🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩

কান্দি রাজবংশ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📝 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_594.html

 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
                       ꧁ কান্দি রাজবংশ ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
      ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস  ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ꧁ টিকা বা অন্যান্য ধর্মীয় লিখনী 🙏 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
     ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস  ꧂
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
 ꧁ প্রভু নিত্যানন্দের সংক্ষিপ্ত লীলা 🙏 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
      ꧁ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
꧁ MrinmoyNandy.blogspot.com 👉 সূচীপত্র ꧂
       এই লিংকে ⬇️⬇️⬇️🙏⬇️⬇️⬇️ ক্লিক করুন 
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
*#কান্দি_রাজবংশ।*
*(ত্যাগের আদর্শ মহান সাধক, ভগবত দর্শন প্রাপ্ত মহাপুরুষ, লালাবাবুর পাবন জীবন চরিত্র।)*

*এদেশের কায়স্থ কুল কারিকায়, উত্তর রাঢ়ী কায়স্থ গোষ্ঠীর যে বিবরণ পাওয়া যায় তাতে অনুভূত হয় অনাদিবর সিংহই কান্দি রাজবংশের উৎস।*
 *তাঁর অষ্টম উত্তর পুরুষ লক্ষ্মীবর  সিংহ, কায়স্থ কুলে গুরুতুল্য সম্মানে ভূষিত ছিলেন। তার সুপুত্র ব্যাসসিংহ।ব্যাস সিংহের ছেলে বলবানসিংহই অরণ্য সংকূল কান্দিতে প্রথম নগরের পত্তন করেন। বলবানের পৌত্র বিনায়ক কালে, কান্দির জমিদারের আসনপ্রাপ্ত হন।*
 *বিনায়কের পঞ্চম উত্তরপুরুষ জীবধরই একপ্রকার কান্দি রাজবংশের আদিপুরুষ।জীবধরের  সপ্তম উত্তরপুরুষ হরেকৃষ্ণ সিংহের জন্ম 1650 খ্রিস্টাব্দে।*
*এ সময় নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ মসনদে । হরেকৃষ্ণ সিংহ বিষয়ের সাথে সাথে বিশেষ পরমার্থী ও  ছিলেন। বৈষ্ণবধর্মে তার প্রবল অনুরাগ ছিল । এর তিন পুত্র নারায়ণ, গৌরাঙ্গ ও বিহারি।প্রচুরতর মাহাল, তালুক ও লাখেরাজ ভূসম্পত্তিতে সত্ত্বাবান গৌরাঙ্গ সিংহই বর্তমান কান্দিতে বিরাজিত শ্রীরাধাবল্লবের প্রতিষ্ঠাতা।গৌরাঙ্গ সিংহ অপুত্রক বিধায় ভ্রাতুষ্পুত্র রাধাকান্তকে পোষ্য পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। রাধাকান্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট হতে এক বিস্তৃত জমিদারি হুগলি জেলার আংশিক রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।*  *1772 খ্রিস্টাব্দে রাধাকান্ত সিংহ পরলোকগমন করেন।পূর্বে, রাধকান্তের কর্ম ত্যাগের পরই তার ছোটভাই গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।*
  *ফারসি ভাষায় বিশেষ ব্যুত্পন্ন গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের বুদ্ধি ছিল অত্যন্ত তীক্ষ্ । তৎকালীন গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস তাকে সাগ্রহে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি নিযুক্ত করেছিলেন। 1785 খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি হতে অবসর লাভ করার পর গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ প্রায় 14 বছর জীবিত কালে নানা জনহিতকর সৎকর্মে তৎকালীন 90 লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিলেন। একমাত্র পুত্র প্রাণকৃষ্ণ ও নাতি কৃষ্ণচন্দ্র কে রেখে 60 বছর বয়সে 1799 খ্রিস্টাব্দে দেহ রাখেন।*
 *1775 খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণচন্দ্র সিংহের  জন্ম হয়।*
দাদু গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ আদর করে ডাকতেন *লাল* বা *নন্দলাল* বলে । ঘরের চাকর বাকর তাকে *লালাবাবু* বলে ডাকত। তখন থেকে নাম পড়ে যায়
 *#লালাবাবু*।
 *অসামান্য প্রতিভার গুণে অল্প বয়সেই সংস্কৃতে ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। শ্রীমদ্ভাগবতের এক একটি শ্লোকের ব্যাখ্যা করে বড় বড় পন্ডিতদের তাক লাগিয়ে দিতেন ।অপূর্ব তার ব্যাখ্যা ছিল রসালো ও হৃদয়স্পর্শী।*  *ছেলেবেলা থেকে লালাবাবু দয়ালু স্বভাবের ছিলেন ।তিনি যখন নেহাতই বালক, সেসময় একদিন বৈকালে তিনি তাদের বাড়িতে পিঞ্জরাবদ্ধ একটি টিয়া পাখির উচ্চ রবে আকৃষ্ট হন এবং আপনি অনুভব করেন যে টিয়া পাখিটি স্বাধীনতা লাভের জন্য ব্যাকুল। সাথে সাথেই এই পাখিটিকে খাঁচা হইতে মুক্ত করে দেন।* 
 *পরোপকার ছিল তার আজন্ম-সহচর শুধু নয়, জন্মান্তরীন সংস্কার।বাল্যকাল হতেই লালাবাবুর লেখাপড়ায় বিশেষ অনুরাগ ছিল ।অল্প সময়ে বাংলা ভাষার সাথে সাথেই তৎকালে প্রয়োজনীয় আরবি-ফারসি ও সংস্কৃত ভাষায় জ্ঞান অর্জন করে, সদ্য যৌবনেই একজন *মুন্সি* বলে খ্যাতি লাভ করেছিলেন।দেবভাষা সংস্কৃতেও তার বিলক্ষণ অধিকার ছিল । শ্রীমদ্ভাগবতের অংশবিশেষ আবৃতি করে অনেকজনের স্নেহভাজন হয়েছিলেন ।এই মহাপুরাণের দুরূহ অংশগুলিও তিনি অন্বয় মুখে ব্যাখ্যা করতেন এবং সেই ভাগবতের বহু বহু অংশ তার কণ্ঠস্থ ছিল । তার হস্তাক্ষর ছিল সুষম ও তিনি লিখতে পারতেন অতিদ্রুত।* 
 *পিতামহ গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ, স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে লালা বাবুর বিয়ে দিয়েছিলেন, কান্দির সামিল রসোড়া গ্রামের গৌরমোহন ঘোষের কন্যার সাথে,  উত্তর কালে যিনি সমাজে মহারানী কাত্যায়নী নামে অভিহিতা হয়েছিলেন।*

*বিশাল পৈতৃক সম্পত্তির একমাত্র মালিক হয়েও অটুট ব্যক্তিত্বের অধিকারী লালাবাবু কে পরের দাসত্ব করতে হয়েছিল। লালাবাবুর ব্যক্তিগত ভৃত্য একদিন এক খন্ড পরিধেয় কাপড় প্রার্থনা করলে তাকে নেহাতই ছোট একখণ্ড কাপড় দেন ম্যানেজার বল্লভীকান্ত । যেটি ভৃত্যের পরবার  পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। নিজের সেবকের  পরনে ঐ কাপড় দেখে তাকে এত ছোট কাপড় পরার কারন জিজ্ঞাসা করলে যাবতীয় জ্ঞাত হোন  এবং বল্লভীকান্তদাসকে ডেকে একখানি প্রমাণ  কাপড় দিতে আদেশ করেন। বল্লভীকান্ত এ বিষয়ে , প্রাণকৃষ্ণের  আদেশ প্রার্থনা করলে, প্রাণকৃষ্ণ সিংহ তার ছেলের প্রতি  অপ্রসন্ন হয়ে বলেন,- "ছেলে এখন সাবালক হয়েছে । অতএব  এখন সে ইচ্ছা করলে নিজেই উপার্জন করে ভৃত্য কে প্রমান কাপড় কিনে দিতে পারে।।" বাবার মুখে এই কথা তাঁর বুকে শেলের মত বিধল, অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে আপন স্ত্রীর অলংকারের বিনিময়ে টাকা সংগ্রহ করে আপন চাকরকে একটি ভালো কাপড় কিনে দেন এবং অচিরে বাড়ি হতে  ভাগ্য অন্বেষণে বেরিয়ে পড়েন। তখন তার বয়স মাত্র ১৭ বছর। সময় ১১৯৯বঙ্গাব্দ।*

*ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে বর্ধমানের magistrate-collector এর অফিসে সেরেস্তাদারের কাজে যোগ দেন ।*
*বেদোজ্বলা বুদ্ধি ও তীক্ষ্ণ কর্মকুশলতায় লালাবাবু অল্পকালেই, এই সরকারের রীতিমতো আস্থার পাত্র হয়েছিলেন।*  *1803 খ্রিস্টাব্দে সরকার বাহাদুর তাকে উড়িষ্যার রাজস্ব বিভাগের যাবতীয় দায়িত্ব অর্পণ করেন।*  
*চাকুরীরত অবস্থায় তিনি কয়েকটি পরগনার জমিদারি কিনে নেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নিগুঢ় লীলাভূমি পুরুষোত্তম ক্ষেত্রে এখন মহাপ্রভুর লীলা আলোচনা, জপ-ধ্যান, নাম-সংকীর্তন আনন্দে  কাটতে লাগল। সে সময় ইংরেজ সরকার, রাজস্ব বাকি পড়ায় জগন্নাথ মন্দির নিলামের আদেশ দেন। লালাবাবু আপ্রাণ চেষ্টায় শ্রীজগন্নাথ মন্দির রক্ষা করেন। ফলে গজপতি মহারাজের সঙ্গে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। পরে মহারাজ সমস্ত রাজস্ব পরিশোধ করে দেন।*
*লালাবাবু যথাসাধ্য শ্রীজগন্নাথের নিত্য সেবায় ও সহযোগ করতেন ।অল্পদিনেই বাবা প্রাণকৃষ্ণের অত্যন্ত অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে উড়িষ্যা থেকে কান্দি চলে আসেন 1808 খ্রিস্টাব্দে ।*
 *কান্দি এসে দেখেন পিতার দেহ একান্ত অবসন্ন, বাকশক্তিহীন, চৈতন্যরহিত। কদিন পরেই বাবা পরলোকগমন করেন।লালাবাবু পিতৃশ্রাদ্ধে বিশাল আয়োজন করেন।বিবিধ পারমার্থীক অনুষ্ঠান।দীন-দুঃখি দের অসংকোচ দানসত্র ।*
*বাবা, দাদুর সমস্ত সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্ব পড়লো তাঁর উপর, তাই উড়িষ্যার দেওয়ান এর কাজ ছেড়ে এখানেই বাস করতে লাগলেন।*

 *নানা কাজের মাঝেও লালাবাবুর বেশি সময় কাটতো নামজপ, স্মরণ- কীর্তন ও শাস্ত্রালাপে । দ্বারে অতিথি অভ্যাগতদের প্রতিও তার তীক্ষ্ণ  দৃষ্টি ছিল। এসব এর সমান্তরালে তার কুলদেবতা শ্রীরাধাবল্লভের মধ্যাহ্নকালীন ভোগ প্রায় কমবেশি 50 প্রকারের ব্যঞ্জনাদি সহ ভোগ হত । (The travels of a Hindu vol-1. P-66) হতে ।*
 *কিন্তু নিজের সামান্য সাত্বিক প্রসাদ গ্রহণ করতেন। যাতে তেল মসলার বিশেষ সম্বন্ধ থাকত না।*
 *ভোগার্হ্য যৌবনকালেই সতত নিস্পৃহ মানসিকতার অধিকারী লালাবাবুর জীবনটি ছিল প্রকৃতই অনুশীলনের জীবন। যে অনুশীলন আনে ঈশ্বরের চরণে একান্ত অনুগতি আর শরণাগতি ।বৈরাগ্যের অঙ্কুর তাঁর মানস অঙ্গনে বহু পূর্বেই উদগত হয়েছিল । মনে বারবার আসতে লাগল, এই ধনৈশ্বর্য মান-সম্মান সব কি জন্য? এসব কি চিরস্থায়ী? যদি নয়। তাহলে, কেন না এসব ছেড়ে সেই পথের সন্ধান করা যায়, যাতে চিরশান্তি মিলতে পারে। কিন্তু সংসারের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্যের ভাবনা প্রত্যেকবার এই প্রশ্নকে চেপে দিচ্ছে । সে সময়েই প্রাপ্ত হল  রাধারাণীর দিব্য আহ্বান।*
N__I__T__Y__A__N__A__N__D__A

 *একদিন শীতকালে সন্ধ্যাবেলায়  বেরিয়েছেন পালকিতে ভ্রমণে।  গঙ্গাতীরে বেহারাগণ পালকি রাখলেন। সেবক তড়িঘড়ি হুক্কা সাজিয়ে দিলেন। আরামকেদারায় বসে গুড়গুড় শব্দে টানতে লাগলেন। মৃদু মধুর বায়ুপ্রবাহ হুক্কার গুড়গুড়াহট ও গঙ্গার কল কল ধ্বনি মিলেমিশে এক অভূতপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি করল। হঠাৎ পাশ থেকে ভেসে আসল বামা কণ্ঠস্বর,- বাবা! ও বাবা!! ওঠো!! দিন তো গেল, সন্ধ্যা হল, আর কখন পার হবো? তাড়াতাড়ি কর! বামা কন্ঠের আহ্বান তীর্যক গতিতে গিয়ে জমিদার কৃষ্ণচন্দ্রের হৃদয়তন্ত্রীতে বারবার ঝংকার তুলতে লাগল। বাবা ওঠো দিন তো গেল। অস্থির চিত্তে সারারাত অনিদ্রায় অতিবাহিত হল। মনে হচ্ছিল যেন রাধারানী ডাকছেন,- দিন গেল, আর কেন? অনেক হলো, এবার  বৃন্দাবনে চল, চলো লালা চলো!!*
  
 *এর মাঝে ঘটলো আরেক ঘটনা। কান্দির শামিল অঞ্চলের এক ব্রাহ্মণের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয় জমিদারি সরকারে।ব্রাহ্মণ লালার নিকট এসে সহানুভূতিপূর্ণ বিচার প্রার্থনা করেন এবং লালা ও সুবিচার করতে প্রতিশ্রুতি দেন।দিন ধার্য করে দেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্দিষ্ট দিনে এসেও ব্রাহ্মণ এর সাথে পরিস্থিতির বৈগুন্যে দেখা হয় নাই। ব্রাহ্মণ হতাশ হয়ে রাজবাড়ী নিকটে প্রাচীন চম্পা ফুলের গাছে গলায় দড়ি দিয়ে মারা যান। এতে অত্যন্ত মর্মাহত হন লালাবাবু, অন্নজল ত্যাগ করেন ।সে ব্রাহ্মণের সম্পত্তি তিনি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ না দিলেও পরে সব জেনেও কোন প্রতিরোধ করতে পারলেন না ভেবে লালাবাবু নিরন্তর অনুতাপের অনলে  দগ্ধ হতে লাগলেন এবং আক্ষেপ পূর্ণ অন্তরে যথাসম্ভব শীঘ্র গৃহত্যাগের সংকল্প নিলেন। অচিরেই তিনি তার একমাত্র শিশুপুত্র নারায়ন সিংহের লেখাপড়া, অসহায় স্ত্রী ও সামাজিক সম্মান সকলি ত্যাগ করে নৌকাযোগে বৃন্দাবনের পথে পাড়ি দিলেন।*

*বৃন্দাবনে এসে লালাবাবু ভরতপুরের রাজার এক পুরনো বাড়িতে বাস করতে থাকেন। এখানে এসেও দিন দুঃখীদের অকাতরে দান করতে থাকেন। ভগ্ন মন্দির, সেবার দুর্দশা দেখে তার প্রাণ কেঁদে উঠে, বাড়িতে খবর করে স্ত্রী-পুত্রের জন্য দুই অংশ রেখে একাংশ সম্পত্তি নিয়ে আসেন। সে সময়ের 25 লক্ষ টাকা। অনেক জমিজায়গা কিনতে থাকেন, প্রায় 74 খানা পরগনা ক্রয় করেন। এর আয় থেকে দরিদ্র নারায়ন সেবা, ভগ্ন মন্দির সংস্কার, সেবার সুবন্দোবস্ত ও নতুন মন্দির নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত ছিল ।এসময় হতেই তিনি প্রয়োজনীয় জমি ও মন্দির নির্মাণের উপকরণাদির সন্ধান করতে থাকেন। ইতিমধ্যে তার সাথে রাজস্থানের জনৈক রাণাবংশীয় সজ্জনের  পরিচিতি ঘটে এবং রানা মহাশয় মন্দিরের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পাথরও মর্মর খণ্ড বিনামূল্যে দানের প্রতিশ্রুতি দেন, রাজস্থান থেকে নিজের খরচে নিয়ে যাওয়ার শর্তে । সম্পূর্ণ পাথর সেখান থেকে আনা হয়। এর জন্য রানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয়।যা লালাবাবু কে  পরে বিষম সংকটে ফেলেছিল।*

 *সেসময় ব্রিটিশরা ভারতীয় রাজন্যবর্গের সহি সংগ্রহ করছিল যার তাৎপর্য-* 
*স্বাক্ষর দাতাগণ ইংরেজদের প্রশংসক। আলোচ্য রানা সহি দিতে বিলম্ব করায় ইংরেজ সরকার তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন।সে সময়ে বিচার বিভাগের প্রধান ছিলেন চার্লস মেটকাফ। ব্রিটিশের প্রতিকূল আচরণ কারীদের বিচার কমিশনের তিনি ছিলেন  Head of the Department.  তিনি পরশ্রীকাতর লোকমুখে এই খবর পেয়েছিলেন, যে রানার সহি না করার মূলেই লালা বাবুর প্ররোচনা।*  
 *লালাবাবুর কুমন্ত্রণায় রানা সহি দিতে অনিচ্ছুক, অনুমান করে মেটকাফ সাহেব লালার বিরুদ্ধে গভর্নমেন্টের প্রতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন ও অবিলম্বে গ্রেফতারের আদেশ জারি করেন করে দেন। মথুরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এই পরোয়ানা এলে, মথুরাবাসীগণ সে বিষয়ে অবগত হয়ে  ভীষণ ক্ষুব্ধ হন।* *কারণ তারা একান্ত পূতচেতা  উদারমনা লালাবাবুর বিষয়ে সবিশেষ অবগত ছিলেন। লালাবাবু দিল্লি গেলে, বিচার ফল জানতে উৎসুক সহস্রাধিক ব্রজবাসী লালাবাবুর অনুগমন করেছিলেন। রাজপথে অত্যধিক জনসমাগম দেখে মেটকাফ এ বিষয়ে জানতে উৎসুক হন।এই সময় বঙ্গদেশের নদীয়া-শান্তিপুর নিবাসী জনৈক দেবীপ্রসাদ রায়, মেটকাফের অধিনস্থ কর্মচারী ছিলেন।* *তার নিকট হতে ইতিমধ্যে লালাবাবু বিষয়ে সঠিক সংবাদ জানতে পারেন ও তাঁকে আহ্বান করে সসম্মানে আপন খাসকামরায় বসিয়ে সমাদৃত করেন।*

 পরদিন তাকে দিল্লীর মুঘল বাদশার দরবারে নিয়ে যান এবং তার কাছে লালার বিষয়ে সকলই অবগত হয়ে বাদশা *মহারাজা* উপাধি দিতে চাইলে লালাবাবু তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন। *মাসখানেক পরে দিল্লি থেকে ফিরে পুনরায় মন্দির নির্মাণে মনোযোগী হন।লালাবাবুর অলোক উদ্যমে শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রমা যুগল বিগ্রহের সুরম্য মন্দির ও  সেবা প্রকাশিত হয়। বর্ধমানের দাঁইহাট নিবাসী কৃষ্ণচন্দ্র ভাস্কর মহাশয় কৃষ্ণচন্দ্রমা বিগ্রহের গঠক।শ্রীমন্দিরের  কারুকৌশল তথা নির্মাণ-নৈপুণ্য দুর্লভ দর্শন। সেবার ব্যয় নির্বাহের জন্য উত্তরপ্রদেশে নানা স্থানে বহু সম্পত্তি দেবোত্তর করে দেন। মহাসমারোহে সেবা চলতে থাকে এবং অতিথি বর্গের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা হয়।এ মন্দির স্থাপনের পর লালাবাবুর  অবিস্মরণীয় কীর্তি শ্রীরাধাকুন্ডের পঙ্কোদ্ধার ও চারপাশ উত্তমরূপে লাল পাথর দিয়ে বাঁধানো।*

 *কিছুদিন যাবত লালার মনে হয়েছে শ্রীগুরুপাদপদ্ম আশ্রয়ের কথা। এ বিষয়ে তিনি গোবর্ধনের সিদ্ধ কৃষ্ণদাস বাবাকেই আপন মানস মন্দিরে শ্রীগুরু আসনে বসিয়ে রেখেছেন সুদীর্ঘকাল। তার কাছে উপস্থিত হয়েছেন একাধিকবার। সিদ্ধ বাবা বললেন,- "তুমি মহাভোগী, অতএব এক বছর যাবত গাভীকে গম খাওয়াইয়া তাহার গোবর হইতে যে গম পাওয়া যাইবে তাহা ভোজন করিয়া থাক।" লালাবাবু  সিদ্ধ বাবার এই আদেশ পালন করিয়া কৃপা লাভ করিয়াছিলেন ।* 
(গৌড়ীয় বৈষ্ণব জীবনী।)
 *একবছর পরে আবার গেলেন, নানা উপদেশের পর বললেন,- "লালা! আভি তক লগন্ নেহি লাগা"- এ কথার গুঢ় অর্থ বুঝতে পারলেন না লালা।  সিদ্ধবাবা বললেন,- নিরভিমান হতে।দৈন্যের আসনে না বসলে ভক্তিদেবীর কৃপা হয়না। ইত্যাদি। তখন তিনি মাধুরী দ্বারা উদর পূরণ করতে লাগলেন। তার অন্তরে অপার বৈরাগ্য। আলোয়ারের রাজা একসময়ে বৈষয়িক কারণে যথেষ্ট উপকৃত হয়েছিলেন। তিনি কৃতজ্ঞতা চিহ্নস্বরূপ উপঢৌকন পাঠিয়ে দেন। লালা প্রেরকের মর্যাদা রক্ষার্থে এক খন্ড কাপড় ও এক খানি অঙ্গুরিয়ক মাত্র রেখে আর সকলি ফেরত দেন। পরে তাও তিনি জনৈক ব্রজবাসী কে দিয়ে দেন।*
N__I__T__Y__A__N__A__N__D__A

 *মাঘ মাসের সময় । প্রচন্ড ঠান্ডা, মন্দিরের এক কোণে দাঁড়িয়ে লালাবাবু দর্শন করছিলেন শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রমা জীউর  ভুবনমোহন রূপ। ভাবাবেশে তাঁর শরীর কম্পিত হচ্ছিল, নেত্রে প্রেমাশ্রুধারা । উনার অন্তরে জেগে উঠল এক বিচিত্র অভিলাষা,- পুজারিকে ডেকে  বললেন ঠাকুরের কপালে একদলা মাখন লাগিয়ে দাও ।পুজারী বিস্মিত হলেন।*
*আবার বিনয়ের সুরে বললেন,- দাও না বাবা!*
 *মাখন লাগানো হল। কিছুক্ষণ পরে মাঘ মাসের প্রচণ্ড ঠাণ্ডাতেও মাখন গলে কপোল বেয়ে পড়তে লাগল।*

 *চোখে অশ্রু বন্যা, বিশ্বাস হলো ঠাকুরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে রীতিমতই ও সেবাও হচ্ছে ঠিক মতই। দর্শকবৃন্দ প্রেমানন্দে হরিধ্বনি করে উঠলেন।লালা ভাবাবেশে মূর্ছিত হয়ে পড়লেন ।*

*আর একদিন পূজারী কে বললেন, বাবা একটু তুলো ঠাকুরের নাকে ধরতো! পূজারী একটু তুলো ঠাকুরের নাকের কাছে ধরলেন, তো দেখছেন ঈষৎ কম্পিত হচ্ছে, আনন্দ আর ধরে নাম, প্রেমানন্দে গড়াগড়ি দিতে লাগলেন।*

*একদিন ঠাকুর স্বপ্নে বললেন- তোমার সেবায় আমি প্রসন্ন। একটা ভিক্ষা আছে লালা, তোমার কাছে। লালা - ভিক্ষা? হ্যাঁ । আদেশ করুন । আর একখানা মন্দির তৈরি করতে হবে।*

 *আরও একখানা মন্দির? আমি তো যা ছিল সর্বস্ব দান করে দিয়েছি! আমার আর কিছুই নেই মন্দির বানানোর জন্য।*

 *আমি যে মন্দিরের কথা বলছি তার জন্য টাকার দরকার নেই, সর্বস্বান্ত হওয়ার পরেই এ মন্দির তৈরি করা যায়। প্রভু! পথনির্দেশ দিন।*

 *তুমি ব্রজমন্ডলের সমস্ত তীর্থে স্নান করে গোবর্ধনে গিয়ে হৃদয়ে মন্দির নির্মাণ করে আমার ধ্যানে মগ্ন হও।*

লালাবাবু ব্রজমন্ডলের সমস্ত তীর্থে স্নান সমাধান করে, গোবর্ধনে মাটির কাঁচা গুহায় ভজন করতে লাগলেন। নিত্য গোবর্ধন পরিক্রমা।সন্ধ্যায় একবার মাধুকরী ও দিনরাত ভজনে সংলগ্ন থাকেন।
*একদিন গোবর্ধন পরিক্রমার সময় পূজারী বললেন মহারাজ! আজ মাধুকরী যাবেন না। আমি ঠাকুরের প্রসাদ আপনার গুহায় পৌছে দেব।সন্ধ্যায় ঘনঘোর বর্ষা শুরু হল। দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হতে থাকায় পূজারী বের হতে পারলেন না। খুব চিন্তা হতে লাগল, একটু বৃষ্টি কম হতে মন্দিরে গিয়ে দেখলেন, মন্দিরে প্রসাদের থালা নেই। কোথায় গেল? কি হল? কেউ তো আসে নাই? কিন্তু এত চিন্তার সময় কোথায়! আর একখানা মাটির থালায় প্রসাদ সাজিয়ে নিয়ে পুজারি হাজির হলেন লালা বাবুর কাছে।*
 *ওকে দেখেই লালা বাবু বললেন,- আবার কি নিয়ে এসেছ?*
 *আগের প্রসাদই তো  শেষ হয় নাই ।সেখানে ঠাকুরের প্রসাদী থালা দেখে বিস্মিত হয়ে গেলেন পুজারী।*

 *মন্দিরে ভোগের থালা না পেয়ে এই মাটির থালায় প্রসাদ নিয়ে এসেছি।*

*সব শুনে লালাবাবুর দেহ সাত্বিক প্রেমবিকারে পরিপূর্ণ হয়ে মূর্চ্ছিত হয়ে পড়লেন। জ্ঞান ফিরলে ,  হায় প্রভো! এই অধমের জন্য এত কষ্ট করলে? আর আমি তোমায় চিনতেও পারলাম না। এমনিভাবে বিলাপ করতে লাগলেন।*

 *আবার গোবর্ধনের সিদ্ধ কৃষ্ণদাস বাবার কাছে প্রার্থনা করলেন, দীক্ষার জন্য । সিদ্ধ বাবা বললেন,- মন্ত্র দেব ।এখন তোমার সময় হয় নাই। তোমার বিষয়ী জীবনের সুক্ষ্ম সংস্কার এখনো কিছু শেষ আছে । তাকে তীব্র বৈরাগ্য অগ্নি দ্বারা দগ্ধ করতে হবে। উপযুক্ত সময় আসলে আমি নিজে এসে দীক্ষা দিয়ে দেব। তোমার আসার প্রয়োজন নেই।*
N__I__T__Y__A__N__A__N__D__A

 *কিছুদিন পরে লালা বৃন্দাবনে এসে থাকতে লাগলেন। মাধুকরী দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন। সেও দিনে একবার ।এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলো। মনে মনে ভাবছেন এখনো কেন গুরুকৃপা পেলাম না? কারণ কি?*
 *হঠাৎ মনে পড়ল আমি কাঙালের বেশতো নিয়েছি। কিন্তু অভিমান পূর্ণরূপে ত্যাগ করতে পারি নাই । আমি ভিক্ষা করি। কোনদিন ওই শেঠের বাড়ির দিকে আমার পা অগ্রসর হয়েছে?*  *মনে মনে  অনুসন্ধানের পর বুঝতে পারলেন, বিশেষ কোন সময়ে তারপ্রতিবাদী ভরতপুর রাজার দুয়ারে আজও তিনি সংকোচ বশে ভিক্ষা করতে যেতে পারেন না। একসময় বৈষয়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরতপুররাজ-প্রেরিত ঘাতকরা তাকে খুন করার চেষ্টা করে এবং তার সঙ্গী রসোড়া নিবাসী রাধামোহন ঘোষ কে খুন করে তার মাথা কেটে নিয়ে ভরতপুররাজকে দেয়। আনন্দিত ভরতপুররাজ পরে অবশ্য বুঝতে পারেন ও দুঃখিত হন ।*
 এসব ঘটনা থেকে তাদের ঘরে মাধুকরী যেতেন না। এখন তার মনে হল এসব বিষম মানসিকতাই *বোধকরি গুরুকৃপা লাভের অন্তরায়।* 
 সঙ্গে সঙ্গে চললেন দ্বারে গিয়ে,- *রাধে  ..! শ্যাম....!!*

  *দারোয়ান গিয়ে বললেন,- মহারাজ! লালাবাবু এসেছে ভিক্ষার জন্য । শুনে তাড়াতাড়ি সোনার থালায় চাল, হীরা-জহরত নিয়ে আসলেন ভিক্ষা দিতে। লালাবাবু বললেন,- আমি ভিক্ষার জন্য এসেছি।এতো ভিক্ষা নয় ।*

 *আপনি ঠিক ধরেছেন এ ভিক্ষা নয়। আপনাকে ভিক্ষা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার কোথায়? রাজ-ভিখারী হয়ে আপনি আমাকে পরাজিত করলেন ।এ দ্বিতীয়বারের পরাজয়। এজন্য এটা আপনার উপঢৌকন।*

 *আমি আপনার দুয়ারে ভিক্ষার্থী । এর থেকে এক মুষ্টি চাল আমার ঝুলিতে দিন। আরও একটি ভিক্ষা আমার জানা অজানা কোন অপরাধ হলে তাও ক্ষমা করে দিন। ছুটে গিয়ে উভয়ে বাহুপাশে আবদ্ধ হলেন। উভয়ের অশ্রু-জলে উভয়ে অভিষিক্ত হলেন।*

 *ফিরে  আসছেন, দেখছেন সামনে সিদ্ধবাবা হাসিমুখে দণ্ডায়মান। বললেন তোমার সময় হয়ে গেছে, যাও যমুনায় স্নান করে এস। শুভ মুহূর্তে মন্ত্র দীক্ষা সম্পন্ন হলেন।* *গুরুদেব আদেশ করলেন গোবর্ধনে গিয়ে একান্ত ভজন করতে। যতদিন ইষ্ট্ সাক্ষাৎকার না হয়। কয়েক বছর সাধনার পরে ইষ্ট সাক্ষাৎকার হল।  তার নাম সুযশ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল ।*

*একবার সিন্ধিয়া-রাজ সদলে আসলেন দীক্ষা নেবার উদ্দেশ্যে। লালাবাবু বললেন,- যদি ভগবান পেতে চাও, তবে শুধু দীক্ষায় কাজ হবে না। এক হাতে বিষয়, ও অন্য হাতে ঠাকুরের চরণ ধরব, তা কখনওই হতে পারে না ।তুমি দুই হাত বাড়াতে প্রস্তুত আছ?*

 *ঠিকই বলেছেন,- এ রাস্তা সকলের জন্য নয়। এর জন্য চাই পূর্ব জন্মের সাধনা ও সুকৃতি ।এই বলে প্রণাম করে চলে গেলেন।*

 *একবার শেঠ পারখ্ জী বিশেষ ব্যাকুলতা প্রকাশ করে চিঠি লেখেন, দর্শনের জন্য। উত্তরে লিখলেন,- যদি বিষয়ীর বেষ ত্যাগ করে বৈরাগীর বেষে আসতে পারেন তবে দেখা হবে।*
একসময় গোয়ালিয়রের রানী দর্শনে আসেন ।দেখা করতে অস্বীকৃত হলে রানীও নাছোড়। তিনি দ্রুত গতি চরনে পড়তে গেলে, লালা ছুটে অন্যত্র যাওয়ার সময় রানী যে ঘোড়ার গাড়ি করে এসেছিলেন, সে ঘোড়া হঠাৎ সজোরে লাথি দেয়। মাটিতে পড়ে যান। ধরাধরি করে কুটিয়ায় এনে সম্ভাব্য চিকিৎসা ও সেবার ব্যবস্থা করা হয় ।কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সংবাদ পেয়ে শ্রীগুরুদেব সিদ্ধ কৃষ্ণদাস বাবা চলে আসেন। একান্ত বাৎসল্যভরে লালার মাথাটি কোলে নিয়ে বসেন । জিজ্ঞাসা করেন,-  এখন তোমার কি মনে হচ্ছে? তুমি মানস নয়নে কি দর্শন করছো?

*উত্তরে লালা বলেন,- তিনি কৃষ্ণচন্দ্রমা জীউর স্মরণ করছেন।শ্রীকুণ্ডতটে শ্রীযুগল কিশোরের লীলা মাধুরী দর্শন করছেন। ক্রমে অল্পকালের মধ্যেই ইষ্ট স্মরণ করতে করতে শ্রীগুরুদেবের দিব্য উপস্থিতিতে তার কোলে মাথা রেখে বাঞ্ছিত গতি লাভ করেন। তখন লালা বাবুর বয়স মাত্র ৪৬ বছর। ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে, জ্যৈষ্ঠী শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে।*
🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧      
⬇️⬇️⬇️এই লিখনী 📚 PDF 📚 ক্লিক করুন⬇️⬇️⬇️
 ✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
           ꧁ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস ꧂
নিবাস-শ্রীশ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর জন্মস্থান, একচক্রা, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ। 
DEMOCRATIC NITYANANDA (Facebook Group) 👉 https://www.facebook.com/groups/1370545549769377/?ref=share
 ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আমায় দেওয়া ওনার এই অমূল্য লিখনী সেবা, তা সকলের মধ্যে প্রকাশ করলাম। ওনার এই অমূল্য দান সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ অনন্তকাল মনে রাখিবে।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
  ✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧
    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 
                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*
              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
   💮❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀💮
✧═══════════•❁❀❁•═══════════✧


শেষ ৩০ দিনের পোস্টের মধ্যে সর্বাধিক Viewer নিম্নে :-

শ্রীকৃষ্ণ লীলা 🙏 সূচীপত্র ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_74.html

শিবরাত্রি ব্রতকথা 🙏 ১০৮ নাম 🙏 মন্ত্র সমূহ 🙏 শিবরাত্রি ব্রত কি ভাবে পৃথিবীতে প্রচলিত হল❓শিবরাত্রি ব্রত পালনে কি ফল লাভ হয় ❓শিবরাত্রি ব্রত পালন কি সকলেই করতে পারেন ❓🙏 সকল ভক্ত 👣 চরণে 👣 অসংখ্যকোটি 🙏 প্রণাম 🙏শ্রী মৃন্ময় নন্দী 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/02/shib.html

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নৌকা গঠন তত্ব ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/06/blog-post_22.html

🙇 রাধে রাধে 🙇 শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ 👏 হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।। 🙇 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/09/today.html

শ্রীঅম্বরীষ মহারাজের ছোট রানী 🙏 চারিযুগের ভক্তগাঁথা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/12/blog-post_97.html

মনোশিক্ষা 🙏 দ্বিতীয় ভাগ 🙏 শ্রীযুক্ত প্রেমানন্দ দাস ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/jaydeb_14.html

বকরূপী ধর্ম যুধিষ্ঠিরকে চারটি প্রশ্ন করেছিলেন সেই প্রশ্নই বা কি? ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/05/blog-post_98.html

শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু 🥀 সংক্ষিপ্ত কথন 🙏 প্রথম ভাগ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/01/mohaprobhu-joydeb-dawn.html

*নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং শুকমুখাদকমৃতদ্রবসংযুতম্।**পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরহো রসিকা ভূবি ভাবুকাঃ।।*✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ 🙏 এই লিংকে ক্লিক করুন ➡️ http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/blog-post_89.html

শ্রীআমলকী একাদশী ব্রতের মাহাত্ম‍্য কি ❓ ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী গোপীশরণ দাস 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/03/ekadoshi.html