ভিতরে বৈদ্যুতিক শক্তির মত আনন্দের প্রবাহ বতর্মান থাকে।সে প্রবাহেতে পড়ে মহাপ্রভু যাকে যে ভাবে নাচান, সে সেই ভাবে নাচে।এখান হতে মন্দিরে গিয়ে,দর্শন-আনন্দ উপভোগ করেন।এই সময়ে জগন্নাথ-বল্লভ মঠেও অনেক লীলা হয়েছিল।এই সাতদিন আনন্দের হাট বসেছিল।*
💐💐💐💐💐💐🌹💐💐💐💐💐💐
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫৩)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🔵নীলাচলে মহাপ্রভু🔵*
*🌻হোরাপঞ্চমী বা লক্ষ্মী-বিজয়*
*🌻বামন-জন্ম*
*🌻শয়ন-যাত্রা*
*🌻দক্ষিণায়ন*
*🌹হোরাপঞ্চমী বা লক্ষ্মীবিজয়*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀রথযাত্রার পর পঞ্চমী তিথিতে এই উৎসব হয়।শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের মন্দিরে লক্ষ্মীদেবীর বিগ্রহ আছেন, শ্রীজগন্নাথ মন্দির হতে গুন্ডিচাতে ব্রজবিহার করতে গেলে,লক্ষ্মীদেবী দ্বিতীয়া হতে পঞ্চমী পর্যন্ত,প্রভুর আগমন না হওয়াতে,ক্রোধাবেশে নিজ সখীগণসহ সাজসজ্জা করে, শ্রীমন্দির হতে গুন্ডিচাবাড়ীতে গমন করেন।সেখানে গিয়ে পান্ডাগণকে নানাভাবে ভর্ৎসনা করেন, এবং প্রহার ও বন্ধন করেন বা বেঁধে রাখেন।পান্ডাগণ তিন-চারদিন মধ্যে প্রভুসহ শ্রীমন্দিরে ফিরবার অঙ্গীকার করলে, লক্ষ্মীদেবী তাদের বন্ধন মোচন করে নিজ জায়গায় ফিরে যান।*
*🍁শ্রীমন্দিরে অর্থ্যাৎ গুন্ডিচা বাড়ীতে শ্রীরাধাসহ প্রভু বিহার করছেন বলে,তার মধ্যে লক্ষ্মীদেবী প্রবেশ করেন না।জগন্নাথের সঙ্গে সুভদ্রা এসেছেন বলে, তিনি সুভদ্রার প্রতি কিছু কটূক্তি প্রয়োগ করেন।পান্ডাগণ সুভদ্রাকে অর্জুনের পত্নী ও প্রভুর ভগ্নী বলে ধারণা করেন। কিন্তু স্কন্দপুরাণ অন্তর্গত উৎকলখন্ডে, সুভদ্রা লক্ষ্মীরূপা বলিয়া উক্ত হয়েছেন, যথা=*
*যা সা সুভদ্রা নাম্নেয়ং নার্জ্জুনস্য তু কামিনী।*
*যদঙ্কে লক্ষ্মীরূপেণ ভাতি ভদ্রাব্জধারিণী।।*
*🌼🌼🌼বামন-জন্ম🌼🌼🌼*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🍀এই উৎসব ভাদ্রমাসের শুক্লা একাদশীতে সম্পন্ন হয়।*
*🌷ছলয়সি বিক্রমণে বলিমদ্ভুতবামন,*
*🌷পদ-নখ-নীর-জনিত-জন-পাবন,*
*🌷কেশব ধৃত-বামনরূপ জয় জগদীশ হরে।*
*🌹শ্রীজয়দেব গোস্বামীর গীতগোবিন্দ গ্রন্থে দশাবতারস্তোত্রে শ্রীশ্রীবামনদেবের পূর্বোক্তরূপ স্তব করেছেন।আমরাও বামনদেবের জন্ম তিথিতে উক্ত স্তব গান করলাম।এই উৎসবে বিশেষ কোন আড়ম্বর নাই,কেবল জন্ম-তিথিতে পূজা হয়ে থাকে।বামনদেবের জন্ম নেবার প্রধান উদ্দেশ্য দৈত্যপতি বলিরাজাকে ছলনা করা।বলিরাজা যদিও ভক্ত ছিলেন, ও ভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র, প্রহ্লাদের পুত্র বিরোচন, ও বিরোচনের পুত্র বলিরাজা।তথাপি তিনি দৈত্যদলের প্রধান, সুতরাং তাদের মঙ্গল কামনা করতেন এবং অসুরগুরু শুক্রাচার্য্যের পরামর্শে দেবতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করতেন। সুতরাং তাঁকে নিরস্ত বা ক্ষান্ত করা দেবতাদের প্রধান স্বার্থ। বলিরাজা দেবগণকে পরাভূত করে,ইন্দ্রলোক অধিকার করেন।*
*দেবতাদের মঙ্গল সাধনের জন্য ভগবান বামনরূপে কশ্যপমুনির গৃহে জন্মগ্রহণ করলেন।বলির যজ্ঞে বামনদেব উপস্থিত হয়ে ত্রিপাদভূমি প্রার্থনা করেন।শুক্রাচার্য্য বলিকে এই দান দিতে নিষেধ করেন।হয়ত বলিরাজা ভগবান বামনদেবের ছলনা বুঝতে পেরেও,ত্রিপাদভূমি দান করতে পরাঙ্মুখ(মুখ ফিরিয়ে না নেওয়া)হলেন না।বামনদেব দুই পাদ দ্বারা স্বর্গ ও মর্ত্ত্য জুড়ে ফেললেন, এবং নাভি হতে আরেক পদ বাহির করলেন।সে পদ বা পা রাখবার জায়গা নাই।তখন বলিরাজা কথায় বদ্ধ হলেন।সেই সময় তাঁর পত্নী বৃদ্ধাবলীর পরামর্শে ঐ পদ বলি মস্তকে ধারণ করলেন। ভগবানের পদ মস্তকে ধারণ করে যেন বলির আর সৌভাগ্যের সীমা রইল না। বৃদ্ধাবলী স্তব করতে লাগলেন।এই স্তবটি অতি সুমধুর।এরপর বলিকে ভগবান পাতালে পাঠালেন।বলির স্তবে তুষ্ট হয়ে ভগবান তাঁর দ্বারে দ্বারী হয়ে রইলেন, ভক্ত-বৎসল নামের পরিচয় দিলেন।*
*🌲🌲🌲শয়ন-যাত্রা🌲🌲🌲*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀আষাঢ়মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে,রাত্রে সন্ধ্যা ধূপের পর,শয়নোৎসব এবং পূজা অনুষ্ঠিত হয়।তৎপর,শ্রীজগন্নাথদেবের প্রতিনিধি মূর্তি হস্তিদন্ড পালঙ্কে চারমাস শয়ন করেন।*
*🌷শয়নোত্থাপনে কৃষ্ণং যে পশ্যন্তি মনীষিণঃ।*
*🌷হলায়ুধং শুভদ্রাঞ্চ হরেঃ স্থানং ব্রজন্তি তে।।*
*🦚🦚🦚দক্ষিণায়ন🦚🦚🦚*
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
*🍁শ্রাবণ সংক্রমণে অর্থ্যাৎ কর্কট সংক্রান্তি দিনে,এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।প্রথম ধূপভোগ অন্তে দক্ষিণায়ন বিধি আরম্ভ হয় এবং মধ্যাহ্ন ধূপের আগে তা শেষ হয়।*
*🌷উত্তরে দক্ষিণে বিপ্রাস্ত্বয়নে পুরুষোত্তমং।*
*🌷দৃষ্ট্বা রামং সুভদ্রাঞ্চ বিষ্ণুলোকং ব্রজন্তি তে।।*
*🌹শ্রাবণমাসের শুক্লা একাদশী হতে পূর্ণিমা পর্যন্ত এই উৎসব হয়।এই উৎসবও বিশেষ ধূমধামের সহিত সম্পন্ন হয়।ফল শ্রুতিও রথের তুল্য।*
*🌷দোলায়মানং গোবিন্দং মঞ্চস্থং মধুসূদনং।*
*🌷রথস্থং বামনং দৃষ্ট্বা পুনর্জ্জন্ম ন বিদ্যতে।।*
*🌲সুতরাং ঝুলন,দোল এবং রথ তিনেই তুল্য মাহাত্ম্য।তান্ত্রিক-মতে এই লীলা,অন্যরূপে ব্যাখ্যাত হয়েছে। এই দেহমধ্যে তিনটি নাড়ী আছে,যথা ইড়া, পিঙ্গলা,সুষুম্না।এর মধ্যস্থলে মেরুদন্ড।এই মেরুদন্ডের দুইদিকে ইড়া ও পিঙ্গলা।মেরুদন্ডের সংযোগে এই দুই নাড়ীতে হৃদয়পদ্মাসনে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ ঝুলছেন।একেই ঝুলন বলে।যে ভক্ত,হৃদয়-দোলমঞ্চে বসিয়ে এই ঝুলন, দোলাতে পারেন, তিনিই ধন্য।"হৃৎকমল-মঞ্চে দোলে করালবদনা শ্যামা "।ভক্ত রামপ্রসাদ এইভাবে দোল করতেন।*
*🌹বৃন্দাবনে গোপিনীদের ঝুলন অন্যরকম।তাঁরা কেউ দড়ি হতেন,কেউ বা উপরে, পার্শ্বস্থ গোপিনীদের মাথার উপরে,এমন ভাবে নিজেকে স্থাপিত রাখতেন, যেন তাঁকে দড়ি দিয়ে বাঁধা যেতে পারে।ইঁনারা পরস্পর এমন দৃঢ়ভাবে সংবদ্ধ হতেন,যেন তাঁদের দ্বারা সুন্দর একটি দোলা গঠিত হয়েছে।এই দোলা তমাল বৃক্ষে ঝুলিয়ে শ্রীকৃষ্ণকে তার ভিতর বসিয়ে,গোপিনীরা তাঁকে দোলাতেন এবং প্রাণের সাধ মিটাতেন। গোপিনীরা এইরকম অনেক লীলা করতেন,নব-নারী-কুঞ্জর বা হাতি হয়ে,শ্রীকৃষ্ণকে পিঠে বসিয়ে,তাঁদের হৃদয়-রঞ্জনের তৃপ্তি করতেন।এইভাবে যথাসর্বস্ব দিয়ে,তাঁরা প্রাণারাম শ্রীকৃষ্ণের পূজা করতেন।গোপিনীরা রথও করতেন।তাতেও তাঁরা এইরকম শ্রীকৃষ্ণকে বসিয়ে সখীরা রথ টানতেন।এইভাবে প্রাণের পূজা,কখন কেউ করেনি।*
*🌷শ্রাবণে শুক্লপক্ষেতু একাদশ্যাদিপঞ্চকে।*
*🌷হিন্দোলোৎসবনং কার্য্যং চতুর্বর্গমভীপসুনা।।*
*🌷ইয়ংলীলা ভগবতঃ পিতামহ-মুখেরিতা।*
*🌷রিজর্ষিণেন্দ্রদ্যুম্নেন কারিতা পূর্বমেব হি।।*
*🌷শ্রাবণে মাসি কুর্ব্বীত দোলারোহণমুত্তমম্।*
*🌷যত্র ক্রীড়তি গোবিন্দো লোকানুগ্রহণায় বৈ।।*
*🌷হিন্দোলনং প্রকুর্ব্বীত পঞ্চাহানি ত্র্যহাণিবা।*
*🛕 পুরীতে অনেক মঠেই ঝুলন হয়ে থাকে, তারমধ্যে ইঁমার মঠ,উড়িয়া মঠ, উত্তর মঠ, দক্ষিণ মঠ এবং সার্বভৌমের বাড়ীতে,যে ঝুলন হয়,তাও বেশ সুন্দর।শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে যেখানে মুক্তিমন্ডপ সে জায়গায় ঝুলন হয়ে থাকে।সেই সময় মন্দিরের সাজসজ্জাও বেশ হয়ে থাকে।*
🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌲🌳🌳🌳🌳🌳🌳
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫৪)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🌼নীলাচলে মহাপ্রভু*
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
*পার্শ্ব-পরিবর্তন যাত্রা*
*জন্মাষ্টমী*
*উত্থাপন*
*রাসযাত্রা*
*পার্ব্বণ*
*পূষ্যপূজা* *উত্তরায়ণ সংক্রান্তি, মকর-সংক্রান্তি*
*দোলযাত্রা*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🌻পার্শ্ব-পরিবর্তন যাত্রা🌻*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀ভাদ্রমাসে শুক্লা একাদশীতে পার্শ্ব পরিবর্তন যাত্রা হয়।সন্ধ্যা ধূপের শেষে, এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।এতে নানারকম নৈবেদ্য অর্পিত হয়।শয়ন-প্রতিমার কাছে,অগ্নিশর্মা মুদিরথ পান্ডা উপস্থিত হয়ে প্রার্থনা করবার পরে,প্রতিমার পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। এই তিথিতে জগন্নাথ-দর্শনে বিশেষ পূণ্যশ্রুতি আছে।*
*🌹🌹জন্মাষ্টমী🌹🌹*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*এটি ভাদ্রমাসের কৃষ্ণাষ্টমীতে সমারোহের সহিত সম্পন্ন হয়।এই সময়ে নন্দোৎসব হয়।এইটিও মহাপ্রভুর প্রবর্তিত বলে বোধ হয়।খুটিয়ারা নন্দ মহারাজা হন,এই উৎসবে শ্রীমন্মহাপ্রভু বিশেষ উৎসব এবং কীর্তন করেছিলেন। এখন সেরকম হয় না।*
*🌷অর্দ্ধরাত্রে তু রোহিণ্যাং যদা কৃষ্ণাষ্টমী ভবেৎ।*
*🌷তস্যামভ্যর্চ্চনং শৌরের্হন্তি পাপং ত্রিজন্মজম্।*
*🌷সোপবাসোহরেঃপূজাং কৃত্বা তত্র ন সীদতি।।*
*🌻নাটমন্দিরের ভিতরে এই উৎসব হয়ে থাকে।গরুড়-স্তম্ভের কাছে বালরূপী শ্রীকৃষ্ণ ঝুলতে থাকেন।জন্মাষ্টমীর দিন পুরীতে সকলেই উপবাস করে থাকে,পরেরদিন নন্দোৎসব হয়, খুটিয়ারা দধির ভার কাঁধে নিয়ে, "নে দই নে দই" বলে ডাকতে থাকে। এখন পর্যন্তও এটি হয়ে থাকে।মহাপ্রভুর সময়ে নন্দোৎসব,বিশেষ আড়ম্বরের সঙ্গে হত,মহাপ্রভু নন্দের ভাবে বিভোর হতেন। পুরীতে সমবেত সকলেই এই ভাবে বিভোর হতেন। কানাই খুটিয়া নন্দ হতেন,জগন্নাথ মাহাতি যশোদা সাজতেন।মহাপ্রভু স্বয়ং এবং নবদ্বীপের ভক্তগণ,প্রতাপরুদ্র,কাশীমিশ্র, সার্বভৌম, রামরায় প্রভৃতি সকলেই, আত্মবিস্মৃত হয়ে, আনন্দ সাগরে ভাসতেন, সকলের কাঁধে দধির ভার।এই গোপভাবে কতক্ষণ থাকলে,মহাপ্রভু কৃষ্ণ-ভাবে বিভোর হতেন।তিনি খুটিয়াদেরকে প্রণাম করতেন,খুটিয়ারা নন্দ-যশোদার ভাবে আশীর্বাদ করতেন।*
*কানাই জগন্নাথ দুইজন,*
*আবেশে বিলান,*
*ঘরে ছিল যতধন।*
*🌺🌺🌺উত্থাপন🌺🌺🌺*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀কার্তিক মাসের শুক্লা একাদশীর দিন,প্রথম ধূপের শেষে উত্থাপন যাত্রা নির্বাহ হয়। পূজার্চ্চনার পর, প্রভু-জগন্নাথের শয্যোত্থান হয়।এই তিথিতে দর্শন করলে বৈকুন্ঠে গমন হয়ে থাকে।এই বিষয়টি আগেই উল্লিখিত হয়েছে।*
*🔴🔴🔴রাসযাত্রা🔴🔴🔴*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🌹কার্তিকী পূর্ণিমাতে রাত্রিকালে রাসযাত্রা সম্পন্ন হয়, এর বিস্তারিত বিবরণ পরে লেখা হবে।*
*🔵🔵🔵পার্ব্বণ🔵🔵🔵*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষীয় ষষ্ঠি তিথিতে প্রাতঃকালীন ভোগের পর,জগন্নাথদেবকে নতূন পট্টবস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত করা হয়।দেবগণকে বস্ত্রদ্বারা সম্পূর্ণরূপে আবৃত করা হয় বলে,এর নাম পার্ব্বণযাত্রা।*
*🌻🌻🌻পূষ্যপূজা🌻🌻🌻*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀পৌষী পূর্ণিমায় সকালের ধূপের পরে, এই যাত্রার পূজা ও অভিষেক হয়,এবং দেবত্রয়কে রাজবেশে সজ্জিত করা হয়।*
*🔷উত্তরায়ণ সংক্রান্তি (মকর সংক্রান্তি)*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀এই যাত্রা মাঘ মাসের সংক্রান্তি দিনে অনুষ্ঠিত হয়। সংক্রান্তির আগের দিনে, চাল প্রভৃতি পূজোপকরণ দ্রব্য,মন্দিরে এনে রাখা হয়।সেই দিনে দুপুরবেলায় পূজার পর,দেবতাগণের শ্রীঅঙ্গ হতে মালা এনে,সেই মালাকে বস্ত্রাদি দিয়ে শোভিত করে,বাদ্য সহকারে মন্দিরের চতুঃপার্শ্বে নয়বার প্রদক্ষিণ করান হয়।পরেরদিন দুপুরবেলা পূজার পর,উক্ত যাত্রা করা হয়।আগের দিনে আনীত চাল জলে ধুয়ে,সর প্রভৃতি নানারকম ঘৃতপক্ক পিষ্টক প্রভৃতি মন্দিরের অন্তর্বেষ্টনে, প্রসাদের চারিদিকে আশীবার প্রদক্ষিণ করান হয়,পরে প্রভুর কাছে ভোগ দেওয়া হয়।এই তন্ডুলকে সাধারণে "মকরচাউল"বলে।*
*🌹🌹🌹দোলযাত্রা🌹🌹🌹*
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
*🌳এই যাত্রা ফাল্গুন মাসের দশমী তিথিতে আরম্ভ হয়, পূর্ণিমা তিথিতে শেষ হয়।প্রতিদিন সন্ধ্যা ধূপের পর,লোকনাথ,যমেশ্বর, মার্কন্ডেশ্বর, নীলকন্ঠ এবং কপাল-মোচন পঞ্চবিমানে (দোলায়) এবং গোবিন্দজী,লক্ষ্মী ও সরস্বতীর সঙ্গে,মণিখচিত দোলায় আরোহণ করে মন্দির হতে বাহির হয়ে,নানারকম বাদ্য সহকারে,জগন্নাথ-বল্লভ নামক মঠের দরজা পর্যন্ত গিয়ে, পুনরায় মন্দিরে ফিরে আসেন।পূর্ণিমা দিন সকালবেলায় গোবিন্দদেব,শ্রী ও ধরাদেবীর সঙ্গে মণি বিমানে আরোহণ করে,মন্দিরের ঈশান কোণস্থিত পাথর-নির্মিত সুবিস্তৃত উচ্চ দোলমঞ্চের উপরে আরোহণ ও হস্তিদন্ত নির্মিত আসনে বসেন।সেবাইতগণ ঐ আসন সুদৃঢ় দড়ি দিয়ে মঞ্চের উপরে ঝুলিয়ে দেন।তারপর ভক্তগণ যথেচ্ছরূপে ভগবানকে ফল্গু (আবির)দিয়ে বিষ্ণু-খট্টায় ঝুলিয়ে, ভক্তিভাবে দর্শন করে মানবজীবন সার্থক করেন। ভগবান এইভাবে হাজার হাজার ভক্তের আবির মাখিয়ে নানারকম ফল-পুষ্প দিয়ে সুশোভিত হয়ে,প্রায় সমস্ত দিন সেখানে থাকেন।রাত্রিতে পুনরায় মণিবিমানে আরোহণ করে মন্দিরে ফিরে যান।প্রভুর মন্দিরে যে প্রকারের ভোগ দেওয়া হয়,এইদিন সেইরকম ভোগ দেওয়া হয় না, কেবল লাজ (খৈ) বাতাসা প্রভৃতি দেওয়া হয়।মন্দিরে বিগ্রহের সেবা অন্যান্য দিনের মতই হয়ে থাকে।*
*দোলায়মানং গোবিন্দং মঞ্চস্থং মধুসূদনং।*
*রথস্থং বামনং দৃষ্ট্বা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে।।*
*🌹এই বিশ্বাসে ভক্তগণ চারিদিক হতে এসে,প্রাণের দেবতাকে দর্শ করে কৃতার্থ হন।যথাসর্বস্ব ব্যয় করে,সুদূর কাশী,গয়া বাংলা,বিহার হতে শত শত গরীব ভক্ত গঙ্গাজল কাঁধে করে প্রাণের আবেগে এসে ভগবানকে ঐ জল প্রদান করে কৃতার্থ হন। দোলযাত্রার সময়, বহু সংখ্যক হিন্দুস্থানী যাত্রিক আগমন করেন, এবং রথযাত্রার সময়ে বহু সংখ্যক বাঙ্গালী আগমন করেন।বাঙ্গালী মহিলাগণের মধ্যে অনেকের বিশ্বাস আছে যে,দোলযাত্রার দিন মধুসূদনকে দর্শনে সাতজন্ম বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে,বহু সংখ্যক স্ত্রীলোক ঠাকুর দর্শনে আসেন।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫৫)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🔵নীলাচলে মহাপ্রভু*
*🌹দমনক-মহোৎসব*
*🌻পুরীধামের প্রসিদ্ধ স্থান সমূহ*
*🍀জগন্নাথ-বল্লভ মঠ*
∆☆◆∆☆◆∆☆◆∆☆◆∆☆◆∆
*🌳 🌳দমনক-মহোৎসব🌳🌳*
ππππππππππππππππππππ
*🌺এই যাত্রা চৈত্রমাসের শুক্লা চতুর্দ্দশী তিথিতে সম্পন্ন হয়। এই দিন "দমনক বা দয়না মঞ্জরী" অর্পণ করা হয়। এইভাবে অশোকাষ্টমী, রামনবমী, বাসন্তী-পঞ্চমী, ভীম-একাদশী,কপিলা-মাতা, বিজয়া-দশমী, ও কুমারাষ্টমী প্রভৃতি শাস্ত্রোক্ত যত যাত্রা আছে,সমস্তই এইখানে সম্পন্ন হয়।কোনও উৎসব শ্রীমন্দিরে,কোনটিও বা জগন্নাথ-বল্লভ-মঠে অনুষ্ঠিত হয়।*
*🔷এই দোল-পূর্ণিমা শ্রীশ্রীমহাপ্রভুর জন্মতিথি।নবদ্বীপে এই সময় খুব ধূমধাম হয়ে থাকে।বৃন্দাবনেও এই উপলক্ষ্যে বিশেষ ধুম হয়।শ্রীগৌরাঙ্গ নবদ্বীপে দোলের অনুরূপ একটি উৎসব করেছিলেন,তার নাম ধূলট।দোলে যেমন আবীর দেওয়া হয়,এই উপলক্ষ্যে সেইরকম ধূলা দেওয়া হয়, এই জন্যই এই উৎসবের নাম ধূলট।এই সময়ে নবদ্বীপে পনেরদিন কীর্তন হয়ে থাকে।বৃন্দাবনে সখীরা যেরকম দোল করথেন, মহাপ্রভুও তাঁর ভক্তগণ নিয়ে,সেইভাবে বিভোর হতেন, কখনও আবীর, কখনও ধূলা,যে যাঁকে পারতেন,তাঁর চোখের উপর ছুড়ে মারতেন।এইভাবে মহাপ্রভু দোল-উৎসব শেষ করতেন।*
*🔴পুরীধামের প্রসিদ্ধ স্থান সমূহ*
##################
*🍀শ্রীজগন্নাথদেবের প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ যাত্রা সমূহের বিষয় অনুসন্ধান করে যতদূর জানা গিয়েছে,তা বিবৃত করেছি।এখন প্রসিদ্ধ জায়গাগুলি সম্বন্ধে যা খোঁজখবর করে জানতে পারলাম,তা বিস্তারিত লিখতে গেলে, গ্রন্থের কলেবর অনেক বৃদ্ধি হয় এবং মনে হয় পাঠকদেরও ধৈর্য্যচ্যুতি হবার সম্ভাবনা বলে,কেবল বিশেষ উল্লেখযোগ্য জায়গা গুলিরই বিবরণ দেওয়া হল।*
*🌲🌲জগন্নাথ-বল্লভ মঠ🌲🌲*
@@@@@@@@@@@@@@
*🍁এই মঠ জগন্নাথের লীলাক্ষেত্র এবং এই জায়গায় অনেক উৎসব হয়।এটি একটি প্রকান্ড বাগান।শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের চলন্ত বিগ্রহগণ, অনেক পর্ব-উপলক্ষ্যে,এই জায়গায় এসে উৎসব করে,পুনরায় শ্রীমন্দিরে গমন করেন।এটি বড় রাস্তা হতে নরেন্দ্র সরোবর পর্যন্ত,পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত, এবং উত্তর দক্ষিণে প্রায় সিকি মাইল লম্বা হবে।এখানে শ্রীশ্রীজগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবী, এবং শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ-বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত আছেন।এই বাগান,মাঝে মাঝে কতগুলি সুরম্য সরোবর ও নানা রকমের বৃক্ষ-লতাদি দিয়ে সুশোভিত।যথা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে=*
*🌷প্রফুল্লিত বৃক্ষ বল্লী যেন বৃন্দাবন।*
*🌷শুক সারী পিক ভৃঙ্গ করে আলাপন।।*
*🌷পুষ্পগন্ধে লইয়া চলে মলয় পবন।*
*🌷গুরু হইয়া তরুলতা শিখায় নাচন।।*
*🌷পূর্ণচন্দ্র-চন্দ্রিকায় পরম উজ্জ্বল।*
*🌷তরুলতা জ্যোৎস্নায় করে ঝলমল।।*
*🌷ছয় ঋতুগণ যাঁহা বসন্ত প্রধান*।
*🌷দেখি আনন্দিত হইলা গৌর ভগবান।।*
*🌹এই জায়গাই তিনি শ্রীমতীভাবে বিভাবিত হয়ে,মনের উল্লাসে স্বরূপদামোদরকে শ্রীজয়দেব গোস্বামীর এই অমৃতময় পদটি গাইতে বলেছিলেন।*
*ললিত-লবঙ্গ-লতা-পরিশীলন-কোমল-মলয়-সমীরে।*
*মধুকর-নিকর-করম্বিত-কোকিল-কূজিত-কুঞ্জ-কুটীরে।।*
*বিহরতি হরিরিহ সরস-বসন্তে।*
*নৃত্যতি যুবতিজনেন সমং সখি বিরহিজনস্য দুরন্তে।। ধ্রু।।*
*উন্মদ-মদন-মনোরথ-পথিক-বধূজন-জনিত-বিলাপে।*
*অলিকুল-সঙ্কুল-কুসুম-সমূহ-নিরাকুল-বকুল-কলাপে।।*
*মৃগমদ-সৌরভ-রভস-বশম্বদ-নবদলমাল-তমালে।*
*যুবজন-হৃদয়-বিদারণ-মনসিজ-নখরুচি-কিংশুক-জালে।।*
*মদন-মহীপতি-কনক-দন্ডরুচি-কেশর-কুসুম-বিকাশে।*
*মিলিত-শিলীমুখ-পাটলি-পটলকৃত-স্মরতূণ-বিলাসে।।*
*বিগলিত-লজ্জিত-জগদবলোকন-তরুণ-করুণ-কৃতহাসে।*
*বিরহি-নিকৃন্তন-কুন্তমুখাকৃতি-কেতকি-দন্তুরিতাশে।।*
*মাধবিকা-পরিমল-ললিতে-নব-মালতি-জাতি-সুগন্ধৌ।*
*মুনি-মনসামপি-মোহনকারিণি তরুণাকারণ-বন্ধৌ।।*
*ষ্ফুরদতিমুক্তলতা-পরিরম্ভণ-মুকুলিত-পুলকিত-চূতে।*
*বৃন্দাবন-বিপিনে পরিসর-পরিগত-যমুনাজলপূতে।।*
*শ্রীজয়দেব-ভণিতমিদমুদয়তু হরিচরণস্মৃতিসারম্।*
*সরস-বসন্ত-সময়-বনবর্ণন-মনুগত-মদন-বিকারম্।।*
*🌻পুরীধামের কোন রাজা ভুল কোরে বামহাতে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেছিলেন বলে,নিজকে অপরাধী বলে মনে করেন, এবং বামহাত কেটে ফেলে প্রায়শ্চিত্ত করেন। ভগবানের কৃপায় কাটা হাত দোনা (পানের খিলি মত ঠোঙ্গার) আকৃতি পত্রযুক্ত এক বৃক্ষরূপে ঐ বাগানে অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। সেটিকে দোনা গাছ বলে থাকে।উত্তরদিকে যে পুকুরটি আছে,তার কাছে এটি সযত্নে রক্ষা করে রাখা হয়েছে।এই বৃক্ষটি বেশী বড় না।প্রবাদ আছে যে,স্নানাদি করে পবিত্র শরীরে দর্শন না করলে,গাছটি মরে যাবে।সেইজন্য সর্বসাধারণকে সেটি দেখতে দেওয়া হয় না।*
*🌳এই বাগানে শ্রীচৈতন্যদেব তাঁর ভক্তগণসহ অনেক লীলায় করে গিয়েছেন।এই জায়গায় শ্রীমন্মহাপ্রভুর প্রধান অন্তরঙ্গ ভক্ত, মাহাত্ম্য রায় রামানন্দ বসবাস করতেন। মাহাত্ম্য রামানন্দ রায় "জগন্নাথবল্লভ নামক নাটক অভিনয় করার জন্য দেবদাসীদেরকে এইখানে নিজে শিক্ষা দিতেন।এই বাগানে একটি তমালগাছ দেখে,শ্রীরাধার ভাবে বিভোর হয়ে,মহাপ্রভুর দিব্যোন্মাদ ভাব হয়েছিল, এবং তিনি সেই বৃক্ষে কৃষ্ণদর্শন করে,তাতে উঠতে গিয়েছিলেন।*
👣👣👣👣👣👣🙏👣👣👣👣👣👣
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫৬)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🔷নীলাচলে মহাপ্রভু*
*🌲সিদ্ধ-বকুল ও হরিদাস🌲*
🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷
*🍀শ্রীজগন্নাথদেবের মন্দিরের সিংহদ্বারের দক্ষিণ দিক দিয়ে,স্বর্গদ্বার পর্যন্ত যে সোজা রাস্তাটি গিয়েছে,ঐ রাস্তার কিছু দক্ষিণদিকে এগিয়ে গেলে,প্রথমে রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে একটি মঠ দেখতে পাওয়া যায়,তার নাম "রাজগোপাল মঠ"।সেই মঠে রাম,লক্ষ্মণ ও সীতাদেবীর সেবার বন্দোবস্ত আছে।সেটি ছেড়ে ক্রমশ দক্ষিণদিকে গেলে,বামদিকে "বাউ মঠ লেন" নামক একটি রাস্তা আছে,ঐ রাস্তায় কিছুদূর এগিয়ে গেলেই দক্ষিণে সিদ্ধ-বকুল-মঠ দেখা যায়।এটি কাশী মিশ্রের বাগানবাড়ী ছিল।এই জায়গায় শ্রীচৈতন্যদেব পরমভক্ত হরিদাসকে নিয়ে,অনেক লীলা করেছিলেন।একদিন মহাপ্রভু কাশী মিশ্রকে বললেন, "আমার বাসার কাছে পুষ্পোদ্যানে তোমার একখানা ঘর আছে,ঐ ঘরটি আমাকে ভিক্ষা দাও।" মিশ্র বললেন,ঘর কি ছার বস্তু,আমরা আপনার,যা ইচ্ছা গ্রহণ করুণ।অর্থ্যাৎ এই সমস্তই আপনার, আপনি আপনার ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে পারেন।*
*🍁মহাপ্রভু তখন নিশ্চিন্ত হয়ে,হরিদাসকে ডাকতে গেলেন,বাসা হতে বহুদূরে গিয়ে দেখেন,হরিদাস রাজপথের এক পার্শ্বে বসে নামকীর্তন করছেন।মহাপ্রভুকে দেখে হরিদাস চরণে দপন্ডবৎ প্রণাম করে পদধূলি গ্রহণ করেই,পেছনে সরে গেলেন।মহাপ্রভু তাঁকে আলিঙ্গন করবার জন্য,দুই হাত বাড়িয়ে এগোতে লাগলেন। হরিদাস বললেন, প্রভো!আমি অস্পৃশ্য পামর,আমাকে স্পর্শ করবেন না।মহাপ্রভু বললেন,হরিদাস আমি পবিত্র হবার জন্য তোমাকে স্পর্শ করতে ইচ্ছে করছি, যথা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে=*
*🌷প্রভু কহে তোমা স্পর্শি পবিত্র হইতে।*
*🌷তোমার পবিত্র ধর্ম নাহিক আমাতে।।*
*🌷ক্ষণে ক্ষণে কর তুমি সর্বতীর্থে স্নান।*
*🌷ক্ষণে ক্ষণে কর তুমি যজ্ঞ-তপোদান।।*
*🌷নিরন্তর কর চারি বেদ অধ্যয়ন।*
*🌷দ্বিজ জ্ঞানী হতে তুমি পরম পাবন।।*
*🌺মহাপ্রভু হরিদাসকে হৃদয়ে ধরে গাঢ় আলিঙ্গন করলেন। ভক্ত ও প্রভু উভয়ে নয়নজলে ভাসতে লাগলেন। ভক্ত,যোগীন্দ্র,মুণীন্দ্রগণের ধ্যানের বস্তু হৃদয়ে ধরে, নিজেকে কৃতার্থ ও ভগবানের অনির্বচনীয় দয়ার পাত্র মনে করে,প্রেমাশ্রুতে স্নান হতে লাগলেন।মহাপ্রভুও ভক্ত বাঞ্জা পূর্ণ করে ভক্তকে হৃদয়ে নিয়ে আনন্দে বিভোর হলেন।এইভাবে কিছু কাল অতীত হলে,গৌরহরি হরিদাসকে নিয়ে গিয়ে, কাশী মিশ্রের পুষ্পোদ্যানেরই সেই ভিক্ষালব্ধ ঘরে তাঁকে বাসস্থান দিলেন। হরিদাসকে বললেন, তুমি এই জায়গায় থেকে নাম কীর্তন কর,আমি রোজ এসে তোমার সঙ্গে দেখা করে যাব।*
*হরিদাস প্রত্যহ তিন লক্ষ হরিনাম জপ করতেন। তিনি দীনতার আদর্শ ছিলেন,শ্রীমন্দিরের কাছেও যেতেন না, পাছে পান্ডারা তাঁর অঙ্গস্পর্শে অশুচি হন, এবং শ্রীজগনাথদেবের সেবার বিঘ্ন হয়।যথা চৈতন্যচরিতামৃতে=*
*🌷হরিদাস কহে মুঞি নীচজাতি ছার।*
*🌷মন্দির নিকটে যাইতে নাহি অধিকার।।*
*🌷নিভৃত টোটার মধ্যে কিছু স্থান পাও।*
*🌷তাহা পরিহরি মুঞি এ কাল গোঙাও।।*
*🍀হরিদাসের দীনতায় মহাপ্রভু অত্যন্ত সন্তুষ্ট হতেন।হরিদাস দৈন্যের আদর্শ, কাজেই তিনি হরিনাম গ্রহণের উপযুক্ত পাত্র।এই জায়গায় শেষ জীবন পর্যন্ত হরিনাম কীর্তন করতে করতে মহাত্মা হরিদাস দেহ রাখেন।হরিদাসের জীবনীর একটু আলোচনা হওয়া উচিত। পরমভক্ত হরিদাস, বৃদ্ধ হয়েছেন, সংখ্যানাম কীর্তনে অপারগ হয়ে, ও মহাপ্রভু অন্তর্দ্ধান করবেন জানতে পেরে, মহাপ্রভুর আগেই দেহ রাখবার প্রার্থনা জানালেন। ভক্তবৎসল ভগবান ভক্তের বাঞ্জাপূর্ণ করবেন,তাতে সংশয় নাই ; তথাপি বললেন, হরিদাস!তোমার আর নাম কীর্তন করবার আবশ্যক নাই। মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত ডাকে,যতক্ষণ না অভিলষিত বস্তু উপস্থিত হয়। তুমি যাঁর নাম করবে, তিনি সর্বদা তোমার কাছে বিরাজ করছেন, অতএব আর নামের প্রয়োজন কি? তিনি আরও বললেন,হরিদাস তুমি চলে গেলে আমি কাকে নিয়ে থাকব?তুমিই আমার সংসার। এইরকম কথাবার্তার অল্পদিন পরেই মহাপ্রভু একদিন গিয়ে দেখেন,হরিদাস জ্বরাক্রান্ত হয়ে শয্যায় শায়িত,উঠবার শক্তি নাই।তিনি অতি কষ্টে মহাপ্রভুর চরণধূলি গ্রহণ করলেন।পরদিন শ্রীচৈতন্যদেব সমস্ত ভক্তগণসহ সকালবেলা হরিদাসের আশ্রমে উপস্থিত হলেন ; এবং হরিদাসকে ঘিরে কীর্তন করতে লাগলেন।*
*কিছু সময় কীর্তনের পর,মহাপ্রভু হরিদাসের কাছে গেলে,তিনি মহাপ্রভুর নয়নে নয়ন দিয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন।সকলে দেখছেন হরিদাস মহাপ্রভুর দিকে তাকিয়ে আছেন ; কিন্তু হরিদাসের প্রাণবায়ু মহাপ্রভুর নয়নে মিশে গিয়ে দেহে প্রবেশ করেছেন।ভক্তগণ হরিদাসের দেহ সমাধিস্থ করবার জন্য, মহাপ্রভুর সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ কীর্তন করতে করতে সমুদ্রতীরে চললেন।গৌরহরির আজ্ঞায় গর্ত খোড়া হলে, মহাপ্রভু ভক্ত-ঋণ শোধিতে ও ভক্তের মহিমা বাড়াতে, হরিদাসের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে নৃত্য করতে লাগলেন। দক্ষযজ্ঞে দাক্ষায়ণী পতি নিন্দায় প্রাণত্যাগ করলে,শূলপাণি যেরকম সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে চলেছিলেন, এখনও সেইরকম বোধ হতে লাগল।অনেকক্ষণ নৃত্যের পর, নিজ হাতে হরিদাসের দেহ সমাধিস্থ করে,বালি দিয়ে ঢেকে দিলেন। তারপর বিরস-বদনে সমুদ্র স্নান করে নিজ গৃহে গমন করলেন।হরিদাসের শ্রাদ্ধের দিন,মহাপ্রভু নিজে ভিক্ষা করে মহোৎসব করেন।কেউ কেউ বলেন, হরিদাস ব্রাহ্মণ-গৃহে জন্মগ্রহণ করে বাল্যে মুসলমান কর্তৃক পালিত হন। কিন্তু ব্রহ্মণ্য-শক্তির কি অসাধারণ ক্ষমতা!জ্ঞান হওয়ার পর হতেই,তাঁর সেই লুপ্ত ব্রহ্মশক্তি জাগ্রত হল।ভক্তির শক্তি তাঁকে পরশমনি করে তুলেছিল, এই হরিদাসকেই মহাপ্রভু ব্রহ্মার অবতার বলে গিয়েছেন।হরিদাসের ভিতর দিয়ে মহাপ্রভু নামের শক্তি প্রকাশ করেছিলেন।*
*ক্রমাগত*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫৭)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🔵নীলাচলে মহাপ্রভু🔵*
*সিদ্ধ-বকুল ও হরিদাস*
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
*🍀কেবল শ্রীনাম জপেই যে, মানুষ কৃতার্থ হতে পারে,হরিদাস তাইই দেখিয়েছেন।নামের সঙ্গে বিশ্বাসের যোগ হলে যে,কি অপূর্ব শক্তির বিকাশ হয়, তা সাধারণ লোকে বুঝতে পারে না।তা বুঝাবার জন্যই,যেন হরিদাস অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শাস্ত্র বলেন,"অভেদো নাম-নামিনোঃ" বা "নামের ভিতরে আছেন আপনি শ্রীহরি"।পূর্বে প্রহ্লাদ হরিনামে জীবন ফিরে পেয়েছিলেন, এবার হরিদাস পুনঃ জীবন লাভ করলেন।হরিদাস বলেন,"শ্রীনাম দ্বারা কেবল পাপ খন্ডন হয় তা নয়, শ্রীনাম প্রেমও এনে দেয়।" এইকথা নিয়ে হরিদাসের সঙ্গে এক ব্রাহ্মণের তর্ক উপস্থিত হয়।সেই ব্রাহ্মণ নাম-মাহাত্ম্য অস্বীকার করায়,তাঁকে হরিদাস শাপ দেন যে,যদি হরিনাম মাহাত্ম্য সত্য হয়,তাহলে তোমার তিনদিনের মধ্যে কুষ্ঠ রোগ হবে।তাইই হল।পাঠক এখন দেখুন,নামের শক্তি কতদূর।হরিনামের শক্তিতেই,একদিন হরিদাস কাজীকে বলেছিলেন=*
*🌷খন্ড খন্ড কর দেহ যদি যায় প্রাণ।*
*🌷তবু না বদনে আমি ছাড়ি হরি নাম।।*
*🌻হরিনাম ছাড়বার জন্য কাজীর আদেশে প্রহরীরা বাইশ বাজারে ঘুরিয়ে হরিদাসকে বেত্রাঘাত করছে,হরিদাসের শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে,কিন্তু হরিদাস কি করছেন? করযোড়ে নয়নজলে ভেসে হরিদাস কেবলই বলছেন, হে হরি, এদের দোষ গ্রহণ করিও না, এরা অজ্ঞান।প্রহরিগণ হরিদাসের দেহে আঘাত করতে করতে যখন দেখিল, প্রাণের আর কোনও চিহ্ন নাই,তখন তারা হরিদাসকে নদীতে ছুড়ে ফেলে দিল।যিনি হরিনাম-সুধা পান করেন,তাঁর কি মৃত্যু আছে?তিনি অমরত্ব লাভ করেন।মহাপ্রভু একবার এসে দেখে যাও, তোমার বড় সাধের হরিনাম যায় যায় হয়েছে, তোমার কৃপা বিনা বুঝি আর থাকে না।হরিদাস এতক্ষণ হরিনাম-রস-মদিরা-পানে বিভোর হয়ে চেতনাশূন্য ছিলেন,এখন সুরধূনীর পবিত্র জল স্পর্শে চেতনা পেলেন। মুসলমানগণ হরিনামের শক্তি দেখে অবাক হলেন, এবং হরিদাসকে সাধুজ্ঞানে ভক্তি করতে লাগলেন।কিছুদিন পরে হরিদাস যখন শুনলেন,শান্তিপুরে পরমভাগবত শ্রীঅদ্বৈত আচার্য্য হরিনাম সাধন করেন,তখনই সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁর আশ্রয় নিলেন, এবং মহানন্দে দৈনিক তিনলক্ষ নামজপ করতে লাগলেন।অদ্বৈতাচার্য্যের ভক্তের মহিমা বাড়াবার জন্য ও হরিনামের মহিমা প্রচার করবার জন্য,নিজ পিতৃশ্রাদ্ধের অন্ন হরিদাসকে প্রদান করেছিলেন।এইভাবে বেশ কিছুদিন শান্তিপুরে থেকে,মহাপ্রভুর প্রকাশ হবার সময়, সেখানে গিয়ে মিলিত হলেন।*
*🍀এই জায়গাকে সিদ্ধ-বকুল বলা হয় কেন?তাও উল্লেখযোগ্য বোধে লিখা হল।এই জায়গায় হরিদাস সিদ্ধিলাভ করেন বলে,এই স্থানের নাম "সিদ্ধ-বকুল"।এই বকুল গাছটি সম্বন্ধে প্রবাদ এই যে,মহাপ্রভু একদিন দাঁতন হাতে এই জায়গায় এসে,হরিদাসের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন,হরিদাস!তোমার এই জায়গায় রৌদ্রে খুব কষ্ট হয়, এই বলেই হাতের দন্তকাষ্ঠ সেখানে রোপন করলেন।মহাপ্রভুর কৃপায় অল্পদিনে বকুল ডাল অঙ্কুরিত হয়ে,ক্রমশ বড় হতে লাগল, এবং কালক্রমে প্রকান্ড বৃক্ষে পরিণত হল।এই জায়গার রাজা কোন কারণে এই বৃক্ষটি কাটবার আদেশ করেন, কিন্তু কর্মচারীগণ এই বৃক্ষ কাটতে আপত্তি করেছিলেন।রাজা বললেন,যদি ঐ বকুল গাছের কোন মাহাত্ম্য থাকে,তাহলে কোনও আশ্চর্য ঘটনা ঘটবে, নচেৎ আগামীকাল এই গাছ কেটে ফেলা হবে। এই বলে সেদিন গাছটি কাটা বন্ধ রাখলেন।পরেরদিন দেখা গেল বৃক্ষটির মধ্যস্থল ভেঙ্গে কতকটা মাটি স্পর্শ করে রয়েছে, এবং গাছটির সারভাগ নমস্ত অন্তর্হিত হয়ে কেবল বাকলটি মাত্র অবশিষ্ট আছে।কেবল স্থূল ভাগের না, ছোট ছোট শাখাগুলিরও ভিতর শূন্য,বাইরে বাকল আবরণে ঢাকা।বৃক্ষটির এই অবস্থা দেখে রাজা চরম অবাক হয়ে,সেইস্থানে মহাপ্রভুর সেবা স্থাপন করেন। বৃক্ষটি অদ্যাবধি সেই ভাবেই থেকে,ভক্ত হরিদাসের মত মস্তক অবনত করে, হরিনাম মাহাত্ম্য প্রচার করছে।হরিদাস কথায় বলতেন,আমি অপদার্থ অকর্মণ্য, বৃক্ষটি হৃদয় খুলে জীবকে দেখাচ্ছে,যে ভাইরে,এইভাবে নিজেকে অপদার্থ অকর্মণ্য ভাব, এবং হৃদয়ের অহঙ্কার,যা সার ভাবছ,তা দূরে ফেলে দাও, এবং আমি যেমন মাথা নিচু করে আছি,এইরকম মাথাটি উচু করে হরিনাম কর।এই জায়গায় শ্রীনিতাইচাঁদ ও শ্রীগৌরাঙ্গদেব এবং রাধাকৃষ্ণের সেবা আছে।হরিদাসের একটি প্রতিমূর্তি এখানে আছে।*
*🌹নামাচার্য্য হরিদাস সম্বন্ধে বহু বিষয়বস্তু আছে। পতিতা রমণীর ঘটনা আছে, রামচন্দ্র খানের বিষয় আছে। এখানে রইল।*
🙏🙌🙏🙌🙏🙌🙏🙌🙏🙌🙏🙌🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫৮)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🔷নীলাচলে মহাপ্রভু🔷*
*👣রাধাকান্ত--মঠ👣*
👣👣👣👣
*🌻এই মঠ সিদ্ধ-বকুলের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের সিংহদ্বারের নিকট হতে,দক্ষিণ দিকে স্বর্গদ্বার পর্যন্ত যে রাস্তা গিয়েছে, সেই রাস্তায় শ্বেত-গঙ্গা ছেড়ে,দক্ষিণ দিকে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই বাম পার্শ্বে যে সিংহদ্বার-যুক্ত মঠ দেখা যায়,সেটিই রাধাকান্ত-মঠ নামে বিখ্যাত।এই জায়গায় পূর্বে রাজা প্রতাপরুদ্রের গুরুদেব কাশীমিশ্রের বাড়ী ছিল।শ্রীচৈতন্যদেব পুরীধামে এসে,কত দিন সার্বভৌমের বাড়িতে ছিলেন ;পরে রাজার আদেশ মত এই জায়গা মহাপ্রভুর বাসস্থান নির্দিষ্ট হয়।এই জায়গায় তিনি ভক্ত সঙ্গে কীর্তনানন্দ উপভোগ করতেন। যে স্থানে তিনি থাকতেন,তার নাম "গম্ভীরা"। এটি অদ্যাবধি বতর্মান আছে, এবং মহাপ্রভুর কন্থা,কমন্ডলু ও পাদুকাও এখানে বতর্মান আছে।এইগুলি মহাপ্রভুর এখানকার লীলার পূর্বস্মৃতি জাগ্রত করে দেয়।এই জায়গায় মহাপ্রভুর কীর্তনের একটি চিত্রপট আছে,তা দেখলেই বুঝা যায় যে,মহাপ্রভু ভক্ত সঙ্গে কিরকম কীর্তনানন্দে সময় কাটাতেন।মহাপ্রভু এই গম্ভীরাতে যে কি রকম আনন্দ অনুভব করতেন,এবং কি ভাবে এখানে দিন কাটিয়েছিলেন,তার কতক উদ্ধৃত করলাম=*
*🌷পাণি-শঙ্খ বাজাইলে উঠেন সেইক্ষণ।*
*🌷কপাট খুলিলে জগন্নাথ দরশন।।*
*🌷জগন্নাথ দেখিতে যে প্রকাশেন প্রেম।*
*🌷অবোধ্য অদ্ভুত প্রেম নদী বহে যেন।।*
*🌷দেখিয়া অদ্ভুত সব উৎকলের লোক।*
*🌷কার দেহে আর নাহি রহে দুঃখ শোক।।*
*🌷যে দিকে চৈতন্য মহাপ্রভু চলি যায়।*
*🌷সেই দিকে সর্বলোক হরি হরি গায়।।*
*(শ্রীচৈতন্য ভাগবত)*
*🌷কপাট খুলিলে প্রভু তাহার নয়ন।*
*🌷শ্রীজগন্নাথের বদনে করেন অর্পণ।।*
*🌹মহাপ্রভুর নেত্র হতে অমিয়-ধারা বিগলিত হতে থাকে,গৌরহরির নয়নে পলক নেই,আঁখি রক্তবর্ণ হয়েছে,নয়ন-তারা ডুবে গিয়েছে। চৈতন্যদেবের নেত্র হতে দর-বিগলিত ধারা মাটিতে পড়ছে ও তাতে একটি স্রোত হয়ে সেখানে একটি গর্ত হচ্ছে।মহাপ্রভু এইভাবে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবকে দর্শন করছেন, আর শত শত লোকে গৌরহরিকে দর্শন করছেন।পর পর নতূন নতূন ভাব উদয় হওয়াতে,চৈতন্যদেব নব নব রূপ ধারণ করছেন।সেই সমুদায়ই তুল্যরূপে মনোহর।মহাপ্রভুর বাহ্য-জ্ঞান নাই--, স্বরূপদামোদর,কি গোবিন্দ,কোনক্রমে তাঁকে বাসায় আনেন। সেখানে এসে,ঘরের পিড়ায় সংখ্যা মালা জপ করতে লাগলেন।*
*🍀মহাপ্রভুর মালা নিয়ে জপ করা এক প্রকার বিড়ম্বনা,যেহেতু,তিনি দিনরাত্রিই শ্রীবদনে হরে,কৃষ্ণ,নাম জপ করতেন।মহাপ্রভু যখন জপ করতেন,তখন,ভান্ডে করে একটি তুলসী গাছ সামনে রাখতেন।মহাপ্রভুর মালা নিয়ে জপ কেবল লোক শিক্ষার জন্য।তিনি যা করবেন,জীবে তাইই করবে,সেই জন্য তাঁকে ভজন সাধনের সর্ব অঙ্গ যাজন করতে হ'ত। সামান্য জীবে সাধনের সব অঙ্গ যাজন করতে পারে না। কিন্তু মহাপ্রভু তুলসী সেবা হতে কৃষ্ণ বিরহেতে মূর্ছা পর্যন্ত,ভজন সাধনের আরম্ভ হতে শেষ পর্যন্ত,স্থূল হতে সূক্ষ্ম পর্যন্ত,সমস্ত অঙ্গই যাজন করে জীবকে শিক্ষাদান করতেন।কারণ তিনি না করলে কেউ করবে না। "যদ্ যদিচরতি শ্রেষ্ঠস্তত্তদেবেতরো জনঃ"। মহাপ্রভুর সে মালা জপও,এক অদ্ভুত কান্ড।মহাপ্রভু মালা জপিবেন কি-- মালা হাতে করেই কেঁদে আকুল। যথা=*
*🌷রুই রুই জপে কৃষ্ণ নাম মধু।ধ্রু।*
*📿মালা জপ বিরাম হলে মহাপ্রভু ভোজনে বসিলেন, ভোজনান্তে একটু শয়ন করলেন।তখন গোবিন্দ এসে পদসেবা করতে লাগলেন।মহাপ্রভুর একটু নিদ্রা আসিলে, গোবিন্দ তখন প্রসাদ পেতেন।মহাপ্রভু প্রায় সারা রাত্রি ভজনে কাটাতেন,কাজেই দিনের বেলায় একটু শয়ন করতেন,মহাপ্রভু ঘুমোতেন,গোবিন্দ পদসেবা করছেন,আর দেখছেন=*
*🌷বাহুপরে শির রাখি মৃত্তিকা শয়ন।*
*🌷সরল নির্মল মুখ মুদিত নয়ন।।*
*🌷সুখ-স্বপ্ন দেখে প্রভু আপন লীলায়।*
*🌷নব নব ভাব মুখে হইছে উদয়*।।
*🌷ধূলায় ধূসরিত সুবলিত হেম দেহে।*
*🌷যেই দেখে তার নেত্রে প্রেম ধারা বহে।।*
*🌷ত্রিভুবন-নাথ শুই ধূলার উপরে।*
*🌷বলরাম দাস বসি পদ সেবা করে।।*
*(অমিয় নিমাই চরিত)*
*🌺মহাপ্রভু ঘুম থেকে উঠে বিকেলবেলা গদাধরের বাড়িতে শ্রীভাগবত শ্রবণ করতে চলিলেন।গদাধর নীলাচলে মহাপ্রভুর চিরসঙ্গী। মাধব মিশ্র পুত্র গদাধর, শ্রীগৌরাঙ্গের সহিত পূজিত হয়ে থাকেন।এমন কি, তিনি স্বয়ং শ্রীরাধার প্রকাশ।যখন নিমাই নবদ্বীপে রাসলীলা করেন,তখন গদাধর রাধা হয়েছিলেন।চন্দ্রশেখরের বাড়িতে যে নাটক হয়,তাতে গদাধর প্রথমে রাধারূপে প্রকাশ হন।তখন নিমাই নৃত্য করতে করতে হাত ধরে উঠতেন।গদাধর মহাপ্রভুর চিরসঙ্গী।নীলাচলে----*
*🌷কি ভোজনে কি শয়নে কিবা পর্য্যটনে।*
*🌷গদাধর প্রভুকে সেবেন অনুক্ষণে।।*
*🌷গদাধর সম্মুখে পড়েন ভাগবত।*
*🌷শুনি প্রভু প্রেমরসে হন উনমত।।*
*🍀তখন গদাধরের নিকট মহাপ্রভুর গণ সকলে উপস্থিত হয়ে, গৌরহরির সঙ্গে গদাধরের মুখে ভাগবত শুনেন।জ্যোৎস্না-রজনীতে সন্ধ্যা হলে, মহাপ্রভু সমুদ্রতীরে গমন করতেন।*
*🌷সর্ব-রাত্রি সিন্ধু-তীরে পরম বিরলে।*
*🌷কীর্তন করেন প্রভু মহা-কুতূহলে।।*
*🌷চন্দাবতী রাত্রি বহে দক্ষিণ পবন।*
*🌷বৈসেন সমুদ্রকূলে শ্রীশচীনন্দন।।*
*🌷সর্ব অঙ্গ শ্রীমস্তক শোভিত চন্দনে।*
*🌷নিরবধি হরে কৃষ্ণ বলে শ্রীবদনে।।*
*🌻যখন তিনি বাড়িতে থাকেন,তখন প্রায় সমস্ত নিশি,স্বরূপদামোদর ও রায় রামানন্দকে নিয়ে রসাস্বাদন করেন।এই যে গম্ভীরার রসাস্বাদন লীলা,এটি অতি নিগূঢ় ও অননুভবনীয়(অনুভব বা উপলব্ধি করা যায় না এমন) বিষয়।বৃন্দাবনে শ্রীমতী রাধা,কৃষ্ণ-বিরহে উন্মাদিনী হয়ে,ললিতা বিশাখা প্রভৃতি সখীগণের প্রতি যেরকম প্রলাপ উক্তি করেছিলেন,এই ক্ষেত্রধামে,মহাপ্রভুও নিজেকে রাধা মনে করে, এবং রায় রামানন্দ ও স্বরূপকে ললিতা বিশাখা মনে করে,শ্রীকৃষ্ণ-বিষয়ে আলাপ বা প্রলাপ করতেন।মহাপ্রভু কখনও বলছেন--,দেখ সখী,কৃষ্ণ এলো কিনা ; সারানিশি জেগেছি,এখন পর্যন্তও কৃষ্ণ এলেন না,বল দেখি,কি উপায় করি?এইরকম আলাপে দ্বাদশ বৎসর এই গম্ভীরাতে কাটিয়েছেন।দিনরাত্রি অশ্রুর বিরাম ছিল না।মহাপ্রভু কৃষ্ণ-বিরহে জীর্ণ শীর্ণ হয়েছিলেন*।
*🌹রাধাকান্ত-মঠে,শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ আছেন,তাঁর নাম শ্রীশ্রীরাধাকান্ত।ঐ বিগ্রহের নামানুসারে মঠের নাম হয়েছে "রাধাকান্ত-মঠ"।এই বিগ্রহ মহাপ্রভুর সময়ের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত। এটি রাজা প্রতাপ রুদ্রের স্বপ্নলব্ধ বলে জন-প্রবাদ আছে।এখানে যে শ্রীগৌরাঙ্গের গম্ভীরা লীলার কথা উল্লেখ করলাম,তা স্বতন্ত্র ভাবে পরে লেখা গেল।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৫৯)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🌲নীলাচলে মহাপ্রভু🌲*
*করমা বাই বা কর্ম্মেতি বাই*
*নানক মঠ*
*কবীর মঠ*
▪▪▪▪▪▪▪▪
*🍀সাধারণ লোক ইঁনাকে কর্ম্মবাই বলেই জানে।পুরীধামের কর্ম্মবাইয়ের খিচুরী বিখ্যাত।কেন যে জগন্নাথদেবকে এই খিচুরী দেওয়া হয়,তা হয় তো অনেকেই জানেন না।ভক্তমাল গ্রন্থে এই ভক্তিমতী রমণীর এক অতি সুন্দর আখ্যায়িকা আছে।ইনি বাৎসল্য ভাবে ভগবানের সেবা করতেন। তিনি শীতের সময় খুব সকালে উঠে,জগন্নাথদেবের ক্ষুধায় কষ্ট হবে,এই মনে করে রাত্রিবাস কাপড় পরিত্যাগ না করেই, তাড়াতাড়ি খিচুরী রান্না করে ভোগ দিতেন। একদিন এক বৈষ্ণব এসে,এইরকম অশুচি ভাবে জগন্নাথের সেবা হচ্ছে দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন।বৈষ্ণবের উপদেশ অনুসারে তারপরদিন,কর্ম্মাবাই স্নান করে পবিত্র হয়ে,খিচুরী রান্না করেজগন্নাথদেবের ভোগ দেন,এতে অনেক বেলা হয়ে পড়ায়, প্রভু কষ্ট ভোগ করেন।ঐ দিনই রাত্রিতে প্রধান পূজারী পান্ডা স্বপ্নে দেখেন যে,শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব লক্ষ্মীর সহিত বিরাজ করছেন, এবং লক্ষ্মীদেবী ও জগন্নাথের মুখে খিচুরী লেগে রয়েছে। পান্ডাও স্বপ্নযোগেই এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে,প্রভু বললেন, "আমার একটি ভক্ত প্রত্যহ আমাকে খুব সকালে খিচুরী ভোগ দিত,অদ্য এক বৈষ্ণবের উপদেশে,স্নানাদি করে বিলম্বে ভোগ রন্ধন করে দেওয়ায়,আমার ক্ষুধায় বড় কষ্ট হয়েছিল, এবং এখানকার ভোগের সময় হয়ে পড়েছিল বলে, তাড়াতাড়ি এসেছি ;মুখ ধুয়ে আসবার সময় পাইনি।সেই স্বপ্নযোগে পান্ডা আরও শুনতে লাগলেন,লক্ষ্মী বলছেন, প্রভো!সেই রমণী রাত্রিবাস কাপড় না ছেড়েই যে ভোগ দিত,তাতেই কত তৃপ্তি হত!জগন্নাথদেব বললেন,দেবি,প্রেমের সেবার কাছে নিষ্ঠা কিছুই না।আমি অনুরাগের সেবা চাই,আড়ম্বর চাই না। রাগমার্গের সেবার কাছে,নিষ্ঠের সেবা তুচ্ছ।পরদিন পান্ডা স্বপ্নবৃত্তান্ত কর্ম্মাবাইকে জানিয়ে,আগের মত ভাবেই সেবা করতে,শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব আদেশ জানালেন।তদনুসারে সেইদিন হতেই কর্ম্মাবাইয়ের খিচুরী বিখ্যাত হল।এখনও জগন্নাথদেবকে সকালবেলা যে খিচুরী ভোগ দেওয়া হয়,তা কর্ম্মাবাইয়ের খিচুরী নামে বিখ্যাত আছে।কর্ম্মাবাইয়ের মন্দিরের কাছে বিঙ্কটাচারী মঠ আছে। সেই মঠে, একটি মন্দিরের ভিতর, গোপালজীর বিগ্রহ ও অদূরে,দক্ষিণ পার্শ্বে নতূন লোকনাথদেবের মন্দির আছে।*
*🔵🔵নানক---মঠ🔵🔵*
🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
*🌹স্বর্গদ্বারে যাবার রাস্তার দুই ধারে সাধু-সন্ন্যাসীদের আশ্রম আছে।অনেক দেবতা এবং রামজী, ও রাধানাথজীউ আছেন।বামধারে নানক-পন্থীর মঠ।এই মঠে প্রথম প্রবেশ করেই,সামনে একটি মন্দির পাওয়া যায়,তার মধ্যে পাতাল-গঙ্গা আছেন।এই গঙ্গা সম্বন্ধে একটি সুন্দর গল্প আছে।শ্মশ্রু-ধারী (দাঁড়ি-গোফ ধারী)গুরু নানককে যবন মনে করে, জগন্নাথের মন্দির হতে বাহির করে দেওয়া হলে,তিনি এই জায়গায় এসে, শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের ধ্যান করেন। ভগবান সন্তুষ্ট হয়ে,স্বয়ং তাঁকে সোনার থালায় করে প্রসাদ এনে দেন, ও পদ দ্বারা কূপ খনন করে গঙ্গাদেবীকে আনয়ন করেন।একেই লুপ্ত-গঙ্গা বলে।ভক্তগণ পবিত্র জল স্পর্শ করে,নিজেদেরকে কৃতার্থ মনে করেন।পাঞ্জাবের রাজা মহাসিংহ এই মন্দিরের কপাট তৈরী করে দিয়েছেন।এই মঠে গোপালজী ও গুরু নানক সাহেবের সেবা আছে।গুরু নানক পরম সাধু ছিলেন।ইনি যে ধর্মমত প্রচার করেন,তার একটি বড় গ্রন্থ আছে,সেটি "গ্রন্থ সাহেব" বলে।নানক পন্থীদের মঠে ঐ গ্রন্থ-সাহেবের পূজা হয়ে থাকে।তাঁরা গুরুভক্ত।মহাত্মা নানক যদিও জাতিতে মুসলমান ছিলেন,তথাপি উঁনার ধর্মমত অতি উদার ছিল। তিনি কোনও ধর্মাবলম্বীকেই ঘৃণা করতেন না,বরং সমস্ত ধর্মাবলম্বীকেই শ্রদ্ধা ভক্তি করতেন।যেখানে গেলে রাম-রহিম এক হয়ে যায়,বেদ কোরাণ এক হয়ে যায়, যেখানে সব ধাঁধাঁ মিটে যায়,তিনি ধর্মের সেই স্তরে উঠেছিলেন।কথিত আছে,ইঁনার মৃত্যু হলে মুসলমান শিষ্যগণ ইঁনাকে কবর দিতে চেয়েছিলেন, এবং হিন্দুগণ দাহ করতে চেয়েছিলেন।এতেই বুঝা যায় যে,ইনি হিন্দু ও মুসলমান সকলকেই সমভাবে দেখতেন।*
*☘☘☘কবীর---মঠ☘☘☘*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🍀মহাত্মা কবীর একজন পরম সাধু ছিলেন।ইঁনার উপদেশপূর্ণ দোঁহাবলী আছে।ইঁনার উপদেশ পাঠে দেখা যায়, সমস্ত ধর্মেই তাঁর বিশ্বাস ছিল।তাঁর কোন ধর্মেই বিদ্বেষ ছিল না।তিনি জাতিতে মুসলমান হলেও হিন্দুমতালম্বী সাধু ছিলেন।ধর্মের চরম অবস্থায় উঠিলে,হিন্দু,মুসলমান কোন ভেদ থাকে না।ইনিও এই শ্রেণীর সাধু ছিলেন।এই মহাত্মার নামে নানক-মঠের সন্নিকটে একটি মঠ প্রতিষ্ঠিত আছে। যাত্রিগণকে কবীরের তোড়ানি বলে,প্রসাদের জল খেতে দেয়।এইখানে কবীরের সমাধি বলেও একটি জায়গা দেখা যায়।হরিদাসকে যেরকম পতিতা দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল, এবং পতিতা যেরকম অবশেষে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিল, কবীর সম্বন্ধেও সেইরকম উপাখ্যান আছে।কবীর পতিতাকে গ্রহণ করে পবিত্র করেছিলেন।তাঁর অনেক দোঁহাবলী আছে।"উঁহা মেরি যানা" ইত্যাদি দোঁহাটি তাঁরই রচিত।*
📿📿📿📿📿📿📿📿📿📿📿📿📿
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 ষষ্ঠ ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath6.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(৬০)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
*🦚নীলাচলে মহাপ্রভু🦚*
*🌻স্বর্গদ্বার---সাক্ষী🌻*
*🌹🌹স্বর্গদ্বার🌹🌹*
*🙏হরিদাস--মঠ🙏*
*🔷শঙ্কর বা গোবর্দ্ধন মঠ🔷*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*🍀স্বর্গদ্বারের নিকটস্থ সমুদ্রজলে তর্পণাদি করলে, তা সাক্ষী-স্বরূপ জগন্নাথের নিকট বল,গোপাল-মূর্তিকে সাক্ষী রেখে যায়।স্বর্গদ্বারের কাছে হনুমান,রামজীর মন্দির, শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণজী,মহাদেবের মন্দির এবং বিদুরের বাড়ী আছে।সেখানে খুদের পিঠা ও শাকভোগ দেওয়া হয়।একে কেউ কেউ "সুদাম-পুরীও" বলে।সম্ভবতঃ মহাত্মা বিদুর তীর্থযাত্রা উপলক্ষ্যে,এখানে এসে অবস্থান করেছিলেন বলেই,এটির নাম বিদুর মঠ।এই জায়গায় রাধাকৃষ্ণ ও বিদুরজীর মূর্তি আছে।এই বিদুর শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের সখা ছিলেন।শ্রীকৃষ্ণ যখন মথুরাতে রাজা হলেন,বিদুর তাঁর স্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে ভগবদ্দর্শনে চললেন।কিছু উপহার নিয়ে যেতে হয়, কিন্তু বিদুরের ঘরে উপহার দেবার মত কিছুই ছিল না ; অবশেষে এক মুষ্টি চাল আঁচলে বেঁধে নিলেন।বিদুরের এই এক মুষ্টি চাল, ভগবান অতি আদরের সঙ্গে গ্রহণ করলেন, এবং এই উপহারের প্রতিদানে বিদুরের অতুল ঐশ্বর্য্য হল।সেই হতে বিদুরের খুদ্ কুঁড়া চির প্রসিদ্ধ হল।দুর্যোধনের মন্ত্রী বিদুরের সম্বন্ধেও এইরকম একটি গল্প আছে।তা এই-- বিদুরের পত্নী পদ্মাবতী কলা-ভ্রমে কলার চোকা খাইয়েছিলেন। ভগবান তাইই পরমানন্দে ভক্ষণ করেছিলেন।তিনি প্রেমের দ্বারা জিনিসের মূল্য স্থির করেন।*
*🌺🌺🌺স্বর্গদ্বার🌺🌺🌺🌺*
******************************
*🌳স্বর্গদ্বার পঞ্চতীর্থের মধ্যে একটি তীর্থ বলে প্রসিদ্ধ আছে।কথিত আছে,ব্রহ্মা যখন শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রতিষ্ঠা করেন,তখন তিনি স্বর্গ হতে এই জায়গায় দেবগণ সহ নেমেছিলেন।এই জন্য এটিকে স্বর্গদ্বার বলে থাকে।তীর্থরাজ সমুদ্র, এর উত্তর কূলে শ্রীক্ষেত্র বিরাজিত।পুরুষোত্তম-ক্ষেত্রের আকৃতি শঙ্খের মত।এই শঙ্খের উদর ভাগ সমুদ্রজলে নিমগ্ন।এর স্পর্শে সমুদ্র তীর্থরাজ নামে অভিহিত হয়।*
*🙏🙏হরিদাস-----মঠ🙏🙏*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
*🌳এই মঠে ব্রহ্ম-হরিদাসের সমাধি আছে।শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু,শ্রীহস্তে এই সমাধি দিয়েছিলেন।এই জায়গায় একটি মন্দির আছে,তারমধ্যে শ্রীমন্ নিত্যানন্দ,শ্রীশ্রীমহাপ্রভু ও শ্রীঅদ্বৈতাচার্য্যের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত আছে।দক্ষিণে নিত্যানন্দ,বামে অদ্বৈতাচার্য্য এবং মধ্যস্থলে মহাপ্রভু বিরাজিত আছেন।এইটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মঠ।যিনি "নিতাই গৌর রাধ শ্যাম,হরে কৃষ্ণ হরে রাম" নাম প্রচার করেন,সেই চরণদাসবাবাজীর শিষ্যগণ কর্তৃক বিগ্রহের সেবা চলছে।এই জায়গায় অনেক গৌড়ীয় বৈষ্ণব বাস করেন।*
*🌲🌲শঙ্কর বা গোবর্দ্ধন মঠ 🌲🌲*
*🍀এই মঠের সহিত শ্রীশ্রীজগন্নাথের বিশেষ সম্পর্ক আছে, সুতরাং এই মঠের বিবরণ এই গ্রন্থে উল্লিখিত হওয়া বিশেষ প্রয়োজন।স্থর্গদ্বারে শঙ্করাচার্য্যের এই মঠ অবস্থিত।জায়গাটি অতি নির্জন।এই মঠের ভিতর প্রবেশ করলেই,দুইটি মন্দির পাওয়া যায়। তার একটিতে রাধাকৃষ্ণ ও অন্যটিতে শিবমূর্তি আছেন। মন্দিরদ্বয়ের কাছেই একটা ঘরে শ্বেত-পাথর-নির্মিত মহাত্মা শঙ্করাচার্য্যের একটি মূর্তি আছে।সেই মূর্তিটি দেখলেই বোধ হয় যে, শঙ্করাচার্য্য অতি সুপুরুষ, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিশালী ও অমানুষিক শক্তি সম্পন্ন ছিলেন।পুরীধামে যতগুলি মঠ আছে, তারমধ্যে এইটি যে,প্রাচীন-কীর্তি প্রকাশক ও বহুদিনের স্থাপিত, তা এটি দর্শনে ও নিচে লেখা বিবরণে অনুমিত হয়।এই মঠকে গোবর্দ্ধন, বালি বা শঙ্কর মঠ বলে থাকে।যখন ভারতবর্ষে বৌদ্ধধর্মের প্রাদুর্ভাব হয়, অর্থ্যাৎ বুদ্ধদেবের নির্বণের পর,এই ধর্মের বিশেষ বিস্তার হয়।সেই সময় এই বৌদ্ধ-ধর্মের স্রোতের নিবৃত্তির জন্য,এই মহাত্মার আবির্ভাব হয়।এই সময়ে,যদি এই মহাত্মার অভ্যুদয় না হত,তাহলে ভারতের হিন্দুধর্ম একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যেত। শঙ্করাচার্য্য অনেকের কাছে, শঙ্করের অবতার বলে পূজিত হয়ে থাকেন।*
*🌹২২৫৫ যুধিষ্ঠিরাব্দে রাজ-দত্ত সাহায্যে,যখন ভারত বিখ্যাত স্বামী শঙ্করাচার্য্য,পুরীতে এই মঠ স্থাপন করেন,সেই সময়ে,বিপ্রলাভ বা শর-শঙ্খ-দেব উড়িষ্যার রাজা ছিলেন বলে,মাদলা পঞ্জিকাতে লিখিত আছে।এর আগে বদরিকাশ্রমে যোষী বা জ্যোতির্ম্মঠ, দ্বারকায় সারদা মঠ,মহীশুরে শিঙ্গারী বা শৃঙ্গবৈরি মঠ স্থাপিত হয়েছিল।*
*🌷প্রথমঃ পশ্চিমাম্নায়ঃ শারদা-মঠ উচ্যতে।*
*🌷কীটবারঃ সম্প্রদায়স্তস্য তীর্থাশ্রমৈঃ শুভৈঃ।।*
*🌷পূর্ব্বাম্নায়ো দ্বিতীয়ঃ স্যাদ্ গোবর্দ্ধনমঠঃ স্মৃতঃ।*
*🌷ভোগবারঃ সম্প্রদায়ো বনারণ্যে পাদ্ম স্মৃতঃ।।*
*🌷তৃতীয়স্তূ ত্তরাম্নায়ো জ্যোতির্নাম মঠো ভবেৎ।*
*🌷শ্রীমঠশ্চেতি বা তস্য নামান্তরমুদীরিতম্।।*
*🌷চতুর্থো দক্ষিণাম্নায়ঃ শৃঙ্গেরিতু মঠোভবেৎ।*
*🌷সম্প্রদায়ো ভূরিবারঃ ভূর্ভূবো গোত্রমুচ্যতে।।*
*🌹পুরীতে শঙ্কর-মঠ-স্থাপনের পর,সেই মঠের স্বামীদের হাতেই জগন্নাথ-মন্দিরের তত্ত্ববধানের ভার, বহুকাল পর্য্যন্ত ন্যস্ত বা অর্পিত ছিল। সেই সময়ে জগন্নাথ-মন্দিরের বেষ্টনের মধ্যে,গোবর্দ্ধন মঠের আদি আচার্য্যগণ, অনেক সময় অবস্থান করতেন।বহুকাল পরে,মারহাট্টা রাজা রঘুজীর আধিপত্য সময়ে,রামানুজীয় মত প্রবল হওয়ায়,শঙ্কর-মঠ স্থানান্তরিত হয়ে,সমুদ্রতীরে স্থাপিত হয়।সেই মঠই বতর্মান গোবর্দ্ধন মঠ। ক্রমে ক্রমে রামানুজীয় মত প্রচলিত হলে,রত্ন-সিংহাসনের নিকটস্থ ভৈরবমূর্তি, রামানুজীয়দের দ্বারা স্থানান্তরিত হয়।তথাপি শঙ্করমঠের স্বামীদের প্রাধান্য অদ্যাবধি আগের মতই প্রবল আছে।*
*ক্রমাগত*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
🔜 ক্রমাগত 👉 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 সপ্তম ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/02/jagannath7.html
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝
꧁👇📖 সূচীপত্র ✍️ শ্রী জয়দেব দাঁ 📖👇꧂
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••*
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
*••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
*••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-
শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 👇👇🙏👇👇 📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ ꧂ পদ - পদাবলী 🙏 গৌরচন্দ্রিকা 🙏 ব্যাখ্যা ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/krishna.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ সুধী ভক্তবৃন্দ যে লীলা অধ্যায়নের করতে চান নিম্নে লিংকের উপর ক্লিক করুন 👇👇👇 ✧═══════════•❁❀❁•═════...
শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শিবরাত্রি ব্রতকথা ꧂ শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓ শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓ শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_54.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ পুরাক...
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ꧂ https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *বিবেক বৈরাগ্য দিয়া দু'গলুই করিল।* *ধৈর্য্য তাহার উপর দাঁড়া করিল।।* *আসক্তির তক্তা আনি তাহাতে জুড়িল।* *লালসার পাতান লোহা তাহাতে গড়িল।।* *নববিধা ভক্তি দিয়া নয়টি গুড়া দিল।* *সরল সুবুদ্ধি দিয়া মাস্তুল গড়িল।।* *মন রূপী পাল তাহে উড়াইয়া দিল। *সাধুসঙ্গ কাণি দড়ি চৌদিকে আঁটিল।।* নৌকা গঠন তত্ব দ্বারা।---------------- শ্রী গোবিন্দ আমার সখাদের সঙ্গে গো-চারণ করিতে করিতে সেই কথা মনে পড়েছে, কোন কথা,গোলোক বৃন্দাবনের কথা, ভাই সুবলকে ডেকে বললেন,ওরে ভাই সুবল সখা, আজ আমি যমুন...
🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html
👉 মতানুসারে 👉 https://drive.google.com/file/d/1lS0aV1XBKbzRfve110-R6hJEsX3JHoMQ/view?usp=drivesdk ✧ ══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 ✧ ══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🔘👉🏠Home🏠 🔘👉📝সূচীপত্র📝 🔘👉📚PDF গ্রন্থ📚 🔘👉✉️WhatsApp Chanel✉️ 🔘👉Apps 🔘👉🌐Google Drive🌐 🔘👉 শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ🚩শ্রীশ্রীগৌর গম্ভীরা🐚শ্রীধাম পুরী🐚 🔘👉 🗓️ ব্রত তালিকা 🗓️ শ্রীগিরিগোবর্ধন 🙇 🔘👉 🗓️ ব্রত তালিকা 🗓️ শ্রীরাধাকুণ্ড 🙇 🔘👉🖼️ধর্মীয় চিত্রপট🖼️ 🔘 👉 📝শ্রী জয়দেব দাঁ📝 🔘👉📝শ্রী গোপীশরণ দাস📝 🔘👉📝শ্রী দীপ বাগুই📝 🔘👉 🎶শ্রীমতী কুঞ্জশ্রী দাশগুপ্ত🎶 🔘👉📝শ্রী মৃন্ময় নন্দী📝 ✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 ✧ ══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ ✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧ 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷 *শচীসুতাষ্টকম্ ✍️ শ্রীশ্রী সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য বিরচিতং 🙏 সংগৃহীত 🙏 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন* 👉 http://mrinmoynandy.bl...
শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/home-page-pdf-httpsmrinmoynandy_25.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ...
মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ৪২. ব্রহ্মা এবং মহেশ্বর যাঁর আরাধনা করেন 🙇 মনোশিক্ষা🙏 দ্বিতীয় ভাগ🙏শ্রী প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *(৪২)🔥🔥মনো শিক্ষা 🔥🔥* •••••••••••••••••••••••••••••••••••••• *ওরে মন! বিচারিয়া দেখ না হৃদয়* *ধনে জনে যত আর্তি,বাড়ে বই নহে নিবৃত্তি,* *হরি-পদে হৈলে কি না হয়।।* *যা ভাবিলে হবে নাই,তাই ভেবে কাট আই,* *ভাবিলে যে পাও তা না কর।* *লক্ষকোটি যার ধন,সে কি পায় এক মণ,* *বুঝি কেনে ধৈরয না ধর।।* *খাওয়া পরা ভাল চাও,তাই কি ভাবিলে পাও,* *পূর্ব-জন্মার্জিত সেই পাবে।* *কার ধন চিরস্থায়ী,না গণ'আপন আই,* *কত কাল তুমি বা বাঁচিবে।।* *অজ ভব ভবে যাঁরে,কি মদে পাসর তাঁরে,* *"হরি" ভুলি জীয় কোন্ কাজে।* *"হরিনাম"যাতে নাই,সে বদনে পড়ুক ছাই,* *সে মুখ সে দেখায় কোন্ লাজে।।* *...
বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═════...
শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🙏 প্রথম ভাগ ꧂ ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *••••┉❀꧁👇 🏠Home Page🏠👇 ꧂❀┅••••* 👉 MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 Boisnob.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/pdf_22.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *•❀꧁ 📖সূচীপত্র 🙏 শ্রী জয়দেব দাঁ 📖 ꧂❀•* 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html 👉...
*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ *নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্* ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন 🌐 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠👇👇🙏👇👇📚PDF গ্রন্থ📚 🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে 👇👇👇🙏👇👇👇 ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_23.html ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ꧂ ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।* *পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।* = = = = = = = = = = = = = = = = = *মুলানুবাদ=হে রসবিশেষভাবনা-চতুর রসিক ভক্তগণ!শুকমুনির মুখনির্গলিত দেব-কল্পতরুর শ্রীমদ্ভাগবত নামক পরমানন্দরসময় ফল সাধনকাল হতে মোক্ষক...
শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য ꧂ ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ 🏠Home Page🏠 ⬇️⬇️🙏⬇️⬇️ 📚PDF গ্রন্থ📚 ꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ ꧁ https://Gopisharan.blogspot.com 🙏 সূচীপত্র ꧂ ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂ এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/home-page-pdf-httpsmrinmoynandy_25.html ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧ *শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহ...