শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚🐚

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

 🔙 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 ষষ্ঠ ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2023/11/jagannath6.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬১. সোনার গৌরাঙ্গ মন্দির 🌻পুরীর সমুদ্র সৈকত বা চক্ৰতীৰ্থ সৈকত 🐚 শ্রীক্ষেত্রে দর্শনীয় স্থান(৮) 🌼 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

সোনার গৌরাঙ্গ মন্দির- জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত, সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি রয়েছে সোনার গৌরাঙ্গ মন্দির। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, এই মন্দির চক্রতীর্থ রোডে অবস্থিত। মন্দিরটি গৌরাঙ্গ অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুকে নিবেদিত এবং একটি শ্রীবিগ্রহ এখানে স্থাপিত রয়েছে বলে মন্দিরটির নাম "সোনার গৌরাঙ্গ"। মন্দিরটিতে ভগবান শ্রীরাম,  জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার উপাসনালয় রয়েছে, পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর অন্যান্য অবতারের শ্রীবিগ্রহ রয়েছে। মন্দিরটির প্রবেশদ্বারে দুটি সিংহের মূর্তি রয়েছে। 

পুরীর সমুদ্র সৈকত বা চক্ৰতীৰ্থ সৈকত – জগন্নাথ মন্দির

থেকে দক্ষিণ প্রান্তে কিছু দুরত্বেই অবস্থিত পুরীর সমুদ্র সৈকত বা চক্ৰতীৰ্থ সৈকত। সমস্ত সৈকতই পুরীর সমুদ্র সৈকতের অংশ, কিন্তু চক্ৰতীৰ্থ নামে যে সৈকত সেটিই আসলে পুরী সমুদ্র সৈকত নামে বেশি পরিচিত।  কথিত আছে দেব-দেবীগণ নিত্য এই ক্ষেত্রে স্রানাদি করে থাকেন বলে এই ক্ষেতে স্রানাদিতে বহু পূর্ণ ফল অর্জিত হয়। সমুদ্রদেব কখন কোন কিছুই গ্রহণ করেন নাই তাই এই ক্ষেত্রেই তাহার নমুনা পাওয়া যায়। তবে এই ক্ষেত্রের সৈকত উত্তাল তাই সাবধান অবলম্বনে এই ক্ষেত্রে শ্রান করতে হয়।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬২. গৌড়বিহার আশ্রম 🌼 দশাবতার মন্দির 🌼 জটিয়া বাবার সমাধি মন্দির 🐚 শ্রীক্ষেত্রে দর্শনীয় স্থান(৯) 🌼 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

গৌড়বিহার আশ্রম - জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে গৌড়বিহার আশ্রম অবস্থিত। এই মন্দিরটির বিশেষ আকর্ষণ এখানে হনুমান, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরামের এবং অন্যান্য দেবদেবীর বিভিন্ন সুন্দর মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তি ও ভাস্কর্যের দ্বারা শ্রীকৃষ্ণের জীবনবৃত্তান্তকে তুলে ধরা হয়েছে। অনেকের মতে বৃন্দাবন ঘোরার অভিজ্ঞতা লাভ করা যায় এখানে, তাই এই আশ্রমের নাম গুপ্তবৃন্দাবন বা গৌড়বিহার আশ্রম নামে পরিচিত।  

দশাবতার মন্দির - গুন্ডিচা মন্দিরের কাছে দশাবতার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। দশাবতার অর্থে বিষ্ণুর দশ অবতার। এই মন্দিরটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এখানেই নাকি গীতগোবিন্দের কবি জয়দেব থাকতেন। দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরটি তাই মহান কবি জয়দেবকেই উৎসর্গ হয়েছে। রথযাত্রার সময় এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়। 

জটিয়া বাবার সমাধি মন্দির- জগন্নাথ মন্দির থেকে কিছু দূরেই অবস্থিত জটিয়া বাবার সমাধি মন্দির এবং কুলদানন্দ ব্রহ্মচারীর আশ্রম। এটি সমাজসংস্কারক শ্রীল বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর সমাধিস্থল। বকুল গাছের শোভা লক্ষিত হয় এখানে। অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া এই স্থানটি মনকে শান্ত করে। জটিয়া বাবার সমাধি মন্দিরের উল্টোদিকেই রাস্তার অপরপাড়ে রয়েছে বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর শিষ্য কুলদানন্দ ব্রহ্মচারীর আশ্রম। 

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬৩. শ্রীজগন্নাথদেবের রথ মাহাত্ম্য 🐎 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

শ্রীজগন্নাথদেবের রথ মাহাত্ম্য :-

 🐎🐎🐎🐎🐎🐎🐎🐎🐎🐎

___________________________

শ্রীজগন্নাথ, শ্রীবলরাম, সুভদ্রা দেবীর প্রত্যেকের জন্য তিনটি রথ প্রতি বৎসর নূতন করিয়া নির্মিত হয়। পূর্বে জগন্নাথ মন্দির হইতে গুন্ডিচা মাসির বাড়ি পর্যন্ত যাইবার সময় একটি নদী থাকিবার কারণে পূর্বে ছয়টি রথ নির্মাণ করা হতো। 

শ্রীজগন্নাথ দেবের রথ ২০৬ টি কাঠ দিয়া নির্মিত হয়ে থাকে যা নরদেহের ২০৬ টি হারের অনুরূপ। রথের ১৬টি চাকা যা ৫টি জ্ঞানেন্দ্রিয় ৫টি কর্মেন্দ্রিয় ও ৬টি রিপুর প্রতীক। শ্রীজগন্নাথদেবের রথের নাম: 'শ্রীনন্দীঘোষ বা গরুড়ধ্বজ। রক্ষক গরুড়। ধ্বজা ত্রৈলক্যমোহিনী(হনুমান থাকেন বলে কপিধ্বজ ও বলে)। সহযাত্রী মদনমোহন। সারথি দারুক।বস্ত্র লাল ও হলুদ। চারটি শ্বেত অশ্ব রথে থাকে। রথের রাশি: শঙ্খচূড় নাগুনি। 

সুভাদ্রা দেবীর রথের নাম শ্রী দর্পদলন/পদ্মধ্বজ রথ।  সহযাত্রী সুদর্শন। সারথি সুভদ্ৰাপতি 'অর্জুন'। বস্ত্র লাল ও কাল। চারটি খয়েরি রঙা অশ্ব । ধ্বজা 'নাদম্বিকা'। রথের রাশি স্বর্ণচূড় নাগুনি। ১২টি চাকা।

প্রভু বলভদ্র দেবের রথের নাম শ্রী তালধ্বজ/হলধ্বজ রথ। সহযাত্রী রাম-কৃষ্ণ। সারথি 'মাতলি'। বস্ত্র লাল ও সবুজ  রথের রাশি 'বাসুকি নাগুনি' চারটি কালো ঘোটক রথে থাকে। ১৪টি চাকা থাকে। রথরক্ষী বাসুদেব। ধ্বজা উন্যানী।

রথযাত্রার সময় জগন্নাথ, ও তাঁহার ভ্রাতাভগ্নীকে রথারোহণে মন্দির হইতে এক মাইল দূরস্থিত উদ্যান-গৃহ- মন্দিরে আনা হয় যথা গুণ্ডিচা মাসির বাড়ি। রথযাত্রার চতুর্থ রজনীতে লক্ষ্মীদেবীকে জগন্নাথ দর্শনার্থ এই স্থানে লইয়া যাওয়া হয়। ইহাকে “হেরাপঞ্চমী” কহে । এই উদ্যান বৃক্ষলতাদি দ্বারা শোভিত এবং ১৫ ফুট উচ্চ প্রাচীর দ্বারা চতুৰ্দ্দিক বেষ্টিত। রথের প্রথম দিবস বহুসংখ্যক অত্ৰত্য আদিম অধিবাসীদের সাহায্যে রজ্জুবন্ধনে জগন্নাথ ও বলরামকে উত্তোলন করা হয়। ভগ্নী সুভদ্রাদেবীকে পাণ্ডাগণ ক্রোড়ে করিয়া রথে আরোহন করেন। যে সকল লোক দ্বারা জগন্নাথ ও বলরামকে তোলা ও রথ টানা হয়। তাহাদিগকে “দৈত্য” বলে। দৈত্যগণ নানাপ্রকার কার্য্যের জন্য স্থায়ী ভৃত্যরূপে নিযুক্ত। সেবার জন্য ৪০০০ দৈত্য বা ভৃত্য আছে। রথ ৩৫ ফুট প্রস্থ ও ৪৫ ফুট উচ্চ। ৭ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট। ৪২০০ লোক কর্তৃক রাজার উপস্থিতিতে রথ টানা হয় শ্রীমূর্ত্তি ৭ দিন পরে মন্দিরে পুনরায় আনা হয়। ইহাকে “পূর্নযাত্রা” বা উল্টো রথযাত্রা কহে।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬৪. মহর্ষি মার্কণ্ডের মাহাত্ম্য 🐎 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

মহর্ষি মার্কণ্ডের মাহাত্ম্য:-

মহর্ষি মার্কণ্ডেয় কঠোর তপস্যা দ্বারা সপ্তকল্প পরিমিত পরমায়ু লাভ করিয়াছিলেন এজন্য যখন মহাপ্রলয়ে সমস্ত জীবজন্তু বিনাশ প্রাপ্ত হয়, তখনও তিনি জীবিত ছিলেন । যখন পৃথিবী জলমগ্ন হইল তখন তিনি অতিশয় ক্লিষ্ট হইয়া নিখিল জলরাশির অচ্যুত ঊর্মিমালা সহ ভাসিতে ভাসিতে শ্রীক্ষেত্রসন্নিকটবর্তী হইলে নীলপর্ব্বতোপরি অক্ষয়বট তাঁহার নেত্রগোচর হইল । তিনি আশ্রয়লাভের আশায় আশান্বিত হইয়া তথায় উপস্থিত হইলেন । কেনই বা এই বটবৃক্ষ সমুদ্র জলে নিমগ্ন হয় নাই এই বিষয় চিন্তা করিতেছেন, এমন সময়ে এই নিৰ্জ্জনতা ভঙ্গ করিয়া এক বালককণ্ঠোচ্চারিত শব্দ তাহার কর্ণ বিবরে প্রবিষ্ট হইল তিনি সবিস্ময়ে শুনিলেন, বৃক্ষোপরি হইতে কে যেন বলিতেছে- হে মার্কণ্ডেয় ! শোক করিওনা আমার নিকট আসিয়া তোমার ক্লেশাপয়ন কর । ক্ষণকাল পরে পুনরায় পূর্ব্ববৎ স্বরশ্রুত হইল, তখন বৃক্ষসন্নিকটে অধিকতর অগ্রসর হইলে তন্মূলদেশে ভগবানের নীলেন্দ্রমণিময় নীলমাধব মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত ও বহু স্তবস্তুতি করিতে লাগিলেন । ভগবান কহিলেন, বৎস, বৃক্ষোপরি যে সৰ্ব্বকালাত্মা বালকমূৰ্ত্তি শায়িত আছেন তুমি তাঁহার বদন-যোগে উদর মধ্যে গমন করিয়া তথায় অবস্থান কর । মার্কণ্ডেয় ইহাতে অধিকতর চমৎকৃত ও কৌতুহলাবিষ্ট হইয়া বৃক্ষোপরি আরোহণপূর্ব্বক পত্র-সম্পুটস্থ এক অতি সুন্দর বালকমূর্তি অবলোকন করিয়া তাঁহাকে প্রণাম করিয়া ও স্তবস্তুতি করিয়া তাঁহার বহায়তনবিষিষ্ট বদন-ব্যাদন যোগে উদরে প্রবেশ করিলেন । তদনন্তর তথায় অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডদেব-দানব, মানব, যক্ষ, রক্ষ, গন্ধর্ব্ব, জীব জন্তু, পৰ্ব্বত, পাহাড়, সরিৎ সিন্ধু বৃক্ষলতা প্রভৃতি দেখিতে পাইলেন । বহুকাল মার্কণ্ডেয় বালকের উদর মধ্যে ইতস্তঃত পৰ্য্যটন করিলেন কিন্তু কিছুতেই কুক্ষিসীমা প্রাপ্ত হইলেন না পরিশেষে উদর হইতে বহির্গত হইয়া নিম্নে অবরতণপূর্ব্বক ভগবানের আদেশ মত তথায় চিরকাল অবস্থান করিতে লাগিলেন। 

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬৫. ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজার বিবরণ ও মাহাত্ম্য(১) 👑 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজার বিবরণ ও মাহাত্ম্য:-

ব্রহ্মার অন্যতম পঞ্চম পুরুষ পরম ভক্ত মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন সত্যযুগে সূর্য্যবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । মালবদেশে অবন্তী নগর তাঁহার রাজধানী ছিল । এক সময়ে এক পরিব্রাচক প্রমুখাৎ নীলাচলস্থিত অক্ষয়বটমূলে নীলেন্দ্রমণিময় ভগবান নীলমাধবের স্থিতি-সন্দেশ শ্রবণে শ্রীক্ষেত্র সন্দর্শনার্থ স্বীয় পুরোহিতের ভাতা বিদ্যাপতিকে সানুচর তথায় প্রেরণ করেন । তিনি বিশ্বাবসু নামে এক শবর কন্যাকে বিবাহ করিয়া তাহার যত্নে ও কৌশলে বহু ক্লেশে নীলমাধব দর্শন করিয়া প্রত্যাগত হইলে মহারাজ স্বীয় পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, অমাত্যপরিষদ, প্রজাবর্গ ও সৈন্যসামন্ত সমভিব্যাহারে শ্রীক্ষেত্রে গমন করিয়া চিরজীবন তথায় বাস করিবার জন্য যাত্রা করিলেন । নারদও তাঁহাদের সাহায্যার্থে গমন করিলেন । তাঁহারা পথমধ্যে এক আম্রকাননে ভুবনেশ্বর মহাদেব ও কপোতেশ্বর মহাদেব দর্শন করিয়া বিশ্বেশ্বর মহাদেবের নিকট শিবের সংস্থাপন করিলেন এমন সময় তাঁহার বামাঙ্গ বারংবার স্পন্দিত হইতে দেখিয়া বিপদাশজ্ঞায় ভীত হইয়া নারদকে তদ্বিষয় জানাইলেন । নারদ কহিলেন সকল শুভকার্য্যই বাধাবিঘ্ন-পরিপূর্ণ । আমাদের এই সদনুষ্ঠানেও বিষম বিঘ্ন ঘটিয়াছে, যেদিন বিদ্যাপতি নালেন্দ্রমণিময় ভগবান নীলামাধবমূৰ্ত্তিদর্শন করিয়া প্রত্যাগমন করেন, সেই দিবাদেশে প্রবল ঝটিকাযোগে সমুদ্রের বালুকারাশি দ্বারা নীলাচল আবৃত ও নীলমাধব প্রোথিত হইয়া পাতালে প্রবেশ করিয়াছেন । সুতরাং আপনার অদৃষ্টে তাঁহার দর্শন লাভ করা হইল না । মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন নারদমুখে এই সংবাদ শ্রবণমাত্র মূলোৎ পটিত মহীরূহসদৃশ শোকে মূৰ্চ্ছিত হইয়া ভূতলে পড়িলেন । মহর্ষি নারদ বহুযত্নে ইন্দ্রদ্যুম্নের চৈতন্য সম্পাদনান্তর নানা প্রকার সান্ত্বনা ও প্রবোধ দিতে দিতে কহিলেন, যদিও আপনি নীলামাধবমূর্ত্তিদর্শন করিতে পারিলেন না কিন্তু তাঁহার দারুময় চারি মূর্ত্তিদর্শনে আপনার মনস্কাম পূর্ণ হইবে । এক্ষণে সেই বিশ্বপতির প্রীত্যর্থে সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করুন । যজ্ঞ সমাপনান্তে আপনি সফল মনোরথ হইবেন । মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন শোকাবেগ সম্বরণ করিয়া সদলে দেবর্ষির সহিত নীলকণ্ঠ মহাদেবকে দর্শন করিয়া তৎ সন্নিহিত সমতল ক্ষেত্রে অশ্বমেধ যজ্ঞের স্থান নিরূপিত করিলেন । পরে দেবর্ষির দৈবশক্তিবলে সকলে নীলপৰ্ব্বত অধিরোহণ করিয়া তাঁহার উপদেশেনুসারে নৃসিংহদেবের ও জগন্নাথদেবের পূর্ব্ব অবস্থান স্থল দেখিয়া তদুদ্দেশ্যে ভক্তিবিগলিত চিত্তে বারংবার প্রণাম ও স্তবস্তুতি করিতে লাগিলেন; এমন সময় আকাশবানী হইল হে নরপতি ! তুমি চিন্তিত হইও না, আমি যথাসময়ে তোমায় দর্শন দিব । নারদ তোমাকে যে ব্রহ্মবাক্য বলিয়াছেন এক্ষণে তদনুযায়ী যথানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হও। তদনন্তজ মহারাজ, ইন্দ্রাদি দেবগণ সাহায্যে সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞ আরম্ভ করিলেন । ইহা সহস্র বৎসর ধরিয়া মহাসাগরের সহিত সমাধ্য হইয়াছিল । যজ্ঞ সমাপনান্তে একদা রাত্রিশেষে তিনি স্বপ্নে এক অতি আশ্চর্য্য ব্যাপার দর্শন করিলেন-----

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬৬. শ্রীবিশ্বকর্মা কর্ত্তৃক শ্রীবিগ্রহ নিৰ্ম্মাণ ⚒️ শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

দেখিলেন ক্ষীর সমুদ্র মধ্যস্থ স্ফুটিক নিৰ্ম্মিত শ্বেতদ্বীপে শঙ্খচক্রাদি চিহ্নিত বহুসংখ্যক কল্পবৃক্ষ এক রত্নসিংহাসনোপরি অক্ষয় বিষ্ণুমূর্ত্তি ভগবানের দক্ষিণ পাশে লক্ষ্মিদেবী সম্মুশে পিতামহ ব্রহ্মা কৃতাঞ্জলিপূটে দণ্ডায়মান দেখিয়া মহারাজ স্বপ্নাবস্থায় ভগবানের ধ্যান করিতে লাগিলেন । রজনী শেষে সানন্দে স্বপ্নবৃত্তান্ত নারদ সমীপে ব্যক্ত করিলেন । ইহাতে নারদ বলিলেন, সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞজনিত পূণ্যফলে স্বপ্ন দেখাতে দশাহ মধ্যে আপনার অভিলাষ পূর্ণ হইবে ।

একদিন কতিপয় লোক মহারাজ সমীপে নিবেদন করিল যে, সমুদ্রের তটে একটি বৃক্ষ দেখা গিয়াছে উহার অগ্রভাগ সমুদ্রজলে নিহিত কিন্তু মূলদেশ স্নান-গৃহ সন্নিকট আসিয়াছে, উহা কৃষ্ণবর্ণ ও শঙ্খচক্রাদি চিহ্নে চিহ্নিত । ইহার তেজ ও সুগন্ধে চতুৰ্দ্দিক আচ্ছাদিত ও আমোদিত হইতেছে । মহারাজ এতশ্রবণে অত্যন্ত চমৎকৃত হইয়া দেবর্ষি নারদকে কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। দেবর্ষি বলিলেন, স্বপ্নে আপনি যে বিষ্ণুরূপ দর্শন করিয়াছিলেন, তাঁহারই অঙ্গচ্যুত রোম বৃক্ষরূপে আসিয়াছেন । ইহা দ্বারা স্বপ্নে যেরূপ মূর্ত্তি দেখিয়াছিলেন সেই মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইয়া ভগবান দেখা দিবেন । পরে উভয়ে সমুদ্রতীরে গমন করিয়া দারুব্রহ্মের অর্চ্চনা-পূজাদি করিয়া বেদীর উপর মহাসমারোহে স্থাপন করিয়া এবং অত্যন্ত বিস্ময়াবিষ্ট চিত্তে চিন্তা করিতে লাগিলেন, কিরূপে বিষ্ণুমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইবে । এমন সময়ে এক আকাশবাণী হইল, সেই ভগবান নিজেই আপনার প্রতিমূর্ত্তির বিষয় বিচার করিয়া আবৃত ও নিভৃত মহাবেদীতে আবির্ভূত হইবেন । তোমরা এক পক্ষ কাল বেদীগৃহ সম্পূর্ণভাবে আবৃত করিয়া রাখ । যে দীর্ঘহন্ত কৃষ্ণ পুরুষ আসিতেছেন, তাঁহাকে গৃহমধ্যে প্রবেশ করাইয়া উত্তমরূপে দ্বার বন্ধ করিয়া দাও গৃহমধ্যে অন্য কেহ প্রবেশ করিও না । যাবৎ এই ঘটনা সম্পন্ন না করা হয় তাবৎ বাহিরে নানা প্রকার বাদ্য বাজনা করিতে থাক । যেহেতু এই ঘটনা শব্দ শ্রবণ অথবা দর্শন মহা অনিষ্ট হইবে । পরে নারায়ণ শ্রীবিশ্বকর্মাদেবকে শ্রীবিগ্রহ নির্মাণের জন্য পাঠালেন। শ্রীবিশ্বকর্মাদেব মহারাজকে কহিলেন, আপনি স্বপ্নে যে সকল মূর্তি দেখিয়াছিলেন, আমি এই দিব্যরূপ দারু কাষ্ঠ দ্বারা শ্রীবিগ্রহ নিৰ্ম্মাণ করিব । তদনন্তর তিনি বেদীমধ্যে যথা শ্রীবিগ্রহ নির্মাণ কক্ষে প্রবেশ করিলেন । পরে আকাশবাণী নিৰ্দ্দেশানুসারে দ্বার বন্ধ ও বাদ্য বাজনা হইতে লাগিল । কিয়দ্দিবস এইরূপ অতিবাহিত হইলে এক আশ্চর্য্য দিব্য গন্ধ অনুভব হইল । 

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬৭. শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা 💮 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

মন্দার কুসুম বৃষ্টি ও দিব্য সঙ্গীত হইতে লাগিল । দেবগণ বেদীর সম্মূখে আসিয়া ভগবানের স্তব করিতে লাগিলেন। এইরূপে পঞ্চদশ, দিন আগত হইলে গৃহদ্বার উদ্ঘাটিত হইল । রত্নময় বেদীর উপর জগন্নাথ বলরাম মধ্যে সুভদ্রা ও বামপার্শ্বে সুদর্শন চক্র এই চারি মূর্ত্তি প্রকাশিত হইল ।জগন্নাথদেবকে নীলবর্ণে, বলরামকে শুভবর্ণে ও সুভদ্রাদেবীকে কুসুমবর্ণে রঞ্জিত ও পট্টবস্তে আচ্ছাদিত করা হইল । তদনন্তর নীল পর্ব্বতের শিখরে অক্ষয়বটের বায়ুকোণে সিংহদেবের শতহন্ত অন্তরে বিস্তৃত ভূমিতে এক মনোহর মন্দির নির্ম্মাণ আরম্ভ করিলেন । সহস্র হস্থউচ্চ ও সহস্র হস্থ আয়তনবিশিষ্ট মন্দির নির্ম্মাণ কার্য্যে মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন সহস্র শিল্পী নিযুক্ত করিলেন । যখন দেখিলেন মন্দির নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে তখন অবশিষ্ট কার্য্যের ভার অমাত্যবর্গের উপর অর্পণ করিয়া মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন দেবর্ষি নারদের উপদেশে প্রতিষ্ঠার্থ ব্রহ্মাকে আনয়ন জন্য মুনিসহ রথারোহণে ব্রহ্মলোকে যাত্রা করিলেন । পরে মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন সত্যলোক স্বর্গ প্রাসাদের দ্বারে সমুপস্থিত হইলে দেবর্ষি নারদ পিতার অনুমতিক্রমে নৃপতিকে তৎ সন্নিধানে আনয়ন করিলে রাজা ব্রহ্মার পাদপদ্মে করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে দণ্ডায়মান রহিলেন, তখন তথায় হরি-সংকীৰ্ত্তন হইতেছিল। কীৰ্ত্তন শেষ হইলে ব্রহ্ম ইন্দ্রদ্যুম্ন আগমন কারণ অবগত হইয়া কহিলেন, হে নৃপতি! তুমি যে অল্পকাল এখানে রহিয়াছে ইহা এখানে অল্প হইলেও পৃথিবীতে শত শত বৎসর । এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে মহাপ্রলয় ঘটিয়া গিয়াছে । তোমার রাজ্য, পরিবার, সৈন্য সামন্ত সমস্ত নষ্ট হইয়াছে । কেবল তোমার নির্ম্মিত মন্দির ও চারি মূর্ত্তি অদ্যাপি বিদ্যমান আছেন । তুমি দেবগণসহ তথায় যাইয়া প্রতিষ্ঠার উপকরণাদি সংগ্রহ কর আমি শীঘ্রই তথায় যাইবো । এদিকে ইন্দ্রদ্যুম্ন দেবগণ ও প্রতিষ্ঠার উপযোগী সকল বিষয় লইয়া নীলাচলে আসিয়া দেখিলেন যে মন্দিরে মাধব মূৰ্ত্তি অধিষ্ঠিত আছেন । ইহার কারণ অবধারণে অসমর্থ হইয়া তিনি অক্ষয়বটের সন্নিধানে একটি ক্ষুদ্র মন্দির নির্ম্মাণ করিয়া তন্মধ্যে সে মূর্তিরক্ষা করিলেন । পরে গালব রাজা শ্রীমন্দির হইতে মাধবমূর্তি অপসারণ সংবাদ লোকমুখে শ্রবণ করিয়া অতীব ক্রোধান্বিত হইয়া সসৈন্যে যুদ্ধার্থ নীলপর্ব্বতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । কিন্তু যখন মন্দিরাদি সংক্রান্ত পূর্ব বৃত্তান্ত সমস্ত অবগত হইলেন, তখন ক্রোধের পরিবর্ত্তে আনন্দিত হইয়া মহারাজের আশ্রিত সেবকের ন্যায় প্রতিষ্ঠাদি কাৰ্যে নিযুক্ত হইলেন। তাঁহার বহুসংখ্যক লোকজন ছিল, তিনি তাহাদিগকে এই মহৎ কার্যে নিযুক্ত করিলেন । এইরূপ প্রতিষ্ঠার আয়োজনাদি সমস্ত সংগৃহীত হইলে এবং দেবতাগণ নিমন্ত্রিত হইয়া আগমন করিলে ব্রহ্মা হংসরথে তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তখন ভগবানের চারি দারুময় মূর্তি গুণ্ডিচা বাড়ীতে ছিল । ব্রহ্মা সেই মূৰ্ত্তি চতুষ্টয়কে প্রথমতঃ পরিমার্জ্জিত রঞ্জিত করিয়া পট্টবস্ত্র ও নানাপ্রকার অলঙ্কারাদিতে বিভূষিত করণান্তর শ্রীমন্দিরে লইয়া যাইবার নিমিত্ত রথ প্রস্তুত করাইলেন । ভগবানের রথ গরুড়ধ্বজরূপে, বলরামের রথ তালধ্বজরূপে ও সুভদ্রার রথ পদ্মধ্বজরূপে চিহ্নিত করা হইল । পরে রথারোহণে তাঁহাদিগকে মন্দিরে আনিয়া সমুদ্রজলে অভিষেক করাইয়া ব্রহ্মা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত করা হইল ।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬৮. গালব রাজার বিবরণ ও মাহাত্ম্য 💮 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

গালব রাজার বিবরণ ও মাহাত্ম্য:-

মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন মন্দির নির্ম্মাণ কার্য্য প্রায় শেষ করিয়া প্রতিষ্ঠার্থ ব্রহ্মাকে আনিবার জন্য ব্রহ্মালোকে যাইবার পর‌ প্রলয় সংঘটনে সমুদ্রের বালুকা দ্বারা নীলাচল আচ্ছাদিত হইয়া গিয়াছিল । কালে তথায় বৃক্ষলতা হইয়া হিংস্ৰ শ্বাপদদিগের আবাসস্থল হইয়া উঠিল । অনন্তর একদা গলমাধব নামে এক রাজা মৃগয়ার্থ শ্রীক্ষেত্র গমন করিয়াছিলেন । তিনি সমুদ্রতটে বালুকোপরি অশ্বারোহণে গমন করিতেছেন, এমন সময় কোন রন্ধে অশ্বের এক পদ প্রবিষ্ট হওয়াতে অশ্ব উহা উত্তোলন করিতে পারিল না । রাজা অশ্বপৃষ্ঠ হইতে অবতরণ করিয়া বালুকা খনন করিয়া দেখিলেন লৌহনিৰ্ম্মিত চক্রবৎ একটি বৃহৎ রন্ধ্রে অশ্বের পদ প্রবিষ্ট হইয়াছে । তিনি বহু কষ্টে অশ্বের পদ বাহির করিয়া দিলেন। পরে কৌতূহলপরবশ হইয়া সেই লৌহচক্র উত্তোলনে অনুচরবর্গ নিযুক্ত করিয়া অবিলম্বে বুঝিতে পারিলেন, সেই চক্র কোন মন্দিরের মস্তকস্থিত বিষ্ণুচক্র । ইহাতে তিনি মন্দির উদ্ধারার্থ বহুসংখ্যক লোক নিযুক্ত করিলেন । যতই বালুকা অপসৃত হইতে লাগিল, ততই এক প্রকাণ্ড মন্দির দৃষ্ট হইতে লাগিল । পরিশেষে যখন সম্পূর্ণরূপে মন্দির নির্ম্মক্ত হইল তখন তিনি দেখিলেন, সেই অত্যুচ্চ বিশাল মন্দিরের মধ্যে কোন বিগ্রহ নাই । মন্দির সংক্রান্ত বিষয় এবং ইহার ভিতর কোন মূর্তি না থাকার কারণ বহু সন্ধান করিলেন, কিন্তু কোন ক্রমেই কোন তথ্য অবগত হইতে পারিলেন না। পরিশেষে তিনি মন্দিরে মাধবমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত করিয়া স্বরাজ্যে প্রত্যাগত হইলেন ৷

এদিকে ইন্দ্রদ্যুম্ন ব্রহ্মলোক হইতে প্রত্যাগমন করিয়া

মন্দির মধ্যে মাধবমূর্তিদর্শন করিয়া উহা স্বতন্ত্র মন্দিরে স্থাপন করিলেন । 

এই সংবাদ শ্রবণ করিয়া গালব রাজা প্রথমতঃ ক্রোধান্বিত হইয়া তথায় আগমন করেছিলেনপরে তিনিই পূর্ব বৃত্তান্ত শ্রবণ পূর্বক মন্দির প্রতিষ্ঠাকার্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিলেন ।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৬৯. অষ্ট-সরোবর ও বিন্দু-সরোবর মাহাত্ম্য 💧 মহাপ্রসাদ ও নিৰ্ম্মাল্য মাহাত্ম্য 🌾 ভুবনেশ্বর ☸️ শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

অষ্ট-সরোবর ও বিন্দু-সরোবর মাহাত্ম্য:-

(১) বিন্দুসায়র (২) পাপনাশিনী (৩) গঙ্গা-যমুনা (৪) কোটিতির্থ (৫) ব্রহ্মকুণ্ড (৬) রামকুণ্ড (৭) সিদ্ধকুণ্ড (৮) বিন্দু-সরোবরে স্নান করিলে জন্মজন্মার্জ্জিত পাপ তৎক্ষণাৎ বিনষ্ট হয় । ইহার সম্মূখের ঘাটকে মণিকর্ণিকা ঘাট বলে । সিদ্ধকুণ্ডের জলপান করিলে বন্ধ্যা নারী পুত্রবতী হয় ও মৃতবৎসা দোষ দূর হয় । ইহার জল বাজারে বিক্রীত হয় ।

মহাপ্রসাদ ও নিৰ্ম্মাল্য মাহাত্ম্য:-

জগন্নাথদেবের দিবারাত্রিতে ৫৬ বার ভোগ হয় এবং প্রধানতঃ তিন ধূপ ও পাঁচ বিশ্রাম নিদ্দিষ্ট আছে । প্রত্যেক ভোগেই প্রথমে পুরীর রাজার রাজভোগ, তৎপরে প্রসাদ বিক্রেতাদিগের সাধারণ ভোগ হয় । কানিকা সৰ্ব্বশ্রেষ্ট । সকল প্রকার উত্তম ভোগই কিনিতে পাওয়া যায় । মহাপ্রসাদ নীচজাতিতে স্পর্শ করিলেও তাহা ব্রাহ্মণে স্বচ্ছন্দে ভক্ষণ করিতে পারেন। এই প্রসাদকে সাধারণ অন্নবোধে অবজ্ঞা করিলে কোটীকল্প পর্যন্ত নরকে থাকিতে হয় । মহাপ্রসাদ ভক্ষণের পূর্ব্বে মস্তকে ধারণ করিতে হয় । মহাপ্রসাদ দ্বারা শ্রাদ্ধাদি করিবে ও দরিদ্রদিগকে দান করিবে । দূর দেশে প্রসাদ লইয়া যাইবার জন্য প্রসাদ শুষ্ক করিয়া বিক্রয় হয় । শুষ্ক মহাপ্রসাদ যাত্রীগণকে ক্রয় করিয়া লইয়া যাইতে হইবে। মহাপ্রসাদ শুষ্ক হইলে তাহার মাহাত্ম্য নষ্ট হয় না।

ভুবনেশ্বর:-

শহরের নির্মাণ শৈলী খুব সুন্দর । ভুবনেশ্বর এক বিশিষ্ট শৈব ক্ষেত্র নামে পরিচিত । ভুবনেশ্বরকে চক্রক্ষেত্র বলা হয়। পুরুষোত্তম মাহাত্ম থেকে জানা যায় শ্রীবিষ্ণু গয়াসুরকে বধ করে নিজের গৌরবের প্রতীক স্বরূপ পুরীতে শঙ্খ, ভুবনেশ্বরে চক্র, রায়পুরে (বীরজা ক্ষেত্রে) গদা ও কোনারকে পদ্ম স্থাপিত করেছিলেন। এই ক্ষেত্র শিব ক্ষেত্র নামে প্রসিদ্ধ । এককালে ভগবান শ্রীবিষ্ণু কাশী রাজার উপর অত্যন্ত কোপ প্রকাশ করে কাশী রাজকে হত্যা করতে শ্রীসুদর্শন চক্র প্রেরণ করেছিলেন। কাশীরাজা শ্রীভোলানাথের শরণাপন্ন হলেন । শ্রীমহাদেব কাশীরাজকে অভয় বর দিয়ে সুদর্শন চক্রকে বাধা দিতে পশুপাত অস্ত্র প্রেরণ করলেন । কিন্তু সুদর্শনের প্রভাবে পশুপাত অস্ত্র ব্যর্থ হল । শিব নিজের ভুলের জন্য অনুতাপ করলেন ও শ্রীবিষ্ণুর স্তব করলেন । শ্রীবিষ্ণু শ্রীমহাদেবকে পুরুষোত্তম ক্ষেত্রের উত্তরে এই স্থানে বাস করতে আদেশ দিলেন । এই ক্ষেত্র শিব ক্ষেত্র নামে বিখ্যাত । এই স্থানে ছোট বড় অনেক মন্দির দৃষ্টিগোচর হয় । অনেক মন্দির ভগ্নাবস্থায় আছে। অনেক মন্দিরে বিগ্রহ নেই । এই নগরী ‘মন্দির নগরী’ নামে পৃথিবী প্রসিদ্ধ । অনেক মন্দির ভগ্ন হলেও মন্দিরের গাত্রের কারুকার্য্য অত্যন্ত চমৎকার ও মনোমুগ্ধকর । একদা এখানে দশ হাজার সংখ্যক মন্দির থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এই নগরী দর্শন করলে উড়িষ্যার শিল্প চাতুর্য্যের জ্বলন্ত প্রমাণ পাওয়া যায় । এই নগরীর কতকগুলি দর্শনীয় ও তির্থস্থানের বিবরণী প্রদান করা হল নিম্নে ।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৭০. শ্রী লিঙ্গরাজ মন্দির 🏵️ কোণার্ক মন্দির 👏 ভুবনেশ্বর ☸️ শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

শ্রী লিঙ্গরাজ মন্দির:- ভুবনেশ্বেরের এই মন্দির সর্বশ্রেষ্ঠ মন্দির রূপে পরিচিত । এই মন্দিরের গঠন প্রণালী স্থাপত্যকলা পুরীর শ্রী মন্দির থেকে আরো মনোমুগ্ধকর। এই মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ১৬০ফুট, এই মন্দিরের গাত্রে কারুকার্য্য পরিপূর্ণ । স্বয়ং শ্রী লিঙ্গরাজ মহাপ্রভু এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত, এই শিব লিঙ্গের পরিধি প্রায় ৮ফুট । কথিত আছে যে, পূর্বে যে লিঙ্গ পূজিত হত সে লিঙ্গ পরশ পাথর বা হীরন্য গর্ভ ছিল । বিগ্রহের শরীরে যে কোন বস্তু স্পর্শমাত্র হীরক বা মণিতে পরিণত হত । এখন এই লিঙ্গকে পাথরের দ্বারা আবরণ করা হয়েছে। ভারতের প্রতিষ্ঠিত দ্বাদশ জ্যোতি লিঙ্গের মধ্যে এই লিঙ্গ সর্বশ্রেষ্ঠ । এই লিঙ্গের নামকরণে লিঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করে । শ্রী লিঙ্গরাজ মহাপ্রভুকে বিষ্ণু ও শিবের প্রতীক রুপে পূজা করা হয় । এই লিঙ্গ হরিহর নামে খ্যাত । এক প্রাকৃতিক রেখার দ্বারা এই লিঙ্গ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে । একভাগ হরিনামে এবং অপর ভাগ হরনামে খ্যাত । উভয়কেই বেল পাতা ও তুলসী পাতা দিয়ে পূজা করা হয় । মন্দিরে বৃষভের সঙ্গে গরুড় দেখা যায় । মন্দিরের মধ্যে অনন্ত বাসুদেব ও নৃসিংহাদি মূর্তি পূজিত হন । কেউ কেউ বলেন, আগে কেবল এখানে শিবলিঙ্গ পূজিত হত । কালক্রমে উড়িষ্যার বৈষ্ণব ধর্মের প্রসারের পর এই মন্দিরে বিষ্ণু পূজা প্রচলিত হয় । শ্রীলিঙ্গরাজ শ্রী মহাপ্রভুর রথ যাত্রা অশোকাষ্টমীর দিন অনুষ্ঠিত হয় । এই মন্দিরের বেড়ার মধ্যে ছোটবড় অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় মন্দির বিদ্যমান ।

কোণার্ক মন্দির :- পুরী হতে সমুদ্র তীরে চন্দ্রভাগা পর্য্যন্ত গিয়ে আবার উত্তর মুখে দু' মাইল পথ অতিক্রম করলে কোনার্ক পৌঁছানো যায়। পুরী থেকে এই স্থান প্রায় ৩২ কি.মি.। বাসে পিপিলি হয়ে কোনার্ক যাওয়া যায় । এটি এক পৃথিবী প্ৰসিদ্ধ দর্শনীয় স্থান । এই ক্ষেত্র সূর্য্য ক্ষেত্র, অর্কক্ষেত্র, রবিক্ষেত্র, রবিতীর্থ, অর্কতীর্থ প্রভৃতি নামে নামাঙ্কিত । এই ক্ষেত্রে সূর্য নারায়ণ সম্বন্ধে অনেক কিংবদন্তী আছে । দ্বাপর যুগের কথা । শ্রীকৃষ্ণ নন্দন শাম্ব ছিলেন অত্যন্ত রূপবান । এককালে পিতার দ্বারা অভিশাপ প্রাপ্ত হয়ে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন । ব্যধির উপশমের জন্য উনি নারদের পরামর্শে দ্বারকা থেকে এসে এই ক্ষেত্রে সূৰ্য্যদেবকে তপস্যা করেন । সূর্য্যদেব শাম্বের প্রতি প্রীত হয়ে আশীর্ব্বাদ করেন ও শাম্ব রোগমুক্ত হন । সূর্য্যদেব শাম্বকে সূর্য্যমন্দির নির্মাণ করতে বলেন । শাম্ব তারপর দিন চন্দ্রভাগা নদীতে স্নানকালে সূর্য্যদেবের এক মণি বিগ্রহ পান ও এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজো করেন । এর আগে পৃথিবীতে সূর্য্য পূজার প্রচলন ছিল না । শাম্ব সূৰ্য্যদেবকে প্রথমে পৌষ শুক্র দশমীর দিন প্রতিষ্ঠা করে পূজা করেছিলেন । তাই এই দশমী শাম্ব দশমী নামে খ্যাত । প্রত্যেকে এইদিন সূৰ্য্যদেবকে পূজা করে নিজের আরোগ্য কামনা করে । বর্তমানে কোনার্কের ভগ্ন মন্দির আছে তাকে অনেকে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য্যের মধ্যে এক বলে গণ্য করেন । এই মন্দিরের করুকার্য অত্যন্ত রমনীয় । কারিগরদের সব কিছু কৌশলতা কোনার্ক মন্দিরের গাত্রে ফুটে উঠেছে । প্রত্যহ সারা পৃথিবী থেকে অনেক যাত্রী এসে এই মন্দিরের করুকার্য্য দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন । স্বচক্ষে না দেখালে এই মন্দিরের কারুকার্য্য বিশ্বাস করা সম্ভব নয় । এখন যে মন্দির আছে তা প্রকৃত মন্দিরের এক অংশমাত্র । অন্য মন্দির গুলি ধ্বংস প্রাপ্ত । এই মন্দিরটি মহারাজা লাঙ্গুলা নরসিংহদেব ১২০০ কারিগরের দ্বারা ১২ বৎসরে সম্পূর্ণ করেছিলেন । এই মন্দিরে সূর্য্য মূর্তি আর নেই তবে এই মন্দিরের নির্মাণ কৌশলতা ও কারুকার্য্য দেখতে বহু যাত্রী প্রত্যহ এখানে আসেন। কোনার্ক হতে ২ কি.মি. দূরে এই চন্দ্রভাগা । মাঘ মাসে শুক্লা সপ্তমীর দিন লক্ষাধিক যাত্রী এখানে স্নান করেন । এখানে সূর্যোদয় অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। অনেক যাত্রী কেবল সূর্যোদয় দেখতে এখানে আসেন।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🆕 ৭১. সাক্ষীগোপাল 👏 বারো মাসে তেরো উৎসব 🌹 শ্রীশ্রীজগন্নাথ লীলামৃত 📝 সপ্তম ভাগ 🙇 শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম 📚 এই লিংকে ক্লিক করুন 👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2024/01/jagannath7.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

সাক্ষীগোপাল:-

এখানে পূজিত শ্রীগোপাল সাক্ষ্য প্রদান করার জন্য শ্রীবৃন্দাবন ধাম থেকে এসেছেন তাই এঁর নাম সাক্ষীগোপাল। শ্রীসাক্ষীগোপাল পূর্বাভিমুখী হয়ে মন্দিরে বিরাজমান। গোপাল মূর্তিটি অপুর্ব সুন্দর ও বামপাশে স্বর্ণময়ী রাখা আছেন! দক্ষীণে পুণ্ডরিক বাসুদেব নামক অষ্টভুজ ধাতুনির্মিত শ্রীলক্ষ্মী নারায়ণ মূর্তি আছে । পূর্বে এঁর পাশে রাধা ছিলেন না, এই গ্রামে লক্ষ্মী নামে এক দ্বিজ কন্যা শ্রীগোপালের সঙ্গে প্রণয়াবদ্ধ হন । শ্রীগোপাল নিজে একদিন নিজের নুপুর ও বাঁশী ভুলে লক্ষ্মীর বাড়িতে রেখে আসেন, যে ব্রাহ্মণের বাড়ীতে এই বাঁশী ও নুপুরের সন্ধান মেলে সেই ব্রাহ্মণকে রাজ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয় । স্বয়ং শ্রীগোপাল স্বপ্নে রাজাকে জানান যে, লক্ষ্মী রাধাস্বরূপ শক্তির অংশ বিশেষ । এই লক্ষ্মী শ্রীরাধারূপে শ্রীসাক্ষীগোপালের পাশে পূজা পাচ্ছেন । মন্দিরের উত্তর দিকে শ্রী রাধাকৃষ্ণ ও দক্ষিন দিকে শ্রী মুকুন্দ নামে দুটি পুষ্করিণী শোভা পাচ্ছে । সাক্ষী গোপাল বাজারের নিকটে চন্দন পুষ্করিণী আছে । এই চন্দন পুকুরে সাক্ষীগোপালের বিগ্রহের চন্দন যাত্রা অনুষ্ঠিত হয় । পুকুরের তীরে এক ধর্মশালা আছে । অঁলা নবমী ও চন্দন যাত্রা এখানকার শ্রেষ্ঠ উৎসব । অঁলা নবমীর লক্ষ লক্ষ যাত্রী শ্রীরাধার পাদপদ্ম দর্শন করতে এই স্থান আসেন ।

বারো মাসে তেরো উৎসব:-

ব্রহ্ম এবং স্কন্দ পুরাণ থেকে শুরু করে পুরানো সংস্কৃত গ্রন্থে সারা বছর জগন্নাথের মন্দিরে বারোটি উৎসব পালনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এই বারোটি উৎসব, জনপ্রিয়ভাবে 'দ্বাদশ যাত্রা' নামে পরিচিত।

এই বারোটি উৎসব হল (1) স্নান (স্নান), (2) রথ (রথে চলা), (3) সায়ন (নিদ্রা), (4) উত্তরায়ণ, (5) দক্ষিণায়ন, (6) পার্শ্ব পরিবর্তন (পার্শ্ব পরিবর্তন), (7) উত্তাপনা (জাগরণ), (৪) প্রবরণ (শরীর আবরণ), (9) পুষ্যভিষেক (অভিষেক), (10) দোলা (দোলা), (11) দমনক ভঞ্জন (দামনক উদ্ভিদ ভাঙা) এবং (12) অক্ষয় তৃতীয়া (চন্দন যাত্রা)। সেইসঙ্গে 'নীলাদ্রি মহোদয়' নামে একটি উৎসব যা মন্দিরের ফ্রয়দশা যাত্রা নামে পরিচিত। একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে “বারো মাসে তেরো উৎসব”।

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

🙇🙇🙇 কিছু ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন 🙇🙇🙇

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

   📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝📝

     ꧁👇📖সূচীপত্র 🙏 শ্রী মৃন্ময় নন্দী📖👇꧂

👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/10/blog-post_54.html

👉 SriMrinmoyNandy.blogspot.com

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

  *••••┉❀꧁👇🏠Home Page🏠👇꧂❀┅••••* 

👉 MrinmoyNandy.blogspot.com

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••━❀꧁👇 📖 সূচীপত্র 📖 👇꧂❀┅••••* 

👉 http://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/11/blog-post_34.html

👉 Boisnob.blogspot.com

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

     *••••━❀꧁👇📚 PDF গ্রন্থ 📚👇꧂❀┅••••* 

👉 https://mrinmoynandy.blogspot.com/2022/09/pdf_22.html

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧

    *••••┉━❀꧁ 🙏 রাধে রাধে 🙏 ꧂❀━┅••••* 

                   শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ

              হরে কৃষ্ণ হরে রাম শ্রীরাধেগোবিন্দ।।

  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় জগন্নাথ 🙏 ꧂❀━┅••••*

              হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে

              হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥

  *••••┉━❀꧁ 🙏 জয় রাধাকান্ত 🙏 ꧂ ❀━┅••••*

    🙏💮শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নিবাসস্থলী💮🙏

🌻শ্রীশ্রীরাধাকান্ত মঠ ( শ্রীশ্রীগৌর গম্ভীরা ), শ্রীধাম পুরী🌻

   🌷❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🌷

শ্রী মৃন্ময় নন্দী কর্ত্তৃক সকল ভক্ত চরণে অসংখ্যকোটি প্রণাম🙏🌐 https://MrinmoyNandy.blogspot.com

   🏵️❀❈❀🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙇🙇🙇🙏🏻🙏🏻🙏🏻❀❈❀🏵️

✧══════════•❁❀🙇❀❁•══════════✧