🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔙 পূর্ব লীলা 👉 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 প্রথম ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১১)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
            *🌸নীলাচলে মহাপ্রভু🌸*
                    *🏵প্রস্তাবনা🏵*
      *****************************
*🍀বেদান্ত মতে জীব এবং পরমাত্মা একই পদার্থ।কেবল মায়া দ্বারা বিভিন্ন হয়েছে। শ্রীচৈতন‍্যচরিতামৃতে লেখে হয়েছে =*
*🌷কাঁহা পূর্ণানন্দৈশ্বর্য‍্য কৃষ্ণ মায়েশ্বর।*
*🌷কাঁহা ক্ষুদ্র জীব দুঃখী মায়ার কিঙ্কর।।*
*🌼তথাহি, ভগবৎ-সন্দর্ভে ঃ----*
*🌷হ্লাদিন‍্যা সম্বিদাশ্লিষ্টঃ সচ্চিদানন্দ ঈশ্বরঃ।*
*🌷স্বাবিদ‍্যা সংবৃতো জীবঃ সংক্লেশনিকরাকরঃ।।*
*🏵আনন্দ ও সম্বিৎ-শক্তিযুক্ত ভগবান সচ্চিদানন্দ,আর জীব নিজ অবিদ‍্যাচ্ছন্ন হয়ে অশেষ কষ্টগুলি ভোগ করতে থাকে।*
*💐বিবেকরাম ও বিশ্বাসরাম, ইঁনারা বিবেক ও বিশ্বাস,ইঁনারা জ্ঞানের সহচর।পূর্বে যে উল্লেখ করা হয়েছে, সমস্ত জায়গা অন্ধকারময় করা হল, এর অর্থ জ্ঞান আলো,মায়া অন্ধকার। জ্ঞানের অভাব হলেই অজ্ঞানান্ধকারে সমস্ত আচ্ছন্ন হয়,জ্ঞান কি তা এক রকম বুঝলাম। এই যে জ্ঞান সম্বন্ধে আলোচনা করা হল,তদনুসারে ব্রহ্মবস্তুই আরাধ‍্য।তা নিরাকার "সচ্চিদানন্দমদ্বয়ম্ ব্রহ্ম"।আর,ভক্তি এবং কর্মের কথা যে আগে বলে হয়েছে,তাতে সাকার এবং নিরাকার উভয় রূপেতে ভগবানের উপাসনা হতে পারে।অধিকারী ভেদে উপাসনার প্রভেদ আছে।এই নিয়ে বহুদিন হতেই বাদানুবাদ চলছে। তন্ত্র এই বিষয়ের একটা মীমাংসা করেছেন।যথা মহেশ্বর বলেছেন=*
*🌷স্ত্রীরূপাং বা স্মরেৎ দেবি পুংরূপাং বা স্মরেৎ প্রিয়ে।*
*🌷স্বরেদ্বা নিষ্কলং ব্রহ্ম সচ্চিদানন্দরূপিণম্।।*
*🌷নেয়ং যোষিন্ন চ পুমান্ ন ষন্ডোন জড়ঃ স্মৃতঃ।*
*🌷তথাপি কল্পবল্লীব স্ত্রীশব্দেন চ যুজ‍্যতে।।*
*🌷সাধকানাং হিতায়ৈব অরূপা রূপধারিণী।*
*🌷চিন্ময়স‍্যাপ্রমেয়স‍্য নিষ্কলস‍্যাশরীরিণঃ।*
*🌷সাধকানাং হিতার্থায় ব্রহ্মণো রূপকল্পনা।।*
                             *(তন্ত্রপ্রদীপ)*
*🌻এই কথা দ্বারা বুঝা যায়,তিনি অরূপ হয়েও ভক্তের কাছে ভক্তের বাঞ্জিতরূপে দেখা দেন।*
*🌸কর্ম্ম,জ্ঞান ও ভক্তি, যে বিষয়ের এতক্ষণ আলোচনা করা হল,এর প্রত‍্যেকেই মুক্তিদান করতে পারে, কিন্তু সহজ-সাধ‍্য কেউই নয় ; তার পরে ভাগ‍্যের সাপেক্ষ ; শুনতে পাই,তীর্থদর্শন দ্বারাতে সহজে ফললাভ হয়।*
*🌹এখন আমাদের পক্ষে সব অপেক্ষা কোন তীর্থ সহজে মুক্তিদান করতে পারে, এবং কোন অবতার আমাদের মত পাপীকে উদ্ধার করবার জন্য করুণার হাত বাড়িয়ে কোলে তুলে নেন,তাঁরই মহিমা কীর্তন করব।এই গ্রন্থের এটিই উদ্দেশ্য। আমাদের মোক্ষপ্রাপ্তির জন্য অনেক তীর্থ আছে, কিন্তু জ্ঞানলাভ না হলে,কোন তীর্থ মুক্তিদ হন না। যথা-- গঙ্গা বড়ই দয়াবতী,সকলকেই উদ্ধার করেছেন ; কিন্তু মোক্ষপ্রাপ্তির জন্য জ্ঞান-গঙ্গালাভের প্রয়োজন ; সুতরাং তা অনিশ্চিত। জ্ঞান লাভ না হলে মোক্ষপ্রাপ্তির কোন আশা নাই। সুতরাং গঙ্গার কাছে আমার মত জীবের মোক্ষপ্রাপ্তির আশা সুদুর্লভ। ঁকাশীর কথাও ঐরকম। স্কন্দপুরাণে জানতে পারলাম,উড্রদেশে সমুদ্রতীরে এক তীর্থ আছে,তার নাম পুরুষোত্তম  ক্ষেত্র।*
*তাতে শ্রীভগবান নিত‍্য বাস করছেন, এবং সেই ক্ষেত্রেই বাস করলেই মোক্ষপ্রাপ্তি হয়ে থাকে,এমন কি কাক মরে সেখানে চতুর্ভূজ হয়েছিল।সেখানে জাতিবিচার নাই।বিশ্বাবসু শবর জাতি হয়ে শ্রীভগবানের কৃপা লাভ করেছিলেন।সেখানে প্রসাদ সেবা করলেই মহাপূণ‍্য হয়।অন‍্য জাতিস্পর্শেও সে প্রসাদ অগ্রাহ্য হয় না।এইসব গুণকীর্তন থাকায়,অধমতারণের পক্ষে এই তীর্থকে সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থ বলে মনে হয়।এই তীর্থ যে পাপ-তাপ-হারণ, অধমতারণ তা বিবেচনা করতে হলে, তার মাহাত্ম্য কিরকম রয়েছে,তা প্রথমে বিবৃত হওয়া উচিত।তাহলে সকলের শুনবার জন্য প্রবৃত্তি ও বিশ্বাস জন্মিবে।তারজন‍্য এইখানে মাহাত্ম্যসূচক কয়েকটি শ্লোক উদ্ধৃত হল।*
*যথা মুক্তচিন্তামণৌ পদ্মপুরাণে=*
*🌷যঃ পশ‍্যেত্তমজং কৃষ্ণং সর্বচাক্ষুষগোচরং।*
*🌷সর্বপাপ-বিনির্মুক্তো যাতি সাযুজ‍্যতাং হরেঃ।।*
*🌷স এষ করুণাসিন্ধুঃ সিন্ধুতীরে শরীরবান্।*
*🌷যথা তথা দৃষ্টিপথাদাচন্ডালাৎ বিমুক্তয়ে।।*
*🏵জন্মরহিত শ্রীকৃষ্ণ,যিনি সকলের দর্শনের বিষয়ীভূত হয়েছেন,সেই হরিকে দর্শন করলে সর্বপাপ বিমুক্ত হয়ে সাযুজ‍্য(পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার একত্ব ও অভেদ)প্রাপ্ত হয়।সেই যে করুণারসিন্ধু শ্রীকৃষ্ণ,তিনি সিন্ধুতীরে শরীর ধারণ করে বিরাজ করছেন।আচন্ডাল সমস্ত জীবদেরকে মুক্তিপ্রদান করবেন বলে এই জগন্নাথরূপী শরীর ধারণ করেছেন।এটি দ্বারা আমরা দেখালাম তিনি পরম কারুণিক।তথাচ কপিলদুর্বাসঃসংবাদে ব‍্যাস উবাচ=*
*🌷বস্তুস্বভাবো বিপ্রেন্দ্র দর্শনাৎ মোক্ষদায়কঃ।*
*🌷যথার্কস‍্য প্রতপনং যথা চন্দ্রস‍্য শীতলং।।*
*🌹এই শ্লোক দ্বারা বুঝা যাচ্ছে, এই বস্তুরই স্বভাব যে,এই দারুময় মূর্তি দর্শন করলেই মুক্তিপ্রদান হয়ে থাকেন।সূর্য‍্যের স্বভাব যেমন তাপ দেওয়া,চন্দ্রের স্বভাব যেরকম শীতলতা প্রদান করা,এই দারুময় মূর্তিরও মোক্ষপ্রদান বস্তু-শক্তি। "নহি বস্তু-শক্তিঃ বুদ্ধিমপেক্ষতে"।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏👣🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১২)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
           *🌸নীলাচলে মহাপ্রভু🌸*
                   *💮প্রস্তাবনা💮*
        🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀
*🌼তথা চ যুধিষ্ঠিরিং প্রতি নারদ বচনং=*
*🌷স এব পরমানন্দঃজনবৎ চেষ্টতে জগৎ।*
*🌷দাদাত‍্যেব ধ্রুবং মুক্তিং দর্শনাৎ পাপকর্মিণাং।।*
*🌻তথাচ ব্রহ্মান্ড পুরাণে মোক্ষাধিকার-নির্ণয়ে বেদব‍্যাসং প্রতি উদ্দালক বচনং=*
*🌷শ্রুত্বা ময়া নিদিধ‍্যাস‍্যং স্বরূপমাত্মনস্তথা।*
*🌷যৎ সাক্ষাৎ-করণং প্রোক্তং তত্ত্বমুক্তি-স্বরূপকম্।।*
*🌷তদনেক-জন্ম-সাধ‍্যং দুর্ল্লভং জন্মিনাং সদা।*
*🌷শুকো বা বামদেবো বা মুক্ত ইত‍্যভিধীয়তে।।*
*🌷তদেতন্মুক্তিদং ক্ষেত্রং মরণাদৌ ত্বয়োদিতং।*
*🌷অর্থবাদস্বরূপঞ্চ এতন্মে সংশয়ো মহান্।।*
*🌷সাক্ষাৎকারবলান্মুক্তি র্নাস্তীত‍্যেতন্মতং শ্রুতং।*
*🌷ধর্ম্মশাস্ত্রেষ্বপি মুনে নিশ্চিতং ভারতাদিষু।*
*🌷তৎ কথং মরণাল্লভ‍্যং ক্ষেত্রেহস্মিন্ পুরুষোত্তমে।।*
*🍁বেদব‍্যাস উবাচ=*
*🌹গতাগতপ্রদং কর্মমার্গং শ্রুত‍্যাদিচোদিতং।*
*🌹তত্ত্বরূপং হি জানামি এতৎ ক্ষেত্রং বহিঃ স্মৃতম্।।*
*🌹যথা সুগোপিতং ব্রহ্ম তথেদং ক্ষেত্রমুত্তমম্।*
*🌹ক্ষেত্রং বিষ্ণোস্তু জানীহি যথা বিষ্ণুস্তথৈব তৎ।।*
*🌹তথ‍্যং ব্রবীমি তে বিপ্র শ্রুত্বৈতদবধারয়।*
*🌹সত‍্যং সত‍্যং পুনঃ সত‍্যং বদাম‍্যাহতডিন্ডিমম্।।*
*🌹দক্ষিণোদধিতীরস্থং দারুব্রহ্মাবলোকিতং।*
*🌹বিনা সাংখ‍্যমতং পুংসাং দর্শনান্মুক্তিদং ধ্রুবং।।*
*🌹ইত‍্যয়ং দারুরূপীশো দর্শনাদপি মুক্তিদঃ।*
*🌹কিং পুনস্তস‍্য চরণাভ‍্যাসে প্রাণান্ বিযোজয়েৎ।।*
*🔴পদ্মপুরাণে শ্রীশ্রীভগবান উবাচ=*
*🌷শ্রুতি-স্মৃতীতিহাস-পুরাণ-গোপিতং মন্মায়য়া যন্নহি কস‍্য গোচরম্।*
*🌷প্রসাদতো মে স্তুবতস্তবাধুনা প্রকাশমায়াস‍্যতি সর্বগোচরঃ।।*
*🌷ব্রতেষু তীর্থেষু চ যজ্ঞদানয়োঃ পুণ‍্যং যদুক্তং বিমলাত্মনাংহি।*
*🌷অহো নিবাসাল্লভতেহত্র সর্বং নিশ্বাসবাসাৎ খলু চাশ্বমেধিকম্।।*
                         *(মুক্তিচিন্তামণৌ)*
*🔵তথাচ পদ্মপুরাণে-------*
*🌷ক্ষেত্রোত্তমে শ্রীপুরুষোমাখ‍্যে স্বেচ্ছাশনং দেবী মহাহবিষ‍্যং।*
*🌷যোগেইত্র নিদ্রা ক্রতবঃ প্রচারঃ স্তুতিঃপ্রলাপঃ শয়নং প্রণামঃ।।*
*🌷পথি শ্মশানে গৃহমন্ডপ বা রথ‍্যাপ্রদেশে ভুবি যত্র তত্র।*
*🌷ইচ্ছন্ননিচ্ছন্ পুরুষোত্তমাখ‍্যে দেহাবসানে লভতে চ মোক্ষং।।*
            *🔶ব্রহ্ম উবাচ=*
*🌷অহো ক্ষেত্রস‍্য মাহাত্ম্যং সমন্তাদ্দশযোজনং।*
*🌷দিবিষ্ঠা যত্র পশ‍্যন্তি সর্বানৈব চতুর্ভুজান্।।*
*🌷যা গতির্যোগযুক্তস‍্য বারাণস‍্যাং মৃতস‍্য চ।*
*🌷সা গতির্ঘটিকার্দ্ধেন পুরুষোত্তমদক্ষিণে।।*
           *🔷ভগবদ্ বাক‍্যং-----*
*🌹সত‍্যং সত‍্যং পুনঃ সত‍্যং সত‍্যমেব সুনিশ্চিতং।*
*🌹ভক্ত‍্যা মমান্নং ভুক্ত্বা তু সান্নিধ‍্যং মম গচ্ছতি।।*
*🌹একতঃ সর্বতীর্থানাং যৎ ফলং পরিকীর্তিতং।*
*🌹তৎ ফলং সমবাপ্নোতি কৃষ্ণ সিধান্ন-ভোজনাৎ।।*
*🌹কুক্কুরস‍্য মুখভ্রষ্টং মমান্নং যদি জায়তে।*
*🌹ব্রহ্মাদ‍্যৈরপি তৎ ভক্ষ‍্যং ভাগ‍্যতো যদি লভ‍্যতে।।*
           *⭐বায়ু পুরাণে------*
*🌷শুষ্কং পর্য‍্যুষিতং বাপি নীতম্বা দূরদেশতঃ।*
*🌷দুর্জ্জনেনাপি সংস্পৃষ্টং সর্বমেবাঘনাশনং।।*
*🔵মেদতন্ত্রে বৈষ্ণবান্ প্রতি নারদবাক‍্যং---*
*🌷নাতঃ পরতরং নাম ত্রিষু লোকেষু বিদ‍্যতে।*
*🌷ন গঙ্গাস্নানমেতাদৃক্ ন কাশীগমনং তথা।*
*🌷জগন্নাথে তু সঙ্কীর্ত্ত‍্য নরঃ কৈবল‍্যমাপ্নুয়াৎ।।*
*🔷বিষ্ণুযামলে নারদং প্রতি ভগবদ্ বাক‍্যং=*
*🌹চিদানন্দময়ং ব্রহ্ম দারুব‍্যাজেন সংস্থিতং।*
*🌹জীবভূতং জগন্নাথং মামবেহি কলিপ্রিয়ঃ।।*
*🌹মামত্র যে প্রপশ‍্যন্তি দৃষ্ট্বা চাক্ষুষগোচরম্।*
*🌹বিদধামীতি তন্মুক্তিমিতি মে নিশ্চয়া মতিঃ।।*
*🌻গরুড় পুরাণে বেদব‍্যাস উবাচ=*
*🌷সত‍্যং সত‍্যং পুনঃ সত‍্যং তৎক্ষেত্রং ভগবত্তনুঃ।*
*🌷সচ্চিদানন্দরূপং তদব্রহ্ম দারব-দেহভৃৎ।।*
*🌷যতো বিষ্ণোঃ শরীরং তৎ ক্ষেত্রং পরমদুর্ল্লভং।*
*🌷তস্মাৎ শরীর-সংত‍্যাগাৎ পাপিনোহপি ব্রজন্তি তং।।*
*🌷সংসার-মগ্নচিত্তানাং নরাণাং পাপকর্ম্মাণাম্।*
*🌷তাপত্রয়াভিভূতানাং বাসনাবদ্ধচেতসাম্।।*
*🌷অন‍্যেষাং অন্ত‍্যজাতীনাং দর্শনান্মুক্তিদো বিভূঃ।*
*🌷আস্তে তত্র জগন্নাথো দারুণা নির্ম্মিতোহব‍্যয়ঃ।।*
*❤জীবের মোক্ষপ্রাপ্তি সম্বন্ধে এই পর্যন্ত বলা হল।এখন কৃমিকীট পতঙ্গাদি যে পরমাগতি লাভ করে তার একটি প্রমাণ উল্লেখ করছি। শৌনকাদীন্ প্রতি ব্রহ্ম-উবাচ=*
*🌷কৃমি-কীট-পতঙ্গাদ‍্যাস্তীর্য‍্যগ্ যোনি-গতাশ্চ যে।*
*🌷তত্র দেহং পরিত‍্যজ‍্য তে যান্তি পরমাং গতিং।।*
*🌻যে সব শ্লোক উল্লেখ করা হয়েছে, তা দ্বারা আমাদের আবশ‍্যকতা পূর্ণ হল।প্রথমতঃ দ্রষ্টব‍্য দারুময় ব্রহ্ম,যিনি নীলাচলে অবতীর্ণ হয়েছেন,তিনি আমাদের মত পাপীকে উদ্ধার করবেন কি না? প্রথম শ্লোকের দ্বিতীয়ার্দ্ধ======*
*🌷স এষ করুণাসিন্ধুঃ সিন্ধোস্তীরে শরীরবান্।*
*🌷যথা তথা দৃষ্টিপথাদাচন্ডালাৎ বিমুক্তয়ে।।*
*🌻এটি দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম তিনি করুণাসিন্ধু,আচন্ডালকে বিমুক্ত করবার জন্য তিনি সিন্ধুতীরে শরীরধারী হয়ে অবস্থান করছেন, সুতরাং আমাদের কোনও চিন্তা করবার কারণ নাই।ইতঃপরে যে সব শ্লোক উল্লেখ করা হয়েছে,তা দ্বারা বলা হয়েছে,তাঁর দর্শনেই মুক্তি হয়, তাঁর প্রসাদ ভক্ষণে মুক্তি হয়,তাঁর নির্মাল‍্য ধারণে মুক্তি হয়,সেখানে বাস করলে মুক্তি হয় এবং অবশেষে প্রাণত‍্যাগ করলেও মুক্তি হয়।*
               *ক্রমাগত*
🥀🥀🥀🥀🥀🥀🌼🥀🥀🥀🥀🥀🥀
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৩)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
            *🌸নীলাচলে মহাপ্রভু🌸*
                  *🌹প্রস্তাবনা🌹*
          💮💮💮💮💮💮💮💮
*🍀পাপীদের উদ্ধারের পথ আরও সহজ করবার জন্য প্রয়াসী হয়ে বলেছেন,যথা-- "ক্ষেত্রোত্তমে শ্রীপুরুষোত্তমাখ‍্যে" ইত্যাদি।শ্রীপুরুষোত্তম ক্ষেত্রে যা ইচ্ছা আহার কর, মহা-হবিষ‍্যেরফল হবে ;এখানে নিদ্রাতে যোগের ফল হয়,শয়ন করলে শ্রীজগন্নাথকে প্রণাম করলে যে ফল,তা লাভ হয়,আর ঘরে হোক বা শ্মশানে হোক, ইচ্ছায় অনিদ্রায় মৃত‍্যুর পর মুক্তি অবধারিত।এরকম সহজে মুক্তিলাভ অন‍্য কোন তীর্থ দিতে পারেন না বলেই মনে হয় না।সমস্ত তীর্থ হতে শ্রীজগন্নাথ যে শ্রেষ্ঠ তীর্থ তা বর্ণিত হয়েছে।এইসব শ্লোকেতে এওও পেয়েছি যে,সাংখ‍্য যোগ দ্বারা যা লাভ হয়,শ্রুতি,স্মৃতি,পুরাণোক্ত সাধন দ্বারা যা পাওয়া যায়,তার সমস্তই শ্রীজগন্নাথদর্শন দ্বারা লাভ হয়ে থাকে।আমার মনে হয় শ্রীশ্রীজগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা ত্রিমূর্তি,জ্ঞান,ভক্তি ও কর্মের প্রতিকৃতি।এইজন‍্য সুভদ্রা মধ‍্যস্থানে রয়েছেন।কর্মযোগ,ভক্তিযোগ ও জ্ঞানযোগ দ্বারা যা লাভ হয়,এই শ্রীজগন্নাথ সেবা দ্বারা সেই ফললাভ হয়ে থাকে।শ্রীমুখদর্শনে,তাঁর প্রসাদ ভোজনে এবং নির্মাল‍্য গ্রহণে মন পরিস্কার হয়ে অব‍্যভিচারিণী ভক্তির উদয় হয়।ভক্তি দ্বারা জ্ঞানের লাভ হয় এবং জ্ঞান হতে মুক্তি হয়।*
*🌷সর্বপাপাবিনির্ম্মুক্তো বিষ্ণুভক্তি-সমন্বিতঃ।*
*🌷নির্ম্মলজ্ঞান-সম্পন্নস্ততো মোক্ষমবাপ্নুয়াৎ।।*
*🌻সংক্ষেপতঃ, আমাদের যা প্রার্থিত,তা আমরা অতি সহজেই লাভ করছি।এটি অপেক্ষা সহজতর উপায় আর বোধহয় হতে পারে না।মহাপ্রভু যে হরিনামের পথ প্রচার করেছেন,তাও এটিরই প্রতিধ্বনি বলে বোধহয় ; সুতরাং যে হরিনাম কীর্তন,তাও এরই অঙ্গীভূত।*
*এই যে প্রতিধ্বনির কথা উল্লেখ করলাম,এর ভিতরে কিছু নিগূঢ় তত্ত্ব নিহিত রয়েছে। শ্রীশ্রীজগন্নাথ-লীলার মাহাত্ম্যশাস্ত্র অধ‍্যয়ন করলে দেখতে পাই,তাঁর মুখ‍্য উদ্দেশ্য পাপী জীবকে উদ্ধার করা,যার অন‍্য কোন উপায় নাই বা আশ্রয় নাই।তাকে একটা অবলম্বন করে দেওয়া।সেই উপায় জগন্নাথ নামকীর্তন,প্রসাদ ভক্ষণ,জগন্নাথ দর্শন ইত্যাদি।এখন শ্রীগৌরাঙ্গলীলারও উদ্দেশ্য দেখতে পাই,তিনি পাপী জীবের জন্য হরিনাম প্রচারের পথ প্রসারণ করেন।পাপী উদ্ধার অংশে জগন্নাথদেবের সঙ্গে শ্রীগৌরাঙ্গদেবের বিশেষ সাদৃশ‍্য দেখা যাচ্ছে।এতে মনে হয় যেন শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবই যেন পুনরায় এই গৌরদেহ ধারণ করে জীব উদ্ধারের জন্য হরিনাম প্রচার এবং কৃষ্ণপ্রেমের নিগূঢ় তত্ত্ব,অর্থ‍্যাৎ রাধাতত্ত্ব,কৃষ্ণতত্ত্ব এবং জগন্নাথতত্ত্ব সমস্ত দেখাবার জন্য তিনি শ্রীরাধার ভাব নিয়ে কৃষ্ণকে পাওয়ার উপায় করেছেন, এবং কৃষ্ণ ও জগন্নাথ যে এক বস্তু তা দেখিয়েছেন। যথা শ্রীচৈতন‍্যচরিতামৃতে পাই=*
*🌷গরুড়ের পাছে রহি করেন দর্শন।*
*🌷দেখেন জগন্নাথ হয় মুরলী-বদন।।*
*🌹দারুময় ব্রহ্ম এবং শ্রীশীচৈতন‍্যদেব যে এক বস্তু,তা চৈতন‍্যচরিতামৃতে এইরকম উল্লেখ আছে=*
*🌷জগন্নাথ হয় কৃষ্ণের আত্মাস্বরূপ।*
*🌷কিন্তু ইহা দারুব্রহ্ম স্থাবরের রূপ।।*
*🌷তাহা সহ আত্মতা একরূপ হঞা।*
*🌷কৃষ্ণ এক তত্ত্বরূপ দুইরূপ হঞা।।*
*🌷সংসার তারণ হেতু যে ইচ্ছা শক্তি।*
*🌷তাহার মিলনে কহি একতা প্রাপ্তি।।*
*🌷সকল সংসারী লোকের করিতে উদ্ধার।*
*🌷গৌর জঙ্গমরূপে কৈল অবতার।।*
*🌷জগন্নাথ দরশনে খন্ডায় সংসার।*
*🌷সবদেশের সব লোক নারে আসিবার।।*
*🌷শ্রীকৃষ্ণ চৈতন‍্য প্রভু দেশে দেশে যাঞা।*
*🌷সব লোক নিস্তারিল জঙ্গম ব্রহ্ম হৈয়া।।*
*💮অবশেষে সেই গৌর কলেবর জগন্নাথ দেহেতেই মিশে গিয়েছে।পরবর্তী ঘটনাদ্বারা এই অনুমান আরও দৃঢ়ীভূত হয়।ইহা আমার অনুমান হতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তত্ত্বই এই।যাঁরা প্রত‍্যক্ষ দেখেছেন,তাঁদের মধ্যে প্রধান সাক্ষ‍্য রায় রামানন্দ,স্বরূপদামোদর, সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য,শিখি মাইতি,মাধবী দাসী বহুভক্তগণ।এইসব সম্বন্ধে চৈতন‍্যচরিতামৃতে বিস্তৃতরূপে আলোচিত হয়েছে ; আমি তারই আভাস মাত্র এখানে দিলাম। অতএব, তাঁদেরই মাহাত্ম্য বর্ণন করা আবশ্যক মনে করছি।এই উপলক্ষ্যে জগন্নাথ নাম কীর্তন হবে,তাতেও ফলশ্রুতি আছে,যথা=*
*নাতঃ পরতরং নাম ত্রিষু লোকেষু বিদ‍্যতে।*
*ন গঙ্গাস্নানমেতাদৃক্ ন কাশী গমনং তথা।।*
*জগন্নাথে তু সংকীর্ত্ত‍্য নরঃ কৈবল‍্যমাপ্নুয়াৎ।*
        *বর্তমান যুগে এখন=*
*হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্।*
*কলৌ নাস্ত‍্যেব নাস্ত‍্যেব নাস্ত‍্যেব গতিরন‍্যথা।।*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৪)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
          *🙏নীলাচলে মহাপ্রভু🙏*
                *🌼প্রস্তাবনা🌼*
      ^^^^^^^^*****^^^^^*****^^^^
*🍀হরের্নাম শ্লোকের সহিত এর বিরোধ মনে করতে পারেন-- কিন্তু তা নয়।এই "জগন্নাথেতি কীর্তনাৎ" শব্দ বলা হয়েছে এটি দ্বারা হরি,কৃষ্ণ,জনার্দন,বামন,হর,কালী ইত্যাদি সমস্ত নাম মাত্রেই বুঝতে হবে।হরি নামেতেও কেবল হরি নাম নয়, জগন্নাথ নামেতেও কেবল জগন্নাথ নয়,উপলক্ষণ বিধায় একটি নামের উল্লেখ করা হয়েছে।এই হরি নামের যিনি প্রবর্তক,হরিনাম প্রচারের জন্য যিনি নবদ্বীপে অবতীর্ণ হয়ে বহু পাপীতাপী উদ্ধার করেছেন এবং হরিনামে সকলকে মাতিয়েছেন,যিনি যুবতী পত্নী,বৃদ্ধা মাতা এবং সুখের সংসার পরিত‍্যাগ করে ডোর কৌপীন ধারণ করে জীবের মঙ্গলের জন্য আঠার বৎসর পুরীধামে অবস্থান করেছেন এবং দিবানিশি অশ্রু বিসর্জন করেছেন এবং সেই প্রেমের বন‍্যায় রায় রামানন্দ, সার্বভৌম ভট্টাচার্য্য,স্বরূপ,দামোদর,রাজা প্রতাপরুদ্র এবং পুরীবাসীদেরকে ভাসিয়েছেন ; যিনি জগন্নাথ ও শ্রীকৃষ্ণ যে একবস্তু নিজে দৃষ্টান্ত দ্বারা দেখিয়েছেন ও তার সম্পর্কে বহুলীলা জগন্নাথে করেছেন।তাঁর নাম এবং তাঁর লীলা জগন্নাথলীলার সহিত সম্মিলিত না থাকলে,প্রকৃত জগন্নাথলীলা মাহাত্ম্য সম্পূর্ণ বর্ণিত হল, বলেই আমি মনে করি না,সেইজন‍্য এই সঙ্গে নদেবিহারী শ্রীগৌরাঙ্গদেবের পুরীধামের লীলা উল্লিখিত হল।*
*ভগবান্ পরম দয়াল,তাঁর গুণ আমি আর কি কীর্তন করব।কেউই এ পর্যন্ত তাঁর গুণ কীর্তন করে সীমা পাননি।তাই "পুষ্পদন্ত" লিখেছেন=*
*🌷মহিম্নঃ পারং তে পরমবিদুষো যদ‍্যসদৃশী,*
*🌷স্ততি র্ব্রহ্মাদীনামপি তদবসন্নাস্ত্বয়ি গিরঃ। ইত্যাদি।*
     *আবার লিখেছেন=*
*🌷অসিতগিরিসমং স‍্যাৎ কজ্জলং সিন্ধুপাত্রে,*
*🌷সুরতরুবরশাখা লেখনী পত্রমুর্ব্বী।*
*🌷লিখতি যদি গৃহীত্বা সারদা সর্বকালং,*
*🌷তদপি তব গুণানামীশ পারং ন যাতি।।*
                         *(মহিম্ন-স্তোত্র)*
*🌳এটি দ্বারা তাঁর গুণের অপরিসীমত্ব দেখিয়ে ভক্তগণ তাঁর কিভাবে পূজা করবেন এর ব‍্যবস্থা করেছেন।তা বেশ সুন্দর =*
*🌷অথাবাচ‍্য সর্বঃ স্বমতিপরিণামাবধিগৃণম্,*
*🌷মমাপ‍্যেষ স্তোত্রে হর-নিরপবাদঃ পরিকরঃ।*
*🌷অতীতঃ পন্থানঃ তবচ মহিমা বাঙ্ মনসয়ো-,*
*🌷-রতদৃব‍্যাবৃত্ত‍্যা যং চিতমভিধত্তে শ্রুতিরপি।*
*🌷স কস‍্য স্তোতব‍্যঃ কতিবিধগুণঃ কস‍্য বিষয়ঃ,*
*🌷পদেত্বর্ব্বাচীনে পততি ন মনঃ কস‍্য ন বচঃ।।*
*🌻পুষ্পদন্ত লিখেছেন, তোমার স্তুতি কে করতে সমর্থ? ব্রহ্মাদিরাও স্তুতি করে তোমার গুণের পরিসীমা করতে পারেননি,ঋষিগণও তোমার গুণবর্ণনে অসমর্থ।সিন্ধু বা সাগর যদি কজ্জলপত্র বা কাজলপাত্র হয়,গিরি যদি পত্র হয়, সুরতরু(কল্পবৃক্ষ) যদি লেখনী হয়, এবং সারদা বা সরস্বতী যদি অনন্তকাল বসেও লিখতে থাকেন,তবুও তোমার মহিমার শেষ হবে না। তোমার স্তব আমি কি করব? যখন কারও স্তুতিই সিদ্ধ হয় না,তখন আমার স্তুতি হাসির পাত্র হতে পারে, কিন্তু তা তোমার উদ্দেশ্য নয়।তুমি ভক্তাধীন ভগবান,ভক্তই তোমার পরম বস্তু,ভক্তের জন্য তুমি সবকিছুই করতে পার।যাইহোক, নিজ নিজ জ্ঞানের সীমা অনুযায়ী যদি কেউ স্তব করে,তাইই তোমার গ্রহণীয়। সুতরাং আমার যে স্তব তাহাও তোমার অগ্রাহ্য হবে না।এখন পুষ্পদন্তের উপদেশ অনুসারে আমাদেরও স্তব বা গুণ কীর্তনের অধিকার বর্ত্তিল।এখন প্রার্থনা করি, ভগবান্, তুমি আমার এই স্তব এবং গুণকীর্তন করবার সহায় হও।যাঁর কৃপাতে মূকের(বোবার) কথা ফোটে, পঙ্গুর গিরি লঙ্ঘন করবার শক্তি জন্মে,সেই পরমানন্দরূপী ভগবানকে প্রণাম করছি।*
*🌷মূকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্।*
*🌷যৎকৃপা তমহং বন্দে পরমানন্দ-মাধবং।।*
*🔶গ্রন্থারম্ভে গ্রন্থ নির্বিঘ্নে সমাপন করবার জন্য আর্য‍্যঋষিরা চিরদিন "ওঁ নমো গণেশায়" বলে গ্রন্থারম্ভ করে থাকেন।এই সামান্য গ্রন্থের উদ্দেশ্য কেবল গ্রন্থ সমাপন নয়,মুখ‍্য উদ্দেশ্য শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের নাম-কীর্তন, সুতরাং "ওঁ নমো গণেশায়" বলে শ্রীজগন্নাথের স্তোত পাঠ করি,তাতে আমাদের উভয় কাজ সংসাধিত হবে।প্রথমে আমরা শ্রীজগন্নাথের স্তুতিগান পাঠ করি। শ্রীচৈতন‍্যচন্দ্রমুখপদ্ম-বিনির্গত যে স্তব তাইই আগে পাঠ করা হোক=*
*কদাচিৎ কালিন্দী-তটবিপিন-সঙ্গীতক-রবো*
*মুদাভারী-নারী-বদন-কমলাস্বাদ-মধুপঃ।*
*রমা-শম্ভু-ব্রহ্মা-সুরপতি-গণেশার্চ্চিতপাদো,*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়ন-পথগামী ভবতু মে।।*
*ভুজ‍ে সব‍্যে বেণুং শিরসি শিখিপুচ্ছং কটিতটে,*
*দুকূলং নেত্রান্তে সহচর-কটাক্ষং বিদধতে।*
*সদা শ্রীমদ্বৃন্দাবন-বসতি-লীলাপরিচয়ো*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।।*
*মহাম্ভোধস্তীরে কনকরুচিরে নীলশিখরে,*
*বসন্ প্রসাদান্তে সহজ-বলভদ্রেণ বলিনা।*
*সুভদ্রামধ‍্যস্থঃ সকল-সুরসেবাবসরদো,*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।।*
*কৃপাপারাবারঃ সজল-জলদ-শ্রেণীরুচিরো,*
*রমাবাণীরামঃ স্ফুরদমলপদ্মেক্ষণমুখৈঃ।*
*সুরেন্দ্রৈরারাধ‍্যঃ শ্রুতিগণশিখা-গীতচরিতো,*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।।*
*রথারূঢ়ো গচ্ছন্ পথি মিলিতভূদেবপটলৈঃ,*
*স্তুতিপ্রাদুর্ভাবং প্রতিপদমুপাকর্ণ‍্য সদয়ঃ।*
*দয়াসিন্ধুর্বন্ধুঃ সকলজগতাং সিন্ধুসুতয়া,*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।।*
*পরব্রহ্মাপীড়ঃ কুবলয়দলোৎফুল্লনয়নো,*
*নিবাসী নীলাদ্রৌ নিহিতচরণোহনন্ত শিরসি।*
*রসানন্দো রাধা-সরস-বপুরালিঙ্গনসুখো,*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।।*
*ন বৈ যাচে রাজ‍্যং ন চ কণক-মাণিক‍্য-বিভবং,*
*ন যাচেহহং রম‍্যাং সকলজনকাম‍্যাং বরবধূম্।*
*সদা কালে কালে প্রমথপতিনা গীতচরিতো,*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।।*
*হর ত্বং সংসারং দ্রুততরমসারং সুরপতে,*
*হর ত্বং পাপানাং বিততিমপরাং যাদবপতে।*
*অহো দীননাথং নিহিতমচলং নিশ্চিতপদং,*
*জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে।।*
*জগনাথাষ্টকং পুণ‍্যং যঃ পঠেৎ প্রযতঃ শুচিঃ।*
*সর্বপাপ-বিশুদ্ধাত্মা বিষ্ণুলোকং স গচ্ছতি।।*
*🙏🙏শেষ নিবেদন🙏🙏*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
*🙏ভক্তপ্রবর পাঠক মহাশয়গণ, এ ক্ষেত্রে পাঠক এবং গ্রন্থকার উভয়েরই একই উদ্দেশ্য।আপনারাও চান ভগবানের পূজা করতে,আমিও আপনাদের আশীর্বাদ গ্রহণ করে পূজা করবার জন্য নানা ফুল সংগ্রহ করে সাজি পূর্ণ করেছি।ভক্তগণ,আসুন আমরা এই ফুলের দ্বারা ভগবৎ চরণে পুষ্পাঞ্জলী দেই।*
       *বিনীত নিবেদক=*
           *শ্রীগোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙌🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৫)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
            *🌹নীলাচলে মহাপ্রভু🌹*
*নৈমিষারণ‍্যে ঋষিগণ কর্ত্তৃক সূতমনির নিকট প্রশ্ন।*
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
*🌸পূর্বকালে পুণ‍্যক্ষেত্র নৈমিষারণ‍্যে সমবেত ঋষিগণ অশেষ শাস্ত্রজ্ঞ ব‍্যাসশিষ‍্য সূতমনির নিকট শ্রীশ্রীপুরুষোত্তমক্ষেত্র বিবরণ শুনতে ইচ্ছুক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন------- উৎকলখন্ডে বর্ণিত আছে যে =*
*🌷উৎকলে নাভিদেশশ্চ বিরজাক্ষেত্রমুচ‍্যতে।*
*🌷বিমলা সা মহাদেবী জগন্নাথস্তু ভৈরবঃ।।*
             *তথাচ*
*🌷ভারতে চোৎকলে দেশে ভূস্বর্গে পুরুষোত্তমে।*
*🌷দারুরূপী জগন্নাথঃ ভক্তানামভয়প্রদঃ।।*
*🌻এই বর্ণিত পরম পবিত্র পুরুষোত্তম ক্ষেত্র এবং শ্রীশ্রীজগন্নাথ মাহাত্ম্যের বিস্তারিত বিবরণ জানবার জন্য আমরা আপনার নিকট উপস্থিত হয়েছি।কৃপা বিতরণে ভগবান লক্ষ্মীপতি যে ভাবে যে লীলা করেছিলেন তার সবিস্তার বর্ণন করে আমাদের কৌতূহল নিবৃত্তি করুন।*
*ব‍্যাসশিষ‍্য পরমভাগবত মহাত্মা সূত মুনিগণ কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন,হে মুনিগণ!পরমপাবন শ্রীশ্রীজগন্নাথক্ষেত্রের বিষয় আমার মত ব‍্যক্তি কর্তৃক বিস্তারিত বর্ণন দুঃসাধ‍্য।স্বয়ং ব্রহ্মা চতুর্মুখে বহু বৎসর বর্ণন করেও ইহার মাহাত্ম্য শেষ করতে পারেননি।যথা=*
*🌷অহো ক্ষেত্রস‍্য মাহাত্ম্যং সমন্তাদ্দশযোজনং।*
*🌷দিবিষ্ঠা যত্র পশ‍্যন্তি সর্বানেব চতুর্ভুজান্।।*
*🌷সপ্ত সপ্তসু লোকেষু লোকালোকে চরাচরে।*
*🌷নাস্তি নিস্তি সমং ক্ষেত্রং উত্তমং পুরুষোত্তমাৎ।।*
*🌷মাহাত্ম‍্যমস‍্য তীর্থস‍্য বক্তুম্ বর্ষশতৈরপি।*
*🌷ন সমর্থো দ্বিজশ্রেষ্ঠাঃ কিমন‍্যৎ শ্রোতুমিচ্ছথ।।*
*🌹সুতরাং আমার মত অল্পজ্ঞান মানুষ এটি কিভাবে বিস্তারিত বর্ণন করতে সমর্থ হবে? কিন্তু আপনারা শুনতে নিতান্ত উৎসুক হয়েছেন, এবং আমিও ভগবদ্ধামের বিষয় বর্ণন করে পবিত্র হতে পারব ভেবে সেই ভগবান বৈকুন্ঠনাথের ভগবৎলীলা,যা পরম কারুণিক গুরুদেবের নিকট শুনেছি, তা যথাসাধ‍্য বর্ণন করছি শুনুন।🔶 একসময়ে মহর্ষি মার্কন্ডেয় মায়ার শক্তি এবং তার স্বরূপ জানবার জন্য ভগবানের নিকট প্রশ্ন করেছিলেন।সেই সময়ে ভগবান বলেছিলেন, মায়ার যে কি স্বরূপ তা একসময়ে তোমাকে দেখাব।মহাপ্রলয়াবসানে মহর্ষি মার্কন্ডেয় ধ‍্যানভঙ্গে শিশুর কান্নার শব্দের মত শব্দ শুনে চারিদিকে দেখতে লাগলেন এবং দেখলেন,কাছে বটবৃক্ষতলে একটি শিশু মুখ ব‍্যাদান করে হাসছে।শিশুরূপী ভগবান মহর্ষিকে দেখে আহ্লাদ সহকারে বললেন--এসো।এই বলে শিশু মুখ বিস্তার করলেন।মার্কন্ডেয় মুনি তাঁর উদরে প্রবেশ করে তারমধ‍্যে,চন্দ্র,সূর্য‍্য,গ্রহ,নক্ষত্রাদি সমন্বিত ত্রিলোক দর্শন করলেন। সেখান হতে বেড়িয়ে স্তব করছেন এমন সময় দৈববাণী হল,তুমি যে মায়া দর্শন করতে চেয়েছিলে,তা দেখালাম।*
*🔵মার্কন্ডেয়ং প্রতি শ্রীভগবদ্ বচনং*
*🌷মুনে পুণ‍্যমিদং ক্ষেত্রং শাশ্বতং মে বিভাবয়।*
*🌷ন সৃষ্টিপ্রলয়ৌ যত্র বর্ত্ততে নাত্র সংশয়ঃ।।*
*🌷মদেকরূপং পুরুষোত্তমাখ‍্যং মুক্তিপ্রদং মামিব সংপ্রবুধ‍্য।*
*🌷তত্র প্রবিষ্টা ন পুনঃ প্রযান্তি গর্ভস্থিতং সান্দ্রসুখস্বরূপং।।*
*🔴আমি এই বটবৃক্ষ নিকটস্থ নীলাচলে নীলমাধবরূপে অবস্থান করব।মহর্ষি মার্কন্ডেয় দৈববাণী শুনে, এই জায়গায় ভগবান আছেন জেনে, সেই জায়গায় একটা সরোবর খনন করে তার কুলে তপস‍্যায় রত হলেন।কাজেই এই জায়গা অতীব প্রাচীন এবং মহাপ্রলয়াবসান হতেই এই জায়গা ভগবদ্ধাম।সেই সময়ে এই জায়গাটি সাধারণ মানুষের অগম‍্য (মানুষের নাগালের বাইরে) ছিল।দেবগণ স্বর্গ হতে অবতরণ করে পারিজাতাদি পুষ্প,অমৃত ও উপাদেয় নৈবেদ‍্যাদি দ্বারা ভক্তিভাবে ভগবানের পূজার্চনা এবং নৃত‍্যগীতাদি করতেন।অতঃপর কেবল দেবতাদের সেবায় তৃপ্ত না হয়ে, অথবা জীবের দুঃখে দুঃখিত হয়ে,মানবলোকে অবতীর্ণ হবার ইচ্ছা হল।*
*রাজস্থানের অন্তর্গত মালবারে, বতর্মান উজ্জয়িনী নগরে, পরমভাগবত সর্বশাস্ত্রবিশারদ প্রজাপালক পরম ধার্মিক ইন্দ্রদ‍্যুম্ন নামক রাজা ছিলেন।মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন ব্রহ্মার অধস্তন পঞ্চম পুরুষ। তিনি ভগবৎ প্রাপ্তির জন্য নিতান্ত অধীর হয়েছিলেন।অশেষ শাস্ত্রবিশারদ বহুদর্শী ধর্মজ্ঞ ব্রাহ্মণ পন্ডিতগণের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, মহাত্নাগণ! আপনারা কৃপাকরে বলুন,কোথায় গেলে,কি করলে,সেই ত্রিতাপহারীর দেখা পাব?পন্ডিতগণ বললেন, মহারাজ!আপনার যখন ভগবৎ লাভের জন্য এতদূর উৎকণ্ঠা হয়েছেন,তখন অবশ্যই আপনার বাসনা সিদ্ধ হবে।*
              *ক্রমাগত*
🦜🦜🦜🦜🦜🦜🪔🦜🦜🦜🦜🦜🦜
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৬)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
          *🙌নীলাচলে মহাপ্রভু🙌*
*নৈমিষারণ‍্যে ঋষিগণ কর্তৃক সূতমুনির নিকট প্রশ্ন।*
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
*💮ভক্তবৎসল ভগবান রাজার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে,বৃদ্ধ জটিল ব্রাহ্মণরূপে রাজসভায় প্রবেশ কোরে বললেন,মহারাজ!আমি পৃথিবীর সবতীর্থ পর্য‍্যটন করে,অবশেষে দক্ষিণ সমুদ্রতীরে নীলাচলে অক্ষয়বট নিকটবর্তী জায়গায় উপস্থিত হয়েছিলাম।সেখানে মোহিনীকুন্ড নামে একটি অতি পবিত্র কুন্ড আছে।সেই স্থানে ভগবান "নীলমাধব মূর্তিতে" পূর্ণভাবে বিরাজমান।তাঁকে দর্শন করলেই সমস্ত বাসনা পূর্ণ হবে।এইকথা বলেই তিনি অদৃশ্য হলেন।বৃদ্ধ ব্রাহ্মণকে দর্শন করে, ভগবান এই বেশে এসেছেন,মনে করে,রাজা তাঁর স্তব করতে লাগলেন।মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন স্বচক্ষে ভগবদ্দর্শন করে,ভক্তি গদগদ স্বরে হরির স্তব করে,ভগবৎস্বরূপ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কথিত স্থান নির্ণয় করবার জন্য,তাঁর পুরোহিতের ভাই বিদ‍্যাপতি নামক জনৈক বহু-ভাষাবিৎ পন্ডিতকে পাঠালেন।বিদ‍্যাপতি বহুকষ্টে নানা জায়গা খোঁজ করে,অবশেষে দক্ষিণ সমুদ্রের তীরবর্তী,অরণ‍্যাকীর্ণ স্থানে এসে উপস্থিত হন।বহু খোঁজ করে বিশ্বাবসু নামক জনৈক শবরজাতিয় লোকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।এই বিশ্বাবসু ব‍্যাধ হয়েও ভগবানের অত‍্যন্ত কৃপাপাত্র ও প্রিয় সেবক ছিলেন।তাঁর কাছে নীলমাধব সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করে,এই স্থানই,সেই বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কথিত স্থান স্থির করে,বিশ্বাবসুর সাহায্যে নীলমাধব দর্শন ও অতি উপাদেয় প্রসাদ ভক্ষণ করে,দেবগণ-সেবিত নির্মাল‍্য-মালা নিয়ে বিদ‍্যাপতি স্বদেশে গমন করলেন। তিনি মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্নকে পরম পবিত্রধাম জগন্নাথক্ষেত্রের বিস্তারিত বিবরণ জানালেন।মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন পুরোহিত প্রমুখাৎ শ্রীধামের বিষয় সবিশেষ জেনে সপরিবারে পাত্র-মিত্র-বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়স্বজন পরিবৃত হয়ে,পুণ‍্যক্ষেত্রে শ্রীক্ষেত্রাভিমুখে শুভদিনে যাত্রা করলেন।এমন সময় দেবর্ষি নারদ,হরিগুণ কীর্তন করতে করতে সেখানে উপস্থিত হলেন, এবং রাজার পুরুষোত্তমে গমন সংবাদ শুনে,তাঁর সঙ্গে যাবার জন্য ইন্দ্রদ‍্যুম্নের একান্ত ইচ্ছা জানতে পেরে,পথপ্রদর্শকরূপে তাঁর সঙ্গে গমন করলেন।উজ্জয়িনী হতে যাত্রা করে,বহুদেশ জনপদ অতিক্রম করে বিরজাক্ষেত্রে বরাহরূপী ভগবানকে দর্শন,বৈতরণীস্নান ও পিতৃগণের উদ্দেশ্যে পিন্ডদান করে একাম্রকাননে উপস্থিত হলেন। সেখানে বিন্দু সরোবরে স্নান করে ভুবনেশ্বরদেবের পূজার্চনা ও অন‍্যান‍্য দেবদেবী দর্শন করে,তাঁরা শ্রীশ্রীপুরুষোত্তম-ক্ষেত্রাভিমুখে চললেন। লীলাময়ের লীলা বুঝবার শক্তি,যখন ব্রহ্মাদিরও নাই,তখন সামান্য মানুষ কিভাবে বুঝবে। নীলাচলবিহারী নীলমাধব ভক্তবৎসল বটে, কিন্তু তিনি সহজে দেখা দেন না, এবং কর্ম ছাড়া তাঁর দর্শন লাভ হয় না।বহুবিধ কর্মের পর তাঁর দর্শন লাভ হয়। ভগবান ইন্দ্রদ‍্যুম্নের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন,তাঁকে দর্শন দিবেন স্থির করেছেন, কিন্তু তাঁর কর্ম শেষ হয়নি, কাজেই যে দিন বিদ‍্যাপতি গিয়ে রাজাকে সংবাদ দিয়েছেন,সেই দিনই ভগবান নীলাচল হতে অন্তর্দ্ধান হলেন।প্রবল ঝটিকা এসে নীলমণিময় স্থান বালুকা দ্বারা আচ্ছাদিত করে ফেলল।মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন পুরোহিতপ্রদর্শিত জায়গায় এসে উপস্থিত হলেই,তাঁর বাম চক্ষু স্পন্দিত হতে লাগল।এই দুর্লক্ষণ দেখে তিনি দেবর্ষি নারদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন,এর কারণ কি?আমাকে তাড়াতাড়ি বলুন।তখন মহর্ষি বললেন,হে মহারাজ!স্বর্ণপদ্মাসনস্থ মণিময় নীলমাধব এই জায়গা হতে অন্তর্হিত হয়েছিলেন।*
*মালবাধিপতি এই সংবাদ শোনামাত্র, পাতা ঝরা বৃক্ষের মত অজ্ঞান হয়ে ধূলায় বা মাটিতে পড়ে গেলেন।চেতনা পেয়ে নীলমাধবকে না দেখে,শোকে, দুঃখে ও আশাভঙ্গে নিতান্ত মুহ‍্যমান হয়ে বালুর মধ্যে পড়ে গেলেন এবং উচ্চৈঃস্বরে আর্তনাদ করতে লাগলেন। তিনি কখনও বিদ‍্যাপতির প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে তিরস্কার করলেন, কখনও বা পাত্র,মিত্র,বন্ধুবান্ধবসকলকে ডেকে বললেন,তোমরা স্বরাজ‍্যে প্রস্থান কর, এবং সেখানে গিয়ে আমার পুত্রকে সিংহাসনে বসিয়ে,তার আদেশ অনুসারে রাজ‍্যসংক্রান্ত কাজ করতে থাক।আমি এ দেহ আর রাখব না ; এখনই সমুদ্রে ডুবে বা অনলে ঝাঁপ দিয়ে জীবন বিসর্জন করব।দেবর্ষি নারদ তখন রাজাকে বললেন,হে মহারাজ!তুমি পরম জ্ঞানবান্ হয়ে, সামান্য লোকের মত বিচলিত হচ্ছ কেন?ধৈর্য‍্য ধরে আমার কথা শোন,পিতা ব্রহ্মা আমাকে যা বলে পাঠিয়েছেন,তা তোমার মঙ্গলকর। অতএব ব্রহ্মার কথিত মত কাজ আরম্ভ কর, তাহলেই তোমার মনস্কামনা অচিরে সিদ্ধ হবে।যেদিন ভগবান নীলমাধব এই জায়গা হতে শ্বেতদ্বীপে দারুমূর্তি ধারণ করে গমন করেছেন,সেই দিনই,আমি ব্রহ্মা কর্তৃক আদেশ পেয়ে,তোমার কাছে চলে এসেছি।অতএব তুমি ব্রহ্মার আদেশ মত সব কাজ কর।তাহলেই নারায়ণকে দর্শন করতে পারবে।তিনি তোমার প্রতি প্রসন্ন হয়েছেন, তোমার ভাগ‍্যের সীমা নাই। তুমি এই জায়গায় শুদ্ধমতে শতাশ্বমেধ যজ্ঞ কর।তাহলেই তুমি তাঁর দর্শন পাবে।তিনি তোমা কর্তৃক দারুব্রহ্মময়রূপে স্থাপিত হয়ে,জগতের দুঃখী ও পাপী জীব সকলকে দর্শন দিয়ে চরিতার্থ করবেন। অতএব শোক পরিহার করে কাজে ব্রতী হও।তাহলেই অচিরে তোমার সব কষ্টের অবসান হবে।*
🌸🪷🙏🌷🪔🌸🪷🙏🌷🪔🙏🌷🪔
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৭)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
          *🙏নীলাচলে মহাপ্রভু🙏*
*নৈমিষারণ‍্যে ঋষিগণ কর্তৃক সূতমুনির নিকট প্রশ্ন।*
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
*🌸এই সময় হঠাৎ দেববাণী হল,মহারাজ!তুমি দেবর্ষি নারদের কথা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে,তাঁর আদেশ মত কাজ কর।তাহলেই তোমার মনোবাসনা পূর্ণ হবে তোমার মঙ্গল হবে।আমি দারু-কলেবর ধারণ কোরে তোমার দ্বারা এই জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে,তোমার মনোবাসনা পূর্ণ করব এবং চিরদিন জীবগণের নয়ন চরিতার্থ করে ভক্তবৎসল নামের সার্থকতা করব ও তোমায় অমর করে রাখব।রাজা দৈববাণী শুনে,বাতাহত (প্রবল বায়ুর দ্বারা আহত বা আন্দোলিত)কদলী বৃক্ষের মত মুনির চরণে পতিত হয়ে, ভক্তি গদগদ কন্ঠে, দেবর্ষির স্তব করতে লাগলেন।নারদ বললেন,মহারাজ! আমার অনুসরণ কর।মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন তদনুসারে ভগবান নৃসিংহদেবকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে বট-বৃক্ষস্থ নীলকন্ঠ দেবকে প্রণাম করলে পর,দেবর্ষি নারদ বললেন,অক্ষয় বটের উত্তর পশ্চিমে স্বর্ণবালুকাময় স্থানে এক মন্দির নির্মাণ করতে আরম্ভ কর, এবং যত তাড়াতাড়ি পার শতাশ্বমেধ যজ্ঞে ব্রতী হও,যজ্ঞ সমাপন হলেই দারুরূপী ব্রহ্ম আগমন করবেন।তুমি সেই কাষ্ঠরূপী ভগবানকে সমুদ্র হতে তুলে আনবে।সূত্রধর রূপে বিশ্বকর্মা এসে,ঐ বৃক্ষ দ্বারা সাতটি মূর্তি নির্মাণ করবেন।ঐ সপ্তমূর্তি নির্মিত হলে,স্বয়ং ব্রহ্মা এসে ঐ মূর্তি সব স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা করবেন।অতএব তুমি এতে নিঃসন্দেহ হয়ে ভক্তিভাবে গণেশাদি দেবতাগণের অর্চনা ও নারায়ণ স্থাপন করে শুভ কার্য‍্য আরম্ভ কর।মালবাধিপতি রাজা কাল বিলম্ব না করে, তৎক্ষণাৎ অমাত‍্য,বন্ধুবান্ধব ও পুরোহিতগণকে প্রয়োজনীয় দ্রব‍্যাদি সংগ্রহের জন্য আদেশ করে,দেবর্ষির পদতলে বসে,তাঁকে সাক্ষাৎ ভগবান বোধে সেবা পূজা করতে লাগলেন।*
*মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন যজ্ঞ সমাপনের দিন শেষরাত্রে স্বপ্ন দেখলেন,তাঁর কাছে শঙ্খ,চক্র,গদা,পদ্মধারী ভগবান লক্ষ্মী এবং হল-মুষলধারী বলরাম সহ উপস্থিত হয়ে আদেশ করলেন,নারদের কথা অনুসরণ কর,তোমার মনোবাঞ্জা পূর্ণ হবে।স্বপ্নে অভীষ্টদেবকে দেখে,মহারাজ আনন্দে অভিভূত হয়ে আছেন,এমন সময়ে দেবর্ষি নারদ এসে রাজার কাছে উপস্থিত হলেন।নারদ মহারাজকে খুব আনন্দিত দেখে জানলেন রাজার ভগবদ্দর্শন হয়েছে।তখন তিনি রাজাকে নিয়ে সমুদ্রতীরে গমন করে মহা সমারোহে নানা দেবতার অর্চনা করে,নানারকম উৎসব সহকারে দারুব্রহ্মকে যজ্ঞবাটীতে আনয়ন করলেন।যেদিন দারুরূপী ভগবান যজ্ঞবাটীতে আসিলেন,সেইদিন মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন দেবর্ষি নারদকে বললেন,প্রভো!দাসের প্রতি কৃপা করে বলুন,এই ব্রহ্মরূপী কাষ্ঠ দ্বারা কে কিভাবে মূর্তি নির্মাণ করবে।নারদ বললেন,তাঁর যে কি ইচ্ছা,তা কারও বলবার শক্তি নাই।ইচ্ছাময়ের ইচ্ছাতেই তাঁর মূর্তি নির্মিত হবে।তোমাকে কোন চিন্তা করতে হবে না। এইরকম কথোপকথন হচ্ছে,এমন সময় দৈববাণী হল,মহারাজ!আগামী কল‍্য এক বৃদ্ধ সূত্রধর যন্ত্রাদিসহ তোমার বাড়িতে আসবে,তুমি তাকে যত্নকরে মূর্তি নির্মাণ কাজে নিযুক্ত করে,পনেরদিন পর্যন্ত কপাট না খুলেসর্বদা প্রাঙ্গণে শঙ্খ,ঘন্টা,কাঁশি, শিঙ্গা,মৃদঙ্গাদি বাদ‍্যযন্ত্র দ্বারা এই পনেরদিন পর্যন্ত উৎসবানন্দ করবে।তারপর দরজা খুলে যেরকম মূর্তি দেখবে,তাইই তাঁর ইচ্ছারূপ মূর্তি।তারপরদিন ভগবান বৃদ্ধ সূত্রধররূপে ইন্দ্রদ‍্যুম্নের কাছে এসে উপস্থিত হলে,রাজা ভক্তি সহকারে তাঁর পূজন করে মন্দিরে প্রবেশ করতে দিয়ে,দরজা বন্ধ করলেন ; এবং যেরকম আদেশ পেয়েছিলেন,তদনুসারে উৎসবাদি করতে লাগলেন।পক্ষান্তে দরজা খুলে দেখলেন,সপ্তধা মূর্তি নির্মিত হয়েছে-- জগন্নাথ,বলরাম,সুভদ্রা,সুদর্শন,লক্ষ্মী,সরস্বতী ও মাধব।লক্ষ্মী,সরস্বতী ও মাধব এই তিনটির কথা অন‍্যান‍্য গ্রন্থে উল্লেখ নাই। কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরে এই সাতটি মূর্তি এখনও দেখা যায়। নীলমেঘকান্তি জগন্নাথ,ভক্তজনে অভয় দেবার জন্য হস্তদ্বয় তুলে আছেন।পদ্মাসনে স্থিত বলে তাঁর শ্রীচরণ দর্শন হয় না।বলরাম শ্বেতবর্ণ, ভক্তদের অভয়দান ছলে হস্তদ্বয় উত্তোলিত (হাত উপরে করে আছেন),বাসুকী ফণা দ্বারা মস্তক আচ্ছাদিত করে রেখেছেন।পদ্মাসন করে আছেন বলে শ্রীচরণ দর্শন হয় না।সুভদ্রাদেবী কুঙ্কুমবরণা, হস্ত অপ্রকাশিত। সুদর্শন স্তম্ভরূপে প্রকাশিত।শ্রীলক্ষ্মীদেবী স্বর্ণাচ্ছাদিতা এবং শ্রীসরস্বতীদেবী রৌপ‍্যাচ্ছাদিতা। মাধব জগন্নাথেরই মূর্তি, কিন্তু ক্ষুদ্র কলেবর। দেবর্ষি নারদ বললেন,মহারাজ!আজ তুমি ধন‍্য হলে,আমিও ধন‍্য হলাম এবং জগৎবাসী জীবগণও ধন‍্য হল।তাঁরা তোমা কর্তৃক স্থাপিত এই মূরতি দর্শন করে ভবযন্ত্রণা হতে উদ্ধার হবে।হে রাজন!বারাণসী ও কুরুক্ষেত্রে যাবজ্জীবন বাস করলে যে ফল হয়,শ্রীপুরুষোত্তম ক্ষেত্রে কোন ধর্মকর্ম না করেও কেবলমাত্র একদিন বাস করলেই,জীব সেই ফল পাবে। ঁবারাণসী ধামে ধ‍্যান করতে করতে জীবনান্ত হলে যে ফল হয়,এই জায়গায় আধঘন্টা কাল বাস করলেই সেই ফল পাবে,এতে কখনোই অন‍্যথা হবে না।*
*🌷কিলাস্তে ভারতে বর্ষে চোৎকলে পাবনং মহৎ।*
*🌷চতুর্ভূজা জনাঃ সর্বে দৃশ্যন্তে তত্র বাসিনঃ।।*
*🌷বাঞ্জন্তি অমরাঃ সর্বে যত্র স্থাতুং মুহুর্মুহুঃ।*
*🌷কিং বচমি তস‍্য মাহাত্ম্যং ক্ষেত্রস‍্য মহিমাপরঃ।।*
*🌷যন্নাম-কীর্তনাদেব লীয়ন্তে সকলাংহসঃ।*
*🌷ন স্থাননিয়মস্তত্র ভূস্বর্গে পুরুষোত্তমে।।*
*🌷যত্র তত্রাপ‍্যসুত‍্যাগাদযে কেচিৎ পুরুষাধমাঃ।*
*🌷তেহপি সালোক‍্যত‍াং যান্তি নাত্র কার্য‍্যা বিচারণা।।*
*🌷বারাণস‍্যাং কুরুক্ষেত্রে যাবজ্জীবং বসেন্নরঃ।*
*🌷প্রাপ্নোতি যৎ ফলং রাজন্ ক্ষেত্রে শ্রীপুরুষোত্তমে।।*
*🌷দিনমেকং বসেৎ যস্তু সর্বধর্মবহিস্কৃতঃ।*
*🌷তৎফলং সমবাপ্নোতি ন কিঞ্চিৎ ক্রিয়তে যদি।।*
*🌷যা গতির্যোগযুক্তস‍্য বারাণস‍্যাং মৃতস‍্য চ।*
*🌷সা গতির্ঘটিকাকার্দ্ধেন পুরুষোত্তমদক্ষিণে।।*
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৮)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
           *🔷নীলাচলে মহাপ্রভু🔷*
*নৈমিষারণ‍্যে ঋষিগণ কর্তৃক সূতমুনির নিকট প্রশ্ন।*
∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
*🌻মহারাজ তখন অক্ষয়বটের বায়ু-কোণে নীলাচলে,যে জায়গায় নীলমাধব ছিলেন,সেই জায়গায় অতি উচু সুবিস্তৃত এক মন্দির নির্মাণ করলেন।তাতে চারটি প্রকোষ্ঠ (দরজার পাশে ঘর)হল।তার ভিতরে রত্নবেদী,তদনন্তর কোষাগার,নাটমন্দির ও ভোগমন্দির।ঐ মন্দিরটি সুবিস্তৃত প্রাচীর প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হল, এবং চারটি প্রবেশদ্বার রাখা হল।এইরকমে মন্দির নির্মাণ হলে,মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন ব্রহ্মাকে আনবার জন্য দেবর্ষি নারদের সঙ্গে স্বর্গে গমন করলেন।রাজা ও দেবর্ষি নারদ,ইন্দ্রলোকাদি পেছনে রেখে,ব্রহ্মলোকে গিয়ে উপস্থিত হলেন। সেখানে মণিকোদর নামক দৌবারিক মুনিকে বলল, "পিতা এখন সামফেদ দ্বারা ভগবানের স্তুতি করছেন।আপনি সেখানে গিয়ে,ব্রহ্মার আদেশ নিয়ে রাজার সঙ্গে গমন করুন। তখন নারদ প্রহরীর কথা অনুযায়ী অন্তঃপুরে প্রবেশ করে,ইন্দ্রদ‍্যুম্নের আগমন কথা বলিলে, ব্রহ্মা রাজাকে আনবার জন্য ইঙ্গিত করলেন।নারদ রাজার সঙ্গে অন্তঃপুরে প্রবেশ করলেন।ইন্দ্রদ‍্যুম্ন ব্রহ্মার নিকট উপস্থিত হয়ে, সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে,করজোড়ে স্তুতি করতে লাগলেন।স্তবে তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা মহারাজকে বললেন,হে মালবাধিপতি!তুমি যেজন‍্য এসেছ,তা আমি আগেই জেনেছি ; অতএব আমি বলছি, যে তুমি তাড়াতাড়ি প্রতিগমন করে প্রতিষ্ঠা উপযোগী সমস্ত দ্রব‍্যাদি নারদের আদেশমত প্রস্তুত কর ; এবং এই শঙ্খনিধি ও পদ্মনিধি নিয়ে যাও।আমি দেবগণ সহ তোমার কাজ ও প্রতিষ্ঠা করতে আসছি।তখন ইন্দ্রদ‍্যুম্ন বললেন, আমি সমস্ত প্রস্তুত করতে বলে এসেছি। তখন ব্রহ্মা সামান্য হেসে বললেন, তুমি বহুকাল যাবৎ এসেছ,ইতিমধ‍্যে তোমার পুত্রপৌত্রাদি অনেক পুরুষ ধ্বংস হয়েছে ; পুনরায় গিয়ে সমস্ত প্রস্তুত কর।আমি তারপর আসছি।মহারাজ!তুমি ধন‍্য, ভগবানের দারুময় মূরতি প্রতিষ্ঠা দ্বারা তুমি কৃতার্থ হবে।এই কাজ করে সমস্ত জীবের মুক্তির দরজা প্রসারণ করা হবে। ভগবান এরকম দয়া কাউকেও আর কোনও কালে করেননি।এই দারুময় মূর্তির যে কি মাহাত্ম্য,তা দেবতাদের কাছেও গোপনীয়। ভগবান যেরকম আমাকে বুঝিয়েছেন, সেরকম তোমাকে বলছি শুন। ব্রহ্ম উবাচ বা ব্রহ্মকথন=*
*🌷সুভদ্রাং রামসহিতং মঞ্চস্থং পুরুষোত্তমং।*
*🌷দৃষ্ট্বা নরোহব‍্যয়ং স্থানং যাতি নাস্ত‍্যত্র সংশয়ঃ।।*
*⭐ব্রহ্মপুরাণে ব্রহ্ম উবাচ=*
*🌷সকৃৎ পশ‍্যতি যো মর্ত্ত‍্যঃ শ্রদ্ধয়া পুরুষোত্তমং।*
*🌷পুরুষাণাং সহস্রেষু স ভবেদুত্তমঃ পুমান্।।*
*🌷ধন‍্যাস্তে বিবুধপ্রখ‍্যা যে বসন্তুৎকলে নরাঃ।*
*🌷তীর্থরাজ-জলে স্নাত্বা পশ‍্যন্তি পুরুষোত্তমং।।*
*🔴ব্রহ্মার প্রতি ভগবান বলেছিলেন=*
*🌷সাগরস‍্যোত্তরে তীরে মহানদ‍্যাস্তু দক্ষিণে।*
*🌷সঃ প্রদেশো পৃথিব‍্যাং হি সর্ব-তীর্থবরপ্রদঃ।।*
*🌷তত্র যে মনুজা ব্রহ্মন্ নিবসন্তি সুবুদ্ধয়ঃ।*
*🌷জন্মান্তর-কৃতানাঞ্চ পুণ‍্যানাং ফরভাগিনঃ।।*
*🌷একাম্রকাননাদ্ যাবৎ দক্ষিণোদধি-তীরভূঃ।*
*🌷পদাৎ পদাৎ শ্রেষ্ঠতমা ক্রমেণ পরীকীর্তিতা।।*
*🌷সিন্ধুতীরে তু যো ব্রহ্মন্ রাজতে নীলপর্বতঃ।*
*🌷পৃথিব‍্যাং গোপিতং স্থানং তব চাপি সুদুর্লভং।।*
*🌷সুরাসুরাণাং দুর্জ্ঞৈয়ং মায়য়াচ্ছাদিতং মম।*
*🌷ক্ষরাক্ষরমতিক্রম‍্য বর্ত্তেহহং পুরুষোত্তমে।*
*🌷সৃষ্ট‍্যা লয়েন নাক্রান্তং ক্ষেত্রং মে পুরুষোত্তমং।।*
*❤মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন প্রজাপতিকে প্রণাম করে বিদায় নিলেন।অনন্তর মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন এসে দেখেন যে,তাঁর বংশধরগণের সকলেরই অভাব হয়েছে।যে মন্দির নির্মিত হয়েছিল,তা সেই সময় এক প্রতাপশালী মহারাজা গালমাধবদেব কর্তৃক অধিকৃত হয়ে,তাতে নীলমাধব মূরতি প্রতিষ্ঠা হয়েছে।মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন এসে,ঐ মন্দির মধ্যে নীলমাধব-মূরতি দেখে চরম আশ্চর্য হলেন।তাঁর লোকের কাছে আনুপূর্বিক সমস্ত অবস্থা জানলেন যে বহুকাল অতীত হওয়ায় মন্দির বালি দ্বারা বালির তলে চলে গেছে এবং রাজা গালমাধব সেখানে এসে ঐ মন্দির পুনরুদ্ধার করে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছেন।মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন ঐ মূর্তিকে অন‍্য এক জায়গায় রাখার বন্দোবস্ত করেন। এই সংবাদ গালব রাজার কাছে প্রেরিত হলে, গালবরাজ যুদ্ধের জন্য আগমন করেন ; কিন্তু দেবর্ষি নারদের মুখে সমস্ত বৃত্তান্ত শুনে গালমাধব লজ্জিত হলেন, এবং ইন্দ্রদ‍্যুম্নের সঙ্গে দারুব্রহ্ম-মূর্তির প্রতিষ্ঠা কার্য‍্যে রত হলেন। নিজ স্থাপিত বিগ্রহ পুরীর মধ্যে,প্রধান মন্দিরের উত্তর পশ্চিমদিকে, অন‍্য এক মন্দির নির্মাণ করিয়ে তাতে স্থাপিত করলেন।*
*মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন নারদ আদেশে দারুব্রহ্ম-প্রতিষ্ঠা উপযোগী সমস্ত বস্তু প্রস্তুত করলেন।প্রজাপতি স্বয়ং স্বর্গ হতে দেবগণ সহ প্রথম যে জায়গায় অবতরণ করেন,তারই নাম স্থর্গদ্বার। প্রজাপতি ঐ জায়গায় রথ হতে নামিলে মহারাজ ও দেবগণ কর্তৃক স্তুত হয়ে,প্রতিষ্ঠা কার্য‍্যে ব‍্যাপৃত (নিযুক্ত বা রত) হলেন।জগন্নাথ,বলরাম সুভদ্রা,সুদর্শন, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও মাধব এই সাত মূরতি মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্নের যজ্ঞবেদী হতে তিন রথে চড়ে মন্দিরের সামনের অরুণ স্তম্ভের কাছে আনয়ন করা হল, এবং রথ হতে নেমে নূতন রত্নবেদীতে স্থাপন করা হল। তখন ব্রহ্মা,বৈদিক মন্ত্র দ্বারা স্নানাদি সমাপন করিয়ে, নৃসিংহ মন্ত্রে প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করামাত্র, নারায়ণ,নৃসিংহ মূর্তিতে আবির্ভূত হলেন।তাঁর অঙ্গতেজে নরগণ অস্থির হয়ে উঠলেন,কেউই আর সেদিকে তাকাতে পারলেন না।এই অবস্থা দেখে রাজা করজোড়ে স্তবস্তুতি করতে লাগলেন।নৃসিংহদেব রাজার স্তবে সন্তুষ্ট হয়ে সেই জ‍্যোতিঃ সাতমূর্তির অভ‍্যন্তরে প্রবিষ্ট করলেন।তখন ইন্দ্রদ‍্যুম্ন সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে মাটিতে বসে, ভগবানকে ও প্রজাপতিকে বন্দনা করলেন।*
🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌🙌
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(১৯)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
           *🌲নীলাচলে মহাপ্রভু🌲*
*নৈমিষারণ‍্যে ঋষিগণ কর্তৃক সূতমুনির নিকট প্রশ্ন।*
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
*🍁ভগবান্, ইন্দ্রদ‍্যুম্ন রাজার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে,শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের মাহাত্ম্য যেরকম বর্ণনা করেছিলেন, তা আস্বাদন করুন=*
*🍀পুরুষোত্তম-মাহাত্ম‍্যে ইন্দ্রদ‍্যুম্নং প্রতি ভগবদ্ বাক‍্যং==*
*🌷ভঙ্গে প্রোথে চ রাজেন্দ্র স্থানং ন ত‍্যজ‍্যতে ময়া।*
*🌷কালান্তরেহপি যোহপ‍্যন‍্যং প্রাসাদং কারয়িষ‍্যতি।।*
*🌷তবৈব কীর্ত্তিঃ সা নূনং ত্বৎপ্রীত‍্যৈ তত্র মে স্থিতিঃ।*
*🌷সত‍্যং সত‍্যং পুনঃ সত‍্যং সত‍্যমেব ব্রবীমি তে।।*
*🌷প্রাসাদভঙ্গে তৎ স্থানং ন ত‍্যজ‍ামি কদাচন।*
*🌷অনেন দারুবপুষা স্থাস‍্যাম‍্যত্র পরার্দ্ধকং।।*
*🌷দ্বিতীয়ং পদ্মযোনেস্তু যাবৎ পরিসমাপ‍্যতে।*
*🔵তথা রুদ্রযামলে ইন্দ্রদ‍্যুম্নং প্রতি ভগবদ্ বাক‍্যং=*
*🌷রাজন্নবেহি রূপং মে নামজাতি- বিবর্জ্জিতং।*
*🌷কেবলানুভবানন্দং প্রবদন্তি মনীষিণঃ।।*
*🌷স আস্তে শ্রীনীলগিরৌ জগন্নাথাখ‍্য-সংজ্ঞয়া।*
*🔴ব্রহ্মপুরাণে ইন্দ্রদ‍্যুম্নং রাজানং প্রতি শ্রীভগবানুবাচ=*
*🌷সর্বঃ সম্পৎস‍্যতে কামস্তব রাজন্ যথেচ্ছসি।*
*🌷মুক্তিপ্রদং মম ক্ষেত্রং ত্রৈলোক‍্যসার-সংগ্রহং।।*
*🌷ইদং ক্ষেত্রবরং রম‍্যং ধর্ম্মার্থ-কাম-মোক্ষদং।*
*🌷ক্ষেত্রাণাং সর্বতীর্থানাং রাজেব ক্ষেত্রমদ্ভুতং।।*
*🌷যথা সমুদ্রস্তীর্থানাং রাজেন্দ্র উচ‍্যতে বুধৈঃ।*
*🌷অতএব পুরাণাদৌ প্রধানত্বাচ্চ উচ‍্যতে।।*
*🌷কলৌ তর্থানি ন সন্তি ক্ষেত্রং ভাগীরথীং বিনা।*
*🌷নদীনাঞ্চ যথা গঙ্গা ক্ষেত্রাণাং পুরুষোত্তমঃ।।*
*❤বৈরঞ্চ‍্যতন্ত্রে ইন্দ্রদ‍্যুম্নং প্রতি ব্রহ্মোবাচ=*
*🌷জ‍্যৈষ্ঠ‍্যাং প্রাতস্তনে কালে ব্রহ্মণা সহিতঞ্চ মাং।*
*🌷রামং সুভদ্রাং সংস্নাপ‍্য মম লোকমবাপ্নুয়াৎ।।*
*🌷স্নাপ‍্যমানস্তু যঃ পশ‍্যেন্মাং তদা নৃপসত্তম।*
*🌷দেহবন্ধমবাপ্নোতি ন পুনঃ স তু পুরুষঃ।।*
*🌻🌻স্কন্দ পুরাণে🌻🌻*
*🌷তত্ত্বং ব্রবীমি তে ভূপ শ্রুত্বৈতদবধারয়।*
*🌷ন‍্যগ্রোধমূলে কূলেহস‍্য সিন্ধোর্নীলাচলে স্থিতং।।*
*🌷দক্ষিণোদধিতীরস্থং দারুব্রহ্ম সনাতনং।*
*🌷বিনা সাংখ‍্যং বিনা যোগং দর্শনাৎ মুক্তিদং ধ্রুবং।।*
*🌷শ্রুতি-স্মৃত‍্যুক্ত-নিয়মা বিদ‍্যন্তে নেহ পার্থিব।।*
*🌺তারপরে ভগবান বৈকুন্ঠপতি, প্রতিষ্ঠার দিন হতে আরম্ভ করে,প্রতি মাসে যে যে কার্য‍্য সম্পাদন করতে হবে,তার উপদেশ দিলেন এবং দৈনিক কিরকম ভাবে পূজার্চনাদি করতে হবে,তার ব‍্যবস্থা করে,রাজাকে তারকার্য‍্যে নিযুক্ত করে বৈকুন্ঠে গমন করলেন।কতদিন এইভাবে রাজা সেবা করলেন।দেশময় "জয় জয় জগদীশ হরে" এই রবে এবং শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের গুণগানে দেশ মুখরিত হতে লাগল।তারপরে ইন্দ্রদ‍্যুম্ন, বিশ্বাবসু ও বিদ‍্যাপতি বংশীদের উপর সেবার ভার দিয়ে, এবং গালব রাজার উপর তত্ত্বাবধানের ভার অর্পণ করে,দেবর্ষি নারের সঙ্গে হরিগুণ গান করতে করতে বৈকুন্ঠধামে গমন করলেন।*
*🌸সমুদ্রের উত্তর উপকূলে শ্রীশ্রীপুরুষোত্তম-ক্ষেত্রে সচ্চিদানন্দময় ভগবান দারু শরীরে বিরাজ করছেন।দারুময় ভগবানকে দর্শন করতে হলে প্রথমে সমুদ্রে স্নান করে অক্ষয় বট প্রদক্ষিণ ও প্রণাম করে,নৃসিংহ মূর্তি প্রণাম করতে হবে।ইতঃপর মন্দির ভিতরে প্রবেশ করবে ; মন্দির মধ্যে দক্ষিণে জগন্নাথ,বামে বলরাম,মধ‍্যে সুভদ্রা, ও জগন্নাথদেবের বাম পার্শ্বে সুদর্শন চক্র অবস্থিত।ইঁনাদেরকে দর্শন ও প্রণাম করে তিনবার বেদী প্রদক্ষিণ করবে ; পরে মন্দির হতে দক্ষিণ দিকে নিষ্ক্রান্ত (বহির্গত বা বেড়িয়ে আসা)হবে।জগন্নাথদেবের ললাটে হীরকজ‍্যোতি দেখতে পাবে।দারুময়ী লক্ষ্মী,সরস্বতী ও মাধব এই স্থানে আছেন।অন‍্যান‍্য গ্রন্থে,এই তিন মূর্তির বিষয় উল্লেখ না থাকায়,এই গ্রন্থেও উঁহাদের বিস্তারিত উল্লেখ করা হল না।এখন হতে এই চার মূর্তির কথায় উল্লিখিত হবে।প্রভাস পুরাণে ইঁনাদের এইরকম মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে =*
*🌷দক্ষিণস‍্যোদধেস্তীরে নীলাদ্রৌ পুরুষোত্তমে।*
*🌷দৃষ্ট্বা দারুময়ং ব্রহ্ম ভ্রাতৃভ‍্যাম্ সহ সংস্থিতং।।* 
*🌷মুচ‍্যতে নাত্র সন্দেহঃ সর্বক্লেশ বিবর্জ্জিত।*
*🌹এই দারুময় ব্রহ্মকে,বলরাম ও সুভদ্রা সহ, যিনি দর্শন করবেন,তিনি সর্বপাপ হতে বিমুক্ত হয়ে,মুক্তি লাভ করবেন,এতে কোন সন্দেহ নাই। এই মাহাত্ম্য বর্ণন উপলক্ষ্যে ভগবান নারদকে বলেছেন, বিষ্ণুযামলে=*
*🌷চিদানন্দময়ং ব্রহ্ম দারুব‍্যাজেন সংস্থিতং।*
*🌷জীবভূতং জগন্নাথং মামবেহি কলিপ্রিয়।।*
*🌷মামত্র যে প্রপশ‍্যন্তি দৃষ্ট্বা চাক্ষুষগোচরং।*
*🌷বিদধামীতি তন্মুক্তিমিতি মে নিশ্চয়া মতিঃ।।*
          *🔴তথা ব্রহ্মযামলে*🔴
*🌷অপিচেৎ সুদুরাচারাঃ সর্বধর্ম-বহিস্কৃতাঃ।*
*🌷তীর্থ-রাজ-জলে স্নাত্বা যে মাং পশ‍্যন্তি মানবাঃ।।*
*🌷তেভ‍্য এবহি দাস‍্যামি মুক্তিং যোগেন্দ্রদুর্লভাং।*
*🌷ইতি সত‍্যপ্রতিজ্ঞোহস্মি স্থাস‍্যাম‍্যত্র পরার্দ্ধকং।।*
*🌻হে নারদ!এই জীবরূপ দারুময় মূর্তিতে আমার যেরকম দর্শন করছ,এটি চিদানন্দময় ব্রহ্মস্বরূপ, এটি নিশ্চয় জানিও।আমাকে এই মূর্তিতে যে দর্শন করে,তাকে আমি মুক্তি প্রদান করে থাকি।সর্বধর্ম বহিস্কৃত অতি দুরাচার হয়েও যদি সমুদ্রজলে স্নান করে,আমাকে দর্শন করে,তাহলে দেবদুর্লভ যে মুক্তি,তা আমি প্রদান করব ; এটি আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, এবং আমি পরার্ধকাল এই জায়গায় অবস্থান করব।*
🦚🦚🦚🦚🦚🦚🙏🦚🦚🦚🦚🦚🦚
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 দ্বিতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath2.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
*(২০)শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ*
          *🌷নীলাচলে মহাপ্রভু🌷*
     *🌹পুরীর রাজাদের বিবরণ*
     ∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆∆
*🍀শ্রীশ্রীজগন্নাথ যদিও নির্গুণ,নিষ্কাম,পরমব্রহ্ম, কিন্তু তিনি যখন দারুময় দেহ ধারণ করেছেন,তখন লৌকিক দেহানুরূপ তাঁকে ভোগ স্বীকার করতে হয়েছে। সেই জন্য তাঁকে সময়ে সময়ে নানারকম কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে। জরাসন্টের উপদ্রবে, শ্রীকৃষ্ণ যেমন দ্বারকায় বাসস্থান নির্মাণ করেন,জগন্নাথও সেইরকম সময়ে সময়ে,তাঁর মন্দির ত‍্যাগ করে,চিল্কা হ্রদে শোণপুরে অবস্থান করেছেন এবং কলেবর পরিত‍্যাগ করে নব কলেবর ধারণ করেছেন। মন্দিরও নূতন নির্মিত বা পুনঃ সংস্কৃত হয়েছে। সুতরাং শ্রীমন্দিরের বিবরণের সঙ্গে পুরীর রাজাদের বিবরণ সংসৃষ্ট রয়েছে।এই মন্দির কোন রাজার অধীনে কিরকম ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে,তা জানার জন্য পাঠকদের কৌতূহল হতে পারে। সেই কৌতূহলের অনুরোধে,সামান‍্যভাবে,কিছু রাজার বিবরণ লিপিবদ্ধ করা যাচ্ছে।*
*এই রাজাদের রাজত্বের সময় নিরূপণ বা নির্ণয় করা বড়ই কঠিন হয়ে পড়েছে।ইতিহাস লেখকগণ নানারকম ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্ণয় করেছেন।এই সময় সম্বন্ধে পার্থক্য এতদূর বেশী যে,তা বিচার করতে গেলে,বাস্তবিক কিছুই স্থির হয়েছে বলিয়া,বলা যায় না।এই সমস্ত ঐতিহাসিকদের বিভিন্ন মতের উপর নির্ভর করে,কোনও সিদ্ধান্তে উপস্থিত হওয়া যায় না। সুতরাং ঐতিহাসিকদের মত,বাদ দিয়ে,অন‍্য প্রমাণ দ্বারা যা পাওয়া যায়,তাইই গ্রহণ করা যাক।*
*এই মন্দির প্রথমত মহারাজ ইন্দ্রদ‍্যুম্ন স্থাপন করেন।তাঁর কোন পুত্রপৌত্রাদি ছিল না,সেইজন‍্য শ্রীশ্রীজগন্নাথের মন্দির ও জগন্নাথের সেবা পূজা, গালবাধিপতির হাতে অর্পিত হয়,তা আগেই বলা হয়েছে।এর পর কোন বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস না থাকায়,ধারাবাহিক ইতিহাস জানা যায় না।আমরা কেশরীবংশীয় রাজা যযাতি হতে কিছু উৎকলাধিপতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখছি।*
*মহারাজ যযাতি একজন প্রবল নৃপতি ছিলেন ; ইনি রক্তবাহুবংশীয় যবন রাজাদেরকে পরাজিত করেন, এবং ইঁনার সময়ে উৎকল স্বাধীনতা প্রাপ্ত হয় বলে বর্ণিত হয়েছে।ইনি শৈব ধর্মাবলম্বী রাজা ছিলেন।শৈব ধর্মাবলম্বী হলেও শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের উপর বিশেষ শ্রদ্ধাবান ছিলেন, এবং তাঁর উন্নতিকল্পে বহু যত্ন করেন।ইঁনার পিতার নাম রাজা জনমেজয়। ইঁনারই সময়ে বোধহয়,যবন রাজাদের ভয়ে শ্রীশ্রীজগন্নাথ মূর্তি চিল্কা হ্রদে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, কারণ,যযাতি-কেশরীর সময়ে জগন্নাথদেবের পুনঃ স্থাপন হয় এবং মন্দিরের পুনঃ সংস্কার হয়। সুতরাং তিনি হিন্দু মাত্রেরই পূজ‍্য।রক্তবাহু উড়িষ‍্যার রাজা ছিলেন।তাঁর ভয়েই হোক, বা তার পূর্ববর্তী বৌদ্ধরাজাদের প্রভাব বশতঃই হোক,শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের মূর্তি এই মন্দির হতে সরিয়ে চিল্কা হ্রদে রাখা হয়েছিল।তারপরে যযাতি কেশরীর রাজত্ত্বকালে,এই মূর্তি পন্ডিতদের মতানুযায়ী নীলাদ্রি মহোদয়োক্ত বিবরণ অনুসারে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজা যযাতি কেশরীর রাজত্ব বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মেরও বিস্তার হয়েছিল।সেই সময়ে ভুবনেশ্বরের বিশেষ উন্নতি হয়েছিল,শিব মন্দিরে ভুবনেশ্বর পরীশোভিত হয়েছিলেন।*
*আধুনিক ঐতিহাসিকদের মতে,যযাতিকেশরী নবম শতাব্দীতে রাজত্ত্ব করেন ; কিন্তু তা সম্ভবপর নয়।"মাদলাপঞ্জিকা" অনুসারে দেখা যায়, তিনি চতুর্থ শতাব্দীর অনেক আগে রাজত্ব করেছিলেন ; কারণ কেশরীবংশীয় ষষ্ঠ নৃপতি ললাটেন্দু কেশরী ভুবনেশ্বরের মন্দির নির্মাণ করেন।তাঁর নাম এবং সময় ঐ ভুবনেশ্বর মন্দিরে খোদিত রয়েছে।সেই শ্লোকটি উদ্ধৃত করছি=*
*🌷গজাষ্টেন্দুমিতে জাতে শকাব্দে কৃত্তিবাসসঃ।*
*🌷প্রাসাদং কারয়ামাস ললাটস্থেন্দুকেশরী।।*
*🌻এই শ্লোক দ্বারা দেখা যায় যে,৫৮৮ শকাব্দে এই মন্দির নির্মিত হয়েছে এবং ইন্দুকেশরী নির্মাণ করিয়েছেন।তাওও লিখা রয়েছে।মাদলাপঞ্জিকা অনুসারে ষষ্ঠ নৃপতির রাজত্বকাল যদি ৫৮৮ শকাব্দে নিরূপিত হয়,তাহলে তার পূর্ববর্তী যযাতিকেশরীর সময় ৪০০ শকাব্দা হওয়ায় সম্ভব।*
*এই কেশরীবংশীয় রাজাগণ ৪৪ পুরুষ ব‍্যাপিয়া,নবম শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন।এই বংশীয় রাজাদের মধ্যে যযাতিকেশরী, ললাটেন্দুকেশরী এবং নরেন্দ্রকেশরী বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন। নরেন্দ্রকেশরীর সময় নরেন্দ্র-সরোবর খনিত হয়েছিল।ললাটেন্দুকেশরীর সময় ভুবনেশ্বর মন্দির তৈরী বা পুনঃ সংস্কৃত করা হয়েছিল।*
*এই কেশরী বংশের ক্রমশ অবনতি আরম্ভ হল।সহস্র শকাব্দের প্রারম্ভে উড়িষ‍্যার দক্ষিণ প্রান্তে, গোকর্ণেশ্বরের ঔরসে এবং গঙ্গাদেবীর গর্ভে চৌরগঙ্গ নামক এক বীরপুরুষের অভ‍্যুদয় হয়।উড়িষ‍্যা এই বীরপুরুষের দ্বারা আক্রান্ত হয়,এবং তৎকর্তৃক কেশরীর্বশীয় রাজা পরাজিত হন।এই হতে কেশরীবংশ বিলুপ্ত হয়, এবং চৌরগঙ্গ হতে গঙ্গাবংশের আরম্ভ হয়।এই গঙ্গাবংশীয় রাজাদের শাসন সময়ে,রাজ‍্যের এবং মন্দিরের বহু উন্নতি সাধিত হয়।*
🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷🪷
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🔜 ক্রমাগত 👉 শ্রীশ্রীজগন্নাথ ও শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ 🌷 তৃতীয় ভাগ 🌻 শ্রীযুক্ত রাজর্ষি গোপালচন্দ্র আচার্য‍্য চৌধুরী প্রণীত ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath3.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝
    ꧁👇📖 সূচীপত্র ✍️ শ্রী জয়দেব দাঁ 📖👇



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️ 
নিবাস- বাঁশবাড়ী, কীর্তন মন্দিরের পাশে, পোঃ- বাঁশবাড়ী, থানা- ইংরেজ বাজার, জেলা- মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, পিন কোড- ৭৩২১০১।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

  *••••┉❀꧁👇🏠Home Page🏠👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 



✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

     *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 


✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷
   🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️
✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧







শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html