🚩🚩🚩🙇🙇🙇 রাধে রাধে 🙇🙇🙇🚩🚩🚩
৪৮. নিধুবনে কৃষ্ণকালী লীলা ✍️ লিখনী সেবা- শ্রী জয়দেব দাঁ
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
সুরধূনী তীরে এক, উপবন হেরইতে,
রস ময় গৌর কিশোর।
মাঝ দিনহি তহি, হোয়ল উপনীত,
পূরবহি ভাবে বিভোর।।
অপরূপ গৌরাঙ্গ বিলাস।
গদাধর মুখ হেরি, থির নয়ন করি,
ছোড়ই দীঘ নিশ্বাস।।
খেনে পুন কহই, গদাধর পানে চায়,
অন্তরে না হবি তরাস।
দশনে চাপি রসনা, নয়ন খর তাড়ই,
খিল খিল অট্ট অট্ট হাস।।
চতুর ভকতগণ, পুনঃ পুনঃ পুছই
কিয়ে ভেল আজুক বাত।
শ্রীচৈতন্য দাস, মরম নাহি সমুঝিয়ে
রোয়ত শিরে দেও হাত।।
********************************
(1) গোঠে চলি গেল বিনোদ রায়।
সজল নয়নে কিশোরী চায়।।
বঁধূর বদন দেখিতে না পায়।
কি করি কি করি কাঁদিছে রাই।।
সখি কহে ধনি কাঁদিছ কেন।
আছয়ে যুকতি কহিয়ে শুন।।
দেব আরাধনা ছলনা করি।
আমরা যাই মিলিব হরি।।
এত শুনি রাই সখির মুখে।
সখি গলে ধরি বসিলা সুখে।।
হেথা ধেনু বৎস লইয়া কান।
দ্রুত চলি গেল গিরিগোবর্ধন।।
বিজন বনেতে চরয়ে ধেনু।
সখাগণ সঙ্গে খেলত কানু।।
দাদার নিকটে হোয় বিদায়।
কানন ভ্রমণ করিতে যাই।।
ভ্রমিতে ভ্রমিতে সুবল সঞে।
নিধুবনে যাই বসিলা রঙ্গে।।
রাধা রাধা বলি পূরিলা বেণু।
শুনি ধ্বনি ধনি অবশ তনু।।
সখিগণ কহে শুনহ রাই।
দেবতা পূজিতে চলহ যাই।।
শুনিয়া সখির ধরিলা হাতে।
শ্রীচৈতন্য দাস চলিলা সাথে।।
(2)ভানু পূজা ছলা করি,
চলিলে সুন্দরী,
গুরু জনে অনুমতি মাগি।
পূজা উপহার যত, নিজ নিজ অভিমত, লেয়ল কৃষ্ণ সেবা লাগি।।
সকর্পূর তাম্বুল নেল।
ধরিয়া সখির করে,বেণু ধ্বনি অনুসারে,নিধুবন মাহা চলি গেল।।
সুবল বুঝিয়া কাজ,লুকাইল কুঞ্জের মাঝ,একাকি রহল শ্যামরায়।
হেরি রাইমুখ ইন্দু,উছলিল প্রেমসিন্ধু
আগুসারি আনিবারে ধায়।।
ধেয়ে যেয়ে আলিঙ্গন,পুনঃপুনঃ নিরক্ষণ,পুন পুন করু কত দৈন্য।
চৌদিগে সখির ঠাট,মিলিল চাঁদের হাট,শ্রীচৈতন্যদাস হৈল ধন্য।।
(3)দিনমণি কিরণে,মলিন মুখমন্ডল
ঘামে তিলক বহি গেলা।
চরণ কমল তল,তপত পথ বালুক,
আতপ দহন সম ভেলা।।
হেরইতে শ্যামরু চন্দ।
কোরে আগোরি, গোরি মুখ মুছত,
বসন ঢুলাওত মন্দ।।
কর্পূর তাম্বুল, অধরহি দেয়ল,
চন্দন লেপয়ে অঙ্গে।
শ্যামর অঙ্গ, পরশে নব নাগরী
উপজল প্রেম তরঙ্গে।।
কুঞ্জ কুটীর ঘর, শেজ মনোহর
মধুকর ধরু শ্রুতিভাষ।
গৌরী শ্যাম দুঁহু, করল কুতূহল
কহতহি গোবিন্দ দাস।।
(4)বৃন্দার সেবিত বন,নিধুবন কানন
যাহা বিলসয়ে রাধাশ্যাম।
ষড়ঋতু এককালে, আসিয়া সেখানে মিলে,নিতি নবলীলা অনুপম।।
রতন মন্দিরে মনোহর।
তার মাঝে রত্নাসনে,বসিলা আনন্দ মনে,ভোজন করিতে গিরিধর।।
সেবার সামগ্রী যত,লাড্ডুকাদি কত শত,গৃহ হৈতে এনেছিল রাধা।
কাঞ্চন থারি ভরি,যোগাওল সহচরী
দেখিতে পূরয়ে মন সাধা।।
দেব ভোজ্য বস্তু দেখি,কৃষ্ণ হৈলা মহা সুখী,তোষিতে শ্রীরাধার মন।
নানা রহস্য প্রসঙ্গে,ভোজন করিয়া রঙ্গে,অবশেষে করিলা জলপান।।
ভোজন হইল সায়,আচমন প্রেমসেবা
করে সখি বৃন্দ।
বঙ্ক বিহারী,কবে পাবে,চামর ঢুলাইবে মন্দ।।
######################
(5)গোবিন্দ ভোজন হইল সাঙ্গ।
বৈঠল রাই সখির সঙ্গ।।
তাম্বুল দেওল বঁধুর মুখে।
প্রসাদ আনিয়া মনের সুখে।।
সখি সঙ্গে মহাপ্রসাদ পাই।
আনন্দ সায়রে সাঁতারে রাই।।
ধরিয়া সুন্দরী বঁধূর করে।
উঠিলা রতন বেদীর পরে।।
নবঘন যেন বিজুরী সনে।
ভূতলে নামিলা আপন মনে।।
বঁধূ গলে ধরি বসিলা রাই।
রূপের তুলনা জগতে নাই।।
কিবা অপরূপ দুহুঁক রূপ।
অমিয়া পাথারে রসের কূপ।।
সখিগণ মেলি করত ভঙ্গ।
কতহুঁ রভস কতহুঁ রঙ্গ।।
ময়ুরা ময়ূরী আসিয়া কাছে।
ঘুরিয়া ঘুরিয়া দুজনা নাচে।।
শারী শুকগণ করত গান।
ভ্রমরা ভ্রমরী ধরত তান।।
গাওত কোকিলা মধুর গীত।
রাই কানু শুনি পাওল প্রীত।।
ককখটি কহে কুটিলা এলো।
শুনি সুবদনী চঙক গেল।।
এদাস বঙ্ক বিহারী কয়।
যোগমায়া আছে কিসের ভয়।।
(6)কুটিলা কহিছে,আয়ানের কাছে
সকলি আমারি দোষ।
তোমার বধূর, যত লীলা খেলা,
শুনিলে করিবা রোষ।।
দেখে এলাম নিধুবনে।
কুল কলঙ্কিনী, কাননে যাইয়া
খেলিছে কালার সনে।।
শুনিয়া আয়ান, রুষিয়া ধাইল,
করেতে লইয়া অসি।
পাছেতে কুটিলা, চলিলা ধাইয়া,
মনেতে হৈয়া খুশী।।
গর্জিয়া আয়ান, ধাইয়া আসিছে,
দেখিতে লাগয়ে ডর।
শ্রীচৈতন্য দাস, কহয়ে গোবিন্দ
রাখহ রাধার ঘর।।
(7)কৃষ্ণকালী রূপ দেখি,
আয়ান হইল সুখি,
কুটিলারে ক্রোধ করি কয়।
তুইত কুটিল মতি,ঘর ভাঙ্গাইতে যুক্তি
এ বুদ্ধি দিলেক কেবা তোয়।।
স্ত্রী হত্যা পাতকে করি ভয়।
তেই তোর প্রাণ বাঁচে,
নতুবা চন্ডীর কাছে,
নহে বলি দিতাম নিশ্চয়।।
কুটিলার হৈল ডর, ভয়ে কাঁপে কলেবর,ঘর মুখে গেল পলাইয়া।
আয়ান হৈল শান্ত, ছুটিল আয়ানের ভ্রান্ত,কহে কিছু দৈন্য করিয়া।।
কে বলে রাই কলঙ্কিনী,
সতী কুলের শিরোমণি,
দেবী পূজি মোরে কৈল ধন্য।
শ্রীচৈতন্যদাস ভাষে,
গলে লগ্নকৃত বাসে,
কালীকারে করে কিছু দৈন্য।।
(8)নিজ ইষ্টদেবী আয়ান দেখি,
প্রেমে পুলকিত সজল আঁখি।
মনের আবেগে দেবীর কাছে।
করতালি দিয়া আয়ান নাচে।।
হাসিছে কাঁদিছে যাই গড়াগড়ি।
পুন পুন উঠি রহে করজোড়ি।।
স্তব স্তুতি করি কহিছে যা।
শুনিতে শিহরী উঠিছে গা।।
সচন্দন পুষ্প পাত্রেতে দেখি।
আয়ান মনেতে হইয়া সুখি।।
কৃষ্ণকালী পদে অঞ্জলি দিল।
অষ্টাঙ্গে পড়িয়া প্রণতি হৈল।।
দেবীর আগেতে মাগে বিদায়।
রাধার অগ্রেতে দাঁড়ায়ে কয়।।
মোর কুলে তুমি রাখিলা যশ।
যে হেতু চন্ডীকা তোমার বশ।।
না জানিয়া লোকে ঘোষয়ে দোষ।
তা শুনিয়া তুমি না কর রোষ।।
দুষ্টলোকে যত কহয়ে মন্দ।
আজু হৈতে মোর ঘুচিল ধন্দ।।
যা বলুক বলে গোকুলের লোকে।
সে সকল দোষ খেমিবা মোকে।।
এতবলি আয়ান ঘরেতে গেল।
শুনিয়া রাধা হরিষ ভেল।
বঁধূর গলেতে ধরিলা রাই।
হাসি হাসি দুহেঁ বদন চাই।।
নিধুবনে কৃষ্ণকালী বিলাস।
কবহঁ হেরব চৈতন্য দাস।।
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
আয়ান মায়ের কাছে স্তব করেছিল।
জয় জয় জগৎ - জননী।
যম ভয় হর, তারা ত্রিগুণধারিণী।।
ভৈরবী ভবানী ভীমা,
অন্নদা অম্বিকা উমা,
শিব সিমান্তনী শ্যামা,শ্মশান বাসিনী।
বিশ্বরূপ বিশ্বোদরী,
পরমা পরমেশ্বরী,
দেবারাধ্য দিগম্বরী দনুজ দলনী।।
আদ্যাশক্তি মহামায়া,
কে বুঝে গো তব মায়া,
নিজ গুণে কর দয়া করাল-বদনী।
কৃষ্ণকালীর যুগল চরণ,
দাস পীতাম্বর করে সাধন,
ভব ভয়ে করবে তারণ তারা ত্রিনয়নী।।
গৌরচন্দ্রিকা (দুই)
একবার এসো গৌর গুণমণি।
আমি মনের সাধে পূজব রাঙ্গা চরণ দুইখানি।।
এসো নিত্যানন্দ সনে,গদাধর লয়ে বামে,
সম্মুখে অদ্বৈত প্রভু দাঁড়াও হে আপনি।।
শ্রীবাসাদি ভক্তবৃন্দ,হইয়া পরমানন্দ,আমি পড়ি গিয়ে চরণতলে লোটায় ধরণী।।
আসিয়া অবনীতলে,কত পাপী তরাইলে,দীনবন্ধুবলে,থাকব পড়ি একাকী আমি।।
#######################
ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয়
*••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••*